আসামী হাজির
হ্যালো হ্যালো হ্যালো। কেমন
আছেন সবাই। আমার অবস্থা এখন খানিকটা বলার মতো জায়গায় এসেছে। মোটা উপসর্গগুলো
লালনীলসাদা ওষুধের তাড়া খেয়ে ভেগেছে, পড়ে আছে খালি মাথা ঘোরা আর হাঁটু কাঁপা।
সেগুলোকে দু’বেলা মুসাম্বি লেবুর বাতাস দিচ্ছি, আশা করি অচিরে তারাও রাস্তা দেখবে।
মাঝখান থেকে দশটা দিন হাওয়া হয়ে গেল। কাজের কথা ছেড়েই দিলাম, দশ দিনে উল্টে দেওয়ার মতো কাজ যে কিছু করে ফেলতাম না সে ভরসা এতদিনে নিজের ওপর আমার হয়েছে। অবান্তরের দশটা দিন নিয়েই যা চিন্তা। মা অবশ্য অনেকদিন আগেই বলেছিলেন। বলেছিলেন ব্লগ লেখা যেমন একটা (বদ্)অভ্যেস, ব্লগ না লেখাটাও তেমনই একটা অভ্যেস। সাতটা দিন না লিখে দেখ, আট দিনের দিন মনেই পড়বে না যে কোনওদিন ব্লগ নামের কোনও বালাই জীবনে ছিল।
ব্যস্। দেখতে দেখতে দিনের চারটি করে ঘণ্টা সময় বেড়ে যাবে, মাথার ভেতরের জঞ্জাল পরিষ্কার হয়ে ফুরফুরিয়ে হাওয়া খেলবে, কেরিয়ার ডানা মেলবে, পারসোন্যাল লাইফ পরিপূর্ণতায় ভরে উঠবে। আর তারপর, সব কাজ সারা হলে, বলা যায় না, হয়তো মা সরস্বতীর হাঁস এসে কলমে ভর করলেও করতে পারেন। তখন শুরু হবে সত্যিকারের লেখা। লোকে যাকে সাহিত্য বলে। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ। কপাল তেমন ভালো হলে দেখ গে হুড়হুড়িয়ে কবিতাই লিখতে শুরু করে দিলি।
হোয়াট!
গল্পউপন্যাসের লোভ দেখিয়ে মা যতটুকু কার্যোদ্ধার করেছিলেন, কবিতার হুমকিতে সে সব হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ল। কবিতা লেখা ঠেকাতে আমি অনেক কিছু করতে রাজি আছি, অবান্তর খুলে রোজ রোজ বাজে কথার চাষ তো তুশ্চু। গত সাতদিনে শুয়ে শুয়ে আমি অবান্তরের চেহারা নিরন্তর কল্পনা করতে লাগলাম, অদর্শনে সে যাতে ফিকে হয়ে না পারে তাই তার লালসাদা অবয়ব অবিরাম আমার দৃষ্টির সম্মুখে সিলিং-এর ওপর ভাসিয়ে রাখলাম। এ নিরলস থট-এক্সারসাইজের ঠ্যালায় অবশেষে ঘাম দিয়ে জ্বর পালাল, আর আমিও জিভ বার করে ছুটতে ছুটতে অবান্তরের কাছে এসে এই আবার ধর্না দিয়েছি।
আপনারাও আছেন কি? নাকি বোর হয়ে এদিকওদিক চলে গেছেন? তাহলে শিগগিরি দয়া করে আবার ফিরে আসুন। ত্রিপল পাতা হয়ে গেছে, মাইক টেস্টিং সারা, কবিগুরুর ছবিতে গোড়ের মালা, ধূপকাঠিতে আগুন পড়ে গেছে, অবান্তরপ্রলাপ শুরু হতে আর দেরি নেই।
এহে, আপনারা মফস্বলের লোকেরা বড় দুর্বল হন। যাই হোক, সেরে উঠেছেন সেটাই আসল কথা। আশা করি জ্বর ছাড়া সিরিয়াস কিছু নয়।
ReplyDeleteআর মাকে বলে দেবেন যে জীবনের মূলমন্ত্র হল অন্যের জন্য বাঁচা। আপনার ব্লগ পাঠকদের জন্য আপনার দায়িত্বের কথাটা মনে করিয়ে দেবেন।
ধন্যবাদ, দেবাশিস।
DeleteRuskin Bond porchho! Eibar shoreer kharap nije thekei palabe. Bond er moto feel-good writer ar bishesh nei. Ekdom "jworer sheshey surjo dhowa ghor" er moto. :)
ReplyDeleteসেই আশাতেই খুঁজে খুঁজে পেছনের তাক থেকে বইটা নামালাম বিম্ববতী।
Deleteবাহ! সকাল সকাল মনটা ভালো হয়ে গেল.. অনেক দিন পর ব্লগ দেখলাম বলে আর তুমি সেরে উঠেছো বলে :)
ReplyDeleteসাবধানে থেকো...
থ্যাংক ইউ, অপরাজিতা।
Deleteহ্যালো ওয়ান টু থ্রী টেস্টিং..... আমাদের সবার প্রিয় সিমোতি কুন্তলা দেবী আর কিচুক্ষোণের মদ্দেই তাঁর বক্তোব্বো রাখতে মঞ্চে আসচেন, আপনারা একটু ধৈজজো ধরে অপেক্কা করুন...হ্যালো টেস্টিং টেস্টিং.....
ReplyDeleteহাহা অদিতি, ধৈজজো অনেক ধরিয়েছি, সত্যি। এবার গাড়ি আবার চলতে শুরু করা দরকার।
Deletekhub anander byaper :) - tinni
ReplyDeleteআমারও দারুণ আনন্দ হচ্ছে, তিন্নি।
DeleteProthome abantor miss korchhilam tarpore chinta hochhilo. Jaak ebar se esechhe phiria. Taratari bhalo hoye Otho.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, রুচিরা।
DeleteKuntala-debi, bhagyish fire elen, amar ar ektu hole i abantor porbar nesha ta chute jachilo. Abirab-babu r jonyo abiram bhabna korchilum. Bhalo thakben, prochur fol khan.
ReplyDeleteকী সাংঘাতিক ঘনাদা, নেশা আর একটু হলেই ছুটে যাচ্ছিল, যায়নি তো? অবিরামবাবুর জন্য আমারও ভাবনা হচ্ছে।
Deleteবাহ খুব ভালো লাগলো মোটামুটি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছ দেখে ।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, কাকলি।
Deletetomar ki hoyechilo? valo hoye uthecho khuub valo kotha :) r o changa hoye uthe lafalafi koro :)
ReplyDeleteএই সামান্য শরীর খারাপ। আমিও লাফালাফি করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
Deleteএই দশদিন বেশ চিন্তায় ছিলাম। আপনাকে আবার ফিরে পেয়ে যে কি ইয়ে লাগছে বলে বোঝাতে পারবনা।
ReplyDeleteহাহা, আমারও দারুণ ইয়ে লাগছে সুগত।
Deleteapni je boi ta porchen, tar lekhok er hater lekha dekhei bes bojha jachhe bes vugechen..
ReplyDeleteওটা রাসকিন বন্ডের হাতের লেখা নাকি? কে জানে, হতেও পারে।
Deleteai shob katha te akebarei bhulchhine...ditiyo parbo ekkhuni siggir kore ber korun jekhan theke paaren :).
ReplyDeleteহ্যাঁ, দ্বিতীয় পর্ব। তবে তার আগে একটা দুটো অন্য পোস্টের অনুমতি দিতে হবে, যাতে সইয়ে সইয়ে ব্যাপারটায় ঢুকতে পারি।
DeleteJak K....tumi je bhalo hoye utechhi eita anek.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, শম্পা।
Deleteআবার অবান্তর, আবার আনন্দ। :)
ReplyDeleteসুস্বাগতম।
থ্যাংক ইউ, অরিজিত।
Deleteekbar pa bhangchey, ek baar jawr hochhey. boli byapar ta ki? trifola khachho na?
ReplyDeleteকলকাতা থেকে আসা দু শিশি ত্রিফলা, ফ্রিজের ওপর যেমনকে তেমন দাঁড়িয়ে আছে। যদি একটু ভালো খেতে হত।
DeleteEitto eshechho😄
ReplyDeleteএসে গেছি এসে গেছি।
Deletesokkal sokkal abantor er email peye dil khush hoye galo ..
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অনির্বাণ।
DeleteYay! :)
ReplyDeletesere uthechho puropuri? sabdhane theko.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা। আমার খুব খারাপ লাগছে আপনাদের সঙ্গে এত দিন কথা না বলতে পেরে, আশা করি আর দিন দুয়েকের মধ্যে অবান্তর ফর্মে ফিরবে।
Deletetaratari puro shere otho
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, দেবশ্রী। আমারও আর ভালো লাগছে না।
DeleteArrey ki hoyechhilo? Abantor bhule jabe kirokom? Amra tahole ki ashaei thaki? Bhalo kore khaoa daoa koro.
ReplyDeleteকরছি, রুণা। থ্যাংক ইউ।
DeleteEyi toh kodin agey eshe ghure gelam. Bhablam bodh hoye abar kono dur pahare pari diyecho. :-)
ReplyDeleteনাহ, শর্মিলা, দিল্লিতেই আছি। এত তাড়াতাড়ি আর কোথায় যাব।
Deleteএতদিনে নিশ্চয় পুরো সেরে উঠেছো। :)
ReplyDeleteসাবধানে থাক।
থ্যাংক ইউ, অনুজিৎ।
Delete