মালশেজ ঘাট 2/2
অবশেষে একটা করার মতো কাজ বার করা গেছে। এখান থেকে তিরিশ কিলোমিটার দূরে শিবনেরি দুর্গ দেখতে যাওয়া। শিবনেরি দুর্গ হছে শিবাজির জন্মস্থান। এখানকার পাহাড়গুলো এত নিচু যে দশ মিনিট গাড়ি করে গেলেই উপত্যকায় নেমে যাওয়া যায়। সেখানে হাটবাজার, স্কুল, স্কুলে যাওয়া বাচ্চা, ধপধপে সাদা ও গুরুত্বপূর্ণ চেহারার মিউনিসিপ্যালিটি অফিস দেখে আবার দশ মিনিট গাড়ি চালালেই আরেকটা পাহাড়ের মাথা। এরকম কয়েকটা পাহাড় নেমে উঠে আমরা পৌঁছে গেলাম শিবনেরি দুর্গের গোড়ায়।
আমাদের বেরোতে একটু দেরিই হয়ে গেছে কারণ সকালে ঘুম থেকে উঠে যা দেখলাম তেমন কুয়াশা আমি জীবনে আর দেখিনি। কুয়াশা বললে কুয়াশা, মেঘ বললে মেঘ। সে কুয়াশার ছোঁয়া সাংঘাতিক, যা ছোঁয়, ভিজিয়ে স্যাঁতসেঁতে করে দেয়। আমাদের বারান্দা ভিজে, করিডোরের চৌকো টাইলের কোণে কোণে জলবিন্দু চকচক করছে, বাথরুমে কাল সন্ধ্যেবেলা গা ধোয়ার তোয়ালে এখনও শুকোয়নি। এই স্যাঁতসেঁতে চরাচরে একমাত্র চনমনে দেখছি বারান্দায় রাখা টবের গাছগুলো। আর আমার মেজাজ। এই দেখতেই তো এসেছি।
গাড়ি যেখানে নামিয়ে দিল সেখান থেকে চারশো সিঁড়ি ভেঙে আর গোটা সাতেক ভাঙাচোরা গেট পেরিয়ে শিবনেরির ধ্বংসাবশেষ। এই দুর্গেই ষোলোশো তিরিশ (কিংবা সাতাশ) সালে জন্মেছিলেন শিবাজি। তাঁর ছোটবেলাও এখানেই কেটেছিল।
দুর্গ বললে যদি আপনার চিতোর কিংবা দৌলতাবাদ মনে আসে তাহলে শিবনেরি হতাশ করবে। পাহাড়ের চুড়োয় আছে দুটো গেট, একটা মন্দির, একটা সাধারণ দোতলা বাড়ি যে বাড়িতে শিবাজি জন্মেছিলেন আর বাদামি তালাও নামের একটা লেক। আর পাহাড়ের আরেকটু ওপরে জঙ্গলের মধ্যে একটা কাঠামো চোখে পড়ল। পরে নেমে এসে ম্যাপ পড়ে মনে হল সেটা একটা মসজিদ হলেও হতে পারে।
শিবাই দেবীর মন্দির যার নামে শিবাজির নামকরণ হয়েছিল।
কিন্তু গুরুত্বের মাপ তো সাইজ দিয়ে হয় না। যেটাকে আমার সাধারণ পাকাবাড়ি মনে হচ্ছে সেটা অনেকের কাছে পুণ্যতীর্থ। এলগিন রোডের দোতলা বাড়িটাকেও আমার সাধারণ দোতলা বাড়ি বলেই মনে হয়, কিন্তু ও বাড়ির দুশো মিটারের ভেতরে পা রাখা মাত্র অনেক চেনা লোকের বুকের ছাতি, নাকের পাটা দু’ইঞ্চি ফুলে যেতে দেখেছি। সে সময় মুখ ফসকে নেহরুর নাম বেরিয়ে গেলে আর রক্ষা নেই। এ বাড়ির ক্ষেত্রেও সে রকমই ব্যাপার ঘটে নিশ্চয়। ভেতর থেকে শিবাজি এবং মহারাষ্ট্র সম্পর্কিত জয়ধ্বনি শুনলাম।
শিবনেরি দুর্গের দেখাশোনা করেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং বলতেই হবে ভালোই করেন। চড়াই শুরু হওয়ার মুখে রেলিং-এর পাশে সুন্দর সাজানো বাগান। সিঁড়ি পরিষ্কার। যেটা সবথেকে ভালো লাগল সেটা হচ্ছে ওখানে যে সব লোকজন ব্যবসা করেন তাঁদের মধ্যে এই পরিচর্যার ব্যাপারটা গেঁথে গেছে। পাহাড়ে ওঠার পথের বাঁকে বাঁকে শশার ঝুড়ি, কোকম সিরাপের শিশি, ঘোলের কুঁজো, চায়ের সসপ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রেতারা। দোকানের চারপাশ ঝকঝকে পরিষ্কার। সব বর্জ্য যাচ্ছে পাশের ঝুড়িতে। আমরা নামার সময় চা খেলাম, হাতে হাতে কাগজের কাপ তুলে দিয়ে বিক্রেতা মনে করিয়ে দিলেন সেগুলো যেন আমরা খাওয়া হয়ে গেলে নির্দিষ্ট জায়গাতেই ফেলি।
ফিরতে চারটে বেজে গেল। চিন্তা হচ্ছিল দুপুরের খাবার পাওয়া যাবে কী না, হয়তো সাবপার পকোড়া খেয়ে লাঞ্চ সারতে হবে, দেখলাম যাচ্ছে। অনেক ফ্যামিলিই সারাদিন বেড়িয়ে ফিরেছেন। খাবার জায়গাটা গমগম করছে। কালকের থেকে ভিড় আজ আরও বেশি।
এতক্ষণ এমন কিছু ক্লান্তি টের পাচ্ছিলাম না। খাবার পেটে পরার পর ঘর পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারব কি না সন্দেহ হতে লাগল। মিনিট তিরিশ অজ্ঞান থাকার পর অর্চিষ্মানের ঠেলাঠেলিতে ঘুম ভাঙল।
বাইরের অবস্থা দেখ।
অবস্থা সকালের থেকেও খারাপ। বারান্দার টবগুলোও আর দেখা যাচ্ছে না।
চাদর গায়ে জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কম্পাউন্ডের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। খাবার জায়গা পেরিয়ে, বাচ্চাদের পার্ক পেরিয়ে, কটেজগুলো পেরিয়ে ঢালু মাঠ গড়িয়ে গেছে খাদের দিকে। রাস্তা বোঝার উপায় নেই, শুধু আন্দাজে এগিয়ে যাওয়া। এই কুয়াশাতেও পার্ক জমজমাট। সেদিক থেকে ভেসে আসা চিৎকার অনুসরণ করে পার্ক অবধি পৌঁছলাম, তারপর আন্দাজ। দু’হাত দূরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না। মাঠের মাঝে মাঝে দুয়েকটা আবছা গাছ ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে গাছেদের গায়ে পাতা খুব কম। হাওয়ায় উড়ে যায় বোধহয়। আমাদের গায়ের চাদরেরও পাতার মতোই অবস্থা। হাওয়াটা আসছে খাদের দিক থেকে আর আমরা হাঁটছি খাদের দিকে মুখ করে, চাদর গা থেকে খসে গেছে অনেকক্ষণ। এখন কোনওমতে খামচে রেখেছি যাতে উড়ে না যায়। এটা আবার আমার চাদরও না, মায়ের। একবার পরে দিল্লি এসেছিলেন। আমি বললাম বাঃ, ভালো তো দেখতে। খুলে রেখে চলে গেলেন। বললেন এটা হালকা, নভেম্বর মাসে কাজে লাগব। এভাবে নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের উপযোগী চাদর মা নিজের গা থেকে খুলে রেখে গেছেন। নিজে এখন কী পরছেন কে জানে।
আরও অনেকে বেরিয়েছে এই কুয়াশায়। সকলেই অন্ধের মতো ঘুরছে, হঠাৎ ধাক্কা খাওয়ার আগের মুহূর্তে কুয়াশার ভেতর থেকে ভুস করে ভেসে উঠছে। একটা বড় গ্রুপ এসেছে, তাদের কলকাকলি শোনা যাচ্ছে। সমুদ্রের মতো খাদেরও পরদ্রব্য না নেওয়ার নীতি আছে বোধহয়। এরা সেটা পরীক্ষা করে দেখছে। সাদা রুমাল মুঠো করে যত জোরে পারা যায় খাদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে। দ্বিগুণ বেগে রুমাল ছিটকে আসছে উল্টোদিকে। অমনি সবাই দৌড়োচ্ছে তার পিছু পিছু। রুমালের কুয়াশায় তাদের উল্লাস ভেসে যাচ্ছে। রেলিং ধরে হাঁটতে লাগলাম। একজায়গায় মাথার ওপর ঝপঝপ করে জল পড়ল। চার পা এগিয়ে যেতেই আবার কিচ্ছু না।
আরও অনেকে বেরিয়েছে এই কুয়াশায়। সকলেই অন্ধের মতো ঘুরছে, হঠাৎ ধাক্কা খাওয়ার আগের মুহূর্তে কুয়াশার ভেতর থেকে ভুস করে ভেসে উঠছে। একটা বড় গ্রুপ এসেছে, তাদের কলকাকলি শোনা যাচ্ছে। সমুদ্রের মতো খাদেরও পরদ্রব্য না নেওয়ার নীতি আছে বোধহয়। এরা সেটা পরীক্ষা করে দেখছে। সাদা রুমাল মুঠো করে যত জোরে পারা যায় খাদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে। দ্বিগুণ বেগে রুমাল ছিটকে আসছে উল্টোদিকে। অমনি সবাই দৌড়োচ্ছে তার পিছু পিছু। রুমালের কুয়াশায় তাদের উল্লাস ভেসে যাচ্ছে। রেলিং ধরে হাঁটতে লাগলাম। একজায়গায় মাথার ওপর ঝপঝপ করে জল পড়ল। চার পা এগিয়ে যেতেই আবার কিচ্ছু না।
সেদিন রাতে হাওয়ার শব্দ অনেক কম মনে হল। হয়তো কানে সয়ে গেছে। কিংবা হয়তো হাওয়াটার কাছে আমরা সয়ে গেছি, তাই রাগ কমে গেছে।
*****
শেষ দিন সকালে আর কোনও এজেন্ডা ছিল না, ব্রেকফাস্টে মিসাল পাও খাওয়া ছাড়া। মিসাল হচ্ছে চানাচুর ছড়ানো স্প্রাউটের ঝোল। ওঁরা চানাচুরের অংশটায় কার্পণ্য করেননি, তাই জিনিসটাকে চানাচুরের ঝোলও বলা যেতে পারে। অর্চিষ্মান দু’চামচ খেয়ে বলল, ওর নাকি অদ্ভুত লাগছে। বলে চামচ নামিয়ে রেখে শুধু শুধু পাও খেল। আতার আইসক্রিম যার অদ্ভুত লাগে না, চানাচুরের ঝোলের প্রতি তার এই মনোভাব থাকা উচিত নয়। আমারও যে অপূর্ব কিছু লাগছিল তেমন নয়, কিন্তু চানাচুর নষ্ট করা আমার নীতিবিরুদ্ধ কাজেই আমি খেয়ে নিলাম। খেতে খেতেই মনে হল চানাচুরের আইসক্রিম হলে কেমন হবে। আমি টেস্ট করে দেখতে রাজি আছি।
আজ আমরা বম্বে ফিরব, বম্বে থেকে দিল্লি ফেরাও আজকেই। কালকের তুলনায় আজ কুয়াশা অনেক কম, কাজেই তাড়াতাড়ি বেরোতে অসুবিধে হল না। চাবি ফেরত দিয়ে সিকিউরিটি বাবদ জমা রাখা পাঁচশো টাকা ফেরত দিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লাম। এম টি ডি সি-র খোলা গেট দিয়ে গাড়ি বেরিয়ে এল।
অভিজ্ঞতা থেকে জানি, আসতে যতটা সময় লেগেছিল ফেরাটা তার থেকে অনেক দ্রুত হবে। যাওয়ার পথে সেই যে একটা গুহার মতো পেরিয়েছিলাম, সেটা চলে গেল। একটা জোরালো ঝর্নার কাছাকাছি এসে ড্রাইভার ভাইসাব কাচ তুলে দিতে বলেছিলেন, সেটাও গেল। গত ক’মাস ধরে প্রত্যেকটা বোরিং, অসহ্য মুহূর্তে যার আশ্বাস মনের মধ্যে টের পেয়েছি সেই মালশেজ ঘাট আর কয়েকমুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে।
নিজের কাছে নিজেই খবর নিলাম।
মন ভরল? হ্যাঁ।
কতখানি? অনেকখানি।
যতখানি ভেবেছিলে ততখানি কি?
মাথা ঝাঁকিয়ে ‘অফ কোর্স’ বললাম বটে, কিন্তু আমিও বুঝলাম, যাকে বললাম সেও বুঝল, ঝাঁকুনিতে সে জোর নেই।
মাথা ঝাঁকিয়ে ‘অফ কোর্স’ বললাম বটে, কিন্তু আমিও বুঝলাম, যাকে বললাম সেও বুঝল, ঝাঁকুনিতে সে জোর নেই।
একটি ফোঁটাও বৃষ্টি পড়েনি গত দু’দিনে।
নিজেকে মনে করালাম, বৃষ্টি দেখিনি তো কী হয়েছে, অসামান্য কুয়াশা দেখেছি, হাওয়ার অশরীরী ডাক শুনেছি, প্রিয়জনদের সঙ্গে বসে গরম গরম রুটি আর আমার প্রিয় আলুজিরা খেয়েছি - আর কী চাই।
কিন্তু অতৃপ্তি একবার যখন সেঁধিয়েছে তখন তাকে বার করার অত সোজা নয়। মনের একটা কোণ কামড়ে বসে থাকবে। তারপর কাঁকড়ার মতো গুটি গুটি এগোবে। যতক্ষণ না সমস্ত প্রাপ্তির স্মৃতি নির্মূল করে গোটা মনটা দখলে আসছে, থামবে না। কুয়াশা হাওয়া শিবাজির বাড়ি সব মুছে গিয়ে মালশেজ ঘাট হেডিং-এর তলায় জ্বলজ্বল করবে একটিমাত্র খবর - এত পয়সা খরচ করে বৃষ্টি দেখতে গিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরেছিলাম।
এমন সময় উইন্ডস্ক্রিনে প্রথম ফোঁটাটা চোখে পড়ল। সত্যি বলতে কি আমি ওটাকে দাগ ভেবে ভুল করতাম, যদি না কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা কাচটা দুপাশের জানালায় অগুন্তি দাগে ভরে যেত, যদি না বাঁকানো রুপোলি তীর লাখে লাখে এসে বিঁধে যেত আমাদের গাড়ির সারা গায়ে, চকচকে রাস্তায় আছড়ে পরে ছিটকে উঠত। হাওয়ার ঝাপটে মাঝে মাঝে তাদের সুবিন্যস্ত শৃঙ্খলা এলোমেলো হয়ে গিয়ে ধোঁয়া হয়ে যাচ্ছিল চারদিক। পথের পাশে গাছের তলায় মোটরবাইক হার মেনে পথের পাশে গাছের তলায় থেমেছিল কিন্তু কচুপাতার ছাতা হেঁটে চলেছিল অকুতোভয়। সিমেন্টের বস্তার লম্বালম্বি একদিকের সেলাই কেটে বানানো বর্ষাতিও বেশ কার্যকরী। কিছু বর্ষাতিওয়ালার সঙ্গে আবার একদল ছাগলছানা। তারা কেউ মনে করে ছাতা নিয়ে বেরোয়নি বাড়ি থেকে কাজেই নিজের বর্ষাতি থাকা সত্ত্বেও ভদ্রলোক ছাগলদের মুখ চেয়ে গাছের তলায় অপেক্ষা করছিলেন।
এমন সময় উইন্ডস্ক্রিনে প্রথম ফোঁটাটা চোখে পড়ল। সত্যি বলতে কি আমি ওটাকে দাগ ভেবে ভুল করতাম, যদি না কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা কাচটা দুপাশের জানালায় অগুন্তি দাগে ভরে যেত, যদি না বাঁকানো রুপোলি তীর লাখে লাখে এসে বিঁধে যেত আমাদের গাড়ির সারা গায়ে, চকচকে রাস্তায় আছড়ে পরে ছিটকে উঠত। হাওয়ার ঝাপটে মাঝে মাঝে তাদের সুবিন্যস্ত শৃঙ্খলা এলোমেলো হয়ে গিয়ে ধোঁয়া হয়ে যাচ্ছিল চারদিক। পথের পাশে গাছের তলায় মোটরবাইক হার মেনে পথের পাশে গাছের তলায় থেমেছিল কিন্তু কচুপাতার ছাতা হেঁটে চলেছিল অকুতোভয়। সিমেন্টের বস্তার লম্বালম্বি একদিকের সেলাই কেটে বানানো বর্ষাতিও বেশ কার্যকরী। কিছু বর্ষাতিওয়ালার সঙ্গে আবার একদল ছাগলছানা। তারা কেউ মনে করে ছাতা নিয়ে বেরোয়নি বাড়ি থেকে কাজেই নিজের বর্ষাতি থাকা সত্ত্বেও ভদ্রলোক ছাগলদের মুখ চেয়ে গাছের তলায় অপেক্ষা করছিলেন।
কিন্তু এসব ছাপিয়ে যা চোখে পড়ল তা হচ্ছে সবুজ। ফিকে, গাঢ়, কচি কলাপাতা, আমার প্রিয় টি শার্টের রঙের, জানালার পাশে রাখা নকল বনসাই বাঁশের পাতার রঙের - আমার দেখা, না-দেখা, বাস্তবের, কল্পনার যত সবুজ সব ঝেঁপে এল আমার চারদিকে। চোখ লেপে দিল, অতৃপ্তিকে ছুঁড়ে বার করে দিয়ে মন ভরে দিল। বৃষ্টি যখন থামল তখন দেখি পাহাড় শেষ, সবুজ শেষ, বেড়ানোও শেষ। আর অবশেষে এয়ারটেলের নেটওয়ার্ক ফিরে এসেছে।
(শেষ)
Shotti ... eto ta dur eshe oi tuku te ki mon bhore? Ar koyekta ashe pashe beriye gele parte.
ReplyDeleteChobi guli darun shundor.
এটাই আমাদের অনেক বড় ঘোরা হয়ে গেছে, শর্মিলা। আর ছুটি পাওয়া যেত না।
Deletepaschim ghat e kuasa ar sobuj ei dutoi dekhar.. sotti.. "আতার আইসক্রিম যার অদ্ভুত লাগে না, চানাচুরের ঝোলের প্রতি তার এই মনোভাব থাকা উচিত নয়।" hahaha.. eita darun.. acha ami diner hiseb ta bujhlam na.. 13 august saturday likhecho berate jacchi.. 15 aug ar rakhir chutir bindu jure. firbe porer week er seshe. tahole ?
ReplyDelete১৩ রাতে বম্বে পৌঁছলাম। ১৪ ১৫ বম্বে থাকলাম। ১৬ ১৭ মালশেজ ঘাট। ১৮ সকালে মালশেজ ঘাট টু বম্বে, বিকেলে বম্বে টু দিল্লি। ১৯ অফিস।
DeleteOh 14 ar 15 ta pachilam na.. Ota likhbe na?
Deleteওটা আসলে তিন্নির বাড়িতে থাকার অংশটুকু। ওখানে গল্প, খাওয়া, ফ্যান চালিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি খেতে খেতে পি এন পি সি আর মাঝে একবার টুক করে থানের মামাবাড়ি থেকে ঘুরে আসা।
Deleteকুয়াশাময় বেড়ানো দারুন লাগলো। সাবপার পকোড়া, চানাচুরের ঝোল, এসবের তো তুলনাই নেই :)
ReplyDeleteতবে খাদ থেকে রুমাল ফেরত আসার ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না :) চেষ্টা করে দেখতে হবে একবার।
ধন্যবাদ, কাকলি। খাদ থেকে ফেরত আসা মানে হাওয়ায় ফেরত আসা বলতে চাইছিলাম। এত হাওয়া ছিল যে খাদের দিকে কিছু ছুঁড়ে দিলে (রুমাল জাতীয়) সেটা কিছুতেই খাদে গিয়ে পড়া সম্ভব নয়। উড়ে যে ছুঁড়েছে তার দিকেই ফিরে আসবে।
Deletepore besh laglo. sml
ReplyDeleteধন্যবাদ।
DeleteDuto kisti khub sundar. Barshai pashchimghat amar asombhob priyo. tin bochhor Aurangabad er kaachhe chhilam, proti barshai je kotobar Pune-Panchgani-Lonavala-Khandala_Mumbai korechhi tar thik nei. ekbar to bajar theke aloo peyaj kinbo bole beriye Pune pouchhe gelam kon ek weekend e. Apnara Matheran jaben barshai khub bhalo lagbe. Panchgoni o boroi sundar.
ReplyDeleteAar oi haoa r gorjon er angshota khub sundar. Oi tibro gorjon er sathe amar ei Philippines ekbar parichoy hoyechhilo-----sararaat se bibhotso gorjon--probol bege typhoon aar janla diye dekhchhi loker barir grill gate, janala, corrogated roof sab akashe urchhe.
jaihok, darun lekha aar lekhata eto bhalo laaglo je amar nijer abhigyota share kore fellam.
খুবই ভালো করেছেন, সুস্মিতা। আপনাদের অভিজ্ঞতা না শোনা গেলে কমেন্ট সেকশন রেখে কাজ কী।
Deleteকিন্তু গ্রিল আকাশে উড়ছে শুনে ভয়ানক ভয় পেয়েছি। কী সাংঘাতিক! জানালা দিয়ে ওইরকম দৃশ্য দেখলে আমার হার্ট অ্যাটাক হত। আপনি খুবই সাহসী বলতে হবে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালা প্রতিবছর বর্ষায় যেতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু এত দূর...
Typhoon er eye jekhan diye jai boro typhoon hole erokom hoi. aar oi haoar gorjon ekhane barshai sarasomoy prai shona jai.
Deleteবুঝলাম।
Deleteঅতি উত্তম। বাবার নামে জায়গার নাম হল কল্যাণ, তাই তো? হঠাৎ মনে হল, আপনার কি কল্যাণী গিয়েও মনে হয়েছিল, যে এই নামের একজন পিসি থাকলে বেশ হত? ওই নামের পিসি আপনার আছেন কি না জানি না।
ReplyDeleteআরেকটা কথা মনে পড়ল। আপনারা চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি পেয়েছিলেন কি? মেঘের বর্ণনা আছে, কিন্তু বৃষ্টির উল্লেখ নেই।
চেরাপুঞ্জির কথা যতদূর মনে পড়ছে দেবাশিস, টিপ টিপ জল পড়েই যাচ্ছিল আকাশ থেকে, আর এই মেঘের ব্যাপারটা ওখানেও ছিল। হাঁটছি চলছি, মেঘ সঙ্গে সঙ্গে চলেছে।
Deleteকল্যাণী আমি যাইনি, গেলেও পিসির কথা মনে পড়ত না, কারণ আমার একজন সত্যি পিসি অলরেডি ছিলেন এবং তাঁর নাম কল্যাণী ছিল না। ইন ফ্যাক্ট আমার বাবা কাকা জ্যাঠা পিসির নামের কারও সঙ্গে কারও মিল নেই।
"মালশেজ ঘাট" namta shunlei jete ichhe korto... mumbai theke kachhakachhi ghorar jaiga nie onek research korechhilam gatobachhor, kintu somoita borsa chhilona bole ei jaigar naam kata porechhilo. eta ekkebare list e dhukie rakhlam... jakhon amar haat e borshakale oneek somoi asbe takhon jaboi jabo.
ReplyDeletedarun ghurlam dudin dhore .... r chhobio osadharon. kuasha , bristi... pahar ... berano er theke bhalo r hoina :-)
আমারও নামটা শুনেই যেতে ইচ্ছে করেছিল, ইচ্ছাডানা। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।
Deletekhub bhalo laglo lekha ta ....western ghat shotti i baro shundor brishti te...prothom dekhatei ami preme pore giyechilam Sahyadrir...tarpar etokal Mumbai, Pune te bash...gato mashe amra Bangalore shift korlam....baro mone porche Pune-Mumbair bristi, kuyasha, dhonya dhonya pahar...r o kato kichu...konodin bhabi ni je Pune Mumbaikeo ami miss korbo :)
ReplyDeleteতোমাদের ভালো জায়গায় থেকে থেকে অভ্যেস খারাপ হয়ে গেছে, দেবশ্রী। পুনে তো যা শুনছি মিস করার মতোই জায়গা। ব্যাংগালোরও তো দিব্যি মোলায়েম ওয়েদারের জায়গা শুনেছি। ব্যাংগালোর তোমাদের খুব সুট করুক, এই কামনা রইল।
Deletelekhata darun laglo kintu kuayasha ar syatsyate abohawa duii amar bishoboth , tai e jaygata bhobishyoter gontobye rakhchi na :D .
ReplyDeleteতাহলে না যাওয়াই ভালো, প্রদীপ্ত।
DeleteEto kache esechilis ..jodi Byata ekbar boltis Tor sathe dekha thik kore aastam.ami aaj onek din por abantor khullam...aar September er sehse malshej ghaat jawar plan khorchilam...ar conincidentally Tor lekha ta dekhlam aaj malsej ghaat niyei ...porer baar ele ektu aage thakte Janas. Pune to Mumbai Tor taane pouche jete mone hoy parboi parbo.
ReplyDeleteওহ তোর বাড়িও তো পুনেতে। কী ভালো জায়গায় থাকিস, সাহানা।
DeleteBoroi short trip. Ferar somoy ki je dukkho hoy. Jawar somoy akta gachh dekheo mone hoy aha ki dekhlam. Ar ferar somoy mone hoy chupchap chokh bujiye pore thaki sara rasta.
ReplyDeleteহাহা, একেবারে একমত, কুহেলি।
Delete