দিল্লি বইমেলা, বাংলা বই
আমি সিরিয়াসলি ভেবেছিলাম মার্চ মাসটা আমার সবদিক থেকে খারাপ যাবে। বেজিং যাওয়া নিয়ে গোড়াতে একটা আধোউত্তেজনা ছিল, মিথ্যে বলব না, কিন্তু যতই যাত্রার দিন এগোতে লাগল, যতই স্পষ্ট হতে লাগল যে ওখানে ঘটনাটা কী ঘটতে চলেছে ততই আমার যাওয়ার কথা মনে পড়তেই কান্না পেতে লাগল। তারপর একদিন খবর পেলাম করলাম যে আমার দিল্লিতে না থাকা আর দিল্লি বাংলা বইমেলার দিনক্ষণ প্রায় কাঁটায় কাঁটায় মিলে গেছে। শুরুটা তো মিস করবই, শনিবার সন্ধ্যেবেলায় বইমেলা মঞ্চে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের তারকাদের একটা আলোচনাসভা আছে, সেইটা মিস হয়ে যাবে। ফিরবও মেলাশেষের দিন কাকভোরে। তখন ঘুমোনোর বদলে মেলা ঘুরতে যাওয়ার উৎসাহ আজ থেকে বছর দশেক আগে থাকলেও থাকতে পারত, এখন নেই।
মেলায় যাওয়ার একটা প্রধান উদ্দেশ্য তো বই কেনা থাকেই, কিন্তু সত্যি বলছি দিল্লির বাংলা বইমেলায় যাওয়ার উৎসাহটা বইসংক্রান্ত নয়। সে তো আজকাল অনলাইনেই কেনা যায়। দিল্লি বইমেলা যাওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছ, যাদের ঘাপটি মেরে আড়াল থেকে দেখি, তাদের স্বমহিমায় রক্তেমাংসে দেখার।
অর্চিষ্মানেরও মনখারাপ হল। একা একা বইমেলা যাওয়ার আনন্দ দুজনে মিলে বইমেলা যাওয়ার আনন্দের অর্ধেক নয়, উল্টে নিরানন্দ ডবল। তবু আমি বললাম, তোমাকে যেতেই হবে, না হলে আমি গল্প শুনব কার কাছে। তোমার ঘোরায় আমার অর্ধভ্রমণ।
অর্চিষ্মান গেল, ঘুরল, বই কিনল, লেখকদের আলোচনা শুনল, কনট প্লেসে বিরিয়ানি খেয়ে ফিরে একটু এলিয়ে নিয়ে আমাকে আনতে গেল এয়ারপোর্টে। দুজনে রাত সাড়ে তিনটেয় বাড়ি ফিরলাম। ন’টা পর্যন্ত ঘুমোলাম। ন’টার সময় ঘুম ভেঙে উঠে দেখি ক্লান্তি তো একটুও নেই, বাড়ি ফেরার আনন্দে শরীরমনে এনার্জি ঢেউ খেলছে। মনের কথা মুখ ফুটে বলতে হল না, চোখে চোখেই প্ল্যান হয়ে গেল, দুপুরের খাওয়া সেরে অটো ধরে চলে গেলাম দিল্লি কালীবাড়ি।
মেলায় পা রাখামাত্র চারদিক থেকে ঘাড়ে লাফ দিয়ে পড়ল বাংলা কথা, বাংলা অক্ষর, জাম্বো টিপ, কবিতা-পাঞ্জাবী। আহ্ কী শান্তি, কী আরাম। বাংলা নাটক নিয়ে গোলটেবিল শুনলাম খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে, তারপর মঞ্চে সংবর্ধনা আর আলোচনা। আর এত বইয়ের মধ্যে পড়ে যেহেতু সংযম প্র্যাকটিস করা সম্ভব নয়, তাই বইও কেনা হল। বইমেলায় বই কেনার অভিজ্ঞতাটাই সবথেকে মারাত্মক। কেউ কেউ রীতিমত তাড়া করেন। আমি তাঁদের দোষ দিচ্ছি না। বিক্রির অবস্থা এত করুণ যে ঝুলোঝুলি না করে তাঁদের উপায় নেই। কিন্তু আমরা ভীতু মানুষ, তাড়ার ভয়ে একটা গোটা গলি সর্বক্ষণ এড়াতে হল। আরেক দোকানে গিয়ে যেই না একখানা বই হাতে তুলেছি, অমনি বিক্রেতার মুখ হাঁড়ি। বললেন, এ তো চেনা-চেনা খেলা। সকলেই নিজেদের চেনা লোকের বই কেনে। আমি তাঁকে হাতে পায়ে ধরে বোঝাতে চাইলাম যে আমি লেখককে মোটেই চিনি না, শুধু নাম জানি আর সামান্য কৌতূহল আছে।
ওই একই হল।
হয়তো একই হল। আমি যথাসম্ভব সরিটরি বললাম, তাড়াতাড়ি একজন অচেনা লেখকের বইও নিলাম, যাতে ওঁর রাগটা একটু কমে। কাজ দিল কি না বোঝা গেল না। কী রকম ঠোঁট ছেতরে বললেন, আরে নিন নিন যা নেওয়ার, তবু যে বই পড়ছেন এই যথেষ্ট।
আপাতত মার্চ মাস দারুণ ভালো যাচ্ছে। বইমেলা থেকে কেনা সব বই ডাঁই করে রেখেছি বিছানার পাশের টেবিলে। অফিস বেরোনোর আগে কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে নেড়েচেড়ে বেছেবুছে একটা তুলে নিই। রোগা বই, মোটা বই, শক্ত কথা সোজা ভাবে লেখা বই, সোজা কথাকে বেঁকিয়েচুরিয়ে লেখা বই, জলবৎতরলং বই, দাঁতভাঙা বই। বুঝতে পারি না পারি, প্রতিটা শব্দে যত্ন করে চোখ বোলাই। স্পিড বেড়ে গেলে ব্রেক কষি, যাতে স্টক বেশিদিন থাকে। অফিস থেকে ফেরার পর আর ল্যাপটপ খুলি না। ইউটিউব দেখি না। বই পড়ি। এ আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল। ইউটিউবকে হারানো ইংরিজি বইয়ের কম্ম নয়। যদি কেউ পারে তো বাংলাই পারবে।
এবার সেই সব বাংলা বইয়ের মধ্যে থেকে দুটো বইয়ের কথা আপনাদের বলব।
*****
ফের ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ/ প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কনশিল্পীঃ অভীক কুমার মৈত্র
সৃষ্টিসুখের এ বছরের বইদের মধ্যে একটি প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'ফের ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ'। প্যাস্টিশ সাহিত্য। অর্থাৎ প্লট আর লেখকই শুধু নতুন, চরিত্র আর লেখনশৈলী সেই এক।
আমার পার্শিয়ালিটি অবান্তরে আর লুকোনোর কিছু নেই, তাই ফেলুদার গল্প ‘রাজধানীতে তুলকালাম’ দিয়েই শুরু করছি। জয়পুরের মহারাজের কালেকশনের “স্টার আইটেম” সোনার টিয়ার চোখে রুবি, গায়ে পান্নাসবুজ এনামেলের কাজ। সে টিয়া চুরি গেছে। আর রহস্যে জড়িয়ে পড়েছে ফেলুদা, তোপসে আর জটায়ু। সিধুজ্যাঠার এ গল্পে একটা জোরদার ভূমিকা আছে, অন্য ফেলুদার গল্পে যেমন থাকে তার থেকে বেশি। ইন ফ্যাক্ট, কৈলাসে কেলেংকারি ছাড়া আর কোনও গল্পে সিধুজ্যাঠার এরকম পিভটাল ভূমিকা আমি দেখেছি কিনা মনে করতে পারছি না। গল্পের অন্যান্য চরিত্ররা হচ্ছেন পবনদেও জয়সওয়াল, মাধবরাও যোশী, অনুকূল ভদ্র। রহস্য সমাধানের কাজে ফেলুদাকে দিল্লি আসতে হয় এবং দিল্লির বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ওঠাবসা করতে হয়।
ব্যোমকেশের গল্পের নাম ‘গরল তমসা’। গভীর রাতে দেহোপজীবিনীদের একের পর এক নৃশংস খুনের সমাধানে নামে ব্যোমকেশ আর অজিত। এ গল্পের অন্যান্য চরিত্র পুলিশ বীরেনবাবু, পুঁটিরাম, বাঁটুল সর্দার, সুবিমল সান্যাল, তস্য পুত্র অমিয় সান্যাল, তস্য বন্ধু দেবদত্ত সাধুখান। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কলকাতায় জাপানী বোমার ভয়।
বইখানা পড়তে গেলেই চোখে পড়বে বাঁধাইয়ের অভিনবত্ব। ফেলুদার গল্প বইয়ের একদিকে আর ব্যোমকেশের গল্প বইয়ের অন্যদিকে উল্টো ছাপা। মানে বইখানা ধরে পাতা উল্টে গেলে মনে হবে অর্ধেক গল্প উল্টো করে ছাপা হয়েছে কিন্তু তা নয়, আসলে বইটার দ্বিতীয় গল্পটা পড়তে হবে উল্টো করে ধরে।
এবার আমার মতামত। প্রথমেই প্রবীরেন্দ্রদার সাহসকে স্যালুট জানাই। আমার ফেলুদার প্লটটা একটু জটিল লেগেছে, মানে জয়সওয়াল, যোশী, ভদ্র এ সব একটু গুলিয়ে যাচ্ছিল, তবে আমি একটু বেশি গোগ্রাসে পড়ছিলাম কাজেই দোষ আমার হতে পারে। ব্যোমকেশের গল্পটি ভালো।
তবে প্যাস্টিশে গল্প কেমন হয়েছের থেকেও জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে নকলটা ভালো হয়েছে কি না। কতটা সত্যজিৎ আর কতটা শরদিন্দুর মতো হয়েছে। চরিত্রগুলোকে ফেলুদা আর ব্যোমকেশ বলে চেনা যাচ্ছে কি না। চরিত্রদের পারস্পরিক সম্পর্ক ঠিক আগের মতোই ফুটেছে কি না।
আমার মতে দুটো গল্পেই সেটা চমৎকার ফুটেছে। ফেলুদার গল্পের ঝাড়া হাতপা ভঙ্গিটাও আছে, ব্যোমকেশের বাঙালিয়ানা মাখানো বৈঠকী ভাবটাও আছে। আমার চেনাআধচেনারা কেউ বলেছেন শরদিন্দুর নকলটা সত্যজিতের থেকে বেটার হয়েছে, কেউ সম্পূর্ণ উল্টো। আমার মতে দুটোই খুব ভালো হয়েছে, সত্যজিতের নকলটা একটু বেশি ভালো হয়েছে। অর্চিষ্মানের মতও তাই।
খুঁত না ধরলে লোকে চেনা বলে একচোখোমির দোষ ধরবে তাই ধরছি। প্যাস্টিশের যে রিস্কটা থাকে, প্রবীরেন্দ্রদার দুটো গল্পেই সেটা অল্পস্বল্প হয়েছে বলে আমার ধারণা। সে রিস্কটা হচ্ছে নকল আসলের থেকে বেশি আসলের মতো হয়ে যাওয়ার। ফেলুদার যে বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের মাথার মধ্যে গেঁথে গেছে, যে ম্যানারিজমগুলো, ফেলুদা-তোপসে-জটায়ু ব্যোমকেশ- অজিত-পুঁটিরাম ইত্যাদি সম্পর্কের টানাপোড়েন চাপানউতোর, সেটা তো একটাদুটো গল্পে হয়নি, একটা গোটা সিরিজ ধরে একটু একটু করে গড়ে উঠেছে। কিন্তু প্যাস্টিশ লেখার সময় সে সব বৈশিষ্ট্যগুলোই হয়তো লেখক একইসঙ্গে গুঁজে দিতে চান, তাই ওভারডোজ হওয়ার চান্স থাকে। আমার মতে এদুটো গল্পেও তাই হয়েছে।
আর যেটা প্রায় সকলের চোখেই পড়েছে, কারণ সেটা চোখে না পড়া একেবারেই অসম্ভব, সেটা হচ্ছে ব্যোমকেশের গল্পে ভাষার গুরুচণ্ডালী। এটা আমার খুবই রহস্যজনক লেগেছে। ইন ফ্যাক্ট এতই রহস্যজনক যে আমি সিরিয়াসলি ভাবছিলাম ব্যাপারটা ইচ্ছাকৃত কি না। হয়তো শরদিন্দুও এরকমই গুরুচণ্ডালী লিখতেন, আমারই চোখে পড়েনি।
আর খুব ভালো লেগেছে ব্যোমকেশের ছবি আঁকার নেপথ্যের প্রস্তুতি নিয়ে বইয়ের অঙ্কনশিল্পী অভীক কুমার মৈত্রর লেখা। ছবির মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গতের গল্প জানতে পারা সবসময়েই লাভের।
*****
তুতুল/ মহাশ্বেতা দেবী
মহাশ্বেতা দেবীর বাবার নাম তুতুল। বাইরের লোকে তাঁকে চিনত মনীশ ঘটক নামে, কিন্তু মহাশ্বেতা দেবী বাবাকে চিনতেন তুতুল নামে তাই আমরাও তাঁকে তুতুল বলেই ডাকব। মহাশ্বেতা দেবী ভূমিকায় জানিয়েছেন চেনাশোনা অনেকেই তাঁকে তুতুলের গল্প লিখতে বলে গেছেন। কেন বলেছেন সেটা গল্পগুলো পড়লে বোঝা যায়। তুতুল সাধারণ বাবা তো ছিলেন না, সাধারণ মানুষও ছিলেন না। সে অবশ্য সাধারণ ও বাড়ির কেউই ছিলেন না। ঠাকুর আর রায়(চৌধুরী)-এর পর এই ঘটক পরিবার, যার সব সদস্যই প্রায় সেলিব্রিটি।
মহাশ্বেতা দেবী চমৎকার ভাষায় তাঁর অসাধারণ তুতুলের গল্প লিখেছেন, আরাম করে পড়ার জন্য এ বইয়ের জুড়ি নেই। তাছাড়া ঘটক পরিবারের অন্যান্য সেলিব্রিটি সদস্যদেরও গল্প শোনা যায়, সেটা ফাউ।
কিন্তু সব সেলিব্রিটি আর তুতুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে যে তার নাম ন্যাদোশ। ন্যাদোশ মহাশ্বেতা দেবীদের বাড়ির পোষা গরু। সে খটখট করে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে ওঠে এবং নামে, নীল দেওয়া জামা, ব্র্যান্ডি চোবানো খড় আর ইলিশের ঝোল খায়। বাংলা সাহিত্যে (যদিও কাল্পনিক নয়, ন্যাদোশ রীতিমত রক্তমাংসের) ন্যাদোশের মতো গরু আর দু’টি নেই, এ আমি মোটামুটি বাজি রেখে বলতে পারি। মহাশ্বেতা দেবীর অনন্যসাধারণ তুতুলের জন্য তো বটেই, অভূতপূর্ব ন্যাদোশের জন্যও, বইটা যদি হাতের কাছে পান পড়ে ফেলবেন।
কিন্তু সব সেলিব্রিটি আর তুতুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে যে তার নাম ন্যাদোশ। ন্যাদোশ মহাশ্বেতা দেবীদের বাড়ির পোষা গরু। সে খটখট করে সিঁড়ি বেয়ে ছাদে ওঠে এবং নামে, নীল দেওয়া জামা, ব্র্যান্ডি চোবানো খড় আর ইলিশের ঝোল খায়। বাংলা সাহিত্যে (যদিও কাল্পনিক নয়, ন্যাদোশ রীতিমত রক্তমাংসের) ন্যাদোশের মতো গরু আর দু’টি নেই, এ আমি মোটামুটি বাজি রেখে বলতে পারি। মহাশ্বেতা দেবীর অনন্যসাধারণ তুতুলের জন্য তো বটেই, অভূতপূর্ব ন্যাদোশের জন্যও, বইটা যদি হাতের কাছে পান পড়ে ফেলবেন।
Ar ki boi kinle? segulor goppo sunbo.
ReplyDeleteকিনেছি তো অনেক, চুপকথা। সবগুলোর গল্প লেখা হবে না, লিখতে চাইও না। তবে কয়েকটার লিখব সময় করে।
DeleteAmar goto bochorer Kolkata boi mela theke kena boi ekhono shesh hoyeni. Tutul boi ta kinte hobe ekhon ... especially Nyadosh er jonne.
ReplyDeleteতুতুল চমৎকার বই, শর্মিলা। সামনে পেলে কিনো।
DeleteEi pastiche sahitya byaparta jantam na - bhalo laglo jene. Tutul amar atyonto priyo boi, kotodin pore prochhod ta dekhlam.
ReplyDeleteআমিও জানতাম না, কাকলি। আমি জানতাম শুধু ফ্যান ফিকশন। ফ্যান ফিকশনের সঙ্গে প্যাস্টিশের তফাৎতটা প্রবীরেন্দ্রদা বইয়ের শুরুতে লিখে দিয়েছে, আমি সেটা থেকে টুকে দিচ্ছি। ফ্যান ফিকশনে লেখার স্টাইল যা খুশি হতে পারে, প্যাস্টিশে মূল লেখার সঙ্গে মিল থাকতে হয়।
Deleteইউটিউবকে হারানো ইংরিজি বইয়ের কম্ম নয়। যদি কেউ পারে তো বাংলাই পারবে।
ReplyDeletemoharani.....tomare selaam....
ekta bepar,tumi oi feluda/byomkesh golper prachchad ta ki sogyan e naki nijer ojantei...feludar dikta soja kore upload korecho chobita?
ulto tar korar possibility o soman soman..
mane feludar proti pakkhopatitto ta korei felle..
prosenjit
আরে প্রসেনজিৎ, সত্যি খেয়াল করিনি গো, তবে আই গেস, এইভাবেই পক্ষপাতিত্ব বেরিয়ে পড়ে।
Deleteইয়ে, শনিবারের আলোচনাটা নিয়ে আর দু-তিন লাইন লিখলে হতো না?
ReplyDeleteশীর্ষ, দুঃখের জায়গায় আর পাড়িয়ে দেবেন না। কী যে ইচ্ছে ছিল আপনাদের দেখার এবং কথা শোনার। এখনও ভাবলে খারাপ লাগছে। আপনারা যখন কথা বলছিলেন, তখন আমি ইকনমি ক্লাসে কাঠ হয়ে বসে অকথ্য সিনেমা দেখছিলাম।
Deleteঅর্চিষ্মান অবশ্য শুনেছে। ও বলছিল একটু একটু। কিন্তু নিজকর্ণে শোনা আর পরের মুখে ঝাল খাওয়া তো এক নয়। পরে যদি কোনওদিন দেখা হয়, তাহলে আমাদের যা কথাবার্তা হবে সেটা নিয়ে কিন্তু অবান্তরে লিখবই।
khub bhalo laglo Kuntala. Bangla boimelar kotha mone porlei monta kyamon hu-hu kore othe...!!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অরিজিত। বম্বে তো হল অনেকদিন, এবার দিল্লির দিকে নজর দিন। বইমেলাটা ইনসেনটিভ হিসেবে রাখুন।
Deletehahaha boimelar oi jhulojhuli jani boiki , tobe bibhui e theke bangla adda byaparta je ki ta ami koyekdinei ter peyechilam tai boimelar uttejona ta bujhte parchi boi ki :)
ReplyDeleteachha ar ki ki boi kinle? - PB
বইয়ের লিস্ট নিচে দিলাম, প্রদীপ্ত।
DeleteKhub bhalo laglo boi niye apnar post dekhe. Boimela niyeo. Ei postgulor jonyo opekkhay thaki. Tutul bhari misti boi. Besh kobar porechhi. Mon bhalo hoyechhe.
ReplyDeletePrabirendradar boita ei boimelatei peyechhilam. Gograse porechhi amio. Amar Bomkesh angshotai beshi bhalo legechhe jadio, Garal Tamosha. Chhobigulo-o ki asamanyo.
Boimelay ki ki boi kinlen jante khubi koutul hochhe. Asole jara boi bhalobeshe felechhe, tader kachhe eta je ki priyo alochona :)
থ্যাংক ইউ, সায়ন। বইয়ের লিস্ট নিচে দিলাম।
DeleteTutul ki online e pabo? Dekhlam na to kono link? Pastiche Tao abar byomkesh feluda niye eta amar kache sompurno notun khobor. Bratati
ReplyDeleteতুতুল আমি অনলাইনে দেখতে পাইনি, ব্রততী। আমি ওটা বইমেলা থেকে কিনেছি।
Deleteশিব্রাম রচনাবলী ১, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস সমগ্র, পুবালি পিঞ্জিরা/সামরান হুদা, তুতুল/মহাশ্বেতা দেবী, ফের ফেলুদা, আবার ব্যোমকেশ/প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নিদয়া সংসারের গল্প/ তড়িৎ মিত্র, প্রণবেশ সেন স্মারক বক্তৃতা সংগ্রহ, অতিকথন/অধীশা সরকার, সটীক হুতোম প্যাঁচার নকশা/ সম্পাদনা অরুণ নাগ (এই বইটা ছিল, কিন্তু এই প্রিন্টটা বেটার), দস্তরখানের নেশাড়ু/ দেবাংশু সিনহা, কৃষ্ণগহ্বরের স্মৃতিফলকেরা/কণিষ্ক ভট্টাচার্য।
ReplyDeletekuntala di, delhi boimelar somoye ami delhi gechilam..apnar lekha pore je delhi ke chinechi taake chakkhush kora ekta onyortomo prodhaan uddeshyo chilo.amar mamar bari dilshad garden e.tobe tour er faake ar boimela jaowa hoye otheni..prothom bar tajmahal dekhar uttejona e alada
ReplyDeleteতা ঠিক, ঋতম। প্রথমবার তাজমহলের জবাব নেই। দিল্লি কেমন লাগল?
DeleteNotun Feluda/Byomkesh niye amio ek mot. Aar oidike Avik amaar bondhu, kaajei or byapare amaar Ekta bias thakbei
ReplyDeleteহাই ফাইভ, অর্পণ।
Delete