পুরোনো অবান্তরঃ নামকরণের সার্থকতা
এবারের পুরোনো অবান্তরের
মূল পোস্টটির সঙ্গে তার এই মাজাঘষা সংস্করণের মিল এতই কম যে দুটোকে এক
বা একরকম বলে চালাতে আমার রীতিমত অসুবিধে হচ্ছে। কিন্তু আইডিয়াটি পুরোনো পোস্ট
থেকে নেওয়া। দুয়েকটি ঘটনাও। কাজেই আমি এটাকে পুরোনো অবান্তর হিসেবেই পোস্ট করলাম।
*****
আমাদের এক বন্ধু ছিল, সায়ন।
ছিল মানে এখনও আছে, শুধু কাছের বদলে দূরে আছে, দিল্লির বদলে ব্যাঙ্গালোরে আছে। সায়নের মতো ভালো
ছেলে আমি বেশি দেখিনি। শান্তশিষ্ট, হাসিখুশি, বুদ্ধিমান। আড্ডার তোড়ে ভেসে গিয়ে
অনেকেই অনেক কিছু বলে বা করে, বেমক্কা ইয়ার্কি, আলটপকা মন্তব্য – সায়নকে কখনও
দেখিনি সে সব করতে। সায়ন বাকি সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মজা করত, কিন্তু কখনওই
শিষ্টতা বা ঠিকের সীমা অতিক্রম করত না।
এত গুণের ওপর সায়নের আরও
একটা গুণ ছিল। অদ্ভুত
স্মৃতিশক্তি। আড্ডায় ভাঁটা পড়ছে দেখলেই তার
একটি বিশেষ নমুনা শোনার জন্য আমরা সায়নকে চেপে ধরতাম।
দুয়েকবার গাঁইগুঁই করে হাল
ছেড়ে সায়ন শুরু করত।
“কালজয়ী নাট্যকার উইলিয়াম
শেক্সপিয়ার একদা বলেছিলেন যে গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সে সুন্দর। এ কথা
সুগন্ধী কুসুমের ক্ষেত্রে সুপ্রযুক্ত হলেও সাহিত্যের আঙিনায় এর যথার্থতা সম্বন্ধে
যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। বস্তুত, সাহিত্যে নামকরণ এক পরম গুরুত্ববাহী
বিষয়। শিরোনামের দর্পণেই আভাসিত হয়ে ওঠে গল্পের বিষয়বস্তু ও মূর্ছনা। রবীন্দ্রনাথ
নামকরণকে পরম গুরুত্ব দিতেন। যতক্ষণ না সেরা শিরোনাম খুঁজে পেতেন ততক্ষণ চলত তাঁর
নিরলস গভীরতম অন্বেষণ।”
একটি বারও দম না নিয়ে, একটি
বারও না হোঁচট খেয়ে সায়ন ওপরের গোটা প্যারাগ্রাফটা বলে যেত। মাধ্যমিকের আগে সেই যে বেচারা মুখস্থ করেছিল,
এখনও ভুলতে পারেনি। যে কোনও গদ্য/পদ্য/প্রবন্ধের নামকরণের সার্থকতা সম্পর্কে
প্রশ্ন এলেই চোখ বুজে আগে ওপরের প্যারাগ্রাফটি লিখত সায়ন, তারপর অন্য কথা।
*****
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমার
এই বিষয়ে মিল আছে দেখা যাচ্ছে। নামকরণকে আমিও পরম গুরুত্ব দিই। ভাতের সঙ্গে চালের
যা সম্পর্ক, ডে-র সঙ্গে মর্নিং-এর, ইমপ্রেশনের সঙ্গে ফার্স্ট-এর – আমি মনে করি লেখার
সঙ্গে সেই লেখার নামেরও তাই সম্পর্ক। যেমন ধরুন ‘বারীন ভৌমিকের ব্যারাম’ নামটুকু পড়েই কি বোঝা
যায় না যে এর পর একটা ভালো কিছু ঘটতে চলেছে? এর জায়গায় যদি ‘অথ ক্লেপটোম্যানিয়া
কথা’ নাম হত তাহলে কি গল্প অত জমত? আবার ‘পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা
বর্ণন’টুকু পড়েই কি পাঠকের আসন্ন দুরবস্থা টের পাওয়া যায় না?
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমার যে বিষয়ে একেবারেই মিল নেই সেটা হচ্ছে পরিশ্রমের অংশটায়। যে অংশটা ‘নিরলস গভীরতম অন্বেষণ’-এর। অবান্তরের কয়েকটা পোস্টের নাম তুলে দিলেই ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। ‘ধরণী দ্বিধা হও . . .’, ‘বিষয়সংকট, শিশু ও প্রেম(হীনতা)’, ‘নিরলস নিষ্ক্রিয়তা ২’, ‘নদীর এপার ওপার এবং দীর্ঘশ্বাস’। সেদিন কোথায় যেন এক লেখকের সাক্ষাৎকার পড়ছিলাম। সাক্ষাৎকারী সব কথার শেষে যেই না বলেছেন ‘অধুনা বাংলা সাহিত্যে ব্লগের ভূমিকা নিয়ে ছোট করে কিছু বলুন’ অমনি সাহিত্যিক তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন। ‘ঝাঁটা মারো ও সব ব্লগের মুখে! একখানা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন আর হাতে একগাদা সময় আছে যাদের তারা ব্লগ লিখবে আর একখানা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট আছে কিন্তু ব্লগ লেখার সময় নেই যাদের তারা সে সব ব্লগ পড়বে। এর মধ্যে আবার সাহিত্যটাহিত্য আসে কোত্থেকে?’ আমার ‘সাহিত্যের’ এই রকম নামকরণ দেখলে যে তাঁর ব্লাডপ্রেশার কোথায় চড়বে সে কথা ভাবতেও আমার ভয় লাগছে।
লেখার নামের কথা থাক,
মানুষের নামের কথায় আসা যাক। লেখার থেকে জ্যান্ত মানুষ যেমন অনেক বেশি
ইন্টারেস্টিং, লেখার নামের থেকে মানুষের নামও তেমনই।
মানুষের নামকরণের কথা বলতে
গেলে প্রথমেই নামকরণের প্রক্রিয়াটার নিহিত অবিচারের কথা বলতে হয়। সারাজীবন যে জিনিসটা
আমাকে চিহ্নিত করবে, আমাকে বিখ্যাত বা কুখ্যাত করবে বা করবে না, ইলেকশন কমিশনের খাতায়
একটা এনট্রিমাত্র করে রেখে দেবে – সেই জিনিসটার ওপর আমার কোনও হাতই নেই। সেটার
মালিকানা আমার গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যখন মতামত জানানো তো দূর অস্ত, আমার গলা
থেকে আর্তনাদ ছাড়া আর কিছু বেরোতে শুরু করেনি।
নামের মালিকের সঙ্গে
পরামর্শ না করে নাম রাখলে যা হয়, বাবা মা এবং অন্যান্য পূর্বপুরুষেরা নিয়মিত
নামকরণে গোলমাল পাকিয়ে থাকেন। বেশিরভাগ মাবাবার কাছেই তাঁদের সন্তানরা জ্যান্ত পুতুলের
মতো। খোকাখুকুরা যেমন পুতুলকে সাজায়গোছায়, পুতুলের ভুরু প্লাক করে, চুলে বিনুনি
বাঁধে, ঠাস ঠাস চড় মেরে পুতুলকে শাসন করে, বাবামাও সন্তানকে নিয়ে অবিকল সেই
কাজগুলোই করে থাকেন। বিশেষত যতক্ষণ না সন্তানের ট্যাঁফো করার ক্ষমতা জন্মাচ্ছে।
কিন্তু খোকাখুকুদের সঙ্গে
বাবামায়েদের বিপজ্জনক তফাৎটা হচ্ছে খোকাখুকুদের মাথায় আইডিওলজি নামের পোকা থাকে
না, বাবামায়েদের মাথায় থাকে। আইডিয়া ভালো জিনিস তবে তার মুখ্য অসুবিধেটা হল বাস্তবে
প্রয়োগ করার সুযোগ কম। সারাজীবন ধরে এত ভালোভালো আইডিয়া ঝেড়েঝুড়ে বেছেবুছে বাবামা
নিজেদের মাথায় পুরেছেন (বা অন্য কেউ পুরে দিয়েছে), একটা যে অ্যাপ্লাই করবেন তার জো
নেই। পা ফাঁক করে, কোমরে হাত দিয়ে, ভুরু কুঁচকে পথ আটকে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস্তব।
এমন সময় তাঁদের কোলে দুম
করে একখানা জ্যান্ত পুতুল এসে পড়ল। পুতুলটা জ্যান্ত কিন্তু অবোলা। সারাদিন খালি
কাঁদে আর চিংড়ির শুঁড়ের মতো টিংটিঙে হাতপা নাড়ে। বাবামা বিজয়োল্লাসে রিয়েল লাইফের
দিকে তাকালেন। রিয়েল লাইফ জগন্নাথের মতো ঠুঁটো হয়ে রইল, তোমাদের ছাগল তোমরা
লম্বালম্বি কাটবে না আড়াআড়ি সে ব্যাপারে তোমাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
প্রথমেই নামকরণের পালা এল।
বাবামা মগজে জমানো আইডিয়ার ঝাঁপি খুলে বসলেন। বাবামা লিঙ্গপরিচয়ে বিশ্বাস করেন না
– মেয়ের নাম হল স্টর্ম। বাবামা পদবীতে বিশ্বাস করেন না – ছেলের নাম হল সুবলজাত
শ্যামলীপুত্রী। বাবামা কেউ কারও পদবীর হক ছাড়তে রাজি নন – মেয়ের নাম হল শাল্মলী
রায়চৌধুরী পুরকায়স্থ। বাবা বঙ্কিমচন্দ্রের ফ্যান – দু’হাজার চোদ্দ সালে জন্মানো
মেয়ের নাম হল শৈবলিনী। মা অমিতাভ বচ্চনের নামে দু’ঢোক জল বেশি খেতেন এককালে –
ছেলের নাম হল অভিষেক।
এ ছাড়া নিজেদের নামের সঙ্গে
সন্তানের নাম মিলিয়ে রাখার তাড়না তো আছেই। তবে এই অত্যাচারটা ছেলেদের ওপর বেশি হয়।
হরিশংকরের ছেলে কালীশংকরের ছেলে শিবশংকরের ছেলে রুদ্রশংকরের ছেলে শুভ্রশংকর। আমার চেনা একজনের
নাম ছিল মৃগাঙ্ক, সে অনেক খুঁজে আর কিছু না পেয়ে তার ছেলের নাম রেখেছিল আতঙ্ক।
বড়রা অনেক বারণ করেছিলেন, সমবয়সীরা অনেক হুমকি দিয়েছিল, ছোটরা অনেক পায়ে ধরেছিল,
মৃগাঙ্কবাবুকে টলানো যায়নি। আমিও প্রথমটা শুনে চোখ কপালে তুলেছিলাম, তারপর যখন একবছর
বাবামার সঙ্গে পুজোর পর বিজয়া করতে সাড়ে তিন বছরের আতঙ্ক আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এল
তখম আমার মন থেকে সব সংশয় দূর হল। ঘরে ঢোকার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঠাকুমার লাল
দন্তমঞ্জন নিজের সারা গায়ে ছিটিয়ে সে যখন আমার বাবামায়ের খাটের ছত্রী ধরে দোল খেতে
লাগল, তখন তাকে দেখে আমার মনে যে ভাবটা জেগেছিল সেটাকে বিশুদ্ধ আতঙ্ক ছাড়া আর কিছু
বলা যায় না। কোনও মানুষের এত সার্থক নামকরণ আমি আগে আর কখনও দেখিনি, পরেও দেখব কি
না সন্দেহ।
মেয়েদের ক্ষেত্রে বাবা বা
মায়ের থেকে দিদির সঙ্গে নাম মেলানোর চল বেশি। গীতার বোন নমিতা, অপর্ণার বোন
অর্চনার বোন আল্পনা। সব উদাহরণ আমাদের বাড়ি থেকে দেওয়া হল। বিখ্যাত উদাহরণও আছে,
ডিম্পল কাপাডিয়ার বোন সিম্পল কাপাডিয়া। আমার সঙ্গে গান শিখত সোনামণি আর তার বোন
খুকুমণি।
আমাকে এ যাবৎ কোনও শিশুর
নাম রাখতে হয়নি কিনা, তাই এ বিষয়ে আমার কিছু বক্তব্য আছে। আমি মনে করি সন্তানের
নাম রাখার সময় কয়েকটি ব্যাপার বাবামায়েদের খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষত জীবনের বিভিন্ন
স্টেজে তার ব্যবহারযোগ্যতার কথা। আজকাল অবশ্য সম্পর্ক ব্যাপারটা উঠে গেছে, সকলের সঙ্গেই
সকলের ফার্স্ট নেম বেসিসের গলাগলি, কিন্তু আর ক’বছর আগেও লোকে বয়স বুঝে মাসিমা,
জেঠিমা, কাকু, দাদু – এইসব বলে ডাকাডাকি করত। সেই সময় কাউকে যদি খোকনদাদু বলে
ডাকতে হয় বা বুড়িদিদি, তাহলে কেমন কেমন লাগে।
দু’নম্বর খেয়াল রাখার বিষয়
হচ্ছে পদবী। পদবী ঠাকুর হলে দয়া করে সন্তানের নাম রবীন্দ্রনাথ রাখবেন না, খান হলে
শাহরুখ, সেন হলে সুচিত্রা। পদবী মল্লিক হলে নাম কোয়েল যদি বা চলতে পারে মল্লিকা
নৈব নৈব চ। জানি ভয়ানক লোভ হবে, কিন্তু সে লোভ সংবরণ করবেন।
তিন নম্বর বিষয়টা নামের মানেসংক্রান্ত। একসময় আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম মানুষের নামের একটা মানে থাকা উচিত। টম, হ্যারি, ডেভিড, জেন, অ্যান, ন্যান্সি, ক্যাটনিস নয়; নাম হবে অমিত, লাবণ্য, শোভন, নিখিল, নবীন, দীপাবলী, সত্যবতী। নামকে শুধু একটা চিহ্ন হিসেবে বন্দী করে রাখা কেন, যখন তাকে তার থেকেও বেশি কিছুতে উন্নীত করা যায়। বলা তো যায় না, ক্রমাগত বইতে বইতে বোঝার কিছু গুণ গাধার ভেতর ঢুকে পড়বে হয়তো। ঋতম্ভররা সত্যে অবিচল হবে, দীপান্বিতারা আলো জ্বালাবে আশেপাশের প্রতিটি মানুষের জীবনে।
আবার উল্টো বিশ্বাসও
দেখেছি, মানুষের দোষগুণ নামের ভেতর চারিয়ে যাওয়ার বিশ্বাস। যে বিশ্বাসের বশবর্তী
হয়ে লোকে ছেলের নাম রাবণ রাখলেও কদাপি বিভীষণ রাখে না। বিশ্বাসই করতে পারেন না অমিতাভ
নামের শিশু বড় হয়ে একজন হিংসুটে, কুচুটে, বিতিকিচ্ছিরি মানুষে পরিণত হতে পারে।
কোন্নগরের শকুন্তলা কালীর প্রভাব তো আছেই, কিন্তু আমার নামের পেছনে এই দ্বিতীয়
বিশ্বাসের কেরামতিও আছে। খিদিরপুরে আমার ঠাকুরদাঠাকুমার কোয়ার্টারের পাশের
কোয়ার্টারে একটি পরিবার এসে উঠেছিল কিছুদিনের জন্য। সে বাড়ির মেয়ে ছিল কুন্তলা।
রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী। সাত চড়ে সে মেয়ে রা কাড়ত না, পাঁচবার ‘অ্যাঁ?’ না
করলে কথা শোনা যেত না এমনি নম্র ছিল সে মেয়ের কণ্ঠস্বর। নিজের ছেলেমেয়ের
পালা সাঙ্গ হয়েছিল ততদিনে, কাজেই ঠাকুমা সংকল্প করে রেখেছিলেন এর পর বাড়িতে যে
মেয়ে হবে সে মেয়ের নাম হবে কুন্তলা।
আমার কপাল ভালো হলে মাঝখানে
কেটে যাওয়া দু’যুগে ঠাকুমা তাঁর সংকল্প ভুলে মেরে দিতেন, কিন্তু আমার কপাল আর কবেই
বা ভালো হয়েছে। ঠাকুমা তক্কেতক্কে ছিলেন, জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গে আমার নাম রেখে
দিলেন কুন্তলা। ঠাকুমার স্ট্র্যাটেজি তো খাটলই না, নামটা আমারও কোনওদিন মনে ধরল
না। কত গভীর অর্থবহ নাম হয় বাকি সবার – শ্রেষ্ঠা, অপরাজিতা, সঙ্ঘমিত্রা, সে জায়গায়
কুন্তলা কী রকম তাৎপর্যহীন, খেলো। বছর বিশেক ঘর করে নামটাকে কোনওমতে সইয়ে নিয়েছি,
এমন সময় আমার মাথার চুল উঠতে শুরু করল। এখন যখনই নামের মানে কী-র উত্তরে বলি,
‘মাথায় চুল আছে যে মহিলার’ লোকে সোজা আমার মাথার দিকে তাকায়। ‘কানা ছেলের নাম
পদ্মলোচন’-এর এমন হাতেগরম উদাহরণ পেয়ে তাদের মুখে আর কথা সরে না।
কাজেই আমি এখন বিশ্বাস করি
মানেওয়ালা নাম এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অন্তত এমন নাম, যার মানে খালি চোখে পরখ
করা যায়।
বাঙালি নামের কথাই যখন
হচ্ছে তখন ডাকনামের ব্যাপারটা এড়ানো চলে না। ডাকনামের আমি মস্ত বড় সমর্থক। ডাকনাম
বলতে আমি স্কুলের নামকে ছাঁটকাট করে নেওয়া ‘নিক’নামের কথা বলছি না কিন্তু। অর্থাৎ
সিদ্ধার্থ থেকে সিড নয়, অনন্যা থেকে অনি নয়; টেঁপি, গুপি, ঘন্টু, ল্যাংচা, পটলা,
ছক্কা, বুঁচি, গদাই। ডাকনাম যত খারাপ, তত ভালো। মনে মনে একবার বইমেলার কথা কল্পনা
করুন, কিংবা একডালিয়া এভারগ্রিনের মণ্ডপ। হেমন্ত মুখার্জির গলা থামিয়ে মাইকে একজন
বলছেন, ‘পানিহাটি থেকে আসা পটলা, তুমি যেখানেই থাক, মেলা অফিসে এসে যোগাযোগ কর।
তোমার মাস্টারমশাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছেন।’ সে জায়গায় যদি বলা হয় ‘সাদার্ন
অ্যাভিনিউর সিড’ তবে কি মেলা জমে? সাদার্ন অ্যাভিনিউর সিডেরা মহা সেয়ানা, ভিড়
দেখলে ভড়কায় না, বেচারা পটলাদেরই খালি মাস্টারমশাইদের সঙ্গে হাতছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তাই
আমার সহানুভূতি চিরকাল পটলাদের দিকে।
দেখেশুনে মনে হতে পারে যেন
ছেলেমেয়ের নাম রাখাটা বোধহয় একটা বেজায় শক্ত কাজ। তা একটু শক্ত তো বটেই, সারা
জীবনের ব্যাপার যখন। তা বলে বেশি শক্তও না। বাবামায়েরা যদি নাম রাখার সময় নিজেদের
কথা না ভেবে যার নাম রাখা হচ্ছে তার কথা বেশি ভাবেন, যদি মনে রাখেন সেই নাম নিয়ে
শিশুটিকে স্কুলকলেজে যেতে হবে, বন্ধুবান্ধবদের মোকাবিলা করতে হবে, যথাসময়ে কাউকে প্রেমে
ফেলতে হবে, বসের সামনে দাঁড়াতে হবে – তাহলেই কাজটা নিমেষে সোজা হয়ে যায়।
অবশ্য বাবামায়েরা যদি সেটুকু ভাবনাও না ভাবতে চান তাহলেও অসুবিধে নেই। অপছন্দের নাম ঘাড়ে করে ঘোরার দিন ঘুচেছে। পিতৃমাতৃদত্ত বিচ্ছিরি নাম পড়ে পড়ে পচুক সার্টিফিকেটের বান্ডিলে, এখন সবাই যে যার নিজের নাম নিজেরা রেখে নেবে। যার যেমনটি চাই। বর্ণালী যদি বোরিং লাগে তবে নাম বদলে ‘বৃষ্টির ছাঁট’ করে নিলেই হল। কিংবা মহীনের বদলে বদলে ‘মহাকাশচ্যুত নক্ষত্র’। কেউ ভুরু কুঁচকোবে না, কেউ বলবে না ‘এ আবার কেমন নাম, এ নামকরণ সার্থক হয়নি।’ রিয়েল লাইফ আর বাগড়া দেবে না, সোশ্যাল মিডিয়াই এখন রিয়েল লাইফ। সেখানে সার্থকতার সংজ্ঞা বদলে গেছে অনেকদিন হল।
অবশ্য বাবামায়েরা যদি সেটুকু ভাবনাও না ভাবতে চান তাহলেও অসুবিধে নেই। অপছন্দের নাম ঘাড়ে করে ঘোরার দিন ঘুচেছে। পিতৃমাতৃদত্ত বিচ্ছিরি নাম পড়ে পড়ে পচুক সার্টিফিকেটের বান্ডিলে, এখন সবাই যে যার নিজের নাম নিজেরা রেখে নেবে। যার যেমনটি চাই। বর্ণালী যদি বোরিং লাগে তবে নাম বদলে ‘বৃষ্টির ছাঁট’ করে নিলেই হল। কিংবা মহীনের বদলে বদলে ‘মহাকাশচ্যুত নক্ষত্র’। কেউ ভুরু কুঁচকোবে না, কেউ বলবে না ‘এ আবার কেমন নাম, এ নামকরণ সার্থক হয়নি।’ রিয়েল লাইফ আর বাগড়া দেবে না, সোশ্যাল মিডিয়াই এখন রিয়েল লাইফ। সেখানে সার্থকতার সংজ্ঞা বদলে গেছে অনেকদিন হল।
Ei post ta ekdom "close to my heart". Bimbabati naam niye jeebon katano je ki kothin ki bolbo. Beshirbhaag lok uchcharon korte paare na. Tar thekeo beshi lok chhoto kore "Bimbo" bole, "Bambi" bole, "Bimbaba" bole. Emonki "Bambam" o bole thakey keu keu. Oshojhyo. Tar opor amar daaknaam abar Buchu. Thakuma bhalobeshe bahari daaknaam diyechhilen Malini. Kintu keu sei naamey aaj obdhi daklo na. :-(
ReplyDeleteAmar poribaarey kintu daroon ashchorjo naamer chol. Amar ek mamar naam Raban. Tar dui chheler naam Ushnish ar Ulysses. Amar arek jora jomoj mamar daaknaam Soda ar Whiskey. Tader amra Soda mama ar Whiskey mama bole deke thaki.
Amar bhai er ek bondhur naam Bhalobashi Banerjee. College ey uthe naam niye tar bejay durdosha hoyeche. Bhai er arek bondhur naam "Tuhu Brishtidhara". Taar baba-ma podobi tey bishwas korten na. Edike beshirbhaag lok bhaabe tar podobi "Dhara". Tai taakey Miss Dhara bole dakey oneke. Tatey taar baba-ma bejay rege jaan.
তোমার পুরো নামটা কিন্তু অবান্তরের অনেক পাঠকের খুব পছন্দের, আমার কাছে খবর আছে, বিম্ববতী। মালিনী নামটা খুবই সুন্দর, কিন্তু বুচু আরও ভালো।
Deleteসোডা হুইস্কি! ভালোবাসি! তুহু বৃষ্টিধারা! অদ্ভুত নামওয়ালা চেনা লোক থাকার কম্পিটিশনে তোমাকে হারানো শক্ত তো দেখছি। আমার চেনা কারও যমজ ছেলে হলে সোডা হুইস্কি নামদুটো প্রস্তাব করব।
আমার নামটাও জন্মের আগেই ঠিক করা ছিল কিন্তু তোমার মত প্রমাণযোগ্য নয় বলে বেঁচে গেছি ... মল্লিকা মল্লিক তো আমাদের স্কুল এই ছিল. টাউন স্কুল এ একজন ছিল জয়ন্তী তার বোনের নাম রটন্তি। কালীঠাকুরের নামে !! ... আমি সত্যি একজন কে জানি যে মেয়েটি বেশ মোটা বলা চলে আর তার নাম তন্বী। আর একজন কে জানি চুমকি চাকি ... বাবা মা দের সেলাম :)
ReplyDeleteতোমার নামটা তো খুব সুন্দর ঊর্মি। ছোট্ট, মিষ্টি। মল্লিকা মল্লিক তো আমাদের স্কুলের মেয়েটির কথা মনে করেই লিখলাম। তোমাদের ব্যাচেই ছিল নাকি সে? নামের গুণেই সেই মেয়েটির মুখ আমার এখনও মনে আছে। শান্তশিষ্ট, হাসিখুশি। রটন্তি/ রটন্তী নাম শুনলেই আমার পরশুরামের লেখা রটন্তীকুমারের গল্প মনে পড়ে। আর মুখটা হাসি হাসি হয়ে যায়। চুমকি চাকিটা জাস্ট আনফরগিভেবল। বাবামায়েদের সত্যি সেলাম।
Deleteনা আমার নিজের নাম টা ভালই লাগে.. সবাই বলে... একমাত্র আমার এক রুমমেট ছিল ঊর্মিমালা সে ছাড়া। সে নিজের ওই মালা টুকু অপছন্দ করত তার সাথে ঊর্মি টাও ভালো বলতে পারত না .. :) মল্লিকা মল্লিক আমার পরের ব্যাচ ছিল.. তুমি বোধয় আমাকে এখনো ঠিক চিনতে পারনি.. পুচকে মতন ছিলাম.. ৯৯ এর ব্যাচ। এখন আর একজন ঊর্মি অবান্তর পড়তে শুরু করেছে.. তুমি বুঝবে কি করে কে কোনটা .... আমি ঊর্মি ব্যানার্জী লিখব তাহলে।
Deleteআরে ঊর্মি, তুমি প্লিজ রাগ কোর না আমি তোমাকে চিনতে পারিনি বলে, আমি আসলে তোমার মুখটা মনে করতে পারছি না। একবার দেখলেই মনে করতে পারব। তুমি যদি তোমার একটা ছবি আমাকে মেল করে দাও, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান।
Deleteহ্যাঁ, নতুন ঊর্মিকে দেখে আমারও প্রথমে সেই চিন্তাই হয়েছিল। ব্যানার্জি লেখার আইডিয়াটা ভালো।
korlam mail.. :)
Deleteপেলাম। এবং অ্যাদ্দিন যে তোকে 'তুমি' 'তুমি' করছিলাম, সেই লজ্জায় মাটিতে মিশে গেলাম।
DeleteAmar naam o toh anek lok uchcharon korte pare na, banan toh chherei dilam! Bondhu ra 'Ramu' boley daake. :-(
ReplyDelete'Atanka' naam prosonge boli, amar bhai er naam 'Utanka' (na amar baba'r naam '-anka' diye shesh noy motei), kintu take hameshai bondhu ra 'Atanka' bole deke thake. Chhotobela'y amar priyo bondhu chilo 'Sannidhya', se nijer naam er banan korte parto na. Ekhon pare bodhoy. :-D
Amarder para'y ache 'Pimpim' bole ekti meye, tuition class e chilo 'Bandel Ramkrishna', r school e chilo 'Suprema'. Ekbar newspaper e porechilam ekjon government employee'r naam 'Rashtrapati'.
-Ramyani.
ব্যান্ডেল রামকৃষ্ণ নিশ্চয় ব্যান্ডেলে থাকত বলে তার ওই নাম? তোমার নামটা খুবই সুন্দর, কিন্তু শক্তও সত্যি, রম্যাণি। প্রথমবার আমি তোমার কমেন্টের উত্তর লিখতে গিয়ে ভাবছিলাম হ্রস্ব ই দেব না দীর্ঘ ঈ, তারপর ভেবেচিন্তে হ্রস্ব ই-ই দিলাম। আশা করি ভুল করিনি।
Deleteতোমার সান্নিধ্য-র কথা শুনে আমার চেনা একজনের নাম মনে পড়ে গেল। সংলাপ। বলাই বাহুল্য, সবাই তাকে 'ডায়লগ' বলে ডাকত।
Amar naam er banan thik e likhecho... shei jonye toh aaro fan hoye gechi. :-)
DeleteBandel Ramkrishna-er jonmo hoyeche Bandel church ebong Dakshineshwar e manot korbar pore. Tai ei naam. Eta bondhuder deoa daknaam noy... tar puro formal naam.
-Ramyani.
হোয়াট! ভালো নাম ব্যান্ডেল রামকৃষ্ণ! আমার শোনা উইয়ারডেস্ট নামের লিস্টে এটা সবার ওপরে উঠে গেল, রম্যাণি।
Deleteনামের কষ্ট? কোই মুঝসে পুছে। আমাদের ভাই-বোনদের নাম আমার বাবার দেওয়া। সারা জীবন বিড়ম্বনা বয়েই গেলাম। একজনের নাম কোরক। তাকে বন্ধুরা ডাকত কারক, মোরগ। বেচারা রোজ বাড়ি এসে মা-র উপর রাগ দেখাত আর বিছানায় শুয়ে প্ল্যান করত বড় হয়ে নিজের নাম পালটে কি রাখবে। তবে সে সার্থকনামা হয়েছিল বটে। অনেক হাঁচোড় পাঁচোড়ের পর নিজের ক্ষেত্রে সে যখন কোরকের ধাপ পেরিয়ে পূর্ণ কুসুমে বিকশিত হচ্ছে, তখনই সে অকালেই ঝরে গেল মায়ের কোল শূন্য করে, কর্মক্ষেত্রে সবাইকে হাহাকৃত করে।
ReplyDeleteদ্বিতীয় জনের নাম নালক। সেতো সারা জীবন নোলক আর নালাপরিষ্কারক হয়েই কাটিয়ে দিল। সেও দাদার সঙ্গে পরামর্শ করত তার কি নাম হবে।
আর আমি? সারা জীবন নামবিকৃতি, বর্ণ বিপর্যয় প্রভৃতির শিকার হতে হতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। যে কোন জায়গায় নাম শুনলে লোকের ভ্যাবাচ্যাকাদৃষ্টি আর নামের বানান বলে পরিচয় দেওয়া - রাম বলো, এই কি জীবন?
জনসাধারণ নাম শুনে ভুরু কুঁচকে বলে তোর বাবা কি আর নাম পেলোনা? তবে আমার এই সান্ত্বনা যে আমিও সার্থকনামা হয়েছি।
আপনাদের ভাইবোনেদের নামগুলো অন্যরকম বটে, মালবিকা। খুবই কম শোনা যায়। তবে আপনার নামটা আমার কিন্তু খুবই পছন্দের।
Deleteএই তো সেদিন একটা কুইজ কন্টেস্টে পরমবীরচক্র বিজেতাদের উল্লেখ আসতে আমরা খেয়াল করলাম যে ভারতবর্ষের এক বীরের নাম শয়তান শিং, মেজর শয়তান শিং।
ReplyDeleteমা বাবা শিওর সিদ্ধি খেয়ে নাম রেখেছিলেন, বলুন? তবু দেখুন, খোকা বড় হয়ে ঠিক মাবাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে।
শয়তান! কিছু নজরটজর লাগার ব্যাপার ছিল বোধহয়, দেবাশিস। এর জুনিয়ররা নিশ্চয় এঁকে শয়তানস্যার বলে ডাকতেন। কী কাণ্ড।
DeleteJanis kuntala, amar naam tao amar mote pochondo noi.... mousumi bayur jemon jokhon tokhon nimnochap hoi amar o temni kotha nei barta nei mon kharap start hoye jai.. sei orthe ami sarthoknama e bote... amader college a dipmalya bole ekta chele chilo sara jibon oke loke " dim parlo " bolei deke gelo.. akhon amar cheler bhalo naam diyechi Pusan... bechara phone a anek jaigatei lok Pusan er bodole "kushan" sone.. O boro hole o amai nischoi bokbe... - Mousumi Bhattacharya.
ReplyDeleteআরে মৌসুমী, মনখারাপ হয় মানেই প্রমাণ হয় যে তোর মন বলে একটা পদার্থ আছে। কাজেই দুঃখ পাস না। তোর ছেলের নাম পূষণ? খুব সুন্দর না। আমি অবশ্য টুকটুক বলেই ডাকব।
Deleteসত্যি সত্যি একজনকে চিনতাম যার নাম ভারত সরকার! আমার নামটা আজকাল একটু বেশি কমন হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু আমার ইস্কুলবেলায় এ নাম দ্বিতীয়টি পাওয়া যেত না, এবং প্রচুর লোকে আমাকে আদিত্য ডাকতেন এবং লিখতেন! আর একটা বিকট বানান দেখতাম অদ্বিতী....অন্তিম য় টা থাকত না অবশ্যই। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে জন্ম বলে দিদা নাম দিয়েছিলেন রাকা, সে নামে একদিনের জন্যেও কেউ আমায় ডাকে নি, অথচ অদিতির চেয়ে রাকা আমার অনেক পছন্দের নাম। কিছুকাল আগে একটি আধুনিক সপ্তদশী কন্যেকে এই নামটি বলায় সে কিছুক্ষণ গড়াগড়ি দিয়ে হাসল, তারপর বলল আণ্টি তুমি কি হিন্দি মুভিতে ডাকুর পার্ট করতে, মেরা নাম রাকা হ্যায়, রাকা! তাকে আর কিছু বলা গেল না, কারণ সত্যি সত্যি তার ভাষাজ্ঞানের গুঁতোয় আমার কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল!
ReplyDelete'অদ্বিতী'র থেকে শক্ত কিছু বাংলায় টাইপ করেছি কিনা মনে পড়ছে না অদিতি। রাকা নামটা কী সুন্দর। তোমার চেনা সপ্তদশীটিও দিব্যি। ভারত সরকার মার্কা নাম দেখলে আমার বাবামায়েদের ক্ষুরে ক্ষুরে নম করতে ইচ্ছে করে।
DeleteSunil Ganguli-r 'Raka' bole ekti uponyash ache na. Seti amar boro-i pochondo hoyechilo.
Deleteআমারও, ঘনাদা।
DeleteOnek gulo oshonglogno chinta mone khele jachhe:
ReplyDeletea) Ek bhai-bon er naam shunechhilam Columbia ar Challenger. Ei dujon ke ami dekhechhi.
b) Paper-e podechhilam aro dujon-er naam: Perestroika ar Glasnost. Eder oboshyo ami dekhi ni.
c) Amar naam ta Obangali-rai uchharon kore uthhte paren na, bideshi-der kotha to chhede dilam. Moner dukkhe bideshi-der boli amar podobi-takei first name hishebe byabohar korte. Obangali der boli Hindi uccharon ta use korte. Mile-mishe konorokome chole jai. Announcement-er jaiga te Su...Su... shunlei bujhe jai je toilet noi, amakei bodh hoy khonja hochhe.
d) Rajshekhar Basu-r thhik ei bishoy-tar opor ekta onobodyo probondho achhe, nam holo Namtotwo.. Ei lekha ta bar-bar sheitar kotha mone podiye dichhe!
Shuteertho
a) Aapni nischoi JU te porten ba jatayat chilo? :-)
Delete-Ramyani.
সুতীর্থ, আপনার নামটা কম শোনা যায় সেটা মানতে হবে। আপনি ইচ্ছে করলে নিজেকে তীর্থ বলে চালাতে পারেন। পেরেস্ত্রৈকা গ্লাসনস্ত আমিও শুনেছি মনে হচ্ছে, তবে চ্যালেঞ্জার কলম্বিয়াটা নতুন।
Deleteনামের প্রসঙ্গ তুলে আর দুঃখ দেবেননা। আজকাল বাচ্চাদের নাম রাখার আগে প্রত্যেক বাবা মায়ের ভেবে দেখা উচিত ইংরেজি হরফে লিখলে সে নামটার উচ্চারণ কি দাঁড়াবে, আর সেটা ইংরেজিতে কোনো লজ্জাজনক শব্দের কাছাকাছি কিনা। আমার নামের ক্ষেত্রে প্রথমটা খেয়াল রাখা হয়নি, যার ফলে ৫ বছর বয়েসে এলাহাবাদ যাওয়ার পর থেকে আমার নাম "সুগাতা" হয়ে গেল। এখন আমেরিকাতেও কোনও অবাঙালি নাম জিজ্ঞাসা করলে আমার মুখ দিয়ে "সুগাতা"-ই বেরয়। মানের ব্যাপারটা তো আরও গোলমেলে। সুগত হল ভগবান বুদ্ধের এক নাম, যার মানে হল "যার গতি সুন্দর।" আমায় কেউ মানে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলি "One with a beautiful gait" এবং তারপর অবশ্যই তারা জানতে চায় আমার বাড়ির gate টা এমন কি সুন্দর যে তার নামে ছেলের নাম রাখতে হবে? আর আমার পরিচিত একজন স্প্যানিশ ভদ্রমহিলা তো আমার নাম শুনে হেসেই কুটিপাটি। "সু গাতা? রিয়েলি? সু গাতা?" জানা গেল স্প্যানিশ ভাষায় সু মানে "তোমার" আর "গাতা" হল বেড়াল। অর্থাৎ আমার নামের মানে তিনি বের করেছেন "Your cat."
ReplyDeleteনাতি-নাতনিদের নাম রাখতেও দাদু-দিদিমা-ঠাকুমাদের সমান উত্সাহ দেখা যায়, বিশেষ করে ডাকনাম। আমার বোনের মেয়ে হয়েছে কয়েকমাস আগে, আর আমার মা অলরেডি তার ৩-৪টে ডাকনাম দিয়ে ফেলেছে।
ঠাকুমাদাদুদের ডাকনাম নিয়ে উৎসাহের ব্যাপারটা সত্যি। আমার চেনা একজন বাচ্চার নাম রেখেছে অর্ণা। কিন্তু ইংরিজি বানান করেছে Aarna. আমি প্রত্যেকবার 'আর না' বলে ডাকতে গিয়েও সামলে নিয়ে অর্ণা বলি।
Deleteঅর্না টা তো ভয়ানক গোলমেলে নাম। Arna লিখলে লোকে আর না বলে ক্ষেপাবে, Orna লিখলে ওড়না বলে ক্ষেপাবে। এক যদি Awrna লিখে নিস্তার পাওয়া যায়!
Deleteগোলমেলে তো বটেই। অবশ্য ওড়না বলে ডাকলে ঠিক ক্ষ্যাপানো যাবে না, ওড়না নামের লোক আমি দেখেছি।
DeleteIngriji, Spanish periye er por mandarin e sei namer ki mane hobe ta o dekhte hobe !
Deleteamake ak atmiya "sugotaa" bole dakten. ami bhishon birokto hotam, karon ami amar naam niye bejay sensitive :(
Deleteekhane amar naamer boroi bikriti hoy.. kemon akta military kayday swa-ga-tha bole sobai :( :(
kuntala di, tomar naam ta amar kintu dibbi lage :)
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, স্বাগতা। তোমার নামটা মার্কিন জিভে ঝামেলা পাকাবে, স্বাভাবিক। ঘনাদা, গ্লোবালাইজেশনের যুগ পড়েছে, ক'দিন পর এস্পারানতোতে নামের মানে কী হবে সেও মাথায় রাখতে হবে।
Deleteamar jethtuto didi r sathe miiye amar daknam rekhechilen amar jethima. Phooltusi r bon Bulbuli. ei nam tar jonno ami hameshai awaj khai. nach mere bulbul, bull-square etc.
ReplyDeleteKuheli ke koel, kuhali, even kuili boleo loke dekeche. Chengra chokra der kache ami Kuhu, jeta sunlei nijeke vamp mone hoy. Ebong bohu loker bishash kuheli mane kokil er dak.
amar baba ma er nam Pradip Shikha. khubi romantic coincidence.
এ মা, বুলবুলি তো বেশ মিষ্টি নাম, কুহেলি, তোমার বন্ধুরা ক্ষ্যাপায় কেন? প্রদীপ শিখা-র ব্যাপারটা সত্যি দারুণ।
Deleteনাম প্রসঙ্গে মনে হচ্ছে জনগনের নিজের নাম নিয়ে বিস্তর আপত্তি আছে |
ReplyDeleteকিন্তু এ প্রসঙ্গে আমার দিদির একটা কথা মনে পড়ে যাচ্ছে - দিদি তখন বি ই কলেজ এ পড়ে, আমি আর মা একবার দিদির সাথে দেখা করে ফিরে আসছি, বাস স্ট্যান্ড এ দিদি র একদঙ্গল বন্ধুর মাঝে মা দিদিকে বলল "বুটাই ....." দিদির বন্ধুরা মিচকি হেসে দিদি র দিকে তাকিয়ে , দেখে আমি দিদি কে বলেছিলাম - দিদিভাই , তোর তো prestige puncture হয়ে গেল . শুনে দিদি আমাকে বলেছিল , আমার prestige এতো ঠুনকো নয় যে মা এর আদরের ডাক নাম অন্য কেউ শুনে ফেললে , তা puncture হয়ে যাবে |
আপনার দিদি খুবই ব্যক্তিত্বশালী আর আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে, আত্মদীপ। সবাই তো এমন হয় না। তাছাড়া লোকের নামও সত্যিই অদ্ভুত হয়। ধরুন কারও নাম ল্যাংচা, বা বিম্ববতী যেমন বলল, সোডা বা হুইস্কি। এ রকম নাম শুনে কেউ হাসলে আমি তার দোষ দিই না।
DeletePost ta darun mojar ar comments gulo poreo besh moja laglo. amar nam "Bidula" .. eta nieo oneker onek samosya hoi... ordheker beshi lokjon amar nam prothombar bujhtei parenna.. ditiobar abar shunte chan thik shunchehn na bhul shunchhen.. ar ordhekjon nijerai dhore nan amar uchharane dosh achhe ota "Mridula " hobe ... chhotobelai prostut thaktam ... namta ditiobar shonbar porei samner joner prothom jiggasa hobe "mane??" ... amio ma er kachh theke sekha mane gorgor kore aore jetam.... je mane bojhate amake Moahabharat er saronapanno hote hoto... se ek bishal galpo bolte hoto...
ReplyDeletekhub raag hoto ma er upor... ekhon buro boyese soe gachhe. :-)
নাহ, অন্যরকম নামের প্রাইজটা আপনিই জিতলেন, ইচ্ছাডানা। বিদুলা সত্যিই অন্যরকম। আপনার মাও নিশ্চয় খুবই অন্যরকম ছিলেন, না হলে চট করে এমন নাম রাখা তো সোজা ব্যাপার না।
Deleteoitai mojar namta onnorakom ar ami oti sadharon... tai bodhoi lokjoner aro biswas korte asubidha hoi... nam ar manush melena.. :-D . amar ma ekrakomer boier poka... boi porte porte kono ek lekhoker galper ek choritro "Bidula" darun pachhondo hoe giechhilo... namer mane bujhte na pere tar onusondhan chalie Mahabharat er choritrotio pachhondo hoe giechhilo ma er ... amar mushkil holo ei ghatonar pore amar janmo ghotlo.. age hole namta onno hoto nischoi..
Deleteভ্যাট, কী যে বলেন, ইচ্ছাডানা। অত সুন্দর ছবি তোলেন, অত সুন্দর লেখেন, এত ভালো ব্যবহার করেন - তাতেও যদি আপনি অসাধারণ না হন তাহলে আমরা সবাই যাকে বলে এলেবেলে।
DeleteAmar ogyota khoma korben, 'bidula' mane ki ? Chalantika-i pelum na.
Deletemahabharater golpo ta amio shunte chai.
Deleteআমারও বিদুলা নামের মানে/ গল্পটা জানার ইচ্ছে ছিল, সাহস করে জিজ্ঞাসা করতে পারছিলাম না। ঘনাদা আর স্বাগতার পর লাইনে আমিও আছি। ইচ্ছাডানা, প্লিজ প্লিজ আপনার নামের উৎস বলুন।।
Deleteকয়েকটা মজাদার নামকরণ শোনাই :
ReplyDeletea ) দুই ছেলের নাম মা বাবা দিলেন লায়ন আর জুপিটার , এর পর মেয়ে হওয়াতে আহ্লাদিত হয়ে নাম দিলেন বুচকুন্ডি |
b ) এক দম্পতির শুধুই মেয়ে হত , নাম হলো নীতি বীথি গীতি , আবার মেয়ে ..... এবার the end করতে চাইলেন মা-বাবা, নাম দিলেন ইতি, শোনা যায় এরপর আবার একটি মেয়ে হয় ....নাম হয় পুনশ্চ (সে নাকি বেশিদিন বাঁচেনি) |
c ) একজন একমাত্র সন্তান-এর নাম শ্মশান !
বলা বাহুল্য, এগুলো সব-ই আমার মামাবাড়ির গল্প, যে পরিবারে মজাদার ঘটনার প্রাচুর্য | তোমার শ্বশুর শাশুড়ির নামদুটো-ও অসাধারণ ! বিশেষ করে শ্বশুরমশায়ের ! তিন্নির ভালোনাম এত বেশি খোঁজা হয়েছিল, যে নামটা তিন্নি-ই রয়ে গেল | আর অর্চিষ্মান নামটা আমার সেজমামা নির্বাচিত করেছিলেন অন্তত লাখখানেক নাম ঘেঁটে, সাত দিন সাত রাত ভেবে, প্রচুর পারিবারিক বিতর্ক ও আলোচনার মধ্য দিয়ে ! এই ঘটনার আমি সাক্ষী, অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম, এবং আমাদের পুরো পরিবার এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় এক সপ্তাহ নাওয়া খাওয়া ভুলে মেতেছিল !.........tilakmama
হাহা তিলকমামা, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নাম নিয়ে সত্যিই কথা হবে না। বেচারা তিন্নি। তিন্নি নামটা এমনিতে খুবই সুন্দর, কিন্তু বাকি তিনজনের নাম শোনার পর তিন্নি শুনলে একটুক্ষণ হাঁ করে থাকতে হয় বৈকি। একটা ফান ট্রিভিয়া বলি তোমায়, আমার শাশুড়িমা একটিমাত্র সিরিয়াল মন দিয়ে দেখেন টিভিতে, ইষ্টিকুটুম। আমার ধারণা ওই সিরিয়ালটার প্রতি মায়ের এত মনোযোগের কারণ ওটার হিরোর নাম অর্চিষ্মান।
Deleteশ্মশান! বাবামা কি পাগল না পায়জামা! বুচকুন্ডি কিন্তু চমৎকার নাম।
haha ..eta bhalo bolechish ..byaperta khub sambhab :) - tinni
Deleteআর কোনও কারণ থাকতেই পারে না, তিন্নি।
Deleteনামের গল্প একটু বলি । ভুবনেশ্বর পোস্টিঙে যে সব নাম আমি আপিসে দেখেছিলাম ঃ
ReplyDeleteঅন্তর্যামী মহারাণা
প্রঞ্জাপারমিতা শ্রদ্ধা সুমন
সং গ্রাম কেশরী সামন্তরাই
মহামেঘবাহন খারবেল সোয়াই
হরযক্ষ কেশরী বর্মা
একটাও বানিয়ে লিখছি না । সব সত্যি!
মিঠু
মহামেঘবাহন! শুনেই কেমন ভক্তি হচ্ছে মিঠু। হরযক্ষও চমৎকার। তোমার এত সব নাম মনে আছে দেখে সেলাম করছি। ধন্য স্মৃতিশক্তি।
DeleteAmar daknaam ma-baba khub ador korei rekhechhilen.... sejonyo tader dosh di na.. ke e ba janbe paroborti kale sei naam e bikot bikot gaan berobe :-( chhotobalay "O meri Munni" nie schhol e, tution batch e kom awaz khete hoy ni.. tateo rehai nei ei baro belay ese berolo "Munni badman hui"!!!! sudhu ekbar vebe dekhun Durga puja pandale jore jore gaan ta bajchhe r bhirer ek dhar theke amar baba chyachachhen "Munni... kothay geli"!!! :-( - Urmi (natun pathika :-) )
ReplyDeleteহাহাহাহা ঊর্মি, তোমার সমস্যাটা সত্যি সাংঘাতিক। আমার সম্পূর্ণ সমবেদনা রইল। এই প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ছে বলি। গল্প মানে সত্যি ঘটনা। পাড়া থেকে সবাই মিলে নিউ ইয়ারের পিকনিকে যাওয়া হচ্ছে, বাসে চিলচিৎকার করে বাজছে 'ঝুমা চুমা দে দে', আর সামনের সিটে কাঁদোকাঁদো মুখে বসে আছে ঝুমাদি। কী কাণ্ড ভাবো।
Deleteঅবান্তরে সুস্বাগতম, ঊর্মি। আশা করি অবান্তরের সঙ্গে তোমার পরিচয় দিনে দিনে গভীর থেকে গভীরতর হোক।
Ei prosonge mone pore gelo. Ami jokhon class 9-10 e portam --jokhon ei jhuma-chuma-r gaam ti bikhyato hoyechilo --tokhon amder onker sir er stree-r naam chilo (nischo akhono ache) Jhuma. Class er changra chele a ei gaan ti boddo beshi-i gaito.
Deleteবেচারা গুরুমা।
Deleteha ha ....atanka er kotha pore bishesh kore ...amar nam ta amr besh priyo tobe edeshe lokera mote uchharon korte parena ...echhe kore eder dhore dhore ekta jibchola kine dei.
ReplyDeleteহ্যাঁ, অ্যামেরিকান জিভে প্রদীপ্তটা একটু শক্ত ঠেকতে পারে বৈকি।
Deleteআহা, নামকরণ নিয়ে এই লেখাটা বড় ভাল লাগলো। কিন্তু একটা প্রশ্নঃ আতঙ্ক নামটা কি সত্যি? কি ভয়ানক! ভেবেই তো আতঙ্ক হচ্ছে!
ReplyDeleteতবে আমার নিজের মত হচ্ছে এই যে, বড় হবার পরে নিজের নাম নিজে ঠিক করাটা ভাল, অবশ্য ব্যবস্থাটা কতটা বাস্তব সেটা জানিনা। :)
বাকি সব যদি মিথ্যেও হয়, আতঙ্ক নামটা সত্যি, অরিজিত। আমার নিজের চোখে দেখা। পরে সে নাম বদলে গেলে জানি না, তবে সে ছেলে স্কুলে ভর্তি হয়েছিল আতঙ্ক দত্ত নামে।
Deleteনিজের নাম নিজে রাখার ব্যবস্থাটা ভালো। আমার ধারণা তাহলে বৃষ্টির ছাঁট জাতীয় নামের প্রচলন বাড়বে।
ore amake aneke tiny bole dake ..bhab ki durdasha !! ajkei akjon ke naamer itihas bojhate hoyeche....- tinni
ReplyDeleteTiny! কেন তাদের তিন্নি বলতে কী এমন দাঁত ভেঙে যাচ্ছে? যত্তসব।
Deleteআমার এক বন্ধুর সত্যি ডাকনাম tiny . সবার ছোট তাই..
ReplyDeleteকুন্তলা দি এই টপিক টা খুব ভালো হয়েছে সবার অনেক মজার গল্প আছে দেখছি.. অবাঙালি বা বিদেশী উচ্চারণে যেকোনো নাম পাল্টে যেতে পারে..সেগুলো কিছু করার নেই। .. আমার মত এমন সহজ নাম ক্লায়েন্ট মিটিং এ আমেরিকানদের উচ্চারণে হয়ে যেত আর্মি। আমরাও অন্য ভাষার নাম ঠিকঠাক বলতে পারিনা.. আমার এক কলিগ ছিল বৎসলা । হরিয়ানার মেয়ে। বানান টা হলো Vatsala. তাকে দুষ্টু ছেলেরা আড়ালে বলত ভ্যাট সালা।
Aandddd the winner of this topic is Vat sala, thuri, Vatsala. Period.
Deleteহাহা, ভ্যাট সালাটা দারুণ, সত্যি।
DeleteAmai khoma korben, 'atonko' er golpo ta biswas korte parlam na.
ReplyDeleteNaamkoron er kothai ami o kichu boli. Ami ekti poribar er kotha sunechi jekhane chaler naam viking, mayer naam el-dorado, ma er naam nightangle ar baba r naam p(n)achugopal.
Amar ma er pitridwato naam chilo Manjula, kintu seta pochondo na howai school e madhyami er registration er somoi nijer naam bodle Bulbul rakhe diyechilo. Sei naam i cholche.
Amar daaknaam holo gourdas (Amar thakur-da bhokto boishnob chilen) otoeb bondhumohole amar porichoi chilo 'goba'.
আমি কী ছুঁয়ে বলব বলুন, ঘনাদা, আতঙ্ক দত্ত সত্যি সত্যি সত্যি। এল ডোরাডো। আপনার ডাকনামটি কিন্তু অপূর্ব ঘনাদা। শুনলেই ডাকতে ইচ্ছে করে। ঘনাদার বদলে গৌরদাসদা।
Deleteuff darun topic! ar darun sob comment. soda mama whiskey mama amar mote winner :P
ReplyDeleteসোডা হুইস্কিতে আমি তোমার সঙ্গে সহমত, স্বাগতা।
DeleteEkhane naamer namabali pore ha(n)ste ha(n)ste pet phatar jogar! Ami dui bhaier naam jani -- alu ar posto. Tobe amar naamkoron niye ektu boktobbo achhey. Je hetu amar nijer naam ta khub chhoto, sei jonney amar chhele meyer naam debar somoy amar first criteria chhilo naamta boro hote hobe! Ar maane toh thaktey hobe! Sutorang tader naam holo -- Projit o Sharanya.
ReplyDeleteবাঃ, দুটো নামই খুব সুন্দর, রুণা। আমার অবশ্য ছোট নামও ভালো লাগে। কাজেই তোমার নামটাও আমার পছন্দ।
Deleteআবার ‘পল্লীগ্রামস্থ প্রজাদের দুরবস্থা বর্ণন’টুকু পড়েই কি পাঠকের আসন্ন দুরবস্থা টের পাওয়া যায় না? - sadhu sadhu :)))
ReplyDelete- Nabanita
ওরে বাবা, সে দুরবস্থার কথা মনে আছে, নবনীতা?
Delete