ব্লগিং, মাল্টিটাস্কিং, এবং অমরত্ব



একজন আমার হোয়াটস্আপ নম্বর চাইলেন সেদিন। বললাম, নেই। তিনি অবাক হয়ে বললেন, তাহলে ওই অবান্তর না কী সব, লেখ কোথায়? 

প্রাথমিক ব্যোমকানি সামলে বোঝানোর চেষ্টা করলাম ব্লগ কোথায় লিখি। উনি ও আচ্ছাটাচ্ছা বলে আসল কথায় গেলেন। একসময় কথা ফুরোলো। কান থেকে ফোন নামিয়ে ভাবতে বসলাম। ভাবতে ভাবতে টের পেলাম আমি নিজে ব্যাপৃত হয়ে থাকি বলে মালুম পাই না, কিন্তু ব্লগ অবসলিট হয়ে গেছে অনেকদিন হল।

হওয়ারই কথা। দু'হাজার নয়ের শেষ নাগাদ অবান্তর শুরু করার সময়েই কানাঘুষো শুনতাম ব্লগসাম্রাজ্যের সূর্য নাকি মধ্যগগন পার করে ফেলেছে। আর ক'মাস পরে আমার ব্লগ লেখার দশ বছর পূর্ণ হবে। দশ। কেমন লাগে, বা কেমন লাগা উচিত ঠিক আন্দাজ করতে পারি না। আনন্দ হওয়া উচিত? নাকি দুঃখ? ইন্টারনেটের হিসেবে আমি স্টেগোসরাস। লুপ্ত হয়ে যাওয়ারই কথা। 

অবান্তরের সাইডবারে ‘টাইমপাস’ পেজটায় ক্লিক করলাম। হিসেব কষে দেখিনি কাজেই কমিয়েই বলছি, অষ্টাশি শতাংশ ব্লগ বন্ধ হয়ে গেছে। পেশাদার ডিজাইনের ব্লগ, সেলিব্রিটি ব্লগার, একসময় সপ্তাহে তিন কি আরও বেশিবার পোস্ট ছাপতেন, ঝাঁপ নামিয়ে চলে গেছেন। কী দাপট ছিল, শত শত কমেন্ট, কনট্রোভার্সি, কত এস ই ও, ব্লগ জনপ্রিয় করার জন্য কত টিপস অ্যান্ড ট্রিকস, কত অ্যাওয়ার্ড, কত মিটআপ, কত ব্যাজ, প্লেজ, কত মুষ্টিবদ্ধ হাত, সব হাওয়া। 

সব শেষে এখন ফোর ও ফোর। 

এখন আর কেউ ব্লগ লেখে না। পড়েও না। কারণটা আন্দাজ করা শক্ত নয়। বই পড়ার থেকে সোজা বলে ব্লগ পড়তে শুরু করেছিল লোকে। তাছাড়া ইন্টারনেটে সময় কাটানো যখন বাড়ল, দৈনিক শব্দপাঠের কোটা ইন্টারনেটেই পূরণ করে নেওয়ার সুবিধেটা বোঝা গেল। গত দশ বছরে মানুষের জীবন আরও পরিপূর্ণ হয়েছে, পাঁচশো শব্দের ব্লগ পড়ার সময় নেই কারও। ইন্সটাগ্রামে ছবি দেখা নেওয়া অনেক সুবিধে। নেহাত পড়তেই হলে ছবির নিচে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এনাফ। ভাবসম্প্রসারণওয়ালাদের দিন শেষ, এখন যুগ সারসংক্ষেপের।

তা বলে ভাবসম্প্রসারণ কি উবে গেছে একেবারে? সকলেরই কি আর ছবি দেখে মন ভরে? সব থেকে বড় কথা, সকলেরই কি ফোটোজেনিক জীবন হয়? কাজেই মনের ভাব শব্দে প্রকাশ করা চলছে, আগের থেকে জোরকদমেই। খালি খেলার মাঠটা বদলে গেছে। আগে পাঠকরা ইন্টারনেটে থাকতেন, এখন থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। উজিয়ে গিয়ে ব্লগ পড়ার থেকে, সোশ্যাল মিডিয়াতেই দুনিয়ার খারাপ খবর আর নিজের ভালো খবর আদানপ্রদানের সঙ্গে সঙ্গে পড়া ব্যাপারটা সেরে নেওয়া সুবিধের। সিংগল ইউজ জিনিসপত্র বেশিদিন টেঁকে না। অ্যামাজনে নানারকম আবোলতাবোল জিনিস বিক্রি হয় দেখবেন, ডিম থেকে সাদা থেকে কুসুম আলাদা করার যন্ত্র, কলা এবং কেবলমাত্র কলাই কুচি কুচি করে কাটার যন্ত্র - ও সব যন্ত্র বেশিদিন চলে না। চলে সাঁড়াশি। গরম কড়াই নামাও, শত্রুর নাক মুলে দাও, টিভির নব খুলে এলে সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে ভলিউম বাড়াও কমাও চ্যানেল বদলাও, বেগতিক দেখলে শত্রুপক্ষের নাক মুলে দাও, মাল্টিটাস্কিং-এর হদ্দমুদ্দ।  

সময় অমূল্য থেকে অমূল্যতর হচ্ছে কাজেই একই সময়ে যদি একাধিক কাজ করা যায় তাহলে সবাই সেটাই করবে। সেই মাপকাঠিতে দেখলে ব্লগ বহুদিন পিছিয়ে পড়েছে। পড়তে গেলে একে তো নিজের স্বাভাবিক চারণক্ষেত্র ছেড়ে এদিকওদিক যেতে হয়, তার ওপর যতক্ষণ পড়বে ততক্ষণ চোখদুটো ব্যস্ত থাকবে, আর কোনও কাজে লাগতে পারবে না।

সেদিক থেকে দেখলে ঢের বেশি করিৎকর্মা পডকাস্ট। অনেকেই ব্লগ তুলে পডকাস্ট খুলেছেন। পডকাস্ট শুনতে শুনতে আপনি গাড়ি চালাতে পারেন, ফোন চেক করতে পারেন, আরও নানারকম কাজ যা আপনার প্রাণে চায়, করতে পারেন। আমি এখনও তেমন কোনও পডকাস্ট নিয়ম করে শুনতে শুরু করিনি, আমার যে রকম অনলাইন রেডিওর নেশা, পডকাস্ট শুনলেও নেশা ধরে যাবে। আর কেউ না জানুক ভগবান জানেন, এই মুহূর্তে আর কোনও নেশার আমার জীবনে দরকার নেই। 

আমার থিওরির সপক্ষে প্রমাণ চান? চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের কেরিয়ার দেখুন। চন্দ্রিল সবথেকে বেশি নাম করেছিলেন চন্দ্রবিন্দুর গান লিখে যা কিনা মাল্টিটাস্কিং-এর অনুকূল। তিনি অবশ্য কবিতাও লিখতেন (যেটা মারাত্মক শক্ত ব্যাপার, কেউ পড়ে না), আর ওয়াই টু কে বলে একটা সিনেমা বানিয়েও খানিক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, সেটা ইউটিউবে লিক হয়েছিল তাছাড়া সংলাপে কিছু পচা কথাও ছিল যা কি না হাসানোর অব্যর্থ অস্ত্র। আনন্দবাজারে পাতাজোড়া হাসির ফিচার লিখেও অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছেছিলেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য (যেমন আমার মাবাবা। চন্দ্রিলের গান শুনলে তাঁদের মাথা তাজ্ঝিমমাজ্ঝিম হয়ে যাবে, আর ওয়াই টু কে, ওয়েল, আমার আন্তরিক প্রার্থনা যেন ওর সামনে মাবাবা না পড়েন) কিন্তু সে দেড় দশক আগে। এখন লেখা দিয়ে চিঁড়ে ভিজত বলে আমার মনে হয় না। এখন অত পড়ার সময় নেই কারও, তাছাড়া পড়া মাল্টিটাস্কিং-এর বিরোধী। কাজেই পড়তে রাজি নয় কেউ। বরং চন্দ্রিল যদি কানের কাছে কিছু বলেন তাহলে শুনতে রাজি আছেন। শুনতে আর হাসতে। বিতর্কসভা বসবে, টপিক হবে বাংলার/বাঙালির সাহিত্য/সংস্কৃতি/সিনেমা/সংবেদনশীলতার অধঃপতন। নামেই বিতর্কসভা, আসলে চন্দ্রিলের স্ট্যান্ড-আপ। সভার মত, সভার বিমত, বাকিদের মত অমতে কিছু যাবে আসবে না। চন্দ্রিল বলতে উঠলে সকলে হা হা হাসবে, প্রত্যেক বাক্যের শেষে হাততালি দেবে। ওই অংশটুকু কেটেকুটে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাচালি হবে। এই বাজারে অমন সুন্দর ফিগার মেন্টেন করেও রক্ষা থাকবে না, লোকে এসে কমেন্ট করে যাবে, “মরা হাতি লাখ টাকা।”

বইমেলায় কলকাতা যাওয়ার দিনকয়েক আগে চ্যাটবাক্সে লিংক ভেসে এল। ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে চন্দ্রিল’ না কী যেন অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন। বিষয়ের উল্লেখ নেই, খালি চন্দ্রিল বলবেন (হাসাবেন) আর একঘণ্টা বলবেন তার গ্যারান্টি আছে। পঁয়তাল্লিশ মিনিট হাসিয়ে নেমে গেলে কী অনর্থ হবে ভাবলেও গায়ে কাঁটা। আর আছে থ্রি কোর্স লাঞ্চ না ডিনারের গ্যারান্টি। খালি শুনতেও হবে না, পাছে বোর হয়ে যান। খেতে খেতে চন্দ্রিলের বক্তব্য শুনুন এবং হাসুন। আমরা ফেরার দিন তিনেকের মধ্যেই ঘটছে কলকাতায়। লিংকের নিচে দুঃখের স্মাইলির কারণ বোঝা গেল। 

দুঃখ অবশ্য ঘুচেছে। ইউটিউবে অনুষ্ঠানটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে সদ্য। আমরা প্লেজেন্টলি সারপ্রাইজড, বিষয় বাঙালির অধঃপতনকেন্দ্রিক নয়। অবশ্য সেটা হলেও ভালো লাগত, চন্দ্রিল যা নিয়ে বলবেন সবই ভালো লাগবে, তবে 'ডিসটোপিয়া' বিষয়টাও ভালো লেগেছে। চন্দ্রিল বললেন বলে আর বেশ কতগুলো বুক রেকমেন্ডেশন পাওয়া গেল বলেও। অর্চিষ্মান ইস্তিরি করতে করতে আর আমি ক্যান্ডি ক্রাশ খেলতে খেলতে শুনে ফেললাম, মাল্টি টাস্কিং হয়ে গেল।

ব্লগের কথায় ফিরি। এত গালমন্দ করলাম, এত খুঁত ধরলাম, সুবিধেটার কথাও না বললে অন্যায় হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, ব্লগে সে ভয় নেই। আমি নিজে অনেককে চিনি যারা লেখেন ফেসবুকে, পাঠকের সঙ্গে মতামত আদানপ্রদান করেন ফেসবুকে, তারপর লেখা ব্লগে তুলে এনে জমিয়ে রাখেন। ফেসবুকের ভিড়ভাট্টা থেকে ব্লগের নির্জনতা কোনও কারণে এখনও নিরাপদ মনে হয় লোকের। অনেকটা ফিক্সড ডিপোজিটের মতো। রিটার্ন নেই, রিস্কও না।

অবশ্য জমিয়ে রাখার, আমার মতে, বেস্ট উপায় হচ্ছে বই ছাপিয়ে ফেলা। ব্লগই লিখুন আর পডকাস্টই রেকর্ড করুন, মোক্ষ হচ্ছে বই। ব্লগসাম্রাজ্যের মধ্যগগনেও ব্লগ লিখে বুক ডিল পেলে লোকে বর্তে যেত। ব্লগ একশো জন পড়লে, পডকাস্ট এক কোটি জন শুনলেও সে গৌরব নেই, যা মাসিপিসি আর সেম বছর সেম প্রকাশনী থেকে পাবলিশ হওয়া সহলেখকরা বই কিনলেও আছে।  

আপনি বলবেন, এই তো, হয়ে গেল তো থিওরির আদ্যশ্রাদ্ধ? এই যে এতক্ষণ মাল্টিটাস্কিং দিয়ে বাজারের ব্যাখ্যা দিলে, বই তো পড়তে পড়তে এক খাওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ করা যায় না। ইকো-আনফ্রেন্ডলিনেস, পয়সা খরচ, সপ্তাহে সপ্তাহে ধুলো ঝাড়ার অসুবিধেগুলো যদি অগ্রাহ্যও করি। তবু তো বইয়ের বাজার টোল খায়নি এত শত বছরেও? 

ব্যাপারটা গোড়ায় যুক্তির বাইরে ঠেকেছিল আমারও। যতক্ষণ না মনে পড়ল, মাল্টিটাস্কিং-এর থেকেও গভীরতম বাসনা মানুষের আছে একখানা। অমর হওয়ার। আর বইয়ে নিয়মিত অ্যান্টি-ঘুণ, অ্যান্টি-উই স্প্রে করলে কালজয়ী হওয়া মোটামুটি গ্যারান্টিড। 

সে জন্যই বোধহয় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে, এত পাঠকের কাছে পৌঁছেও মনে হয় যথেষ্ট হল না বোধহয়, নিজের সৃষ্টি দুই মলাটের মধ্যে না পুরলে শান্তি নেই। কিন্তু মুস্কিল হচ্ছে ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বই ঝাঁপটা ঠিক মসৃণ নয়। সময় লাগলেও এটা অবশেষে আমি বুঝেছি। এই বইমেলা থেকে জোগাড় হওয়া গোটাকয়েক দুয়েকটা বই পড়ে আবিষ্কার করেছি যে আমি ইন্টারনেটে যা পড়ি আর বইয়ে যা পড়তে চাই, দুইয়ের প্রত্যাশা সম্পূর্ণ আলাদা। অন্তত আমার আলাদা। (অর্চিষ্মান দাবি করছে ওরও আলাদা।) ব্লগে ঝরঝরে বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, এদিকে বইয়ের পাতায় পরপর তিনখানা তৎসম শব্দহীন বাক্য পড়লে মন আনচান। ইন্টারনেটে সাতশো শব্দের বেশি কিছু পড়তে বললে টি এল ডি আর, বইতে তিন পাতায় প্রসঙ্গ শেষ হলে উপলব্ধি করি বিষয়টির গভীরতা আরও বিশদ আলোকপাত দাবি করে। মাউসে হাত রেখে পত্রপাঠ ক্লিক করে পালানোর আশ্বাস সহ যে লেখাগুলো পড়ে মুগ্ধ হই, সেই রচনাগুলোই অবিকল বইয়ের পাতায় উঠে এলে মন ভরায় না; আমার অখণ্ড মনোযোগের পক্ষে অপ্রতুল মনে হয়। এ অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত। বাকিদের সঙ্গে মিলতে নাও পারে। 

যাই হোক, হোয়াটস অ্যাপ নম্বর থেকে শুরু করে, ব্লগের অনিত্যতা এবং তৎসংক্রান্ত নানা কথা মনে পড়ল বলে লিখে ফেললাম। সবটাই ছেঁড়া ছেঁড়া, অবান্তর বিষয়ের খিচুড়ি। এ লেখা কোনও বইয়ে ছাপবে না, কিন্তু ব্লগে জমিয়ে রাখার জন্য মোর দ্যান এনাফ।



Comments

  1. লেখার গুনগতমান ঠিক থাকলে কোথায় লেখা হয়েছে সেটা কি matter করে? তবে এখানে একটা share করার সুযোগ থাকলে আজকের যুগে ভালোই হতো। যদিও official documents ছাড়া কোন কিছুই আজ অবধি share করিনি আর কারো অনুমতি ছাড়া দুমদাম share করাটা ঠিক মনে হয়না। তবে ভালো লেখার প্রসার‌ও‌ হ‌ওয়া উচিত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এইখানে একটু দ্বিমত হলাম, নালক, কোথায় লেখা হচ্ছে সেটা ম্যাটার করে বলেই আমার ধারণা। তবে গ্র্যান্ড স্কিমে দেখলে সেটাও ইমমেটেরিয়াল। আপনার মন্তব্য ভালো লাগল।

      Delete
  2. সত্যি,তাবড় তাবড় ব্লগ সব বন্ধ হয়ে গেছে।
    এদিকে আমি তোমার ব্লগ পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৮ র শুরুতে ব্লগ খুলে ফেললাম।
    guess I totally missed the blogging boat :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, সবাইকেই যে সময়ের সঙ্গে দৌড়তে হবে তার কি মানে আছে, কাকলি? কেউ কেউ ধীরেসুস্থে, আরাম করে, চারদিক দেখতেশুনতেও চলে। আমার তো সেই চলাটাই ভালো লাগে বেশি। বাই দ্য ওয়ে, আমি তোমার ব্লগে গিয়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছে। ওখানে কিছু লিখে আসিনি, কিন্তু পড়েছি সব, পরের লেখাগুলোও পড়ব।

      Delete
    2. আমি কি ঠিক পড়ছি? তুমি আমার ব্লগ এ গিয়েছিলে? থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
      পরের বার গেলে অবশ্যই কমেন্ট কোরো , আমি জমিয়ে রাখবো :)
      #feeling over the moon :D

      Delete
    3. হাহা, অলরাইট কাকলি।

      Delete
  3. Lekhata khub bhalo laglo Kuntala.
    E prosonge boli, blog porte amar khubi bhalo lage, tobe haan, apni jeta bolechhen, onek blog i hariye gechhe, sei kothatao sotyi.
    Social media'r lekha gulo oi onekta T20 match er moton-khoniker uttejona, tate Test cricket er class o nei, koulinyo o nei. Social media'r postguchho Boi akare berochhe bote aajkal, tobe dukkher bishoy sei boigulo ektao amar pora hoyni. :|
    Seshe boli, Youtube er link tar jonyo onek dhonyobad - Chandril er je ki level er porashona r analysis power, seta ei speech ta dekhle bojha jay. Etodin Brave New World boita library r taak-e dekhe, nere-chere abar rekhe diyechhi, Chandril er kotha shune bhabchhi shahos kore ekbar porbo boita. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. Arijit, Apnar blog thekei mone hoy amar bangla blog porar shuru. Sekhan thekei ghurte ghurte Kuntala ke khuje pai.

      Delete
    2. দেখেছেন অরিজিত, আপনি আমার কত উপকার করেছেন নিজেও জানেন না। আপনার সঙ্গে আমি একমত। ওই "কৌলীন্যের" প্রশ্নটায় আমি ফাইট দিতাম এককালে, তারপর নিজের প্রত্যাশা, প্রতিক্রিয়াতেই ভেজাল আবিষ্কার করেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম সমস্যাটা স্ক্রিন বনাম কাগজের, তারপর মনে পড়ল কিন্ডলও স্ক্রিন আর কিন্ডলে আমি আমার সারাজীবনের মতো প্রিয় কিছু বই পড়েছি। কে জানে, হয়তো সমস্যাটা ইন্টারনেটে একশোখানা ট্যাব খুলে রাখতে পারার, এই ট্যাবের বাক্যের ছিলা ঢিলা হলেই টুক করে ক্রস মেরে অন্য ট্যাবে চলে যেতে পারার।

      ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ডে ব্রেভলি ঝাঁপিয়ে পড়ুন। চন্দ্রিল কী ভালো না? আজ থেকে পনেরো বছর আগে আমি সেরা বাঙালির লিস্টে রবীন্দ্রনাথ সত্যজিতের পর চন্দ্রিলের নাম করেছিলাম বলে সকলে ধাবার ধুলোয় গড়াগড়ি খেয়েছিল। তখন না হয় ছোট ছিলাম, মনের আবেগ চাপতে জানতাম না, এখন যে বুড়ো হয়েছি এখনও চন্দ্রিল লিস্টে বেশি নিচে নামেননি।

      Delete
    3. Dhabar dhuloy goragori kheyechhilo.....
      eita pore khub haslam. :)
      Apnar 15 bochhor ager kora list er songe ami ekmot....in fact, kaktaliyobhabe, ami goto weekend theke Rosh, Kosh, Singara, Bulbuli, Mostok porchhi...15 bochhor ager lekhagulo kintu aajo prasongik. :)
      Chandril thakchhen, bhishon bhabei thakchhen, agami aaro 15-15-15...bochhor dhore.

      Delete
    4. হাই হায়ার হায়েস্ট ফাইভ।

      Delete
  4. Tumi blog ta chhero na. e jaygata te FB er bhir dhakkdhakki nei. ei blog ta dekhlei amar ekta goromkaler chhutir dupurer kotha mone hoy. charpashe kathfata gorom, er majhe ekta pukur. pashei ekta am gachh. Halka haoya boichhey. amgachher tolay bose kancha am makha sohojoge priyo golper boi porchhi. Janina keno, Abantorer kotha bollei ei drishyokolpo ta mathay bhese ase.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ, চুপকথা। না না ছাড়ার প্রশ্ন নেই, এমনি লিখলাম আরকি।

      Delete
  5. Uporer comment-e chupkotha jeta bollen, amro seitai moner kotha. ami 2013 theke abantor-er pathok.jodio ager lekhagulo-o pore felechi. Blog jinista thakuk ar na-i thakuk, Abantor jeno thake. proti din lunch theke phire ekbar check kore niyi notun lekha elo kina.

    ReplyDelete
  6. Proti ta shobdo, protita bakyer Sathe ekmot. Tobu amar moton gutikoy unsmart poruyar jonnyo Abantor ta chalie jeo please...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ঈপ্সিতা, আমিও ভয়াবহ আনস্মার্ট। আমার নিজেরও ব্লগ লেখা ছাড়া গতি নেই।

      Delete
  7. onno blog bondho hobar hoyto onek karon ache.. ami 2014 theke abantor chara aro koyekta blog porte suru korechilam.. onek gulo continue korini kintu eta chaliye gechi regular.. social media te 50% er besi bhalo comment fake sobai jane.. blog e tomar koti koti lekha jomuk etai chai.. link tar jonno thank u ..

    ReplyDelete
    Replies
    1. চন্দ্রিল কী ভালো বলেছেন না? অবান্তরের প্রতি তোর ভালোবাসার কথা জেনে আমারও ভালো লাগল, ঊর্মি।

      Delete
  8. দেখুন কে কে আপনার ব্লগ ঘুরে গিয়েছেন,আপনি পরে জানতে পারছেন। যখন তারা জানাচ্ছেন।আর সোশ্যাল মিডিয়া তে কে কখন দেখলেন সেটাও ঘড়ি ধরে বুঝতে পারবেন।তবে আপনার ব্লগ ঘুরে যাওয়া মানুষ যখন আপনাকে জানাবেন যে তিনি আপনার ব্লগ ঘুরে গিয়েছেন - এমন আনন্দ আপনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাবেন না।
    মানুষ আজ ও ব্লগ পড়ে।
    শাড়াশি আর একটা ব্যবহার উল্লেখ করলে ভালো লাগতো - গ্যাস ওভেন এর ভাঙ্গা নব শাড়াশি দিয়ে ঘুরিয়ে গ্যাস জ্বালানো।এটা পুরির একটা হোটেলে দেখেছিলাম(সব কটা ওভেন ওই ভাবেই জলাছিলেন)!
    আর একটা কথা জানতে ইচ্ছে করছে আপনার পছন্দের ইন্টারনেট রেডিও র তালিকায় কোন কোন রেডিও স্টেশন রয়েছে ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, সাঁড়াশি চমৎকার কাজের জিনিস।

      আমি সারাদিন https://www.bbc.co.uk/sounds/categories/drama-crime এই লিংকটা খুলে রাখি। শুধু যে ক্রাইম শুনি সেটা বললে ভুল হবে, অন্যান্য ড্রামা যেমন হিস্টোরিক্যাল, সাইকোলজিক্যাল, কোর্টরুম ইত্যাদিও শুনি, তবে ক্রাইমই মেজরিটি।

      Delete
  9. ভাল লেখা হলে মানুষ ঠিক খুঁজে নেবে আপনার লেখা। আমি যেমন বছর দুই এক আগে বংপেন তন্ময় মুখার্জির ফেসবুক শেয়ার থেকে আপনার ব্লগের খোঁজ পাই। পড়ে খুব ভাল লাগে, কিন্তু নিয়মিত আপডেট পাওয়ার সহজ রাস্তা ফেসবুক পেজ লাইক সেটি না পেয়ে হারিয়ে ফেলি। তারপর ৩/৪ মাস অন্তর আপনার লেখার কথা মনে পড়ে,তারপর প্রায় ১৫ মিনিট ( ১ দিন বা দু তিন দিন ধরে ) সার্চ করে প্রত্যেক বার খুঁজে বার করি ব্লগ টা । পড়ি আর কোন লিংক সেভ না করে বেড়িয়ে যাই। তবে এইবার ফিডলিতে অ্যাড করে রেখেছি আর খুঁজতে হবে না। আমার মনে হয় আপনার নিজের ডোমেনের ওয়েবসাইট থাকাটা খুবই দরকারী যেখানে আপনার লেখা আপনার নিয়ন্ত্রনে থাকবে আর একটা ফেসবুক পেজ। এগুলো না থাকায় মন খুঁতখুঁত করে। আপনার লেখা যদি বাঘ হয়, সোশাল নেটওয়ার্কটা জাস্ট ফেউ একটা। টি২০র যুগে প্রতিদিন মুড়িমুড়কির মত উত্তেজনাময় মনোরঞ্জন হলেও টেস্ট ক্রিকেট হলে মন সাড়ে তিনটেতেও ঘুম থেকে উঠে পড়ে। যেটা ভাল সেটা সুলভ না হলেও কদর যায় না। শুভেচ্ছা নেবেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, রাকেশ। শুভেচ্ছা রইল আমার তরফ থেকেও।

      Delete
  10. Tomar "Thaurun" goppota chomotkar hoyeche, khub bhalo laglo pore. Ei je dekho blog theke tomar goppota porte pelam, boi ta to eikhane pabo na!! Advantage blog.

    Baki ta bhai bujhlam na, shob i ashe jaay, sanrashi o chirokoal thakbe na, tobe bohukal pore hoyto kine lok jon sanrashi diye ghor sajabae. Jemon ami Ma er petol er haata khunti niye esechi, home decor bole!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এইটা ভালো করেছেন, বং মম। ঠাউরুণ ভালো লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment