বন
প্রথম যখন এইসব সেমিনারটেমিনারের
তলব আসে, তখন ভালোই লাগে। ভালোলাগার পুরোটাই যে এই ফিকিরে বিদেশ ঘোরার সস্তা
ফুর্তি থেকে উৎসারিত তেমন নয়, আরও নানারকম আপাত-সিরিয়াস উপযোগিতার আশাও থাকে। এইবার কত নেটওয়ার্কিং হবে, কত ইনটেলেকচুয়াল আদানপ্রদান ঘটবে,
কত পাবলিকেশন বেরোবে, কেরিয়ারের পালে কত শনশন হাওয়া লাগবে, সেই সবের আশা।
তারপর উৎসাহ ক্রমশ
কমতে থাকে। একে তো বরাদ্দ কাজের বোঝার ওপর শাকের আঁটির মতো নতুন প্রোপোজাল, নতুন
পেপার, নতুন প্রেজেন্টেশন, তার ওপর ভিসার ঠেলা। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স রিটার্ন,
অ্যাড্রেস প্রুফ, ছবি। আগের বারের ভিসার জন্য তোলা ছবি যে চালিয়ে দেব তার জো নেই,
নতুন ছবি চাই। গেলাম নতুন ছবি তুলতে। স্টুডিওতে ঢুকে শুনলাম আমার চশমায় অ্যান্টি
গ্লেয়ার নেই, ছবি চলবে না। “কেন আগের বার তো চলেছিল” যুক্তি দেওয়াতে ভাইসাব উদাস
মুখ করে বললেন, “সে আপনি যেমন বলবেন তুলে দেব তবে সেই সঙ্গে এই গ্যারান্টিও দিয়ে
দেব যে ভিসা আপনি পাবেন না।”
সাধারণত ক্রাইসিসে
আমার মাথা কাজ করে না, কিন্তু সেদিন কী আশ্চর্য, করল। বিরিয়ানির দোকানের সামনে
দাঁড়িয়ে অর্চিষ্মান ডিনার প্যাক করাচ্ছিল, গিয়ে বললাম, “তোমার চশমায় অ্যান্টি
গ্লেয়ার আছে না?” ফিরে এসে খুব খুশি হয়ে অ্যান্টি গ্লেয়ার চশমা পরে হাসিহাসি মুখে
সামনের ঝাপসার দিকে তাকিয়ে আছি, খানিকক্ষণ পরে ভাইসাব চিৎকার করে বললেন, “দিখাই
নেহি দে রহা হ্যায় কেয়া?” তাড়াতাড়ি অর্চিষ্মানের চশমা খুলে নিজের চশমা পরে দেখি
ভাইসাব প্রাণপণে হাত দিয়ে চুল সরাতে ইশারা করছেন, আমার নাকি কান দেখা যাচ্ছে না।
“ইয়ে ক্যায়সা কান
হ্যায় আপকা? দিখাই নেহি দেতা?”
শুনলাম এ রকম মাথার
সঙ্গে চেপটে থাকা কান থাকলেও নাকি ভিসা পাওয়া যায় না। কই আগের বার তো পাওয়া
গিয়েছিল বলতে গিয়েও গিলে নিলাম। মনে মনে অর্চিষ্মানের কানটা কল্পনা করলাম। দিব্যি সভ্যভদ্র
কান, দৈর্ঘ্যে প্রস্থে মানানসই। যতখানি দেখা যাওয়া দরকার ততখানিই দেখা যায়,
বেখাপ্পা বেরিয়েও থাকে না, আবার আমার কানের মতো মুখ লুকিয়েও থাকে না। ভিসা পাওয়ার
জন্য আদর্শ কান। চশমাটা চাইতেই যেমন উদারহস্তে দিয়ে দিল কান চাইতে গেলেও তেমন দেবে
কি না ভেবে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাইসাবকে বললাম, “এই যতটুকু দেখা যাচ্ছে তাতেই
কাজ চালিয়ে নিন।”
এর পর এজেন্ট,
ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অ্যাড্রেস প্রুফ, ট্যাক্স রিটার্ন। নিজের খাটুনি বাঁচানোর জন্য
এজেন্ট ধরলাম, তাকে ফোনে ধরতে যা পরিশ্রম করতে হল তাতে আমার তিনবার ভিসা অফিসে
যাওয়াআসার খাটুনি উশুল হয়ে গেল। তার ওপর সে এজেন্ট আবার সদা সত্য কথা বলার নীতিতে
বিশ্বাসী। “ডোন্ট ওয়রি ম্যাডাম, হো যায়েগা” বলে আমাকে শান্ত করার থেকে কোন কোন
কারণে ভিসা না পাওয়া যেতে পারে সে সব দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতেই তাঁর উৎসাহ বেশি।
আমার আবার জীবনে চলতে
গেলে পদে পদে আশ্বাস লাগে। সব যে ভালো হবে, সর্বক্ষণ এই সান্ত্বনার দরকার হয়।
পরীক্ষার প্রিপারেশন যেমনই হোক না কেন, বেরোবার আগে মায়ের মুখে শুনতে লাগে, “সব
ভালো হবে সোনামা, প্রশ্ন দেখলেই ফস করে সব উত্তর মনে পড়ে যাবে।”
আমার এজেন্ট আমার
মায়ের মতো নন। পাসপোর্ট দেখে বললেন, “পাসপোর্ট
কলকাত্তা কা, অ্যাড্রেস দিল্লি কা কিঁউ?” অনলাইন ডাউনলোড করা ছ’মাসের ব্যাংক
স্টেটমেন্ট দেখে বললেন, “ব্যাংক কা স্ট্যাম্প নেহি হ্যায়? দেখিয়ে অ্যাকসেপ্ট হোতা
হ্যায় কে নেহি।”
অ্যাকসেপ্ট যে হবে
সে নিয়ে আমার অন্তত কোনও সন্দেহ ছিল না। ওই ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে দুঃখে বড়জোর
চোখে দুচার ফোঁটা জল এলেও এতে পারে, স্ট্যাম্প কেন নেই সে নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়
হবে না।
হয়ওনি।
স্ট্যাম্পশূন্য স্টেটমেন্ট আর কানহীন ফোটোতেই ভিসা চলে এল। দেখতে দেখতে যাত্রার
দিনও। একদিন মাঝরাতে অর্চিষ্মান আমাকে এয়ারপোর্টে ছেড়ে
দিয়ে গেল। দরজার ভেতর ঢুকে যাওয়ার আগে আমি বললাম, “সব ভালো হবে তো? কেউ হাসবে না
তো? কেউ বকবে না তো?” অর্চিষ্মান বলল, “পাগল? সবাই জোরে জোরে হাততালি দেবে আর বলবে
এমন ভালো প্রেজেন্টেশন এর আগে কেউ জীবনে দেখেওনি, শোনেওনি।”
সব ভালোই হচ্ছিল।
জানালার পাশে সিট, জানালার বাইরে ডানার আড়ালহীন নীল আকাশ, নিচে কারাকোরাম
পর্বতশ্রেণীর বাদামি চুড়োয় সাদা বরফের ছিটে। ঠিক যেন চকোলেট আইসক্রিমের ওপর হুইপড
ক্রিম। দেখতে দেখতে আমার কেমন ঘুম পেয়ে গেল, ঘুম থেকে উঠে শুনি প্লেন লেট। ইস্তানবুলের
আকাশে জ্যাম। জ্যাম যখন ছাড়ল, প্লেন যখন নামল, সিকিউরিটি চেকের বেড়া যতক্ষণে
পেরোলো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম পরের প্লেনটা ছাড়তে আর ঠিক চার মিনিট চুয়াল্লিশ
সেকেন্ড বাকি। পিঠে সাড়ে ছ’পাউন্ডের ল্যাপটপ নিয়ে ছোটা শুরু করলাম, প্রতিবার পা ফেলার
সময় মনে হতে লাগল এই বার হৃদপিণ্ডটা বুকের বাইরে ছিটকে বেরিয়ে আসবে। একঝলক হাতঘড়িটার
দিকে চোখ পড়ে যাওয়ায় দেখি সেটার কাঁটাদুটো এখনও বাড়ির সময় দেখাচ্ছে।
মনে পড়ে গেল এতক্ষণে
অর্চিষ্মান অফিস থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে, হাত পা ধুয়ে টিভি চালিয়ে বসেছে, হয়তো, হয়তো
কেন, নির্ঘাত হাতে ধরা আছে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা। ঘরে নরম হলুদ আলো জ্বলছে।
অর্চিষ্মান অবশেষে মেনে নিয়েছে যে ফ্যাটফেটে সাদা টিউবের আলোর থেকে হলুদ ল্যাম্পের
আলো ঢের ভালো। বিশেষ করে গরমকালে। আমার চুরি করে আনা মানিপ্ল্যান্টের মোমের মতো
পাতার ওপর সে ঠাণ্ডা আলো জ্বলজ্বল করছে কিন্তু ওয়ার্ডরোবের কোণা পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে
না। এমনিতে কিছু মনে হয় না, কিন্তু সেই যেদিন এইচ বি ও-তে প্যারানর্মাল
অ্যাকটিভিটি দিয়েছিল আর সমস্ত সদ্বুদ্ধি চুলোয় দিয়ে আমি সেটা বসে বসে দেখেছিলাম,
সেদিন সারারাত ওই কোণাটার দিকে আমি তাকাতে পারিনি।
সেই মুহূর্তে আমার
মনে হল এক্ষুনি যদি একটা ম্যাজিক হয়ে এই প্রকাণ্ড এয়ারপোর্টটা উবে গিয়ে আমাদের সেই
আলোআঁধারি ঘরটা ভেসে ওঠে তবে তার জন্য আমি লক্ষ নেটওয়ার্কিং-এর সুযোগ চুলোয় দিতে
রাজি আছি।
সেই ম্যাজিকটা হল
না, কিন্তু আরেকটা ম্যাজিক হল। দেখলাম আমার গেট এসে গেছে আর গেটের ভেতর দ্রুত
অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে একটা লাইন। আমি দৌড়ে গিয়ে সেই লাইনের ল্যাজ ধরে ঝুলে পড়লাম। এত ছোটাছুটি
করে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, প্লেনে ওঠামাত্র আবার ঘুম। ল্যান্ডিং-এর আগে সিট সোজা
করার জন্য স্টুয়ার্ডের খোঁচা খেয়ে ধড়মড়িয়ে উঠে জানালার বাইরে তাকিয়ে দেখি ছেঁড়া
ছেঁড়া সাদা মেঘের ফাঁক নিচে গাঢ় হালকা কচি কলাপাতা বটল গ্রিন সবুজের তাপ্পি দেওয়া
মাঠের ওপর দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটা প্রকাণ্ড হাওয়াকল। মেঘের থেকেও ধপধপে সাদা তাদের তিন
পাঁচে পনেরোখানা পাখা ঘুরছে বনবন করে।
অবশেষে ছোটাছুটি ফুরোলো।
ওড়াউড়ির পালা শেষ, এবার মাটি কামড়ে ছোটা। ট্রেনে বসে দেওয়ালজোড়া জানালা দিয়ে
তাকিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ দেখি মাঠের মাঝখানে হালকাঘন সবুজের তাপ্পি আর তার ওপর
দাঁড়িয়ে আছে উঁচু উঁচু হাওয়াকল। একটা, দুটো, তিনটে, চারটে, পাঁচটা! প্রমাণ করার
কোনও উপায় নেই, কিন্তু আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে এদেরকেই আমি একটু আগে দেখেছিলাম
আকাশ থেকে। ঘাড় তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, যা ভেবেছি তাই, মাথার ওপরের নীল
টুকরোটাকেও দিব্যি চেনা যাচ্ছে। ভেসে বেড়ানো দুয়েকখানা মেঘকেও।
তখন মনে হল,
নেটওয়ার্কিং না হয় না হোক, আকাশ মাটি মেঘ হাওয়াকল মেলানো মেশানো এই রকম কয়েকটা
দৃশ্য পকেটে পুরে বাড়ি নিয়ে যেতে পারলেই যথেষ্ট হবে।
হ্যাঁ। এইটা এক খান খাশা লেখা বটে। পেলেন যাত্রার এমন পেলেন বর্ননা খুব কম পড়েছি। দিব্যি মজা পেলুম।
ReplyDelete"সোনার টোপর মাথায় দিয়ে"র গল্প টা আরেক দিন হবে নাকি?
থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, সোমনাথ। সোনার টোপরের ব্যাপারটা বুঝলাম না, একটু খোলসা করে বলুন প্লিজ।
DeleteThis comment has been removed by the author.
Delete"বন থেকে বেরোলো টিয়ে
Deleteসোনার টোপর মাথায় দিয়ে"
ছোটোবেলার এই হেঁয়ালির মানে কাঁচা লঙ্কা। মানে জার্মান খাওয়াদাওয়ার দিক টা একটু............
খাস জার্মানির Würste ... বিশেষ করে Frankfurter। Wiener টা অবস্য একটু আক্রা। আর সেই সঙ্গে ড্রট বিয়ার (সেটা আপনার চলবেনা হয়ত)। ক্রিম বান। কিম্বা ভিনার স্নিৎসেল। আহা। উহু। লিখুন না মাইরি একটু।
এই রে, এবার তো বেশি খাওয়ার সুযোগ হয়নি, সোমনাথ। তবে ব্রাটউর্স্ট না খেলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম না, সেটা খেয়েছি, সে নিয়ে লিখব দু'লাইন।
Deleteকিন্তু আপনি তো মনে হচ্ছে জার্মান খাবারের পৃষ্ঠপোষক। আপনি একটা পোস্ট লিখে ফেলুন। আমরা পাঠে সিকিভোজন করি।
travelogue gulo tomar boddo bhalo.. protyektai ekadhikbar pori.. :-) etao bolai bahulyo, khasa..
ReplyDeletearekta note.. "eleo ete pare" use ta ami kokhono shunini kokhono.. khub moja peyechi dekhe..
-sanchari..
kokhono shunini kintu*..
ReplyDeleteuff bhulbhal lekhar talent ta amar jata level e..
-sanchari.
হাহা সঞ্চারী, নো প্রবলেম। লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। "এলেও এতে পারে" লিখেছি যে খেয়াল করিনি, ফস করে হাত থেকে বেরিয়ে পড়েছে। খেয়াল করলে হয়তো "এলেও আসতে পারে"ই লিখতাম, কিন্তু তোমার যখন ভালো লেগেছে বলছ, ওটা রেখে দিলাম।
DeleteThank you thank you na change korar jonyo..
Deletebaki episode gulor jonyo wait kore achi..
Tumi ki Netherland e? MAne hawakol er bornona sune mone holo r ki...rohan babuke bolo na tomar ei travelogue gulo niye ekta boi korte..
ReplyDeletesotyi e ami ekta jachhetai..mane heading to bonn poreo tomay paser deshe pathiye diyechhi :(
ReplyDeleteআমি জার্মানিতে গিয়েছিলাম, চুপকথা। পাঁচ দিন চার রাত্রির ঝটিকাসফরে। এখন দিল্লির বাড়ির খাটে বসে তোমার কমেন্টের উত্তর দিচ্ছি।
Deleteবাঃ দারুণ!! বন-বাস মজার হোক। :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, অরিজিত। ভালোই হয়েছে এবারের সংক্ষিপ্ত বনবাস, তবে সে গল্প টেনে ফুলিয়েফাঁপিয়ে না শুনিয়ে আপনাদের ছাড়ব না।
Deleteনিশ্চয়ই, শোনার অপেক্ষায় আছি। :)
Deleteআবার তুমি পগার পার ! কি মজা, আঃ। প্লেন ধরার জন্য তোমার ছোটাছুটি দেখে আমার তো ঘোর দুশ্চিন্তা হচ্ছে। গেঁইয়ার যে প্রথমবার একা বিদেশযাত্রা হচ্ছে। কি হবে কে জানে।
ReplyDeleteমনে হচ্ছে সোনামা বোধহয় ছোটবেলা কোনদিন কানমলা খায় নি, তাই তার কানটা মুখ লুকিয়েই রইল।
যাইহোক, তোমার বন-বাস সুখের হোক, যাতে আমরা আরো এরকম লেখা পেতে থাকি।
আরে কী মজা! বিদেশ যাচ্ছেন, মালবিকা? ভেরি গুড। কী আবার হবে, গটগটিয়ে চলে যাবেন, কারও তোয়াক্কা করবেন না।
Deleteকানমলা সত্যিই একটু কম খেয়েছি ছোটবেলায়। আর একটু বেশি খেলে বুদ্ধিটা বাড়ত কি না সন্দেহ হয় মাঝে মাঝে।
daruuun-Pradipta
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, প্রদীপ্তা।
Deleteবাঃ
ReplyDeleteএবার অ্যাডাপ্টর নিয়ে গেছেন তো? আপনার কাজ সফল হোক, বেড়ানো ভালো হোক।
শুভমস্তু
অ্যাডাপ্টরের কথা আর বলবেন না, দেবাশিস। যেটা আগেরবার অত ঝক্কি করে কিনে আনলাম, সেটা দেখি ড্রয়ারে নেই। কে হারিয়েছে সেই নিয়ে আধঘণ্টা তর্কবিতর্ক করে রাত আটটার সময় আবার গেলাম সি আর পার্কের বাজারে অ্যাডাপ্টর কিনতে। তারপর গিয়ে কী দেখি জানেন? হোটেলের প্লাগ পয়েন্টে আমার নতুন ফোনের চার্জার আর নতুন কম্পিউটারের পাওয়ার কর্ড দুটোই দিব্যি ঢুকে যাচ্ছে। রাগ ধরে কি না বলুন?
DeleteKotodiner jonney?
ReplyDeleteপাঁচদিন চাররাত্রির ঝটিকাসফর ছিল, রুণা। আজ সকালেই ফিরে তিনটি ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিয়ে উঠে তোমাদের সঙ্গে কথা বলছি।
DeleteInteresting. Apnar kaj ta thik kon field e ? Mathematical economics/ Statistics ba oi related kichu ki ?
ReplyDeleteসব মিলিয়ে ইকনমিক্স বললেই সুবিধে হয়।
Deleteদারুন ব্যাপার তো!! তবে "আমার এজেন্ট আমার মায়ের মতো নন।" - এর থেকে সত্যি কথা হয় না | শুধু বেচারা এজেন্ট কেন, ওই জায়গায় এজেন্ট ছাড়া পৃথিবীর যে কোন শব্দ বসিয়ে নাও, খাঁটি সত্যি কথা তৈরী হয়ে যাবে |
ReplyDeleteতা তো বটেই, অপরাজিতা। প্রথমে তোমার কমেন্ট পড়ে ভাবলাম, সবাই যদি মায়ের মতো হত কী মজা হত, তারপরই আঁতকে উঠলাম। সে রকমটা হলে পৃথিবীর সবাই দিবারাত্র মাংকিটুপি পরার উপদেশ দিত, আর বলত বেশি করে খাও আর ডাক্তারখানা যাও। কী ভাগ্যিস পৃথিবীর সবাই মায়ের মতো না।
Deleteহাহাহা, কী ভালো লাগলো। নেটওয়ার্কিং কথা টা শুনলেই আমার টেনশন হতে শুরু করে। মনে হয় জ্বর বা পেট খারাপ হলে ভাল হয়। আমার বাবা মা এর প্রথম আমেরিকা যাত্রার সময়ে ভয় ছিল যে ওখানে ল্যান্ড করামাত্রই নাকি জেলে পুরে দেবে। কোনো কারণ ছাড়াই। আর নাহলে দূর থেকে দেখেই হাত নেড়ে বলে দেবে, "না না, আপনাদের এই দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।" আত্মীয়স্বজন পাড়াপ্রতিবেশী সবাই টেনশনে ছিল!
ReplyDelete- রম্যাণি
হাহাহা, বাবামায়ের টেনশনের কারণ যে কতরকম হতে পারে সেটা নিজেরা বাবামা না হওয়া ইস্তক বুঝব না, রম্যাণি।
Deletejatra subho hok. Agent ar tomar reaction darun mojadar. boro soro airport e connecting flight dhorte parbo kina eta amar ekta nightmare ...
ReplyDeletearo golper ashai bose roilam... chhobir ashateo. o oi narom holud alo onek oneeek bhalo than phat phate sada alo... high five
যাওয়াআসা সব ঠিক হয়েছে, ইচ্ছাডানা। গল্প তো আছেই, সে সব না শুনে পালানোর আশা যদি করে থাকেন তাহলে তাতে গুড়ে বালি। হলুদ আলো, হাই হায়ার হায়েস্ট ফাইভ।
Deleteভীষণ সুন্দর লেখা হয়েছে। ওই হাওয়াকল শুদ্ধু আপনার আকাশটাকে চোখের সামনে দেখতে পেলাম! আপনার বনবাস সফল হোক, আমরা যেন আরও ভালো ভালো লেখা পাই। নেটওয়ার্কিং করতেও ভুলবেননা। ওটা আমার দ্বারা আর হলনা এ জন্মে, দেখুন আপনি যদি পারেন।
ReplyDeleteডাংকে শুন, ডাংকে শুন, সুগত। (গত পাঁচদিনে জার্মানটা আবার ঝালিয়ে এনেছি, এখন মাঝে মাঝেই আপনাদের সঙ্গে জার্মানে কথা বলব কিন্তু।) নেটওয়ার্কিং করার প্রতিভা জন্মগত, ওটা অধীত করা যায় না। অনেক ঠেকে আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছি।
DeleteKodiner janye geli? Bechara archisman akhon kothai khabe? O ranna banna korte pare na kine khai? O eka thaka ta manage kore nei? Khub sundor hoyeche lekhata. Bhalo bhalo photo ola lekha likhis ebar.
ReplyDeleteআরে পাঁচদিনের জন্য গিয়েছিলাম রে, ভট্টা। এখন আবার ব্যাক টু দিল্লি। অর্চিষ্মান মোটেই বেচারা নয়। ফ্রিজে খাবার ছিল, তাছাড়া ও নিজেও ভাত ডিমভাজা করে খেতে পারে দিব্যি। তাছাড়া ম্যাকডোনাল্ডস হোম ডেলিভারির ব্যবসা ফেঁদে রেখেছে, ওদেরও তো একটু দেখতে হবে?
DeleteBonn? Germany? Chobi koi? Chobi-heen travelogue pore ektu chupse gelam. Detailed travelogue ta ki publish hobe khub shiggiri?
ReplyDeleteএই রে, এবার একটু হতাশ করতে হচ্ছে যে, কুহেলি। এবারের ট্রিপে ট্র্যাভেলের অংশটা এতই কম যে সেটা নিয়ে আমার মতো বাচালের পক্ষেও বেশি খেলানো মুশকিল। আর একটা পর্ব হয়তো লিখব, কিন্তু তাতেও ছবির ভাগ যৎসামান্য থাকবে। ভেরি সরি। সামনে একটা খেলিয়ে বেড়ানোর প্ল্যান হচ্ছে, তখন ভালো করে ছবি তুলে দেখাব, প্রমিস।
Deleteemon sundor ekta bornona porle r chhobi r dorkar khub bisheshe hoyna, tao chhobi ta thakle aro bhalo lage, ascche naki next kono post e? Bratati.
ReplyDeletePresentation nischoy khub bhalo hoechhe :)
প্রেজেন্টেশন যে হয়ে গেছে সেটাই ভালো হয়েছে, ব্রততী। কেমন হয়েছে সেটা তুচ্ছ। ছবি এবার বেশি তোমার সুযোগ হয়নি গো। তুলেছি গোটা চারেক, কিন্তু সেগুলো বিশেষ পদের না (এমনিতেও যে আমি দারুণ পদস্থ ছবি তুলি তেমন নয়)। তবে সেগুলোই দেখাব তোমাদের।
Deletephoto tolao je eto mojar hoy... ha ha ha.... khub bhalo.... khub bhalo.... khub bhalo...
ReplyDeleteo acha fireo esecho... ? porer part gulor wait korchi...
Deleteতোর মজার মনে হল, ঊর্মি? ভদ্রলোক আমার কান-শেমিং করে দিলেন রীতিমত, আর তোর মজা লাগছে?
Deleteপরের পার্ট আছে, কিন্তু সেগুলোতে বেড়ানো কম, আমার প্রলাপ বেশি, আগে থেকে সাবধান করে রাখলাম।