সাপ্তাহিকী
আইনস্টাইন যখন নিজের হাতের পুতুল
আমার হিরোকে নিয়ে লেখা। লিংক
না দিলে ভগবান পাপ দিতেন।
আপনার আছে নাকি, এমন সহকর্মী?
The biggest mistake is that they don’t
look at it or smell it—they just pop it in their mouth. (সৌজন্য সুগত)
এই লিংকটা দিতে গিয়ে একটা খুব
মজার ঘটনা পড়ে গেল। জে এন ইউ-তে পয়লা বৈশাখের ফাংশানে একবার শ্রুতিনাটক হচ্ছিল, আমি
যথারীতি সর্বঘটে মর্তমান কলার মতো নাম দিয়েছি। নাটকটার নাম ভুলে গিয়েছি, শুধু মনে আছে
নাট্যকারের নাম, নবনীতা দেবসেন। ব্যাপারটা ঠিক নাটক নয়, এক দম্পতির মধ্যে কয়েকগুচ্ছ
কথোপকথন। তাদের সম্পর্কের শুরুতে---প্রেম যখন উথলে পড়ছে; তিরিশের মধ্যভাগে---যখন
একে অপরকে অভ্যেস হতে শুরু করেছে; চল্লিশে---যখন
বিয়েটা জাস্ট একসঙ্গে থাকা ছাড়া আর কিছু নয়; পঞ্চাশে---যখন সম্পর্ক পারস্পরিক বিতৃষ্ণার
সরু সুতো আঁকড়ে ঝুলছে; আর শেষে বার্ধক্যে---অখণ্ড অবসর, খালি বারান্দায় চেয়ারে পাশাপাশি
বসে আছে বুড়োবুড়ি। বাড়ি খালি করে সবাই চলে গেছে, কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে স্বমহিমায়
ফিরেছে প্রেম।
আমাদের এক সিনিয়র দাদা গল্পের
পুরুষটির চরিত্র করেছিলেন, আর মহিলা চরিত্রটিতে নেমেছিলাম আমি। কোমর বেধে রিহার্সাল
দেওয়া হয়েছিল। রিহার্সালে একদিন দাদু-দিদার অংশটা পাঠ হচ্ছে। দৃশ্যটি হচ্ছে, দিদিমা
দাদুর জন্য বেল না কীসের একটা শরবত আনার জন্য পীড়াপীড়ি করছেন, কিন্তু দাদু বলছেন, আরে শরবত মাথায় থাক, এস বস একটু প্রাণের
কথা বলি। বেশ কিছুদিন রিহার্সাল দিয়ে দিয়ে
আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে, আমরা মাঝে মাঝেই স্ক্রিপ্টের দিকে না তাকিয়ে ইমপ্রোভাইজ
করে নিজেদের কথা নিজেরাই বসাচ্ছি। আমি খুব আদুরে (শুধু আদুরে নয়, দিদিমাসুলভ আদুরে। ডিফিকাল্ট রোল আর
কাকে বলে) গলায় শরবতের প্রস্তাব দিচ্ছি, এমন সময় হঠাৎ দাদা কাঁপাকাঁপা গলায় দাদু বলে উঠলেন, "আরে বস্ শরবত কাটাও, এস একসঙ্গে বসে একটু ল্যাদ খাই।"
বলাই বাহুল্য, তারপর হাসির ধুমে
রিহার্সাল মাথায় উঠেছিল বেশ কিছুক্ষণ।
মন খারাপ? কিচ্ছু ভালো লাগছে
না? চারপাশের লোকজনের স্মার্টনেস দেখে স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছেন? মনে হচ্ছে কোথাও পালিয়ে
যাই? এই গানটা শুনুন। সব ভুলে গেছেন কি না?
ki bhalo gaan :-)
ReplyDeleteআমার দারুণ প্রিয় গান, ইচ্ছাডানা।
DeleteGaan ta ekhono suni ni. Tobe Nabanita Debsener kon golpo seta janar khub koutuhol hochhey!
ReplyDeleteগল্পটার নাম আমি একেবারে ভুলে গেছি রুণা। অনেক চেষ্টা করলাম মনে করার, প্রায়ই করি, কিন্তু মাথা থেকে পুরো উড়ে গেছে।
Delete:-)
ReplyDeleteআমি Garamond, যে Garamond দেখে ফেলুদা একবার রহস্যভেদ করে দিয়েছিল। এটাই আমার জীবনে প্রথম শোনা ফন্টের নাম।
ReplyDeleteগোলোকধাম রহস্য! দারুণ গপ্প। আমারও গ্যারামন্ড হওয়ার ইচ্ছে ছিল মনে মনে, কিন্তু হইনি, স্যাডলি।
Deleteamio garamond :) tinni
ReplyDeleteধুস্, আমি ছাড়া সবাই গ্যারামন্ড দেখছি। জঘন্য।
Delete