ছত্তিস গুণ ও তেঁতুলের চাটনি
সেদিন আড্ডায় দেখা গেল ঘটনাচক্রে সবাই দম্পতি। রাজনীতি
অর্থনীতির পর কথা গার্হস্থ্যনীতির দিকে ঘুরল। সংসার কীসে টেঁকে, কীসে ভাঙে। মন
কীসে থাকে, কীসে উড়ু উড়ু হয়। আমরা সিনিকেরা মাথা নেড়ে বললাম, ‘মনের কথা কিছু বলা
যায় না। এ ব্যাপারে তার সঙ্গে গেছোদাদার মিল আছে। সেকী, গেছো দাদাকে চেন না? তিনি
ভয়ানক ইন্টারেস্টিং মানুষ। এই ধর আজ এক্ষুনি দিল্লিতে আমাদের সঙ্গে এক টেবিলে বসে
ল্যাম্ব বার্গার সাঁটাচ্ছেন, এই হয়তো তিব্বতে বসে লাইকেন চিবোচ্ছেন। মনের মতিগতিও
ওই রকম। আজ দিব্যি এর গলা জড়িয়ে ধরে বসে আছে, কাল দেখলে ওর গলায় গিয়ে লটকে গেল। কোনও
গ্যারান্টি নেই।’
এক দম্পতি মুচকি হেসে বলল, 'সে তোমাদের গ্যারান্টি না থাকতে
পারে, আমাদের আছে। বিয়ের আগেই সব পরীক্ষাটরিক্ষা করিয়ে নিয়েছি। উই আর মেড ফর ইচ
আদার। বত্তিস গুণ মিলা থা হামলোগো কা।'
জানা গেল প্রতিটি মানুষের আটটি করে গুণ থাকে। বর্ণ, ভাষ্য,
তারা, যোনি, মৈত্রী, গণ, ভকুত ও নদী। ওয়ার্ক, ডমিন্যান্স, মেন্টালিটি, ট্যালেন্ট,
কমপ্যাটিবিলিটি, লাভ, হেলথ, আর একটা কী যেন ভুলে গেছি। বর্ণের ওয়েট এক, ভাষ্যের
ওয়েট দুই ইত্যাদি করে নদীর ওয়েট হল আট, এই করে করে এগ্রিগেট ওয়েট হল গিয়ে ছত্রিশ। এ
ছাড়া মঙ্গল অমঙ্গল বুধ বৃহস্পতির ব্যাপার তো আছেই। বিয়ের আগে বরবউয়ের গুণ মিলিয়ে
মিলিয়ে নম্বর দেওয়া হয়। নম্বর ছত্রিশে আঠেরোর কম পেলে হয় ডিভোর্স না হয় সারাজীবন
চুলোচুলি, কুড়ি থেকে তিরিশের মধ্যে পেলে ঝগড়াঝাঁটি নরমগরম মিলিয়ে চলনসই বিয়ে, আর
তিরিশের বেশি পেলে একেবারে হীর-রঞ্ঝার আধুনিক সংস্করণ।
আমরা ফ্রেশ লাইম সোডার গেলাস আকাশে তুলে রাজযোটক দম্পতিকে
অভিনন্দন জানালাম। আমাদের মধ্যে একজন বন্ধুর খুঁত ধরা স্বভাব। সে বলল, 'পুরা
ছত্তিসই মিলতা তো কিতনা আচ্ছা হোতা।'
রাজযোটক দম্পতি আঁতকে উঠে বলল, 'না না, সে বিলকুল ভি
আচ্ছা নেহি হোতা।' ছত্রিশ গুণ মেলা মানে তো নিজের ছায়াকে বিয়ে করা। সে মহা
অমঙ্গলের ব্যাপার।
ডিনার, আড্ডা সেরে, 'টা টা বাই বাই/ আবার যেন দেখা পাই'য়ের পালা সাঙ্গ করে করে বাইরে বেরিয়ে ঠাণ্ডায় সারা গা কেঁপে
উঠল। আর দিন সাতেক আগেও এই সময়ের হাওয়াটা
বেশ আরামদায়ক ছিল, এখন কামড় দেয়। আমি কোথায় একটা পড়েছিলাম খেয়ে উঠলে সব রক্ত
পাকস্থলীতে সে খাবার হজম করাতে চলে যায়, বাকি শরীরে তখন ঠাণ্ডা বেশি লাগে।
ব্যাখ্যাটি চরম অবৈজ্ঞানিক হতে পারে, কিন্তু খেয়ে উঠলে যে বেশি ঠাণ্ডা যে লাগে
সেটা আমি মিলিয়ে দেখেছি। রাস্তা খাঁখাঁ করছে। কয়েকটা কুকুর কুণ্ডলী পাকিয়ে
ঘুমোচ্ছিল, আমাদের সাড়া পেয়ে খ্যাঁক করে উঠল। আমরা প্রায় হাত জোড় করে বোঝাতে
চাইলাম যে ‘দয়া করে আমাদের একটু এখানটা দাঁড়াতে দিন, অটো পেলেই চলে যাব, কথা
দিচ্ছি জ্বালাব না।’ পনেরো মিনিট দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খাওয়ার পর অটো এল। সি.
আর. পার্ক যেতে হবে শুনে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে, নাক কুঁচকে, কান চুলকে অবশেষে ভাইসাব জানালেন,
যেতে তিনি পারেন কিন্তু নাইট চার্জের ওপর অওর বিস রুপেয়া লাগেগা। কুকুরগুলো
জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, আমরা দ্বিরুক্তি না করে উঠে পড়লাম।
উঠে বসতে না বসতেই পেটের মধ্যে এতক্ষণ যে কথাটা গুড়গুড়
করছিল সেটা বেরিয়ে পড়ল।
'আমাদের মেলালে কী কী মিলত গো?'
'মিলত যে তুমি আর আমি একই
রকমের অলস . . .'
'. . . আর একই রকমের ক্যাবলা
. . .'
'. . . আর একই রকমের ভীতু .
. .'
'. . . আর একই রকমের নিড়বিড়ে!'
ইঞ্জিনের আওয়াজ ছাপিয়ে ‘হাই ফাইভ’ চেঁচিয়ে উঠে আমরা হাত
মেলালাম। রাস্তার মিটমিটে আলোতেই আয়না দিয়ে স্পষ্ট দেখতে পেলাম অটো ভাইসাব ঠোঁট
বেঁকিয়ে চোখ ঘোরালেন।
*****
নার্ভাসনেস আর নিড়বিড়েপনা বাদ দিলে অর্চিষ্মানের আর আমার
স্বভাবচরিত্রে বিস্তর অমিল আছে। আমি মনে করি থাকাই স্বাভাবিক। দুটো প্রাপ্তবয়স্ক
লোক, যাদের চেহারা, চরিত্র, প্রকৃতির বিকাশ সম্পূর্ণ হওয়ার পর একে অপরের সঙ্গে
দেখা হয়েছে, তাদের ছত্তিস গুণ মিললেই চিন্তার কথা। আমাদের স্বভাবচরিত্রে
স্বাস্থ্যকর অমিল আছে ঠিকই, কিন্তু সবথেকে বেশি অমিল আছে আমাদের খাওয়াদাওয়ায়। আমি
কাঁঠাল দেখলে উল্টোদিকে দৌড়োই, অরচিষ্মান কাঁঠাল পেলে বর্তে যায়। আমি একবারে
ছত্রিশটা বেগুনি খেতে পারি, বেগুনের তিন মাইলের মধ্যে এলে অর্চিষ্মানের মুখ
চুলকোতে শুরু করে। অর্চিষ্মানের প্রিয় আইসক্রিম ফ্লেভার স্ট্রবেরি, এদিকে
স্ট্রবেরির নাম শুনলে আমার কান্না পায়। আমি পনেরো মিনিট ভাবার শেষমেশ সেইইই
ভ্যানিলা আইসক্রিম অর্ডার করছি দেখলে অর্চিষ্মান মাথা নাড়ে।
কিন্তু এই সব অমিলকে ধরতাইয়ের মধ্যে রাখলে মিলগুলোকেও
অস্বীকার করা চলে না। আমরা দুজনেই ঝালমুড়ি বলতে অজ্ঞান, দুজনেরই ফেভারিট কমফর্ট ফুড
ম্যাগি, দুজনেই চায়ের ওপর বাঁচি।
এই সব মিলঅমিল হল ওপরের ব্যাপার। বাইরে থেকে যা দেখা যায়,
চেনা যায়। একটা প্রেমের গল্পের গঙ্গে আরেকটা প্রেমের গল্পের যা অমিল, একটা
খুনের কেসের ক্লু-র সঙ্গে অন্য আরেকটা খুনের কেসের ক্লু-এর যা অমিল, এই
অমিলগুলো সেই গোত্রের। আমার আর অর্চিষ্মানের খাওয়াদাওয়ায় অমিলটা অনেক ভেতরের। প্লটের
নয়, থিমের অমিল। জঁনরের অমিল। আমি ঝাল ভালোবাসি অর্চিষ্মান মিষ্টি ভালোবাসে – এই
রকম বাক্য দিয়ে সে অমিলের তল পাওয়া যায় না।
আমাদের অমিলটা হল খাবারদাবারের প্রতি আমাদের নজরে, দর্শনে।
খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমার নজর নেহাতই মোটা। ক্ষিদে পেলে
খেতে বসি, পেট ভরলে উঠে পড়ি। ভাত/রুটি আমিষ/নিরামিষ, কিছু একটা হলেই হল। পেট ভরা
নিয়ে কথা।
খাওয়াদাওয়ার প্রতি অর্চিষ্মানের দৃষ্টিটা এত কাঠখোট্টা নয়। আমি যেখানে শুধু
মোটা খাবারটাই নজর করি, ও সেখানে আগে পিছেটুকুও দেখে। যেটুকু আমার কাছে অনাবশ্যক
অলংকরণ বলে ঠেকে সেটাই ওকে টানে সবথেকে বেশি। আমি বিয়েবাড়িতে গিয়ে হাহা করা
ক্ষিধে নিয়ে বসে বসে ভাবি কখন রাধাবল্লভী উড়ে এসে পড়বে পাতে, আর আমি হামলে পড়ে
সেগুলো খেয়ে বোকার মতো পেট ভরিয়ে বসে থাকব আর পরের ভালো ভালো কোর্মাকালিয়া কিচ্ছু
খেতে পারব না। অর্চিষ্মান লোকের কথা শুনে হাসি হাসি মুখে মাথা নাড়ে আর হাতে ট্রে
নিয়ে ঘোরা শরবত পরিবেশকদের ওপর নজর রাখে। লাল রঙেরটা খাওয়া হয়ে গেলে টুক করে
সবুজটাও চেখে নেয়। গলা নামিয়ে বলে, ‘সবুজটা বেটার। খেয়ে দেখতে পার কিন্তু।’ আমি
চোখ ঘুরিয়ে বলি, ‘হে ভগবান, এরা রাধাবল্লভী কখন দেবে?’ আমি যখন রেস্টোর্যান্ট থেকে
বেরিয়ে তেল চপচপে বাটার চিকেনের পিণ্ডি চটকাই, অর্চিষ্মান বলে ‘লজেন্সগুলো দেখলে?
কাউন্টারে রাখা ছিল? গোল গোল কমলা রঙের? তোমাদের স্কুলের পাশে বিক্রি হত? আমাদের
হত। পঁচিশ পয়সায় একটা করে।’ ভাতডাল
তরকারি মাছ মাংস খাওয়া হয়ে গেলেই যখন পাত থেকে আমার মন উঠে যায়, তখন অর্চিষ্মান
ধৈর্য ধরে বসে থাকে, চাটনির অপেক্ষায়।
চাটনি রান্নার ব্যাপারটা সত্যি বলছি আমার কখনও মাথাতেই
আসেনি। ঘেমেনেয়ে রাঁধতেই যদি হয় তাহলে কালিয়াকোর্মা বিরিয়ানিই রাঁধব, চাটনি রেঁধে
হাত গন্ধ করব কোন দুঃখে – অবচেতনে এই ছিল আমার মনোভাব। এই বার পুজোয় দশমীর দিন
মাথা পর্যন্ত খাওয়ার পর যখন মা দুজনকে দুটো বাটিতে চাটনি বেড়ে দিলেন আমি প্রথমে খুব
মাথা নেড়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। ‘আর খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ব, মা। তুমি কি তাই চাও? আমি না
তোমার একমাত্র সন্তান?’
ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা ব্যর্থ হল। একটুও না টসকিয়ে মা বললেন, ‘ধুর
বোকা, পেট বেশি ভরে গেলেই তো চাটনি খেতে হয়। তেঁতুলের চাটনি খেলে হজম ভালো হয়,
জানিস না?’
আমি মুখব্যাদান করে বাটি নিজের দিকে টেনে নিয়ে আঙুল
ডোবালাম। মিনিট খানেক পর বাটিতে লেগে থাকা শেষ বিন্দু চাটনি আঙুল দিয়ে মুছে নিতে
নিতে মাকে বললাম, ‘কী করে বানিয়েছ গো মা? খুব ঝামেলার হলে অবশ্য জানতে চাই না।’
‘ঝামেলা?!’ মা চোখমুখ এমন করলেন যেন এইমাত্র পশ্চিম দিকে
সূর্য উঠতে দেখেছেন। ‘তেঁতুলের চাটনি রাঁধা যদি ঝামেলার হয় তাহলে নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস
নেওয়াও ভয়ানক শক্ত কাজ।’
মা স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি বলে দিলেন। আমি খুব মন দিয়ে
শুনলাম এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোটা ঘটনাটা ভুলে গেলাম। বাড়ি এসে সুটকেস খুলে
দেখলাম একটা শিশি। শিশির ভেতর গুচ্ছগুচ্ছ তেঁতুল, খোসাটোসা ছাড়ানো, চাটনি হওয়ার
অপেক্ষায় চুপটি করে শুয়ে আছে।
*****
তেঁতুলের চাটনি
কী কী লাগবে
দু’ছড়া তেঁতুল (খোসা ছাড়ানো)
তেঁতুল ভেজানোর জন্য সামান্য জল + এক কাপ জল
এক চা চামচ তেল
এক চা চামচ সর্ষে
আধ চা চামচ নুন
এক চিমটি হলুদ
দুই টেবিল চামচ চিনি (আমার জিনিসটা একটু টকটকই ভালো লাগে।
আপনার মিষ্টি কম লাগলে তিন টেবিল চামচ চিনি দিতে পারেন।)
কী করে করবেন
১. অল্প জলে তেঁতুল ভিজিয়ে রাখুন। মিনিট পনেরোকুড়ি পর ভালো
করে জলের মধ্যে তেঁতুল চটকে বিচি, শাঁস ইত্যাদি তুলে ফেলে দিন। এবার যেটা রইল সেটা
হল তেঁতুলের ক্কাথ।
২. কড়াইয়ে তেল দিন। প্রায় ধোঁয়া ওঠা গরম হলে সর্ষে ফোড়ন
দিন।*
৩. সর্ষে ফুটে উঠলে তেঁতুলের ক্কাথটা কড়াইয়ে দিয়ে দিন।
বাটিতে যেটুকু লেগে থাকল সেটা ধুয়ে কড়াইয়ে ঢালুন। (ওয়েস্ট নট, ওয়ান্ট নট। এটা রেসিপিতে দেওয়া জলের মাপের থেকে বাড়তি হবে, কিন্তু মনে রাখবেন রান্না সায়েন্স
নয়, রান্না হচ্ছে হিউম্যানিটিস।) এইবার এক কাপ জলও দিয়ে দিন।
৪. নুন, হলুদ দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। গ্যাসের আঁচ সামান্য
বাড়িয়ে ফোটান। পাঁচ থেকে সাত মিনিট।
৫. ঢাকা খুলে চিনি দিয়ে নাড়ুন। চাখুন। যা লাগবে দিন।
৬. গ্যাস বন্ধ করে টিভিতে কী হচ্ছে দেখতে যান।
*আমার মা একটু বেশি ফোড়ন দেন, তেলে গন্ধ ধরে গেলে খানিকটা
তুলে ফেলে দেন। তাতে গন্ধও বেশি হয়, খাওয়ার সময় মুখে আবোলতাবোল জিনিস পড়েও কম।
স্বীকারোক্তিঃ প্রায় মায়ের চাটনিটার মতোই খেতে হওয়া সত্ত্বেও
আমার চাটনিটা একেবারেই মায়ের চাটনির মতো দেখতে হয়নি। সে চাটনি এত ঘোর তেঁতুলবর্ণ
ছিল না। ভেবে ভেবে তার একটাই কারণ আমি বার করেছি। আমার মা তেঁতুল ভিজিয়ে পনেরো
মিনিটের জন্য স্নান করতে আর স্নান থেকে বেরিয়ে ছাদে কাপড় মেলতে গিয়েছিলেন, আমি
তেঁতুল ভিজিয়ে রেখে সিনেমা চলে গিয়েছিলাম।
khub bhalo laglo pore...tentuler chatnita darun kajer mone hacche :) -tinni
ReplyDeleteখুবই কাজের, তিন্নি। তেঁতুল ভেজানোর সময়টা বাদ দিলে গোটা ব্যাপারটা করতে ঠিক বারো মিনিট লাগে।
Deletetry kortei hochhey
ReplyDeleteনিশ্চয় করবেন। করে জানাবেন, কেমন হল।
Deleteতেঁতুল er chatni obossoi banabo... rannai darun sahoj byapar amar khub pachhonder jinis.
ReplyDeleteআমিও সহজ রান্নার পক্ষপাতী। মানে নিজে করতে হলে। জটিল রান্না খেতে হলে আমি অন্যের হাতের খাওয়া পছন্দ করি।
DeleteTomar ei comment tar janne "High five"
Deleteহাই ফাইভ, হাই ফাইভ, কথাকলি।
DeleteTetuler chutney amar favourite. Prothom prothom Dillir PG te eshe jokhon kono khabari mukhe ruchto na, tokhon tetuler chutney diye sobkichhu khetam. Tindar sobji tetuler chutney diye khele onekangshei improved hoye jay.
ReplyDeletep.s. Google executive sets records with leap from edge of space! Babbah, Google er byapar-i alada.
টিন্ডার মতো অদ্ভুত জিনিস আমি জীবনে আর একটিও খাইনি, বিম্ববতী, যেটা কিছুর মতোই খেতে না।
Deletetinda ki oi sabjita..amader ekhane ekta paoa jay...naam bhule gechi..barbati ar shimer majhamajhi akta swadheen jinish....ekhane sabai khay :p - tinni
Deleteuff!!! tinda.....aami tinda dekhlei du mile dure palai :(
Deleteআমিও, শম্পা।
Deleteতিন্নি, টিণ্ডা কেমন দেখতে আমি জানি না রে। আমি সবসময় ওটাকে ঝোলের মধ্যে আলুর সঙ্গে ভাসন্ত অবস্থাতেই দেখেছি।
http://en.wikipedia.org/wiki/Tinda :-)
Deleteবাঃ বাঃ, থ্যাংক ইউ।
Deleteborboti aar sheem er majha-majhi holo kundru.....tinda'r e bhai :
Deleteআমাদের বাড়িতে জিনিসটাকে কুন্দরি বলে।
DeleteTinda gol gol hoy na? Lau familyer? Ar kundru toh potoler chhoto bhai. Dutor konotai amar barite ashe na!
Deleteঠিকই বলেছ, রুণা। কুন্দরি ছোট পটলের মতো দেখতে।
Deletekundru o na tinda o na ,ami balchilam papdi - r katha -flat green beans bole dekhlam
Deletegoogle kore..besh kharap khete !papdi ta bodhhay gujrati shabdo .
পাপড়ি যে চাট ছাড়া অন্য কোনও রকম খাবার হতে পারে, এটাই আমার কাছে নিউজ। তোর বাড়ি গেলে খাওয়াস তো, তিন্নি।
Delete36 gun theke chatney obdhi transition ta anabadya.
ReplyDeleteধন্যবাদ, তীর্থ।
DeleteAmader prochur omil ... pure veg ar pure non veg obdi :-)
ReplyDeleteTetul er chatni konodin khaini. Eta try korboi. Shesh paate ektu bhaat ar kancha lonka mekhe darun lagbe bujhtei parchi. :-)
ভেজ নন-ভেজ অমিলটা কিন্তু বেশ শক্ত হতে পারে, অবশ্য তুমি বেটার বলতে পারবে। চাটনিটা বানিয়ে দেখ, মনে হয় ভালো লাগবে।
DeleteKhub ekta oshubidhe hoye na ... bari te nijer jonne ar Bangali saango paango der jonne ranna kori. Shudhu sosur bari'r lokjon ele ami o amar fridge dujonei pure veg hoye jayi. :-)
DeleteNiche oto kumro'r discussion dekhe suggestion na diye thakte parchina ...
Chaaler guro diye crisp kore kumro bhaja, kumro'r chokka, kumro'r tauk, aloo kumro'r chechki ... onek kichu kora jete parey.
তোমার কুমড়োর আইডিয়াগুলোর জন্য থ্যাংক ইউ, শর্মিলা। আমারই খুব কাজে লাগবে।
DeletePorer quiz.... Apni ekta goppo shuru korben ... Ardhek likhe chhere deben ... Seshe ki holo bolar jannyo ..... Keu pass mark pabe bole mone hoy naNa
ReplyDeleteহাহা, আত্মদীপ, এটা ভালো আইডিয়া। চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে।
Deleteদারুণ দারুণ। মোড় ঘোরানোর ব্যাপারে আপনি ঘোরতর রকমের এক্সপার্ট। :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অরিজিত।
DeleteEi lekha ta sotyi-i osadharon hoyeche. Bangla sahitye ekmatro Lila Majumdar ei rokom kichu likhte parten kintu sahos koren ni. Apnar porer boi te obosho-i ei lekha to dhokaben. Apnar sob lekha i bhalo kintu sobchaye bhalo apnar dino-namcha-r moto lekha gulo.
ReplyDeleteআরে ঘনাদা, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। আপনি আমার মন ভালো করে দিলেন।
DeleteGhonadar sathe ami sampurno sahamat.
DeleteAmita
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, অমিতা।
Deleteekghor hoyeche ....ekdom delhi te suru kore rishray sesh :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্তা। যেখানেই শুরু হোক না কেন, আমার শেষটা সবসময় রিষড়াতেই হয়, এটা আমি খেয়াল করে দেখেছি।
Deleteআপনার থেকে অর্চিষ্মানের সঙ্গেই আমার মিলটা বেশি দেখা যাচ্ছে, অন্তত খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে। আমিও কাঁঠাল দেখলে পাগল হয়ে যাই, বেগুনে আমারও মুখ চুলকোয়, স্ট্রবেরি আইসক্রিম আমারও বেজায় প্রিয়, আর আমিও খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে খানিকটা হলেও, ঐরকম দর্শন ফলো করি। যাই হোক, চাটনি খেতে আমার দারুন লাগে, আপনার চাটনিটাও বানিয়ে দেখতে হচ্ছে। আপাতত আড়াই কিলো কুমড়ো জমে আছে বাড়িতে, সেটার একটা গতি করি, তারপর।
ReplyDeleteকুমড়ো! আড়াই কিলো! আমারই আপনার জন্য চিন্তা হচ্ছে। চাটনিটা বানিয়ে দেখবেন প্লিজ, দেখে জানাবেন কেমন হল।
Deleteআড়াই কিলো কুমড়ো আসলে এটার বাই প্রোডাক্ট।
Deleteওরে বাবা, এ তো সত্যিকারের ভূতের রাজা! দারুণ, দারুণ হয়েছে, সুগত।
DeleteEkdom bhuter raja ... darun Sugata
Delete-- Atmodip
Jack-o-lantern ke Bhuter Raja! Darun hoyechhey! Happy Halloween!
DeleteOtyonto bhalo hoyechhe.Ideatai asadharon. Amader akhono pumpkin curve kara hayni. Ei kumrota kheteo ato bhalo hayna. Bichigulo nischoi roast korbe.
DeleteAmita
সবাইকে ধন্যবাদ। আমি সত্যজিৎ রায় 'থিমড' কুমড়ো এর আগেও বানিয়েছি। এখনও ঠিক করিনি বিচি আর কুমড়ো নিয়ে কি করব, কিন্তু খাব ত বটেই।
Deleteeta just darun Joy Forever !- tinni
DeleteEta te amar onek comment achhey! Prothomoto jader 30-er beshi gun mele tader i beshi jhamela. Ebar khaoar byapare -- amar ar husbander khaoadao ekebare alada! Common bhison kom. Aro ekta omil holo uni khabar byapare tomar somogotrio -- ja pay tai khai. Ami bhison khu(n)tkhu(n)te. Food is a passion for me. Ar chatni te amar pochhondo amsatter chatni. Amar ekta darun soja recipe achhey. Pore kono somoy share korbo .
ReplyDeleteআমারও মনে হয় বেশি মিললে ব্যাপারটা বোরিং হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তোমার আমসত্ত্বের আচারের রেসিপির অপেক্ষায় থাকলাম, রুণা।
Deleteekhatar nam ta onek ta adhunik bangla choto golper moto... Btw sobbai tetul er chatni niyei proshno kore gelo... amra proshno holo kon cinema dekhte gechilen???
ReplyDeleteহায়দর, অর্ণব।
DeleteAnoboddyo cinema(Jodio amar legeche emni)!!!! Apnar kemon laglo???
Deleteআমারও ভালো লেগেছে, অর্ণব। টাবু খুব ভালো, কে কে ভীষণ ভালো, কিন্তু সবথেকে ভালো কাশ্মীর।
Deleteতোমাদের সঙ্গে প্রথম মিল একই রকমের অলস টা মিলেছে ... আর স্ট্রবেরি অমিল টা মিলে গেছে ... বাকি খাওয়াদাওয়ার প্রতি দৃষ্টি ভঙ্গি টা উল্টো. আমার টা দাদার সাথে মিলছে ... :) চাটনি দিয়ে শেষ টা দারুন করেছ কিন্তু ... একদিন করে দেখব ...
ReplyDeleteকরে দেখিস তো, ঊর্মি।
DeleteAi kuntala , strawbery Flavour amaro akdom bhallage na... ki mil re... ar misti amar khub pochonder... so etao mil... Tetuler chatni ta to darun jinis... ami banate jantam na... so thank u bolis kakima ke... kakimar doulote tui toh pakka radhuni joye gechis mone hocche... - mousumi bhattacharya
ReplyDeleteস্ট্রবেরি-অপ্রীতিতে হাই ফাইভ, ভট্টা। পাকা রাঁধুনি কিছুই যে হইনি তার প্রমাণ হচ্ছে তেঁতুলের চাটনি রেঁধেই এত খুশি হয়েছি যে সেটার ছবি তুলে সবাইকে না দেখিয়ে থাকতে পারছি না। তুই রেঁধে বলিস তো কেমন হল, টুকটুকের পছন্দ হল কি না।
Delete"রান্না সায়েন্স নয়, রান্না হচ্ছে হিউম্যানিটিস" - এর থেকে খাঁটি কথা আর নেই! গত পাঁচ বছরে নিজেকে দিয়ে হাড়ে হাড়ে বুঝেছি।
ReplyDeleteখাঁটি কি না বল, পিয়াস? সে অক্ষরে অক্ষরে যতই গ্রাম/আউন্স মেপে রেসিপি দেওয়া থাক না কেন, নিজের বুদ্ধি না খাটালে রান্না হয় না।
Deletemereche..amar 36 er sathe to karur 3/4 o milbe bole mone hoy na..jak..ei besh bhalo achi :P
ReplyDeleteহাহা, ঋতম, মিলবে তো বটেই, না মিলে যাবে কোথায়? তখনও দিব্যি ভালো থাকবে, দেখবে।
Delete