এ বছর বড়দিনে আমি যা যা জানলাম
১। কলকাতা আগের থেকে অনেক পরিষ্কার। অনেক মানে অনেক। চোখে পড়ার মতো।
২। পশ্চিমবঙ্গের, অন্তত আমাদের পারিবারিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিটি আর আগের মতো পরিষ্কার নেই। বেশ ঘোলাটে হয়েছে। সেই সব সোনালি দিন গেছে যখন বাড়ির সবাই হয় সি পি এম, নয় অ্যান্টি সি পি এম। এখন চয়েস বেড়েছে, একই সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থাটিও উধাও হয়েছে। খাবার টেবিলে আর পলিটিক্স পাড়া যাচ্ছে না।
উৎস গুগল ইমেজেস
৩। সাদাসিধে হওয়াটাকে আমি এতদিন শুধু গুণের লিস্টেই রাখতাম, ডবল ফেলুদা দেখে বুঝলাম সেটা কখনও কখনও বিপক্ষেও যেতে পারে। ফেলুদাকে হাতে রজনীগন্ধার মালা পেঁচিয়ে মুজরোতে পাঠানোর দরকার নেই, কিন্তু শুধু বালি আর বামনগাছিতে ঘুরিয়ে মারলে একটু বোরিং লাগে বইকি। এবার প্লিজ হত্যাপুরী হোক, প্লিজ।
৪। ডবল ফেলুদা দেখতে গিয়েছিলাম সাউথ সিটি আইনক্সে। পার্কিং লটের বারান্দা থেকে সাউথ সিটির ফ্ল্যাটগুলো দেখতে দেখতে দেভের কথা মনে পড়ল। ওই বাড়িরই কোনও একটা ফ্ল্যাটে থাকেন আমাদের বাংলার সুপারস্টার। আমি দেভের প্রতি পার্শিয়াল। তার কারণ, এক, দেভ লম্বা, দুই, দেভ নিজের কাজে সফল। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি দেভ বলেছেন, শুধু সাউথ সিটির দর্শকদের জন্য বানানো ছবিতে অভিনয় করতে গেলে তাঁকে আর সাউথ সিটিতে ফ্ল্যাট কিনতে হত না। আমি ভাবছিলাম, সাউথ সিটিতে ফ্ল্যাট কিনতে গেলে আমাকে কী করতে হবে।
৫। কলকাতায় থাকার যদি আধখানা কারণও আমাকে খুঁজে বার করতে বলা হয় তাহলে সেটা হবে বাংলায় কথা বলতে পারা। অন্য ভাষাগুলোর তুলনায় বাংলায় আমার কমপ্যারেটিভ অ্যাডভান্টেজ কত বেশি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে সকাল থেকে সন্ধ্যে অন্য ভাষাগুলোকে অস্ত্র করে লড়ে যেতে হয়, উপলব্ধি করে মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই যেমন আজ দুপুরে ক্যাফে কফি ডে-তে কফির অর্ডার দিলাম। ভদ্রলোক বললেন, কফি স্ট্রং হবে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর দাম শুনে সন্দেহ হতে বললাম, দাঁড়ান দাঁড়ান, স্ট্রং কফির কি দাম বেশি? ভদ্রলোক বললেন হ্যাঁ। আমি বললাম, তাহলে স্ট্রং চাই না, উইকই চলবে। ভদ্রলোক ভুরু কুঁচকে কম্পিউটার স্ক্রিনে জোরে জোরে টোকা মেরে অর্ডার বদলালেন। আমি বীরদর্পে টেবিলে ফেরত গেলাম। এই চালাচালিটাই হিন্দি কিংবা ইংরিজিতে করতে গেলে আমার কনফিডেন্স অন্তত সিকিভাগ হয়ে যেত। তখন ধড়িবাজিটা ধরে ফেলার পরও হয় স্রেফ কথা বাড়ানোর ভয়ে আমি বেশি টাকা দিয়ে স্ট্রং কফি খেতাম, নয় অর্ডার বদলাতে গিয়ে কোঁচকানো ভুরু দেখে হাঁটু কাঁপত। সারাদিন সব লড়াইয়ে যে হারি তার একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেল এতদিনে।
Tomar mathay aseo. ei jonyoi to fank pelei abantor e ghurte asi. -Bratati.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ব্রততী।
Deleteআরে আমি তো দিল্লি এয়ারপোর্টে কোস্টা কফির দোকানে এরকম গাধা বনেছিলাম ! আজকাল সিসিডিতেও হচ্ছে এটা ? আমাকে কেউ কোনদিন জিজ্ঞেস করেনি কিন্তু কফি স্ট্রং হবে কি না|
ReplyDeleteদিল্লির এয়ারপোর্টে কোস্টা কফির দোকান ক'টা আছে আমি জানি না অন্বেষা, কিন্তু একটাতে আমার অভিজ্ঞতাও খুব খারাপ। ঝামেলাটা কী নিয়ে লেগেছিল সেটা মনে নেই, কিন্তু আমি যে মারাত্মক রেগে গিয়েছিলাম আর বলে এসেছিলাম এই আমার শেষ কোস্টা কফিতে খাওয়া, সেটা মনে আছে।
Deletebah bah enzoy..malancha te parle cinema dekho..tomar shosurbarir paratei..multiplex screen dekhle hasi pabe..ami abar single screen oldies er ektu bhakto..malancha one of the largest screen....pray 1200 seating capacity..daam o soshta
ReplyDeletebtw barir galpo chai kintu besh mojar mojar
prosenjit
আমিও সিংগল স্ক্রিনের ভক্ত, প্রসেনজিৎ। আমাদের ফার্স্ট প্রেফারেন্স ছিল প্রিয়া, কিন্তু সেদিন প্রত্যেকটি হল হাউসফুল। অতি কষ্টে সাউথ সিটিতে চারটে সিট পাওয়া গেল তাই সেটাতেই দেখতে হল।
Deletebah bah enzoy..are priya o darrun hall
DeleteDouble Feluda dekhte gechhile? Tomar buke sinher sahos.
ReplyDeleteএটা প্রতিবর্ত ক্রিয়া, বিম্ববতী। ফেলুদা সিনেমা হলে আমি দেখতে যাব, সন্দীপ রায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায় এমনকি 'মৈনাক অ্যান্ড বয়েজ' বানালেও যাব।
Deletebah kolkatay notun bochorer shuruteo thakcho naki :) , boimela miss gelo tobe . bomkesh dekhle? - PB
ReplyDeleteদিল্লি চলে এসেছি, প্রদীপ্ত। ফেলুদা দেখেছি, ব্যোমকেশ দিল্লিতে হলে চললে দেখব, নয়তো টিভিতে।
Delete