গত সপ্তাহে
আমি তৈরি হয়েই গিয়েছিলাম। গেট খুলতে খুলতে বারান্দাটা দেখব, যে বারান্দায় বসে বসে ঠাকুমা মশা মারতেন, দু’পাশের বাগান দেখব, ঠাকুমার লাগানো, যত্ন করা গাছে ভরা বারান্দা পেরিয়ে সদর ঘর দেখব, ঘরের তক্তপোশে আমি আর ঠাকুমা শুয়ে থাকতাম পাশপাশি, বাঁয়ে বেঁকে অযৌক্তিক বারান্দাটা পেরিয়ে আলনা দেখব আর আলনার পাশে পর্দা সরিয়ে ঠাকুমার ঘর দেখব। এ ঘরের বিছানায় গত পাঁচ বছর ধরে ঠাকুমা শুয়ে ছিলেন। শুয়ে শুয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমি বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও অনেকক্ষণ তাঁর কাছে না গেলে আমাকে ‘সোনা সোনা’ বলে ডেকেছেন। ওই ঘরের জানালার শিকের মধ্য দিয়ে বিশ্বের খবর নিয়েছেন এবং দিয়েছেন।
আমি তৈরি ছিলাম এসব দেখলেই আমার চোখে জল আসবে।
যেটার জন্য আমি তৈরি ছিলাম না (যদিও থাকা উচিত ছিল) সেটা হচ্ছে ওই বাড়িতে এখন অন্তত দশজন লোক বাড়তি থাকবেন। আরও জনা দশেক রোজ আসাযাওয়া করবেন। ঠাকুমার খাট দেওয়ালের দিকে ঠেলে দিয়ে মেঝেতে ঢালাও বিছানা পাতা হবে। তেরোদিনের জন্য যাঁদের খাটে শোওয়া বারণ হয়ে গেছে তাঁরা তো মাটিতে শোবেনই, যাদের বারণ নয় তারাও কমরেডারি দেখিয়ে বেতো হাঁটু নিয়ে এই ডিসেম্বরের শীতে মেঝেতে শয্যা পাতবেন। আতপচালের ফেনাভাত আর সাবুমাখার মহোৎসব চলবে। (শেষদিন সেজকাকু বলেছেন, ‘এই শেষ, আর লাইফে সাবু মুখে তুলব না, বাপ রে বাপ রে বাপ।’ )
যেটার জন্য আমার তৈরি থাকা উচিত ছিল সেটা হচ্ছে বাড়ি গেলে শোক করার মতো ফুরসৎই থাকবে না আমার।
ভালোই হয়েছে না থেকে। আমার তো শখের শোক, আমার বাবামার না হলে বড্ড কষ্ট হত।
*****
আমার শোকের অনুপস্থিতির জন্য দায়ী আরও একটা ফ্যাক্টরের কথা আমি সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে দুজন মানুষের উপস্থিতি। তাদের ছবি আগের পোস্টেও দেখিয়েছি আপনাদের, আবার দেখাচ্ছি।
মাঝের জন্য হচ্ছেন মনা। আর ডানের জন্য টুনা। এ দুজন যথাক্রমে আমার জেঠতুতো দিদি এবং বোন। তিনে মিলে আমরা মনাসোনাটুনা। মনাদিদি ভীষণ ভালো গল্প করতে পারে, তেতোচচ্চড়ি খাইয়ে মাংস ভুলিয়ে দিতে পারে, একবার চোখ বড় করে তাকিয়ে অতি বাঁদর বাচ্চাকে শান্ত করতে পারে, কিন্তু আস্তে হাসতে পারে না।
টুনার জীবনের সবথেকে বড় আফসোস, ওর আশেপাশে সবার চশমা আছে, খালি টুনার নেই। ছোটবেলায় বাবামায়ের সঙ্গে দুয়েকবার ডাক্তারখানায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল, বড় বয়সে টুনা মরিয়া হয়ে নিজেই ডাক্তারখানায় গেছে এবং চোখে আবছা দেখার কাল্পনিক কমপ্লেন করেছে। বলেছে, ‘ভালো করে দেখুন না ডাক্তারবাবু, যদি খুঁজেটুজে একটুখানি পাওয়ার পাওয়া যায়।’ ডাক্তার বলেছেন, ‘অসম্ভব। এত স্বাস্থ্যবান চোখ আমি লাইফে কমই দেখেছি।’ এখন টুনার একমাত্র আশা বুড়ো হওয়া। তবে যদি চশমা পাওয়া যায়।
মনাটুনা এসে পড়ার পর আমার শোকের যেটুকু সম্ভাবনা ছিল তাও আর রইল না। নেমন্তন্ন বাড়িতে গল্প করার মতো জিনিসের অভাব থাকে না। ব্যান্ডের গান থেকে শুরু করে ফিল্মের হিরোহিরোইন পর্যন্ত আমাদের পছন্দঅপছন্দ মোটামুটি একইরকম, আত্মীয়স্বজনের ক্ষেত্রেও বিশেষ অমিল নেই। অর্থাৎ যাকে পছন্দ তাকে তিনজনেরই পছন্দ, যাকে দেখলে গা জ্বলে তাকে দেখলে তিনজনেরই গা জ্বলে। গায়ের দোষ নেই, কিছু কিছু লোকের স্বভাবই ওই রকম। কাকে কী জিজ্ঞাসা করলে বিব্রত হতে পারে বুঝে নিয়ে তাকে ঠিক সেই প্রশ্নটা করে। আমাদের তিনজনকেই সেরকম প্রশ্ন করার পর আমরা প্রতিশোধ নেওয়া ঠিক করলাম। গাজ্বলার আরেকটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যাকে দেখলে গা জ্বলে, তার সবকিছু দেখলেই গা জ্বলে, এমনকি বেগুনভাজা খাওয়ার রকম দেখলেও।
প্রথমে যখন হাসির হররা ওঠে সবাই আঁতকে ওঠে। শ্রাদ্ধবাড়িতে এত জোরে হাসতে নেই, নিমন্ত্রিতরা কী বলবে? আর মনাদিদির হাসি তো তিনটে বাড়ির পরের লোকেরাও শুনতে পাচ্ছে। মাজেঠি রান্নাঘর থেকে দৌড়ে এসে মুখ চেপে ধরার চেষ্টা করেন। তারপর আশেপাশের ঘরে যারা ভয়ানক গম্ভীর মুখ করে বসে ছিল তারা গুটি গুটি আমাদের ঘরে এসে ভিড় জমায়। গোল বড় হয়, খাটে তিলধারণের জায়গা থাকে না, সবাই ঝুলি ঝেড়ে মজার গল্প বার করে। সবাই জোরে জোরে হাসে।
সন্ধ্যেবেলা বাইরের লোকেরা চলে গেলে, ঠাকুমার ঘরে বড়দের আড্ডা বসে। আমরা এ ঘর থেকে শুনতে পাই মা বহুদিন বাদে গান গাইছেন। পিসিরা গলা মিলিয়েছে।
*****
অনুষ্ঠানবাড়ির অন্যতম কঠিন ব্যাপার হচ্ছে লোক চেনা। একতুতো, দুইতুতো, তিনতুতো কাকা জেঠু, পিসে, কারও কারও মুখ মনে আছে, কাউকে কোনওদিন দেখেছি কি না সন্দেহ। আমার তিনতুতো ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে জীবনে দু’বার, নাম ভুলে গেছি। কান খাড়া করে ঘুরছি, যদি কেউ নাম ধরে ডাকে, শুনে নেব। কেউ ডাকল না, তখন দায়িত্বজ্ঞানহীন ননদের মতো স্বীকার করতেই হল, ‘তোমার নামটা বল না, ভুলে গেছি।’
পাড়ার লোকদের আমি একসময় সবাইকে চিনতাম, এখন সেখানেও হয়েছে মুশকিল, বুড়োদের চিনতে পারছি, জোয়ানদের পারছি না। পারব কী করে? এদের আমি দেখেছি কাউকে হামা দিতে, কাউকে হাতে হাওয়াই চটি পরে দৌড়তে। তারা এখন সব বরবউ সহযোগে উপস্থিত হয়েছে। আমাকে চ্যালেঞ্জ করছে, ‘চিনতে পারছ? বল তো আমি কে?’
অত ভিড়ের বাড়িতে অবশ্য সবাইকে না চিনলেও পার পেয়ে যাওয়া যায়। ‘ভালো করে খাবেন, লজ্জা করবেন না, যা লাগে চেয়ে নেবেন’ বলতে গেলে নামধাম না জানলেও চলে। বা সদ্য কেউ বাড়িতে ঢুকলে, ‘আসতে বেশি কষ্ট হয়নি তো’ ইত্যাদি বলতেও ট্যাক্স লাগে না। কিন্তু মা এই করতে গিয়েই বিপদে পড়েছেন, একটা ফর্সা গম্ভীর মতো ছেলেকে যেই না জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘আপনাদের আসতে কতক্ষণ লাগল?’ সে ছেলে একগাল হেসে বলেছে, ‘দেড় মিনিট, জেঠিমা।’ তারপর বেরোলো সে বুম্বা, আমাদের তিনটে বাড়ি পরের বণিকদের বাড়ির ছেলে।
তবে লোক চেনার থেকেও শক্ত কাজ হচ্ছে চা করা। আমার মতে অনুষ্ঠানবাড়ির সবথেকে শক্ত কাজ। আজকাল আবার সবার প্যাকনা, কেউ দুধ দিয়ে খায়, কেউ না দিয়ে, কেউ আধকাপ খাবে, কেউ দুই-তৃতীয়াংশের একচুমুক বেশি খেলেই পেট ফেটে মরে যাবে। আর ওয়ার্স্ট যারা তারা জিজ্ঞাসা করতে বলবে, ‘আমার কোনও ঝামেলা নাই, যা দিবা দাও।’ তারপর লিকার চা দেখে বলবেন, ‘ইস, কালাকালা চা খাই না।’ দুধ দেওয়া চা নিয়ে এলে চুমুক দিয়ে মুখব্যাদান করে বলবে, ‘চিনি ছাড়া কর নাই? না করলে অসুবিধা নাই। এই দিয়া কাম চালায়া নিমু।’
‘তাই নিন বরং,’ বলার মতো স্মার্ট আমার মা বা জেঠি কেউই নন, কাজেই তৃতীয়বার চা আসে।
এর ওপর যদি চায়ের কাপ ধুতে হয় তাহলেই হয়েছে। মৎস্যমুখী/নিয়মভঙ্গের দিন সকালে আবিষ্কার করা হল কাগজের কাপ শেষ, একজনকে দিয়ে আনানো হয়েছিল, সে ভয়ানক ছোট কাপ নিয়ে এসেছে, তাতে লোককে চা দিলে একেবারে নাককাটা। মা আমাকে একপাশে ডেকে চুপি চুপি বললেন, ‘বাজারে গিয়ে কাপ এনে দে সোনা।’ আমি বললাম, ‘অফ কোর্স।’ তারপর কুটকুটে সবুজ রঙের বমকাই পরে সকাল সাড়ে ন’টার সময় টোটো চেপে গেলাম কাপ কিনতে।
ভাগ্যিস গেলাম। ওই সময়ের রিষড়া স্টেশন দেখিনি আমি বহু বহু বছর। একই রকম গোলমেলে, তবে লোক আরও বেশি। দোকানের মাথার বোর্ড আরও চকচকে। অনেক চেনা দোকান নেই। কোনওটা ভেঙে তিনখানা দোকান হয়েছে। যে দোকানগুলোকে আমার ছোটবেলায় প্রকাণ্ড মনে হত, যত দিন যাচ্ছে তত তারা চিলতে থেকে চিলতেতর প্রতিভাত হচ্ছে। দোকানের ভেতরের শিশিবয়ামের ওপাশে বসে থাকা মুখ বেশিরভাগই বদলে গেছে, তবে কাউকে কাউকে এখনও চেনা যায়।
আমার বন্ধুর বাবার দশকর্মা ভাণ্ডার থেকে কাপ কিনলাম। কাকু চিনতে পেরেছেন আমাকে।
*****
দুঃখ হল বাড়িটা যখন ফাঁকা হয়ে গেল। সবাই চলে গেলে, একজনের না থাকা প্রকট হয়ে ওঠে। মাবাবা প্ল্যান করেন, ‘তুমি সামনের দিকে শোবে, আমি পেছন দিকে শোব, তাহলে বাড়ির দুদিকেই নজর রাখা যাবে।’ আমার খাটের সঙ্গে মিশে যাওয়া ঠাকুমা যে বাড়ি পাহারা দেওয়ার কাজে লাগছিলেন এ কথা কেউ বিশ্বাস করবে? চলে যাওয়ার আগে গৌরীপিসি খেতে বসে গ্রাস তুলতে পারে না। মামি মরে গেলে কি মামাবাড়ি ফুরিয়ে যায়? তপাকাকুর গাড়িতে উঠে পড়ে মনে হয়, এইবার সত্যি সত্যি সব ফুরোলো। ঠাকুমার ঘরের জানালাটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলি, ‘চললাম, ঠাকুমা। টা টা।’
*****
জি টি রোডে অবরোধ হয়েছিল। ভেতর দিয়ে অনেক ঘুরে আসতে হল। ভেতরের গলি এমনিতেই সরু, তার মধ্যে দুদিকে সবজি, ফলের ঠেলাগাড়ি, দোকানের সামনে হেলান দেওয়া বাইক, দুদিক থেকে আসা এস ইউ ভি। এইসব সময় বোঝা যায়, মফস্বলের অধিকাংশ লোকই স্বভাবগত ভাবে ট্রাফিক পুলিস। বাড়ির ছাদ থেকে, বারান্দা থেকে কত যে ডাইনে কাটাও, বাঁয়ে কাটাও,’ শোনা গেল। এমনকি রাস্তার পাশের দশফুট বাই দশফুট খুপরির সামনে হামা দেওয়া খোকাখুকু পর্যন্ত কাজলটানা চোখ পাকিয়ে ‘কাতাও কাতাও’ করছে। কপাল ভালো জ্যাম ছাড়ল আর আমরা অবরোধের লোকেশন পার করে জি টি রোডে এসে পড়লাম। তখনই দেখলাম মেরুনসবুজ আর লালহলুদ পতাকায় মোড়া টেম্পো আর প্রাইভেট গাড়িগুলোকে। ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগানের ম্যাচ আছে যুবভারতীতে। নিজের নিজের দলকে সমর্থন করার জন্য গাড়ি ভাড়া করে, ঠাসাঠাসি হয়ে চলেছে দুই দলের সমর্থকেরা। মাইকে চিৎকার করতে করতে, স্লোগান দিতে দিতে, মুখে এবং হস্তমুদ্রায় যৌন নিগ্রহের আস্ফালন করতে করতে বাংলার যুবসমাজ মহান ঐতিহ্যরক্ষায় চলেছে।
*****
প্লেনে আমার পাশে যে বসেছিল সে আকারে মানুষের বাচ্চার মতোই, প্রকারে ল্যাজকাটা বাঁদর। দুরন্ত বাচ্চাদের আমি ভয় পাই এবং পারতপক্ষে ঘাঁটাই না। মুখ গম্ভীর করে প্রাণপণে ভগবানকে ডাকি যেন তারাও আমাকে না ঘাঁটায়। এর সঙ্গেও সারা রাস্তা আমি বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহারের কোনও চেষ্টা করিনি। নিজের কাজ করেছি, সামনের সপ্তাহের টু ডু লিস্ট বানিয়েছি, গো এয়ারের মেনু মুখস্থ করেছি, আর ফ্লাইট ম্যাগাজিন দেখে পরের বেড়াতে যাওয়ার আইডিয়া সংগ্রহ করেছি।
শেষটা যখন ল্যান্ডিং হচ্ছে তখন শুরু হল চিৎকার। ‘মাম্মি মেরে কান মে দর্দ হো রহা হ্যায়! পাপা মেরে কান মে দর্দ হো রহা হ্যায়!’ মাম্মি পাপা যথাসম্ভব চেষ্টা করলেন তার কানের দর্দ থামাতে, একখানা কোক কেনা হয়েছিল কিছুক্ষণ আগে সেই খেতে দিলেন, নাকমুখ বন্ধ করে বসতে বললেন, কর্তৃপক্ষকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন লজেন্সটফি কিছু পাওয়া যাবে কি না, তাতে সে কানের ব্যথা ভুলে চেঁচিয়ে উঠল, ‘ম্যাংগো বাইট!’ ম্যাংগো বাইট পাওয়া গেল না।
তখন সে হাল ছেড়ে চুপ করল। মিনিটখানেক পর কোমরের কাছে একটা খোঁচা খেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি জন্য ছোট একখানা মুখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
‘আপকে কান মে ভি দর্দ হো রহা হ্যায়, আন্টি?’
আমি মাথা নেড়ে বললাম, না।
সে মায়ের দিকে ফিরে করুণ গলায় বলল, ‘কিসিকে কান মে দর্দ নহি হো রহা হ্যায়, সির্ফ মেরে কান মে কিঁউ হো রহা হ্যায়?’
আর আমি মাটিতে মিশে গেলাম। ছি ছি ছি। কী ক্ষতি হত আমার যদি বলতাম, আমি কানের ব্যাথায় মরে যাচ্ছি? সত্যভাষণের রোগ কি অবশেষে আমাকে ধরে ফেলল? এইসব ভেবে ভেবে মরমে মরছি, এমন সময় প্লেন ল্যান্ড করল। কানের ব্যথাও কমল সম্ভবত কারণ সে আমাকে দ্বিতীয় প্রশ্নটা করল।
‘আপ দিল্লি মে রহতে হো?’
আমার উত্তর শুনে চোখ কপালে তুলে বলল, ‘ম্যায় ভি দিল্লি মে রহতা হুঁ।’ যেন এরকম আশ্চর্য সমাপতন ওর বছরপাঁচেকের জীবনে আগে ঘটেনি।
আমি প্রায়শ্চিত্তের জন্য মুখিয়ে ছিলাম, হাত তুলে বললাম, ‘ফির হো যায়ে এক হাই ফাইভ?’
চটাস করে হাই ফাইভ এসে পড়ল আমার হাতে।
office-e ese porchilam lekha ta. chokh ta ojantei jole bhore gelo..amar baba mara gechen dui bochor age..sei somoyer kotha mone poriye dilen..
ReplyDeleteonushthaner pore sobai chole gele bari ta sotyi boro fNaka hoye jaay.ekdom bhetor theke realize kori kotha ta
সত্যি বলছি ভিড়ের মধ্যে ঠাকুমার না থাকাটা অত ভালো করে বুঝিনি, ঋতম। যতটা চলে আসার সময় বুঝলাম।
Deleteঠাকুমার ঘরের জানালাটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলি, ‘চললাম, ঠাকুমা। টা টা।’
ReplyDeleteহুম...
DeleteChhilo, Nei, Matro Ei ....
ReplyDeleteঠিকই বলেছেন, শিবেন্দু। কিন্তু ছিল আর নেই-এর মাঝের ওই কমাটা সাংঘাতিক।
DeleteGurgaon/NCR - Semi high-five?
ReplyDeleteসেকি, সেমি কেন? একেবারে হোলহার্টেড হাই ফাইভ, রণদীপ। যাহা দিল্লি, তাহাই গুরগাঁও।
DeleteTomar thakumar jonyo amar khub monkharap lagchhe.
ReplyDeleteei lekhatar best line holo "এমনকি রাস্তার পাশের দশফুট বাই দশফুট খুপরির সামনে হামা দেওয়া খোকাখুকু পর্যন্ত কাজলটানা চোখ পাকিয়ে ‘কাতাও কাতাও’ করছে। "
থ্যাংক ইউ, তিলকমামা।
DeleteSei kutkute sobuj.. Jai bolo Rong ta kintu sob rokom onusthanei ar sobai kei manay..
ReplyDeleteহ্যাঁ ঊর্মি। আমি প্রথমে ভাবছিলাম যে এই রকম অনুষ্ঠানে ওটা পরা ভালো দেখাবে কি না, তারপর দেখলাম সকলেই বেশ সেজেছেগুজেছে, নিয়মভঙ্গ বলে কথা।
Deleteশীতকালে ফিরতি পথে আর কিছু থাকুক বা না থাকুক নলেন গুড়ের কৌটো ভরা থাকে ! ওটা কোথায় গেল ? নাকি ডাকাতির ভয়ে উল্লেখই নেই !
ReplyDeleteনাহ, ওটা তো ছিল না, হংসরাজ। ইন ফ্যাক্ট, কখনওই থাকেনি।
Deleteএখানে ভালো গুড় যোগাড়(বানান ঠিক হলো?) করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার কিনা! যা পাওয়া যায় সেই গুড়ে আমার পায়েস হলো নষ্ট !
Deleteএ বাবা , এটা সত্যি খারাপ হল।
Deleteএকটা অপ্রাসঙ্গিক জিজ্ঞাসা ছিল - ওড়িশা ভবন এর স্টেট ক্যান্টিনে খেতে যেতে হলে, সম্ভবত লাঞ্চের সময়টাই যথাযথ? আর প্রতিদিনই কি খোলা থাকে? লাঞ্চ টাইম কখন থেকে কতক্ষণ? কোন কোন আইটেমগুলো নামকরা/খেতে ভালো, মানে একেবারেই মিস করা উচিত নয়?
Deleteএই রে, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে গেলে আমরা কী করেছি শুধু সেটাই বলতে পারব, হংসরাজ। আমরা ওড়িশা ভবনের স্টেট ক্যান্টিনে দুপুরেই খেতে গিয়েছিলাম। আর থালি খেয়েছিলাম, কাজেই আইটেম অনুযায়ী ভালোমন্দ বলতে পারব না। কবে, কতক্ষণ খোলা থাকে সে বিষয়ের আপডেটেড খবরের জন্য আমার থেকে জোম্যাটো বেশি ভরসাযোগ্য।
Deleteজোম্যাটোতে গিয়ে দেখলাম 'পার্মানেন্টলি ক্লোজড' লিখে রেখেছে।
বার্প ডট কমে একটা লিংক দেখছি, সেখানে এই টাইমিং লিখে রেখেছে।
08:30 am to 10:30 am, 06:30 pm to 11:00 pm
তবে আমার সাজেশন হবে যাওয়ার আগে একটা ফোন করে যাওয়া। ফোন নম্বর এই যে-
011 24679201-04, 23019771, 23018498
সাধারণত স্টেট ভবন কর্তৃপক্ষ বন্ধুত্বপূর্ণ হন, ওঁদের ক্যান্টিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাগ করবেন না।
খাওয়া কেমন লাগল জানার অপেক্ষায় রইলাম।
Bapi chole jawar pore amar oi lokjoner bhir oshojjo laagto ... nijer barite ek tukro jayega petam na eka thakar jonne ... kintu je Thakurmoshai kaaj koriechilen tini bolechilen oi lokjoner bhir ar eto eto niyom sheyi jonne e kora ... eto beshi occupied hoye jabe je dukkhor dhakka ta bhule jabe.
ReplyDeleteTomar mon bhalo thakuk eyi kamona kori Kuntala.
থ্যাংক ইউ, শর্মিলা। নিয়মকানুন মানার এই একটামাত্র পজিটিভ দিক আমি দেখলাম, যে শোক ভুলে থাকা যায়।
DeleteLekhata to khub i jhorjhore sundar...tar thekeo mone bajchhe lekhar bhetorer kichhu kotha...amar durbhagyo je amar barite amar koishor thekei anek kaachher lokeder chole jaoar michhil...ei drishyopot boro chena...
ReplyDeleteTabe mona-sona-tuna r chhobita asadharon...hasigulo eto anabil...dekhlei mon bhalo hoye jai.
আমরা তিনজন একসঙ্গে থাকলে দুঃখে থাকতেই পারি না, সুস্মিতা। ওহ, আর টুনার ভালো নাম কিন্ত সুস্মিতা।
DeleteBaah besh bhalo to....
Deleteমন খারাপ করতে না দেওয়ার জন্যই বোধহয় এই সব আয়োজন...জানিনা , তবে সত্যই তো স্তব্ধ করে দেওয়া শোক তো পার হতেই হয়।
ReplyDeleteবদ বাচ্ছা (তুমি ভদ্র মানুষ তাই ভালো করে লিখেছ, আমি অত ভালো নই কিনা আবার) আমারো ভারী অপছন্দের ।
হাহা, অপছন্দ বলবো না, তবে ভয়ের তো নিশ্চয়, প্রদীপ্ত।
Deleteekta cholochhitro dekhlam mone holo.....
ReplyDeletedarun. :)
ধন্যবাদ, অরিজিত।
Delete