ম্যাগি ও ডিভোর্স
অর্চিষ্মান আবারও তিতিবিরক্ত। ঠিক বিরক্ত নয়, হতাশ। বেশি হতাশ নয়, অল্প হতাশ। যতটা অল্প হলে হতাশা প্রকাশ করার সময় মুখে মৃদু হাসি লেগে থাকে, ততটা। জীবনের অধিকাংশ হতাশাই আজকাল অন্যায্য ঠেকে। এই যেমন নিজেকে একচল্লিশে যেখানে দেখব ভেবেছিলাম সেখানে দেখতে না পাওয়ার হতাশা। অযৌক্তিক, কারণ ভুল হয়েছিল দেখার। বোঝার। মাপার। এবং ভুল যে হয়েছে সেটা টের পেয়েও মেনে না নেওয়ার। মনে না নেওয়ার। যে হতাশাগুলোয় নিজে লেপ্টে থাকি না সেগুলো অবশ্য মেনে মনে সবই নিই। যেমন ধরা যাক হইচইতে ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’ দেখাজনিত হতাশা। রুদ্রবীণা হল ‘তানসেনের তানপুরা’-র সিকোয়েল। সেম চরিত্র, সেম সেট আপ, যেটুকু মনে আছে সমস্যাটাও সেম, খালি তানপুরার জায়গায় বীণা। তানসেনের জায়গায় কে, ভুলে গেছি। সরি। হতে পারে হতাশা আদৌ হয়ইনি। গোটাটাই ভড়ং। তানসেনের তানপুরা-র স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই রুদ্রবীণা খুলে বসেছি তো? বসে নিজের প্রেফারেন্স রিভিল করেছি। প্রেফারেন্সটা একটি বিশেষ মানের ওয়েব সিরিজের প্রতি হতে পারে কিংবা একটি বিশেষ ধরণের মর্ষকামের। যাই হোক না কেন, অসুবিধেটা আমার তরফের, রুদ্রবীণার নয়। এখানে ভিকটিম রুদ্রবীণা, আমি নই। ঠিক যেমন নন ক্লাস...