সাপ্তাহিকী
ওঙ্গে পাত্র- পাত্রী নিজেরাই নিজেদের বিবাহ ঠিক করে জানায় দু’পক্ষের পিতামাতাকে। অনেক সময়েই জানাবার প্রয়োজন হয় না, পিতামাতা টের পায় তাঁদের সন্তান কোথায় যায়, কার কাছে যায়। অভিভাবকরা তখন নিজেদের মধ্যে একটা দিন ঠিক করে। পাত্রীকে নিয়ে আসে পাত্রের বাড়িতে। ঘরের ভিতরে একটা মাচায় বসে পাত্র, একটা মাচায় বসে পাত্রী। পাত্রকে বলা হয় পাত্রীর হাত ধরে তার মাচায় তুলে নিতে। বর মাচা হতে নেমে এসে কনের হাত ধরে টানে। লাজুক কনে একটু একটু করে এগোয়, যেন জোর করেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাবটা। বর কনেকে নিয়ে মাচায় তোলে। বর বসে, কনে বসে বরের কোলে। ধীরে দু’জন দু’জনকে আলিঙ্গন করে। নিঃশব্দে দু’-তিন মিনিট সেই আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। বিয়ের অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। বর-বউ নেমে আসে, গুরুজনদের কোলে বসে, সবাইকে এক এক করে সেইভাবে আলিঙ্গন করে। শ্রদ্ধা সম্মান দেখাবার এই রীতি এদের। …… শিশুর যখন জন্ম নেবার সময় হয়, প্রসূতির সঙ্গে তার স্বামীও পাশের মাচায় শুয়ে শুয়ে প্রসববেদনা অনুভূতিতে অনুভব করে। মায়ের মতো পিতাও যন্ত্রণায় কাতর হয়। সে সময়ে প্রসূতির স্বামী ছাড়া আর কোনও পুরুষ লোক থাকে না সে ঘরে। মেয়েরা থাকে - মায়ের কোলের শিশুরা থাকে...