ব্রোঞ্জ
অনেক টাকা পেলে কী করবে? উত্তরে একসময় বিশ্বভ্রমণটমন বলতাম। এখনও বলি, তবে আগে একটা বাড়ির কথা মনে আসে।
যদিও বাড়ি আমরা কিনছি না দিল্লিতে, ডিসাইডেড। যেখানে থাকার ইচ্ছে সেখানে কিনতে পারব না সেটা একটা কারণ, কিন্তু মূল কারণ অক্ষমতাটা নয়। আরও একটা কারণ ছিল, ভাবতাম দুজনেই যা কুঁড়ে, আবার বাড়িটাড়ি জুটিয়ে পরিশ্রমের একশেষ। এখন সব কারণ ছাপিয়ে একটা কারণ শেকড় গাড়ছে, সেটা হচ্ছে আমরা এখানে শেকড় গাড়তে চাই না। যুধিষ্ঠির ঠিকই বলেছিলেন, জগতে প্রবাসীর থেকে দুঃখী কেউ নেই। আর অর্চিষ্মানের জানি না, দুঃখ আমার অলরেডি গিজগিজ করছে, দরকারের বেশি এক মিনিটও প্রবাসে থেকে তার বোঝা বাড়াতে চাই না। চাকরি ফুরোলে প্রাণ হাতে করে পশ্চিমবঙ্গে দৌড়ব।
তবু অভ্যেসবশতঃ রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে বাড়ি দেখি আর একে অপরকে কনুই টেনে দেখাই। দুজনেই বিশ্বনিন্দুক তাই দৃষ্টান্তগুলো মূলত ঘোরাঘুরি করে কীরকম বাড়ি আমরা বানাব না তার চারপাশে। বাড়ির বদলে দুর্গ, ডিজাইনের নামে সারা শরীর খুঁড়ে-লেপে শেষ, এক মিলিমিটার যাতে কোনও ব্যাটা মেরে না দিতে পারে সে জন্য প্রায় মাঝরাস্তা থেকে দেওয়াল উঠে গেছে। সে রকম বানাব না।
তা বলে কি দৃষ্টিতে আলো একেবারেই নেই? ভালোর দিকে পড়েই না? একটা মন-ভালো ছাদ, একটা পা-মেলা বারান্দা দেখলে আমরা চনমন করে উঠি। আমাদের বর্তমান বাড়িতেও একটি মচৎকার বারান্দা আছে। বারান্দাটা বাড়িওয়ালার দিকে, আমরা ভাগ পাই না, তবু আমগাছের ছায়ায় অপেক্ষা করা বারান্দাওয়ালা একটা বাড়িতে থাকার গর্বে আমরা মনে মনে মশমশ করি। "ওই যে মাঠের উল্টোদিকে বারান্দাওয়ালা বাড়িটা? ওটা আমাদের বাড়ি, মানে ভাড়া থাকি।" সারাদুপুর চারপাশে ধুমধাড়াক্কা দুমদাম চলে সাতদিন বারো মাস। মার্বেল ঘষার তীক্ষ্ণ খসখস। মানুষের তৈরি বাড়ি ভেঙে প্রোমোটার ফ্ল্যাট তৈরি করে। একটার সঙ্গে পাশেরটার কোনও তফাৎ নেই, বাড়ির ভেতরের মানুষগুলোর মতোই। বাড়িগুলো নিশ্চিহ্ন হওয়ার থেকেও বারান্দাগুলো স্মৃতি হয়ে যাওয়ার কষ্ট আমার বাজে বেশি।
বাড়ির সঙ্গে যে ইট কাঠ কংক্রিটের কোনও সম্পর্ক নেই সেটা আমাকে প্রথম মনে করিয়েছিল কার্লোস ডমিংগেজ, মেক্সিকো সিটিতে যার বাড়ির ছবি দেখে চোখ টেরিয়েছিলাম। ওয়ার্কশপে যাওয়ার পথে পার্কের মধ্যে দিয়ে শর্টকাট নেওয়া হত। গোটা রাস্তা কার্লোস জীবনের উদ্ভটস্য উদ্ভট সব অভিজ্ঞতা বলতে বলতে যেত, যেগুলোর সব সত্যি হওয়া অসম্ভব আমি জানতাম, আর ও-ও জানত যে আমি জানি। তাতে হাসাহাসি আটকায় না। আমি আবার পাড়া কাঁপিয়ে ছাড়া হাসতে পারি না, কার্লোস গল্পগুলো অত্যন্ত গম্ভীরমুখে বললেও আমার হাসি শুনে হাসত, খালি পার্কের একটি নির্দিষ্ট অংশে পৌঁছে মুখে আঙুল দিয়ে নীরবতা পালনের প্রস্তাব রাখত। তিনদিনের দিন জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপারটা কী। ঝোপের আড়ালে প্রায় অদৃশ্য একটা বেঞ্চ আর বেঞ্চের ওপর আধময়লা লেপ মুড়ি দেওয়া একটা শরীরের দিকে দেখিয়ে কার্লোস বলেছিল, বিকজ দিস ইজ হিজ হোম অ্যান্ড হি ইজ স্লিপিং।
তারপর কত বাড়ির মতো দেখতে কিন্তু আসলে বাড়ি নয় দেখলাম। আবার ভিত, দেওয়াল, সিলিং কিছু নেই কিন্তু খাসা বাড়ি, তাও দেখলাম। নেহরু প্লেসের ওভারব্রিজটার নিচে ও রকম কয়েকটা খোলামেলা বাড়ি ছিল। একটা বাড়ির একজনের বয়স পঁচিশ থেকে তিরিশের মধ্যে, আমার অটো যখন সিগন্যালে দাঁড়াত, তখন তারও কাজে যাওয়ার সময়। বাকিরা অনেকেই লেপের তলায় তখনও, সে শার্ট প্যান্ট পরে রেডি। রেডি হয়ে সে বাড়ির আরেক সদস্য, যার বয়স এক থেকে দেড়ের মধ্যে, তাকে চুমু খেত, আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে লুফত, দোলাত। একদিন দেখলাম বাড়িগুলো আর নেই, তার জায়গায় কতগুলো টবে পোঁতা গাছ। কারও চোখে ওই বাড়িগুলো আর বাড়ির লোকগুলোর থেকে গাছগুলোকে বেশি সুন্দর লেগেছে। আর তার হাতে ক্ষমতা আছে, কাজেই।
ঠাকুমার কাছে একটা সময়ের পর বাড়ি মানে ছিল বারান্দা, মায়ের কাছে বাড়ি মানে ছিল ছাদ। দেখ না দেখ ছাদে উঠে বসে থাকতেন। সন্ধের অন্ধকারে গা ডুবিয়ে, খোলা বাতাসে গা ভাসিয়ে মা যখন বসতেন, গুনগুনিয়ে গাইতেন ছোটবেলায় শেখা গান, বুঝতাম এতক্ষণে মা সত্যি সত্যি বাড়িতে ফিরেছেন।
নাকতলায় নানার ঘরে শুয়ে শুয়ে পর্দার ওড়াউড়ি দেখতে দেখতে বাড়ি বাড়ি ফিলিং তিরতির কাঁপে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি গেটে দাঁড়িয়ে বাবামা হাত নাড়ছেন, যতক্ষণ না ট্যাক্সি মোড় ঘোরে, ওই তাকিয়ে থাকাটুকু আমার নাকতলার বাড়ি। হোয়াটসঅ্যাপে বাবা ছবি পাঠান, গৌরাঙ্গকাকু এসে আম পেড়ে দিয়ে গেছে, ভিডিওকলে বাগানে নেমে দেখান, গাছে একটা, দুটো, তিনটে! বদমেজাজি কাঁঠাল ঝুলছে। কাঁঠাল আমার দুচক্ষের বিষ, ওপর ওপর "মচৎকার, কেয়া বাত" বলে এড়িয়ে যাই। কাঁঠালগুলো যদি না থাকত, তাহলেও কি রিষড়ার বাড়িটা বাড়ি হত? গৌরাঙ্গকাকু নিয়মিত হাসিমুখে না এসে দাঁড়ালে?
রাতে খাওয়াদাওয়া সারা হলে, বাঁপাশে গোদরেজ আলমারি ডানপাশে আলনার মাঝখানের ফাঁকটাতে দেওয়ালে ঠেসান দিয়ে বাবু হয়ে বসে অনূর্ধ্ব দশ কুন্তলা গল্পের বই পড়ত। ক্লান্ত শরীরে বিছানা করতে করতে মা রসিকতা করতেন এবং আমি হিহি হেসে উঠতাম। মা শিউরে উঠতেন। "যত রাত বাড়ে তোর হাসির আওয়াজ তত জোর হয় কেন রে সোনা?" কিন্তু রসিকতাও থামাতেন না। আমি আরও জোরে হাসতাম, মা আরও শিউরে ওঠার ভান করতেন। ওই ফাঁকটা যেদিন একটা কাজের আসবাব দিয়ে ভরে দেওয়া হল, আমার অত কিছু কষ্ট হয়নি কিন্তু মুখভরা ছায়া নিয়ে মা বলেছিলেন, "তোর জায়গাটা নিয়ে নিলাম।" তখন বুঝিনি, এখন মনে হয় দিনের শেষে মশারি টাঙাতে টাঙাতে আত্মজার সঙ্গে রসিকতার সময়টুকুও হয়তো মায়ের বাড়ি ছিল।
*
রমাপদ চৌধুরীর একটা লাইন একসময় খুব বুকে বেজেছিল। অবান্তরে বলেছি আগেও। লাইনটার সারমর্ম হচ্ছে, আসলে আমরা কোথাও যেতে পারি না বলেই প্রতিদিন বাড়ি ফিরে আসি। একসময় মাথা নেড়েছিলাম খুব না বুঝেই, এখন অতটাও নাড়ি না। কারণ এখন বুঝছি ফেরাটা অতটাও খারাপ কিছু না। তাছাড়া ফেরা না-ফেরার টানাপোড়েনটাই ফুরিয়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে টের পাচ্ছি, আমাকে আর বাড়িতে ফিরতে হয় না। আমি যখন বাড়িতে থাকি না, তখনও আমি বাড়িতেই থাকি কারণ বাড়িটা আমার ভেতরে থাকে। উঠি বসি, খাই শুই, উবার চড়ে এদিকওদিক যাই - বাড়িও যায় সঙ্গে সঙ্গে। ঘোর গরমে সমুদ্রের পাড়ে বসে লেবু চা খেতে খেতে ফেনার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেও বাড়ির আরাম অটল থাকে। আটঘণ্টা হেঁটে পাহাড় থেকে নেমে আঙুল যখন নিঃসাড়, এত ক্লান্ত যে বেঞ্চ খুঁজে বসার শক্তি নেই, কুয়াশায় ঢেকে আসা দূরের চুম্বক পাহাড়টা চোখ সরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেয় না, কত কিছু ভুলে যাওয়ার শোক দু'চোখের কোণে ঘনিয়ে আসবে আসবে, তখনও বাড়ি থাকে আশেপাশেই। নাম ধরে ডেকে ওঠে।
ঘোর ভেঙে ফিরে তাকাই। হাঁটতে শুরু করি। ক্লান্তি নেই, পায়ে ব্যথা হাওয়া। আরও আট লক্ষ ঘণ্টা আমি হেঁটে যেতে পারি ওই ডাক লক্ষ করে। যেখানে এক হাতের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে অন্য হাতে আরেকটা চায়ের গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে অর্চিষ্মান।
আমার বাড়ি। আমার এ জন্মের পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস। কে জানে কত জন্মের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।
*
হ্যাপি অষ্টম অ্যানিভার্সারি, অর্চিষ্মান। তোমার কথা বলতে পারি না, দেখছ তো আমার আর বাড়ির দরকার নেই। খেলিয়ে একটা বারান্দা বানাই বরং চলো, রিটায়ারমেন্টের পর পাশাপাশি বসে থাকা যাবে।
হ্যাপি অ্যানিভার্সারি আপনাদের দুজনকেই। আমরা ছোটবেলায় বলতাম "আজকে বাবা-মায়ের বিয়ের জন্মদিন।" সেদিন বাইরে খাওয়া হত। আপনার গোটা লেখাটাই খুব সুন্দর হয়েছে, কিন্তু প্রথম তিন-চারটে প্যারাগ্রাফের সঙ্গে বিশেষ ভাবে আইডেন্টিফাই করলাম। প্রবাসে থাকার কষ্টটা রোজ নতুন করে টের পাচ্ছি। বাড়ি দেখলে মনের ভাবটাও ঠিক ঐরকমই হয়।
ReplyDeleteহাহা, বিয়ের জন্মদিনটা ভালো ব্যাপার। আমিও বলব এবার থেকে। প্রবাস ইজ টাফ। আর কারও কাছে হোক না হোক, আমার কাছে। আপনার সঙ্গে মিলেছে দেখে খুশি হলাম। অবশ্য না মিললেই অদ্ভুত লাগত।
Deleteশুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
khub e kaktaliyo..kintu kodin dhore bisheshoto lockdown e hyderabad e eshe din koek er jonyo ei chele majhe majhe delhi r bari jabo mamma na na hyderabad er bari jabo kore jokhon, amio bhabchi boshe bari thik konta,...sei je hindmotor e chaya ghera ekta lomba bagan ghera jayga jekhane madure boshe onko kortam ar baba dure ekta chair e boshe khoborer kagoj porten, brishti porle baranday bhijte jetam..ar bichanay shuye shuye ekta folsha gach dekha jeto...dekhlam bari bolle oi baritai bhashe khali...
ReplyDeletebarita asole moner bhitor naki mathar bhitor...ar sotyi..boyosh barte barte manush gulor kache thakatai bari hoye jay...happy anniversary Kuntaladi ar Archishman da....majhe majhe bhabi ehon jodi school er mathe tumi ar abantor er sathe sei dui binuni kuntala r dekha hoto...ki hoto? ekkhuni JL 50 bole ekta series dekhe uthlam tai time machine ghurpak khachche...
bhaiggyish abantor ache..nahole ei talabondi jibon boddo ekgheye hoye jeto!!!
( dilli r ghupchi rod na asha baritake bistor shap shapanto kortam ar hyderabad r pahar akash dekha barandar jonyo monkharap kortam..dekhchi dekhi r sei dotalar ghupchi baranda ta hotobhaga ekhon moner modhye chimti katche kothay jeno...sadhe ki bole dilli ka laddoo...
fire giye dekha hobei hobe...
রাইট, পারমিতা। ফিরে গিয়ে দেখা হবে। তবে তুই যেটা বললি, বাড়ি শেষমেশ মানুষ। তার বেশিও না, কমও না।
DeleteBibahobarshikir shubhechcha! :) "Home is where the heart is."
ReplyDeleteঅগুনতি ধন্যবাদ, বিম্ববতী। খুব ভালো লাগল।
Deleteএমন হাঁদা আমি ব্রোঞ্জ বলে হেডিং, তাও শেষ অব্দি পড়ে তবে বুঝেছি। শুভ বিবাহবার্ষিকী। সারাজীবন এমন ভাবেই বাড়িতে থাকো তোমরা।
ReplyDeleteহাহা, প্রদীপ্ত, শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তোমার আর ময়ূরাক্ষীর বাড়িও বিকশিত হোক।
Deleteশুভ বিবাহবার্ষিকী -- এবং শুধু বিবাহবার্ষিকী বলেই তোমার লেখা দুটো typo ('মচৎকার') আমি আজ ছেড়ে দিলুম !!!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। ভারি ভালো লাগল।
Deletehappy anniversary Kuntala.. Khub khub bhalo laglo lekhata... khub bhalo thakben dujone..
ReplyDeleteএটা কি ইন্দ্রাণী? থ্যাংক ইউ শুভেচ্ছার জন্য। দুজনের তরফ থেকেই অগুনতি থ্যাংক ইউ।
Deletehappy belated anniversary Kuntala-di. bodh kori eibar goto aat-bochhorer tradition ghuchhiye ei dintite eksathe thaka gelo oboseshe! anek suveccha roilo.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, আধিরা। খুব ভালো লাগল শুভেচ্ছা পেয়ে।
DeleteHappy anniversary tomader dujon ke Kuntala!
ReplyDeleteEkhon amra o eyi bhabna niye din katai je thik kothaye phire giye nijer bari korbo .... desher du pranto theke dujon ... tai :-)
Khub bhalo theko.
হাহা, তোমাদের বোধহয় মধ্যবিন্দুতে সেটল করতে হবে, শর্মিলা। খুব ভালো লাগল শুভেচ্ছা পেয়ে।
Deleteদেরী হল.. তাও দু'জন কে অনেক শুভেচ্ছা জানালাম ... লেখা আর বিষয় বড় ভাল...
ReplyDeleteশুভেচ্ছার কোনও দেরি হয় না, ঊর্মি। খুব খুব খুশি হলাম। আমাদের দুজনের তরফ থেকে থ্যাংক ইউ।
Deleteআপনাদের জীবনের আকাশে ভালবাসার চাঁদ সবসময় উজ্জ্বলভাবে ছড়াক শুভ্র শীতল জোছনা.. আজকের এই বিশেষ দিনে আপনাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা..এই দিনটি বছর বছর ফিরে আসুক আপনাদের জীবনে...শুভ বিবাহবার্ষিকী..
ReplyDelete(অনেকটা দেরি হয়ে গেল শুভেচ্ছা জানাতে... আসলে অবান্তর এ আমার যাতায়াত থাকলেও কোনোদিনই কমেন্ট করা হয়নি...��)
বাহ, এমন সুন্দর শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ তো বটেই, ঐশানী, আড়াল ভেঙে আত্মপ্রকাশ করার জন্যও থ্যাংক ইউ। খুব ভালো লাগল। ভালো থাকবেন।
DeleteOnek shubhechchha roilo. Jeeban anondo, swasthyo, bhalobasa bhora hok.
ReplyDeleteSabar Bari e Asole 4bhk, 2 to atrium ar duto ventricle.
যা বলেছেন, শিবেন্দু। সুন্দর শুভেচ্ছার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই মিলে সুস্থ আছেন আশা করি।
Deleteহ্যাপি অ্যানিভার্সারি দিদি।খুব ভালো থাকুন।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঋতম। ভালো লাগল শুভেচ্ছা পেয়ে।
Deleteঅপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট।
ReplyDeleteআপনি যেহেতু অ্যামাজন কিন্ডলে ব্যবহার করেন তাই 'স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও কিন্ডলে কেনা উচিত কি?', এই বিষয়ে যদি বলেন... আমি একজন ছাত্র, তাই জমানো টাকা দিয়ে কেনার আগে আপনার মতামত জানান যদি।
এই রে, এই রকম সাজেশন দেওয়া ভয়ানক শক্ত ব্যাপার। তবু চেষ্টা করছি । দেখুন, আমি আফসোস করি না কিন্ডল কিনে। আমি কাগজের বই পড়তে পারি, ল্যাপটপে পড়তে পারি, কিন্ডলে তো পারিই, কিন্তু মোবাইলে পারি না। সব ভয়ানক ছোট ছোট লাগে। অনেকের লাগে না। তাঁরা দিব্যি ফসফস করে বই পড়েন মোবাইলে।
Deleteকিন্ডলের সপক্ষে আরেকটা যুক্তি, যেটা আমাকে সুগত, যিনি ওপরে কমেন্ট করেছিলেন, জুগিয়েছিলেন, সেটা হচ্ছে যে আপনি যদি এমন কিন্ডল কেনেন যে যখনতখন ইন্টারনেট খুলে বেড়াতে বেরিয়ে যাওয়া যায় না, তাহলে পড়াটা আরেকটু মনোযোগ সহকারে হবে। অর্থাৎ, আমাদের অধিকাংশের কাছেই মোবাইলটি অলরেডি ডিস্ট্র্যাকশনের ডিপো, ওরই মধ্যে বই গুঁজে পড়লে একপাতা পড়ার পরেই ফেসবুক চেক করার ইচ্ছে করে যদি?
যদি না করে তা হলে সমস্যা নেই।
আমার আরও একটা পরামর্শ থাকবে। এখন বাজারে কিন্ডল ছাড়াও আরও অনেক ই-রিডার আছে। একটু রিসার্চ করে নেবেন। কিন্ডলের একটা হয়তো সুবিধে এখনও আছে বাকিদের তুলনায়, যেহেতু অ্যামাজনের ঘরের জিনিস আর অ্যামাজনের বইয়ের স্টক এখনও বাকিদের থেকে বেশি, কিন্ডলেও হয়তো সব বই পাওয়া যাবে ইত্যাদি। তবে, বিকল্প আরও আছে, সেগুলোর যাঁরা খোঁজখবর রাখেন তাঁদের সঙ্গে একটু কথা বলে দেখতে পারেন।
কী সিদ্ধান্ত নিলেন জানার আগ্রহ এবং শুভেচ্ছা রইল।
কুন্তলা তো যা বলার বলেই দিয়েছেন, আমি আরেকটা কারণ বলি। মোবাইলের স্ক্রিনে ভয়ানক ব্যাটারি খরচ করে। পথেঘাটে চার্জ দেওয়ার সুবিধা থাকেনা, অথচ ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়াটাও কাজের কথা নয়। কিন্ড্ল একবার চার্জ দিলে কয়েক সপ্তাহ চলে, আর ফুরিয়ে গেলে বই পড়া ছাড়া অন্য কোনো কাজের ব্যাঘাত হয়না। তাই একটা চিন্তা কম।
Deleteএটা একটা দুর্দান্ত পয়েন্ট।
Deleteক'দিন হল হাতে পেয়েছি কিন্ডল। দারুণ অভিজ্ঞতা। শুধু কিন্ডলে স্টোরে বাংলা বইয়ের আকাল, এই যা।
Deleteবাহ। আমার একটু কৌতূহল ছিল আপনি কী সিদ্ধান্ত নিলেন জানার। বাংলা বইয়ের অভাবটা একটা ব্যাপার। তবে যত্ন করে যদি রাখতে পারেন যতদিন বাংলা বই না আসতে শুরু করে, তাহলে সে সমস্যার সমাধান হতে পারে। আপনার আর আপনার কিন্ডলের যুগ্ম জীবন সুখী ও পরিপূর্ণ হোক।
Deleteoneeek deri korlam... ektu kintu kintu lagchhe..... bhablam tao tomader shubhechha janabona seta hoi ki kore... onek onek shubhechha. bhalo theko dujone...anonde r khusite theko... r obossoi sustho theko :-) - Ichhadana
ReplyDeleteভাগ্যিস কিন্তু কিন্তু না করে এলেন, ইচ্ছাডানা। অপেক্ষা করছিলাম।🙂
Deleteতার মানে এই নয় কিন্তু যে না এলে রাগ করতাম। আপনি আমার তরফ থেকে যে কোনও রকম নেগেটিভ অনুভূতির ঊর্ধ্বে।
আপনিও বাড়ির সবাইকে নিয়ে খুব ভালো আর সুস্থ থাকবেন। শুভেচ্ছার জন্য আমার আর অর্চিষ্মানের তরফ থেকে অগুনতি ধন্যবাদ।
Tomar uttor porte ese ekrash khusi nie jachhi... - ichhadana
DeleteAti bilombito shubhechchha!! Khub anonde thakun dujone....
ReplyDeleteআরে ভালো জিনিসের নো বিলম্ব। থ্যাংক ইউ, সুস্মিতা। দুজনের তরফ থেকেই।
Deleteবাড়ির চেয়ে বারান্দা অনেক ভাল। আমি কবে থেকে সবাইকে বলছি।
ReplyDeleteআমিও, সুদীপ। হাই ফাইভ।
Delete