মেহনতের চানা আর দেওয়াল আলমারি
আজকাল দিল্লিতে যে রোদ্দুরটা ওঠে, সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। চারদিকে সবাই কাশছে খকখক, সকলেরই গলা স্বাভাবিকের থেকে দু’স্কেল নেমে গেছে, তুলসী ফ্লেভারড গ্রিন টি-র গন্ধে প্যান্ট্রি ভুরভুর। হাওয়ার থেকেও খারাপ হচ্ছে রোদ্দুরখানা। কাজ করতে করতে একবার স্ক্রিনবিচ্যুত হয়ে চোখ জানালায় পড়লেই কনসেনট্রেশনের বারোটা, খালি মনে হয় যাই একটুখানি গা সেঁকে আসি। এমনি তো ঘুরে বেড়ানো যায় না, কে কোথায় বসের কান ভাঙাবে, কোনও একটা কাজের ছুতো করে উঠতে হয়। তাই আমি আজকাল অফিসে চা খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। দিনের মধ্যে চারবার করে আন্টিজির দোকানে ভিজিট দিই। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেদিন আন্টিজির একটিও খদ্দের ছিল না। জলের বাসনটা খালি উনুনে চাপিয়ে রেখে হাঁটু খুঁটির মতো জাপটে শরীরের ভার পেছনে হেলিয়ে আন্টিজি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, আংকলজির রুটির কারখানার সামনে দু’চারজন গজল্লা করছিল, মাঝে মাঝে তাদের আলোচনায় ফোড়ন কাটছিলেন। এককোণে শিখর আর রজনীগন্ধা আর আলট্রা মাইল্ড আর মার্লবরোর জাম্বো থলির পেছনে আন্টিজির বৌমা চিবুক পর্যন্ত ঘোমটা টেনে বসেছিলেন, বৌমার ডানদিকে সবুজ রঙের ছোটছোট পাতায় ভরা একগাদা প্রশাখা, বেশ শক্তপোক্ত ঝাড়ের মতো ...