একটি জটিল প্রেমের গল্প



আগরতলা ভ্রমণের আমার বেশি কিছু মনে নেই, যদিও ওটাই আমার জীবনের প্রথম এরোপ্লেন চড়া। আবছা আবছা তিনচারটে দৃশ্য মনে পড়ে। হোটেলের একতলায় কোল্যাপসিবল গেটের ওপারে সারাদিন শুয়ে আছে একটা বিরাট ঝুপসো কুকুর, কেশে কেশে ক্লান্ত আমাকে কোলে করে করিডরে সারারাত পায়চারি করছে রোগা পিসি, ডাক্তারখানায় ওজনযন্ত্রের ওপর অনাবৃত ঊর্ধ্বাঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি আমি, ভালোমানুষ দেখতে একজন বুড়ো ডাক্তার খসখস করে সাদা কাগজে কী সব লিখছেন। পরে জেনেছিলাম ওঁর নাম ডঃ গোবিন্দ চক্রবর্তী আর কাগজে উনি যেগুলো লিখছেন সেগুলো সব হামের ওষুধ। ওঁর পরামর্শেই বেড়ানো সংক্ষেপ করে আমাদের ফিরে আসতে হয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনাটাও আমার মাথা থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু এতদিন পরেও একেবারে স্পষ্ট যেটা মনে আছে সেটা হচ্ছে একটা ধুলোয় ধূসরিত পথ, পথের দুপাশ দিয়ে শনশন করে পেছনদিকে ছুটে যাচ্ছে গাছপালা-বাড়িঘর-বাড়ির গায়ে আল্পনাওয়ালা কঞ্চির বেড়া। সামনের সিটে বসেছেন ড্রাইভার আর বাবা, পেছনের সিটে মা আর পিসির মাঝখানে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে বসে আছি আমি। মা ধুলো থেকে বাঁচার জন্য আঁচল দিয়ে নিজের মুখমাথা সব ঢেকে বসেছেন, আমাকেও প্রাণপণে সে আড়ালের ভেতর ঢোকানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু আমি অবাধ্য হয়ে বারবার মুণ্ডু বার করে আকাশবাতাস দেখছি। চারদিকে একটা কানফাটানো ভটভট আওয়াজ, আর সঙ্গে মানানসই ঝাঁকুনি।

সেই সোয়া পাঁচ বছর বয়সের ওই ধূলিধূসরিত মধ্যাহ্নটিতে আমি বুঝতে পেরে গিয়েছিলাম, আমার সারাজীবনের প্রিয়তম বাহনটির সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গিয়েছে। ওই গতি, ওই তেজ, সমাজসংসারসভ্যতার ওপর ওই ধুলো উড়িয়ে কান ফাটিয়ে মগজের ঘিলু ঝাঁকিয়ে ছুটে চলা --- চলতেই যদি হয় তবে জীবনের পথ ধরে এভাবেই ছুটে চলব আমি।

জীবনের পথে আমি ছুটেছি না হামাগুড়ি দিয়েছি সেটা কথা নয়। কথাটা হচ্ছে অটোর প্রতি আমার নিষ্ঠায় এখনও ফাটল ধরেনি। অটো এখনও আমার ফেভারিট বাহন। গায়ে হাওয়া লাগে, জ্যামে গোবদা গাড়িঘোড়ার ফাঁকফোকর গলে বেরোতে পারে, গোটা সিটে একলা বসে খোদাতালার আকাশবাতাস জনমনিষ্যি গরুছাগল বাসট্রাক দেখতে দেখতে পথ চলা যায়। সবের মধ্যে আছি, আবার নেইও। ভিড়ের মধ্য দিয়ে চলেছি, অথচ ভিড়ের চ্যাটচেটে ঘামটুকু গায়ে লাগছে না। এর ওপর যদি সে গাড়িতে এফ এম থাকে, তাহলে তো একেবারে সপ্তম স্বর্গ।

এক কথায় অটোকে আমি ভালোবাসি, অটোও আমাকে ভালোবাসে। অন্তত খারাপ বাসে বলে তো মনে হয় না।

এইটুকু বললে একটা ভালোবাসার গল্প হয় বটে কিন্তু ভালো গল্প হয় না। যতক্ষণ না গল্পে শর্ত, স্বার্থ, অধিকারবোধ, ঈর্ষা, সন্দেহ, হারাই-হারাই, পালাই-পালাই ইত্যাদি ভালো ভালো ভাব এসে জোটে ততক্ষণ ভালোবাসার গল্প আধাখ্যাঁচড়া। অসত্য। আর অসত্য গল্প কি কখনও ভালো হতে পারে?

অটোর সঙ্গে আমার ভালোবাসাটি ভালো আর তাই সে ভালোবাসা জটিলতাশূন্য নয়। সে এমন জটিলতা যার কথা প্রাণের বন্ধুর কাছেও খুলে বলা যায় না। রক্তের সম্পর্কের কাছেও না। নিজের কাছেই যায় না অনেকসময়। মনের ভার যদি হালকা করতেই হয় তবে যেতে হয় কোটরওয়ালা বুড়ো গাছের কাছে। গাছ না পাওয়া গেলে ইন্টারনেটের অচেনা অদেখা বন্ধুরাও চলতে পারেন।

অনেকদিন আগে এক বিদগ্ধ দাদা বলেছিলেন, পৃথিবীর কোনও দুটো লোকের মধ্যে মাত্র দুটো জিনিসে কক্ষনও মিল হয় না। এক, বুড়ো আঙুলের আঁকিবুঁকিতে, দুই, প্রেম করার স্টাইলে। এমনকি একটাই লোকের প্রেম করার স্টাইল স্থানকালপাত্রভেদে বদলে বদলে যায়। কোনও প্রেমের প্রতি সে নিঃশর্ত আনুগত্যে হাঁটু গেড়ে বসে, কারও ওপর দিবারাত্র সর্দারি ফলায়, কারও ওপর সর্দারি ফলাতে চেয়েও পারে না, উল্টে নিজেই নাকের জলে চোখের জলে হয়।

অটোর সঙ্গে আমার প্রেমটা এই তৃতীয় গোত্রের।

অথচ এ রকমটি ছিল না জানেন। প্রথম যখন আমি নিয়মিত অটো চড়তে শুরু করি সেটা ক্লাস ইলেভেন হবে। শ্রীরামপুর স্টেশনে নেমে স্কুল পর্যন্ত যেতে অটো বা তিন নম্বর বাস ধরতে হত। বাসের ভাড়া অটোর থেকে কম ছিল আর আমি তখন বেকার ছিলাম, কাজেই সেদিক থেকে দেখলে আমার বাসে চাপাই যুক্তিসঙ্গত ছিল। তাও অযৌক্তিক অটো আমি কেন চড়তাম, সেটা আপনাদের বলছি। মোটে ছ’টি চড়নদার জোগাড় হলেই অটো ছেড়ে দিত, কিন্তু তিন নম্বর বাস ঠায় দাঁড়িয়ে থাকত যতক্ষণ না গোটা দেড়শো লোক উঠে বাসের পেট ফাটোফাটো হয়। বাসের অপেক্ষায় থাকলে রোজই আমার ফার্স্ট পিরিয়ড পেরিয়ে স্কুলে ঢুকতে হত, কাজেই বাবামা দয়া করে আমাকে দেড় টাকার জায়গায় তিন টাকা খরচ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

প্রেমের গোড়ার দিকের একটি সীমাবদ্ধতা হচ্ছে অদূরদর্শিতা। তখন প্রেম বলতে শুধু প্রেমের উৎসটির কথাই মনে পড়ে। সে উৎসেরও যে উৎস আছে, তারও যে মাথা বাঁধা আছে অন্য কোনও খুঁটি বা গাছে, তারও যে বাড়িতে আছেন বদমেজাজি গুঁফো বাবা, ছিদ্রান্বেষী মা, স্বরচিত কবিতার বই গছানো মেসোমশাই --- সেটা কী জানি কেন কল্পনাতেই আসে না।

আমারও আসেনি। অটো নিয়ে তখনও আমার মোহাঞ্জন অটুট। আমার কাছে তখনও অটো মানে গতি, উত্তেজনা, রোমাঞ্চ। সকালবিকেল লালপাড় সাদাশাড়ি ইউনিফর্মের মাড় দেওয়া কড়কড়ে আঁচল বিজয়পতাকার মতো ওড়াতে ওড়াতে বটতলার জ্যাম ছিঁড়ে সদর্পে আওনযাওন। আমি তখন শুধু দেখেছি তার হলুদকালো ডোরাকাটা নির্ভীক শরীর, শুনেছি তার কর্ণপটহবিদারী চাঁচাছোলা স্বর, খেয়েছি তার বিস্তৃত বাতায়নের হাওয়া। সে স্বর-শরীরের কিছুই যে তার নিজের নয়, তার ললাটের ঝলমলে ঝালর থেকে শুরু করে পশ্চাদ্দেশের টা টা বাই বাই, ফির মিলেঙ্গে, বুরি নজরওয়ালে তেরা মুহ্‌ কালা যাবতীয় শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ, অভিসম্পাতের মালিকানা যে অন্য কারও, স্টিয়ারিং যে শক্ত করে ধরে আছে অন্য একটা লোক --- সেটা আমার মাথাতেই আসেনি।

নেপথ্যের সেই সর্বশক্তিমান স্টিয়ারিং-ধারকটির পরিচয় আমি প্রথম পেলাম দিল্লিতে এসে। আর ঠিক তখন থেকেই আমার অটোপ্রেমে জটিলতার সূত্রপাত হল।

আগে অটোতে গটমটিয়ে চড়ে বসলেই হত, এখন আর ব্যাপারটা অত সোজা রইল না। প্রেমের বাবা কিছু একটা গোলমাল আঁচ করে টেলিফোন তুলে এনে নিজের ঘরে বসালেন। এতদিন রাতবিরেতসকালদুপুরে ফোন করলেই ওদিক থেকে কাম্য কণ্ঠের মধুর সম্ভাষণ শুনতে পেতাম, এখন তার নাগাল পাওয়ার আগে এক বস্তা কৈফিয়ত দিতে হয়। কাঁহা যাইয়েগা? কিতনা দিজিয়েগা? মিটার চলেগি, লেকিন আপকো দুগনা দেনা পড়েগা।

ধৈর্য ধরে প্রতিটি উত্তর দেওয়ার পরও সেগুলো তাঁর মনোমতো না হলে তিনি ফোন নামিয়ে রাখতে পারেন। কারণের মতো কারণ না দর্শিয়েই। খুব চাপাচাপি করলে হয়তো বলবেন, আমার তোমার বাংলা উচ্চারণ পছন্দ হয়নি, ব্যস্‌। আর কিছু জানার আছে?

কাঁহা যাইয়েগা? ___ রোড? আরে ম্যাডাম, ইস টাইম উস রোড পে বহোত জাম হোতা হ্যায়। ___ মার্গ খালি রহেগা, যানা হ্যায় তো বতাইয়ে।

এই না বলে গাড়ি নিয়ে তিনি পাড়ি দেবেন। আপনার হাঁ হয়ে থাকা মুখের ওপর শুধু সি এন জি-র একগাদা কালো ধোঁয়া উড়বে। কানের ভেতর লাইন কেটে দেওয়ার পর প্যাঁ প্যাঁ আওয়াজটা মশকরার হাসি হাসবে।

এত বাধা পেলে যা হয়, প্রেম অবশেষে দরকচা মেরে যেতে শুরু করে। পরিস্থিতির ঘষা খেয়ে এদিকওদিকের পালিশ চটে যায়। বুকের ভেতর ক্ষোভের পলি পড়ে, সে উর্বর পলিতে নালিশের গাছ বাড়তে বাড়তে শেষে আস্ত একখানা বিষবৃক্ষ। কোথায় গোলমাল কেউই আঙুল দিয়ে দেখাতে পারছে না, কিন্তু প্রেমে বড় বড় ফাঁক পড়তে শুরু করেছে। দেখাসাক্ষাৎ আগের মতোই হচ্ছে, কিন্তু গোটা সময়টুকু জুড়ে প্রেমালাপের বদলে শুধু খিটিমিটি। এই করতে করতে শেষটায় অভিসার আর অভিসার থাকে না, যুদ্ধযাত্রায় পরিণত হয়। চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে, জুতোর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে, দরজায় চাবি দিতে দিতে মাথার ভেতর আসন্ন যুদ্ধের প্রস্তুতি চলে অনর্গল। ও যদি আমাকে এইটা বলে, আমি এইটা বলব। থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেব। কিছুতেই আমাকে ঠকাতে দেব না। চিৎকার করে নিজের মতটা জানিয়ে দেব। অনেক সয়েছি, আর সইব না।

বান্টি একটা কথা বলে, সেলফ্‌-ফুলফিলিং প্রফেসি। প্রেমের ক্ষেত্রে ভীষণ খাটে দেখেছি। রিহার্সাল দেব যুদ্ধের অথচ দেখা হলে প্রেম করব, এ জিনিস হয় না। মাঝরাস্তায় হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছি, ঠিক যেন শ্রীগুরু বস্ত্রালয়ের ক্যালেন্ডারের নিমাই-নিতাই, এমন সময় দূর থেকে তাকে দেখতে পেলাম। হলুদ-কালোর বদলে এখন তার শরীর হলুদ-সবুজ। একমুহূর্তের জন্য যুদ্ধটুদ্ধ সব হাওয়া, বুকের ভেতর আবার অনেকদিনের বিস্মৃত একটা ঝর্ণা কুলকুল করে বইতে শুরু করেছে। এত সুন্দর কারও ওপর কী করে রাগ করে থাকে কেউ? তারও কি এমনটাই মনে হয়? আমার সামনে এসে থামে সে। অনেকদিন আগে যেমন দাঁড়াত, আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে। আমি তার খোলা জানালায় উঁকি মারি।

ভেতরে বাবা বসে আছেন।

কাঁহা যানা হ্যায়?

মিটার খারাব হ্যায়, নহি চলেগি।

বুকের ভেতরের ঝর্ণার ফাটল ‘চিচিং বন্ধ’ বলে যেন বন্ধ করে দেয় কেউ। নিমেষে সব খটখটে শুকনো। সারা সকালের মুখস্থ করা লাইনগুলো হুড়মুড় করে মনে পড়ে যাচ্ছে।

আমার মুখ থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে . . . শব্দ তো নয়, বুলেট।

কিঁউ নহি চলেগি? আপকা মর্জি হ্যায় কেয়া?

এই কর্কশ, দুর্বিনীত, ঝগড়ুটে গলাটা আমার? নিজেই চমকে যাই।

এই পরিস্থিতিতে একমাত্র রাস্তা হচ্ছে প্রেম থেকে বেরিয়ে আসা। তুমিও বাঁচো, আমিও বাঁচি। যত ক্লিশেই শোনাক না কেন, প্রেম আর আয়না, ভাঙলে জোড়া লাগে না। যত সেলোটেপই সাঁটা হোক না কেন। ফাটল ঢাকবে হয়তো, কিন্তু সেলোটেপে সেলোটেপে আয়নার চেহারা আরও কদাকার হবে বই কিছু নয়।

তবু লোকে সেলোটেপ সেঁটে থেকে যায়। কেন কে জানে। গোটা প্রেমপ্রক্রিয়ার মধ্যে এই জায়গাটাতেই আমার সবথেকে খটকা লাগে। এই শেষ হয়েও শেষ না হওয়ার সময়টায়। চোখের সামনে খোলা রাস্তা দেখেও সাধ করে এই ধ্বংসস্তুপের ভেতর পড়ে থাকাটায়। কেন? শুধু কি বিগত প্রেমের মুখ চেয়ে? নাকি অভ্যেসে? নাকি শঙ্কায়? আর যদি কেউ ভালো না বাসে? আর যদি কারও মন ভোলাতে না পারি? আর যদি নতুন করে কবিতার লাইন, আর্টফিল্মের ডায়লগ মুখস্থ না হয়?

তার থেকে হয়তো এই ধংসস্তুপই ভালো।

আমার আর অটোরও সে রকমটাই হয়েছে। প্রেম আর নেই, তার ছেড়ে যাওয়া ফোকরে বাসা বেঁধেছে বিপন্নতা।

তবু এখনও কোনও কোনও শুক্রবার সন্ধ্যেয় অন্যরকম একটা হাওয়া দেয়। সপ্তাহের ক্লান্তি আর আসন্ন ছুটির স্বস্তি মিলেমিশে বুকের মধ্যে কেমন একটা শান্তির আকাঙ্ক্ষা টের পাই। অনুক্ত সন্ধিপ্রস্তাবে সই করি দুজনেই। আজ ঝগড়া করব না, কেমন? সিটে আলতো করে গা ছেড়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকি। লাখ লাখ মানুষ, গাড়ি, লালসবুজ আলোর দপদপানির নিচ দিয়ে স্রোতের মতো বয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ঢেউয়ের মাথায় ফসফরাসের মতো ঝিকিয়ে উঠছে প্রেম। আশপাশের জগৎ থেকে নিজেদের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া দুটো মানুষ, একে অপরে ডুব দিয়েছে। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। বুঝতে পারি, অটোও দেখছে।

এমন সময় হঠাৎ চারদিকে চাঞ্চল্য। প্রেমিকযুগলের চটকা ভেঙে গেছে, আকাশের দিকে ঘাড় তুলে তাকিয়ে কী যেন দেখার চেষ্টা করছে। চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়িগুলো অস্থির হয়ে চেঁচামেচি লাগিয়েছে। হঠাৎ কীসের তাড়া লাগল সবার? সিগন্যালের দিকে তাকিয়ে দেখি তার রক্তচক্ষুর লাল গলতে শুরু করেছে। গলে গলে টুপটুপ করে পড়ছে জলের ফোঁটার মতো।

বৃষ্টি! দেখতে দেখতে জলের ফোঁটায় ঢেকে যায় চারদিক। ফুটপাথের কংক্রিট, গাড়ির ছাদ, প্রেমিকের হেলমেটহীন মাথা, আমার চেককাটা শার্টের হাতা। ভিখিরি বাচ্চাগুলো উল্লাসে চিৎকার করে জ্যামের মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে ছুটছে। আমার মাথার ভেতরের ক্লান্তিটা কেটে যাচ্ছে বুঝতে পারি। বাড়ির জানালাটার কথা মনে পড়ছে। ঘরের আলো নিভিয়ে জানালার পাশে বসতে ইচ্ছে করছে এক্ষুনি। ভীষণ, ভীষণ ইচ্ছে।

একটা গান বাজতে শুরু করেছে কোথাও। হরিহরণের গলায়। ‘দেখো ক্যায়সে বেকরার ইস ভরে বাজার মে, ইয়ার এক ইয়ার কে ইন্তেজার মে।’

কোথাও নয়, গানটা বাজছে আমার খুব কাছে। অটোর ভেতর। আমার পিঠের কাছে রাখা স্পিকার জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ‘এক হাসিনা ইধর দেখো ক্যায়সি বেচয়ন হ্যায়...’ ভেজা হাওয়ার ছাঁটে সারা গা শিরশির করে ওঠে। আমার প্রিয় গানটার কথা ওর মনে আছে! এতদিন পরেও? এত ঝগড়া পেরিয়েও? বাইরের বৃষ্টি আমার নাগাল পায় না, কিন্তু অটোর ভেতরে বসেই গানের বৃষ্টিতে আমি ভিজে চুবড়ি হয়ে যেতে থাকি।

খন্ডহরে বতাতি হ্যায়, ইমারত বুলন্দ থি।

        

Comments

  1. darun darun laglo pore..sudhu auto journey nie je ato bhalo lekha jay....durdanto...ar ei gaantao amar priyo gaan :) auto amaro khub pachander ..jadio dubar ami auto ulte pore gechi.akbarer accident e to amar bandiker mukh ,hantur chamra besh chenchre gechilo ..stitch o dite hoyechilo,sei daag akhono ache ..kintu tabu ami auto ke charini... tinni

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। তোর সঙ্গে কোনওদিন অটো চড়েছি রে? দিল্লি যখন এসেছিলি আগের বার? পরের বার এলে অটো চেপে আমরা দূরে দূরে বেড়াতে যাব, যাতে অনেকক্ষণ অটোয় বসে থাকা যায়, হ্যাঁ?

      Delete
    2. This comment has been removed by the author.

      Delete
    3. yes yes ...jara autoke ducchai korbe ..tader bolbo tafat jao ! tinni

      Delete
  2. eta "abantor -2"-er prothom chapter howar daabi raakhey. along with "hyaddehowa".

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাই? মনে রাখলাম সোমনাথ।

      Delete
    2. আমি সোমনাথকে সমর্থন করলাম।

      Delete
  3. কলকাতা-র রাস্তায় দুর্বিনীত অটো-র অনেক কড়চা প্রায়ই কাগজে পড়ে থাকি। খুচরো না থাকলে হেলমেট পরে অটো তে ওঠার সাজেশন ও পেয়েছি। অটো নিয়ে এরকম লেখা আগে পড়িনি। এটা আপনার অন্যতম সেরা একটা লেখা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ সৌগত। হেলমেট পরে অটো চাপার আইডিয়া কিন্তু হাসির ব্যাপার নয়, সিরিয়াসলি ভেবে দেখার মতোই। দিনকাল যা পড়েছে।

      Delete
  4. তুমি একটি জিনিয়াস কুন্তলাদি । পিরিয়ড।


    তোমার লেখার হাত দিন দিন আরও বেশি খোলতাই হচ্ছে! এটা তোমার ওয়ান অফ দ্য বেস্ট, হ্যাদ্দেহোয়ার মতই আরেকটা ক্লাসিক লেখা।

    রাকা

    ReplyDelete
    Replies
    1. সর্বনাশ করেছে রাকা, একেবারে জিনিনিয়াস? তোমার প্রশংসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  5. অটোর মতন তে-পেয়েকে নিয়ে যে এরকম একটা গল্প লেখা যায়, সেটা না পড়লে বুঝতে পারতাম নাঃ)

    এক কথায় অনবদ্য লাগলো। প্রেম বজায় থাক, এই আশা করি। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রেম কি না জানি না অরিজিত, তবে স্থিতাবস্থা বজায় থাক, সেটা আমারও কামনা। লেখা ভালো লেগেছে জেনে স্বস্তি পেলাম। অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  6. দারুন লাগলো। খুব ভালোবাসি আমিও অটো চড়তে। তাই আরও খুব ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অটোপ্রেমে হাই ফাইভ ইনিয়া।

      Delete
  7. ei pratham apnar lekha porlam.. anabadya... osadharon :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই যেন শেষ পড়া না হয়, সেই কামনা করি কৌশিক। মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  8. "আর যদি নতুন করে কবিতার লাইন, আর্টফিল্মের ডায়লগ মুখস্থ না হয়?"
    sotyiyi to, ki bhoyanok! durdhorsho lekha. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি তো জীবনে আর প্রেম করব না স্রেফ ইমপ্রেস করার পরিশ্রম এড়ানোর জন্য। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  9. Auto ami mote-i pochondo kori na, kintu apnar lekha ta boro-i bhalo hoyeche.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেকী ঘনাদা, অটোর ওপর আপনার বিরাগ দেখে দুঃখিত হলাম। আপনি নিশ্চয় ভালো অটো চড়েননি, তাই খারাপ লেগেছে। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি।

      Delete
  10. এমন অটোমেটিক প্রেমের গপ্পো আগে পড়েছি কি ?
    অন্যভাবে ভাবালো ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।

      Delete
  11. Sudhu darun bolle kom bola hobe .

    ar gaanta amaro khub priyo. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. গানটা তোফা কি না বলুন ইচ্ছাডানা?

      Delete
  12. onobodyo... churaanto.... durdhorsho.... fantabulous.... Joy hok tomar kolomer (thuri keyboarder).... Joy hok ei lajawaab premer....

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা সায়ন্তরী, থ্যাংক ইউ। তোমার বিশেষণের বন্যায় ভেসেই যাচ্ছিলাম আরেকটু হলে।

      Delete
  13. আপনার অটোযাত্রা সুখের হোক।
    আপনার কলমে মধুসুদন-দাদা ভর করুন।
    আপনার কী-বোর্ড দীর্ঘজীবি হোক।

    আর

    আপনার মন এরকম সব লেখার মনই থেকে যাক অনন্তকাল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কৌশিক, আপনার এত ভালো ভালো চাওয়াগুলো যেন পূর্ণ হয়। আমার তরফ থেকে এক্সট্রা একটা জিনিস চেয়ে রাখলাম, অবান্তর যেন আপনার আরও আরও আরও অনেকদিন মনোরঞ্জন করতে পারে।

      Delete
    2. আমার ৪টে চাওয়া পূর্ণ হলেই আপনার এক্সট্রা ( ফাউ আর কি! ) চাওয়াও পূর্ণ হবে। :)

      Delete
  14. Khub bhalo laglo .

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ কথাকলি।

      Delete
  15. Chonotkar laglo ! Ek face book bondhur soujonnye tomar blog er sathe porichito hoye theke kodin dhore tomar bhlog porchhi shomane...eta one of the best, Raka r sathe amio ekmot...kintu shob lekhatei aymon ekta khola mela haoa batash lagano byaper achhe ar tar sathe koutuk er mishel...sesh obdhi tene dhore rakhe...likhte thako ar amra porte thaki :)

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. iye...mane *choMotkar laglo !

      Indrani

      Delete
    2. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ ইন্দ্রাণী। খুব ভালো লাগল মন্তব্য পেয়ে। অবান্তর পড়তে ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। আশা করি এই ভালোলাগা দীর্ঘজীবী হবে।

      Delete
  16. Dear Kuntala,
    Khub sundar lekha. Pore ja ja mone holo sab e bakira bole felechhe, tai khali ekta jinis boli. "auto" ke kendro na kore onyo konorokom "plot" ke kendro kore jodi erokom sundar sundar line lekha jeto (e.g. "প্রেম আর নেই, তার ছেড়ে যাওয়া ফোকরে বাসা বেঁধেছে বিপন্নতা।"), taholei to niden-pokshe ekta chamatkar chhoto-golpo dariye jeto.
    Swalpo-porisor blog porte bhaloi lage, tobe chhoto-golpo porte arektu beshi bhalo lage, uponyas hole to kathai nei (tobe nije jehetu lekhar capa nei janao nei je likhchhe tar effort er tafaat kotota hoy).
    All the best.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ শিবেন্দু। আপনার উপদেশ মাথায় রাখব।

      Delete
  17. Eki e je amar prem niye tanatani!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনারও অটো ভালো লাগে? হাই ফাইভ, হাই ফাইভ!

      Delete
  18. "শুধু কি বিগত প্রেমের মুখ চেয়ে? নাকি অভ্যেসে? নাকি শঙ্কায়? আর যদি কেউ ভালো না বাসে? আর যদি কারও মন ভোলাতে না পারি? আর যদি নতুন করে কবিতার লাইন, আর্টফিল্মের ডায়লগ মুখস্থ না হয়?" ---- কুর্নিশ !

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ, পিয়াস।

      Delete
  19. Eta apnar one of the best lekha. Amaro auto bhalo laagto, jodi na same boste hoto. Je jinista chhotobelay absolutely bhalobastam seta holo cycle rickshay bosa (politically incorrect shunte lagleo fact is fact) ar karur kole na bose seat e boste para. Ekhon sob bhalobasa-basi mite gechhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটাও এক্কেবারে মিলে গেছে সুগত। আমিও রিকশা চড়তে খুব খুব ভালোবাসতাম। রবিবার রাতে গানের স্কুল থেকে ফেরার সময় মায়ের সঙ্গে রিকশায় বসে নানারকম গল্প --- আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটা সময়। এখন যে ভালো লাগে না তার কারণ এখন ব্যাপারটার বদখতপনা সম্পর্কে সচেতন হয়ে গিয়েছি। আমাকে আক্ষরিক অর্থেই আরেকজন মানুষ টেনে নিয়ে চলেছেন, সেটা সর্বক্ষণ মনে কুটকুট করে।

      Delete
  20. ১০ মিনিট ধরে পড়লাম, ২০ মিনিট ধরে ভাবলাম যা পড়লাম তা নিয়ে আর তারপর ৩০ মিনিট ধরে ভাবছি ঠিক কি লিখলে এই লেখাটার প্রতি নুন্যতম কুর্নিশ প্রকাশ হয় |
    কিছুই ভেবে উঠতে পারলাম না, কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কতটা ভালো লেগেছে আপনার লেখাটা -- সেই বোঝার দ্বাযিত্ব আপনার.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বুঝেছি বুঝেছি আত্মদীপ। খুব ভালো লাগল আপনার লেখাটা এত ভালো লেগেছে জেনে।

      Delete
  21. যথারীতি ভেবে পাচ্ছি না কী লিখব ।সত্যি! তোমার জয় হোক ।
    কথাটা কি খন্ডহরে না খন্ডহর ?
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ মিঠু। এই রে, খন্ডহর না হরে তো জানি না, যা মনে ছিল দিলাম লিখে। দেখি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।

      Delete
  22. সত্যি মধুর এই প্রেম-অপ্রেমের কাহিনী। লেখকের মুন্সিয়ানা সেলাম জানাবার মত। কিন্তু পিঠের পিছনে বক্স বেজে ওঠা ব্যাপারটা সবসময় অত মধুর হয় না। আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়ও হয় মাঝে মাঝে বক্সের দমকে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে তো হয়ই অভীক। বিশেষ কুরে যদি বাইরে বৃষ্টির বদলে চাঁদিফাটা রোদ্দুর আর স্পিকারের ভেতর টি সিরিজের হনুমানচালিসা চলতে থাকে তাহলেই চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা।

      Delete
  23. khub sundor laaglo - raka keo dhonyobad ei ekhata share koraar jonyo....

    ReplyDelete
  24. Jodio ami autoder moteo bhalobasina, kintu apnar lekhata autor proti amar bhalobasa nai jagak, bidweshbhab je khanikta kawmalo, etuku bawla jetei paare. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা থ্যাংক ইউ sanbandyo.

      Delete
  25. e ki lekha likhlen didi!!abantor er sera lekha gulor modhye ekta nihsondehe..ek ekta line jeno puro amar e moner kotha.
    "শুধু কি বিগত প্রেমের মুখ চেয়ে? নাকি অভ্যেসে? নাকি শঙ্কায়? আর যদি কেউ ভালো না বাসে? আর যদি কারও মন ভোলাতে না পারি? আর যদি নতুন করে কবিতার লাইন, আর্টফিল্মের ডায়লগ মুখস্থ না হয়?"
    ba প্রেম আর আয়না, ভাঙলে জোড়া লাগে না। যত সেলোটেপই সাঁটা হোক না কেন। ফাটল ঢাকবে হয়তো, কিন্তু সেলোটেপে সেলোটেপে আয়নার চেহারা আরও কদাকার হবে বই কিছু নয়।

    ba পৃথিবীর কোনও দুটো লোকের মধ্যে মাত্র দুটো জিনিসে কক্ষনও মিল হয় না। এক, বুড়ো আঙুলের আঁকিবুঁকিতে, দুই, প্রেম করার স্টাইলে। এমনকি একটাই লোকের প্রেম করার স্টাইল স্থানকালপাত্রভেদে বদলে বদলে যায়। কোনও প্রেমের প্রতি সে নিঃশর্ত আনুগত্যে হাঁটু গেড়ে বসে, কারও ওপর দিবারাত্র সর্দারি ফলায়, কারও ওপর সর্দারি ফলাতে চেয়েও পারে না, উল্টে নিজেই নাকের জলে চোখের জলে হয়।
    apni ki janen apni oshaadharon lekhen?ami eto din abantor er bhoutik pathok chilam..mane pore mukhostho hoe geleo...kono comment kortam na..ebar theke korbo bhabchi..bhalo thakben.khub bhalo thakben.apnar sonar kolom hok.
    ar ekta kotha..ami chennai thaki.boi mela jaowa hoyni.khub siggiri jabo..abantor 1 ki dey's e paowa jabe?

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক ধন্যবাদ ঋতম। খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। অবান্তর আপনি এত মন দিয়ে পড়েন জেনে খুশি হয়ে গেলাম।

      আমার বই তো দে'জের দোকানে পাওয়া যাবে না। পাওয়া যাবে এই দোকানটায়ঃ

      সুচেতনা, আদ্যা ভবন, ২০ এ বলাই সিং লেন, কলকাতা ৭০০০০৯ (সিটি কলেজ এবং আমহার্স্ট স্ট্রিট পোস্ট অফিসের কাছেই) [ফোনঃ ৯৮৩৬০৩৭৬০১]
      পথ নির্দেশঃ শিয়ালদহ জগত সিনেমার সামনে থেকে বাস ধরে সুকিয়া স্ট্রিট-এর আগে বিদ্যাসাগর স্ট্রিটে নেমে কাছেই।

      অনলাইন কিনতে চাইলে এখান থেকে কিনতে পারেনঃ
      http://www.amazon.in/Abantar-Kuntala-Bandyopadhyay/dp/1631024469/

      আর যদি এসব কিছুই না করতে ইচ্ছে হয় তাহলে rohonkuddus@gmail.com এ মেল করে বইয়ের বায়না করতে পারেন।

      Delete
  26. uff emono hoy!!!!! Kal ekhane keralate besh ekta megh megh kore chilo..amar o besh mone megh jomechilo..bhor sondhyebela lab theke fire thik ei gaan tar kothai mone holo, ar thik ei gaan tai amke 14 bochor nbon boshaer age pathiye dilo keno je ajo gaan ta bhulte parina!!! Ar aj tomar ei lekha.....abar dhoppassh kore pore gelam..tomar preme:))

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক, আমার প্রেমে এখনও লোকে পড়ে জেনে আশ্বস্ত হচ্ছি। তুই এখন গড'স ওন কান্ট্রিতে বুঝি পারমিতা? বাঃ বাঃ। ব্যাকওয়াটার দেখলি?

      Delete
  27. apnar chotobelar Agartala bhromoner songe amar chotobelar Agartala bhromoner ek odbhut mil ache. porte porte bhabchilam sudhu.
    Sironam pore ektu onnorokom golper asha korechilam..tai guchia porbo bole rekhediachilam. Auto dekhe ektu hotas holam. tobe lekha jothariti bhalo.
    Auto ami bisesh pochondo korina auto jara chalan tader jonno. ekhun to abar nak/matha fatia debar bhoy o ache..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আগরতলা বেড়ানোর মিলটা কী জানতে কৌতূহল হচ্ছে।

      Delete
  28. ekdom apnar moto e...prothom plane e chora...dorjar baire sue thaka ekti kukur...auto e chora..bikelbela dhaner kheter dhare bose onek durer pachil theke thikre asa nijer golar awaj sona..fire jawar din solpo bondhutter resh dhore kukurtir onek dur porjonto amader pichu pichu asa...esob chera chera smriti rki...

    ReplyDelete
  29. tor lekha porte shuru korlei emon ekta rastay neme pori..jekhane nijer sathe barbar nijer dekha hoye jaaye....jaanina prem koto jotil..kintu ki rosayone tui emon ashchorjo shobdobondhe aschorjo sob chena ochena muhurtoder hajir koris.....bhalolagay vore thaki..onek onek onekhkhon.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধ্যাত, কী যে বলিস। তুই নাকি আমাকে অভিনন্দন দিবি? স্রেফ কান মুলে বলবি, 'কী রে, কেমন আছিস?' তুই বাইরে আছিস এখন? কেমন লাগছে?

      Delete
  30. এরকম লেখা আরও পড়তে ইচ্ছে করছে,
    লা জবাব!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।

      Delete

Post a Comment