সোনা ঘুমোলো



কাল মা ফোন করেছিলেন রাত আটটা বাহান্নয়। মোবাইল হয়ে এই ঝামেলা হয়েছে, সময়ের ব্যাপারে আর গাছাড়া হওয়ার জো নেই। মা রাত ন’টা নাগাদ ফোন করেছিলেন বলতে পারতাম, কিন্তু ফোনের লগবুকে জ্বলজ্বল করছে, ‘মা’ মিসড কল, আটটা বাহান্ন।

আজ সকাল ছ’টা তেরোয় মা’কে ফোন করে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “মা তুমি কাল আটটা বাহান্নয় ফোন করেছিলে দেখলাম?"

মা হাঁ হাঁ করে উঠলেন, “আমি করতে চাইনি সোনা, বিশ্বাস কর। টিভিতে বলল দিল্লিতে ঝড়বৃষ্টির হচ্ছে, টেম্পারেচার কমবে। তাই ফোন করে মনে করাতে গেছিলাম যে যদি ঠাণ্ডা লাগে, তবে সোয়েটারগুলো বার করে যেন পরিস, কুঁড়েমো করে ঠাণ্ডায় কাঁপিস না। জানতাম দেরি হয়ে গেছে, তবু দেখলাম ন’টা তখনও বাজেনি, তাই একবার চান্স নিলাম আরকি, তিনখানা কল হতেই বুঝতে পেরে কেটে দিয়েছি। সরি সোনা, রাগ করলি সোনা?”

ইমেজ এমন খারাপ হয়েছে, সেদিন প’নে সাতটা নাগাদ অফিস থেকে ফেরার পথে ট্যাক্সিতে বসে আছি, ফোন বাজল, হ্যালো বললাম, ওপার থেকে একজন জিজ্ঞাসা করলেন, এখন কথা বলা যাবে কি না। নাকি আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।  

সাতটা-টা বাড়াবাড়ি, তবে সাড়ে আটটার মধ্যে মোটামুটি আমার দিন শেষ হয়। দাঁত মেজে, ফোন চার্জে বসিয়ে, একখানা বই হাতে নিয়ে আমি আমার বিছানার সাইডে সেঁধিয়ে যাই, তারপর ঘুম আসার সাধনা। সেটা সাড়ে ন’টা পর্যন্তও চলতে পারে, আবার আটটা বাহান্নতেই সিদ্ধিলাভ হতে পারে, কাল যেমন হয়েছিল। 

আত্মপক্ষ সমর্থনে আমার একটাই কথা বলার। আমি তাড়াতাড়ি ঘুমোই, কিন্তু বেশি ঘুমোই না, উঠিও সকাল সকাল। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও দরকার ছিল না যদিও। বেশি ঘুমোলেই বা কী? তবু বললাম, কারণ ঘুমোনো নিয়ে অ্যাপোলোজেটিক হওয়াটা আমাদের স্বভাব। যারা বেশি ঘুমোয় তারা সব কুঁড়ের বাদশা, আর যারা কম ঘুমোয় তাঁরা কর্মবীর, এ ধরণের একটা সমীকরণ চালু আছে বাজারে। আমার গানের মাস্টারমশাই, আমার যখন বছর দশেক বয়স, আমাকে বুঝিয়েছিলেন যে দিনে যদি একজন লোক আটঘণ্টা করে ঘুমোয় তাহলে ষাট বছর বাঁচলে সে আসলে তার গোটা জীবনের কুড়ি বছর ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেবে। অর্থাৎ, আমরা সবাই একেকজন চলন্তফিরন্ত রিপ ভ্যান উইংকল। 

কুড়ি বছর যদি ঘুমোবে তাহলে কাজটা করবে কখন? কাজেই কাজের লোকেরা ঘুমোন না। একজায়গায় পড়েছিলাম, অমিতাভ বচ্চন আর আবদুল কালাম, দিনে মোটে পাঁচঘণ্টা করে ঘুমোন এবং ঘুমোতেন। “দুপুরে ঘুমোস?” প্রশ্নটা আপাত নিরীহ, কিন্তু এর মধ্যে যে কতখানি জাজমেন্ট পোরা থাকে, সেটা প্রশ্নটার মুখোমুখি যারা না হয়েছে জানবে না। আমাকে এ প্রশ্নটা করলে আমি চোখ কপালে তুলি। “পাগল? আমি ঘুমোবো দুপুরবেলায়?” বলে অর্চিষ্মানের দিকে দেখাই। শনিরবি ও মাঝে মাঝে লম্বা হয়, আমি ঘুমোই না। আমি না ঘুমিয়ে ‘স্ক্রাবি ডাবি’ খেলি।

সেদিন একটা আর্টিকলে পড়ছিলাম জাপানিরা নাকি না ঘুমোনোটাকে একটা গর্বের ব্যাপার বলে মনে করেন। মানে “বাঙালিরা সংস্কৃতিবান”, “অ্যামেরিকানরা কাজ করে”র মতো “জাপানিরা ঘুমোয় না” একটা পজিটিভ স্টিরিওটাইপ, যেটা ওঁরা পছন্দ করেন। অফ কোর্স, না ঘুমোনো তো আক্ষরিক অর্থে সম্ভব নয়, তবে ওঁদের গড় ঘুমের স্টাইলটা বাকি পৃথিবীর থেকে আলাদা। একবারে গাদাখানেক না ঘুমিয়ে ওঁরা খেপে খেপে ঘুমিয়ে নেন। ট্রেনে, বাসে, ওভারব্রিজের সিঁড়ির কোণে বসে। “ন্যাপ”ওয়ালারা এই ধরণের ঘুমের ইংরিজি প্রতিশব্দ না পেয়ে মাথা চুলকোচ্ছিলেন, আমি কিন্তু জানি বাংলায় এ ঘুমের একটা পারফেক্ট নাম আছে। ঝিমটি। সব লোকাল ট্রেনের যাত্রীরাই এই ঝিমটি ঘুমে দক্ষ হন। 

অনেকে রোজ রাতে টানা আটঘণ্টা ঘুমোয়, অনেকে খেপে খেপে ঘুমোয়। মধ্যাহ্নভোজনের পর মিনিট কুড়ির ‘পাওয়ার ন্যাপ’ শুনেছি প্রোডাক্টিভিটিতে বিপ্লব এনে দিতে পারে। অনেকে পাশের ঘরে ফিসফিস হলেও দু’চোখের পাতা এক করতে পারে না। অনেকে বজ্রপাতের মতো নাকডাকের মধ্যে নিশ্চিন্তে ঘুমোয়।  অনেকে ফটফটে আলোর সমুদ্রে ঘুমিয়ে পড়তে পারে, অনেকে ঘর ঘুরঘুটি না হলে ঘুমোতে পারে না। জীবনের কোনও একটা সময় হোস্টেলে থাকলে এসব প্যাকনা কমে আসা উচিত বলেই আমার ধারণা। কোনও এক অদ্ভুত লটারিতে রুমমেট সবসময় এমন দু’জন মানুষই হয় যাদের পড়া, প্রেম এবং ঘুমের স্টাইল একেবারে নর্থ পোল সাউথ পোল। আমার রুমমেট ঘুমোতে যেত ভোর চারটেয়। আমি ঘুম থেকে ওঠার পর। 

ঘুম নিয়ে যত মত আছে পৃথিবীতে, তত আর কিছু নিয়েই নেই। এই পোস্টটা লিখতে বসে দেখতে গেলাম বড় বড় লোকেরা ঘুম নিয়ে কে কী বলেছেন। গান্ধীজী বলেছিলেন ঘুম আসলে মৃত্যু। ছোটবেলায় আরেকজন গান্ধীবাদীর সঙ্গে পরিচয় ছিল, তিনিও ঘুম সম্পর্কে প্রায় একই রকম মনোভাব পোষণ করতেন। তিনি বলেছিলেন, একমাত্র মানুষ ছাড়া নাকি আর কোনও প্রাণীর শিরদাঁড়া সোজা নয়। আর মানুষ যখন ঘুমোয় তখন তার শিরদাঁড়া সোজা থাকে না। অর্থাৎ, ঘুমন্ত মানুষ মনুষ্যেতর। 

গান্ধীবাদে আমার আপত্তি নেই, অন্য অনেক বাদের থেকে ওই বাদটিকেই বরং আমার বেশি সুবিধেজনক লাগে, কিন্তু ঘুমের ব্যাপারে আমি মহাত্মার সঙ্গে একমত নই। আমি নিজে মনে করি খাওয়ার থেকে ঘুম বেশি জরুরি। না খেয়ে তবু থাকা যায়, না ঘুমিয়ে থাকা যায় না। আর কাজের কথাও যদি ধরি, তাহলে আমার মতে ওই কুড়ি বছরের ঘুমই বাকি চল্লিশ বছরের কাজের কোয়ালিটি নির্ধারণ করবে। তাছাড়া ঘুমোলে সব দুঃখকষ্ট, জ্বালাযন্ত্রণা থেকে একটা সাময়িক মুক্তি মেলে, আমার মতো ঘোর পলায়নবাদীর যেটা পছন্দের। এ ব্যাপারে আমার দুঃখ হেমিংওয়ে বুঝেছেন। তিনি বলেছেন, I love sleep. My life has the tendency to fall apart when I'm awake, you know?” 

যাই হোক, কথাটা ঘুমের পরিমাণ নিয়ে হচ্ছিল না, হচ্ছিল ঘুমের সময় নিয়ে। পৃথিবীতে দু’রকম লোক থাকে, রাত জাগা আর ভোরে ওঠা। আমি চিরকালই আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ। প্রথম ক’দিন হোস্টেলে গিয়ে সাপের পাঁচ পা দেখে রাত জেগেছিলাম। হোস্টেল ছাড়ার পর আবার যে কে সেই। আবার উল্টোটাও দেখেছি। সারাজীবন হোস্টেলে সাড়ে চারটের সময় ধুতি পরে প্রার্থনায় হাজিরা দিয়েও ভোরে ওঠা মজ্জাগত হয়নি। মাথার ওপর থেকে অনুশাসন সরে যেতেই আবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত ভোঁস ভোঁস।। আমার ধারণা, ঘুমটা লোকের একটা খুব গভীর জায়গা। চুলের ছাঁট আর চশমার ফ্রেম যত সহজে বদলানো যায়, ঘুমের প্যাটার্ন বদলানো তত সোজা নয়। 

যে প্রশ্নটা মাথায় আসেই তা হচ্ছে কোনটা ভালো? রাত জাগা না ভোরে ওঠা? মাঝরাতের বৃষ্টির শব্দ, দূর থেকে ভেসে আসা কীর্তনের খোল, শেষ ট্রেনের বাঁশি ভালো, নাকি ভোরের আজান আর পাখির ডাক ভালো? রাতের নৈঃশব্দ্য ভালো না ভোরের শিরশিরানি ভালো? জানালার ফাঁক দিয়ে অন্ধকারে দূরের কোনও বাড়ির একটি জানালার টিমটিমে আলো ভালো, নাকি পর্দার ফাঁক দিয়ে আসা ভোরের নরম আলো ভালো? 

পপুলার মিডিয়ার ছাঁকনি গলে আসা সায়েন্টিফিক রিসার্চ বিশ্বাস করলে বলতে হয় ভোরে ওঠার দিকেই পাল্লা ঝোঁকা। ‘সেভেন থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু’-গোছের লিস্টে ভোরে ওঠাটা মোটামুটি প্রথম তিনে নিয়ম করে থাকে। তবে ও সব কাগুজে কথা। "ভোরে উঠেও ডাহা ফেল" লিস্টের জলজ্যান্ত নমুনা আমার হাতের কাছেই আছে, রোজ ভোরে আয়নায় তার সঙ্গে মোলাকাত হয়, কাজেই ও সব রিসার্চে আমার বিশ্বাস নেই। তার থেকে রক্তমাংসের চেনাজানা মানুষের মতামতের ওপর আমার ভরসা বেশি।

মুশকিলটা হচ্ছে দুটো জিনিসের মধ্যে ভালোমন্দ বাছতে বললেই লোকে সতর্ক হয়ে যায়। "ভালোমন্দ কিছু তো হয় না, দুটোরই পজিটিভ নেগেটিভ আছে," গোছের গা-বাঁচানো উত্তর দিয়ে কাজ সারে। কিন্তু সকলেই মনে মনে জানে কোনটা ভালো। আত্মবিশ্বাসীরা জানে তাদের নিয়মটাই সেরা। আর আমার মতো যাদের হাঁটু সর্বক্ষণ কাঁপে, তারা ভাবে, ইস যদি ওদের মতো হতে পারতাম। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন দিন মানুষের, রাত দেবতার। আমার চেনা একজন, যাকে জীবনের একটা সময়ে আমি প্রায় রবীন্দ্রনাথের মতোই শ্রদ্ধাভক্তি করতাম, তিনি বলেছিলেন, দিনে কাজ করে মুটেমজুররা, রাত জাগে বুদ্ধিজীবীরা। 

আত্মবিশ্বাসের অভাব আর বুদ্ধিজীবী হওয়ার আকুল আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্ত্বেও তাহলে আমি আমার ঘুমের সময় বদলে নিচ্ছি না কেন? এক নম্বর কারণটা আগেই বলেছি। এ জিনিস বদলানোর নয়। রাত জাগা আমার ধাতে নেই, তাই আমি রাত জাগতে পারি না। কিন্তু সে রকম তাগিদ থাকলে ধাতের বিরুদ্ধে যাওয়ার একটা চেষ্টা অন্তত করা যায়, যেটা আমি হোস্টেলে গিয়ে করেছিলাম, এখন আর করি না। কেন করি না সে কথা বলতে গেলে জর্জ বার্নার্ড শ-এর একটা উক্তি মনে করতে হবে। Marriage is an alliance entered into by a man who can't sleep with the window shut, and a woman who can't sleep with the window open. ঘুমের ব্যাপারে আমার আর অর্চিষ্মানের প্রায় সব অভ্যেসই উল্টো, কিন্তু আমাদের সবথেকে বড় অমিল ঘুমের সময়ে। সপ্তাহের মাঝখানে নেহাত পারা যায় না, কিন্তু শনিরবি নিয়ম করে আমি যখন উঠি, তখন ও "গুড নাইট" বলে চোখ বন্ধ করে।

আর এই অমিলটা, আমাদের দুজনের সব অমিলের মধ্যে আমার ফেভারিট। আমার মনে মনে জানি, ওরও। ঘুম এবং জাগরণের এই অসামঞ্জস্য আমাদের দু’জনকেই একটি বিরল এবং মহার্ঘ বিলাসিতার সুযোগ দিয়েছে, তা হল পাশাপাশি থেকেও একলা থাকার। রাতটা ওর অ্যালোন টাইম, সকালটা আমার। বুদ্ধিজীবী না হলেও আমার কষ্টেসৃষ্টে চলে যাবে, কিন্তু রোজ সকালের ওই ক'ঘণ্টা সমস্ত মনুষ্যসঙ্গ বিবর্জিত ক'ঘণ্টার সুখ আমি ছাড়তে পারব না। 


Comments

  1. ঘুম নিয়ে আমাকেও অনেক judgmental কথাবার্তা শুনতে হয় :) এমনকি আমার ডাক্তার এর পর্যন্ত চোখ কপালে উঠে গেছিলো আমি দিনে আট নঘন্টা ঘুমোই শুনে। আমাকেও লোকে বিকেল ছাড়তে, রাত নটা এইসব সময়ে ফোন করে জিজ্ঞেস করে 'ঘুমোচ্ছিলে' ? :) :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আট ন'ঘণ্টা ঘুমোনো তো ভীষণ স্বাস্থ্যকর, কাকলি। ডাক্তারদের সবাইকে প্রেসক্রাইব করা উচিত আট ন'ঘণ্টা ঘুম। আমার দলে লোক আছে জেনে খুশি হলাম।

      Delete
  2. Jhimti shobdo ta sunini, sunei mishti legechhilo jehetu pray e jhimti Di, kintu ektu por chimti r sathe mil mathay elo. jak, ontoto ekta byapare Ami bangali noy Japanese bhebe bhalo lagchhe. Du rokom lok ke khuuuub bhalo lage, jara jaan baji rekhe khete paren, ar jara kono kichhu r poroya na kore ghumate paren. Kothao ekta gyangorbho ek research er sarangso porechhilam, tar Saar chhilo je polyphasic sleep e prithibir jabotiyo jeeb er natural style, aro onek kichhur Moto manush eteo path-o-lokshyo-bhrashta, adhunik hote giye. Ajkal ghum khub e disturbed hoy, Amar nijer dharona er prodhan duti Karon boyes ebong otyodhik computer. Kintu Bela obdhi ghum ke jeev bhengiye sakal sakal abantor porchhi , er theke ki apnar lekha keo doshi thaorano jay?

    ReplyDelete
    Replies
    1. কম্পিউটার/ স্ক্রিন এসে ঘুমের অ্যায়সি কি ত্যায়সি করে দিয়েছে, শিবেন্দু। স্মার্ট ফোন হয়ে হয়েছে আরও ঝামেলা। ল্যাপটপ তাও একটা পয়েন্টের পর বুক থেকে নামিয়ে ঘুমোতে যেতে হত, এখন ফোন মুঠোয় নিয়ে ঘুমোতে যেতে হয়। খেপে খেপে ঘুমিয়ে দেখব তো, কেমন দাঁড়ায়। না না, আমাকে মোটে দোষী ঠাওরাবেন না, আমি খুব চেষ্টা করি এমন লেখা লিখতে যা পড়লেই ঘুম পেয়ে যাবে, ঘুম তাড়ানোর কোনও বদুদ্দেশ্য আমার নেই।

      Delete
  3. bah bah. khub pochhonder topic niye durdanto ekta post. :)
    amar ghumote bhishon bhalo laage, tobe sokale uthte bhalo lagena (ek jodi na bus/train dhorte hoy). Dupure amio na ghumonor chesta kori, tobe majhe majhe ek-adh din chokh duto lege jay. ei jyamon kal, dupure bhorpet kheye ekta boi niye sofay shulam. kokhon je hat theke boi khose gyalo r nak dakte arombho korlo, bujhte parlam na. chokh khullam jokhon, 6 ta baaje.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তারপর মনখারাপ হল না, অরিজিত? আমার সামহাউ ওই সন্ধ্যের সময়টায় ঘুম ভাঙলে ভয়ানক মনখারাপ হয়। বই ঘুমোতে সাংঘাতিক সাহায্য করে, আমার ধারণা সে জন্যই আমি বই ভালোবাসি।

      Delete
  4. Ami oo prochuuuur ghumue. 9-10 hrs. Suruta gobhir ghum, tarpor chera chera swapno dekha ghum. Ki Aram!

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই শেষের আধাজাগা আধাঘুম ব্যাপারটা অর্চিষ্মানও খুব এনজয় করে, প্রিয়াঙ্কা। ও নাকি ওই সময়ে নিজের পছন্দমতো স্বপ্ন দেখতে পারে, বা স্বপ্নকে নিজের ইচ্ছেমতো পথে চালিত করতে পারে। আমার এটা একেবারেই হয় না। আমার হয় ঘুম, নয় জাগা। স্বপ্নদুঃস্বপ্ন যা দেখি, সবই হাতের বাইরে। কী মিস।

      Delete
    2. Ha ei swapno ta samanya modify korar bepar ta khub mojar. Amar o hoy kichuta.

      Delete
  5. oh! amar priyo topic- GHUM.... erokom ekta bishoy niye tumi etodin lekhoni bhebei abak hochhi...
    Amar koyekbochhor aageo bodhoy hobby bole kichhu chilo, kintu ekhon amar relaxation/hobby/aro-jaja-hote-pare-kintu-mone-porchhena sobi holo "ghum". er moton aram kono kichhute hoyna. ami gota rochona likhe felte pari school er moton...almost 6 hrs time pai kintu ghum asa-alarm bondho kora esob baje byapar milie ota 5.5 e danray. tai jodi kodachit >7 hrs time pai sedin amar heavenly bhalolaga thake saradin.- Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি দেখেছি আমার সম্পূর্ণ আরাম হতে সাত ঘণ্টা ঘুম লাগে, ব্রততী। তার কম ঘুম হলে সারাদিন টের পাই। ঘুম হবি হিসেবে চমৎকার, চালিয়ে যাও।

      Delete
  6. Ghum ... ghumote hoye bole ghumoi. Ghumote amar ekdom bhalo lage na. Shobai aram kore ghumote bhalobashe / pare shune ektu ektu hingshe hocche.

    ReplyDelete
  7. Ami ekhane Archishman da'r dol e. Ami weekends e 4ter somoy ghumote jai ar 12tar somoy uthi. Weekdays seta 2 to 9. Akbar school e porte ak didimoni'r lecture e udbuddho hoye bhorbela uthe porte bosechilam. 5am to 6am struggle korar por khyama diye back to bichhana hoye gechilam. Amar jonno raat jagai thik ache.

    ReplyDelete

Post a Comment