মেহনতের চানা আর দেওয়াল আলমারি
আজকাল দিল্লিতে যে রোদ্দুরটা ওঠে, সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। চারদিকে সবাই কাশছে খকখক, সকলেরই গলা স্বাভাবিকের থেকে দু’স্কেল নেমে গেছে, তুলসী ফ্লেভারড গ্রিন টি-র গন্ধে প্যান্ট্রি ভুরভুর। হাওয়ার থেকেও খারাপ হচ্ছে রোদ্দুরখানা। কাজ করতে করতে একবার স্ক্রিনবিচ্যুত হয়ে চোখ জানালায় পড়লেই কনসেনট্রেশনের বারোটা, খালি মনে হয় যাই একটুখানি গা সেঁকে আসি। এমনি তো ঘুরে বেড়ানো যায় না, কে কোথায় বসের কান ভাঙাবে, কোনও একটা কাজের ছুতো করে উঠতে হয়। তাই আমি আজকাল অফিসে চা খাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছি। দিনের মধ্যে চারবার করে আন্টিজির দোকানে ভিজিট দিই।
কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেদিন আন্টিজির একটিও খদ্দের ছিল না। জলের বাসনটা খালি উনুনে চাপিয়ে রেখে হাঁটু খুঁটির মতো জাপটে শরীরের ভার পেছনে হেলিয়ে আন্টিজি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, আংকলজির রুটির কারখানার সামনে দু’চারজন গজল্লা করছিল, মাঝে মাঝে তাদের আলোচনায় ফোড়ন কাটছিলেন। এককোণে শিখর আর রজনীগন্ধা আর আলট্রা মাইল্ড আর মার্লবরোর জাম্বো থলির পেছনে আন্টিজির বৌমা চিবুক পর্যন্ত ঘোমটা টেনে বসেছিলেন, বৌমার ডানদিকে সবুজ রঙের ছোটছোট পাতায় ভরা একগাদা প্রশাখা, বেশ শক্তপোক্ত ঝাড়ের মতো দেখতে। বৌমা একেকটা ডাল তুলে নিয়ে খুঁটে খুঁটে কী সব একটা বাটিতে রাখছিলেন। আমাকে দেখে আন্টিজি পাশ থেকে একটা ঝকঝকে সসপ্যানে খানিকটা জল ঢেলে উনুনে চাপিয়ে আঁচ জোর করলেন। সে জল গরম হবে, তাতে চা পড়বে, দুধ পড়বে, হামানদিস্তায় থেঁতো হয়ে আদা পড়বে, তারপর ফুটবে ফুটবে ফুটবে, বেশ খানিকক্ষণের ধাক্কা। আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে না থেকে কথোপকথনের চেষ্টা করলাম।
বৌমার বাঁ পাশে রাখা ঝাড়ের দিকে আঙুল তুলে জিজ্ঞাসা করলাম, ও কেয়া হ্যায়?
অমনি সব গুঞ্জন থেমে গেল। চারদিক থেকে সবাই চেঁচিয়ে উঠে বলল, চানে, চানে, চানে নেহি জানতা? ও হ্যায় চানে।
আমার মুখ দেখে আন্টিজি বললেন, ম্যাডাম কো দিখা দো একবার।
বৌমা বাটি এগিয়ে দিলেন। দেখি বাটির মধ্যে পরিষ্কার বাংলা ছোলা, যেটাকে ঘোড়ার ছোলাও বলে, শুধু কালোর বদলে রং কুটকুটে সবুজ।
আন্টিজি জোর করে আমাকে টেস্ট করালেন, জিনিসটা খেতে কাঁচা কড়াইশুঁটির মতোই। রীতিমতো মিষ্টি। আমি অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম, ছোলা এরকম গাছে ফলে? এ রকম সবুজ দেখতে হয়? তারপর নিজের বিস্ময়ে নিজেরই বিরক্ত লাগল। ছোলা কোথাও না কোথাও তো ফলেই। আর গাছে গাছে খয়েরি রঙের কুড়মুড়ে খোসাওয়ালা রোস্টেড ছোলা ঝুলে থাকার দৃশ্যের থেকে সবুজ ছোলা ঝুলে থাকার দৃশটাই কি বেশি স্বাভাবিক নয়? এতে এত অবাক হওয়ার কী আছে। সারাজীবন ধরে খোলায় ভাজা ছোলা ঠোঙায় পুরে ঝাঁকিয়ে, ঝালঝাল তরকারিতে আলুর সঙ্গে (আবার ওটা নাকি আমার ফেভারিট তরকারিদের মধ্যে পড়ে), সারারাত জলে ভিজে বাসি মড়ার মতো ফুলে ওঠা অখাদ্য বাদামের সঙ্গে, কলেজফেরতা খিদের মুখে কে জানে কবেকার কাটা পেঁয়াজ আর আধোয়া আঙুলে চেপা পাতিলেবুর রসে মিশিয়েমাখিয়ে হুমহাম করে খেয়েও ছোলার উৎস সম্পর্কে যে আমি একটি মুহূর্তের ভাবনাও খরচ করিনি, অবাক যদি কিছুতে হতে হয় তা হলে এটাতেই হওয়া উচিত।
গ্লানিতে গলা পর্যন্ত ডুবতে গিয়েও ডুবলাম না। আমার চারপাশের আবহাওয়া ততক্ষণে পূর্বের ঝিমুনি ঝেড়ে ফেলে চনমনে হয়ে উঠেছে। এতক্ষণ কী নিয়ে কথা হচ্ছিল কে জানে, এখন সকলেই কথা বলছে, গাছপাকা, টাটকা জিনিস খাওয়ার উপযোগিতা নিয়ে। একেবারে ঠেট ভাষায় কথা হচ্ছে, সবটা ধরতে পারছি না, কিন্তু মোদ্দা কথাটা হচ্ছে দোকানে প্যাকেটে করে যা যা বিক্রি হয় সেগুলো খেতে তো জঘন্যই, স্বাস্থ্যের পক্ষেও মারাত্মক। আমাদের আমলে সব কত টাটকা, কত স্বাস্থ্যকর, কত নির্ভেজাল, কত ভালো ছিল। সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাসে আশপাশের বাতাস উদাস হয়ে গেল।
বৌমা গল্পে যোগ দিলেন না। উবু হয়ে বসে ছোলা খুঁটতে লাগলেন। সবুজ পাতার মধ্যে সবুজ ছোলা, দেখাই যায় না প্রায়। ডানদিকের পাহাড় থেকে একেকটা ডাল তুলে গায়ে লেগে থাকা ছোলা খুঁটে খুঁটে বাটিতে রেখে পরিত্যক্ত ডালটা বাঁদিকে ফেলে দেওয়া। ডানদিকের পাহাড় বাঁদিকে ট্রান্সফার করতে যা সময় লাগবে তাতে তাঁর গল্প করলে চলবে না।
তবু তিনি মুখ তুলে তাকালেন। অত লোক থাকতে আমার দিকেই। হয়তো আমি টাটকা জিনিসের সপক্ষে সওয়াল করিনি বলেই। ঘোমটার আড়ালে তাঁর হাসি দেখতে না পেলেও গলার স্বরে শুনতে পেলাম। তিনি বললেন,
লেকিন মেহনত বহোৎ করনা পড়তা হ্যায়।
বৌমা কথাটা আস্তেই বলেছিলেন, কিন্তু বক্তব্যভেদে ঘোমটার সাউন্ডপ্রুফিং কমবেশি হয়। তাঁর এ মন্তব্যটি আশেপাশের কয়েকজনের কানে চলে গেল। তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বলল, মেহনত তো করতে হবেই। ভালো খাওয়া, ভালো থাকার জন্য মেহনত তো করতেই হবে।
বৌমা আবার মাথা নামিয়ে ছোলা খোঁটায় মন দিলেন আর আমার মনে পড়ে গেল আমাদের ঘরের দেওয়াল আলমারিটার কথা। স্মৃতির গোলমালটাই এই। বড্ড ইনএফিশিয়েন্ট। কোন কানের সঙ্গে যে কোন মাথা টেনে আনবে ঠিক নেই।
প্রথমে দেওয়াল আলমারিটা আলমারি ছিল না। দেওয়ালের গায়ে স্রেফ কয়েকটা ধাপ। একেবারে ওপরের ধাপে গুচ্ছের বইখাতা, ডায়রি। বেশিরভাগই মাবাবার অফিসের হ্যানা ম্যানুয়াল ত্যানা ডিরেক্টরি। একটা ছিল মায়ের গানের ডায়রি, মাস্টারমশাইয়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে ওই খাতা থেকে মা আমাকে সা রে গা মা শিখিয়েছিলেন, এমনকি ভৈরবের আরোহণ অবরোহণ পর্যন্ত। বেশ বড় হওয়ার পর জেনেছি মায়ের কবিতার খাতাও ছিল ওই ধাপেই।
দ্বিতীয় ধাপে, মায়ের মুখের সমান উচ্চতায় একটা ছোট আয়না ছিল, আর ছিল অফ হোয়াইট রঙের গায়ে উঁচু উঁচু ডিজাইন করা পাউডারের কৌটো, রুপোর সিঁদুরদানি, টিপের পাতা, চুলের কাঁটা, বোরোলিনের টিউব, ডিসেম্বর জানুয়ারিতে লেবুর রস মেশানো গ্লিসারিনের শিশি। তৃতীয় ধাপে সেলাইয়ের কৌটো ইত্যাদি ছিল বোধহয়, এখন মনে পড়ছে না। যেটা মনে পড়ছে সেটা হচ্ছে একেবারে নিচের ধাপে আমার একটা খেলনা ছিল। প্লাস্টিকের হ্যান্ডেলের মাথায় দুটো তিনকোণা পতাকা। দুটো পতাকার মুখেই দুটো বল বসানো। হ্যান্ডেলটা ধরে কায়দা করে ঘোরাতে পারলে তিনকোণা পতাকাদুটো বনবন ঘুরবে। স্পিড একটু কম হলে ঘুরবে না, বেশি হলে পাশাপাশি গায়ে লেগে ঘুরবে। আর যদি একেবারে মাপমতো হয় তাহলে দুটো পতাকা আলাদা আলাদা ঘুরবে। বলদুটো একে অপরের গায়ে ঠোক্কর খেয়ে খট খট খটা খট শব্দ তুলবে।
কিছুদিনের মধ্যেই খোলা ধাপগুলোর ওপর চকচকে পালিশ করা কাঠের দুখানা পাল্লা চড়ল। বাঁদিকের পাল্লায় একখানা প্রমাণ সাইজের আয়না সাঁটা। এক নম্বর সুবিধে হল, মা এতদিনে শাড়ি পরে নিজেকে পুরোটা দেখতে পেলেন। দু'নম্বর সুবিধে হল, এতদিনে অফিস + স্কুলটাইমে আমরা তিনজন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে একই সঙ্গে চুল আঁচড়াতে পারলাম। তৃতীয় সুবিধেটা একদিক থেকে দেখলে সুবিধে, অন্য দিক থেকে দেখলে অসুবিধে। এতদিন চোখের সামনে থাকত বলে ধাপগুলো খুবই ঝকঝকে এবং ফাঁকা ফাঁকা থাকত, এখন চোখের আড়ালে জঞ্জালের পরিমাণ ক্রমে বেড়ে উঠল। আগে যত ঝট করে জিনিস খুঁজে পাওয়া যেত, এখন রীতিমত ঘাঁটাঘাঁটি করতে হত। আর সেই ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়েই (কী খুঁজছিলাম কে জানে, মোস্ট প্রব্যাবলি হজমোলার কৌটো) আমি একদিন আবিষ্কার করলাম ফসকা গেরো বাঁধা একটা পলিথিন, সেটার ভেতর আরও কতগুলো ছোট ছোট প্যাকেট। কৌতূহলী হয়ে সেটা নেড়েচেড়ে দেখতে গিয়ে হাতে লাল, হলুদ রং লেগে গেল। গুঁড়ো মশলা। হলুদ, লাল লংকা, জিরে, ধনে ইত্যাদি।
তখন আমার কাছে আরেকটা রহস্যও পরিষ্কার হয়ে গেল। রোজ সকালে অফিসে যাওয়ার আগে রান্না করতে করতে মা কেন দৌড়ে দৌড়ে এসে আলমারি খোলেন, খুটুরখাটুর করে আবার দৌড়ে রান্নাঘরে ফিরে যান। দেওয়াল আলমারিটা মায়ের গুঁড়োমশলা লুকোনোর জায়গা।
আমাদের বাড়িতে চিরকাল শিলনোড়ায় রান্না হয়েছে, কারণ সবাই জানে বাটা মশলায় রান্নার স্বাদ ভালো হয়, ডাটা মশলায় হয় না। মা যখন শোবার ঘরের আলমারিতে গুঁড়োমশলা লুকিয়ে রেখে ব্যবহার শুরু করেছেন, তখনও পোস্ত, সর্ষে, আদাবাটা ইত্যাদির জন্য শিলনোড়াই ভরসা ছিল। তবু কাজ যতখানি কমে।
না লুকোলেই বা কী হত? কেউ কি ‘কেন মশলা বেটে রাঁধছ না’ বলে মাকে ধরে মারত? অফ কোর্স, না। তাছাড়া ওভাবে লুকোনো যায় নাকি? আমাদের পুরোনো ধাঁচের বাড়িতে সব ঘরের মাঝে জানালা কাটা, মায়ের অত দৌড়োদৌড়ি কেউ টের পায়নি এবং টের পেয়েও কারণ বোঝেনি এটা অসম্ভব। আর যদি বাটা-ডাটার স্বাদে সত্যিসত্যিই তফাৎ থাকে তাহলে তো রান্না মুখে দিয়েই তাঁদের বুঝে ফেলার কথা। তবু মা গুঁড়োমশলা ব্যবহারে লুকোছাপা করতেন কেন কে জানে। হতে পারে এই আশায় যে তিনি প্রকাশ্যে গুঁড়োমশলা ব্যবহার না করলে বাকিরাও তাঁকে প্রকাশ্যে গুঁড়োমশলা ব্যবহার না করতে জোর করবে না। বড়জোর খেতে বসে আজকালকার গুঁড়ো মশলায় যে ভেজাল কত বেশি, এবং ওসব খেলে যে সবার শরীর খারাপ হতে বাধ্য আর গুঁড়ো মশলার রান্নার স্বাদের কথা তো ছাড়ানই দাও, এই সব পরোক্ষ খোঁচাখুঁচি চলবে।
তবু প্রশ্নটা মাথায় আসেই। আমার এমন তেজী মা, অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন, সপাট এবং সত্যবাদী মা এই সব খোঁচাখুঁচিই বা সইতেন কেন। “আমিই যখন রাঁধছি তখন কী দিয়ে রাঁধব সে বিষয়ে আমার সিদ্ধান্তই শেষ কথা, থ্যাংকইউভেরিমাচ” এই জলের মতো সোজা কথাটা মুখের ওপর সোজাভাবে বলেননি কেন? এই প্রশ্নটা, শুধু গুঁড়োমশলার নয়, আরও শতশত প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করে করে আমি মাকে পাগল করে দিয়েছি, এবং একটিবারও ধৈর্য না হারিয়ে প্রত্যেকবার মা আমাকে এর উত্তর দিয়েছেন। মা উত্তরটা পরিষ্কার বাংলাতেই আমাকে বুঝিয়েছিলেন, আমিও পরিষ্কার বাংলাতেই সে উত্তরটা এখানে লিখে দিতে পারতাম, কিন্তু পরে জেনেছি মায়ের সব বোঝানো তিনটিমাত্র ইংরিজি শব্দের একটি বাক্যে নিখুঁত প্রকাশ করা যায়।
পিক ইওর ব্যাটল্স।
হয়তো গুঁড়ো মশলার যুদ্ধে সবটা শক্তি খরচ করে ফেললে মায়ের চলত না। হয়তো আরও অসংখ্য জরুরি যুদ্ধের জন্য তাঁর শক্তি সঞ্চয় করার দরকার ছিল। হয়তো সে সব যুদ্ধের সবগুলো তাঁর একারও নয়, হয়তো তাদের অনেকগুলোই… নাঃ, এটায় কোনও হয়তো নেই। সে সব যুদ্ধের অনেকগুলোই মা লড়ছিলেন আমার জন্য।
চা নিয়ে অফিসের দিকে হাঁটতে হাঁটতে একটা কথা টের পাচ্ছিলাম। একটু আগে মেহনতের টাটকাতাজা চানা জিভে যতখানি মিষ্টি ঠেকেছিল, আসলে জিনিসটা ততটাও মিষ্টি নয়। বরং বেশ তেতোই।
teto Kuntala khubi teto, highest ten dilam tomay! kabe je amra professional life er mejaj ta personal life e reflect korate parbo kejane, oi je hak katha - pick your battles. kintu ei phrase ta amar ekhon elusive monehoy... that battle definitely does not occur in my list at all but probably some of us should choose so that we do not have to worry about having to decide if to pick that battle at all or not... :( unfortunately amar se sahos nei.... - Bratati.
ReplyDeleteআমারও নেই, ব্রততী।
DeleteTomar mayer ei kothata ami okhore okhore mene choli, especially biyer por theke to bhison bhabe. :)
ReplyDeleteআমার চেনা অনেকেই এটা মানে, চুপকথা।
DeleteDurdanto lekha hoyeche.. "Pick your battles" ta aamaro motto.. almost t-shirt e chapanor moto.. aami confrontation sanghatik opochondo kori (maane bhoy pai), tai battles khub kom e picked hoy.. personal aar professional dui life ei.. tobe ei niye amar bishesh glani nei... onek boyes holo.. sob kichute bhalo howar aar icche nei aar somoy o nei noshto korar moto..
ReplyDeleteauntyjir chayer dokan ta darun interesting.. dilli ele okahne cha khetei hobe... sobaike chini mone hoy..
bhalo thakben
Indrani
"aami confrontation sanghatik opochondo kori (maane bhoy pai), tai battles khub kom e picked hoy.. personal aar professional dui life ei.. tobe ei niye amar bishesh glani nei... onek boyes holo.. sob kichute bhalo howar aar icche nei aar somoy o nei noshto korar moto.. "
Deleteইন্দ্রাণী আপনি খোঁজ নিন তো, আপনার অভিভাবকরা কখনও কুম্ভমেলা গিয়েছিলেন কি না। আমিও নিচ্ছি।
ha ha ha... thank you... eta darun bolechen.. jiggesh korchi..
Deleteঅসাধারণ লেখা, আলমারি খালি থেকে পাল্লা লাগানোর চিত্রকল্প অত্যন্ত সুন্দর। সত্যি কুর্নিশ জানানোর মতো লেখা কুন্তলা ।
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, কাকলি। সকাল থেকে অকারণেই মুখ হাঁড়ি করে ঘুরছিলাম, এই কমেন্টটা পড়ে অবশেষে হাসি ফুটেছে।
DeleteCompletely agree.. amaro eta mention kora uchit chilo.. sotti khub sundor hoyeche..
DeleteKi sundar likhechhen...eto bhalo laglo...auntyjir cha er dokan...barir deyal almari...mehonoti chana...pick your battles...darun sundar lekha pelam. erokom dhoroner aaro lekha paoar jonyo wait korchhi.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সুস্মিতা। আপনাদের ভালো লাগলেই আমার ভালো লাগে।
Deleteএটা চমৎকাার হয়েছে৷
ReplyDeleteহয়তো গুঁড়ো মশলার যুদ্ধে সবটা শক্তি খরচ করে ফেললে মায়ের চলত না। হয়তো আরও অসংখ্য জরুরি যুদ্ধের জন্য তাঁর শক্তি সঞ্চয় করার দরকার ছিল। হয়তো সে সব যুদ্ধের সবগুলো তাঁর একারও নয়, হয়তো তাদের অনেকগুলোই… নাঃ, এটায় কোনও হয়তো নেই। সে সব যুদ্ধের অনেকগুলোই মা লড়ছিলেন আমার জন্য। — শুধুমাাত্র এই অনুচ্ছেদটাার জন্যেই দশে পনেরো৷
হাহা, থ্যাংক ইউ, অন্বেষা।
Deletedetails gulo chomotkar , tomar lekhay jemon hoy ...ami dokan almari sob dekhte pacchilam ...ar shesh onucchedta fatafati , tuccho lorai ami je poriman kori tate eta amar sekha dorkar - PB
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত। তুচ্ছ লড়াই না লড়াটাও কিন্তু বিপজ্জনক। মানে কে বলবে কোনটা তুচ্ছ আর কোনটা নয়?। তাছাড়া লড়াটা একটা অভ্যেস , সুঅভ্যেস। যে নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছে যে এগুলো তুচ্ছ বলে আমি কাটিয়ে যাচ্ছি, সে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়েও মুখ নিচু করে থাকবে। আসলে যে যার শক্তিমতো রাস্তা বেছে নেয়। অন্তত আমার তাই ধারণা।
Deletesetao kotha jano , tachara arekta dik ache , onek kota tuccho lorai erate erate hoyto ekdin kono tuccho karonei sob ragta fete porbe se aro kharap , ekr rag onyer upor pora . dyut ki je thik ki je bhul guliye jay - PB
Deleteহ্যাঁ, সে তো হয়ই। প্রচণ্ড রাগ তো কোনও একটা কারণে হয় না, আগের পুষে রাখা রাগগুলো একবারে বেরোয়। সান্ত্বনাটা হচ্ছে ঠিকভুল উচিতঅনুচিত সকলেরই গুলিয়ে যায়, কাজেই নো চিন্তা, ডু ফুর্তি।
Deletethik -PB
Deleteasambhab bhalo lekha :)
ReplyDeletetinni
থ্যাংক ইউ, তিন্নি।
DeleteLekhata osadharon laglo. Besh halka chale suru hoye seshta besh khanik bhabiye dilo :)
ReplyDeleteKurnish!
এই কমেন্টটা স্প্যামে গিয়ে ঘাপটি মেরে ছিল। তাই দেরি হল উত্তর দিতে। থ্যাংক ইউ, অরিজিত।
Deleteহয়তো গুঁড়ো মশলার যুদ্ধে সবটা শক্তি খরচ করে ফেললে মায়ের চলত না। হয়তো আরও অসংখ্য জরুরি যুদ্ধের জন্য তাঁর শক্তি সঞ্চয় করার দরকার ছিল। হয়তো সে সব যুদ্ধের সবগুলো তাঁর একারও নয়, হয়তো তাদের অনেকগুলোই… নাঃ, এটায় কোনও হয়তো নেই। সে সব যুদ্ধের অনেকগুলোই মা লড়ছিলেন আমার জন্য।
ReplyDeletelekhata sesh kore mon ta kharap hoe gelo..khub bhalo likhecho
prosenjit
থ্যাংক ইউ, প্রসেনজিৎ।
Delete"হয়তো গুঁড়ো মশলার যুদ্ধে সবটা শক্তি খরচ করে ফেললে মায়ের চলত না। হয়তো আরও অসংখ্য জরুরি যুদ্ধের জন্য তাঁর শক্তি সঞ্চয় করার দরকার ছিল"
ReplyDeletePick your battles - amio eta recently shikhchhi. sob juddhe ek i rokom shokti lage na, ta chhara juddho prioritise kora, setao :) eta lekhar jonyo onek dhonyobaad, guru
ধন্যবাদ পুরোটা তোমারই প্রাপ্য, প্রিয়াঙ্কা।
Deleteঅসাধারন। শেষটার সারমর্ম টাই স্বাদ বদলে দিল।
Deleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।
DeleteKi bhalo je laglo pore ki bolbo Kuntala.
ReplyDeleteOnekgulo post miss kore giyechi ... aaj e shob porbo raatre.
থ্যাংক ইউ, শর্মিলা।
Deleteপিক ইওর ব্যাটল্স কথা টা আমি খুব বেশি রকম মেনে চলি।
ReplyDeleteতবে আপনি আগে ওই ছোলা না দেখার গল্প যেটা করলেন সেটা শুনে আমি অবাক হলাম, কারন ওই সবুজ ছোলা ছোটবেলায় আমার খুব প্রিয় ছিল। হুগলীতে থাকতে বাবা বাজার থেকে আনত, আমি বলতাম গাছ-ছোলা। আমার বয়স যখন পাঁচের কম, আমার ওই গাছ থেকে খুঁজে ছোলা খেতে খুব ভাল লাগত। এলাহাবাদ যাওয়ার পর আর সে জিনিসটা পাইনি। এই দু সপ্তাহ আগে এখানে একটা এশিয়ান দোকানে গিয়ে হঠাৎ সেই জিনিসটা দেখতে পেয়ে লোভে পড়ে কিনে আনলাম। গাছ নেই অবশ্য, তবে শুঁটির মধ্যে সবুজ ছোলা। গাছ থেকে খুঁজে খাওয়ার মজাটা পেলামনা, তবে স্বাদটা অবিকল সেই ছোটবেলার গাছ-ছোলার কথা মনে পড়িয়ে দিল।
আর তারপরেই এই লেখা। আমাদের টেলিপ্যাথির জোরটা কমেনি দেখা যাচ্ছে!
টেলিপ্যাথি অমর রহে। ওহ, আমি সত্যিই কখনও গাছ-ছোলা খাইনি কিন্তু। বাড়িতেও দেখিনি। কিংবা দেখলেও মাথা থেকে পুরো বেরিয়ে গেছে নির্ঘাত।
Deletetumi ajkal eto kom likhchho keno?
ReplyDeleteওহ, কম হচ্ছে বুঝি? ঠিক আছে বেশি লেখার চেষ্টা করব তবে, চুপকথা।
Deletesob lekhai porchi kintu comment kora hocchena.. chhola shak chintena? amar bhishon favourite shak to.. tomader taak theke almarir step by step golpo ta darun.. moshlar juddho ta amader ekhon sunle kemon obastob lage.. tobe ekhono onekei bodhoy erokom onek juddho kore cholen..
ReplyDeleteসে তো করেনই, ঊর্মি। তাছাড়া যাঁর মশলার যুদ্ধ শেষ হয়েছে, তাঁরও অনেক যুদ্ধ এখনও চলছে।
Delete