দেখাশোনা, যাওয়াআসা
বাড়ি যাওয়া কাঁচি হয়ে গেল। বাবার সঙ্গে দেখা হয় না কতদিন। মানে, দেখা হয় রোজই ভিডিও কলে, কিন্তু সে দেখা আর সামনে বসে দেখার তফাৎ আছে।
ভিডিওকল ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং। বাড়িতে যখন থাকি, ধরুন রাস্তায় বেরিয়েছি, মামাবাড়ি যাচ্ছি ইত্যাদি। পৌঁছে বাবাকে ফোন করলাম। নর্ম্যাল ফোন। নর্ম্যাল কথা। কানে ধরে, হ্যালো বাবা পৌঁছে গেছি টাইপ। শহর ছাড়লে কথার কনটেন্ট বদলায়। ভালো আছ তো? ভালো না থাকার কোনও কারণ নেই। বারোঘণ্টা আগে যেমন ছিলেন হাইলি তেমনই আছেন। তবু ওটুকু জুড়ে দেওয়া। বাড়ির চাকা সব গড়গড়িয়ে চলছে? না চললেই বা আমি কী করব? মামাবাড়িতে বসে চাকার খবর নিইনি কিন্তু, যদিও তখনও চাকা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা একইরকম। দুরত্ব আরও বাড়লে কথা আরও বহুমুখে ধায়। কী খেলে, পাড়ায় কী হল। রোজের আপডেট।
এবং শোনার কথা বদলে যায় দেখার কথায়। ভিডিও কল বাধ্যতামূলক হয়। কত দূরে! এতই দূরে যেখানে শুধু কানে শোনায় সান্ত্বনা মেলে না। চোখে দেখতে লাগে।
অথচ দুরত্ব তো সত্যি বলতে একই আছে। দুটো ফোনের মধ্যবর্তী দূরত্বের সমান।
আপনাদের একটা কথা বলি। লুকোনো কথা নয়, আবার হয়তো বলারও নয়। শুনলে হয়তো ভাববেন এ আবার কেমনধারা।
মায়ের মৃত্যুর পর আমি বাবার সঙ্গে কথা বলতে শিখেছি। অফ কোর্স, আক্ষরিক অর্থে শিখিনি। কথা চিরকালই বলতে পারতাম, বাবার সঙ্গেও মৌনব্রত পালন করছিলাম না জীবনের ঊনচল্লিশটা বছর। কিন্তু যাকে বলে ‘কথা বলা’, সেটা বলিনি কখনও। যে রকম কথা মায়ের সঙ্গে বলতাম।
আবারও ডিসক্লেমার, মায়ের সঙ্গে যেমন বলতাম তেমন কথা কারও সঙ্গেই বলি না। কখনও বলিনি, বলার চান্সও কম। এক, সবাই মা না। দুই এবং একের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, পৃথিবীর প্রতিটি সম্পর্কের নিজস্ব কথোপকথনের ধরণধারণ ছাঁদ থাকে। আমার মায়ের কথোপকথনের সঙ্গে সেগুলোর তফাৎ যদি কিছু থেকে থাকে তা হল কাজের এবং অকাজের কথার অনুপাত। কাজের কথা ফুরোয়। অকাজের কথা ফুরোয় না। কী করছ বলে দিনের মধ্যে তিনবার খোঁচা মারা যায়। চোখের খিদেতে গোটা অর্ধেকখানা পিৎজা সাবাড় করে আবার ঘটোৎকচের উপযুক্ত পরিমাণ আইসক্রিম সানডে সাঁটিয়ে পেট কেমন ফাটোফাটো হয়েছে, হাঁসফাঁস করতে করতে জানানো আবশ্যিক ঠেকে। এই তো কাপড় তুলতে এসেছিলাম, তোলা হয়ে গেছে এখন ছাদের রেলিং-এ বসে পা দোলাচ্ছি-র তথ্যটাও ইন্টারেস্টিং লাগে।
বাবার সঙ্গে টপিক লাগত কথার। খাওয়াদাওয়া, বেড়াতে যাওয়া - একটা কিছু। সেটা শেষ হলে গেলে আর কিছু বলার থাকত না। টপিকেরও বাছবিচার ছিল। ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে দুজনের যত সোৎসাহে মাঠে নামতাম, ইলেকশনের প্রসঙ্গে ততটাই তাগিদ থাকত না-ঘাঁটানোর। পাশ কাটানোর। যেখানেই দুনিয়া দেখার প্রসঙ্গ উঠত পা টিপে টিপে সরে যেতাম দুজনে, কারণ দুজনের দেখায় বিস্তর তফাৎ আছে জানতাম দুজনেই।
রোজ কথা বলতে বলতে দুজনের নিজস্ব ভাঁড়ার তৈরি হয়েছে ইদানীং। অবান্তর কথার, অযৌক্তিক রসিকতার, অপ্রয়োজনীয় নিন্দেমন্দের। একে অপরের রসবোধে ধীরে ধীরে গা এলিয়েছি। দৃষ্টির তফাৎটুকু হাত নেড়ে উড়িয়েছি। ভদ্রতার আড়াল রেখে বাবার সঙ্গে কথা বলতে হওয়াটাকে খুব বড় একটা না পাওয়া বলে দেখতে শিখিয়েছিলাম নিজেকে, বাবাও যে এক্স্যাক্টলি সেটাই করতেন আমার সঙ্গে, সেটা যখন চোখে পড়েছে আরও বেশি দুঃখ হচ্ছে। আমার ভদ্রতা মেন্টেনটুকুর থেকেও বেশি দুঃখের। ভালোলাগার সিনেমা রেকোমেন্ড করতে গিয়ে বাবা যখন আধোবাধো হচ্ছেন, 'আমার ভালো লেগেছে, তোমার হয়তো লাগবে না,' পা ঠুকে বলছি, 'না লাগবে। আমি জানি লাগবে।'
এবং চমৎকার লেগেছে আমার সিনেমাটা। কারণ যত দিন যাচ্ছে আমি বাবার মতো হয়ে উঠছি। বাবা আমার মতো।
বাড়ি যাওয়া কাঁচি হওয়ায় তাই দুঃখই হচ্ছে। বারান্দায় বসে পা দোলাতে দোলাতে গল্প হত কতরকম। হল না।
সেই সব মনখারাপ থেকেই হয়তো স্বপ্ন দেখলাম বাড়ির। স্বপ্নে খুব ঝড় উঠল।
আমাদের আমলের বাচ্চারা কী সশ্রদ্ধ ছিল, বড়রা কী বিচক্ষণ - এসব নিয়ে নিশিদিন নালিশ করি, প্রকৃতির বদলটা সামহাউ নোটিস করি না। ভাবুন দেখি, আমাদের আমলের শীত গ্রীষ্ম শরৎ হেমন্ত বর্ষার সঙ্গে এ আমলের শীত গ্রীষ্ম শরৎ হেমন্ত বর্ষার কণামাত্র মিল আছে? আমাদের ঝড়বৃষ্টি ও এখনকার ঝড়বৃষ্টি, যেন আম আর আমড়া। পনেরোমিনিট বৃষ্টি হয়, পরদিন রাস্তায় পাঁচটা মোটা মোটা গাছ মুখ থুবড়ে। এত বাড়াবাড়ি হল? কিছু টের পেলাম না তো?
পাইনি কারণ এখন ঝড় এসেছে ও ফিরে গেছে আমার বন্ধ দরজার বাইরে, বৃষ্টি নেমেছে ও থেমেছে আমার পর্দাটানা জানালার আড়ালে। তখন সে রকম হত না। তখন ঝড় উঠলে ধুলো ঘুরছে, পাতা উড়ছে, পাঁচিলে ঠ্যাকনা দেওয়া সাইকেল উল্টে পড়ছে, মাখনদাদুর গাছের আম টপটপ ঝরছে, যাদের আম স্ট্রিক্টলি খাওয়া নিষেধ কিংবা ভালোও লাগে না অত, লিচু হলে তবু জাস্টিফাই করা যেত এত লাফাঝাঁপি, তারাও ছুটছে সে আম কুড়োতে। তখন বৃষ্টি পড়ছে বারান্দায়, বাগানে, পেঁপে গাছের নরম ডালে ও জানালার শিকে। বেড়ালগুলো নিমেষে অদৃশ্য। ভিজেই যখন গেছি দৌড়ে লাভ কী ভঙ্গিতে ব্রহ্মজ্ঞানী গরু নির্বিকার হেঁটে যাচ্ছে। মেঘ ডাকছে, ব্যাং গাইছে, দড়াম দড়াম বাড়ি খাচ্ছে জানালার পাল্লা যা দিয়ে ছাঁট এসে নিমেষে ভিজিয়ে দিয়েছে বিছানার অর্ধেক। সে দুরন্ত পাল্লাকে বাগে আনতে আনতে, 'ছাদের খটখটে জামাগুলো যে চুবড়ি হয়ে গেল, আনার লোক আমি ছাড়া আর একটাও নেই ?' হাহাকার উঠছে বাড়িতে বাড়িতে।
সেই রকম ঝড় উঠল স্বপ্নে। বিকট আওয়াজ করে ফুলঝুরি জ্বালিয়ে মোড়ের মাথার ট্রান্সফর্মার দেহ রাখল, 'গেলওওও' গণহুতাশের মধ্যে ঘুটঘুটে কিন্তু হাতের তেলোর মতো চেনা সিঁড়ি তিনটে করে টপকে ছাদে পৌঁছলাম।
মা অলরেডি পৌঁছে গেছেন।
স্বাভাবিক। ফোন বাজলে বাড়ির সব বয়সের, সবার থেকে মা বেশি ছুটে ফোন ধরতে পারতেন, কড়া নড়লে বেশি দৌড়ে দরজা খুলে দিতে পারতেন, বৃষ্টি নামার উপক্রম হলে সবার আগে যে তিনিই ছাদে পৌঁছবেন তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
কালো মেঘ ছাদের ওপর ঝুলে আছে, হাত তুললে ছুঁয়ে ফেলব। তারে ঝোলানো কাপড়ে মায়ের হাত, মুখ আমার থেকে অল্প ফেরানো।
তার মানে কিন্তু এই নয় অন্য কাউকে মা বলে ভুল করছি। ওটা মা। মা-ই।
তার মানে এই যে মা আমাকে দেখতে পাচ্ছেন না। আর যদি দেখতে নাই পান, তাহলে আর আমার কাছে আসবেন কী করে?
অদ্ভুত ব্যাপারটা হচ্ছে, মাকে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও আমি দাঁড়িয়ে রইলাম সিঁড়ির মুখটায়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাকে দেখলাম। আমার আর মায়ের মাঝখানের কয়েকটা পা পেরোতে পারলাম না। পেরিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে উঠতে পারলাম না।
বাড়ি যাব, আজ নয় কাল নয় পরশু। মায়ের কাছে আর কোনওদিন যেতে পারব না। স্বপ্নেই সেই যে মনখারাপ হল এখনও চলছে।
তোমার মন খারাপটা ছুঁয়ে গেল কুন্তলাদি। বাড়ি যাওয়াটা তাড়াতাড়ি হোক।
ReplyDeleteআর বোলো না, প্রদীপ্ত। সব গোলমাল হয়ে যাচ্ছে।
Deleteশুধু ভালোবাসা
ReplyDeleteসেম টু ইউ, রণিতা।
Delete:(
ReplyDelete-Parama
এই রে, এবার আমার খারাপ লাগছে। মন খারাপ করবেন না, পরমা। স্বপ্নে মাঝে মাঝে ও রকম হয়। আবার সব ঠিক হয়ে যাবে।
Deleteporte porte ektu knede phellam... jodio ma ke phone korlei awaajta shunte pabo ekkhuni. notun chakri te ektu chaap beshi, tai ma'er "janish ajke bajare ei ei shobji pelam" list ta puro shonar shomoy hoye uthchhe na.
ReplyDeleteBut ei je tumi bolle na, je ma ke shob bola jaye, ei kotha ta khub resonate korlo. Aaj shokale ki ghum theke uthe ki korlam, tar 5 minute por ki korlam, ki jama porlam, ki khelam, kar opor raag holo - ei elomelo kotha gulo ma kei bola jaye. Baba'r shonge boi niye, ektu cinema niye, ei shob "topic" niye kotha boli, shamne thakle hoyto onno kotha boli but phone ey eitukui...
Notun bochhor bhalo katuk tomar, bari jaatey shiggir jete paro shei asha kori, kaku ke kichhudin niye ashto paro Delhi - if it's all safe that is -onar o bhalo lagbe mone hoye.
কেকা, ভারি ভালো লাগলো তোমার মন্তব্য পড়ে। ফর্ম্যাল লাগছে শুনতে, কিন্তু মন থেকে বললাম। ওই আবোলতাবোল কথার মহিমা যে কী। বাবাকে আনা যায়। আনব। একটু মুখ বদলাবে বাবারও। ঠিকই বলেছ।
Deleteনতুন চাকরিতে ঝটপট সেটল কর। করে আরামসে কাকিমার বাজারের ফর্দ শোন, এই কামনা করি।
Bhalobasha nio onek Kuntala...
ReplyDeleteআপনিও নেবেন আমার অনেক ভালোবাসা। আপনার আন্তরিক চাওয়া ভালোলাগা দিল।
Deleteনিজের সাথে বড় মিলিয়ে নিতে পারলাম। আগের লকডাউনে দেড় বছর আটকেছিলাম। এবার কী হবে জানি না।
ReplyDeleteসব ভালোই হবে, এই পিঠচাপড়ানি ক্রমাগত নিজেকে দিয়ে যাওয়া ছাড়া আর রাস্তা নেই, তন্ময়।
Deleteলাস্ট লাইনটা আপনাকে চেনায়, অনিন্দ্য। আমাকেও। বারান্দায় বসে যারা রিকশার প্যাঁক প্যাঁক শুনেছে, সব্বাইকে। ওই দৃশ্য যে কী অসামান্য ডোপামাইন ক্ষরণ করায় পৃথিবীর কয়েকটা লোকের মাথায়, তারাই জানে।
ReplyDeleteস্বপ্ন দেখার ব্যাপারটাও মিলল। স্বপ্ন একটা ঘটনা ছিল একসময়। এখন যাবতীয় ভয় সত্যি হওয়ার কল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝড়ের মধ্যে আছি, মা নেই, মা আমার দিকে তাকাচ্ছেন না, আমি মায়ের কাছে যেতে পারছি না --- এগুলো দেখার মতো বিষয় হল, বলুন? কোথায় শকুন্তলা কালীবাড়ির মেলায় জায়ান্ট হুইল চড়ব স্বপ্নে, তা না।
তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরো, শুভকামনা রইলো। ইদানিং জানো তো ভেতরে ভেতরে কেমন একটা ভয় করে, দিন ফুরোচ্ছে, সময় ফুরিয়ে আসছে বাবা মাকে জাপটে জড়িয়ে বাঁচার। দুজনেই নানা রোগ ভোগে জর্জরিত। বিচ্ছিরি সব স্বপ্ন দেখি, কারা যেন বাবাকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আসলে মায়ের থেকে বাবাই বেশি কাছের, সব গল্প, আড্ডা, রাগ, অভিমান ও তাই বাবার সঙ্গে। আর ভয়টাও তাই আজকাল বড্ড বেশি হয়।
ReplyDeleteঠিকই, শাল্মলী। ভয় আটকে রাখা যায় না। ফাঁকফোকর দিয়ে ঢুকেই পড়ে। তবু যত ভুলে থাকা যায়।
Deleteলেখার শেষ টা নিয়ে কিছু বলা ভারী কঠিন।
ReplyDeleteতবে পড়তে পড়তে ছোটবেলার ঝড়-বৃষ্টির অভিজ্ঞতার কথাগুলো মনে পড়ছিলো - সত্যি, ছোটবেলার সেই কালবৈশাখী গুলো গেলো কোথায় ?
সেই হটাৎ দুম-দাম করে জানলা দরজা পড়া, বিশাল হৈচৈ করে দরজা জানলা সব বন্ধ করা, ছাদের আর বারান্দার থেকে হুড়মুড় করে জামাকাপড় নিয়ে আশা, নানারকম জিনিস নিয়ে বিশাল একটা হৈহৈ দেখা দিতো। ঝড়ের সময় লোড-শেড্ডিং ও হতো প্রায়ই - মোমবাতি বের করে জ্বালানো হতো। দারুন একটা পরিবেশ তৈরী হতো। আর ঝড়ের পরে বাগানের চেহারা একটা দ্রষ্টব্ব্য জিনিস, সেটাও ছিল ততটাই চাঞ্চল্যকর।
আজকাল আছে শুধু ফ্লাট বাড়ির বারান্দা।
মোমবাতিও কিনে রেখেছি, কিন্তু লোড-শেড্ডিং হয় না।
লাস্ট লাইনটা আমারও একটা আফসোস। এবং নস্ট্যালজিয়া যে কী কী জিনিস মিস করায়, ভেবে শিহরিতও। কালবৈশাখীর হইচইটা একটা মারাত্মক হইচই ছিল, বলুন। লোডশেডিং -এ এ ছাদ ও ছাদ আড্ডাটাও।
Deleteঅনেকদিন পর শুশুকের মত ভেসে উঠেই এই লেখাটা পড়লাম। বলেছি কিনা মনে নেই, আমিও তোমারই নৌকায় এই অবস্থায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গত ১৫ বছর ধরে মায়ের সঙ্গে রোজ ফোনে কথা বলতাম। মানে প্রধানত মা'ই বলে যেতেন, আমি খেতে খেতে/কাজ-রান্না করতে করতে/লিখতে পড়তে হুঁ-হ্যাঁ করে যেতাম। আবোল তাবোল বকতামও। মা অনেক বিষয়েই literally খিল্লি করতেন, যেগুলো বাবা'র সঙ্গে কোনোদিন করা যায় না। আগে ফোন করলে বাবা ধরে দু-এক মিনিটের কুশলাদি সেরে বলতেন, 'নে মায়ের সঙ্গে কথা বল।' এখন বাবাকে একাই বলে যেতে হয়, তাই ফোনকলের পরিধি বেড়েছে একটু। কিন্তু খিল্লিগুলো হয় না, পাড়ার কে কী বলল, অমুকে ফোন করে কী ভাট বকল, তমুকে কীসে নেমনতন্ন করল, এসব নিয়ে পিএনপিসিও হয় না। বেশিরভাগ দিনই 'হয় না' গুলো ভেবে মনখারাপ হয়, খুব কম দিনই 'এগুলো ভাল হত' ভেবে ভাল লাগে। ওই 'time heals' না কী, তাতেও প্রচুর সময় লাগবে বোধহয়।
ReplyDeleteহ্যাঁ, খবরটা বলেছিলে, প্রিয়াঙ্কা। টাইম হিল করে, তবে সেটা ঠিক ভুলিয়ে দেওয়া নয় বোধহয়। শোকটা চাপা দিয়ে দেয় বাকি সব কিছুর তলায়। সে বেরোয়, যখন তখন, যদিও তারও ফ্রিকোয়েন্সি কমে হয়তো, কিন্তু বেরোয় যখন, কী মূর্তিতে বেরোবে সেটা নিশ্চিত করার কোনও উপায় নেই। হয়তো দেখবে তার দাঁত নখের ধার কমে গেছে, কিংবা হয়তো আরও বেড়েছে। তাছাড়া কোন পরিস্থিতিতে বেরোচ্ছে, সেই সময় তোমার বাকি জীবনের চেহারা কী, এ সবও ম্যাটার করে আমার ক্ষেত্রে দেখেছি।
Delete