বইকথা ওয়েব ম্যাগাজিন/ ছোট গল্প 'উৎসর্গ'



ব্রিফ ছিল বই, লেখক বা কবিকে নিয়ে লেখার। শব্দসীমা ছিল না, তবে দু’হাজার শব্দের মধ্যে হলে ভালো।

কবি সম্পর্কে লেখার ধৃষ্টতা আমার নেই। বই সম্পর্কে লেখা যেত, কিন্তু শেষে ভেবে দেখলাম লেখককে নিয়ে লেখাই সবথেকে সহজ। বিশেষত লেখক ব্যাপারটার প্রতি যখন আমার আগ্রহ আছে। লেখক কী ভাবে লেখেন, কী ভেবে লেখেন এই নিয়ে যখন আমার মারাত্মক কৌতূহলই আছে। আর বইয়ের শুরুতে থাকা ওই উৎসর্গের পাতাটা নিয়েও। সব খাটুনিটা নিজে খেটে  সে লেখা একেতাকে উৎসর্গ করতে লেখকের কেমন লাগে সেটা নিয়েও। একদিক থেকে দেখলে সব লেখা কি নিজেকেই উৎসর্গ করা উচিত নয়? আফটার অল, গোটা খাটুনিটা তো নিজেকেই খাটতে হল। শুধু খাটতেই হল না, লজ্জাঘেন্নার মাথা খেয়ে সে লেখাকে পাঠকের দরবারে প্যারেডও করাতে হল। প্রশংসা পেলে প্রশংসা, পচা ডিম পেলে পচা ডিম। 

তবু কোনও লেখকই নিজেকে নিজের বই উৎসর্গ করেন না। কেন করেন না? কেন তাঁর এত সাধনার ধন নিজেকে বাদ দিয়ে বিশ্বশুদ্ধু সকলকে উৎসর্গ করতে ছোটেন? আমার সন্দেহ এর মধ্যে একটা সামাজিকতার ব্যাপার আছে। মাবাবা স্বামীস্ত্রী ছেলেমেয়েকে বই উৎসর্গ করতেই হয়, না হলে লোকে খারাপ ভাবে। 

কিংবা হয়তো সত্যিই লেখক বিশ্বাস করেন তাঁর বই লেখার পেছনে শুধু তাঁর খাটুনি নয়, অন্য অনেক মানুষের অবদান আছে। এই ব্যাপারটা নিয়েও আমার কৌতূহল আছে। লেখকের লেখার ক্রেডিট আসলে কার? লেখক কি নিজে আদৌ লেখেন? নাকি অন্য কেউ তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নেয়? সে কে? 

‘বইকথা’ ওয়েব ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যার জন্য যখন লিখতে বলল আমাকে অরিন্দম, তখন এইসব কথাই আমার মাথায় এল। আর লেখা হল ‘উৎসর্গ’ নামের একটি ছোট গল্প। দু’হাজারে হল না, প্রায় তিন হাজার শব্দ হয়ে গেল। 

এই রইল ‘বইকথা’র লিংক।  


আর এই রইল আমার গল্পের লিংক। 


যদিও অবান্তরকে ফাঁকি দিয়ে লেখা, তবু অবান্তরের পাঠকরা গল্পটা পড়লে আমার ভালো লাগবে। 


Comments

  1. Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. অনেকদিন পর একটা ভালো গপ্পো লিখলে। দুর্দান্ত। আশা করি উৎসবের দিনগুলো আনন্দে কাটিয়েছো।

    ReplyDelete
  3. Sundar golpo. Aro emon onek golpo asuk.

    P.s. Chhobi gulo bad deoa jay na? Onyo oti samanyo ekta onujog hoyto Janatam, kintu dos-paanch bhebe mone holo ei ektai thak, ar aro-r asha

    ReplyDelete
    Replies
    1. গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, শিবেন্দু। মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      ছবিগুলো তো ঠিক আমার ডিপার্টমেন্ট না, কাজেই।

      Delete
  4. Kuntala-debi, apnar golpo ta khub i bhalo hoyeche. Bisesh bhabe, lekhoker moner govirer chinta gulo apni jemon pranjol kore diyechen. Aro onek likhun.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ঘনাদা। আপনার ভালোলাগা সবসময়েই আশ্বাসের।

      Delete

Post a Comment