পুরী ৪ঃ চিলিকা


তখন অলরেডি প'নে দশটা বাজে। খুব দৌড়ে হোটেলে ফিরে চুল আঁচড়ে বেরোতেও সাড়ে দশটা বেজেই যাবে। বিশ্বনাথের মতে সাড়ে দশটায় বেরোলে আরামসে চিলিকা প্যাকেজ সেরে সন্ধের আগেই ফিরতে পারব। আড়াইঘণ্টার মোটে রাস্তা। যেতে আসতে আড়াই আড়াই পাঁচবার চা খাওয়ার জন্য থামলেও । এদিকে বাবা বলছে, চিল্কা প্যাকেজ টুরের বাস নাকি সকাল সাতটায় বেরিয়ে যায়। দশ মিনিট পর জানাচ্ছি বলে বিশ্বনাথের ফোন ছাড়লাম। গল্পের খেই ছিঁড়ে গেছে। বসে বসে চিলিকা যাওয়ার প্রোস অ্যান্ড কনস ভাবছি। বললাম, একটা প্রোস হচ্ছে যে সেই ছোটবেলা থেকে এতবার পুরী এসেছি একবারও চিল্কা দেখিনি, দেখা হয়ে যাবে।

অর্চিষ্মান বলল, অ্যাঁ! চিল্কা দেখোনি মানে কী?

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল।

ছোটবেলা থেকে চিল্কা বলে এসেছি, এখনও চিলিকার থেকে চিল্কা শব্দটাই আমার বেশি সুন্দর লাগে। যেমন ডেঙ্গির থেকে ডেঙ্গু । যেমন মান্যতার থেকে স্বীকৃতি। কিন্তু সে তো আমার এখনও প্লুটোকে গ্রহ ভাবতে ভালো লাগে। তা বলে তো আর সময়ের দৌড়ে পিছিয়ে পড়া যায় না। সেই বাবদে এবার থেকে চিল্কাকে চিলিকাই বলব।

পূর্ণচন্দ্র এলেন গাড়ি নিয়ে। বেড়াতে যাওয়ার সময় আমাদের শরীর থেকে প্রোক্র্যাস্টিনেশনের সমস্ত চিহ্ন অন্তর্হিত হয়। সাড়ে দশটাতে লাফ মেরে গাড়িতে ঢুকলাম। যাত্রা শুরু হল।

ভুবনেশ্বর থেকে পুরী যাওয়ার পথের শুরুতে যেমন গোড়ায় একটা শহর পেরোতে হয়েছিল, এখানে শুরু থেকেই প্রকৃতি। ক্ষেত, মাঠ, বাঁশবন। বনের ছায়ায় চায়ের গ্লাস হাতে বিশ্রামরত মানুষ। এ দৃশ্য ভুবনেশ্বর টু পুরী রুটেও দেখেছি। পুরুষই বেশি। জোড়ায় জোড়ায়। কখনও সখনও ত্রইকাতেও। হাতে গ্লাস, পাশে ফ্লাস্ক। স্ট্রেস রিলিভের টোটকার লিস্টে প্রথম আইটেম থাকে স্লো ইয়োর লাইফ। আমার লাইফ আর স্লো করলে কোমায় চলে যাব। তবু ওঁদের তাড়াহীন জীবনের দিকে তাকিয়ে হিংসে হচ্ছিল। আমি পয়দায়েশি হিংসুটে, সেটাই প্রধান কারণ, অফ কোর্স। কিন্তু অপ্রধান কারণও একটা আছে। এই ফিলিংটা মনের ভেতর দিনের পর দিন ক্রমশঃ জোরদার হয়ে উঠছে যে রোজ সেকেন্ডের পর সেকেন্ড, মিনিটের পর মিনিট, ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সকালের পর দুপুর, দুপুরের পর বিকেল, বিকেলের পর রাত্রি যেটা আমার সঙ্গে ঘটছে সেটা আসলে আমার সঙ্গে ঘটছে না। ঘটছে অন্য কারও সঙ্গে। আমি অন্য কারও একটা জীবন বাঁচছি। কাজ সারছি। ভাবছি চট করে সেই অন্য লোকটার জীবনের কাজগুলো সেরে নিয়ে অবশেষে একদিন নিজের জীবনটার সঙ্গে ক্যাচ আপ করব। বাড়ির ছাদে জ্যোৎস্নাহীন রাতে হাঁটতে হাঁটতে, বেলেঘাটার ছোটঘরটার জানালা দিয়ে বাতাবিগাছের পাতা ভিজিয়ে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকতে থাকতে, আমার সে নিজস্ব জীবন, মগজের ভেতর ঝাঁকিদর্শন দিয়ে মিলিয়ে যায়। সে জীবনের আরেকটা রূপ আমার সামনে সত্যি হয়ে উঠল। ঝিরিঝিরি বাঁশের বনে বসে সখাসখীদের সঙ্গে বেলা দশটার সময় চা খেতে খেতে গল্প জমানো, বা নীরবতা উপভোগের থেকে আদর্শ জীবন কি আর হয় কিছু? সত্যি কি আর কিছু চাওয়ার থাকে?

রিয়েলাইজেশনটা অর্চিষ্মানের সঙ্গে ভাগ করব বলে হাঁ করেছি, অর্চিষ্মান মুচকি হেসে বলল, ভালোই আছে লোকজন, সকাল সকাল শুরু হয়ে গেছে। বললাম, শুরু হয়ে গেছে মানে? অর্চিষ্মান বলল, বোতল গ্লাস খুঁলে বসেছে দেখলে না?

আমার কনফিউশন দেখে এবং শুনে অর্চিষ্মান সেই লুকটা দিল, যেটা ও দিনে তিনবার আমার প্রতি নিক্ষেপ করে। সকাল দশটায় বাঁশবনে মশার কামড় খেতে খেতে কেউ চা খায় না কুন্তলা।

বাঁশবনের ঝিরিঝিরিতে বসে চা খাওয়ার উদাস কল্পনাটা আমাকে যতটা টেনেছিল,সকাল সকাল মশার কামড় খেতে খেতে তাড়ি খাওয়ার অপশনটা ততটা অ্যাপিলিং লাগল না। ওটা আমার ফিউচার এবং রিয়েল জীবনের বাকেট লিস্ট থেকে বাদ দিয়েছি।

ভারতবর্ষের সব রাজ্যই নির্ঘাত কমবেশি ধার্মিক। কিন্তু ওডিশায় আক্ষরিক অর্থেই কত যে ঈশ্বর, গুণে শেষ করা যায় না। যে মোড়ই বেঁকি না কেন, একেকজন ঈশ্বর, একেকটি বাজখাঁই মন্দিরে বিরাজ করছেন। আমাদের যেমন রেলের জমি দখল করার জন্য একটা মাথা মসৃণ করা শিলনোড়া পুঁতে চারদিকে চারটি খুঁটি পুঁতে অ্যাসবেস্টস চাপিয়ে “শিবমন্দির” খাড়া করা হয়, সাতদিনে একবার ফুলজল পড়ে কি না সন্দেহ, সে রকম নয়। তিনতলা জমকালো মন্দির। ধাঁই ধাঁই কাড়ানাকাড়া বাজছে, মাইকে মন্ত্র পড়া হচ্ছে, ভক্তরা নোংরা রাস্তার ওপরেই সাষ্টাঙ্গ হচ্ছেন।

মূর্তির প্রতি এঁদের অবসেশনটাও ইন্টারেস্টিং। পৌত্তলিক দেশে সেটাও হয়তো প্রত্যাশিত। মনীষীদের মূর্তি হলে তবু বোঝা যায়, কিন্তু রাস্তার মাঝে মাঝে র‍্যান্ডম দুই অতি নিরীহ নারীপুরুষের মূর্তি। কোনও সুসন্তান, মা বাবার স্মৃতি অমলিন রাখতে বাড়ির সামনে বা মোড়ের মাথায় তাঁদের মর্মরমূর্তি স্থাপন করেছেন। পুরী হোটেলের গেটের পাশেও আছে বাই দ্য ওয়ে। হালদার দম্পতির মর্মরমূর্তি। এখানে আমার বাঙালি বায়াস কাজ করেছে নিশ্চয়। এই লোকেশনে এই রকমের একটি ইন্সটিটিউশন বানিয়ে যাওয়ার ভিশন দেখিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের মূর্তি স্থাপন হওয়াই উচিত। আমার মতো বেড়ে পাকাদের রিভিউ যাই হোক, পুরী হোটেল যে একটা হোটেলের মতো হোটেল এবং পুরী ট্যুরিজমের একটি শিরদাঁড়া, সেটা অনস্বীকার্য।

চিলিকা যে কত বড় তার আইডিয়া পেলাম যখন বোটিং পয়েন্টে পৌছনোর অনেকক্ষণ (কতক্ষণ আগে ভুলে গেছি, আধঘণ্টা চল্লিশ মিনিট তো হবেই) দু'পাশের জলাজমি দেখিয়ে পূর্ণচন্দ্র বললেন, দেখুন, চিলিকা শুরু হয়ে গেল।

অবশেষে, চা খাওয়ার জন্য থেমেটেমে, চিলিকার কাছাকাছি পৌঁছনো গেল। অর্চিষ্মান দৌড়ে প্যাকেজের টিকিট কেটে আনল। চারটে নাকি পয়েন্ট দেখাবে। ক্র্যাব আইল্যান্ড, একটা সি- মাউথ, তিন নম্বরটা ভুলে গেছি, চার নম্বর এবং এই গোটা অভিযানের স্টার অ্যাট্র্যাকশন, শুশুক।ডলফিন।

টিকিট কাউন্টারে পৌঁছনোর আগে একটি দোকানের সামনে পূর্ণচন্দ্র গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন। দোকান মানে একটা খালি ঘর। খাবার অর্ডার দিয়ে গেলে ফেরার পথে খাবার পাওয়া যাবে। এক ভদ্রলোক সবেগে বেরিয়ে গাড়ির জানালা দিয়ে দুটো ল্যামিনেটেড এবং আলুভাজা মেনু আমার আর অর্চিষ্মানের হাতে গুঁজে দিলেন। অর্চিষ্মান একটা চিংড়ি থালির অর্ডার দিল, পূর্ণচন্দ্র ফিশ থালি, আমি ভেজ। ভদ্রলোক আমাকে ফিশ থালি পুশ করার চেষ্টা করলেন, দারুণ নাকি স্বাদ। ফ্রেশ ফিশ, ফ্রেশ তেলমশলায়, ফ্রেশ কষানো। নুয়ে পড়ে বললাম, বুঝতে পারছি লাইফটাইম মিস হচ্ছে, কিন্তু আমার হাত পা বাঁধা। ভেজ ছাড়া গতি নেই।

দীর্ঘ সাঁকোর অন্তে অপেক্ষারত বোট। সাঁকো শুরুর মুখে আশু ট্রিপের জরুরি প্রভিশনের সম্ভার সাজিয়ে এক ভদ্রলোক বসে আছেন। জল, কোল্ড ড্রিংকস, স্লাইসড কেক, চিপস। শেষের আইটেমটা নিতে উৎসাহ দিলেন দোকানের মালিক। অনেকক্ষণের নাকি ধাক্কা। তাঁর ভেস্টেড ইন্টারেস্টের কথা মনে রেখে কান দিলাম না। ভুলই করলাম। চিলিকাভ্রমণ দীর্ঘ নয়। অতি দীর্ঘ এবং কিঞ্চিৎ বোরিং। খিদে না পেলেও সময় কাটানোর জন্য চিপস থাকলে কাজে দিত।

জলের বোতল সঙ্গে নেওয়ার সাজেশনটা ভাগ্যিস শুনেছিলাম। দুজনের জন্য দুটো কেনা হল। হাইড্রেটেড থাকতে হবে। অর্চিষ্মান আর পূর্ণচন্দ্র সাঁকো ধরে চলতে শুরু করলেন। অনুসরণ করব, থমকালাম।

দোকানের অল্প দূরে, দুটো খোখো-র খুঁটি মতো। উপযুক্ত দূরত্ব মেন্টেন করে তিনটি দড়ি টানটান খাটানো। তিনটি দড়িতে জামা শুকোনোর ক্লিপ দিয়ে সারি সারি টুপি সাঁটা।

টুপি ব্যাপারটার প্রতি আমি কোনওদিন কোনওরকম আকর্ষণ বোধ করিনি। একাদশীর সকালবেলা থেকে মা উলের বউটুপি পরাতে শুরু করাতেন সেটা টুপির প্রতি আমার আজীবনের অ্যাপাথির উৎস হতে পারে। কিন্তু আমার ধারণা আমার ষষ্ঠেন্দ্রিয়, যা জীবনে ছ'বারও অ্যাকটিভ হয়েছে বলে মনে হয় না, সেটা আমাকে ওই ছোটবেলাতেই কানে কানে বলে গেছিল যে আজীবন তোমাকে অনেক, অসংখ্য, অযুত ফিগারেটিভ টুপি পরতে হবে। উইদাউট কনসেন্ট। সেই জন্যই হয়তো আমি রিয়েল টুপির প্রতি কোনওদিন আগ্রহ বোধ করিনি।

স্মরণীয় অতীতে (স্মৃতি বলছে অ্যাডাল্ট জীবনে ওই একবারই) রিয়েল টুপি পরার কথা মনে পড়ছে, রণথম্ভোরের জিপ সাফারিতে। ক্যামোফ্লেজ রঙের, যাতে বাঘ বনের গাছপালার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে এবং খোলা জিপের ওপর ফ্রি বুফের আনন্দলাভ থেকে বিরত থাকে।

দুজনকে দুটো টুপি দেওয়া হয়েছিল। একমাইল লম্বা একটা খাদের ওপারে পাহাড়ের গুহায় ডোরাকাটা ল্যাজ নড়তে দেখে অর্চিষ্মান ভয় পেয়ে এমন লাফাল, ওর টুপিটা জঙ্গলে কোথায় উড়ে গেল। কাজের খুব চাপ থাকলে অনেকদিন কল্পনা করেছি একটা ছানা বাঘ অর্চিষ্মানের সে হারানো টুপি খুঁজে পেয়েছে, এবং রোদে বেরোনোর আগে নিজের মাথায় পরে নিচ্ছে। রণথম্ভোরের পর আর রিয়েল টুপি পরেছি বলে মনে পড়ে না।

কিন্তু ওই দুপুরের ঝলমলে সোনালি রোদ, শব্দ শুষে নেওয়া অন্তহীন শান্ত জলরাশি, আর দুই খুঁটির মধ্যে তিনসারি ঝলমলে টুপি দেখে আমি টুপি, রিয়েল টুপি, পরার ব্যাপারটা আরেকবার তলিয়ে কনসিডার করলাম।

অধিকাংশ টুপিই ঝলমলে, ভিড়ের মধ্যে যাতে টপ করে খুঁজে পাওয়া যায়। চওড়া বারান্দার বেড় দেওয়া যাতে চিলিকার রোদ থেকে রং বাঁচানো যায়। টুপির মাথা ও বারান্দার সংযোগস্থলে রংবেরঙের রিবন। লার্জ এবং এক্সট্রা লার্জ বো বাঁধা। তাতেও যদি লোকে না তাকায় সেই ভয়ে হ্যালো, ওয়েলকাম, হ্যাপি বার্থডে, বিউটিফুল, বাটারফ্লাই ইত্যাদি ফিলগুড শব্দ চনমনে ইংরিজি অক্ষরে ছাপা।

অর্চিষ্মান ও পূর্ণচন্দ্রের গলা ক্ষীণ হয়ে আসছে। আর দেরি চলবে না, যা করার দ্রুত করে ফেলতে হবে। এমন সময় টুপিটা চোখে পড়ল। প্রায় পরশপাথর চোখে পড়ার মতোই। সেই টুপি যার শরীরের একটি বিন্দুও ঝকমকে নয়, আধইঞ্চি রিবনও যার শরীরে লেপ্টে নেই, একটি অক্ষরও যার গায়ে ছাপা নেই। আমার ব্যক্তিত্বের খাপে খাপ একটি বেরং, বোরিং টুপি। টুপিটা ওখানে দাঁড়িয়েই পরে নিলাম। তারপর দোকানিকে গিয়ে বললাম কত দিতে হবে? দোকানি আমার দিকে স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, এগুলো ভাড়ার টুপি, এখন কিছু দিতে হবে না, ফিরে কুড়ি টাকা দিয়ে দেবেন। বলতে বলতেই তাঁর মুখে এমন একটা হাসি ফুটে উঠল যাতে মনে হলে কুড়ি টাকাটা না পেলেও কিছু এসে যাবে না, ওঁর যা উশুল হওয়ার হয়ে গেছে।

সাঁকোতে উঠলাম। পায়ের শব্দে অর্চিষ্মান পেছন ফিরে তাকাল। প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ফোন বার করে আনল। তুলে ধরে দু'হাজার তেইশের পুরী ট্রিপের প্রথম ফোটোটা তুলল।

সে ছবি অবান্তরে ছাপার প্রশ্নই ওঠে না।




Comments

  1. "এখনও চিলিকার থেকে চিল্কা শব্দটাই আমার বেশি সুন্দর লাগে। যেমন ডেঙ্গির থেকে ডেঙ্গু । যেমন মান্যতার থেকে স্বীকৃতি। কিন্তু সে তো আমার এখনও প্লুটোকে গ্রহ ভাবতে ভালো লাগে।" - এটা একদম মিলে যাচ্ছে।

    ছোটবেলায় একটা সময়ে, নয় জন স্কুলের বন্ধু মিলে নিজেদের গ্রুপটাকে (সোশ্যাল মেডিয়াল বা ইন্টারনেট এর "গ্রুপ" নয়, নব্বইয়ের দশকের মানুষের মুখে নাম দেওয়া "গ্রুপ") "সোলার সিস্টেম" নাম দিয়েছিলাম। প্লুটো গ্রহ না হলে ওই সেন্টিমেন্ট-টার কি হবে ! ওরম বলে দিলেই হল নাকি যে প্লুটো গ্রহ নয় !

    সকালে চা খাওয়া নিয়ে যে দারুন বিল্ড-আপটা হয়ে তারপর অ্যান্টিক্লাইম্যাক্সটা হল, ওটা অনবদ্য।

    শেষ লাইনের অ্যান্টিক্লাইম্যাক্সটার জন্যেও "হ্যাটস অফ" না বলে উপায় নেই, সত্যি ভাবছিলাম আরেকটু স্ক্রল করলেই ছবি থাকবে, কিন্তু শেষ লাইনটা এলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কী সুন্দর গ্রুপের নাম, রাজর্ষি। সত্যি। নয়ে নবগ্রহ-ও কি ভেসে যাবে নাকি? প্লুটো ইজ অ্যান্ড অলওয়েজ বি আ গ্রহ।

      আমাদের একটা গ্রুপের নামের কথা মনে পড়ল। আমরা এক ক্লাসে পড়তাম, মাধ্যমিকের পর দিদিভাইদের সঙ্গে মুকুটমণিপুর বেড়াতে গিয়েছিলাম। সবার পুরো নাম লিখছি না, প্রাইভেসির কারণে, কিন্তু যারা বেড়াতে গিয়েছিল তাদের মধ্যেও যারা বেশি ঘনিষ্ঠ ছিলাম তাদের নাম, নামের অংশ বা আদ্যক্ষরগুলো ছিল এই রকম।

      কুন্তলা - ঋতু - প - অ - স্বা - দে। ওই গোটা ট্রিপে আমরা নিজেদের 'কুড়ি পয়সা দে' বলে ডেকেছিলাম।

      লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে সবসময়ের মতোই ভালো লাগল। নিজের ভালো লাগে বলেই লিখি, সে ভালো লাগার এক পারসেন্টও যদি অন্য কারও কাছে পৌঁছয়, পুরোটাই উপরি পাওনা।

      Delete
    2. 'কুড়ি পয়সা দে' নামটা দারুন মজার। অনুভব করতে পারছি ওই নামে নিজেদের সম্বোধন করার মজাটা।
      নিজের ভালো লাগার জন্যে লেখার ফলেই হয়তো আরো সুন্দর হয় আপনার লেখাগুলো। সব লেখাতে কমেন্ট না করলেও, ব্লগের সব লেখাগুলোই পড়ি, ভালো লাগে।

      Delete
  2. ছবি না দেখার দুঃখ টা কুড়ি পয়সা দে নামটা শুনে অনেক টা কমে গেলো 😃 মনে হয় সবাইকেই চিনলাম 🤫

    ReplyDelete
    Replies
    1. 😄না চিনলে এরা সবাই খুব দুঃখ পেয়ে যাবে, ঊর্মি। ভাগ্যিস চিনেছিস।

      Delete
  3. Duronto dingulir moddhe o chupi chupi tomar berano r goppo pore tuk kore chole jai Kuntala.
    Aaj kintu Happy new year! bolte thamlam. :-)
    2024 khub bhalo katuk tomader. Aro onek berano hok, onek onek cha hok ar Abantor e onek lekha hok. Bhalo theko.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমাকেও নববর্ষের অনেক ভালোবাসা, শর্মিলা। শুভেচ্ছা জানাতে যে থামলে এটাই অনেক পাওয়া। থ্যাংক ইউ। খুব ভালো থেকো।

      Delete

Post a Comment