Posts

Showing posts from August, 2014

ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে পুঁই শাকের চচ্চড়ি

Image
মা তোমার কি মনে আছে আজ থেকে প্রায় লক্ষাধিক বছর আগে তোমার একটা মেয়ে হয়েছিল? লক্ষাধিক কোথায়! এই তো মোটে তেত্রিশ বছর . . . আচ্ছা চৌত্রিশই না হয় হল। এরই মধ্যে ভুলে যাব? রকমসকম দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। ফোনটা ভালো করে চোখ মেলে দেখ একবার। অন্তত সাতটা কল করেছি সকাল থেকে। সাআআআত? কই আমি তো একটাও দেখলাম না? সরি সোনামা, সরি সরি . . . জঘন্য। ফেলে দাও তোমার ফোন। মা, তোমাকে একটা স্মার্ট ফোন দেব গো পুজোয়? বেশ টাচ স্ক্রিন? খবরদার না সোনা। এই বোতামটেপা ফোনই আগে সামলে নিই। কী করছিস মা ছুটির দিন বসে বসে? কিসুই না। করার মতো একটা ভদ্রস্থ কাজই নেই। খালি টিভি দেখছি আর বোর হচ্ছি। তুমি এত কাজ পাও কোত্থেকে ভগবানই জানেন। আমার আবার কাজ কোথায় দেখলি? সকাল থেকে উঠে খালি খাচ্ছি আর খাওয়ার পর আবার কী খাব ভাবছি। ব্যস। এই তো কাজ। কী খাবে গো মা? ওরে বাবা, কত কিছু যে খাব। বলতেও লজ্জা করে। এই তো সাড়ে ছ’টার সময় চা বিস্কুট খেলাম। তারপর ন’টা বাজতে না বাজতেই এমন খিদে পেয়ে গেল যে দুধরুটি খেতে হল। এখন মীরামাসি উচ্ছে ভাজা, টমেটো দিয়ে ডাল, আলুপটলের তরকারি আর বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছ রাঁধছে, একট...

সাপ্তাহিকী

Image
এক সুইডিশ মহিলা , এক নিও-নাৎজির মাথায় ব্যাগের বাড়ি মারছেন। শোনা যায় ভদ্রমহিলা কনসেনট্রেশন ক্যাম্প সারভাইভার ছিলেন। উনিশশো পঁচাশির ছবি। সাহসী নারীদের এ রকম ছবি   আরও   দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। Everybody does have a book in them, but in most cases that's where it should stay.                              -Christopher Hitchens দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আড়াইশোরও বেশি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যক্ষ করেছেন Michelle Lyons । তাঁকে আমি হিংসে করি না। মাল্টিটাস্কিং-এর বলিহারি বোধহয় একেই বলে। কফিও হবে, ঘুমও ভাঙবে। আমার জন্য অবশ্য কফির জায়গায় চা হলে ভালো হয়। আমি হাই তুললেই অর্চিষ্মান হাই তোলে। আবার ও হাই তুললেই আমি হাই তুলি। কেন? বিজ্ঞানীরাই জানেন। If your name is uncommon, you are more likely to be a delinquent. এই সব আর্টিকেলের যে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই সেটা ওপরের বাক্যটা থেকেই বোঝা যায়। আমি আর যাই হই, delinquent ছিলাম না কোনও দিন। আমি আনন্দ পাওয়ার জন্য ঘুমোই, আর এরা এই করে বেড়ায়...

R. I. P. / তৃতীয় ও শেষ পর্ব

আগে যা হয়েছে বরাভয় বাগচী, সাহিত্যসভা আহ্বায়ক ও মানেবই লেখক, ঘুম থেকে উঠে আবিষ্কার করলেন যে, যে অবিরাম ভট্টাচার্যকে তিনি গত তিন বছর ধরে পাত্তা দেননি, তিনি মৃত্যুর পর হঠাৎ করে ভয়ানক বিখ্যাত হয়ে গেছেন। বরাভয়ের মনে পড়ল যে গত আড্ডায় অবিরাম তাঁর লেখা একটি কবিতার ম্যানুস্ক্রিপ্ট জমা রেখে গিয়েছিলেন। বরাভয় সেখান থেকে একটি লাইন কোট করে স্ট্যাটাস মেসেজ দিয়ে দিলেন। অবিরামকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ষণ্ডা গেল হেড অফিসে। সেখানে গিয়ে অবিরামের যমরাজার সঙ্গে দেখা হল। যমরাজের কাছে অবিরাম খবর পেলেন যে যদিও বেঁচে থাকতে তাঁর কবিতা এমনকি কোনও ওয়েবজিনে পর্যন্ত ছাপা হয়নি, তবু তিনি মর্ত্যে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। তিনি এটাও জানতে পারলেন যে বিখ্যাত লোকেরা মারা গেলে আজকাল তাঁদের অনলাইন শ্রাদ্ধ হয়, যেটাকে ভালো ভাষায় RIP পার্টিও বলে। যমরাজের ফেক ফেসবুক প্রোফাইল ‘চিরসখা’র সাহায্যে অবিরাম সাক্ষী হলেন তাঁর জন্য আয়োজিত RIP পার্টির। ***** উচ্চমেধার টপ ফ্লোরের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন অবিরাম। অত উঁচু থেকে চারপাশের বনটাকে সবুজ সমুদ্রের মতো দেখাচ্ছে। গাছের মাথাগুলো যেন ফুলে ওঠা ঢেউ, শূন্যে স্তব্ধ হয়ে গেছে। অভি...