আত্মপরিচয় ২ঃ পুষে রাখো পাঁজরাতে
ডাকবাংলা বলে একটা ওয়েবপোর্টাল খুলেছে, সাবস্ক্রিপশনভিত্তিক এবং সেলিব্রিটিকেন্দ্রিক। পোর্টালে একজন সেলিব্রিটি নস্ট্যালজিয়া নাড়াঘাঁটা করতে করতে বলছিলেন যে তিনি ছোটবেলায় অমুক ইউনিভার্সিটির সামনের তমুক ক্যাসেটের দোকান থেকে ক্যাসেট কিনতেন। অমনি অর্চিষ্মানের মুখচোখ জ্বলজ্বলিয়ে উঠল। "ওই দোকান থেকে আমিও ক্যাসেট কিনতাম! সুমন আর চন্দ্রবিন্দুর কনসার্টের টিকিটও পাওয়া যেত ওই দোকানেই।" বলতে বলতে আমার দিকেই তাকিয়ে থাকা সত্ত্বেও পষ্ট দেখলাম আসলে ও আমাকে দেখছে না, ওর দৃষ্টি আমার কপাল ফুঁড়ে, বাড়ির দরজা ভেদ করে পৌঁছে গেছে পনেরোশো কিলোমিটার দূরে। মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্যাসেটের দোকানের সামনে। ঘরে ঘরে এ জিনিস ঘটল। যারাই শুনল প্রথিতযশা গায়কের নস্ট্যালজিয়ার ইতিবৃত্ত, সে বৃত্তে ওই ক্যাসেটের দোকানটার অবস্থান, যারা ওই দোকানে যেত, যারা পাশ দিয়ে যেত, যারা আর কোনওদিন যাবে না ঠিক করেছিল এবং যারা দোকানটার অস্তিত্ব সম্পর্কে এ যাবত সম্পূর্ণ অনবধান বা উদাসীন ছিল, তাদের সবার দৃষ্টি এবং চেতনা নিজের নিজের অবস্থান থেকে ধাবিত হল দোকানটার দিকে। আর সেই সম্মিলিত মনোযোগ আত্মস্থ করে দোকানটা ক্রমশঃ বড় হতে শুরু করল...