Posts

Showing posts from January, 2022

ম্যাগি ও ডিভোর্স

অর্চিষ্মান আবারও তিতিবিরক্ত। ঠিক বিরক্ত নয়, হতাশ। বেশি হতাশ নয়, অল্প হতাশ। যতটা অল্প হলে হতাশা প্রকাশ করার সময় মুখে মৃদু হাসি লেগে থাকে, ততটা। জীবনের অধিকাংশ হতাশাই আজকাল অন্যায্য ঠেকে। এই যেমন নিজেকে একচল্লিশে যেখানে দেখব ভেবেছিলাম সেখানে দেখতে না পাওয়ার হতাশা। অযৌক্তিক, কারণ ভুল হয়েছিল দেখার। বোঝার। মাপার। এবং ভুল যে হয়েছে সেটা টের পেয়েও মেনে না নেওয়ার। মনে না নেওয়ার। যে হতাশাগুলোয় নিজে লেপ্টে থাকি না সেগুলো অবশ্য মেনে মনে সবই নিই। যেমন ধরা যাক হইচইতে ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’ দেখাজনিত হতাশা। রুদ্রবীণা হল ‘তানসেনের তানপুরা’-র সিকোয়েল। সেম চরিত্র, সেম সেট আপ, যেটুকু মনে আছে সমস্যাটাও সেম, খালি তানপুরার জায়গায় বীণা। তানসেনের জায়গায় কে, ভুলে গেছি। সরি। হতে পারে হতাশা আদৌ হয়ইনি। গোটাটাই ভড়ং। তানসেনের তানপুরা-র স্মৃতি ফিকে হওয়ার আগেই রুদ্রবীণা খুলে বসেছি তো? বসে নিজের প্রেফারেন্স রিভিল করেছি। প্রেফারেন্সটা একটি বিশেষ মানের ওয়েব সিরিজের প্রতি হতে পারে কিংবা একটি বিশেষ ধরণের মর্ষকামের। যাই হোক না কেন, অসুবিধেটা আমার তরফের, রুদ্রবীণার নয়। এখানে ভিকটিম রুদ্রবীণা, আমি নই। ঠিক যেমন নন ক্লাস...

What to do with your time

                            The Art Of Disappearing Naomi Shihab Nye When they say Don't I know you? say no. When they invite you to the party remember what parties are like before answering. Someone telling you in a loud voice they once wrote a poem. Greasy sausage balls on a paper plate. Then reply. If they say We should get together say why? It's not that you don't love them anymore. You're trying to remember something too important to forget. Trees. The monastery bell at twilight. Tell them you have a new project. It will never be finished. When someone recognizes you in a grocery store nod briefly and become a cabbage. When someone you haven't seen in ten years appears at the door, don't start singing him all your new songs. You will never catch up. Walk around feeling like a leaf. Know you could tumble any second. Then decide what to do with your time.

বলুন দেখি

টাইম নেই, এদিকে পোস্ট দেওয়ার (এবং আপনাদের সাড়া পাওয়ার) ইচ্ছে ষোল আনা। কাজেই ফাঁকিবাজি ‘আমাকে দেখুন’ লিস্ট পোস্ট। তিরিশটা প্রশ্নের প্রশ্নপত্রে আটখানাই প্রেমভালোবাসার। এইজন্যই জীবনে কিছু হল না। এককথায় নিজেকে প্রকাশ করুন। অকিঞ্চিৎকর শেষ কখন কেঁদেছেন?   ঘণ্টাবারো আগে। বালিশ ভাসিয়ে। এ কান্নার সঙ্গে নিজের অকিঞ্চিৎকরতার উপলব্ধির সম্পর্ক নেই। ওটা একটা আলতো বেদনা যা চব্বিশঘণ্টা দপদপ করে। ভায়োলেন্ট কান্নাকাটি দাবি করে না। শেষ কখন হেসেছেন?   পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগে। এত ভায়োলেন্ট হাসি যে গাল টনটন করছে এখনও। বদঅভ্যেস?   নখ দিয়ে নিজের চামড়ায় ক্ষত করা। টেক্সটবুক অ্যাংজাইটি উপসর্গ। বড় হয়ে কী হতে চেয়েছিলেন?   ক্লাস সেভেনে কোনও একটা ক্লাসে কোনও একজন দিদিভাই প্রশ্নটা করাতে ডাক্তার না কী একটা উত্তর দিয়েছিলাম। যেই না দেওয়া, প্রাণঘাতী চিমটি কেটে প কানের কাছে উত্তেজিত ফিসফিসিয়েছিল, তুই যে বলেছিলি লেখক হবি? আমি তো হাঁ। এ সব হাবিজাবি আমি বলতেই পারি না। শুনে প মারাত্মক চটে আমাকে দিনক্ষণ ধরে মনে করিয়ে দিয়েছিল, ক্লাস থ্রি-র ইংরিজি ক্লাসে ফিল ইন দ্য ব্ল্যাংক্স সেরে খাতা জমা দিয়ে থার্ড...

আমি শুনছি, আপনারাও শুনুন

Image
 

৭০-৭১

আজ বাবার জন্মদিন। ৭০ না ৭১ এর, জানি না, আমার যখন ৭২ হবে তখনও আমি জন্মদিনের এই জটিল হিসেব বুঝে উঠতে পারব না। মোদ্দা কথা বাবা একটা গর্ব করার মতো সময় বেঁচেছেন এই পৃথিবীর মাটিতে। যখন অনেক সময় ছিল পাত্তা দিতাম না, যত কমছে তত সময়ের গরিমা বুঝতে পারছি। আগে ভাবতাম আমার সমস্যা ইউনিক,  আমার সমাধান ইউনিক, আমার হাসি, আমার কান্না, আমার হৃদয়াবেগ, চাওয়া, পাওয়া, অনুভূতি, উপলব্ধি সবই সবার থেকে ইউনিক। বাবামায়ের থেকে তো বটেই। আমার এমন জটিল জীবনের মারপ্যাঁচ আর যাই হোক, তাঁরা যে বুঝে উঠতে পারবেন না, সে নিয়ে আর যারই থাক, আমার সংশয় ছিল না। এখনও নিঃসংশয় আমি, উল্টোদিক থেকে। আমার থেকে প্রায় ২৯ বছরের যে অ্যাডভান্টেজটা বাবার আছে, সেটা কোনওদিন মেকআপ করতে পারব না। জীবন অন্তত ২৯ বার বেশি তাঁকে সেই একই ঘানি টানিয়েছে যা আমাকে টানাচ্ছে ও টানাবে। উল্টে বাবা আমার থেকে অন্তত ২৯ কোটি গুণ বেশি ইন্টারেস্টিং জিনিস করেছেন। সংসার চাকরি, সন্তানপালন, গান গাওয়া, গান শোনা, বেড়ানো, টাকা জমানো, বাড়ি সারাই, আত্মীয়স্বজন লোকলৌকিকতা, অফিসটিমে টেবিলটেনিস, রাত জেগে তাস, দাবা, থিয়েটারের মহড়া, পাড়ার ডিফেন্স পার্টিতে টহল, দুর্গা...

দেখাশোনা, যাওয়াআসা

বাড়ি যাওয়া কাঁচি হয়ে গেল। বাবার সঙ্গে দেখা হয় না কতদিন। মানে, দেখা হয় রোজই ভিডিও কলে, কিন্তু সে দেখা আর সামনে বসে দেখার তফাৎ আছে। ভিডিওকল ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। বাড়িতে যখন থাকি, ধরুন রাস্তায় বেরিয়েছি, মামাবাড়ি যাচ্ছি ইত্যাদি। পৌঁছে বাবাকে ফোন করলাম। নর্ম্যাল ফোন। নর্ম্যাল কথা। কানে ধরে, হ্যালো বাবা পৌঁছে গেছি টাইপ। শহর ছাড়লে কথার কনটেন্ট বদলায়। ভালো আছ তো? ভালো না থাকার কোনও কারণ নেই। বারোঘণ্টা আগে যেমন ছিলেন হাইলি তেমনই আছেন। তবু ওটুকু জুড়ে দেওয়া। বাড়ির চাকা সব গড়গড়িয়ে চলছে? না চললেই বা আমি কী করব? মামাবাড়িতে বসে চাকার খবর নিইনি কিন্তু, যদিও তখনও চাকা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা একইরকম। দুরত্ব আরও বাড়লে কথা আরও বহুমুখে ধায়। কী খেলে, পাড়ায় কী হল। রোজের আপডেট। এবং শোনার কথা বদলে যায় দেখার কথায়। ভিডিও কল বাধ্যতামূলক হয়। কত দূরে! এতই দূরে যেখানে শুধু কানে শোনায় সান্ত্বনা মেলে না। চোখে দেখতে লাগে। অথচ দুরত্ব তো সত্যি বলতে একই আছে। দুটো ফোনের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান। আপনাদের একটা কথা বলি। লুকোনো কথা নয়, আবার হয়তো বলারও নয়। শুনলে হয়তো ভাববেন এ আবার কেমনধারা। মায়ের মৃত্যুর পর আমি বা...

Is it possible?

"Many of us think we need to be tensed or stressed to get things done. That may not be true. As an experiment, ask yourself: Is it possible to do everything I need to do today with more ease and relaxed awareness? You may be surprised that you can be a productive person without being overwhelmed." A post shared by Cory Muscara | Mindfulness (@corymuscara)

২০২১ -এর পড়া/ না-পড়া

ঋণস্বীকারঃ বুকটিউবে ঘুরতে থাকা বর্ষশেষের বিবিধ ট্যাগ। ক’টা বই পড়েছেন? পনেরোটা। হাসিরই ব্যাপার, কান্নারও হতে পারে প্রব্যাবলি। তবে মাসে একটার বেশি যে পড়েছি তাতেই আমি ধন্য। কম পড়লেও, এ বছরের পড়া নিয়ে বেশি দুঃখিত হতে পারছি না, কারণ নিচে বলছি। এমন কোনও বই ধরেছেন যা শেষ করেননি বলে আফসোস আছে এবং পরের বছর নির্ঘাত শেষ করবেন? অগুন্তি। কত ভালো ভালো বই যে মন বসাতে পারিনি বলে ফেলে রেখেছি। দুটোর কথা মনে পড়ছে বিশেষ করে। এক, জর্জ সন্ডার্সের “A Swim in a Pond in the Rain: In Which Four Russians Give a Master Class on Writing, Reading, and Life” আর Tove Ditlevsen-এর তিন পর্বের আত্মজীবনী, ‘দ্য কোপেনহেগেন ট্রিলজিঃ চাইল্ডহুড, ইউথ, ডিপেন্ডেন্সি’।  (প্রথম বইটার নাম অবিশ্বাস্য রকম দীর্ঘ বলে রোম্যান হরফে লিখলাম, অতগুলো শব্দ বাংরেজিতে পড়তে অসুবিধে হতে পারে ভেবে, আর দ্বিতীয় লেখকের নামের উচ্চারণ নিয়ে ঝামেলায় পড়ব বলে রোম্যান হরফ বাছলাম। এত কথা বললাম পাছে আপনাদের কেউ ভেবে বসেন যে কুন্তলা কিছুমাত্র না ভেবে যখন ইচ্ছে যেমন হরফে লিখে গেছে।) দীর্ঘতম কী বই পড়েছেন এবং কোন বইয়ের পেছনে দীর্ঘতম সময় ব্যয় করেছেন?...