একত্রিশে
টাকার কি অভাব আছে তোমার? মায় বাবায় সারা জীবন রোজগার
করল কার লিগ্যা? আর তো ভাগিদার নাই কেউ। আধামাধা না, পুরা রাজত্বই তো তোমার।
আমাদের সেকেলে বাড়ির মধ্যে ঠাকুমার ঘরটা আরও সেকেলে।
ঘরের সঙ্গে ঘরের লোকের বোঝাপড়া থাকে বোধহয়, সময়ের দৌড়ে কেউই কাউকে ফেলে এগিয়ে যেতে
চায় না। বাকিরা এগোচ্ছে এগোক, আমরা হাত ধরে থাকি। ওদের ঘরে কাঁচের বাহারি শোকেস
আসছে আসুক, আমাদের এই কাঠের পাল্লা টানা বেঁটে আলমারিই ভালো। ওদের ঘরে কাজের জিনিস
সব কাবার্ডে তোলা। আধুনিক সিস্টেমই হল সব কাজের জিনিসপত্র লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা।
বাড়িতে যে মানুষ থাকে, তারা যে চলাফেরা করে, ঘুমোয়, খায়দায়, দাঁত খোঁচায় --- সেটা
বোঝা গেলেই কেলেংকারি। আমরা খোলামেলা যুগের মানুষ, আমাদের দেওয়ালে তক্তার খোলামেলা
তাকের ওপর কেলেকুষ্টি ফ্রেমের ছোট আয়না, আয়নার পাশে শালিমার তেলের শিশি, নর্তকীর ডিজাইনওয়ালা
হলুদ রঙের পাউডারকেস। কেসের ঢাকনা তুললে এখনও পিসির গায়ের আবছা গন্ধ আসে।
আড়াই দিনের ছুটি নিয়ে এসেছি। ভাগাভাগি হয়ে এ বাড়ির ভাগে পড়েছে প’নে এক দিন। খাওয়া ঘুম পাড়াপড়শি সামলে ঠাকুমার পাশে বসার ভাগে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। এই পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মুখ চেয়ে ঠাকুমা শুয়ে আছেন গত পাঁচ মাস।
এখন তো দায়িত্ব নেওয়ার লোকও আছে। তবে এত কষ্ট কর
ক্যান? কীসের লিগ্যা?
প্রশ্ন অগ্রাহ্য করে আমি ঠাকুমার চোখের দিকে তাকিয়ে
থাকি। ঠাকুমার চোখ আমার চিরকালের বিস্ময়ের বস্তু। অসংখ্য বলিরেখার জঙ্গল, ঝুলে পড়া
চোখের পাতা ঘন বাদামি রঙের মণি ঢেকেই ফেলেছে প্রায়। যখন বয়স ছিল, কোলে বসে আঙুল
দিয়ে ঠাকুমার চোখের পাতা টেনে ধরতাম আমি।
তুমি এইটুকু চোখ দিয়ে দেখতে
পাও ঠাকুমা? আমরা যা যা দেখি সব?
আমার বিশ্বাসই হত না ওই চোখ দিয়ে ঠাকুমা আমাদের সমান
সমান দেখতে পাচ্ছেন। নিশ্চয়ই কিছু না কিছু মিস হয়ে যাচ্ছে। তক্তপোশের একটা পায়া,
নারকেল গাছের মাথা, বাবার গোঁফের আধখানা --- নির্ঘাত
ফ্রেমের বাইরে রয়ে যাচ্ছে।
ঠাকুমার চোখ এখন আরও খুদি হয়েছে। কিন্তু আমি ধেড়ে হয়েছি
কিনা তাই বুঝতে পারি ওই খুদিখুদি চোখ দিয়েই ঠাকুমা আমার থেকে ঢের বেশি দেখতে
পাচ্ছেন। আমি কখনও মস্ত বাঁকানো দাঁত দেখছি, কখনও ল্যাজ দেখছি, কখনও থামের মতো পা
দেখছি, ঠাকুমা গোটা হাতিটাকেই দেখতে পাচ্ছেন। আমার চোখের তলার কালি, কপালের ঠিক ওপরের
চুলে ফুটে ওঠা সাদা টেনশন, সব ওই চল্লিশ পাওয়ারের টিউবের আলোতেই তিনি স্পষ্ট দেখতে
পাচ্ছেন। আর জানতে চাইছেন,
ক্যান? কীসের লিগ্যা?
জানলে তবে তো বলব। কেন, কী, কতটা, সে সব কি নিজেই
পরিষ্কার জানি আমি? তাই কথা ঘোরাই। বিজলীদির নাতনিকে দেখাতে এনেছিল তোমাকে ঠাকুমা?
জাহাজবাড়ির ছোট ছেলেটা শুধরোলো? ঠাকুমা কোনও প্রশ্নের উত্তরে ঘাড় নাড়েন, কোনও
প্রশ্নের উত্তরে ঠোঁট উল্টোন। কে জানে। শুয়ে শুয়ে আজকাল আর চারদিকের খবর মনের মতো
করে রাখা হয় না তাঁর। সাঙ্গোপাঙ্গদের চোখকানই ভরসা এখন। তারা সকালবিকেল কুড়িয়েবাড়িয়ে
ঝড়তিপড়তি এঁটোবাসি যা খবর এনে দেয়, সেই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
ঠাকুমা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করেন। এবার ঘুমোতে
দেওয়া উচিত, একটানা এত কথা বলে অভ্যেস নেই তো। আমি আরেকবার ঠাকুমার তুলোর মতো চুলে
হাত বুলিয়ে উঠে আসি।
প্রশ্নটা যদিও মাথার ভেতর ঘুরতে থাকে। ক্যান? কীসের
লিগ্যা? কতখানি না হলে পোষাবে না আমার আমার? কতখানি হলে চলে যাবে? প্রথম ক’দিন
ভীষণ ভয় করবে। গরিব হয়ে যাওয়ার ভয়। সময়ে ভয় কেটেও যাবে। সবটাই তো অভ্যেস। বেশি
টাকা, কম টাকা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাপমতো নিজেকে কেটেছেঁটে নেবে সংসার।
সাপ্তাহিক মেনুতে বাটার চিকেন কমে গিয়ে ভাত ডাল মাছের ঝোলের পরিমাণ বাড়বে।
সেটা কি ভালো হবে না খারাপ?
বিছানায় শুয়ে শুয়ে কুণ্ডুবাড়ির ছাদের দিকে তাকিয়ে
ভাবি। ভাবি আর অপরাধবোধে ভাজা ভাজা হই। ছেলে হলে কি এই ভাবনাটা ভাবার সাহস হত
আমার? এই দশটা-পাঁচটার দৌড়োদৌড়ি ছেড়ে বাড়িতে থাকার ভাবনাটা? নাতনির জায়গায় নাতি
হলে ঠাকুমাও চাকরি ছাড়ার প্রস্তাবটা দিতেন না অবশ্য। কিন্তু ঠাকুমা তো আশি বছর
আগেকার লোক। আমি কেন ভাবছি? অর্চিষ্মানেরও তো অফিস যেতে ক্লান্ত লাগতে পারে, তা
বলে কি ও চাকরি ছাড়ার কথা ঘুণাক্ষরেও মগজে ঠাঁই দিতে পারবে?
. . . বাড়িতে থাকলে হয়তো তানপুরাটার ধুলো ঝাড়া হবে,
টেবিলের জঞ্জাল সাফ হবে। সাফসুতরো টেবিলের ওপর একটা ডায়রি আর একটা নিব
পেন শুয়ে থাকবে আমার অপেক্ষায়, কখন আমি এসে চেয়ার টেনে বসব . . .
চোখ প্রাণপণে টিপে বন্ধ করে ফেলি আমি। তওবা তওবা, রাম
রাম। এক থেকে একশো গুনব নাকি একশো থেকে এক? ডিপ ব্রেথ নিই গুনে গুনে পাঁচবার। একদল ভেড়াশাবকের কান ধরে কুণ্ডুবাড়ির ছাদের রেলিং টপকানোর হুকুম দিই।
তারপর রাত বাকি থাকতে উঠে মায়ের হাতের চায়ে বেশ
অনেকদিনের মতো শেষ চুমুক দিয়ে, ঝুপঝুপ প্রণাম সেরে, মশারির ভেতর মাথা গলিয়ে
ঠাকুমার গলা জড়িয়ে ‘টা টা বাই বাই/আবার যেন দেখা পাই’ বলে দৌড় শুরু করে দিল্লিতে
পৌঁছে সারাদিন অফিস সেরে সন্ধ্যেবেলা বাড়ি ফিরে সুটকেসমুটকেস ছুঁড়ে ফেলে দম নিই যখন
তখন ঠাকুমার প্রস্তাবের ছায়াটুকুও আমার মাথার ভেতর থেকে উধাও হয়ে গেছে।
আবার সেই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। আটটা-সাতটা।
কোনও কোনও দিন সাতটা-আটটা। অটো। মেট্রো। ডিরেক্টর। রিপোর্ট। পিপিটি। কনফারেনস।
পাবলিকেশন। পাবলিকেশনের অভাব। কাপের পর কাপ বিস্বাদ চা।
ক্যান? কীসের লিগ্যা?
বেলা, বেলা গড়িয়ে দিন, দিন গড়িয়ে মাস ফুরোয়।
ডেস্কটপের কোণার ক্যালেন্ডার গড়িয়ে একত্রিশে এসে থামে। ই-মেল খুলে দেখি একটা
না-পড়া মেল অপেক্ষা করছে। সাবজেক্ট লাইনে লেখা ‘পে
স্লিপ’।
নিমেষে আলোয় আলো চরাচর। আনন্দসংগীত। শঙ্খধ্বনি।
কলরোল। অবান্তরপ্রলাপ ডট ব্লগস্পট ডট ইনের বদলে ব্রাউসারে স্টেটব্যাংকের ঠিকানা
টাইপ করি। কি-বোর্ডের ওপর ঝড়ের মতো আঙুল চলে। লাস্ট টেন ট্র্যানস্যাকশনস। ওই তো! সারি সারি ডেবিটের মাথার ওপর গ্যাঁট হয়ে বসে আছে একখানা ক্রেডিট।
জ্বলজ্বল করছে। ঝকঝক করছে।
শিরদাঁড়াতে কেউ যেন একটা ইঞ্জেকশন দিয়ে দেয়। আত্মবিশ্বাসের
কুলকুণ্ডলিনী মুহূর্তে জাগ্রত। শিরা উপশিরা গ্রন্থি বেয়ে সে আত্মবিশ্বাস
সবেগে ওপরদিকে ছুটেছে। তোড়ে খুলে দিচ্ছে ঘাড়ের জট, ব্রহ্মতালু ফুঁড়ে লাফ মেরেছে আকাশপানে।
নড়বড়ে মুণ্ডু নিমেষে ছিলার মত টানটান। ভীষণ উদার হয়ে যাই হঠাৎ। নিজেকে
খুব শক্তিশালী মনে হয়। এদিক ওদিক দু’চারটে অ্যাকাউন্টে ক্লিক ক্লিক করে টাকা
ট্রান্সফার করি। মা’কে একটা শাড়ি উপহার দিলে কেমন হয়?
বাবার জন্য ড্যান ব্রাউনের লেটেস্ট বইটা অর্ডার দিলে? অর্চিষ্মানের ব্যাগের
হ্যান্ডেলটা ল্যাগব্যাগ করছে দেখেছিলাম না? রিভলভিং চেয়ার ঘোরাতে
ঘোরাতে ফ্লিপকার্টের উইশলিস্ট পরীক্ষা করি। অর্চিষ্মানকে ফোন করে সুখবর দিই।
নেক্সট কবে কোথায় বেড়াতে যাওয়া যেতে পারে সেই চর্চায় দশ মিনিট নষ্ট করি।
একত্রিশ একটা ম্যাজিক তারিখ। একত্রিশ ঠাকুমার ভীষণ শক্ত প্রশ্নের
উত্তরও বটে। ক্যান, কীসের লিগ্যা? টাকা? হা হা হা। ও টাকায় অনিল আম্বানির চায়ের জলও
গরম হয় না। টাকার লিগ্যা নয় গো ঠাকুমা, টাকার লিগ্যা নয়। এই ম্যাজিকটার লিগ্যা। অন্যদিনের
থেকে একটু বেশি খুশি, একটু বেশি উদার, একটু বেশি ভালোমানুষ হওয়ার ম্যাজিকটা। মূলচন্দের
জ্যামে ভিখিরি বাচ্চাগুলো এসে অটোর গায়ে হামলে পড়বে, একটা তিন বছরের কোলে একটা দেড় বছর।
বাকি তিরিশ দিন বিরক্তিতে ওদের চোখ থেকে চোখ ফিরিয়ে থাকি, একত্রিশ সে বিরক্তির মধ্যে খানিকটা লজ্জা ছিটিয়ে দেবে।
একত্রিশে আমি আর শুধু তোমার সোনার পুত্তলি নই ঠাকুমা, একত্রিশে
আমি এই বদখত পৃথিবীটার বিতিকিচ্ছিরি ভিড়ের লক্ষ মুখের ভেতর একটা মুখ। বাকি তিরিশদিন
যে ভিড়টার নাগাল এড়ানোর জন্য আমার অক্লান্ত আকুলিবিকুলি, একত্রিশে দেখ আমি সেই ঘেমো
ভিড়টার মধ্যেই একচুল জায়গা পাওয়ার জন্য ধাক্কাধাক্কি করে মরছি। ই-মেলে আসা পে স্লিপটা
জোরে জোরে মাথার ওপর নাড়ছি। চেঁচিয়ে বলছি, এই দেখো, এই আমার দাম।
পড়ে পাওয়া রাজত্বের সঙ্গে এই হল্লাহাটির বাজারটার উত্তেজনা, থ্রিল, ম্যাজিকের
কোনও তুলনাই হয় না।
অনেক অনেক দূরের একটা সেকেলে বাড়ির সেকেলে ঘরে নিভন্ত চোখ নিয়ে
শুয়ে থাকা আমার সেকেলে ঠাকুমা --- পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে --- সে জন্মে তুমি যেন
এই ম্যাজিকটা আপ্রাণ চেটেপুটে নিতে পার, এই তোমার জন্য আমার প্রার্থনা রইল।
Ekdom. Ekkebare. "Hit the nail on the head" korechho ar ki. Kichhudin aagei mash mainey elo. Ar bari pherar pothey kitkitey jam tao gaaye laglo na ar. :)
ReplyDeleteজ্যাম তো তুচ্ছ, আমার তো বসের বকুনিও গায়ে লাগে না বিম্ববতী।
Deleteচেঁচিয়ে বলছি, এই দেখো, এই আমার দাম।
ReplyDeleteপড়ে পাওয়া রাজত্বের সঙ্গে এই হল্লাহাটির বাজারটার উত্তেজনা, থ্রিল, ম্যাজিকের কোনও তুলনাই হয় না।
Kotoboro sotti kotha. "Salary is Credited" ei 3 okhorer je ki jadu se bolar noy sudhu upovog korar. :)
সেই। এ অনুভূতি বলে বোঝানো যায় না রাখী।
Deleteঅসমভব ভালো লেখা হয়েছে। মন ভালো হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ আর অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ReplyDeleteইনিয়া
ধন্যবাদ ইনিয়া।
Deleteki bhalo likchish kuntala ...:) akta lekha anek anek bar porte icche korche ..sesher angshota ato sundar -tinni
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ তিন্নি।
Deleteদারুণ। একত্রিশের ম্যাজিকটাকে এইভাবে কিবোর্ডের মাধ্যমে ব্লগভুক্ত করার জন্য কুর্নিশ।
ReplyDeleteআপনিই পারেন, সত্যি সত্যি। :)
আরে থ্যাংক ইউ অরিজিত।
DeleteSalary account er sonkhar cheye chotobelay pujo/jonmodine/bina karone pawa jomano takar porosh ekhono amar kache hajar gun beshi anonondodayok...khub miss kori sai onubhutita...
ReplyDeletetobe lekha besh bhalo laglo...
দেখেছেন, কী অবিচার। আমাকে কেউ কখনও বিনা কারণে টাকা দেয়নি। অটোভাড়াও গুনে গুনে দিত, এমন খারাপ। তাই আমার মাইনেই একমাত্র ভরসা, সৌমেশ।
DeleteAamar darun bhalo laaglo lekhata. Sob kota byapare ami tomar sathe ekmot. Aar sobcheye bhalo laglo tomar thakumar jonne chotto prarthona ta.
ReplyDeleteJano aami jokhon aajkalar meyeder dekhi nijeder artho sadhinota bisorjon dite aamar boro kosto hoye. Amader thakuma ra sujog paan ni, kintu aamra to peyechi. Tobe keno aamra onno karor opor nirbhor korbo nijeder jibon dharoner jonne. Ami eta kichutei mene nite paari na. Aar sotti to artho noitik sadhinota ta keno meyeder jonnei sudhu optional thakbe? Chele der jonne to eta mandatory.
Btw aamaro na nijeke boro bhalo laage ektrish tarikh.....
একত্রিশ তারিখ অমর রহে নীলাঞ্জনা।
Deleteতুমি এই যে কথাটা বললে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ... সে সব পুরোনো ফেমিনিজমের যুক্তি নীলাঞ্জনা। এখন অনেকেই চয়েস ফেমিনিজমের কথা বলেন। অর্থাৎ, কোনও ফিমেলের যদি চাকরি করতে ইচ্ছে না করে সেটাও তাঁর 'চয়েস' এবং চয়েস ফেমিনিজম বলে এই ইচ্ছাতেও তাঁর সমান অধিকার। চাকরি করাটা যদি মেয়েদের অধিকার হয়, চাকরি না করাটাও মেয়েদের অধিকার।
যাকগে, অত শক্ত যুক্তিতে গিয়ে কাজ নেই, আফটার অল, অবান্তরের প্রিন্সিপালই হচ্ছে যুক্তিগ্রাহ্য কথার বদলে সারাদিন অবান্তর কথাবার্তায় নিমজ্জিত থাকা। তোমার যে লেখাটা ভালো লেগেছে সেটা জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। থ্যাংক ইউ।
Hopefully choice feminist der atleast ekjon kore well paid husband aache. Noile bhabo ki obostha hobe.......
Delete"Taka mati; mati taka" - eta Sri Sri Ramkrishna chara aar keu ki kokhono bolte ba mante parben?
ReplyDeleteআমি তো পারবই না।
Deletetobe dilli'r ja real estate price tate mati taka'r o thakurda...
Deleteহক কথা শম্পা।
Deletekhub bhalo laglo Kuntala lekhata pore..nijer jonnyo dukho o holo...jotodin ektrish er anondota peyechi tartheke beshidin hoye gelo dekhchi ei specific din tate kichu na pawata...
ReplyDeleteএই মেরেছে, দুঃখ কীসের সুমনা? চাকরি করার ইচ্ছে/ প্রয়োজন হলে করবে, না হলে করবে না। ফুরিয়ে গেল। আসল কথা হচ্ছে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে চাকরি করতে পারবে কি না। সেটা তুমি খুব পারবে আমি জানি। কাজেই নো দুঃখ, ডু ফুর্তি।
Deleteআবার একটা প্রশ্ন জাগিয়ে দিলেন, আপনি ৩১শে জবাব টা পেয়ে গেছেন, আমি এখনো খুজছি .... ক্যান, কীসের লিগ্যা?
ReplyDeleteআত্মদীপ, সব প্রশ্নের উত্তর হয়তো না পাওয়াই ভালো। আমার তো ধারণা আমি অনেক সময় হাল ছেড়ে দিয়ে যা হোক একটা কিছুকেই উত্তর বলে আঁকড়ে ধরি। আপনি সেটা করেন না দেখে ভালো লাগল।
Deleteঠিক বলেছেন, জানার কোনো শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই ...এই কথা ভেবে আর উত্তর খুজছি না | তবে আজ অনিবার্য্য কারণ বশত: সারা দিন বাড়িতে কাটানোর পর বুঝলাম, আপিস যাই ক্যান এর একখান কারণ পেয়েছি ..... অবাধ্য হামা দিতে শেখা বাচ্চার পিছনে দৌড়ে ক্লান্ত না হয়ে পরার জন্য :P
Deleteহাহাহা, মিঠাই ঘোল খাওয়াতে শুরু করেছে বোঝা যাচ্ছে বেশ। আহা, দুরন্ত বাচ্চারা বড় হয়ে শান্ত হয় জানেন না। দেখবেন, এখন হামা দিয়ে নাকাল করছে, বড় হয়ে আপনার সব কথা শুনবে।
DeleteExcellent hoyechhe lekhata ! one of your best !!
ReplyDeleteসত্যি তিলকমামা? থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
DeleteExcellent hoyechhe lekhata ba bola bhalo bhabna-ta ! One of your best !!!...... bhalo kotha amake je ABANTOR gift korbe bolechhile....ki holo ?
ReplyDeleteগিফট দেওয়ার মতো অবান্তর হাতের কাছেই নেই তিলকমামা, পেলেই আপনাকে দেব।
Deleteএক কথায় অসাধারণ। ঠাকুমার ঘরের বর্ণনা যেমন সুন্দর, তেমনই নিখুঁত ওই ডেবিটের মাথায় ক্রেডিট আসার পরের অনুভূতিটার বর্ননা। ইস আপনি এখানে এসেছেন জানলে বাড়ি বয়ে গিয়ে অটোগ্রাফ নিয়ে আসতাম। আপনি আর আমি সেই কুম্ভমেলার পর থেকে জিওগ্রাফিক্যালি এত কাছাকাছি কোনদিন আসিনি।
ReplyDeleteআরে আসিনি আসিনি। সেই বইমেলার সময় যখন গিয়েছিলাম তখনকার কথা বলেছি। এই সময় বাড়ি থাকলে আমিই আপনাকে নেমন্তন্ন করতাম।
Deleteঅসাধারণ লেখা। মানুষের ঘাড় ধরে টেনে নিয়ে এসে তাকে তার নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া টা যে আপনার বাম (অরাজনৈতিক) হাতের খেল সেটা বুঝে গেছি। আর একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে কেউ যদি আপনাকে বলে "আমাকে নিয়ে একটা লেখা লিখবেন? ", আপনি চোখ বন্ধ করে নিজের যে কোন একটি লেখা তার হাতে দিয়ে বলতে পারেন "এই নাও, এটা তোমার কাহিনী।" এ জন্য আবার একবার আপনাকে সাধুবাদ না দিয়ে পারছিনা।
ReplyDeleteএই যে 'ম্যাজিক'টার কথা বললেন, এটাই আসল। জীবনের সবচেয়ে জটিল সবচেয়ে জীর্ণ মুহূর্তেও একটু খুঁজলেই আপনি একটা না একটা 'ম্যাজিক' খুঁজে পাবেন ই। এটা আঁকড়েই বেঁচে থাকা। এটাই অক্সিজেন। :)
Thik Thik !!
Deleteশঙ্খদীপ, আজ সকাল থেকে ওই রকম একটা দিন কাটাচ্ছিলাম যে রকম দিনে কিছুই মনের মতো হয় না, ভয় হয় কেউ জোরে কথা বললে ভ্যাঁ করে কেঁদে না ফেলি। ভাগ্যিস আপনি কমেন্টটা করলেন। একটু ধড়ে প্রাণ পেলাম। থ্যাংক ইউ। আমার দিনটার চেহারা এক সেকেন্ডে পালটে দেওয়ার জন্য।
Deleteম্যাজিক :D
Deleteashadharan lekha...just ashadharan...
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউ দেবশ্রী।
Delete‘পে স্লিপ’ - eita ekta darun sabdo :-) ekkebare moner kotha nie ekta asto abantorer post er jonye onek dhonyobad .
ReplyDeleteমনের কথা কি না বলুন ইচ্ছাডানা? লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Deleteekdom moner kotha Kuntala. tomar post er sesh kothatukur resh dhore boli , amar didar ekanto moner ichhatei amar Ma, Masi der porashuno kore chakrite dhoka, pore seta oi "Pay-slip" er kolyane tader nijeder ichhao . Parojonmo bole jodi kothao kichhu thake tahole amar didao jeno ei anondo upobhog korar sujog pai amaro ei prarthona. :-)
Deleteআমার দিদিমাও মা-মাসিদের রান্নাঘরে ঢুকতে দিতেন না, ইচ্ছাডানা। বলতেন, এসব করতে হবে না, যাও গিয়ে পড় যাতে চাকরি করতে পার। .
Delete:-)
Deletekodin aggeyi bor bollo .. kaaj korar decision ta naki solely amar .. ami kaaj korte chai ki chai na , ami nijei thik korte pari .. amio bhabte boshlam , kyan kisher liga ..
ReplyDeleteonek dento hashi heshe , onek odrishyo laaang mere , onek papor bele , nijer bari , ghor , Gangar dhaar chhere tobe ei jonjaal e eshe dhoka .. meye ta howar por kichu manusher kadhe nijer ma howar daitto ta ke bhaga bhagi kore tule diye , ek buk oporadhbodh niye office jawa hoy amar .. train er guto khete khete , brishti te bhije ..
tobu eidin tai ekta nishkriti .. muhurte husband ke sms ta forward korte pari .. ar uttor peye jai
এই একটা দিন, আমার কাছে গোটা মাসের 'স্ট্রাগল'কে জাস্টিফাই করার জন্য যথেষ্ট। জব স্যাটিসফ্যাকশন-ম্যাকশন কিচ্ছু লাগে না এর কাছে। এর জন্য আমি অনেককে আরও অনেক ল্যাং মারতে পারি।
Deletemiss korle khub bhul hoye jeto .. lekha ta darun hoyeche .. moner kotha :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
DeletePorojonme, Thakumar kintu ei byapar take "magic" nao lagte pare :-D
ReplyDeleteহাহা, তা বটে বং মম।
Deletejust durdanto
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ সাহানা।
Deleteঅনেক অনেক দূরের একটা সেকেলে বাড়ির সেকেলে ঘরে নিভন্ত চোখ নিয়ে শুয়ে থাকা আমার সেকেলে ঠাকুমা...
ReplyDeleteporar por dosh minit sudhu kadlam. pay slip chuloye jak. amar nijer thakumar kotha mone pore gelo. uni chole gachen praye tin bochor holo.
khuuuub bhalo hoyeche lekhata seta bolai bahuloyo.
আরে কুহেলি, দুঃখ করে না। আমার ঠাকুমাও একদিন যাবেন, হয়তো একটু অদ্ভুত, কিন্তু আমি মনে মনে সে দিনটা কল্পনা করার চেষ্টা করেছিল জানো, কিছুতেই পারিনি।
Deleteaha osob vabte nei. balai shat. beche thakun uni. great grandchildren der sathe khela korun :)
Deleteতোমার মুখে চপকাটলেট পড়ুক, কুহেলি।
Delete