আতে যাতে হাসতে গাতে
আগের বার বনে আমার ঠিকানা ছিল মিসেস বার্শের বাড়ি। পুৎজস্ট্রাসে বাসস্টপে নেমে
পশ্চিমদিকে হাঁটতে শুরু করলেই রাস্তা চড়াই হতে শুরু করে। প্রথমটা মৃদু ভেবে যেই না
তাকে হালকাভাবে নেবে কেউ, অমনি হৃদপিণ্ড হাপর, চোখের সামনে রাস্তা উঠে যাবে খাড়া
পনেরো ডিগ্রি। সেই
রাস্তার শেষে সবুজ জঙ্গলের ভেতর মিসেস বার্শের সাদা রঙের বাড়ির দোতলায় ছিল আমার
ঘর। চাবি আমার হাতে দিয়ে মিসেস বার্শ বলেছিলেন, “মাই বেস্ত হুম্।” সে রুমের সামনে খোলা
ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়ালে চোখের সামনে ভেসে উঠত প্রায় গোটা বন শহর। দুই চোখের দুই
কোণ দিয়ে দেখা যেত দুটো চার্চের মাথা, জঙ্গলের মধ্যে জেগে থাকা সারি সারি ছাদের একেকটার
চিমনি থেকে সারাদিন ধোঁয়া পাকিয়ে পাকিয়ে উঠত। রাতে ঘুম ভেঙে গেলে জানালা দিয়ে
দেখতাম দিগন্তের কাছে শহরের সবথেকে উঁচু পোস্ট টাওয়ারের গায়ে চুমকির মতো আলো জ্বলছে।
সে বছর জুন জুলাই অগস্ট মাস জুড়ে খুব বৃষ্টি হয়েছিল বনে। পাল্লা দিয়ে ঠাণ্ডাও
পড়েছিল। আমরা কমবেশি সকলেই বিষুবরেখা কিংবা কর্কটক্রান্তির কাছাকাছি দেশ থেকে
গিয়েছিলাম, ডয়েশ ‘সুমার”-এর নমুনা দেখে আমাদের চোখ কপালে উঠেছিল। একদিন তো
অতিবৃষ্টির কারণে হাফছুটি হয়ে গিয়েছিল আমাদের লেকচার। সেদিন বাড়ি ফিরে দরজা খুলে
দেখি দরজার কোণে ছাদের সোঁদা কংক্রিটে একটা ছোট লাল ফুল, চারদিকে চারটে সবুজ পাতা।
এবার ফুলপাতা দেখার সুযোগ ছিল না। এবারের ট্রিপের কেজো চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে
আমাদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল স্টেশনের গায়ের হোটেলে। পাঁচতলা হোটেল। আমার ঘর দোতলায়। দু’ফেরতা পর্দা সরালেই দেওয়ালজোড়া কাঁচের ওপারে আর একটা হোটেলের জানালা। নিচে তাকালে একটা রাস্তা আর রাস্তার ওপারে বাসস্ট্যান্ড। সে
বাসস্ট্যান্ডে ক্ষণে ক্ষণে দু’কামরার লাল সাদা বাসেরা নিঃশব্দে এসে দাঁড়ায়। বাস থেকে যাত্রীরা নেমে
রাস্তা পেরিয়ে নিঃশব্দে আমার জানালার তলার সাবওয়ে দিয়ে স্টেশনে ঢুকে যান।
আগের বার কাজ ছিল, কাজ ফুরোলে হাতপা খেলিয়ে বেড়ানোর সুযোগ ছিল। এবার কাজের ভাগ
অসভ্য রকমের বেশি। সকাল ন’টায় ওয়ার্কশপ শুরু, শেষ হতে হতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা।
তারপর বেড়াতে যেতে চাইলে বেড়াতে যাও, শপিং করতে চাইলে শপিং কর, ডিনার খেতে চাইলে
ডিনার খাও।
আমি অবশ্য তিনটের একটাও করিনি। ওয়ার্কশপ শেষ হলেই ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এসে হোটেলে ঢুকতাম। পরদিন সকালে উঠে ইংরিজিতে বক্তৃতা দিতে হবে এবং বক্তৃতা শেষ হলে ধেয়ে আসা চোখা চোখা প্রশ্নবাণ সামলাতে হবে এ কথা মগজে পুরে শপিং করা কিংবা ডিনার টেবিলে জলের গ্লাস হাতে নিয়ে বসে চিটচ্যাট করার সাহস আমার নেই। এমনটা নয় যে হোটেলে ফিরে আমি পড়াশোনা করে উল্টে দেব। কিন্তু পড়ার মুখ চেয়ে যে আমি কাল রাতে জীবনের আনন্দসমূহকে বলি দিয়েছি সেই সান্ত্বনাটা পরদিন সকালের হাঁটুকাঁপাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
আর একটা কারণও ছিল অবশ্য। ওপরের কারণটার মতো জোরদার না হলেও একেবারে মামুলিও
নয়। ডিনারের ব্যবস্থা ছিল মহার্ঘ সব রেস্টোর্যান্টে। ওয়াইন থেকে শুরু করে ডেসার্ট
পর্যন্ত পাঁচ কোর্সের দুর্দান্ত সব খাবার। প্লেট থেকে গপ করে তুলে মুখে পুরে দিলে
তাদের প্রতি সুবিচার হয় না। মুখে পোরার আগে চামচ নাকের সামনে দুলিয়ে গন্ধ শুঁকে
“আঃ” বলতে হয়। মাস্টারশেফের পরীক্ষকরা যেমন বলেন।
সত্যি বলছি, আমি ও সব খাবার খেয়ে পেট ভরাতে চাইনি। তার বদলে আমি বরং
হোটেলে ফেরার পথে একটা স্যান্ডউইচ কিনে আনব। স্টেশনে ঢোকার ঠিক মুখের বিরাট বেকারিটা
থেকে। একদিন ভর বিকেলে ব্যাগেটের ঠোঙা হাতে বেরোতে গিয়ে এই বেকারিটার চৌকাঠে হোঁচট
খেয়ে পড়েই আমি গোটা হপ্টবানহফের লোক হাসিয়েছিলাম। কাঁচের ঢাকনার ওপারে সারি সারি
স্যান্ডউইচ সাজানো। শশা টমেটো পুরু চিজের ফালি আর লেটুসপাতা কমন, তারপর কোনওটায়
টুনা, কোনওটায় হ্যাম, কোনওটায় ডিমসেদ্ধ। নিজেই কাঁচের ঢাকনা তোল, নিজেই সাঁড়াশি
দিয়ে স্যান্ডউইচ নিয়ে ট্রে-তে রেখে ক্যাশিয়ারের সামনে এসে দাঁড়াও, টাকা দিয়ে নিজেই
প্যাকেটে পুরে দোকান ছাড়ো। চরম স্বাবলম্বন।
কিন্তু সে তো রাতের জন্য। এই বিকেলের হালকা ক্ষিদের জন্য একটা প্রেটজেল কিনে
খেতে খেতে হোটেলে ফেরা যেতে পারে। অর্চিষ্মান প্রেটজেল দু’চক্ষে দেখতে পারে না।
আমার আবার দারুণ লাগে। শুকনো, হাতে ধরে খাওয়া যায়, বাদামী রঙের গায়ে মোটা মোটা
নুনের দানা ছড়ানো, কেমন সুন্দর প্যাঁচালো চেহারা। খারাপ লাগার কী আছে কে জানে
বাবা। তাছাড়া আগেরবার অনেক কষ্টে “আইনে বেহ্ৎজেল বিটে” বলা প্র্যাকটিস করেছিলাম,
সেই বিদ্যেটাও ঝালিয়ে নেওয়া যাবে।
কিংবা আর একটু এগিয়ে গিয়ে বাজারের মধ্যিখানের সেই ডোনারের দোকানটাতেও যেতে পারি। পঞ্চাশ পয়সায় প্রায়
একটা ঘুড়ির সাইজের পিৎজার স্লাইস, মিনিটে অন্তত সাতটা করে বিক্রি হয়। আগেরবার খুব
যেতাম দোকানটায়। আমি যদিও গেলে ডোনার স্যান্ডউইচ খেতাম। চিকেন ডোনার। শেষটা
ভদ্রলোক আমাকে চিনে গিয়েছিলেন। আমি দোকানে ঢুকলেই ভয়ানক ঘটা করে কোমর ঝুঁকিয়ে
দু’হাত বুকের কাছে জড়ো করে বলতেন, “নমস্তে।”
অবশ্য বন বেড়াতে গিয়ে ডোনার খাওয়ার মানে হয় না। খেলে ডয়েশ রান্নাই খাওয়া উচিত।
কিন্তু সত্যি বলতে কি ডয়েশ রান্না আমার খুব একটা পোষায় না। শুধু ডয়েশ কেন, বেশির
ভাগ পশ্চিমা রান্নাই আমার পোষায় না। এ কথাটা একবার একজন ফুডি বন্ধুকে বলাতে সে
আমার দিকে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে বলেছিল, “কিন্তু এরা তো রান্না করে না?”
আমার ভ্যাবাচাকা মুখ দেখে সে আমাকে তার অদ্ভুত মন্তব্যের অর্থ বুঝিয়ে দিয়েছিল।
আমরা যাকে রান্না বলি সে অর্থে রান্না ওরা করে না। ওরা একেকটা উপকরণ নিয়ে সেটাকে
একেকটা প্রণালীর মধ্যে দিয়ে চালনা করে। বারবিকিউ, রোস্ট, সটে, ব্রেইস, বেক,
ব্ল্যাঞ্চ, ম্যাশ, ফ্রাই কিংবা ডিপ ফ্রাই। মাছই হোক কি মাংসই হোক কিংবা আলু বেগুন
ফুলকপি বাঁধাকপি ঢ্যাঁড়স অ্যাসপারাগাস - কোনও বৈষম্য নেই,
ওপরের যে কোনও একটি উপায়ে ভাজা, পোড়া বা সেদ্ধ হওয়াই তার কপালে নাচছে। তারপর একটা
প্লেটে আলাদা আলাদা জিনিসগুলোকে একসঙ্গে নিয়ে খাও যত খুশি। ব্রেডেড চিকেন ব্রেস্ট
উইথ ব্ল্যাঞ্চড অ্যাসপারাগাস, বেকড জিটি উইথ ম্যাশড পটেটো ইত্যাদি।
এই যে মাংস আলাদা, ঝোল আলাদা, এমনকি পেঁয়াজভাজাটা পর্যন্ত আলাদা – এই
ব্যাপারটা আমার যুক্তিবুদ্ধিতে আঁটে না। না আঁটার কারণটা পুরোটাই সাংস্কৃতিক বলাই
বাহুল্য। আমি আজীবন যে সব রান্না খেয়ে বড় হয়েছি সেসবে স্তরে স্তরে স্বাদ তৈরি হয়,
গন্ধ তৈরি হয়, রং ধরে। এক গ্রাস খাবার মুখ পুরলেই স্বাদের বিস্ফোরণ। মোটা দাগের
স্বাদগুলো প্রথমে ধরা পড়ে। বাঃ কী ঝাল, ইস কী মিষ্টি। তারপর সূক্ষ্মতর স্বাদ।
ফোড়নে জিরে দিয়েছ নাকি গো? একটু হিং-ও পড়েছে মনে হচ্ছে? একেবারে শেষে হয়তো একটু
এলাচদারচিনির আভাস পাওয়া গেল কি গেল না। এই কারণে আমাদের পুবদিকের পড়শিদের রান্নাও
আমি পছন্দ করি। গালাংগাল, লেমনগ্রাস, ফিশ সস, সয় সস – সবকিছু সবকিছুর সঙ্গে
মিলেমিশে একটা চমৎকার কোরাস গানের অনুষ্ঠান। কিংবা নাচ। স্টেজের সামনে রাজকন্যা রাজপুত্র যদি কেউ থাকেও, পেছনপেছন আমরা সবাই যে গ্রামবাসী হয়ে নাচতে নাচতে ঢুকেছি তাদের ভূমিকাও কিছুমাত্র কম
নয়। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন তো বলব, বেশিই। আমার এই ধরণের রান্না পছন্দ। যেখানে
শুধু উপকরণের উদযাপন নেই, যেখানে রাঁধুনির হাতের তারের কেরামতি আছে। ফার্ম ফ্রেশ,
অরগ্যানিক, ফ্রি রেঞ্জ হলে ভালো, না হলেও ক্ষতি নেই। বেলা বওয়া বাজারের ঝড়তিপড়তি
তরিতরকারি, শেষ শীতের শুঁটকো ফুলকপি, সামান্য পচা মাছ, মাছের কাঁটাকুটো দিয়েও
তাঁরা এমন রান্না করে দেবেন, খেয়ে “উমদা উমদা” বলে চেঁচিয়ে উঠতে হবে।
কিন্তু যে সব রান্নায় সে তারের প্রয়োজন নেই, যেখানে উপকরণের উৎকর্ষই প্রধান, যেখানে মূল স্বাদের পেছনে মুখ লুকিয়ে থাকা শান্ত
মুখচোরা মশলাপাতিদের টেনে টেনে সামনে এনে আলাপ করানোর দরকার নেই, গোটা অ্যাপ্রোচটা
যেখানে স্পষ্ট এবং সটাং, সেসব খাবারে এদের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া শক্ত।
যেমন ধরুন, পাঁউরুটি আর মাংস। এই দুটি ব্যাপারকে জার্মানরা একটা শিল্পের
পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এ পাঁউরুটি অ্যামেরিকান স্লাইসড হোয়াইট ব্রেড
নয়, চিবোতে গেলে টাকরায় সেঁটে যায় না। এ পাঁউরুটি নিজের জোরে নিজে দাঁড়িয়ে থাকতে
পারে। আর মাংস। আহা। গনগনে লাল কয়লার ওপর বেছানো তারের জালিতে সারি সারি সসেজ,
আগুনে তেতে তাদের চামড়ায় ফোসকা পড়েছে। আর যা খুশবু ছেড়েছে কী বলব। আশেপাশের হাওয়া
ম-ম করছে।
সেই খুশবুর কথা মনে পড়তেই আমার ভয়ানক ক্ষিদে পেয়ে গেল আর আমি ঠিক করলাম ব্রাটউর্স্টই
খাব। হপ্টবানহফ চত্বরে ব্রাটউর্স্টের দোকানের অভাব নেই। রেস্টোর্যান্ট ইত্যাদি তো
আছেই, তাছাড়া ঠেলাগাড়িও আছে প্রচুর। তাদের সামনের বোর্ডে রংচঙে ছবি দিয়ে মেনু
লেখা। কারিউর্স্ট, ব্রাটউর্স্ট, বকউর্স্ট, ওয়াইসউর্স্ট। গাড়ির ছাদ থেকে ঝুলছে
উল্টোনো রকেটের মতো দেখতে লাল হলুদ কেচাপ মাস্টার্ডের বোতল।
আমি একখানা ব্রাটউর্স্ট নিয়ে তার ওপর মাস্টার্ড ছড়িয়ে হোটেলের দিকে হাঁটা
লাগালাম। চমৎকার রোদ উঠেছে। ফুরফুরিয়ে হাওয়া দিচ্ছে। ব্যাপারস্যাপার দেখে আমার
মনের মধ্যে থেকে প্রেজেন্টেশন পিপিটি খানিকক্ষণের জন্য হাওয়া হয়ে গেল। ভাবলাম একটু
ঘুরপথে যাওয়া যাক। শেষ বিকেলে হপ্টবানহফ জমে উঠেছে। গিজগিজ করছে লোক। দোকানে
ঢুকছে, বেরোচ্ছে, ব্যস্ত হয়ে হাঁটছে, দোকানের সামনে পাতা চেয়ারটেবিলে হাতপা ছড়িয়ে
বসে কফিতে চুমুক দিচ্ছে। বুড়োরা লাঠি হাতে খুরখুরিয়ে হাঁটছে, ছুঁড়োরা মাথায়
উল্টোনো টুপি গলায় চেন আর মুখে চুইংগাম পুরে জটলা করছে। আর একেবারে গুঁড়োরা প্র্যামে
বসে গাল ফুলিয়ে ভুরু কুঁচকে চারপাশ পর্যবেক্ষণ করতে করতে চলেছে। কড়া নজর রেখেছে, পান
থেকে চুন খসলেই হাঁ করে চিৎকার জুড়বে।
আমি ব্রাটউর্স্ট খেতে খেতে ধীরেসুস্থে হাঁটতে লাগালাম। আমার আগেপিছে
ডাইনেবাঁয়ে পুষ্ট পায়রার দল ঘাড় বাঁকিয়ে ঘোরাফেরা করতে লাগল। তাদের ধূসরনীল পালক
রোদ পড়ে ঝলমল করছিল। ভয়ানক দাপট সেসব পায়রার। আমি বাটা কোম্পানির লাল রঙের পাম্পশু
মশমশিয়ে তাদের দিকে এগোচ্ছি দেখেও ভ্রূক্ষেপ নেই, লাস্ট মোমেন্টে আমাকেই এঁকেবেঁকে
তাদের পথ থেকে সরে যেতে হচ্ছিল।
বিঠোভেনের মূর্তির তলায় পৌঁছে দেখি ভিড় জমেছে। গেলাম কী ব্যাপার দেখতে। ভিড়ের
মধ্যমণি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন যিনি তাঁর চেহারাখানা দেখার মতো। মাথায় আগুনরঙের চুল
ঝুঁটি করে বাঁধা। টাইট
টি শার্টের হাতা যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে শুরু হয়েছে বাইসেপের পুরুষ্টু ঢেউ,
ঢেউয়ের ওপর সবুজ কালি দিয়ে ঘন উল্কির আঁকিবুঁকি। সেই হাত যেখানে এসে শেষ হয়েছে
সেখানে দাঁড়িয়ে আছে একটা মস্ত চেলো। এই ছোটখাটো দানবটির লাল দাড়িগোঁফের আড়ালে যে
হাসিটা ফুটেছে সেটা যদিও নিতান্ত নিরীহ ভালোমানুষের।
এঁর পাশে ছড়ানো দু’তিনখানা ড্রামের পেছনে যিনি বসে আছেন তাঁর চেহারা সঙ্গীর
থেকে যতখানি বিপরীত হতে পারে ততখানিই। শীর্ণ চেহারা, কপালে চিরস্থায়ী ভ্রূকুটি।
দেখে মনে হচ্ছে বিশ্বের প্রতি রাগ উজাড় করে দেওয়ার জন্যই তিনি ড্রামেদের
ডাণ্ডাপেটা করার কাজটা বেছেছেন।
একটা বাজনা শেষ হল। সবাই হাততালি দিল। আমার হাতজোড়া তাই আমি দিলাম না। বাজিয়ে
দু’জন সামান্য নড়াচড়া করে নতুন একটা বাজনা ধরলেন। জনতা হইহই করে উঠেছে। লালচুলো
দানো খুব হেসে হেসে চেলো বাজাচ্ছেন। ড্রামওয়ালার মুখের পেশি নিশ্চল। আমার পাশে কে
যেন বলল, “স্টিভি ওয়ান্ডার।” অর্থাৎ স্টিভি ওয়ান্ডারের গান বাজানো হচ্ছে।
আমি পাঁউরুটিতে কামড় দিতে দিতে মুচকি হাসলাম। স্টিভি ওয়ান্ডার না ঘেঁচু। কিচ্ছু
জানে না এরা। বাজনা চলল, জনতা শরীর দুলিয়ে
বাজনার সঙ্গে তাল রাখছে। চেলোর মসৃণ মেদুর স্বরের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমার মাথার
ভেতর লতা মঙ্গেশকর গাইতে লাগলেন,
তুম কওন হো, বতলা তো দো, কিঁউ করনে
লগি ম্যায় তুমপে এতওয়ার,
খামোশ রহুঁ ইয়া ম্যায় কহ দুঁ, ইয়া
করলু ম্যায় চুপকে সে ইয়ে স্বীকার,
ইয়েহি সচ হ্যায়, শায়দ, ম্যায়নে
পেয়ার কিয়া,
হাঁ হাঁ তুমসে ম্যায়নে
পেয়ার কিয়া।
অসম্ভব রকমের ভালো লিখেছেন
ReplyDeleteঅসম্ভব রকমের খুশি হলাম শুনে, দেবাশিস। থ্যাংক ইউ।
DeleteEtodin tomar lekha pore leela mojumdar ke mone porto.. ajke syed mujtaba ali r kotha mone porlo...r khabarer bela amio tomar dole...
ReplyDeleteআহা, আবার মহারথীদের নিয়ে টানাটানি কেন, চুপকথা? লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। রাস্তার খাবারের সঙ্গে আর কিছুর তুলনা হয়, বল?
Deleteaha chomotkar,...kebol khabar ta ki khele mote bujhte parlam na, modda pauruti ar mangsho eita bujhechi...ar pretzel bostuta bhalo lage ki kore bapu bujhina :D --Pradipta
ReplyDeleteপ্রেটজেল নিয়ে লেট আস এগ্রি টু ডিসএগ্রি, প্রদীপ্তা। আমি যেটা খেয়েছিলাম সেটা এইরকম দেখতে http://www.gesund-abnehmen24.net/wp-content/uploads/2012/03/Bratwurst-Broetchen.jpg
Deleteঅসাধারণ লেখা| ছবিগুলো-ও বেশ ভালো, কিন্তু তাদের গুনে গুনে গোল দিয়ে গেছে লেখার ভিতরের ছবিগুলো|
ReplyDeleteআহা, কী ভালো প্রশংসা। থ্যাংক ইউ, অপরাজিতা।
DeleteKhub khub bhalolaglo lekhata pore. Dur shahorer kotha, oi sab rasta muhurte chokher samne bhese uthlo jeno :-) Ei kodin jadi nao berate jaan, emon sab chhobi kintyu dekhate bhulben na.
ReplyDeleteআমি তো এক কথা একশোবার করে আপনাদের শোনাতে পারলে বর্তে যাই, সায়ন। সাহস দিচ্ছেন যখন আরও বেশি বেশি করে বলব নাহয়। লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগল। থ্যাংক ইউ।
Deleteধন্যি। আপনার চেয়ে মোটে বছর পঁচাশি আগের এক সিলেটি-শান্তিনিকেতনি বন-বাসীও এরকম উমদা লিখে গেছেন বন নিয়ে। আপনার লেখা তেনার সঙ্গেই তুলনা করলুম। এমন কি রান্নাবান্না সমেত। গুরুবাক্য আপনারই কথা বলছেন, অয়রোপার উচ্চকোটির খানার টেবিলে যেতে গেলে আপনাকে ভালো পাকওয়ান হতে হবে। তবেই প্রায় কাঁচা, আধ কাঁচা, সেদ্ধ, পোড়া, স্যাঁকা মালের ওপর গুচ্ছের সস্ - কন্ডিমেন্ট ঢেলে আপনি কিছুটা পদবাচ্য করতে পারবেন। আমার খুব খারাপ হাল হয়েছিলো যখন পোষাকি ডিনারে গিয়ে কাঁসার থালার সাইজের সাদা প্লেটে এক টুকরো আলু আর একটা চার চৌকো লালচে মত দেখতে গরুর মাংসর টুকরোর পরে এলো চার খানা কাঁচা বিন, সঙ্গে গোটা তিনেক সেদ্ধ ব্যাঙের ছাতা। শুনিচি প্রাশান হলে নাকি গোলমরিচের গন্ধে আধ ঘন্টা হাঁচেন। আমি আজ অবধি কাউকে পাইনি যে নিজেকে প্রাশান বলে স্বীকার করেছে, কাজেই গোলমরিচ দিয়ে হাঁচিয়ে সত্যতা যাচাই ও করতে পারিনি। তবে গুরুবাক্যি কি মিথ্যে হতে পারে?
ReplyDeleteঅসম্ভব রসবোধ আপনার। আর সেই রসবোধ প্রতিটি বাক্যে ফুটে বেরিয়েছে। এই যে ডয়েশ মাংস নিয়ে বলেছেন। আহা, কেয়াবাত। বড় স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লুম। বন শহরের রাস্তায় জার্মানদের কেরামতি দেখাতে গিয়েছিলুম "ফারহাড" চালিয়ে। ফলাফল? এক্কেরে আপনি যা কয়েছেন - "অমনি হৃদপিণ্ড হাপর, চোখের সামনে রাস্তা উঠে যাবে খাড়া পনেরো ডিগ্রি"। আর কখনো সাইকেল চালাবার দুঃসাহস দেখাইনি।
তবে কিনা দিদিমনি, ব্রাটউর্ষ্ট শুধু মুখে খেলেন? এক চুমুক মুনষেনার বিয়ার কিন্তু স্বাদ বাড়াতো। কিম্বা ভুর্টেমবুর্গের মিঠে মিঠে ওয়াইন। এটা অবশ্য গুরু বলেছেন। আমি খাইনি।
আর একটা জিনিস মনে পড়লো। জার্মান ঘরোনা রান্না কিন্তু দিব্যি খেতে। দুনিয়ার সমস্ত কচু-ঘেঁচু-মাংস-চর্বি-দানা-পানি দিয়ে ঘন-ঘন যে জিনিসটা দাঁড়ায়, সেটা কিন্তু দিব্যি লাগে। আর একজন খাইয়েছিলো জোলিয়াঙ্কা বলে একটা ইষৎ পাতলা স্যুপ। সেটাও মন্দ না। আর অ্যাসপারাগাস, মাখন দিয়ে? মাম্মা-মিয়া, হেঁটেই চলে যাবো এখান থেকে, খাবার জন্যে।
পরিশেষে স্নিৎসেল। আহা, জার্মানিতে বসে আমাদের মিত্রক্যাফের "অর্জিনাল" স্বাদ পাওয়াযায়, ভাবতে পারিনি। আর ভাবতে পারিনি, গুরুর ৮৫ বছর পরেও বন নিয়ে এমন সরেস লেখা আবার পড়তে পাবো। অনেক অনেক অভিনন্দন জানালুম। আপনার কলম-কিবোর্ড অক্ষয় হোক।
অলমিতি বিস্তারেন।
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, সোমনাথ। বিয়ার এবং তার ভায়রাভাইদের খাওয়ার আমি চেষ্টা করেছিলাম। বড় উৎকট গন্ধ। আর তারপর খেলেই কেমন মাথা ঝিমঝিম করে, মনে হয় আমার হাতপাগুলো যেন অন্য কারও, হু হু করে পুরোনো কষ্টের কথা মনে পড়ে যায় - সব মিলিয়ে মোটে ভালো ফিলিংস হয় না। তাই চেষ্টায় ছাড়ান দিয়েছি।
Deleteজার্মান হোমফুড খাওয়ার যদি কখনও সুযোগ হয় আপনি যে পদগুলোর নাম বললেন চেখে দেখব। এত ভালো ভালো প্রশংসা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগল আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে।
ক্যোনিগস্বুর্গার ক্লোপসে। সোজা বাংলায় কোফতা কারি। আর জাওয়ার ক্রাউট। কোরিও কিমচি যার একশ মাইলের মধ্যে আসেনা। এই দুটো ভুলে গিয়েছিলুম বলতে।
Deleteকী করে কেউ এত ভালো লিখতে পারে? প্লিজ ব্লগ এর সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্স বাড়াও... ভবিষ্যত পাঠক দের প্রতি নাহলে অন্যায় করা হচ্ছে।
ReplyDelete- রম্যাণি।
হাহা, পাঠকদের প্রতি অন্যায় করবে এমন শক্তি কোনও লেখকের নেই, রম্যাণি। তোমার লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। অনেক ধয়বাদ।
DeleteOnyo onek commentator ja bolechen ami o tar songe ekmot. Apni Mujtaba Ali ki mone koriye diyechen. Bhromon-kahini-r er chaye boro prosongsha amar kichu jana nei.
ReplyDeleteঅসংখ্য ধন্যবাদ, ঘনাদা।
Deletebiswas koro... amar Mujtaba Alir lekhar kotha mone porchilo porte porte... tarpor dekhi aro comment poreche same .... khub bhalo laglo.. sesh ta darun....eirokom choto choto humor gulor jonnoi abantor prothom porei bhalo lege giyechilo... :)
ReplyDeleteভালোলাগা দীর্ঘজীবী হোক এই কামনা করি, ঊর্মি। লেখাটা তোর ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Deleteআহা! মাত্র একমাস আগেই ছেড়ে এসেছি এই শহরটা, আর এই দোকানগুলো। কাফে ফাসবেন্ডার নামের একটা দুর্দান্ত কফি-ও-কেকের দোকান আছে ... ওটা সবথেকে বেশি মিস করি। আর সাহস থাকলে ওই চত্বরে ব্লাড-সসেজটাও চেখে দেখতে পারেন।
ReplyDeleteনিরুপম, আমি তো বন থেকে চলে এসেছি। পরের বার গেলে নিশ্চয় যাব। টিপটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
DeleteBhishon bhalo lekha, ami to tomake agei bolechi tomar next project howa uchit bhromon-kahini.. prothom chhobita durdanto lagchhe amar. tar thekeo bhalo lagchhe tumi protita kothay je darun chhobi futie tulechho seigulo.....khawar er byapare besh ekta mil pawa gelo kintu pretzel ta ekebarei millona...- Bratati.
ReplyDeleteহাহা, প্রেটজেলটা বেশিরভাগ লোকের সঙ্গেই মেলে না, ব্রততী। তবে তাতে ক্ষতি নেই, সব মিললে বোরিং। লেখাটা তোমার পড়তে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Deleteএমন মন ভোলানো লেখার মাঝে একটাই ছন্দপতন :) শেষে কিনা Pretzel কে ভালো বললে !
ReplyDeleteতুমি লিখতে থাকলে অদেখা বন ও অল্প দেখা দিল্লির মত চেনাশুনো হয়ে যাবে, বসে থাকলাম নেক্সট installment এর জন্য।
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, কাকলি।
Deletebah, bonobas porte besh laglo.. kintu Pretzel bhalo lage khete ? :O :o :O :Papiya
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, পাপিয়া। ভালো কী গো, মচৎকার লাগে খেতে।
DeleteBhalo lekha. Pore europe jete ichcha korchhe din kotok er jonyeTobe bakider sathe ami puro ekmot noi. bhagyis mujtaba Ali internet jug a jonman ni...noyto alsemi r sujog peye blog er baire tinio hoyto kichhu likhe uthten na. Tate amar moto gelaas half bhorti dekha khitkhite loker .. Etc etc.
ReplyDeleteKintu etao thik... Lekhata pore amar moto kure ghorkuno loker o dinkatak Europe ghorar ichcha hochchhhe....bharatiya Ranna r orchestra r SWAD bodle du ekdin paschatyo solo chakhteo Raji lagchhe..
Deleteঅনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগল।
Delete"I just called to say I love you" ... college e khub shuntaam. Ekhon obossho Aate jaate ta o bhaloi lage. :-)
ReplyDeleteKhabar er bornona eto bhalo ar kothao porini ... keu eto bhalo likhte parbena.
Tomar shonge amio kintu Bonn ghurchi ... tai next post er opekkha e roilam.
Tomar trip khub shundor houk.
Oh ... bolte bhule giyechi ... majhe ekta chotto vacation e ghure elam ... ar tomader moton ebaar pakoda chaa kheyechi. :-)
আরে তাই নাকি, শর্মিলা? কোথায় গিয়েছিলে? ইস, আমারও কি বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করছে। দিল্লির গরম মোটে পোষাচ্ছে না।
Deleteআমি কিন্তু বন থেকে ফিরে এসেছি, শর্মিলা। এই পোস্টগুলো সব জাবরকাটা চলছে। তোমার পড়তে ভালো লাগছে জেনে খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Shayadri ranges er ek tukro cross korlam, Panchgani te ekta pahadi jhor brishtir raat katalam ar tarpor niche neme ekta chotto beach e dudin katiye firlam.
DeleteKhub shiggiri ekta post korchi amar travel blog e.
Tomra o kothao opore ghure esho ... shinechi Mount Abu khub bhalo. Aro onek choto choto jayega toh achei. :-)
মাউন্ট আবু বহুদিন ধরে আমাদের 'টু ট্র্যাভেল' লিস্টে আছে, শর্মিলা। দেখা যাক। তোমাদের ঘোরার এই তিন লাইন বর্ণনা পড়েই এত ভালো লাগছে, ঝড়বৃষ্টির রাত, সমুদ্রতট, সহ্যাদ্রি . . . তোমার বিস্তারিত পোস্ট পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
DeleteBarshakale Maharashtra ele sob pabi..."to travel" list e ota koyhay akhon? Tinni
Deleteএকেবারে টপে, তিন্নি।
Deletesobar songe amio ekmot chhobi ebong lekhar chhobi duii mochotkar - Ichhadana.
ReplyDeleteহাহা, থ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা।
Deleteওরে ব্বাবা!! কি ভাল লেখা। মনে হয় মুজতবা সাহেব কে খাওয়াতে বসিয়ে সেই ফাঁকে লেখাটা সেরে ফেলা হয়েছে। পাছে উনি ঘুরপাক খান। এখানে তারমানে আর ভাল লেখা আছে। পড়তে হবে ত।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, শুভাশিস। অবান্তরে স্বাগত। আশা করি বাকি লেখাগুলোও আপনার ভালো লাগবে।
DeleteArrebbas, back to Europe naki abar ? Ebar koddin er jonno ?
ReplyDeleteআমি দিন পাঁচেকের জন্য একটা কাজে গিয়েছিলাম, শুভব্রত। এখন আবার দিল্লি ফিরে এসেছি। তোমরা সবাই ভালো আছ আশা করি।
DeleteTui khabarer taste gulor layer by layer ato sundor description ki kore dite paris re ? Ami anek chesta kore dekhechi.. khawar somoi chokh buje bhuru kuchke concentrate kore kintu tor moto kore ato sundor kore akdom bujhte parini re sotti... Lekhata khub sundor.. Bon er bes bhalo ekta chitro chokher samne jeno dekhte pacchi. Chobi gulo o khub sundor..
ReplyDeleteতুই কি পাগল হলি, ভট্টা? আমি ওসব লেয়ারটেয়ার কিছু টের পাই না। লিখতে হয় বলে লিখলাম। আমার দৌড়ও ওই টক ঝাল মিষ্টি পর্যন্ত। লেখাটা তোর ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগল। থ্যাংক ইউ।
Deleteএমন ট্র্যাভেলগ্ই পড়তে লাগে ভালো।
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, তন্ময়।
DeleteKuntala Germany r katha porte bes bhaloi lagche . bes ko baar giyechi oi dese . akhon aar biswas hoyna amon sundor ato shanto ekti desei kina hoyechilo sobtheke nrishongsho hottyaleela ! jaaihok amar akta onurodh ache . tumi je boi gulo poro segulo pora hoye gele kichu likho segulo niye . jani na bhebei porcho just ja mone aase taai likho . amar aar kono boi i sebhabe bes ko bochor holo pora hoyna kintu boi er bishoy niye du-char katha porte bhaloi lage .
ReplyDeleteভালো আইডিয়া দিয়েছ, অনিন্দিতা। বইগুলো নিয়ে লেখা যেতে পারে। দেখব চেষ্টা করে। অনেক ধন্যবাদ।
Deleteerom akta lekhar jonnoi opekkha korchilam. pretzel khete amaro darun lage.
ReplyDeleteআঃ, প্রো-প্রেটজেল একজনকে পেয়ে কী যে আরাম লাগছে, কুহেলি। থ্যাংক ইউ।
Deleteআপনার লেখা একবার ধরলে ছাড়া কঠিন| কি করে যে লেখেন এমন !!! সত্যি বলছি, এমন সোজাসাপ্টা লেখার ক্ষমতা খুব কম লেখকের থাকে| চালিয়ে যান, প্লিজ :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, অন্বেষা। খুব ভালো লাগল আপনার প্রশংসা পেয়ে। অবান্তরের হাত থেকে যেন আপনি চট করে ছাড়া না পান সেই কামনা করি।
Delete