কালো ডাণ্ডা
কালো ডাণ্ডাদুটো কোথা থেকে আমাদের বাড়িতে এসেছিল কেউ জানে
না।
আমার জানার কথাও না
অবশ্য, কিন্তু মাও নাকি জানেন না। বললেন, “সেই বিয়ে হওয়া থেকে দেখছি।” বাবা বললেন,
“বিয়ে? ফুঃ। আমি দেখছি সেই জন্মে থেকে।” ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করতে ঠাকুমা আকাশ থেকে
পড়ে বললেন, “কালো ডাণ্ডা? কোন কালো ডাণ্ডা?”
“আরে, ওই যে একহাত মতো
লম্বা, কুচকুচে কালো, মোলায়েম গা।”
ঠাকুমা সিলিং-এর
দিকে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলেন।
“আরে, ওই যে নতুনঘরের
খাট আর ম্যাট্রেসের ফাঁকে যে ডাণ্ডাদুটো শুয়ে থাকে। মা রোজ মশারি গোঁজার সময়
সেগুলো সরিয়ে চেয়ারে রাখে আবার সকালবেলা বিছানা তোলার সময় স্বস্থানে ফিরিয়ে দেয়।”
“ওঃ, ওই ডাণ্ডাদুটো?
ওগুলো তো সেই যে বছর কলকাতায় ভয়ংকর বৃষ্টি হয়েছিল, রেললাইন ডুবে গিয়ে ট্রেনমেন সব
বন্ধ হয়ে সে এক বিতিকিচ্ছিরি কাণ্ড ঘটেছিল। সাঁতরাগাছির লোকোমোটিভ ফ্যাক্টরি থেকে
ধুতি হাঁটুর কাছে তুলে খপরখপর করে সেই জল ভেঙে হেঁটে হেঁটে হাওড়া এসে সেখান থেকে
ঠ্যালাগাড়ি চেপে সব বাড়ি এসেছিল। একা নয় অবশ্য, সঙ্গে বন্ধুবান্ধবও ছিল। শান্তিকাকুকে দেখেছিস তো তুই? শনিরবিবার সকালে তোর
বাবাকাকাকে অংক করাতে আসত। সরু করে ছোলা পেয়ারা গাছের ডাল পাশে নিয়ে বসত, ঘণ্টা
তিনেক ছেলেপুলের মুখে আর রা নেই, ঘাড় গুঁজে সব অংক কষছে। উফ, কী শান্তি কী শান্তি।
আমি সেই ফাঁকে রান্নাবান্না ফেলে একটু ঝিমুনি দিয়ে নিতাম। সেই শান্তিকাকুকে চিনিস
না? চন্দন, অ্যাই চন্দন? শান্তিকাকু আসেনি কখনও এ বাড়িতে? ইস, ডাকা উচিত ছিল।
তোরাও তো ছুটির দিন দেখে যেতেটেতে পারিস। বেশি দূর তো নয়, বনগাঁ। অ্যাঁ, বনগাঁ নয়,
নৈহাটি? ওই একই হল। একদিন সময় করে গিয়ে দেখে আসিস।”
কালো ডাণ্ডাদুটো দেখতে চমৎকার। কুচকুচে কালো মসৃণ গা। হাতে তুলে ধরে দেখলে
বোঝা যায় বেশ হালকা। কিন্তু ঠাসবুনোট কাঠের তৈরি। যে মারবে তার বেশি পরিশ্রম হবে
না, যার পিঠে পড়বে সে মজা টের পাবে।
মজা ভেরিফাই করার অবশ্য কোনও উপায় নেই। যদ্দূর জানি আমাদের
বাড়ির কারও পিঠে ডাণ্ডাদুটো পড়েনি কোনওদিন। বাড়ির বাইরের কারওর পিঠেও পড়েনি।
কলতলায় ধুতে নিয়ে যাওয়া মাছের টুকরো মুখে নিয়ে পালানো হুলোর পিঠেও না, গেট খোলা
পেয়ে ঢুকে ঠাকুমার লাউচারা মুড়িয়ে খেয়ে যাওয়া বাছুরের পিঠেও না।
আপাতদৃষ্টিতে দেখতে গেলে ডাণ্ডাদুটোর মতো এত ইউজলেস অস্তিত্ব আমাদের বাড়ির আর
কোনও জিনিসের নেই। আমারও না (আমাকে অবশ্য ইউজলেস বলেনি কেউ। উল্টে এমন ভান করেছে
যেন জন্মেই আমি বাড়িশুদ্ধু লোকের চোদ্দোপুরুষ উদ্ধার করে দিয়েছি। তাদের ব্যক্তিগত সূর্যচন্দ্রগ্রহতারা
সারাদিন আমাকে ঘিরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। সত্যিটা আমি নিজেই টের পেয়েছি।) আমাদের ছাদের
চিলেকোঠার পেছনে দাঁত ছিরকুটে পড়ে থাকা মাটির ভাঙা হাঁড়িটারও না। হাঁড়িটার ভেতর
জমা জলেও বর্ষাকালে মশারা ডিম পাড়ে, নম নম করে ম্যালেরিয়ার ক্যাম্পেনিং শুরু হয়।
ডাণ্ডাদুটো সেটুকু কাজেও লাগে না।
কেউ বলতে পারেন, “আহা, শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে তো ডাণ্ডা কাজে লাগার কথাও নয়,
বাড়িতে চোরডাকাত পড়লে না হয় ওরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের একটা সুযোগ পেত।”
উঁহু। সে সুবর্ণসুযোগ এসে ফিরে গেছে, ডাণ্ডা ডাণ্ডার মতো কাঠ হয়ে ম্যাট্রেসের খাঁজে
শুয়ে থেকেছে। কাজে লাগার কোনওরকম উদ্যোগ দেখায়নি। কোন সালে ভুলে গেছি, পঁচাশি
ছিয়াশি সাতাশি সাল হবে। সরকারদের বাড়িতে এক রাতে ডাকাত পড়েছিল। কেন পড়েছিল সে
সম্পর্কে অনেক রকম থিওরি শোনা গিয়েছিল পরে। কেউ বলেছিল মেয়ের বিয়ের পণ দেওয়ার
জন্য, কেউ বলেছিল ছেলের চাকরিতে ঘুষ দেওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে
আলমারিতে রেখেছিলেন সরকারবাবু, সেই টাকা নিতেই নাকি ডাকাত এসেছিল। টাকার খবর
ছড়িয়েছিল কোথা থেকে সেই নিয়েও অনেকে অনেকরকম বলেছিল। কেউ বলেছিল কাজের লোকের মুখে,
কেউ বলেছিল মিস্তিরির মুখে। কেউ বলেছিল ওসব বাইরের লোকটোক না, সরকারবাবুর ছেলেই
নাকি পুকুরঘাটে স্নান করতে এসে গামছা দিয়ে গা ডলতে ডলতে বারফট্টাই করে টাকার কথা
চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেছিল।
খবর কোন পথে কথা বেরিয়েছিল সে নিয়ে হাজার সন্দেহ থাকলেও ডাকাত যে সত্যি সত্যি
এসেছিল সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা সবাই নিজের চোখে দেখেছিলাম। বা শুনেছিলাম। ন্যাড়াপোড়ার
রাতেও অত চেল্লামিল্লি হতে শুনিনি কখনও। অভিজিৎদা’র সাহসী মা ছাদে উঠে স্টিলের
থালায় স্টিলের খুন্তি দিয়ে ঠাঁই ঠাঁই পিটিয়ে পাড়ার লোক জাগিয়েছিলেন। কে যেন একটা সাইকেল চেপে
অলিগলি ঘুরছিল আর চিৎকার করে বলছিল, “ডাকাত! ডাকাত!” উত্তেজনায় তার গলা ভয়ানক
কাঁপছিল তাই অনেকেই ডাকাত শুনতে অন্য কিছু শুনেছিল।
আধঘণ্টা বাদে টাকাপয়সা সোনাদানা নিয়ে বোম ফেলতে ফেলতে চলে যাওয়ার পর সে রাতের
মতো ঘুমের আশা জলাঞ্জলি দিয়ে যখন পাড়ার লোকে মোড়ে মোড়ে জটলা করে কনস্পিরেসি থিওরি
কপচাচ্ছিল (“পুলিশ কত দেরিতে এল দেখলি?”) তখন সে সব ভুল শোনাশুনির কিছু নমুনা পাওয়া
গিয়েছিল। বোসজেঠি বলেছিলেন, “বলছে ‘ডাকাত! ডাকাত!’ আমি ঘুমের ঘোরে শুনছি ‘ছাগল!
ছাগল!’ আর ভাবছি মাগো একটা ছাগলের পেছনে পাড়াশুদ্ধু লোক ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে ছুটলে
বেচারা তো হার্টফেল করে মরবে।”
আমার সেজকাকু যদিও ঠিকই শুনেছিলেন। শুনে ধড়মড় করে উঠে, “কোথায় ডাকাত? কোনদিকে
ডাকাত?” বলে গেঞ্জি গলিয়ে অস্ত্র হিসেবে সদর দরজার কোণে দাঁড় করিয়ে রাখা বেঢপ
খিলটা তুলে নিয়ে ছুটে বেরিয়েছিলেন। কালো ডাণ্ডাদুটোর কথা তাঁর মনেই আসেনি।
মোদ্দা কথা, কালো ডাণ্ডাদুটো আমাদের বাড়ির কারও কোনও কাজে লাগেনি কোনওদিন।
এক আমার ছাড়া।
সে জন্য কালো ডাণ্ডাদুটোর কৃতিত্বের থেকে আমার চরিত্রই দায়ী। আমার সেজকাকুর
কথা তো শুনলেন, আমার বাড়ির বাকি সকলেও বেশ ডাকাবুকো। ঠাকুরদা শুনেছি নিরীহ
প্রকৃতির ছিলেন, কাজেই এই গুণটা ঠাকুমার থেকে এসেছে ধরে নিতে হবে। গায়ে যখন জোর
ছিল তখন কুয়োর পাড়ে উঠে ঠাকুমাকে কাঁঠাল পাড়তে দেখেছি আমি নিজের চোখে। আমার বাবার
সাহসেরও অনেক গল্প চালু আছে ফ্যামিলিতে। বাকি রইলেন আমার মা। তিনি নিয়মিত সাহসের
পরিচয় দিয়ে থাকেন। রাস্তাঘাটে বেগড়বাঁই হচ্ছে দেখলে আমি যখন মায়ের কনুই টেনে বলি, “ওরে
বাবা মা, শিগগিরি এখান থেকে পালাই চল” মা তখন “কী হচ্ছেটা কী এখানে? অ্যাঁ?” বলে
ঝাঁপিয়ে পড়েন।
সেই বাড়ির কুলাঙ্গার বংশধর হচ্ছি গিয়ে আমি। আমার অস্তিত্বের স্বাভাবিক
অবস্থাটাই হচ্ছে নার্ভাস অবস্থা। সর্বদাই
হাতপা কাঁপে, মনে হয় এই বুঝি কেউ বকে দিল। পাবলিক প্লেসে কথা বলতে গিয়ে গলা শ্রবণসীমার
নিচে নেমে যায়, পাছে আমার গলা শুনে কেউ হেসে ফেলে। যে কোনও ঘটনার পরিণতি হিসেবে
সবথেকে খারাপ সম্ভাবনাটাই আমার মাথায় প্রথম আসে। কনভেয়ার বেল্টে প্রথম সুটকেসটা
আমার নয় মানেই লাগেজ হারিয়েছে। অ্যাপ্রাইজালের ঋতুতে বস দেখা করতে ডেকেছে মানেই আর
রক্ষা নেই, এইবার জবাব দেবে।
অর্চিষ্মানের সঙ্গে আলাপ গাঢ় হওয়ার আগে এই সমস্ত আতংকের পরিস্থিতিতে মা-ই
ছিলেন আমার একমাত্র ভরসা। কেনই বা কেউ বকবে? কেনই বা কেউ হাসবে? কেনই বা জবাব
দেবে? তেমন হলে তো আগে থেকে বোঝাই যেত। সকলেরই তো নিজের নিজের কাজ আছে, কেউ তো
আমাকে দেখে হাসার জন্য বসে নেই। এইসব নানারকম যুক্তি ফেঁদে মা’কে আমার মরাল
বুস্টিং করতে হত। পরিস্থিতি সহজ হলে তাতে কাজ দিত, কঠিন হলে দিত না।
তখন মা ঝুলি থেকে ব্রহ্মাস্ত্রটি বার করতেন।
“আর যদি কেউ বকেই, আমাকে বলবি, আমি কালো ডাণ্ডাটা নিয়ে যাব’খন।”
ব্যস্। এতক্ষণ এত যুক্তিতে যা হয়নি, এক নিমেষে সে অসাধ্যসাধন হয়ে যেত। আমার টেনশন
দুর হত, বুকে বল ফিরে আসত। বাস্তব যেখানে ফেল ফেলেছে, সেখানে বিপদে পড়লে আমার
সুপারভাইজার বা বস বা দুর্বিনীত অটোওয়ালা বা ইমিগ্রেশন অফিসারকে আমার সাতচল্লিশ
কেজি ওজনের মায়ের এসে ডাণ্ডাপেটা করে যাওয়ার কল্পনা আমাকে আশ্বস্ত করত।
এখনও করে। আমার বুকে সাহস নেই, মুখে দাপট নেই, নামে ভার নেই, কথায় ধার নেই। এই
চকচকে ঝকঝকে পৃথিবীতে চলেফিরে বেড়ানোর জন্য যে ত্বরিত স্মার্টনেস দরকার তার
ছিটেফোঁটা আমার মধ্যে নেই। কিন্তু বুকের ভেতর জন্মসূত্রে পাওয়া কবচকুণ্ডল আছে। কালো
ডাণ্ডা হাতে নিয়ে আমার রোগা মা দাঁড়িয়ে আছেন টোয়েন্টিফোর সেভেন, আমার দিকে কেউ চোখ
তুলে তাকানোমাত্র তাকে ঠেঙিয়ে ঠাণ্ডা করে দেবেন বলে।
বিবাহবার্ষিকীর পোস্টটা লিখে আগেভাগে শেডিউল করে রেখেছিলাম, যাতে ঘড়ির কাঁটা দশ
পেরিয়ে এগারো তারিখে পা দেওয়া মাত্র বিয়ের দু’বছর পূর্তির ভালো খবরটা সবাই জানতে
পারে। অথচ তার আগের দিন বিশ্বশুদ্ধু সবাই মাদার্স ডে উদযাপন করেছে, মায়ের জন্য
একটা পোস্ট লেখার আমার সময় হয়নি। অবশেষে আজ হল। মাদার্স ডে-র আট-আটটা দিন কেটে
যাওয়ার পর। তাতে অবশ্য ক্ষতি নেই কিছু। কারণ মা জানেন, আমার ক্যালেন্ডারে বছরের
তিনশো পঁয়ষট্টিটা দিনই মাদার্স ডে।
Lekhata asamanyo Kuntala. Khub bhalolaglo pore.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সায়ন।
DeleteDaroon laglo. tobe tomar best mother's day post ta oi sausage breakfast, aar macher jhol lunch kheye brishti porechey baire aar ghore tomra gaan korcho. oita Abantor er amar fave post :)
ReplyDeleteখুব আবছা মনে পড়ছে ও'রকম কিছু একটা লিখেছিলাম বলে, শম্পা। তোমার এত ভালো লেগেছিল জেনে খুশি হলাম।
Deleteami Shampar sathe ekdom ekmot.. ota e best. sei tomra cinema dekhe ghumiye porle..... r jhor bristir bikele ghum theke uthe cha kheye onek gan gaile........
ReplyDelete-Gobechara.
বাঃ বাঃ, পুরোনো পোস্ট মনে করে রেখেছ দেখে খুব খুশি হলাম, গোবেচারা। আশা করি, তোমার মাদার্স ডে ভালো কেটেছে।
Deletebesh bhalo laglo lekhata pore.. ami o ekdike tomar moton sarakkhon e sob kichhu niye tension e thaki... r chap ta pore barir lok r shirshendu r opar...prothom job interview er dite jaoyar somoy prochondo nervous chhilam. Shirshendu amake relax korar jonya khepate jaoyay bechara pituni kheyechhilo...
ReplyDeleteলোকে যে কী করে টেনশনে না থাকে সেটাই আমার রহস্য লাগে, চুপকথা।
Deleteবেশ লেখা। চমৎকার লাগল।
ReplyDeleteধন্যবাদ, সোমনাথ।
Deleteভাষা নুডুলস। স্লুরুৎ।
ReplyDeleteহাহা, থ্যাংক ইউ, শুভাশিস।
DeleteKhub shundor !!
ReplyDeleteধন্যবাদ, দেবদ্যুতি।
Deleteকত কথা যে কত পুরনো কথা মনে করিয়ে দেয়। আপনার কালো ডান্ডার গল্প শুনে আমারও মনে পড়ল যে আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা বেবি সাইজের বেসবল ব্যাট ছিল। জনশ্রুতি যে আমার বাবা কোথাও থেকে নিয়ে এসেছিলেন
ReplyDeleteসেই ব্যাট দিয়ে জেঠিমাকে তোষক পিটতে দেখেছি। বড়বেলায় উঠোনে ক্রিকেট খেলার সময় সেই ব্যাট দিয়ে ব্যাটিং করতাম। রীতিমতো কঠিন ছিল কিন্তু
মাকে কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায় ফ্যান ক্লাবের তরফ থেকে বিলেটেড হ্যাপি মাদার্স ডে জানিয়ে দেবেন
নিশ্চয় জানিয়ে দেব, দেবাশিস। অনেক ধন্যবাদ।
Deletemochotkar..
ReplyDeleteডাংকে, ডাংকে।
Deletesuruta pore vabchilam kono golpo bujhi...seshe golper theke beshi paway monta khush hoye gelo,
ReplyDeleteহাহা, মাদার্স ডে পোস্টের তুলনায় নামটা একটু বেমানান হয়েছে মানছি, প্রদীপ্তা। তবে শেষরক্ষা হয়েছে শুনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Deleteআপাতদৃষ্টিতে নিরীহ জিনিস নিয়ে লেখা, কিন্তু এমন অনেক নিরীহ জিনিস আমাদের মনের অগোচরে থেকে যায় যার সাথে অনেক মূল্যবান স্মৃতি জড়িয়ে থাকে .... ভালোলাগল এই কথন
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুদীপ্ত।
DeleteScene ta kintu darun kunti , kakima sobaike danda peta korchen... Kakima ke danda hate imagine korte kintu khub bhalo laglo... Janas kakima ke.. tor o sahos tahole anek bere gelo bol ? Kakimake happy mothers day wish kore dish amar torof theke.
ReplyDeleteনিশ্চয় জানাব, ভট্টা। হ্যাঁ, আমি তো ওই কল্পনার ভরসাতেই হেঁটেচলে বেড়াই।
Deleteanek chhotobelay Puri theke ana sei jora soru lathir kotha mone porlo.. amader songe ek kaku o tar family niye giyechhilen, ebong sei jora Jagannath kine anar alpo kodiner modhye sei lathir tar dui chheler pithe bohubar use hoye akalei ponchotwa prapiti kore.. Happy Mothers Day : PAPIYA
ReplyDeleteকী সাংঘাতিক! আমাদের বাড়িতেও আছে ওই ডাণ্ডা, পাপিয়া। আমার বাবা টেবিলে বসে ওই ডাণ্ডা বাগিয়ে দেওয়ালের সুইচবোর্ডের সুইচ অনঅফ করেন।
Deleteবাড়িতে এরকম গোটা দুই ডাণ্ডা সব সময় রাখা উচিত । আজও অমন একটা দিয়ে ওপরের লফটের পাল্লা বন্ধ করলাম।
Deleteমিঠু
হাহা, ডাণ্ডা কাজের জিনিস, মিঠু।
Deleteঅনেকদিন থেকে একটা কথা জিজ্ঞেস করব ভাবছি। ঠাকুমাকে যখন কালো ডান্ডার কথা জিজ্ঞেস করলেন, তখন ঠাকুমা ডান্ডার ইতিবৃত্ত বাদ দিয়ে এক গঙ্গা কথা বলে গেলেন।
ReplyDeleteএটা কি ঠাকুমার ওপর কটাক্ষ করা হল? অ্যাঁ? ইচ্ছাকৃত? ঠাকুমা শুনলে খুব দুঃখ পাবেন কিন্তু।
অবিশ্যি আমার ঠাকুমারও ঠিক এই রোগ ছিল। পয়েন্টে আসতে অনেক টাইম লাগাতেন।
এইবার কয়েকটা সত্যি কথা বলতে হবে, দেবাশিস। আমার ঠাকুমা পয়েন্টে আসতে একেবারেই সময় লাগান না। যদি সত্যি কথা লিখতে হত তাহলে সংলাপটা এইরকম হত।
Deleteপরিস্থিতি একঃ
- ঠাকুমা, কালো ডাণ্ডা দুটো কোথা থেকে এসেছিল গো?
- কে জানে। আমি জানি না।
পরিস্থিতি দুইঃ
- ঠাকুমা কালো ডাণ্ডাদুটো কোথা থেকে এসেছিল গো?
- অখিল দিয়েছিল। লালবাজারে অনেক ডাণ্ডা এক্সট্রা থাকে তো, দুটো নিয়ে এসেছিল বাড়িতে।
কিন্তু আমার মনে হল এই রকম সংলাপ লিখলে ব্যাপারটা যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং হবে না, তাই একটু কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি আরকি। ঠাকুমা কিছু মনে করবেন না সে ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহ।
Kuntala jehetu mother's day r post sehetu bhablam amar mayer
ReplyDeleteabantorer review ta ekhanei diye di..
"1. Meyeta boro bhalo lekhe.. khub jhorjhore lekha.. porle monta bhore jay..
2. Meyeta make boddo miss kore.. Oke bolis majhe majhe chhuti niye mayer kchhey ektu chole jete...
3. Meyeta rishra keo boddo miss kore..or golpogulo porte porte amio raharar barita voddo miss korchhi
4. Meyetar r boi berole bolis to.. ami ebar nijei kine anbo.."
হাহা, মন ভালো হয়ে গেল কাকিমার রিভিউ পড়ে, চুপকথা। ওঁকে আমার অনেক অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে দিও। আর তুমিও জেনো, উদ্যোগ নিয়ে, ডিটিডিসির ত্যাঁদড়ামো সয়ে মাকে বইটা পাঠানোর জন্য। থ্যাংক ইউ।
Delete