একত্রিশে
টাকার কি অভাব আছে তোমার? মায় বাবায় সারা জীবন রোজগার করল কার লিগ্যা? আর তো ভাগিদার নাই কেউ। আধামাধা না, পুরা রাজত্বই তো তোমার। আমাদের সেকেলে বাড়ির মধ্যে ঠাকুমার ঘরটা আরও সেকেলে। ঘরের সঙ্গে ঘরের লোকের বোঝাপড়া থাকে বোধহয়, সময়ের দৌড়ে কেউই কাউকে ফেলে এগিয়ে যেতে চায় না। বাকিরা এগোচ্ছে এগোক, আমরা হাত ধরে থাকি। ওদের ঘরে কাঁচের বাহারি শোকেস আসছে আসুক, আমাদের এই কাঠের পাল্লা টানা বেঁটে আলমারিই ভালো। ওদের ঘরে কাজের জিনিস সব কাবার্ডে তোলা। আধুনিক সিস্টেমই হল সব কাজের জিনিসপত্র লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা। বাড়িতে যে মানুষ থাকে, তারা যে চলাফেরা করে, ঘুমোয়, খায়দায়, দাঁত খোঁচায় --- সেটা বোঝা গেলেই কেলেংকারি। আমরা খোলামেলা যুগের মানুষ, আমাদের দেওয়ালে তক্তার খোলামেলা তাকের ওপর কেলেকুষ্টি ফ্রেমের ছোট আয়না, আয়নার পাশে শালিমার তেলের শিশি, নর্তকীর ডিজাইনওয়ালা হলুদ রঙের পাউডারকেস। কেসের ঢাকনা তুললে এখনও পিসির গায়ের আবছা গন্ধ আসে। আড়াই দিনের ছুটি নিয়ে এসেছি। ভাগাভাগি হয়ে এ বাড়ির ভাগে পড়েছে প’নে এক দিন। খাওয়া ঘুম পাড়াপড়শি সামলে ঠাকুমার পাশে বসার ভাগে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এই পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মুখ চেয়ে ঠাকুমা ...