আত্মপরিচয় ১/ রেখেছ বাঙালি করে



নাউ গো অ্যাহেড অ্যান্ড রিআইডেন্টিফাই ইয়োরসেলফ।

দু'ঘণ্টা পার করে একটা যে ঘোর লেগেছিল - তাকিয়ে আছি কিন্তু দেখছি না, শব্দ পাচ্ছি কিন্তু শুনছি না, বন্ধ ঠোঁটের পেছনে ছাদের সমান হাইয়ের পর হাই তুলে চলেছি - সব কেটে গিয়ে একেবারে ঘেঁটি ধরে হুঁশ ফিরিয়ে দিল।

গত দু'ঘণ্টা ধরে আইডেন্টিটি নিয়ে কথা হচ্ছিল।

কার আইডেন্টিটি কী? কে ঠিক করে? যার আইডেন্টিটি সে? না পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি? আপনাকে যদি নিজের আইডেন্টিটি নিজেই বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় আপনি কোনটা বাছবেন?

(সোজা কথায়, পরজন্মে কী হয়ে জন্মাতে চান? কিন্তু সব জায়গায় প্রশ্নের এই ভার্শানটা ফস করে করে বসা যায় না। প্রথমত, কে পরজন্মে বিশ্বাস করে না-করে জানার উপায় নেই, তাছাড়া নিজের বিশ্বাসের তাসও লোকে দেখাতে না চাইতে পারে। আমি তো চাই না। কোথায় কোন প্রগতিশীল ঘাপটি মেরে বসে আছেন। 'অল্প সন্দেহ গোড়া থেকেই হচ্ছিল বটে' বলে মুচকি হাসবেন।)

আমাদের সকলেরই একাধিক আইডেন্টিটি থাকে। তারা কমবেশি আমাদের মনে ধরে। তাদের কোনওটাকে নিয়ে আমরা আদেখলাপনার চূড়ান্ত করি, কোনটাকে হেলাছেদ্দার একশেষ। আমার পরিবারের দু'তিন প্রজন্ম আগে অনেকেই তাঁদের ব্রাহ্মণ আইডেন্টিটি নিয়ে মারাত্মক উত্তেজিত থাকতেন, আমার ঠাকুমা তাঁর বরিশালের আইডেন্টিটি নিয়ে, আশেপাশের অনেকেই দেখছি ইদানীং নিজেদের হিন্দুত্ব নিয়ে আপ্লুত। অষ্টমীতে বিরিয়ানি সাঁটানো ছাড়া এদের ভেতর হিঁদুয়ানির বিন্দুমাত্র উদযাপন দেখিনি জন্মে ইস্তক, কাজেই মাথা চুলকোচ্ছি।

অনেকসময় আমার আইডেন্টিটি অন্য কারও আইডেন্টিটির ওপর নির্ভর করে। আমি হিন্দু তখনই যখন ও মুসলমান। আমি তখনই লম্বা যখন ও বেঁটে। আমি তখনই ফর্সা যখন ও উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। আমি তখনই মেয়ে, যখন মা আমার মা। মায়ের অসংখ্য আইডেন্টিটি ছিল, কিন্তু প্রত্যাশিতভাবেই, 'মা' আইডেন্টিটিটাই আমার কাছে প্রাসঙ্গিক ছিল। সমাজের চাপিয়ে দেওয়া বলে নাকি মায়ের সত্যিই মাতৃত্বভাব বেশি ছিল ভগবান জানে; নাকি ওসব ভাবটাব অবান্তর, আসলে দায়ী ছিল কোনও কাজ দায়সারা ভাবে করতে না পারার চারিত্রিক আইডেন্টিটি - মা, মায়ের চাকরিটিকে মারাত্মক সিরিয়াসলি নিয়েছিলেন। জয়েন করার মুহূর্তটি থেকে। বালি নার্সিংহোম থেমে ফিরে এসে কবিতা এবং কোটেশন লেখা কালো ডায়রিতে তাঁর এই নতুন চাকরির এবং আইডেন্টিটির, ভিশন এবং মিশন স্টেটমেন্ট লিখেছিলেন আমার মা। আমি বড়  হওয়ার পর পড়িয়েও ছিলেন। 'দেখবি সোনা একটা জিনিস?'

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুভূতি হয়েছে আমার সে মুক্তাক্ষরের লেখা পড়ে। অমন যদি লিখতে পারতাম হিংসেটা কন্সট্যান্ট। তাছাড়া কখনও বুক কেঁপেছে, কখনও মায়ের জন্য মায়া, কখনও এই প্রবল, প্রচণ্ড উচ্চাশার বোঝা বইতে না পারার অক্ষমতায় নিজের প্রতি হতাশার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ওপর ক্ষোভ। ইদানীং মনে হয়, এখন আরেকবার পড়লে অত কিছু মনেটনে হত না। মায়ের মনের কথা হিসেবে সহজে মেনে নিতে পারতাম। তারপর এক হাতে মাকে জড়িয়ে ছাদের রেলিং-এ হেলান দিয়ে বসে থাকতাম পাশাপাশি।

যাকগে।

তাছাড়া আইডেন্টিটি বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাই চরম স্বাধীনতা কি না, বা নিজের আইডেন্টিটি বেছে নেওয়ার ক্ষমতাই একটা লোক আদৌ স্বাধীন কি না যাচাই করার গোড়ার শর্ত কি না এ সব নিয়ে আমাদের হিরের টুকরো অমর্ত্য সেন শুদ্ধু অনেক বাঘাবাঘা লোক মাথা খাটিয়েছেন, সে সব আলোচনায় আমার খাপ খুলতে না যাওয়াই ভালো।

তবে স্বাধীনতা থাকলেই যে লাফিয়ে পড়ে সব আইডেন্টিটি বেছে নেব তেমনও নয়। বাছাবাছির হিসেব অত সরল নয়। এমন অনেক আইডেন্টিটি যা একগাদা সন্দেহ উদ্রেক করবে জেনেও, লোকসমাজে সুবিধের থেকে অসুবিধে ঘটাবে জেনেও সোৎসাহে কপালে স্ট্যাম্প মেরে ঘুরি। একবার কী একটা কথা হওয়ার পর আমি ভয়ানক আস্তে করে (যে সময়ের কথা হচ্ছে সে সময় জোরে তো দূর, স্বাভাবিক ডেসিবলে বক্তব্য রাখার আত্মবিশ্বাস আমার ছিল না,) একটা কী যেন বলতেই আমার পাশের লোক চকিত শঙ্কিত চাহনি হেনে ছিটকে গিয়েছিল সাড়ে সতেরো ইঞ্চি। 

'তুই ফেমিনিস্ট নাকি???!!!'

তখনই বুঝে গিয়েছিলাম, যে যতই লাফ মারুক না কেন, ফেমিনিজমের চুনকালি দু'গালে লেপতে আমার আপত্তি নেই। যত সময় গেছে, এ লিস্টে আরও পরিচয় যোগ হয়েছে। লিবটার্ড, ফেকুলার, দেশদ্রোহীর ঘুঁটে দিবি দে, সারা গায়ে মেডেলের মতো সেঁটে চেস্ট আউট, চিন আপ করে দাঁড়িয়ে থাকব। 

আবার কোনও আইডেন্টিটি গলায় ঝোলাতে এলে 'করেন কী করেন কী' বলে লাফ মেরে খাটের তলায় সেঁধোবও।

নন-ফিকশন লেখা পাঠালে ছবি আর ছবির নিচে আত্মপরিচয়সূচক দু'তিনটে শব্দ দাবি করেন সম্পাদক। ব্লগার লিখে পাঠিয়েছিলাম, ছাপা হওয়ার পর দেখি 'লেখক' লেখা। গরম চা আরেকটু হলেই মুখ থেকে ছিটকে ল্যাপটপে পড়ছিল। লেখক তো বিভূতিভূষণ! আর বিভূতিভূষণ যদি লেখক হন তাহলে আমি লেখক কী করে হব? আর আমি যদি লেখক হই তাহলে বিভূতিভূষণ নির্ঘাত লেখকত্ব ত্যাগ করে বনবাসে যাবেন। সেটা অ্যালাউ করা যায় না, কাজেই এ জন্মের মতো ব্লগার হয়েই থাকি। 

জুমে আইডেন্টিটি সংক্রান্ত আলোচনা এই লেভেলে হচ্ছিল না বলা বাহুল্য, হচ্ছিল এর থেকে পাঁচশো গুণ বিমূর্ত লেভেলে। এটা আগেও খেয়াল করেছি। একই বিষয় অন্যে কথা বললে কেমন গম্ভীর, তাত্ত্বিক, ভারভার্তিক শোনায়,  বুঝতে পারছি গর্বে বুক ফুলে ওঠে, সেই একই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গেলে আমি গোটা বিষয়টাকে আমার ও পাড়ার শিবুর লেভেলে নামিয়ে আনি। থিওরির পেডিগ্রি অ্যানেকডোটালের পিটুলিগোলায় পরিণত হয়। এ ব্যাপারে আমার অনেকটা ভবদুলালের সঙ্গে মেলে।

ঈশানবাবুরা বলেন - "কালের স্রোতে উজান ঠেলে ঘুরতে ঘুরতে চলেছি আর দেখছি যেন কাছের জিনিস সব ঝাপসা হয়ে সরে যাচ্ছে, আর দূরের জিনিসগুলো অন্ধকার করে ঘিরে আসছে। ভূত, ভবিষ্যৎ, সব তাল পাকিয়ে জমে উঠছে আর চারদিক হতে একটা বিরাট অন্ধকার হাঁ করে আমায় গিলতে আসছে। মনে হল একটা প্রকাণ্ড জঠরের মধ্যে অন্ধকারের জারকরসে অল্পে অল্পে আমায় জীর্ণ করে ফেলছে আর সৃষ্টি প্রপঞ্চের শিরায় শিরায় আমি অল্পে অল্পে ছড়িয়ে পড়ছি। অন্ধকার যতই জমাট হয়ে উঠছে, ততই আমায় আস্তে আস্তে ঠেলছে আর বলছে, 'আছ নাকি? আছ নাকি?' আমি প্রাণপণে চিৎকার করে বললাম - 'আছি।' কিন্তু কোনও আওয়াজ হল না - খালি মনে হল অন্ধকারের পাঁজরের মধ্যে আমার শব্দটা নিঃশ্বাসের মতো উঠছে আর পড়ছে।... আমি চিৎকার করে বলতে গেলাম 'সর্বনাশ! সর্বনাশ! সৃষ্টিতে ভেজাল পড়ছে-' কিন্তু কথাগুলো মুখ থেকে বেরোলই না। বেরো খালি হা হা হা হা করে একটা বিকট হাসির শব্দ। সেই শব্দে আমার সমীক্ষাবন্ধন ছুটে গিয়ে সমস্ত শরীর ঝিম ঝিম করতে লাগল।"

ওই একই জিনিস যেই না ভবদুলাল প্যারাফ্রেজ করতে যাচ্ছে ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে - "ঈশানবাবুর ছায়া ঘুরছে - লাটাই পাকাচ্ছে - আর ঈশেনবাবু গোঁৎ খাচ্ছেন। পেটের মধ্যে বিরাট অন্ধকার হাঁ করে কামড়ে দিয়েছে - চ্যাঁচাতে পারছেন না, খালি নিঃশ্বাস উঠছে আর পড়ছে - সব ঝাপ্‌সা দেখছে - গা ঝিম-ঝিম - নাক্স ভমিকা থার্টি -

সে জন্য আমি বেশি মুখ খুলছিলাম না, দুই কানের মধ্যবর্তী সুড়ঙ্গপথ খোলা রেখে মড়ার মতো দুই চোখ মেলে অদৃশ্য হাই তুলে চলেছিলাম। তারপর হোতা ঘোষণা করলেন কাজের কথা শেষ, এবার "লেটস প্লে আ গেম।"

উদ্দেশ্য মহৎ জানি। পাছে অল ওয়ার্ক অ্যান্ড নো প্লে হয়ে যায় সে জন্যই কচকচির অন্তে কিছু ফান অ্যান্ড গেমস-এর আয়োজন। তবু মর্যাদা করতে পারি না। কাজের কথা শেষ হলে ছেড়ে দে ভাই, ফান অ্যান্ড গেমস আমার ফোনে ডাউনলোড করা আছে, খেলতে হলে পিঠের তলায় বালিশ গুঁজে চিৎপাত হয়ে একা একা খেলব, জুমে মাপা হাসি হেসে খেলতে যাব কেন? অনেক চাকরিতে শুনেছি নিয়মিত গ্রুপ আউটিং হয়, সবাইকে বাসে চড়িয়ে নিয়ে গিয়ে উইকেন্ড গেটঅ্যাওয়েতে দল বেঁধে খেলায়। ও সব চাকরিতে নিত না স্বীকার করে নিয়েও বলছি, যেতামও না।

কিন্তু এতক্ষণের যন্ত্রণা সহ্য করে এখন ফটাস করে লিভ মিটিং করে বেরিয়ে যাওয়ার মানে হয় না। হাসি হাসি মুখে খেলার নির্দেশাবলী শুনলাম।

জুমপুরীর রাজ্যে অপার স্বাধীনতা দেওয়া হল, তুমি যা হতে চাও বেছে নাও। রিআইডেন্টিফাই করে নিজের বর্তমান নাম উড়িয়ে সেই আইডেন্টিটিটাকে বসিয়ে ফেল।

প্রস্তাবটা আমার মনে ধরল না। নামটাই কি আমার একটা মস্তবড় আইডেন্টিটি নয়? এই জন্য মনে হল না কারণ নামের প্রতি আমার একনিষ্ঠতা আছে বলে নয়। বিবমিষাই ছিল বরং অনেকদিন পর্যন্ত। সবার কেমন সুন্দর সুন্দর গভীর তাৎপর্যপূর্ণ নাম, ডিকশনারি ঘেঁটে রাখা, সে জায়গায় আমার ভাগে কেবল শকুন্তলার মাথা কাটা আর পাশের বাড়ির সুলক্ষ্মী মেয়ের নাম টুকে কাজ সারা।

কিন্তু এখন ধাতে সয়ে গেছে। গত চল্লিশ বছরের প্রতিটি ঘণ্টা মিনিট সেকেন্ড একে অপরের সঙ্গে সেঁটে থাকতে থাকতে আমিই যে কুন্তলা আর আমি যে কুন্তলাই, কুন্তলা যে আমিই আর কুন্তলাই যে আমি, এই বাঁধাবাঁধি কংক্রিট ঢালাই হয়ে গেছে। যে সব শেষরাতে ফাঁকা বাড়িতে একা, মায়ের পইপই নিষেধ অমান্য করে দেখা  ঊর্মিলা মাতোণ্ডকরের কৌন থেকে শুরু করে জাপানি রিংগু-র যাবতীয় ঘাড়-শিরশিরানো দৃশ্যেরা মগজে ঘনিয়ে এসেছে, যদি বেসিন থেকে মুখ তুলে আয়নার ওপার থেকে কুন্তলার বদলে শ্রীনীতা বা অদিতি নামের কাউকে তাকিয়ে থাকতে দেখি, সোজা হার্ট অ্যাটাক।

কিন্তু আমার আরেকটা আইডেন্টিটি হচ্ছে, অথরিটির সামনে কেঁচো, কাজেই, "বদলাব না মশাই নাম, কী করবেন করে নিন," বলার প্রশ্ন ওঠে না। সোনামেয়ে হয়ে নাম বদলালাম। সকলেই বদলাল।

ইন্টারেস্টিং। কেউ ধর্ম বাছল, কেউ এথনিসিটি। এমনকি একজন দেখি তার পেশাটা লিখেছে নামের জায়গায়। আমি ইম্প্রেসড। কাজকে এমন করে আত্মস্থ করা সোজা কাজ নয়।

আমি যেটা বাছলাম সেটা দেখে নিজেই ঘাবড়ে গেলাম। দেখলাম বাঙালি লিখে বসে আছি।

কী কী লিখব না জানতাম। দেশাত্মবোধের আঁচ সেভাবে টের পাইনি বুকের ভেতর কখনও কাজেই ভারতীয় লিখব না, দুর্গাপুজোয় এগরোল ফুচকা লিমকা খাওয়া ছাড়া,  নম্বর আর প্রেম পাইয়ে দেওয়ার জন্য ভগবানকে ডাকা ছাড়া ধর্মপালনও করিনি সেভাবে কখনও, ও রাস্তাতেও হাঁটব না।

এই একই যুক্তি দিয়ে নিজেকে বাঙালি বলে জাহির করারও আমার কোনও কারণ নেই। নিজের যে আইডেন্টিটি নিয়ে সর্বদা তেরিয়া হয়ে থাকই সেটা বাঙালি নয়। বাঙালিকে চারটি গালি দিলে আমার কাঁচকলা এসে যায়। বাঙালি কেন ডুবে মরবে মর্মে চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের পঁয়ত্রিশ হাজারতম বক্তৃতাটা শুনতে পড়িমরি দৌড় মারি।

বরং মেয়েদের নিয়ে কেউ বক্তিমে দিতে এলে মনে হয় দিই দু'ঘা বসিয়ে (ফিগারেটিভ। আমার আরেকটা জোরদার আইডেন্টিটি - আমি আগাপাশতলা অ্যান্টি-ভায়োলেন্স) তবু আমি আত্মপরিচয়ে নারীত্বের ঝাণ্ডা ওড়ালাম না, ওড়ালাম কি না বাঙালিত্বের?

(ক্রমশঃ)

পুনশ্চ - ভবদুলালকে চিনতে পারলে কমেন্টে লিখে যাবেন প্লিজ।

Comments

  1. বলেন কি, ভবদুলালকে চিনবনা? চলচিত্তচঞ্চরীর লেখক, আর চলচিত্তচঞ্চরী হল আমার অন্যতম প্রিয় নাটক। ওই কথাটা আপনি মোক্ষম বলেছেন - একটা সহজ কথা অন্য লোকে বললেই কেমন দার্শনিক-দার্শনিক শোনায়, আর আমি গভীর কোনো কথা বললেও মনে হয় যেন বাজে বকছি। আইডেন্টিটির দিক দিয়ে আপনি বাঙালি বেছে ঠিকই করেছেন, "হাওড়া মেন্ লাইনের মফস্বলের মধ্যবিত্ত বাঙালি" বাছার অপশন থাকলে আরো ভাল হত। (এটা কিন্তু কমপ্লিমেন্ট হিসেবে বললাম, কারণ আমিও ওই দলেই পড়ি)

    ReplyDelete
    Replies
    1. দ্বিতীয় পর্বের স্পয়লারটা দিয়ে দেওয়া কি ঠিক হল? বাঙালিটা ঝপ করে বলার জন্য বলা। আসলে যে আইডেন্টিটিটা স্থানসংকুলান বশত লেখা যায় না, সেটা হচ্ছে, ওয়েল...

      ভবদুলাল আর ভবদুলালের চলচিত্তচঞ্চরী হচ্ছে গিয়ে আমার যাকে বলে প্রাণের আরাম। সুকুমার সমগ্রেরও অন্যতম (একেবারে ফেভারিট বলে দিলাম না কারণ আরও অনেক কিছু যখন পড়ি তখন ফেভারিট মনে হয়) প্রিয়তম পিস। গত প্রায় তিরিশ বছর ধরে একই রকম আনন্দ আর কিছু জীবনে দিতে পেরেছে কি না আমি জানি না (এটা অবশ্য গোটা সুকুমার সমগ্র সম্পর্কেই প্রযোজ্য।)

      Delete
    2. প্রাণের আরামই বটে... ছাগলা দাড়ি না ডাবা হুঁকো... উফফ!

      Delete
    3. হাহাহাহা, এটা আমারও ফেভারিটস্য ফেভারিট লাইন, হায়েস্ট ফাইভ। এই লাইনটা পৃথিবীর যে কোন কোণে যে কোন পরিস্থিতিতে মনে পড়লে আমি অট্টহাসি হাসতে বাধ্য।

      Delete
  2. "অষ্টমীতে বিরিয়ানি সাঁটানো ছাড়া এদের ভেতর হিঁদুয়ানির বিন্দুমাত্র উদযাপন দেখিনি জন্মে ইস্তক" ;)

    ReplyDelete
  3. "ফেমিনিজমের চুনকালি দু'গালে লেপতে আমার আপত্তি নেই। যত সময় গেছে, এ লিস্টে আরও পরিচয় যোগ হয়েছে। লিবটার্ড, ফেকুলার, দেশদ্রোহীর ঘুঁটে দিবি দে, সারা গায়ে মেডেলের মতো সেঁটে চেস্ট আউট, চিন আপ করে দাঁড়িয়ে থাকব। " me too, me too <3

    ReplyDelete
    Replies
    1. হায়েস্ট ফাইভ, অন্বেষা।

      Delete

Post a Comment