চাকার কথা
একজোড়া চাকার একটা জখম হয়ে
কেতরে পড়ে আছে রাস্তার ধারে, অন্যজোড়ার ডাক পড়েছে দেশান্তরে, কর্মসূত্রে। সংসারের
গাড়ি চলে কী করে বলুন দেখি, যদি না কোথাও থেকে একজোড়া চাকা জোগাড় করা যায়?
কপাল ভালো, ‘চাকা চাই’
বিজ্ঞাপন দেওয়ার দিনকয়েকের মধ্যেই চাকা এসে হাজির। তৎকাল টিকিট কেটে। রবিবার
দুপুরে অর্চিষ্মান দরজা খুলে দেখে বাইরে চাকা দাঁড়িয়ে আছে। চকচকে চোখ, জ্বলজ্বলে
হাসি, ডানহাতে নীল রঙের ছোট কিন্তু টইটম্বুর সুটকেস, বাঁ কাঁধ থেকে ঝুলছে ব্রাউন
চামড়ার ব্যাগ। ফ্যাশন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা থাকলে কেউ সে ব্যাগ দশফুট
লম্বা চিমটে দিয়ে টাচ্ করবে না। তবে যাঁদের রেগুলার বেসিসে অফিসটাইমের তারকেশ্বর
লোকালে চড়তে হয়, নিজেকে কোনওমতে ট্রেনের কামরায় গুঁজে দিয়ে প্ল্যাটফর্মের উত্তাল
জনসমুদ্র থেকে ‘হেঁইও’ টানে ব্যাগ উদ্ধার করে আনতে হয়, হ্যান্ডেল অক্ষত রেখে,
তাঁদের পক্ষে এই আনফ্যাশনেবল মডেলই কাজ দেয় ভালো।
চাকার সিভি ইমপ্রেসিভ।
পঁয়ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে অন্য একটি সংসারকে গড়গড়িয়ে চালানোর অভিজ্ঞতা।
পঁয়ত্রিশ শুনেই আপনারা আঁতকে উঠছেন হয়তো। ভাবছেন, সে কী! এর তো রিটায়ারের সময় হয়ে
গেছে, এখন এ নতুন করে সংসার ঠেলবে কি? উঠতে গেলে ‘মা’ বলবে, বসতে গেলে ‘বাবা’,
চলতে গেলে চতুর্দিক থেকে ‘ক্যাঁচকোঁচ’ আওয়াজ বেরোবে, শেষটায় দেখবে তোমাকেই না একে
ঠেলতে হয়।
আশঙ্কা অমূলক। আর পাঁচটা
জিনিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় হয়, জং ধরে, কলকবজা ঢিলে হয়, কিন্তু চাকার ব্যাপারটা
একটু অন্যরকম। ভালো জাতের চাকা হলে, সময় যত গড়ায়, তত তার অভিজ্ঞতা বাড়ে, পটুত্ব
বাড়ে, অভ্যেসে অভ্যেসে চারধার মসৃণ হয়ে ওঠে। তখন অতি দুর্গম সংসারপথও তার কাছে
তুশ্চু। ব্র্যান্ড নিউ চাকাদের (এই যেমন আমরা) সে রাস্তায় ছুটতে যখন নাভিশ্বাস,
ঝাঁকানির চোটে নাটবল্টু খুলে আসার জোগাড়, ‘মাগো বাবাগো গেলামগো’ আর্তনাদে
আকাশবাতাস রণিত, তখন সেই বুড়ো চাকারা ‘ভয় নেই ভয় নেই’ বলে ছুটে চলে। যেন কেকওয়াক।
আমার সংসারও এখন ছুটে
চলেছে। আমার বিন্দুমাত্র অবদান বা অঙ্গুলিহেলন ছাড়াই। ঠ্যাং ছড়িয়ে পড়ে আছি (শখে
নয়, নিতান্ত অসহায়তায়), আর সকালের ওষুধ থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগের
জলের গ্লাস, সব চাকাবাহিত হয়ে চলে আসছে নাকের ডগায়। আমি শুধু কোনওমতে শরীরখানা
তুলে ক’ঘণ্টার জন্য অফিসে নিয়ে গিয়ে রাখছি, আবার অফিস থেকে তুলে বাড়িতে এনে ধপাস
করে ফেলছি।
প্রথমদিন ফিরে অবশ্য ধপাস
করে পড়ার আগে এক মিনিট থামতে হয়েছিল। এ কার বাড়িতে ঢুকে পড়েছি? অটো থেকে নেমে দরজা
দিয়ে ঢুকে প্রথমে লেফটেই তো বেঁকলাম, তারপর রাইটে। ঘরটার দরজাজানালা, খাটবিছানার
অবস্থানও আমার ছেড়ে যাওয়া ঘরটার মতোই ঠেকছে। ব্যস, মিলের ওইখানেই ইতি। দেওয়াল আছে
দেওয়ালের জায়গাতেই, কিন্তু দেওয়ালের গোলাপি রং ঝকঝক করছে। কী ম্যাজিক করলে? এই তো
টেবিলে চড়ে টিউবলাইটটা একটু আলতো করে মুছে দিলাম। বিছানায় নতুন বেডকভার। কোত্থেকে
পেলে? কেন আলমারি খুলতেই গায়ের ওপর ধপ করে পড়ল তো, পেতে দিলাম।
সবটা যে আনন্দের তাও নয়।
রাগ, হিংসে ইত্যাদি ভালো ভালো ইমোশনও আছে। আমারই সংসার, সে হলই বা ছ’মাসের, চাকার
হাতে পড়ে এমন ভাব করছে যেন আমাকে চেনেই না। অকৃতজ্ঞ চায়ের কাপ, আমি কবজি ঘুরিয়ে
ঘুরিয়ে ব্যথা করে ফেললাম, পাঁশুটে মেরে রইল, আর এখন দেখ? রঙের জলুস দেখে মনে হচ্ছে
দোকান থেকে কিনে আনা হয়েছে দু’ঘণ্টা আগে। ফিজিওথেরাপি করা কবজির ব্যাপারই আলাদা
দেখা যাচ্ছে। অফিসে গিয়ে ব্যাগ খুলে দেখি ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে আছে কিউট টিফিনবক্স,
(একি এটাই তো নতুন বাড়িতে আসার পর আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না!) আর বাক্সের ভেতর
ঠাসাঠাসি কাজু, কিশমিশ, আমন্ড। এইবার একটা হেস্তনেস্ত করে ফেলব বলে ফোন তুলি। ‘কাল
বিকেলে মানিব্যাগ বাজারে উপুড় করে দিয়ে এসেছ বুঝি?’ ওদিকের গলার তাপউত্তাপ নেই। ‘উপুড়?
মানিব্যাগ? তাও আবার নিজের মেয়ের জন্য? পাগল নাকি? সব তোমার রান্নাঘরেই ছিল। চোখ
বন্ধ করে থাকলে আর দেখবে কী করে বল।’
চাকা আর আমি সন্ধ্যেবেলা
বসে বসে মুড়িচানাচুর দিয়ে চা খেতে খেতে টিভি দেখি। আদালত, সি. আই. ডি.---পর্দায় যা
চলে তার দিকে তাকিয়ে থাকি। এই ব্যাপারে আমাদের মিল আছে, বিনোদন নিয়ে বিশেষ
বাছাবাছি নেই। তাকিয়ে থাকি আর মনে মনে চমৎকৃত হই। কে. ডি. পাঠকের সুপারম্যানোচিত
ক্ষমতায় নয়, এই যে আমি আর চাকা পাশাপাশি বসে টিভি দেখছি এই ঘটনাটাতে। বাঘে গরুতে
এক ঘাটে জল খাওয়ার থেকে কোনও অংশে কম নয় এ জিনিস। একসময় টিভিকে সাক্ষাৎ শয়তানের
অবতার মনে করতেন চাকা। একমাত্র সন্তানকে সে শয়তানের হাত থেকে বাঁচাবেন বলে নিজে
অন্তত গোটা দশেক বছর টিভিমুখো হননি। আর তিনিই কিনা দু’হাতে চায়ের কাপ ব্যালেন্স
করে ধরে, মুণ্ডু দিয়ে পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে এখন বলেন, ‘টিভিটা চালাবি নাকি
রে সোনা, আদালত শুরু হবে না এখন?’
হুডিনি, পি. সি. সরকার,
সিনিয়র বা জুনিয়র, গ্যান্ডাল্ফ বা ভল্ডেমর্ট---সময়ের থেকে বড় ম্যাজিশিয়ান কি আর
কেউ আছে, না হবে কোনওদিন?
আদালত বা সি. আই. ডি.-র
মাঝে আসে অ্যাডভার্টাইজমেন্টের বান। ইরফান খানের বাড়ির ছাদ ফুটো করে সেক্সি
মহিলারা ধুপধাপ নেমে আসেন, লাইফ ইনশিওরেনসের বিজ্ঞাপনে ছেলে বাবাকে আশ্বাস দেয়, ‘চিন্তা
কোর না বাবা, তুমি মরলে আমি পড়া ছেড়ে সংসারের হাল ধরব।’ মেয়ের পড়াটড়া ছাড়ার হাঙ্গামা
নেই, তাই বলে তার দায়িত্ববোধ কম নয়। সে কথা দেয়, বাবা মরলে সে বিয়ে করবে না। এ বাড়িতেই
থেকে সকলের দেখভাল করবে। কুসুম লাস্টে খাওয়ার মতো বেস্ট বিজ্ঞাপনটাও শেষের জন্য
তোলা থাকে। বক্সিং রিং। দুই মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী একে অপরের দিকে এগিয়ে চলেছেন। চোখেমুখে
রক্তের ক্ষিদে। কওন বনেগি বেস্ট পত্নী? বেস্ট মা? আসন্ন ক্যাটফাইট প্রত্যক্ষ করার
উত্তেজনায় দুই চোখ বিস্ফারিত পুরুষ রেফারির। বাঁশিতে ফুঁ দেবেন দেবেন, এমন সময় হাসির
শব্দে আমার সম্মোহিত হাঁ-মুখ বন্ধ হয়। হাসিটা টিভি থেকে নয়, আমার পাশ থেকে আসছে।
নিজের চোখকানকে বিশ্বাস করতে পারি না। আমার বলে কিনা কান দিয়ে ধোঁয়া বেরোনোর
উপক্রম হয়েছে, আর এদিকে . . . তেড়েমেড়ে জিজ্ঞাসা করি, ‘কোন জায়গাটা দেখে হাসি পেল
তোমার?’
‘পুরোটাই তো হাসির। না
হাসলে তো বাঁচতে পারবি না মা।’
কে জানে। হাসি না কান্না,
কোনটা যে ঠিক প্রতিক্রিয়া, আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। চাকার সে সমস্যা নেই, বা
সমাধান করে ফেলেছেন তিনি নিজের মতো করে। হেসে উড়িয়ে দেওয়ার সমাধান। বাঁচতে হলে
হাসতে হবে। তাই তিনি হেসে চলেছেন সকালবিকেল দুপুররাত্তির। একঘরে থাকলে গল্পের চোটে
সব কাজ মাথায় ওঠে, তাই আমি বকেঝকে চাকাকে অন্যঘরে পাঠিয়ে দিই। খানিকক্ষণ সব
চুপচাপ, আমার কাজ (একটু কাজ আর অনেকটা ইউটিউব) এগোচ্ছে হইহই করে, এমন সময় হঠাৎ
উচ্চকণ্ঠে হাহাহোহোহিহি।
“মা! আস্তে হাসো!’
‘সরি সরি, আর হাসব না। রাগ
করিস না সোনা।’
পাঁচমিনিট বাদে আবার। এবার
আগের থেকেও জোরে। বকব কি, আমার নিজেরই হাসি পেয়ে যাচ্ছে।
‘কী পড়ছ গো মা?’
‘এই জায়গাটা একটু শোন সোনা।’
চাকা ওঘর থেকে চেঁচিয়ে রিডিং
পড়েন। সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌর পর’ রচনা থেকে। সঞ্জীব লিখেছেন এক কানে কালা
বামুনের কথা। সে বামুনের দারুণ গল্পের শখ, কিন্তু গল্পের বিষয় বা বৈচিত্র্য
কোনওটাই পাতে দেওয়ার মতো না। শ্রোতারা অনেকদিন বামুনঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি
দেখিয়ে চুপ করে ছিল, একদিন একজন আর থাকতে না পেরে বলল, ‘আর ঠাকুর, ছাড়ান দেন।
আপনার গপ্প আর ভাল্লাগে না।’
বামুনঠাকুর আকাশ থেকে
পড়লেন। বললেন, ‘সে কী করে হবে, গল্প যে এখনও শেষ হয়নি।’
আমার আর আমার চাকার গল্পও
শেষ হওয়ার নয়। সে আপনারা শুনতে চান আর না চান, এ গল্প আমাকে করেই যেতে হবে। যতদিন
বাঁচব ততদিন।
K ei post ta khub bhalo laglo! tomar aar chakar janne anek anek shubhechha.
ReplyDeleteথ্যাঙ্ক ইউ,শম্পা।আমারও পোস্টটা লিখতে খুব মজা হয়েছে, মায়ের কথা সাতকাহন করে বলতে গেলে সবসময়েই হয়।
Deletedaaaarun laglo
ReplyDeleteভেরি গুড, ইনিয়া।
Deleteki bhalo ,ki bhalo lekha :) kakimar kache galpo sunte iche korche .- tinni
ReplyDeleteকাকিমাও তোর্ সঙ্গে গল্প করতে পেলে বর্তে যাবে, তিন্নি।
DeleteChaka hochchhe manobsobhyotar sreshtho abishkar. Hnu hnu bawa! :D
ReplyDeleteএটায় একেবারে হায়েস্ট ফাইভ, বিম্ববতী।
Deleteবললে হয়ত বিশ্বাস করবে না কুন্তলা, আমি ভাবছিলাম কুন্তলার এই অবস্থায় মিসেস ব্যানারজি এলেন বলে । অতএব লেখাটা পড়ে আমার কেমন লাগছে বুঝতেই পারছ। আফটার অল, মিসেস ব্যানারজি আমার খুব ফেভারিট কিনা ।
ReplyDeleteমিঠু
সিরিয়াসলি, মিঠু? দেখেছ, একে বলে টেলিপ্যাথি। তোমরা আধুনিক লোকেরা তো কিছুই মানতে চাও না। বাই দ্য ওযে, মিসেস ব্যানার্জি আমারও খুব প্রিয়, তোমার সঙ্গে এ ব্যাপারে আমার মিল দেখতে পাচ্ছি।
DeleteTomar Ma-r songe alaap korte ichchhe korchhe ! Ekdin niye esho na amader barite !!
ReplyDelete.................Tilakmama
তিলকমামা, আমি নিশ্চিত মায়েরও তোমাদের সঙ্গে আলাপ করে দারুণ লাগবে, কিন্তু এখন চলাচল একটু অসুবিধে বুঝতেই পারছ। নেক্সট বার নিশ্চয় মাকে নিয়ে যাব তোমাদের বাড়িতে।
Delete:-) darun to. ebar to sere othata ar kono byapari noi.
ReplyDeleteঅর্ধেক সেরেই গেছি ইচ্ছাডানা। শরীরের সারা তো মনের ওপরেই নির্ভর কি না।
DeleteKi moja tomar Kuntala! Tobe tumi ektuo hingshe korona, purono chakader systemtai alada. Kijani kon dhaner chaal kheten (tweaking a popular hindi proverb)!
ReplyDeleteসিরিয়াসলি রুণা, সে চাল আজকাল আর পাওয়া যায় না বোধহয়। তুমি ঠিকই বলেছ, মা এসেছেন বলে দারুণ ভালো লাগছে।
DeleteErom chakar gari cholche cholbei...:)
ReplyDeleteচলবে চলবে, রাখী।
Deletekonya r subade ami o amar chaka ekhon eksathe, tai eta r o beshi kore bhalo laglo... tomar plaster kobe khola hochhe.... sabdhane theko...
ReplyDeleteবাহ, এখন তিন প্রজন্ম একসঙ্গে বসবাস করছ তাহলে, গোবেচারা? দারুণ মজা হচ্ছে নিশ্চয়? প্লাস্টার কাটতে আরও দু'সপ্তাহ।
DeletePost pore amar mone hochchilo amader katha gulo tumi janle ki kore!
ReplyDeleteHoyto sab ma -meyer obhigyota i ekrakam hoy.Khub bhalo lekha.
সব মা এক, সব মেয়ে এক, সব মা-মেয়ে এক, কথাকলি। লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাঙ্ক ইউ।
Deleteতোমায় খুব হিংসে হচ্ছে। কেমন অসুখ হতেই মাকে পেয়ে গেলে। এখন আমার খুব অসুখ। আমি একা ঘরে শুয়ে শুয়ে প্রাণপনে মাকে ডেকে চলেছি। ভাল থাকলে মা এক দৌড়ে চলে আসত। কিন্তু মা এখন খুব অসুস্থ। সেরিব্রালের রোগী। আর মা আসবে না। কুন্তলা, মার ছোঁয়া, মার গায়ের গন্ধ, তার যে কি আকর্ষণ ! আমার কিন্তু মার পদে বসার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু তবুও। এমন কি আমার ধেড়ে ছেলেটাও এসে আগে দাদির গায়ের গন্ধ খোঁজে।
ReplyDeleteএই যা, আপনার অসুখ করেছে, মালবিকা? কী হবে। আশা করছি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। মায়ের ছোঁয়া সত্যি একটা অন্যরকমের জিনিস। আমি নিজে মাঝে মাঝে নিজের মাথায় আঙুল বুলিয়ে মায়ের আঙুল রেপ্লিকেট করার চেষ্টা করি, একেবারেই হয় না। আমার হচ্ছে গিয়ে স্রেফ আঙুল, আর মায়ের ... কে জানে কী। মাথার বাইরে হাত বোলাচ্ছেন, এদিকে ভেতরটাও ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। ম্যাজিকের মতো।
Deleteআপনার আর আপনার মায়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল মালবিকা। আপনারা দুজনেই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
oshadharon :) durdanto :) :)
ReplyDeleteআরে ধন্যবাদ ধন্যবাদ অরিজিত।
DeleteLekhata pore kirokom mone holo purono chakagulor vyapar i alada. Shob meyer kachhei.amar kirokom mone hoy shudhu ma I holam.cheshta korleo chaka hoye uthte parbona bodhoy
ReplyDeleteআমি বলছি তোমার এ আশঙ্কা ভুল। মা হলে চাকা হওয়াটা আপসে আসে। তোমার ছোট ছানার কাছে তুমি অলরেডি চাকা হয়ে গেছ, তুমি নিজে না জানলেও।
DeleteHoyto 😊 kintu ager chakahulor vyapar I alada.tumii jai bolo.
Deletekal abantor haste peloom. Bejay khushi😄
আরে থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ Tinker Bells. খুব খুশি হলাম।
Deleteখুব ভালো লাগলো পড়ে। আপনি এবার খুব শিগগিরই সেরে উঠবেন। পা ভাঙ্গারও তাহলে একটা ভালো দিক আছে দেখা যাচ্ছে। তবে দেশের টিভিতে বিজ্ঞাপনের মান এত পড়ে গেছে শুনে অবাক হলাম।
ReplyDeleteবিজ্ঞাপন নিয়ে আর বলবেন না, যত কম দেখা যায় ততই ভালো। আমার স্পষ্ট মনে আছে,আমি আগে টিভিতে বিজ্ঞাপনই দেখতে ভালোবাসতাম, অনুষ্ঠানের থেকেও বেশি, এখন ব্যাপারটা ঠিক উল্টো হয়ে গেছে। পা বেশ ভালোই সারছে বুঝলেন তো। ডাক্তার সেকেন্ড একস-রে দেখে বলেছেন, 'এক্সেলেন্ট প্রগ্রেস!'
Deleteporar sathe sathe mayer kache jete ichee korche kintu upay nei.....kakimar kotha moto haste giyeo dekhi haste parchina...keno je ei porobase...
ReplyDeleteআহা, পরবাস আবার কীসের, সুমনা। এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগ, সারা পৃথিবীটাই আমাদের নিজের ঘর। তুমি হয়তো দেখতে পাচ্ছ না, কিন্তু আমি হান্ড্রেড পার সেন্ট শিওর, তোমার মা তোমার সঙ্গেই আছেন টোয়েন্টিফোর সেভেন, মনে মনে।
Deletedarun laglo tomar lekha ta. Ma ei ekta shabder moddhe je kato kichu ache ta bodhay gune bola jay na...
ReplyDeleteekta katha boli tomay...kalkei ma-ke phon kore bolchilam...amar konna-r bayosh 2 bachor 11 mash. o jakhan 9th months er takhan ami abar job resume kori. jakhan o bujhte shikhlo je ma oke chere office jay takhan prochondo kanna kati korto...charte chaito na...amar o khub kharap lagto...kintu kichu karar nei...ami konorakame oke phanki diye ashtam...jodio or puro najor thakto darjar upor, kan khar kore amar awaj shonar cheshta korto. ekbar ami dupur-e phone korechi or khonj neoyar jonno (eta routine call) konobhabe o amar galar awaj peye jay...meye kende kete eksha...o jar kache thake shei mashi ke diye oke barir baire ante baddho kare...ki na mamma boleche mamma-r office niye jete....tarpar ami bhaye bhaye phone kortam...r shei meye kalke ami phone korechi o kheyeche kina jana-r jonno to mashir kach theke phone niye amake bollo ami khacchi mamma tumio kheye nao, tarpar ami ghumobo tumi chole esho.
phone ta rekhe ter pelam amar meye baro hoye geche...kemon ekta lagchilo...eibhabei o baro hoye jabe jemon amra gechi...ekta shamay ma-r theke baro shotru r kauke mone habe na, jemon amar mone hoto...tarpar realise korbe hayto ma chara puro jagot-tai andhokar...ami ekhan ma... kintu amar nijer upor tatokhani confidence nei jatota amar mayer upor ache...hayto konodin-i anteo parbo na she ta
তোমার কমেন্ট পড়ে খুব ভালো লাগল দেবশ্রী। তোমার কত কষ্ট হত মেয়েকে ছেড়ে অফিসে আসতে, অল্প অল্প কল্পনা করতে পারছি। কিন্তু দেখেছ মেয়ে কেমন বুঝদার হয়ে উঠেছে? আবার তোমার খাওয়াদাওয়ারও খেয়াল রাখছে। দিনের একটা সময় তোমার থেকে দূরে দূরে থেকেই হয়তো ওর ভেতর এমন একটা স্বাধীন আর সহানুভূতিসম্পন্ন মানুষ মাথা তুলে উঠছে, কে বলতে পারে?
Deleteমাকে শত্রু মনে হওয়ার কথাটা যা বলেছ। আমি আমার দেবতার মতো মায়ের সঙ্গে যা ঝগড়াঝাঁটি করেছি (এখনও কি করি না?) সেটা মনে পড়লে আমারই লজ্জার চোটে বনবাসে যেতে ইচ্ছে করে। তবু মা রাগ করেননি, আমাকে ফেলে বনবাসে চলে যাননি। পৃথিবীতে এই একটা সম্পর্ককেই বোধহয় এতখানি 'টেকেন ফর গ্র্যান্টেড' নেওয়া যায়, তাই না?
তোমার আর তোমার ছোট্ট মেয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ও অনেক বড় হোক, তোমাকে আরও অনেক অনেক ভালোবাসুক, এই কামনা করি।
Ami tomar theke anek chhoto Debiswarir ek ex-student didi, 2004 Madhyamik pass out..amake chinbe na....Paramita dir FB te tomar ei blog er link peye ekhon er vokto hoe gechi. Officer byasto kajer fane abantor poratai amake ekhon sob cheye beshi relief dey. Aj ker tomar lekhata pore sotti i mon chhue gelo, didi. Amar maa, tomar maa, sokkoler mayera proteeke emon i hon. khub valo theko ar erkm i sundor sundor lekha amader upohar die jeo.
ReplyDeleteসর্বনাশ দেবারতি, তার মানে আমি যখন স্কুল ছেড়েছি তুমি থ্রি-তে পড়তে। বোঝো। নাকি তুমি 'নতুন মেয়ে'? ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছ?
Deleteঅবান্তর ভালো লাগছে? গুড গুড। মায়েদের সম্পর্কে আমারও একই মত। দেশকালজাতিবর্ণধর্ম নির্বিশেষে সব মা-ই এক ও অবিকল।
গুরু, চাকাকিমা কে একটা পেন্নাম আর অনেকটা আদর দিও। আমার চাকা আপাতত দু একটি স্পোক জখম করে লটকে আছেন, নইলে তোমার মতই চায়ের কাপ আর সিরিয়াল নিয়ে হাসাহাসি করার দিন আসছিল :(
ReplyDeleteস্যাড ব্যাপার প্রিয়াঙ্কা। আশা করি কাকিমা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
Delete