বুড়ো হওয়া বিষয়ে
মুলচন্দ থেকে কৈলাস কলোনি মেট্রো স্টেশনের মাঝামাঝি কোনও একটা জায়গায় প্রশ্নটা ওঠে। রাতে কী খাব।
অনেকদিন পাঁয়তারা কষে, অনেক রেসিপি বুকমার্ক করে, অনেক ভিডিও অনেক বার দেখে, চিকেন হাউসে চব্বিশঘণ্টা আগে অর্ডার দিয়ে পর্ক বেলি আনিয়ে অবশেষে ফিলিপিনো কায়দায় পর্ক আডোবো রাঁধা হয়েছে। তাই খাব ভাত দিয়ে। আহারান্তে ট্র্যাফিকভর্তি রাস্তার কোণাকুণি ও পারে মোড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা আইসক্রিমের গাড়ি থেকে দুজনের জন্য দু’খানা বাটারস্কচ কর্নেটো কিনে আনবে অর্চিষ্মান। সেটাও খাব। অর্চিষ্মান যখন আইসক্রিমের তর সইতে না পেরে সিঁড়ি দিয়ে ছুটে ছুটে নামবে আর ওর চটির শব্দ শুনে আমি বুঝব ও দুটো (নাকি তিনটে?) করে সিঁড়ি একসঙ্গে টপকাচ্ছে তখন 'এই বুঝি পড়ে গেল' আতংকের সঙ্গে একটা সূক্ষ্ম দুঃখ হবে। আমি শেষ কবে ওভাবে সিঁড়ি দিয়ে নেমেছি? মনে নেই। আমি আবার কবে ওভাবে সিঁড়ি দিয়ে নামব? কোনওদিন না।
মাথার ওপর সাপের মতো চলা মেট্রো ব্রিজের ছায়া বরাবর গাড়ি চলে। দূর থেকে সিগন্যাল সবুজ দেখতে পেয়ে ভাইসাব স্পিড বাড়ান। সবুজ হলুদ হয়ে গেছে। আর তিন সেকেন্ড বাদে লাল হবে। এই মুহূর্তে হঠাৎ উইন্ডস্ক্রিনের সামনে ফ্যাব ইন্ডিয়া পাঞ্জাবি, ঝোলা ব্যাগ, চাপদাড়ি, সিগারেট। ভাইসাব সর্বশক্তি দিয়ে ব্রেক কষেন, আমি আর অর্চিষ্মান সামনের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ি, আমার গলা দিয়ে মাগো-র কাছাকাছি একটা চিৎকার বেরোয়।
ড্রাইভার জানালা নামিয়ে গলা বাড়ান। ছেলেটা মুখ ফেরায়। সিগন্যালে লাল ডিজিট গুনছে একশো চব্বিশ, একশো তেইশ … এরা সামনের দু’মিনিট ধরে ঝগড়া করবে ভেবে আমার বুক ধড়ফড় করে।
কেয়া ভাইসাব?
কেয়া ভাইসাব কেয়া? জেব্রা ক্রসিং মে পেডেস্ট্রিয়ানকা প্রায়োরিটি হোতা হ্যায়। প্রায় মুছে যাওয়া সাদা লাইনের দিকে আঙুল দিয়ে দেখায় ছেলেটা। ল পতা হ্যায় কে নেহি?
বলে আর অপেক্ষা করে না। বীরদর্পে এগিয়ে যায়। ভাইসাব মুখ হাঁ করে থাকেন। ঘাড় ঘুরিয়ে আমাদের দিকে তাকান। নব্বই ভাগ বিস্ময় আর দশ ভাগ কৌতুক মিশিয়ে হাত হাওয়ায় ঘুরিয়ে উচ্চারণ করেন “ল?!” এখনও প্রায় অর্ধেক রাস্তা বাকি কাজেই আমরা এ যুদ্ধে কোন পক্ষ নেব আন্দাজ করা শক্ত নয়। গলা দিয়ে হাসির মতো একটা শব্দ করি। আশা করি এতেই আমাদের সলিডারিটি পরিস্ফুট হবে।
সিগন্যাল সবুজ হয়। স্টিয়ারিং-এর ওপর ভাইসাবের টোকা সাঁইচালিসার তালে ফেরে। আমাদের মাথায় আবার প্রশ্নটা এসে ডানা ঝাপটে বসে।
কী খাব।
ভাত মাংস আইসক্রিম।
আনমনা হয়ে বাকি রাস্তাটা পেরোই। বাড়ি ফিরি। টিভি চালাই। চা খাই। ইন্টারনেট থেকে খানিকটা বিশল্যকরণী হেডফোন দিয়ে শুষে নিয়ে আধমরা মগজে চালান করি। তারপর গুটি গুটি হাঁটি ফ্রিজের দিকে। ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ, খাটের ওপর পাতা খবরের কাগজের ডাইনিং টেবিলের চেনা অ্যাসেম্বলি লাইন। ভাত, মাংস বেরোয়। কিন্তু আমরা ফ্রিজের সামনে থেকে নড়ি না। নিচের তাকের কোণে কারা যেন ঘাপটি মেরে আছে। আমরা দেখছি দেখে পা ঘষটে ঘষটে সরে যাচ্ছে দেওয়ালের দিকে। যেখানে ছায়া আরও ঘন। এই খেলাটা আমাদের জানা। ওদের লক্ষ্য কোনও মতে আমাদের স্মৃতি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার। তারপর বসে বসে মনের আনন্দে পচার। যাতে আমাদের এড়িয়ে সোজা ডাস্টবিনে পৌঁছনো যায়। বেশ ক’বার গোহারা হেরে আমরা এখন সেয়ানা হয়েছি। সে সুযোগ দিই না। একজন চেঁচাই, ওই যে ওখানে একটা, অমনি অন্যজন ডাইভ মেরে বার করে আনি। কী এটা? ঢাকনা খুলেই উত্তেজনা। কলমি শাক! ওই যে আরেকটা অন্ধকারে সেঁধিয়ে গেল। ধরো ব্যাটাকে। লাউ! চিংড়ি সব শেষ, গুঁড়ো দেখে বোঝা যাচ্ছে একসময় বড়ি পড়েছিল। আমরা আনন্দে প্রায় ডিগবাজি খাই। হাই ফাইভ দিই একে অপরকে।
খাওয়া শুরু হয়। শাক দিয়ে ভাত মেখে মুখে পুরি। সামান্য রসুন আর শুকনো লংকার ফোড়ন দেওয়া কলমি শাক এত ভালো কী করে খেতে হয় ভাবি খেতে খেতে। থালা থেকে হাত মুখে ওঠে। একবার। দুবার। কে জানে কত বার। থালার ভাত ফুরোয়। রাইস কুকারের ভাতের সবই ভালো, খালি ম্যানুয়ালি মাড় গালা হাঁড়ির ভাতের মতো ঝরঝরে হয় না। হাতা দিয়ে ঠুকে ঠুকে বড় টুকরোগুলো ভেঙে থালায় তুলি। কলমি শাকের প্রায় ভর্তি বাটি প্রায় খালি হয়ে এসেছে। শেষ করে ফেলি হ্যাঁ? আর রেখে কী হবে। দুজনে মিলে বাটি চেঁছেপুঁছে শাকের বংশ নিশ্চিহ্ন করি।
খাওয়া এখানেই থামানো যায় কিন্তু লাউয়ের বাটিটা এত লোভনীয় দেখাচ্ছে। এমনি এমনি একটু খাওয়া যাক। শাকটাককে এইজন্যই সাত্ত্বিক খাবার বলে বোধহয়। মনটা ভীষণ উদার হয়ে গেছে। বড়ির গুঁড়ো নিজে না নিয়ে অন্যের পাতে দিয়ে দিচ্ছি। ঠেলাঠেলিতে কেউই হার মানছি না। শেষে ওই গুঁড়োও অর্ধেক করে খাওয়া হল।
তৃপ্তির চোটে নড়তে পারি না। টিভির দিকে তাকিয়ে বসে থাকি খানিকক্ষণ। নাঃ এবার ওঠা যাক। আর তখনই নজরে পড়ে। অত ঘটা করে রাঁধা ফিলিপিনো পর্ক আডোবোর ভর্তি কড়াই। যেমন কে তেমন পড়ে আছে ভিনিগার, সয়া সস, গোটা গোলমরিচ, রসুন, তেজপাতা দিয়ে রাতভর ম্যারিনেট করা টক ঝাল উমামি ঝোলের ভেতর মুখ চুন করে শুয়ে আছে পর্কের টুকরোগুলো ।
মারাত্মক অপরাধবোধ হয়। তারপর একজন (খুব সম্ভবত অর্চিষ্মানই কারণ যে কোনও নেতিবাচক অনুভূতির সঙ্গে ফাইট দেওয়ার ক্ষমতা এখনও ওর মধ্যে আছে) বলে ওঠে, আরে কালও তো খেতে লাগবে নাকি। আজ তুলে রাখা হোক। জোরে জোরে বলে যাতে মাংসের টুকরোগুলোর কানে যায়। আমিও যতখানি পারি উৎসাহ জোগাড় করে সায় দিই। মনে পড়ে সবুজ ক্রেট ভর্তি টাটকা, কচি উচ্ছে দেখে লোভ সামলাতে না পেরে একগাদা নিয়ে এসেছি। কাল রাইস কুকারে চালের সঙ্গে দুটো ফেলে দেব ভেবেছিলাম। আর দুটো আলু। আর অ্যালুমিনিয়ামের বাটিটায় একমুঠো মুসুর ডাল ধুয়ে গ্যাসে বসিয়ে দিতাম। সর্ষের তেল কাঁচা লংকা নিয়ে বসলে আর কিছু লাগত না।
মাথার ওপরের চকোলেটের আলপনা অটুট রেখে কর্নেটোর গা থেকে বাটারস্কচ জিভ দিয়ে চেটে নিতে নিতে আলোচনা করি, এই বদলটা ঘটল কখন। কখন উচ্ছে আর কলমি শাক আর লাউয়ের বাসি চচ্চড়ি এত তৃপ্তি দিতে আরম্ভ করল। এখন যেহেতু ভালোলাগাটার মধ্যে আছি তাই সেটা ততটা বিস্ময়কর লাগে না, বরং বিস্ময়কর লাগে সেই সময়টা যখন পাতে উচ্ছেসেদ্ধ দেখলে কান্না পেত। কেন এগুলো খারাপ লাগত ছোটবেলায়? ভেবে ভেবে বার করার চেষ্টা করি।
শেষে হাল ছেড়ে দিই। এই সিদ্ধান্তে আসি যে আর কোনও কারণ নেই, খারাপ লাগত কারণ ছোটদের ওইসব শাকপাতা উচ্ছেমুচ্ছে খারাপ লাগে। এখন ভালো লাগে সেটার কারণও এটাই যে বুড়োদের এইসব শাকপাতা উচ্ছেমুচ্ছে ভালো লাগে। আমরা বুড়ো হয়েছি তাই আমাদেরও ভালো লাগছে। ব্যস।
কর্নেটোর খোলার একেবারে শেষ বিন্দুতে একটুকরো চকোলেট থাকবে জানি, তবু প্রতিবার সেটাকে খুঁজে পেয়ে একইরকম ভালো লাগে। মুখে পুরে চিবোতে চিবোতে, স্বাদটাকে মনে রেখে দিতে দিতে ভাবি আর অস্বীকার করার কোনও জায়গাই রইল না। শারীরিক মানসিক শক্তির মাপকাঠিতে তো অনেকদিন আগেই হয়ে গিয়েছিল, এখন কলমি শাক আর উচ্ছেসেদ্ধর মাপকাঠিও জানিয়ে দিয়ে গেল যে তুমি বুড়ো। বাকিগুলোতে না হলেও ওদের মাপকাঠিতে অর্চিষ্মানও যে আমার সঙ্গে সঙ্গেই বুড়ো হচ্ছে এইটা ভালো ব্যাপার।
Kalmi saak amar o khub priyo..jekono sak e. R uchche bhaza o. Pork er recipe niye arekta post hoye jak
ReplyDeleteইচ্ছে ছিল তো, প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু ছবি তোলার আগেই খেয়ে ফেলেছি। পোস্টের ছুতোয় আরেকবার কিনে রাঁধতে হবে মনে হচ্ছে।
Deleteঅতি উত্তম। কফি মাগের গায়ে লেখা থাকে "Grow old with me, the best is yet to be".
ReplyDeleteআপনার লেখাটা পড়ে সের'মই মালুম হল।
কিন্তু মাংস ফেলে কলমিশাক আর উচ্ছে? মানে সিরিয়াসলি?
সে সাংঘাতিক ঘটনা ঘটেছে বলেই তো দৌড়ে আপনাদের বলতে এলাম, দেবাশিস। আমারও মাথায় ঢুকছে না। কেউ চুরি করে চক্রপর্ণীর রসটস খাইয়েছে কি না কে জানে।
Deleteবুড়োনোর দরকার কি মাসি? দেশে থাকতে উচ্ছে, সুক্তো, তরি-তরকারি জাতীয় খাবার দেখলেই আমার সুনীলবাবুর কথা মনে পড়ত- "খাবার পাতে মাছ-মাংস আসার আগে তরি-তরকারি আসা যেন প্রেমিকার সাথে দেখা হবার আগে প্রেমিকার দাদার সাথে পাড়া-পলিটিক্স নিয়ে আলোচনা করা।"
Deleteকিন্তু মোটে চার বছর প্রবাসে থেকেই ওই বস্তুগুলোর প্রতি এখন প্রচণ্ড লোভ। অথচ আমার বয়স এখন ছাব্বিশ।
বিশ্বাস করুন, আমি বৃহচ্চঞ্চু নই। চক্রপর্ণের রসও তুলসীবাবু খাওয়াননি। কাজেই আপনি মোটেই নিজেকে বুড়ো ভাববেন না। বরং এই ব্যাপারটাকে আপনি "সিরাজের কাবাব" মনে করে "আশ্চর্য" বলে আত্মশ্লাঘা অনুভব করুন। সময় সময় "কাজ ফেলে উঠে" গিয়ে "জোড়া রামধনু" দেখে যদি খুশি হন, তাহলেই বুঝবেন বয়স বিশেষ হয়নি।
- ইতি শুভরূপ
জোড়া রামধনুর পরীক্ষার আইডিয়াটা ভালো কিন্তু জোড়া কেন, আধখানা রামধনুর অপেক্ষাতে থাকলেও এ শহরে বুড়ো হয়ে যেতে হবে, শুভরূপ। সুনীলের কথাটা দারুণ।
Deletebhishon bhalo laglo ... Rai
ReplyDeleteধন্যবাদ, রাই।
DeleteAmar oi ucche mucche ar sheddho makha khub bhalo lage. Oi kolmi shaak niye ektu hingshe korlam kintu.
ReplyDeleteপুনেতে কলমি শাক পাওয়া যায় না বুঝি, শর্মিলা। তোমাদের ওখানে বৃষ্টি পাওয়া যায় অবশ্য। কাজেই হিংসে হিংসে কাটাকুটি।
Deleteআমার বয়েস আপনার কাছাকাছিই, তাই এই ব্যাপারটায় আপনাকে/আপনাদের হাই ফাইভ না দিয়ে থাকতে পারছি না| ছোটবেলায় আমিও চিকেনের পোকা ছিলাম, এখন শাকসব্জি দেখলে ওসব আর ছুঁতে ইচ্ছে করে না| তরকারী ভালো লাগবার আরেকটা কারণ সম্ভবতঃ এটাও, যে আপনি-আমি দুজনেই বহুকাল হল পড়াশোনা/ কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরের/ হোস্টেলের খাবার খেতে বাধ্য হয়েছি/ হচ্ছি|
ReplyDeleteহোস্টেলটা একটা ফ্যাক্টর হতে পারে, অন্বেষা। খাওয়াদাওয়া নিয়ে প্যাকনা ঘোচানোর ওর থেকে ভালো দাওয়াই আর কিছু আবিষ্কার হয়েছে কি না সন্দেহ। এখন অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, যেদিন কোনও ফর্মে মাংস খাওয়া হয় না সেদিনটাই ব্যতিক্রম।
DeleteHostel er kotha ta kintu khub sotyi. Amio ek somoy hostel e bohudin katiyechhi. Ar tarpore abiskar korechhi, chhotobelay je sob sobji dekhle mukh bakiye jhamela kortam, ajkal segulo jhnapiye pore sonamukh kore khai. Ar mangsho age jemon temon ranna holeo sdhu namer gunei uthe jeto, ajkal segulo bhalo ranna na hole khete ichhey korena
ReplyDeleteমাংস আগে রবিবার খাওয়া হত। মনে হত ওর থেকে স্বর্গীয় আর কিছু নেই। এখন তো সকাল বিকেল মাংস। বাঙালি তরকারির মর্ম আমি তোমার মতোই বাংলা ছাড়ার পরে টের পেয়েছি, চুপকথা।
DeleteBaah lekhata besh laglo...
DeleteBy the way, apnader philippino adobo bhalo laage jene besh khushi holam. Karon arai bochhor dhore Philippines e thekeo eder khaoar mukhe tulte kosto hoi. Sudhu amader noi prithibir bibhinno desher lokeder.
আরে সুস্মিতা, আমরা 'দুইদিনের যুগী' কি না, তাই আডোবো খেয়ে অভিভূত হয়ে পড়েছি। রোজ খেতে বললে কেমন লাগত কে জানে। ভালো লাগার আরও একটা কারণ হচ্ছে রান্নাটার হাস্যকর রকমের সোজাত্ব। এত কম পরিশ্রমে এক্সোটিক খাবার পেলে কে না খুশি হয়।
Deleteএই টা তো মিলছেনা মনে হচ্ছে .. যদিও আমি পুট্টু - কাডালা কারী - ইডিয়াপ্পাম মার্কা হোস্টেল এ থাকার পর উচ্ছে কুমড়ো সিম এইসব পছন্দ করতে শুরু করেছি কিন্তু তাও ... বড়ি দিয়ে লাউ আর মাংস এর মধ্যে কোনো তুলনা করতে পারবো না .. আমার তো এখনো মাংস ভাত ই বেশি প্রিয় মনে হয়। সবার এ দেখছি মিলে যাচ্ছে তোমার সাথে .. আমি কি আবার উল্টো চলতে শুরু করলাম নাকি ? .... লেখাটা দারুন ...
ReplyDeleteনা না আমি নিশ্চিত তোর দলেও লোক আছে, ঊর্মি। তাঁরা সংখ্যায় কম হবেন বলে আমার মনে হয় না।
Deletekhub khub bhalo laglo.. aamio aajkal ranna korte giye bangali ranna kortei beshi bhalobasi.. boyes hocche :) :)
ReplyDeleteIndrani
ধন্যবাদ ইন্দ্রাণী। যখন শখে রান্না করতাম তখন কায়দার রান্না ছাড়া করতাম না। এখন রান্না না করলে চলে না তাই ভাতডাল ঢ্যাঁড়শভাজা রাঁধি।
Deleteবুড়ো না বোধহয় আমার মনে হয় এইসব বাঙালি তরকারি রাঁধা শক্ত কাজ চিকেন এর চেয়ে তাই বোধহয় মাংস ঘন ঘন খাওয়ায় ওই ভালোবাসাটা উবে যায়। তবে আমি এখনো কলমি শাক পেলেও মাংস ছাড়ব না , আর লাউ বস্তুটি অতি বাজে এ কথা আমি বলবোই -_-
ReplyDeleteঅনেকদিন পর ,এলাম আছো কেমন? :)
আমি ভালো আছি প্রদীপ্ত। থ্যাংক ইউ।
Delete