সত্যিটা হচ্ছে



আজকাল আকাশপাতাল ঢুঁড়েও অবান্তরে লেখার কোনও বিষয় পাই না। ব্যাপারটা সন্দেহের স্তর কাটিয়ে নিশ্চয়তায় পৌঁছেছে। আমার আর কিছু লেখার নেই। আগেও ছিল না। তবু কত কিছু নিয়ে লিখতাম। শৈশব। কৈশোর। সরস্বতী পুজো। অষ্টমীর অঞ্জলি। সুমন-নচিকেতা। গলা টিপে ধরলেও ও সব নিয়ে এখন এক লাইন বেরোবে না মনে হয়। আগে আরেকরকম পোস্ট লিখতাম খুব যা মনে পড়লে শিউরে উঠি। বাইরে খাওয়া। সিম্পলি ইডিয়টিক। বেড়াতে যাই না আর যে সে নিয়ে লিখব। গেলেও সম্ভবতঃ ভ্রমণ কাহিনির মতো করে লিখতে অস্বস্তি হবে।

কাহিনি বানানটা আজকাল অবলীলায় এই রকম টাইপ করি। লিখি না কিন্তু। কাগজে কলমে লেখার সময় এখনও 'কাহিনী' বেরোয়। কাগজে লিখি 'বাড়ী', 'পাখী', 'বৌ', 'অঙ্ক', 'সূচীপত্র'। টাইপ করি 'বাড়ি', 'পাখি', 'বউ', 'অংক', 'সূচিপত্র'। হাফ সেকেন্ড হাত কাঁপে না। আসলে কাগজে যে কুন্তলা লেখে আর ল্যাপটপে যে কুন্তলা টাইপ করে, দুটো আলাদা লোক। দুটো আলাদা বাংলা বানান শেখা লোক। নতুন বানানগুলো যে খুব কনফিডেন্ট হয়ে লিখি তেমনও না। 'কাহিনি' ঠিক না 'কাহিনী' কে জানে। অনেকেই 'কাহিনি' লিখছে তাই আমিও লিখছি। অথচ এখনও 'সঙ্খ্যা‌' টাইপ করতে শুরু করিনি, যদিও অনেকেই করেছেন। ছাপার অক্ষরেও দেখেছি স্বচক্ষে। আমার এখনও বাধছে। কোথায় জানি না। কাহিনি-র বেলা বাধল না কেন তাও জানি না। কেন কাহিনি-কে উদগ্র আগ্রহে জাপটালাম জানি না।

আরেকটা জাপটানোর, বা জাপটাতে চেয়েও ব্যর্থ হওয়ার, গল্প মনে পড়ল। একবার মিউনিসিপ্যালিটি থেকে দুজন লোক এসে বললেন, আপনাদের বাড়ির নম্বর এখন থেকে ৭৫, সরণীর নাম সুকান্ত। বলে বারান্দার থামের গায়ে চক দিয়ে গদা গদা করে ৭৫ লিখে অশোককাকুদের বাড়ির দিকে চলে গেলেন।

তখন আমাদের বাড়ির অলরেডি একটা নম্বর ছিল, কাজেই সে নম্বরটা যে বদলাতে পারে সে রকমের একটা মেনে নেওয়াও ছিল মনে মনে। রাস্তার নামকরণ সেই প্রথম।

রাস্তার যে নাম হয় সে কি আর জানতাম না? সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউর নাম চিত্তরঞ্জন। রেড রোডের নাম ইন্দিরা। আমহার্স্টের নাম রাজা রামমোহন।

তা বলে আমাদের রাস্তাটাকে (যে রাস্তায় দশ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশি গতির কোনও যানবাহন চলত না তখনও) যে কেউ 'সরণী' (সরণি টাইপ করলাম না কেন?) ডাকতে পারে এটা জেনেই বাড়িশুদ্ধু সবার তাজ্ঝিমমাজ্ঝিম লেগে গেল। দৃপ্ত কবির নামসংক্রান্ত গর্ব করার ফুরসত হল না। নতুনকে আলিঙ্গনের ব্যাপারে মা চিরদিনই প্রোঅ্যাকটিভ ছিলেন, লাফিয়ে পড়ে নতুন ঠিকানা ব্যবহার করে লোকজনকে চিঠি লিখতে শুরু করলেন। মফঃস্বলি (মফঃস্বলী?) বাংলা মিডিয়াম মার্কা পত্রবন্ধুত্বের গপ্প ছিল আমারও, আমিও শুরু করলাম।

বাবা বললেন, মিউনিসিপ্যালিটি থেকে অফিশিয়াল চিঠি পেয়েছ ঠিকানা বদলের ব্যাপারে? শিওর ওই লোকদুটো ইয়ার্কি করেনি? লোকদুটোকে দেখেছ আগে? আদৌ মিউনিসিপ্যালিটিতে চাকরি করে কি না জান?

এতগুলো অকাট্য যুক্তির সামনে আমরা ভোম্বল হয়ে রইলাম। এবং ল্যাজ গুটিয়ে পুরোনো ঠিকানায় ফেরত গেলাম। বাবার যুক্তিগুলো তত্ত্বের লেভেলে ঠিক ছিল, সত্যের লেভেলে সম্ভবতঃ ছিল না। নম্বরটা ছেড়ে দিলেও আমাদের পাড়ার যাবতীয় ল্যান্ডমার্কের নাম অচিরেই অফিশিয়ালি 'সুকান্ত পাঠাগার', 'সুকান্ত শিশু উদ্যান'-এ রূপান্তরিত হয়ে গেল, কাজেই 'সুকান্ত সরণী'র ইয়ার্কি হওয়ার চান্স কম। পরে অনেক পড়শিই সুকান্ত সরণী অ্যাড করেছিলেন নিজেদের ঠিকানায়। এখনও সাকসেসফুলি করে রেখেছেন।

তাছাড়া বাবা নিজের যুক্তি পরে আরও অনেকবার ভেঙেছেন। কেউ চিঠি দিয়ে অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলেনি অথচ ব্যাংক থেকে শুরু করে পোস্টাপিস, সবার অ্যাপ ডাউনলোড করে বসে আছেন। আমিও  করেছি, কিন্তু আমি তো করবই। খালি ঠিকানার ব্যাপারটায় বাবার তুক লেগে গিয়েছিল। এখনও পুরোনো ঠিকানাই ব্যবহার করি আমরা। সব চিঠি নির্ভুল পৌঁছয়, অ্যামাজনের সমস্ত প্যাকেজ। আমাদের সরণীর অধিকাংশ বাড়িতে এখন গ্যারেজ আর সে সব গ্যারেজে চারচাকারা অধিষ্ঠান করে, আমার পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস-এর স্ট্রিট নেম-এর জায়গাটা এখনও ফাঁকা থেকে যায়।

*****

তেরো বছরে এটা বোধহয় অবান্তরের প্রথম পোস্ট যেটা আমি বিনা প্রস্তুতিতে, বিনা খসড়ায়, সরাসরি ব্লগের পাতায় লিখলাম। তাতে অসুবিধে হল যে ব্যাপারটা হয়তো কোহেরেন্ট হল না, মানে লিখতে শুরু করেছিলাম লেখার টপিকের আকাল নিয়ে, শেষে পোস্টটা যে বিষয়ে দাঁড়াল সেটা বাংলা বানানও হতে পারে, রাস্তার নাম নিয়েও হতে পারে। কিছুই যে হয়নি সেটা হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবলতম। খুব বেঁধেছেঁদে লেখা পোস্টও কি আসলে কিছু হয়?

তবু আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হচ্ছে কিছু একটা হল। ছোট হল। কিন্তু একটা কিছু হল। দিনের পর দিন কিচ্ছু না-হওয়ার মধ্যে দিয়ে যাই বলেই হয়তো এটাকে হওয়া মনে হচ্ছে, কিন্তু গোটা জীবনটাই তো রিলেটিভ। সাবজেকটিভ। আমার মনে হচ্ছে এটা একটা পোস্ট হল, আপনাদের মনে হতে পারে হল না।

এবার থেকে এই রকম 'যা মনে আসে তাই' পোস্টই লিখব। কারণ বেঁধেছেঁদে লেখার মানসিকতা আমার আর নেই, ও রকম পোস্টের আশায় বসে থাকলে অবান্তর তুলে দিতে হবে। সেটা আমার জীবনের কোয়ালিটি আরও কমাবে যা আমার পক্ষে অ্যাফর্ডেবল্‌ নয়। যদি কখনও পরিস্থিতি বদলায়, পোস্টের রকমও বদলাবে হয়তো। কিংবা বদলাবে না। কে জানে। দেখা যাক।

Comments

  1. Kichhu ekta likhleo hobe. At least majhe modhye to goppo gujob er shujog hobe...
    Ja bujhchhi, shobaar boyesh hoy...abantor-o teen ager hoye gelo...ektu adhtu kom kotha boltei paare..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে না না, কম কথা বলে যদি অন্যদিকে কিছু উদ্ধার করত তাহলে একটা কথা ছিল। আজকালকার ত্যাঁদড় টিনএজারদের মতো হয়ে উঠেছে। সারাদিন দরজা বন্ধ করে প্রাইভেসি মেন্টেন এদিকে ভূগোলে সাঁইত্রিশ। আমার বাড়ির লোকের হাতে পড়লে মজা বুঝত।

      তোমার আনকন্ডিশনাল উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতাটা আর জানালাম না।

      Delete
  2. আমার পুরনো অফিসে এই ঠিকানা নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল| সর্বত্র ব্যবহার করা হত ২০ ওল্ড কোর্ট হাউজ স্ট্রিট, শুধুমাত্র কর্পোরেশনের কাগজে সেটা ছিল ৯ হেমন্ত বসু সরণী| এই ২০ আর ৯ যে একই ঠিকানা আর পুরনো কোর্টের নামই এখন হেমন্ত বসু এটা বোঝাতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছিল| অনেকদিন পর কমেন্ট করলাম| এদিকে কলকাতা বইমেলা চলছে, আপনার বই পড়াও চলছে নিশ্চই| একটা বইয়ের পোস্ট আসুক|

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, সৌগত। ভালো লাগল মন্তব্য পেয়ে। নাম বদলের অনেক ঝামেলা। এই পোস্টের আগের, আগের পোস্টটি, ফেব্রুয়ারির দু'তারিখের, দুটি ইংরিজি উপন্যাস নিয়ে।

      Delete
  3. Bohudin amar permanent address likhte hoto amader gramer barir, jekhane ekhon ar keu thake na. Amra thaktam colony campus e. Amar bier por ma-baba ekta flat kinlen jeta ke permanent address bola jae......othocho sekhaneo ami ar thaki na.......borer sathe bides pari diechi. Bideshe permanent address hote hote baro bochor lege galo. Etodin e amar ekta permanent address holo jekhane ami actually thaki. odbhut obostha. .........Moutushi

    ReplyDelete
    Replies
    1. asol kothata bolai holo na. Obantor Prolap porte amar bhalo lage karon eta khub serious kichu hoar kotha na. Apnar lekhar doorn tai mojar. Ei dekhun kamon unnecessary comment korlam upore karon serious lekha hole unnecessary comment korte bhoi bhoi lage. Ekhono apnar purano lekha gulo pori, setao hub bhalo lage. Apnar blog, ja mone chat likhun na.

      Delete
    2. সিরিয়াসনেসের ব্যাপারটায় হাই ফাইভ, মৌটুসি। আমিও সিরিয়াস জিনিস লিখি না কারণ সিরিয়াস লিখতে ভয় করে। শুধু শুধু লোক হাসানো।

      পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস বোধহয় আসলে বদলায় না। সেটার সঙ্গে অ্যাড্রেসের নতুনপুরোনো হওয়ার সম্পর্ক নেই। এমনও হতে পারে একটা লোক জীবনে কোনওদিন পার্মানেন্ট অ্যাড্রেসে পৌঁছতেই পারল না।

      Delete
  4. সত্যিটা হচ্ছে, অনেকদিন পর, এই লেখাটায় একটা কিছু খুঁজে পেলাম যেটা মাঝে অনেকদিন পাচ্ছিলাম না। তার মানে মাঝের লেখাগুলো যে খারাপ হচ্ছিল তা নয়, হয়তো বাংলা দিদিমনির চোখ দিয়ে দেখলে ওগুলোই বেশি ভাল। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার আলাপ যে "অবান্তর প্রলাপ" পড়তে গিয়ে, যেখানে আপনি বাড়ি পাল্টানোর সময়ে জমিয়ে রাখা রাশি রাশি গার্ডার, ফ্রি নিউজলেটার আর পাঁউরুটির প্যাকেটের মুখে লাগানো প্লাস্টিকের জিনিসগুলো নিয়ে কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না, সেইরকম অবান্তরতা ইদানিং একটু কম পাচ্ছিলাম। আজ আবার পেলাম।

    আমি কিন্তু এটা বলতে চাইছি না যে আপনি গুছিয়ে সাহিত্য করলে আমার বাজে লাগে। সেগুলোও খুবই ভাল লাগে। কিন্তু সেটা যেন একটা অন্য কুন্তলার লেখা, আর আমার এই কুন্তলাটাকে বেশি পছন্দ। আশা করি আপনি "অফেন্ডেড" হবেন না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওই যাঃ, দেখেছেন তো, তাড়াহুড়োয় আসল কথাটা না লিখেই পোস্ট করে দিলাম। আমাদের হুগলীর নতুন বাড়ি যখন হল (সেই নতুন বাড়িরও ৩০ বছর হয় গেল, ভাবা যায়?), তখন দাদু নাম রাখলেন "অভিলাষ"। সেই থেকে চিঠিপত্রে অভিলাষ আর পাড়ার নাম লিখলেই চলে আসে, বড়োজোর দাদুর নাম লিখতে হত, বা মানুষকে জিজ্ঞেস করলে "মাস্টারমশাইয়ের বাড়ি" বলতে হত। দাদু চলে গেছেনও প্রায় ৩০ বছর হল, আমাদের একটা অফিসিয়াল ঠিকানাও হয়েছে, নম্বর-টম্বর দেওয়া, কিন্তু এখনও অভিলাষ মিত্রবাগান, আর দমকলের মাঠের পিছনে লিখলে দিব্যি চিঠি পৌঁছে যায়। দমকল বা মাঠ কোনওটাই আর নেই অবশ্য, দমকল অন্য জায়গায় উঠে গেছে, মাঠে ফ্ল্যাট উঠেছে। কিন্তু চিঠিতে লেখা ঠিকানা দেখলে সেসব বোঝার উপায় নেই।
      আর ওই বানানের হ্রস্বই দীর্ঘই ব্যাপারটা আমার কাছে মহা গোলমালের। আমি আবার প্রবাসী, সারা জীবনে কোনওদিন ফর্মাল বাংলা শিক্ষাই পাইনি। তাই গুগল যা সাজেস্ট করে লিখে ফেলি। কিন্তু একেকটা বানান লিখতে গিয়ে ভেতর থেকে এমন অস্বস্তি হয়, যে হয় পৌলমীকে জিজ্ঞেস করি, নয়ত সম্পূর্ণ এড়িয়ে অন্যভাবে বাক্যগঠন করি।

      Delete
    2. অফেন্ডেড হওয়ার প্রশ্ন নেই, সুগত। কারণ আপনার বক্তব্যটা আগেও অনেকে আমাকে বলেছেন, অবান্তরের চাল বদলেছে, আগের চালটাই ভালো ছিল ইত্যাদি। ব্যাখ্যা দেওয়ার কিছু নেই, তবে বদলের একটা কারণ হতে পারে, আমি বদলেছি। তেরো বছর আগের আমি আর এখনকার আমিতে অনেক তফাৎ, আমার লেখাতে যে তফাতের প্রতিফলন ঘটা স্বাভাবিক।

      অসুবিধে সেটাতে নয়। অসুবিধে হচ্ছে, নতুন ধরণের লেখাগুলোতে আমি দক্ষ নই। কাজেই ভালো হচ্ছে না। স্মৃতিচারণা, মাঠাকুমার গল্প, আশি নব্বইয়ের মফঃস্বলের জীবনযাত্রার বিবরণ এগুলো আমি বেটার পারি। কাজেই লোকজনের ওগুলো পড়তে ভালো লাগে। সাহিত্য করতে চাইলেই তো পারা যায় না। সত্যিকারের গুছিয়ে করতে পারলে বাংলা দিদিমণি কেন, কম্পিউটার সায়েন্স প্রফেসরেরও সে সব সাহিত্য ভালো লাগত। ভালো জিনিস সবাই বোঝে।

      আপনার দ্বিতীয় কমেন্ট প্রসঙ্গে, আপনাদের বাড়ির নামটি সুন্দর। বানান নিয়ে ঝামেলা আমারও হয়। অনেক বাংলা বানান অনেক বুড়ো বয়স পর্যন্ত ভুল জেনে বসে ছিলাম।

      Delete
  5. Tomar jemonti jokhon mone hobe, thik temon ti e likho. Jor kore ekta particular dhaanche e je likhte hobe, taa toh noye. Amader shobar shomoye bodlacche, jibon er dhoron bodlacche, slow down korchi .... tai shob shomoye shob rokom ke interesting kore poribeshon korar pressure ta ekdom niyo na. Ar kichu na hok boi er review guli e nahoye diyo :-)
    Bhalo theko Kuntala.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, শর্মিলা। তোমার মন্তব্য সবসময় ভালো লাগে।
      হাতের ব্যথা সেরে গেছে!!!! পুরো হাওয়া!!!

      Delete
  6. bolchi, sei anubaad kora golpo gulo jodi abar likhte, tahole boddo khushi hotam!

    ReplyDelete
    Replies
    1. নতুন অনুবাদ, কাকলি? আসলে কিছু করার কথা মাথায় এলেই মনে হয়, ওরে বাবা সময় নেই। যদিও কথাটা মিথ্যে। সময় কম থাকলেই কাজ হয় বেশি। কথা দিতে পারছি না, তবে ছোটখাটো গল্প যদি পাই, অনুবাদ করে অবান্তর-এ দিতে পারি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. Adda marte abar prostuti lage naki. Dhur. Jerom khushi ektu golpo kore jabe majhe majhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটা যেমন তুমি ঠিকই বলেছ, বিম্ববতী, কিন্তু জোলো আড্ডা আর জমাটি আড্ডার তফাৎ-ও জানো নিশ্চয়। একটা বাবার তিনফেরতা কাজিনের বাড়িতে তিন বছর পর বিজয়ার নাড়ু খেতে খেতে, অন্যটা হোস্টেলের ঘরে রাত জেগে। হলে আড্ডা জমাটি হওয়াই ভালো। এটা আমি একদম খোলা মনে বলছি। কিন্তু একই সঙ্গে তুমি যে এসে এই আশ্বাসটা দিলে আমাকে সে জন্য কোলাকুলি।

      Delete
  8. অবান্তর প্রলাপ নাম রেখেছিলে যাকে তার কাছে অত কিন্তু কিন্তু কেন? আমারও এমন হয়েছে, এমনিতেই বিশাল লিখে উদ্ধার করছিলাম তা না কিন্তু লেখা আসছিলোই না। তখন যা প্রাণে চায় বকে দেখেছি খানিক সুবিধে হয়েছে।
    তোমার এই লেখাটাও আমার ভালো লেগেছে, আরেকটু বড় হলে আরো আনন্দ পেতুম।
    আরেকটা কথা লাস্ট পোস্টটা পিড়ে খানিক চুপ করে বসেছিলাম, মানে বই এর রিভিউ এর পোস্টটা পড়ে। বড় ভালো লিখেছ রিভিউটা।
    -প্রদীপ্ত

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাড়ির নাম্বার নিয়ে বলতে যাবার আগেই কমেন্ট পোস্ট করে দিয়েছি! আমার গ্রামের বাড়িতেও কোনো নাম্বার নেই, ভক্তপাড়া, অমুক ভক্তর বাড়ি বললেই এখনো অব্দি দেখিয়ে দেয়, চিঠিও যায়। কতদিন যাবে কে জানে!

      Delete
    2. আরে তোমাদের গোটা পাড়াটাই ভক্তপাড়া? আমাদের পাড়ার পর একটা পাড়া পেরিয়ে একটা পাড়া আছে, দাসপাড়া। সেখানে যে সব দাস-রা থাকেন তাঁদের ছোটবেলায় খুব হিংসে করতাম। কেমন গোটা পাড়াটার মালিকানার ভাব। আমাদের এক লতায়পাতায় আত্মীয়দের ঠিকানা ছিল ব্যানার্জিপাড়া। সেম ফিলিং।

      প্রথম কমেন্টটার জন্য থ্যাংক ইউ।

      Delete
  9. ইন্টারনেটের বাংলা বানানের বেপারটা নিয়ে আমি আর পেরে উঠছি না। স্কুলেও বাংলা বানান নিয়ে এতো মুশকিল অনুভব করিনি। এক-একবার জেদ চেপে যায়, বেশিরভাগ সময় হাল ছেড়ে দিই। বেশ কয়েকবার তো বানান আর অটোমেটিক suggestions গুলো নিয়ে এতো কনফিউস হয়ে গেছি যে সেই মান্ধাতার আমলের "বাংলা ভাষার অভিধান" খুলে দেখতে হয়েছে।

    লেখার বেপারে, যখন লিখে আনন্দ পাবেন, বা অকৃত্রিম ইচ্ছে হবে, তখনই লিখবেন, আর কি। লেখার বিষয় যাই হোক, বা নাই হোক। তাছাড়া, সৃষ্টিশীলতা কি জোর করে বন্দুক ধরে হয় নাকি। (যদিও আজকাল কর্পোরেট কোম্পানিতে বন্দুক ধরেই করানোর চেষ্টা করে, সে আবার অন্য গল্প।)

    ReplyDelete
    Replies
    1. অত বানান নিয়ে ভেবে লাভ নেই, আপাতত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি, রাজর্ষি। যাকগে মরুকগে। সেকেন্ড প্যারার তিন নম্বর বাক্যে একমত নই। বন্দুক বাড়াবাড়ি হলেও, সৃষ্টিশীলতার পক্ষে ডেডলাইন যে অত্যন্ত জরুরি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। কিন্তু আপনি যা বললেন, সেটা অন্য আলোচনা।

      Delete
    2. ডেডলাইন প্রসঙ্গে। :-)
      https://i.redd.it/04xrgldoavb41.png

      Delete
    3. হা হা - কোনো একটা পোস্টে "ডান ইস বেটার দ্যান পারফেক্ট" লাইনটা দেখেছিলাম, মনে হচ্ছে অমতটা ওই পরিপ্রেক্ষিতে। (কথাটা মনে আছে, কারণ আমার জন্যেও প্রযোজ্য ছিল এক-কালে।)

      লিংকটা দেখলাম, দেখে মনে মনে "ইশ, যা-তা তো" বলা ছাড়া উপায় নেই। একদম bull's eye। তবে যতই কার্যকর বা উপযুক্ত হোক না কেন, সেটা দেখে যে মেনে নিতে হবে ডেডলাইন জরুরি, এটা কোথাও লেখা নেই। অতএব আমি "অ্যাবসলিউট" / "পারফেকশন" এর ঝান্ডা তুলে রাখলাম (অন্তত এই পোস্টে), এন্ড বলে রাখলাম "সামনে পেলে দেখিয়ে দিতাম তর্ক করে ...."
      (ব্লগের কমেন্টে "সামনে পেলে ..." জাতিয় চ্যালেঞ্জের মতো সেফ জিনিস পৃথিবীতে দুটি নেই ...)

      Delete

Post a Comment