কসৌলি/ শেষ পর্ব
কসৌলির আবহাওয়ার সঙ্গে দেখলাম আমার মাথার ভেতরের আবহাওয়ার মিল আছে। ক্ষণেক্ষণে রোদ, ক্ষণেক্ষণে বৃষ্টি, ক্ষণেক্ষণে ঝঞ্ঝাবাত। রবিবার দিন সকালে উঠে দেখি চারদিক বিলকুল ফর্সা, গতকাল রাতের তাণ্ডবের কোনও চিহ্নই নেই। খালি একগাদা ভেজা ডাল, পাতা---বারান্দা আর দোলনা জুড়ে রাশিকৃত হয়ে পড়ে আছে, এক ভদ্রলোক ঝাঁটা মেরে সেগুলো সরাচ্ছেন। আমরা দরজা খুলে বেরোতেই তিনি আমাদের হাসিমুখে ‘গুড মর্নিং’ জানালেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপলোগ আজই নিকল রহে হো?’ আমরা দুঃখী মুখে মাথা নাড়লাম। বেড়ানো শেষ। আবার দিল্লি, আবার অফিস, আবার সেই আটটা ছটা ছোটাছুটি। ভাবতেই কান্না পাচ্ছিল। আবার কবে বাড়ি থেকে বেরোনোর সুযোগ হবে কে জানে। বেশিক্ষণ দুঃখ পেয়ে থাকা গেল না অবশ্য, কারণ আজকে হাতে সময় বেশি নেই। দুপুর বারোটায় চেক আউট করব, আর বাসস্ট্যান্ড থেকে কালকার বাস ছাড়বে দুটো নাগাদ। আরাম করে তৈরি হয়ে ব্রেকফাস্ট খেতে খেতেই দশটা-সাড়ে দশটা বেজে যাবে নির্ঘাত। যদি কিছু দেখতে হয়, তার মধ্যেই দেখা সেরে ফেলতে হবে। অগত্যা কিঞ্চিৎ টাইম ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন আছে। চা খেতে খেতে ব্রেনস্টর্মিং করে আমরা ঠিক করলাম বারোটার একটু আগেই চেকআউট...