একটি ভালো সিনেমা
কোনও সিনেমার প্রথম দৃশ্যে যদি তাঁতের শাড়ি, সুতির পাঞ্জাবী, মার্বেলের মেঝে আর সে মেঝের ওপর বাবু হয়ে বসা গান গাওয়া বালক থাকে, তাও আবার যে সে গান না, একেবারে ‘সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা’, তাহলে আপনার কী মনে হয় আমি জানি না, আমার আর কোনও সন্দেহই থাকে না সিনেমাটা ভালো।
আর এই ভালো সিনেমাটাই কি না রিলিজ করার সাত মাস পরেও আমার না-দেখা পড়ে ছিল। আরও কত মাস পড়ে থাকত কে জানে যদি না অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে (ব্যোমকেশের ভূমিকায়) দেখার জন্য ফোনে হইচই অ্যাপ ডাউনলোড করতাম। সে অ্যাপের কল্যাণে অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছাড়াও আরও অনেককিছু দেখা হল। 'বৌদি ডিটেকটিভ’ মার্কা হইচই অরিজিন্যাল ওয়েবসিরিজ দেখা হল, পুরোনো সিনেমার মধ্যে সাড়ে চুয়াত্তর, চিড়িয়াখানা, নতুনের মধ্যে খোঁজ, ক্ষত, খাদ ইত্যাদিও বাদ গেল না।
কিন্তু বছরের শেষে হইচই অ্যাপের কাছে যে কারণে সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ বোধ করছি তা এই ভালো সিনেমাটার জন্য। যার ভালো তার সবই ভালো, এমনকি নামটাও। আমার ফেভারিট তরকারি আর এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র বাচ্চা ছেলেটির নাম একই, পোস্ত। (বাই দ্য ওয়ে, বিপাশা বসুর কুকুরের নামও পোস্ত, জানতেন?) আজকাল পশ্চিমবঙ্গে বাংলা বাচ্চাদের অ্যাংলো ডাকনাম রাখার চল হয়েছে, আমার রিষড়ার এঁদো পাড়া অ্যানি, সানি-তে ছেয়ে গেছে, কিন্তু এ বাচ্চার অভিভাবকরা সে রাস্তায় হাঁটেননি, বাঙালিয়ানার হদ্দমুদ্দ করে নাম রেখেছেন পোস্ত। (আমার মন বলছে, পোস্তর বোন থাকলে তার নাম রাখা হত প্রজাপতি বিস্কুট।) পোস্ত শান্তিনিকেতনে থাকে আর কাচা পাজামাপাঞ্জাবী পরে গুরুদেবের গান গায়। পোস্তর বাড়িতে থাকেন তাঁর ঠাকুরদাঠাকুমা আর বঙ্গজীবনের অঙ্গ নিবেদিতপ্রাণ ঝি, যিনি পোস্তর সব অসভ্যতা সয়ে হাসিহাসি মুখে পোস্তর পেছনপেছন সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়ান। ঠাকুমা পোস্তর টিফিন গুছোন, পড়াশোনা দেখেন, ঠাকুরদা পোস্তকে স্কুলে দিয়ে আসেন নিয়ে আসেন আর গুরুদেবের গান শেখান। আরও কিছু ছেলেমেয়ে ঠাকুরদার কাছে গান শেখে এবং ঠাকুরদাকে ‘গুরুজী’ বলে ডাকে। দেখাদেখি পুঁচকে পোস্তও ঠাকুরদাকে ‘গুরুজী’ বলে ডাকতে শিখেছে। এটাকে জাস্ট কিউট ডাকাডাকি বলে উড়িয়ে দিলে ভুল করবনে, পোস্তর ঠাকুরদা আক্ষরিক অর্থেই পোস্তর গুরু। জীবনের যা কিছু সত্য, সুন্দর এবং শিব, সেই শিক্ষা তিনিই পোস্তকে শেখান এবং শেখাবেন। এবং তাঁর এই শিক্ষাদানের প্ল্যানে কেউ বাগড়া দিতে এলে তাঁদের তিনি ছাড়বেন না।
এমন ভালো প্ল্যানে কে-ই বা বাগড়া দিতে আসবে? প্রশ্ন করবেন দর্শক। আর জানতে পারবেন, পোস্তর এই আগাপাশতলা রাবীন্দ্রিক যাপনে একটা, থুড়ি, দুটো কাঁটা আছে। পোস্তর বাবা এবং মা। দুজনে কলকাতায় থেকে চাকরি করেন। থুড়ি, পোস্তর বাবা চাকরি করতেন, আদর্শে না পোষানোয় চাকরির মুখে লাথি মেরে আপাতত বেকার। এরকম নাকি উনি প্রায়ই করে থাকেন। গুরুজীর ছেলের কাছ থেকে আর কীই বা আশা করা যায়? পোস্তর মা চাকরি করেন। মারাত্মক লম্বা অফিস আওয়ারস, সারাদিনের শেষে বাড়ি ফিরে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া তো দূর অস্ত, শোনার পর্যন্ত সময় থাকে না। তাছাড়া চাকরিটাও খুব একটা ভদ্রমহিলাসুলভ নয়। লোকজনকে ফোন করে করে লোন-শোধের আলটিমেটাম দিতে হয়। এঁদের কলকাতা শহরে সাজানোগোছানো খেলানো বাড়ি/ফ্ল্যাট, উইকএন্ডে শান্তিনিকেতনে পোস্তকে দেখতে যান আর বাবামায়ের কাছে ‘পোস্তকে আমাদের কলকাতায় নিয়ে যেতে দিন,’ বলে পায়ে ধরাধরি করেন।
‘বাচ্চাটা ঠাকুমাদাদুর খপ্পরে পড়ল কী করে?’
ভালো সিনেমা পজ করতে হল।
‘মানে?’
‘বলছি, বাচ্চাটা ঠাকুমাদাদুর খপ্পরে পড়ল কী করে?’
অর্চিষ্মানের প্রশ্নে আমি খানিকক্ষণ হাঁ করে রইলাম, তারপর অপরিশীলিত ভাষা প্রয়োগের জন্য মৃদু তিরস্কার করলাম। কিন্তু সত্যি বলতে প্রশ্নটা আমার মনেও এসেছিল। বিশেষ করে মিমি ‘আমার পোস্তর সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে করে, মা’ করে যে রেটে কান্নাকাটি করছিলেন তাতে মনে না এলেই অদ্ভুত।
সিনেমা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে ক্রমে রহস্য ফাঁস হল।
প্রথমত, পোস্তর বাবামা, যিশুমিমি দুজনেই চাকরি করেন (সরি, করতেন। এখন মোটে একজন করেন।) দ্বিতীয়ত, সে সময় যিশুমিমির রোজগার এখনকার থেকে কম ছিল। আর তিন নম্বরে কিস্তিমাত, পোস্ত হওয়ার সময় যিশুমিমির ফ্ল্যাট ছিল মোটে এক কামরার।
‘তুমি দাবি কর যে কলকাতা শহরে এককামরার ফ্ল্যাটে একটা বাচ্চা বড় হবে? কোপাইয়ের ধারে বিঘে বিঘে খাঁ খাঁ লালমাটির মাঠ পড়ে থাকতে?’ আমি অর্চিষ্মানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম।
অর্চিষ্মান, প্রত্যাশামতোই, বাক্যহারা।
একমাত্র মিমি দেখলাম গুরুজীর যুক্তির উত্তরে কিছু কুযুক্তি খাড়া করার চেষ্টা করলেন। বললেন, ‘দাদুদিদার লাক্সারি তো সবার থাকে না, তা বলে সে সব বাচ্চা কি মানুষ হয় না? তাছাড়া আমি তো মা, আমার ছেলে কোথায় থাকবে সে বিষয়ে আমার কি কিছু বলার থাকতে পারে না? ’ হ্যানাত্যানা। বলা বাহুল্য গুরুজী কিংবা পরিচালকদ্বয়, কেউই মিমির প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।
এই দার্ঢ্যের পরিচয় দেওয়া ছাড়াও সিনেমার পরিচালকদের আরও একটা ব্যাপারে সাধুবাদ জানাতেই হয়, একটা অসম্ভব শক্ত কাজ তাঁর করতে পেরেছেন, কোনও চরিত্রকেই একমাত্রিক করে ফেলেননি। কেউই পুরোটা খারাপ নয়, যেমন মিমি। রবীন্দ্রসংগীতের ধার ধারেন না, ছেলেকে পিৎজা কিনে দেন, ফোন করে লোন আদায়ের মতো পুরুষালি চাকরি করেন, আবার এই মিমিই বাচ্চা মেয়ের মাথায় নরম হাত চালিয়ে চুল এলোমেলো করে দেন। গুরুজী যে গুরুজী যিনি সাধারণ কথোপকথনের মধ্যে যখনতখন রবিঠাকুরের পদ্য মুখস্থ বলে উঠতে পারেন তিনিও নিষ্কলঙ্ক নন, তাঁরও ব্যাকস্টোরিতে সন্তানপালনসংক্রান্ত নানারকম গোলযোগ দেখানো হয়েছে।
একমাত্র একটি চরিত্রের ক্ষেত্রে তাঁরা হার মেনেছেন। তাঁর অনেক গুণ। তিনি আদর্শের জন্য চাকরি ছাড়েন, ধপধপে সাদা পাজামাপাঞ্জাবী পরে ছেলেকে সাইকেলে চড়িয়ে চাঁদনিরাতে বনের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে গান গান। ছেলেকে মারতে গিয়েও মুঠো করে হাত নামিয়ে নেন, কেঁদে মেঝেতে লুটিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেন। কিন্তু এত গুণ সব বিফলে যায়। পরিচালকদের শত চেষ্টাতেও যে সত্যিটা কোনওভাবেই ঢাকাঢুকি দিয়ে ওঠা যায় না, সেটা হচ্ছে…
পোস্তর বাবা মদ খান।
*****
মা চাকরি করে। বাবা মদ খায়। এবং তার পরেও ছেলেকে নিজেদের কাছে রেখে মানুষ করার আস্পর্ধা দেখায়।
গুরুজীর কাছে আর কীই বা রাস্তা খোলা ছিল, নাতির কাস্টডির জন্য ছেলের বিরুদ্ধে মামলা ঠোকা ছাড়া?
এর মধ্যে যিশুর কেরিয়ারের বদলে কেরিয়ারসংক্রান্ত সাবপ্লট খানিকটা এগিয়েছে। শান্তিনিকেতনে এসে যিশু এক পুরোনো চেনার সঙ্গে বন্ধুত্ব ঝালিয়েছেন, সে বন্ধুর নামটাম সিনেমায় বলা হয়েছিল কি না ভুলে গেছি, কিন্তু মদ খায় সেটা দেখানো হয়েছিল শিওর। বন্ধু যিশুকে একটা চূড়ান্ত লোভনীয় প্রস্তাব দেন। তিনি লন্ডনে গিয়ে রেস্টোর্যান্ট খোলার প্ল্যান করছেন, যিশুকে তিনি সে রেস্টোর্যান্টে চাকরি দিতে চান।
যিশু রেস্টোর্যান্ট-ব্যবসার র জানেন কি না জানি না, (ধরে নেওয়া যায় জানেন না, জানা থাকলে পরিচালকেরা দর্শকদের জানাতেন নিশ্চয়) যিশুর বন্ধু জানেন কি না আমার মনে পড়ছে না। ইন ফ্যাক্ট, যিশুর বন্ধু মদ খান এ ছাড়া আর কোনও তথ্য সিনেমায় দেওয়া হয়েছিল কি না সেটাই আমার মনে পড়ছে না।
বলা বাহুল্য, যিশু লাফিয়ে পড়েন। যেন এর থেকে নিশ্ছিদ্র লাইফপ্ল্যান জগতে আর কেউ কোনওদিন কাউকে অফার করেনি। স্থির করেন মিমি এবং পোস্তকে নিয়ে লন্ডনে গিয়ে সেটল করবেন।
মিমি যিশুর থেকেও সরেস, লন্ডনে যাওয়ার আনন্দে তিনি নিজের চাকরিটি ছেড়ে বসে থাকেন এবং শ্বশুরশাশুড়িকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করেন এই বলে যে, ‘আমি আপনাদের ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিতে পারলাম আর আপনারা নাতিকে ছাড়তে পারছেন না?’
আমার নাতি থাকলে আমিও এদের হাতে তাকে ছাড়তাম না, স্বীকার করছি।
তবে আদালতে এই চাকরিবাকরির গোলমালটা নিয়ে কোনও কথাই ওঠে না। ওখানে যিশুমিমিকে কাৎ করতে মায়ের চাকরি আর বাবার মদই যথেষ্ট।
আরও একটা জিনিস, বা একজন বলা উচিত, যিশুমিমিকে একা হাতে হারানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিলেন, তিনি হচ্ছেন বিবাদীপক্ষের উকিল, সোহিনী সেনগুপ্ত।
আমি একশো দশ শতাংশ নিশ্চিত গুরুজী সোহিনীকে পয়সা খাইয়েছিলেন। না হলে নিজের গোলে ওই রেটে কেউ গোল দেয় না। পোস্তকে বাড়ি, পোস্তর বাবামাকে বাড়িওয়ালা এবং ঠাকুমাদাদুকে কেয়ারটেকার এই রকম মারাত্মক মেটাফরসহযোগে সোহিনী তাঁর সওয়াল শুরু করেন। বলেন, 'বাড়ি ঝেড়েমুছে, যত্ন করে রাখা যাদের কাজ, তারা বাড়িকে নিজেদের বলে ক্লেম করার সাহস করে কী করে?'
আমি চমৎকৃত যে জাজ তক্ষুনি কেয়ারটেকারের নামে গোটা বাড়ি লিখে দেননি।
যাই হোক, মামলা চলতে থাকে। বাবাছেলের টানাপোড়েন, গুরুজী আর গুরুজীর বউয়ের টানাপোড়েন, গুরুজীর আড্ডার বুড়োদের টানাপোড়েন, যিশুমিমির টানাপোড়েন, পোস্ত আর কাজের মাসির আক্ষরিক টানাপোড়েন।
তারপর গোলেমালে পোস্তর বাবামা পোস্তকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডন রওনা দেন। সব ভালো সিনেমার মতোই ক্লাইম্যাক্স ঘটে এয়ারপোর্টে। পোস্তর বাবামা পোস্তকে চুপ করে দাঁড়াতে বলে কী একটা কাজ করছেন, ফিরে দেখেন ছেলে হাওয়া।
এখানে পরিচালকরা একটু কাঁচা কাজ করে ফেলেছেন বলে আমার বিশ্বাস। শিষ্যকে এত ভালোভালো জিনিস শিখিয়ে এদিকে বাবামা একজায়গায় দু’মিনিট চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে বললে যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সেটা গুরুজী শিখিয়ে উঠতে পারেননি, এটা ফাঁস করে দেওয়াটা ঠিক হয়নি।
অবশ্য মদ খাওয়া বাবা আর চাকরি করা মায়ের কথা না শোনাই ভালো। গুরুজী ঠিকই করেছেন। গুরুজী ভুল করতেই পারেন না।
তারপর মধুরেণ সমাপয়েৎ। ল্যাজ গুটিয়ে বাবামা পোস্তকে ঠাকুমাদাদূর কাছে ফেরৎ দিয়ে যান। পেটের ভেতর থেকে ভসভসিয়ে ওঠা অট্টহাস্য চেপে গুরুজী কথা দেন যে পোস্তকে সময় হলে নিজের হাতে তিনি বাবামায়ের কাছে পৌঁছে দিয়ে আসবেন।
*****
এই একটা ব্যাপারে দেবাশিস চৌধুরী ১ - কুন্তলা বন্দ্যোপাধ্যায় ০
ReplyDeleteপোস্ত আমি অনেক আগেই দেখে ফেলেছি, মন্দ লাগেনি। তবে বাদীপক্ষের উকিল পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য দেড়খানা অক্ষরও খরচ করলেন না? আমার কিন্তু পরাণবাবুকে খুব ভালো লেগেছিল।
আমি শিওর জীবনের আরও অনেক ব্যাপারে আপনি আমাকে গোল দিয়েছেন, দেবাশিস। শুধু পরাণ কেন, আমার তো গোটা সিনেমাটাই মন্ত্রমুগ্ধকর ভালো লেগেছে।
Deleteশিবু নন্দিতার মতো রিগ্রেসিভ ডিরেক্টর বাংলায় আর একপিস নেই। একের পর এক সিনেমায় (বেলাশেষে , প্রাক্তন ইত্যাদি) রিগ্রেসিভপনার একদম হদ্দমুদ্দ করে ফেলছে ওরা। আর বাঙালি কাকু জেঠু পিসি মাসি দাদু দিদার কাছে এদের ছবি এখন একটা ফ্যামিলি ইভেন্ট। সিনেমা হলে এলেই সপরিবারে দেখতে যেতে হয়, যেটা যদ্দূর মনে পড়ছে আমাদের গ্যাদাবাচ্চাবেলায় মানে মিড/লেট নাইন্টিজে ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি এলে হতো। ঋতুপর্ণ থেকে শিবপ্রসাদ, মিনিবাসের কন্ডাকটরের মতো আমরা অনেকটাই পিছনের দিকে এগিয়ে গেছি, যা বুঝলাম
ReplyDeleteতোমার মন্তব্যের প্রথম লাইনটার সঙ্গে আমার শরীরের প্রতিটি রক্তবিন্দু একমত, ঋতম। এবং এই সিনেমাগুলোর জনপ্রিয়তা আমাদের সম্পর্কে অনেককিছু, প্রায় সবটাই, বলে দেয়।
DeleteAmio recently cinema ta dekhechhi. Amader kochi chhana ke nie jakhon bideshe dui Jone lab samle akkhorik bhabe amra nakanichobani khachhilam takhon dudiker maa babai offer diechhilo amader kachhe die ja amra baro kore dichhi. Ei cinema ta dekhe mone hoyechhe bhaggis takhon karo kathay kan na die jebhabe perechhi nijera meyetake baro korechhi. Maa kaje byasto holei ba baba ektu mad khelei jodi foster parenter haate bachha chhere dite hoi jate bachha tene tene bangla bolte shekhe ar mondire bose sakoler sathe gala melate pare tahole sei maa babader ki abostha hoi! Amar ei cinema ta dekhe rag chhara kichhui hoini.
ReplyDeleteআমারও রাগ হয়েছে, রুচিরা। বিশুদ্ধ রাগ।
Deleteনাঃ, একবার ভেবেছিলাম কষ্টেসৃষ্টে দেখেই ফেলব, কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ে আর সাহস হচ্ছে না| এতখানি মনোমুগ্ধকর ছবি সহ্য করা কঠিন হবে ;)
ReplyDeleteহাহা, না না, দেখুন, অন্বেষা। দেখেশুনে রাখা জরুরি।
Deleteki bhoyanok.
ReplyDeleteকিন্তু মারাত্মক সুস্থরুচি, কুহেলি।
DeleteEi cinema tar joto review porechi sob e eirokom e boktobyo. Keu kharap boleni kintu eibhabei susthoruchi wala cinemar proshongsa koreche.. Etodin icche hoyni dekte... Tomar review pore shanti pelam dekha hoyni somoy banchiyechi... :P
ReplyDeleteইয়ে, আমি কিন্তু প্রশংসা করিনি, ঊর্মি।
DeleteHaha hya sei jonnoi "ebhabei" proshongsa likhlam.. :)
Deleteতাই বল, ঊর্মি। বাঁচালি।
DeleteDekhte hobe... Youtube er opekkhay te achi.
ReplyDeleteEder sob cinema y serial type hoe with shantiniketan topping.
Amazon abhijan dekhe elam..tumi dekhle kuntala di?
না প্রিয়াঙ্কা, দেখিনি।
Deleteনন্দিতা-শিবপ্রসাদ জুটির এই রিগ্রেসিভ এবং ইমোশনাল গ্যাদগ্যাদানি, আর অনিন্দ্য ও অন্য আঁতেলদের আশি-নব্বইয়ের দশক নিয়ে নস্ট্যালজিয়ার নামে নষ্ট লজিকের চচ্চড়ি, কলকাতার বাঙালির কাছে "সুস্থ" সিনেমা মানে এখন এটাই। স্বাভাবিক ভাবেই, নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে এর বিপরীতে "ইয়েতি অভিযান" ও "আমাজন অভিযান"-এরে উত্থান হয়েছে।
ReplyDeleteপ্রসঙ্গত, গত পঁচিশে ডিসেম্বর রাতে "আমাজন অভিযান" দেখেছি। সিনেমাটা দেখে অবধি আমি, বউ, মেয়ে, বোন, শালি, সবাই পি.টি.এস.ডি-র শিকার হয়ে আছি।
হাহা, তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন, ঋজু, এই কামনা করি।
Deleteইকিরে! সব বিজ্ঞজনের দেখি এক মত, আবার সেটা আমার বিপরীতে।
ReplyDeleteযদ্যপি সিনেমা একটা স্টোরিটেলিং মিডিয়াম, তথাপি কেবলমাত্র স্টোরিই (তাও আবার স্টোরির থিম) একটা ছবির বি-অল-অ্যান্ড-এন্ড-অল? একটা ছবির ভালোমন্দ বিচার করার কি অন্য কোন ক্রাইটেরিয়া নেই?
ডিসক্লেমারঃ পোস্ত ছবি হিসেবে ভালো না খারাপ সেটা আমার প্রশ্ন নয়। আমার প্রশ্ন একটা চলচ্চিত্রের জাত নির্ধারণ করার পদ্ধতি নিয়ে।
এটা একদম মোক্ষম বলেছেন, দেবাশিস। মুশকিল হচ্ছে, যে যার যোগ্যতা অনুযায়ী জিনিসপত্রের বিচার করে। আমার যোগ্যতায় চলচ্চিত্রের অন্য কোনও ক্রাইটেরিয়ার বিচার করা আঁটে না, তাই আমি কেবল গল্প, তাও গল্পের থিমের খুঁত ধরে তৃপ্তি পাই।
Deleteস্বীকার করছি, যোগ্যতা না থাকলে কোনও বিষয় নিয়ে কথা না বলাই উচিত, কিন্তু ততখানি সংযম আর প্র্যাকটিস করতে পারলাম কই।
আর বিজ্ঞদের স্রোতের উল্টোদিকে হাঁটতে পারা কৃতিত্বের ব্যাপার, আমার অভিনন্দন রইল।
'regressive' is the right description. tobe postor thekeo regressive hochhe Prakton. Rituparna chakri kore ki aporadh i na korechilo, bapre!
ReplyDeleteএই কমেন্টটা স্প্যামে গিয়ে বসে ছিল, কাকলি। তাই বোধহয় দ্বিতীয় কমেন্টটা করতে হয়েছিল, এনি ওয়ে, প্রাক্তন দেখিনি, দেখার ইচ্ছেও নেই।
Deleteএকেবারে একমত, সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরে কালচারড সাজা টা একেবারে অসহ্য! তবে রিগ্রেসিভ এর চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে প্রাক্তন। ঋতুপর্ণা বেচারি চাকরি করে কি অপরাধ তাই না করেছিল!
ReplyDeleteপ্রাক্তন আমি দেখিনি, কাকলি, এর পর আর দেখব বলে মনেও হয় না।
Deleteআমার কিন্তু সিনেমা টা দেখে মনে হয়নি যে পরিচালকরা যীশুমিমি কে খারাপ ভাবে দেখাতে চেয়েছেন। বরং আমার মনে হয়েছে সৌমিত্র কে বেশ খিটখিটে বুড়ো করে দেখানো হয়েছে। "তুমি কি হাফ ক্লাচে গাড়ি চালাও?" ইত্যাদি।
ReplyDeleteদাদু ঠাকুমার খপ্পরে অনেক বাচ্চাকেই পড়তে হয়। হাজার হাজার দাদুদিদা কলকাতা ছেড়ে বিদেশ/প্রবাসে পাড়ি দেন তাঁদের সন্তানদের career বাঁচাতে। বাচ্চারা বড় হয়ে যায়, বাবা মাও দাদু দিদা কে ধন্যবাদ বলে বিদায় দেন। আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমার শ্বশুরমশাই শাশুড়িমা পুণে এলে তাঁদের তিন বছরের নাতনিকে দেখতে পেয়ে দুগ্রাস ভাত বেশি খান।
এদের দুঃখ, একাকীত্বের কথা বলতে গেলে আরো প্যানপেনে কাঁদুনি হয়ে যেত।
তাই সিনেমাটা বাস্তবকে একটু মোটা দাগে দেখিয়েছে। আর এমনভাবে যাতে এই মিস করাটা, এই দুঃখ টা বাবা মা কে দিয়ে দেখান যায়। সেটাতে দর্শকের সমব্যথিত হয়ে উঠতে সময় লাগেনা।
আমার কিন্তু একবার ও মনে হয়নি গল্প বলার সময় পরিচালকরা কোনো পক্ষপাত দেখিয়েছেন। মদ খাওয়াটাকে বরং সৌমিত্র যেভাবে বাড়িয়ে দেখছেন, সেটাকেই abnormalityr গোত্রে ফেলা হয়েছে।
আমি এই সিনেমাকে আন্তর্জাতিক মানের বলছি না। তবে আপনি এবং অন্যান্যরা যেভাবে দুরমুশ করছেন রিগ্রেসিভ ইত্যাদি বলে, সেটা সম্পূর্ণ মেনে নিতে পারলাম না।
নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা নেবেন। খুব ভালো থাকবেন।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল আমার তরফ থেকেও।
Deleteকুন্তলাদি, সম্ভব হলে সহজ পাঠের গপ্পো সিনেমাটা দেখুন। দিল্লীতেও যাবে কিছুদিনের মধ্যে হয়তো। সেরা শিশু অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে এটি
ReplyDeleteএই সিনেমাটা অবান্তরেই আমাকে অনেকে আগে বলেছেন দেখতে, ঋতম। আমি প্রচণ্ড বোকা বোকা একটা কারণে দেখছি না (মানে উদ্যোগ নিচ্ছি না।) জীবনে প্রথমবার তালনবমী পড়ে তিনদিন কেঁদেছিলাম, সে গল্প নিয়ে বানানো সিনেমা দেখলে আমি মারা যাব, এই ভয়ে ঘাপটি মেরে আছি। তবে কাছাকাছি সিনেমাটা এলে/পেলে দেখব, প্রমিস।
DeleteApni byjo-stuti te bharotchondrer kacha kachi pouche gachen. Bhagyis cinema ta dekhini.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঘনাদা।
Deleteহাহাহা ব্যাপক বলেছ ...এদের প্রাক্তনটা দেখেছিলাম তাই আর পোস্ত দেখার চান্স নিইনি ...আর ওইটি খাঁটি কথা বলেছ , এদের জনপ্রিয়তাই বলে দেয় আমাদের সম্পর্কে সব ।
ReplyDeleteএকমত, প্রদীপ্ত।
Deleteবেলাশেষে দেখার পর থেকে এদের আর কিছু দেখার সাহস পাইনি
ReplyDeleteআমিও ওটা দেখেছিলাম, চুপকথা, তারপরেও পোস্ত দেখেছি। কাজেই দোষ আমারই।
DeleteEi cinema dekhar soubhagyo/durbhagyo hoyechhilo goto gorome....ki je adbhut legechhilo entire concept ta....
ReplyDeleteEder tairi Prakton er concept o serokom....Aparajita Adhya r sanglap gulo satti neoa jaina.
প্রাক্তন দেখিনি, দেখার ইচ্ছেও নেই, সুস্মিতা।
Deleteপোস্ত বিষয়ে অনেকটাই একমত। ইন ফ্যাক্ট, আমি আর পৌলমী এটা দেখতে বসে থ হয়ে গেছিলাম যে এটা একটা সিনেমার গল্প কি করে হতে পারে? গোটা প্রেমিসটাই হাস্যকর। আর পরান বন্দ্যোপাধ্যায় কি বিরক্তিকর, ছেলেকে আসতেও দেননা, নিজেও যান না, পাছে নাতি সামলাতে হয়। তবে আমার সিনেমাটার পক্ষে দুটো বক্তব্য আছে: এক, আমার সিনেমাটোগ্রাফি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আকাশ থেকে তোলা ছবি। দুই, দাদুঠাকুমাকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে দেখানো হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি, যদিও দাদু ঠাকুমার দিকেই যে পরিচালকের সহানুভুতি তাতে সন্দেহ নেই।
ReplyDeleteপ্রাক্তন সম্পর্কে আমার মতামত অবশ্য এখানে কারুর সঙ্গে মিললনা। আমি প্রাক্তনের মেসেজটা খুব অন্যরকম বুঝেছি। সেজন্যই প্রাক্তন আমার খারাপ লাগেনি। তবে অধিকাংশ দর্শক যেটা বুঝবে সেটাই সিনেমার মেসেজ। সেভাবে দেখতে গেলে পরিচালকদের দোষ আছে বৈকি।
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্র সম্পর্কে একমত, সুগত। অত সেয়ানা লোক আমার আশেপাশে থাকে না বলে আমি কৃতজ্ঞ।
DeleteBelaseshe ar posto konotai dekha hoy ni. Prakton dekhechi...amaro praktan-er message-ta khub regressive laageni..mone hoyeche je dujonkei khanikta abujh dyakhano hoyeche ebong dujonei porer somporko-te ager somporker "bhul"gulo eriye cholche bole dyakhano hoyeche.
Deleteamar bou sahos kore posto dekheche...bollo je boktobyo besh regressive taate sandeho nei..kintu era besh nitol ekta chitronatyo niye cinema kore arthat dekhte, sunte jhokjhoke..sundor gaan, camera. eisob aar ki.
তাও ঠিক, সিনেমা যখন তখন সেটা 'কেমন দেখতে' তাই দিয়েও তার বিচার হওয়া উচিত।
Deletebelaseshe o praktan e ei nekami gulo dekhe ar posto dekhini.poster ei besh neka neka lagchilo.tobe eder e ramdhanu ta besh bhalo.ar praktan e kauke doshi ba nirdoshi dekhano hoy ni,ja ghote amader ashe pashe setai dekhieche...ha emotional otyachar ace bote...motamot puroi amar personal.
ReplyDeletebtw,happpy new year tomader
prosenjit
হ্যাপি নিউ ইয়ার, প্রসেনজিৎ।
Deleteবাবা আপনি বাঁচালেন.পোস্ত খারাপ লেগেছে এটা বলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ.সবাই এমন চোখে তাকায় যেন আমার মতো insensible জগতে আর দুটো নেই.আমার মতো বাংলা সংস্কৃতি না বোঝা লোকজন আরো আছে জেনে বেশ শান্তি পেলাম;-)
ReplyDeleteসংস্কৃতি না বোঝায় হাই ফাইভ, কথাকলি।
Delete