শেষবারের মতো



আজ শনিবারের সকালটা বাইরে থেকে দেখলে বছরের বাকি একান্নটা শনিবারের মতোই। নিস্তরঙ্গ, ঢিমে, শান্তিপূর্ণ, কিন্তু যদি আরেকদিক থেকে দেখি তাহলে আজকের সকালটার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে। এই আর ঘণ্টাকয়েক পর থেকেই আমি যা যা করব সব “প্যারিসে শেষবারের মতো” বলে বিবেচিত হবে। অন্তত এই লপ্তে প্যারিসের শেষ। আর কখনও এ শহরে আসব কিনা সে কথা তো আমি জানি না, অন্তর্যামী জানেন। আর অন্তর্যামীর ওপর ভরসা করে আর যাই করা যাক, জীবনের প্ল্যানপ্রোগ্রাম করা যায় না। যে করে সে প্রতিভাবান।

আজ আর কাল আমার প্রোজেক্ট ফেজের শেষ উইকএন্ড। এই ডাইনিং টেবিলটায় বসে সামনের ফ্রেঞ্চ উইন্ডো দিয়ে উল্টোদিকের ঘি-রঙের বাড়ির দিকে তাকিয়ে থাকার শেষ শনিবারের বারবেলা। “মার্ডার ইন দ্য ভিকারেজ” গল্পে ছিল, ভিকারেজের লাইব্রেরিতে বসে ভিকার কাজ করছেন আর লাইব্রেরির ফ্রেঞ্চ উইন্ডো দিয়ে একটি মেয়ে হেঁটে হেঁটে ঘরের ভেতর ঢুকে আসছে। পড়েই আমার ভুরু কুঁচকে গিয়েছিল, উইন্ডো দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঘরে ঢুকে আসছে কী রকম? মনে রাখতে হবে তখনও গুগল সবার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে ওঠেনি, বই সরিয়ে রেখে চট করে যে ফ্রেঞ্চ উইন্ডোর ছবি দেখে সন্দেহ নিরসন করে নেব সে উপায় নেই। বড় হয়ে MITV রিভাইস দেওয়ার সময় অবশ্য জেনে গিয়েছিলাম ফ্রেঞ্চ উইন্ডো খায় না মাথায় দেয়। ছোটবেলার হাঁদামো মনে পড়ে হাসিও পেয়েছিল। এখন তো দেশেও সবাই বাড়িতে দেওয়াল জোড়া জানালা রাখে। বেশি দামি বাড়িতে এমনকি জানালা ব্যাপারটাই থাকে না, গোটা দেওয়ালটাই কাঁচের হয় আমার ছোটবেলার দেওয়াল-কাটা গরাদ বা গ্রিল-বসানো জানালাই বরং গল্পের বইয়ে ঠাঁই নেওয়ার জায়গায় চলে গেছে।

যাই হোক, মোদ্দা কথা হচ্ছে সামনের শনিবার বেলা এগারোটার সময় আমি আর এই ফ্রেঞ্চ উইন্ডোর সামনে চায়ের কাপ হাতে বসে থাকব না। বসে বসে হাঁ করে উল্টোদিকের বাড়ির তিনতলার নার্সারি স্কুলের জানালায় লালনীলসবুজ বাহারি কাগজ কেটে বানানো মেঘ, সূর্য, তারা, নদী, নদীর ওপর ভেসে চলা হাঁসের কোলাজ দেখব না। পরশু সোমবার সকালে আমি শেষ সোমবারের মতো মেট্রো ধরে অফিসে যাব, তরশু মঙ্গলবার লাঞ্চে আমি শেষ মঙ্গলবারের মতো অফিসের সামনের বিস্ত্রো থেকে Jambon et Fromage স্যান্ডউইচ কিনে খাব। কড়মড়ে ব্যাগেটের গুঁড়ো ঝরে ডেস্ক, জিনস্‌ একাকার হবে, সে গুঁড়ো ন্যাপকিন দিয়ে পরিষ্কার করতে করতে শেষবারের মতো ভাবব, ন্যাতানো স্যান্ডউইচ ব্রেড খেতে জঘন্য হতে পারে, কিন্তু অ্যাট লিস্ট এইরকম কাজ বাড়ায় না। সামনের শুক্রবার অফিস থেকে ফিরে আমি শেষবারের মতো প্যারিসে ফ্রাইডে নাইট উদযাপন করব। উদযাপন অবশ্য কতটা হবে সন্দেহ আছে, নিশ্চয় প্যাকিং-এর ঝামেলায় মাথা পাগল পাগল থাকবে।

আমার প্যারিস-বাসের শেষের বাঁশি বেজে গেছে। সে বাঁশি শুনে আমার একটু একটু মন খারাপও হচ্ছে বুঝতেই পারছেনমনের দোষ নেই, দোষ শেষ হওয়ার। শেষ হওয়া ব্যাপারটাই জঘন্য রকমের বাজে। সে যা কিছুই শেষ হোক না কেন। সে জিনিস ভালো লাগার হোক বা খারাপ লাগারই হোক না কেনমাধ্যমিকের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষার আগের রাতে বই বন্ধ করে উঠে পড়ার সময় যখন টের পেয়েছিলাম, এই শেষ, প্রাণ থাকতে এ জীবনে আর সালোকসংশ্লেষের মুখদর্শন করতে হবে না, চলনগমনরেচনের হাত থেকে চিরকালের মতো আমার মুক্তি ঘটল, তখনও আমার মন খারাপ হয়েছিল। ওই মুহূর্তটার জন্য এত বছর হন্যে হয়ে অপেক্ষা করা সত্ত্বেও।

প্যারিসের জন্য তো হবেই। এমন চোখ-ধাঁধানো প্রাসাদ, মন-ভোলানো বাগান, ফোয়ারা, আর মর্মরমূর্তি ছাওয়া শহরের জন্য পথের পাশে শান্ত ক্যাফে, কড়ে-আঙুল মাপের এক কাপ কফি নিয়ে সকাল থেকে সেখানে খবরের কাগজ মুখে বসে রয়েছে লোকজন, কেউ তাদের বলছে না, হয় পয়সা খরচ করে আরও খাবারদাবার অর্ডার কর, নয়ত রাস্তা দেখ। কার ঘাড়ে ক’টা মাথা? ওয়েন-হাও আমার সহকর্মী---বেজিং, মিশিগ্যান, অটোয়ার বুড়ি ছুঁয়ে ওয়েন-হাওয়ের তরী এসে ভিড়েছে প্যারিসের কূলেও বলছিল এই শহরের সম্পর্কে, এই শহরের মানুষদের সম্পর্কে ওর গত চার বছরের অ্যাসেসমেন্টের কথা। “দে নো হাউ টু এনজয় লাইফ।” এই ফ্যাশনদুরস্ত শহরে ব্যস্ততা ফ্যাশনেবল হয়ে উঠতে পারেনি এখনও সারাবিশ্ব যখন অদৃশ্য রেসকোর্স ধরে ছুটে চলেছে, ফিনিশিং লাইনের ওপারে “বিজিয়েস্ট হিউম্যান” খোদাই করা চকচকে কাপ হাতে নিয়ে কর্তৃপক্ষ দাঁড়িয়ে আছেন আর ঘন ঘন ঘড়ি দেখছেন, তখন ফ্রেঞ্চরা সাইডলাইনে বসে ঝাড়া দেড় ঘণ্টা ধরে লাঞ্চ করছে আর মাঝে মাঝে “বোঁ বোঁ” বলে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিচ্ছে। লাঞ্চ ফুরিয়েছে? নো প্রবলেম, কফি এখনও বাকি আছে তো।

কফির ব্যাপারটা তো বিশেষ করে মনে রাখতে হবে। এক-চতুর্থাংশ মুরগির রোস্ট আর কেজিখানেক আলুভাজা দিয়ে লাঞ্চ সেরে লাফ দিয়ে উঠে পড়তে যাচ্ছিলাম, ওয়েন-হাও তাড়াতাড়ি চোখের ইশারা করে বলল, “দাঁড়াও কফি খেতে হবে।” আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, “এত কিছুর পর আবার কফি?” ওয়েন-হাও কাঁচুমাচু মুখ করে বলল, “ইট লুকস্‌ ব্যাড।” কী লুকস্‌ ব্যাড? একঘণ্টা ধরে গলা পর্যন্ত খেয়ে আবার আধঘণ্টা ধরে কফি না খাওয়াটা? ওয়েন-হাও মাথা ওপর নিচে হেলাল। অগত্যা বসে পড়লাম। আমরা তো শুধু কফি, আশেপাশের টেবিলে লোকে খেলিয়ে ওয়াইন নিয়ে বসেছে। কফি এল। কড়ে-আঙুলের মাপের সাদা কাপে, দুধ ছাড়া, চকচকে কাজলের মতো কালো কফি। ভরা পেটে “কফি, উইথ মিল্ক প্লিজ” বলাটাও লুকস্‌ ব্যাড। ব্যাড না হলেও উইয়ার্ড তো বটেই। মুখ চোখ ভেচকে চুমুক দিলাম, আমার মোস্ট হেটেড থিংস-এর লিস্টের তিন নম্বর আইটেম এসপ্রেসো। ওই তিতকুটে কাদাগোলা জল কারা যে আরাম করে খায় ভগবানই জানেন। কী আশ্চর্য, তেতো তো নয়? একটু কষটা স্বাদ আছে, কিন্তু বেশ ভালো লাগছে খেতে। ওয়েন-হাও আমার বিস্ময় শুনে হেসেছিল। বলেছিল, ইট্যালির কফি নাকি আরও ভালো খেতে। আর এর কাপের থেকেও ছোট কাপে করে খেতে হয়। অনেকটা টেকিলা শটের মতো। একশট শরীরে ঢেলে বেরিয়ে পড়, সারাদিন আর এনার্জির অভাব টের পাবে না।

শেষ হয়ে আসছে বলেই হয়তো, এখন যা যা চোখে পড়ছে সবই ভালো লাগছে প্যারিসের। চোখে পড়ছেও নতুন নতুন কত কিছু। এতদিন মেট্রোর পাশের সুপারমার্কেটটায় যেতাম, আমার বাড়ির পাঁচমিনিট দূরে যে একটা মিনি-সুপারমার্কেট আছে যে খেয়ালই করিনি। এসক্যালেটরে চেপে মেট্রোর গুহা থেকে বেরোতে বেরোতে এই প্রথম দেখছি মোড়ের মাথার বাড়িটার ছাদের রেলিং-এর পরীটা নীল আকাশের গায়ে কেমন ফুটে আছে, গত দু’মাস চোখ এড়ালো কী করে ভগবানই জানেন। কাল সন্ধ্যেবেলা দোকানের দরজা ঠেলে থেকে ঢুকলাম ফোনকার্ড কিনব বলে, ভদ্রলোক মুচকি হেসে আমার ব্র্যান্ডের কার্ডটা প্যাকেট থেকে বার করে কাউন্টারের ওপর এগিয়ে দিলেন। আমি কিছু বলার আগেই। এই প্রথম বার। যেবার আমি শেষবারের মতো ওঁর দোকান থেকে ফোনকার্ড কিনলাম।
  

Comments

  1. Replies
    1. হাহা, হক কথা বলেছ রাখী। কিন্তু নশ্বর মানুষ কি না, ফুরনো ব্যাপারটা লাগে বড় বাজে লাগে।

      Delete
  2. পড়ে মনখারাপ লাগছে।খারাপ কিছু সময় ছাড়া আর কোনো কিছুরই ............'শেষ হওয়া ব্যাপারটাই জঘন্য রকমের বাজে'....

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাজে কিনা বলুন ইচ্ছাডানা? আমার অবশ্য বেশি মনখারাপও লাগছে না, বাড়ি যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছে সে আনন্দ আছে। সব মিলিয়ে মহা কনফিউসিং ব্যাপারস্যাপার।

      Delete
    2. মহা কনফিউসিং ব্যাপারস্যাপার।এটা একদম ঠিক।আমারও হয়।
      মিঠু

      Delete
    3. হাই ফাইভ মিঠু।

      Delete
  3. Baje nishchoi. Kintu erpor toh DILLI! KOLKATA! BHAROTBORSHO! PHUCHKA! TANDOORI CHICKEN! C R PARK! ityadi. Tai mon kharap koro na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম ঠিক বলেছ বিম্ববতী। কদ্দিন পর ফুচকার মুখ দেখব, ভাবা যায়? সেই আনন্দেই তো আমার সব দুঃখ গলে জল হয়ে যাওয়া উচিত।

      Delete
  4. আমি এইর'ম এস্প্রেসো খেতে চাই। :(

    ReplyDelete
  5. Replies
    1. accha sampurno alada prashanga ,kintu ekhanei likhchi, anekdin toh Dis or Dat hayni ...

      Delete
    2. সাহস দিচ্ছিস? আমার ধারণা হয়েছিল পাঠকদের ও সমস্ত ছেলেমানুষি পছন্দ হচ্ছে না, তাই শিকেয় তুলে বসে ছিলাম। তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে আবার একটা ডিস অ্যান্ড ড্যাট নামানো যেতে পারে। থ্যাংক ইউ তিন্নি।

      Delete
  6. amra sobai vebechilam "ei din ta " amader sesh nibedita asor...vebechilam "ei din ta" amader sesh craft room e bose aalo aandharir golpo...vebechilam... "ei din ta" amader sesh baar mather ghashe paa rakha... sei dingulo sesh din holona.....jedin gulo vabini..ojante sei sob din gulo sesh din hoye gyache....aajobdi aar holona bole............ ojaante dekhbi hoyto abar eshe gechis...:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. সাহানা রে, এটা যে কী ঠিক কথা বলেছিস। নাইনের নিবেদিতা আসরের গোটাটা জুড়ে সমস্ত নার্ভ টানটান করে রেখেছিলাম, যাতে এই "শেষ" দিনটার এক সেকেন্ডও স্মৃতির বাক্সে পুরতে ভুলে না যাই। ওই দিনটা এখন সত্যি বলছি নাইনের আরও অনেক দিনের কাছে তুচ্ছ প্রমাণিত হয়ে গেছে। ক্লাস সেভেনের শেষ দিনটা বরং মনের ভেতর জ্বলজ্বল করছে, কোনও কারণ ছাড়াই। (বাই দ্য ওয়ে, সেই জ্বলজ্বলে স্মৃতিটায় তুই আছিস।)

      Delete
  7. সিরিয়াসলি, অন্য লোক অন্য শহর ছেড়ে যাচ্ছে বলে আমার মন খারাপ হচ্ছে। এ আপনার লেখার গুন ছাড়া কোনওদিন সম্ভব হত? আর এই আপনিই কিনা দেড় মাস প্যারিসে থাকতে হবে বলে দুঃখ করছিলেন।তবে ঐরকম কড়ে আঙ্গুলের মাপের কাপে করে টার্কিশ কফি খেয়েছিলাম একবার এক বিকেলবেলায়, এদেশে আসার পরে পরেই। খেয়ে তিনটে জিনিস হয়েছিল। প্রথমত অসম্ভব বাজে আর তেতো লেগেছিল, দ্বিতীয়ত এক সিপ দেওয়া মাত্রই মাথাটা কেমন ঘুরে গেছিল, আর তৃতীয়ত সেদিন সারা রাত ঘুমোতে পারিনি, এমনকি ঘুম পায়ওনি। এক্কেবারে যাকে বলে টেন থাউস্যান্ড হর্স পাওয়ার।

    হয়ত খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু এই প্রথমবার বা শেষবারের চিন্তাটা আমিও করতাম ছোটবেলা থেকে। যেমন ধরুন ক্লাস টেনে উঠে চশমা হল। তারপর "এইটা আমার চশমা পরে প্রথম পরীক্ষা দেওয়া," কিম্বা "এইটা চশমা পরে প্রথম চুল কাটানো" টাইপের বোকা বোকা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেত। আর রিসেন্টলি "এইটা নিউ ইয়র্কে শেষবার মাছ কেনা" কিম্বা "এইটা গ্র্যাড স্কুলের শেষ ফ্রি ফুড" ধরণের ভাবনা চিন্তাও মাথায় এসেছে বার বার। তাই আপনার লেখার বিষয়টার সঙ্গে বেশ আইডেন্টিফাই করলাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, চশমা পড়ে প্রথম পরীক্ষার ব্যাপারটা পড়ে খুব হাসছি। মনে রাখার জন্য আমাদের কী হাঁকপাঁক, তাই না সুগত?

      আরে গতকালও আমি এককাপ (কড়ে আঙুলের মাপে) এসপ্রেসো খেয়েছিলাম দুপুরবেলা, আগের দিনের থেকে কালকেরটা কড়া ছিল, আর কাল রাতেও আমার ঘুম আসছিল না, অফলাইন থাকা সত্ত্বেও। অথচ দুধ দেওয়া দেশী কফি গ্যালন গ্যালন খেলেও আমি দিব্যি ঘুমিয়ে পড়তে পারি। অদ্ভুত।

      Delete
  8. শেষ চারটে লাইন - ট্রেডমার্ক থেকে ট্রেড সিক্রেট করে দিল মুডটা।

    কিন্তু আমি তো থ্যাঙ্ক ইউ বলতে পছন্দ করি নাঃ)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা, বলতে হবে না অনির্বাণ। কিন্তু তোমার এত ভালো কমেন্টটার জন্য যদি আমি তোমাকে থ্যাংক ইউ দিই, তাহলে তুমি নিশ্চয় মাইন্ড করবে না?

      Delete
  9. pore amar i ki mon kharap hoye gelo..amio kono jaygay gele thik ei rokom kore bhabi, "ei sesh raate shute jawar age porda soriye beas dekhlam", "ei sesh barer moto shikara chora", ei sob.. ar tokkhuni khub kore bhabtam phire asar ongikar.. kothao fera hoyeche, kothao ba akhono hoyni; sudhu mone theke geche sei "sesh" gulo, ar fire asar sei akta taan--egulo niyei bodhoy jibon, jotoi boli "jete nahi dibo", "tobu jete dite hoy, tobu chole jaay"..
    Abar jawar somoy egiye ele samner poth tao ki bhishon rokom tane na? sei fele asa bari ta? manush gulo? dilli r jonnye mon chotfot korche na akhono?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক বলেছ স্বাগতা। সব জায়গাতেই যদি এইরকম মায়া পড়ে তাহলে কী মুশকিল হয় বল দেখি। দিল্লির জন্য মন খারাপ হচ্ছিল, যতক্ষণ প্যারিস শেষ হয়ে যাচ্ছিল না। শেষের শক্তি সাংঘাতিক, সে তো তুমি জানোই। দিল্লি গেলে অবশ্য আমি শিওর মনে হবে, এতদিন এই জায়গাটাকে ছেড়ে ছিলাম কী করে?

      Delete
  10. Chari chari bhab ta ek rokom, abar chere asar por ekkhuni chute fire jai ta arek rokom er onubhuti . Ei robibar shohor bodol holo, Bari bodol, rasta bodol, May mudikhana o. Kemon odbhut bhabe Eindhoven er Chinese dokan er dadu r kotha mone hochche..othocho okhane proti soptaho giye order deoa chara kono adda marini.
    Jawar agey pending adda gulo sere nao.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে সঙ্ঘমিত্রা, মুভিং মুবারক হো। নতুন জায়গায় তোমার ঝটপট মন বসে যাক সেই কামনা করি। পেন্ডিং আড্ডা সারার সাজেসশনটা ভালো দিয়েছ। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment