কসৌলি/ শেষ পর্ব
কসৌলির আবহাওয়ার সঙ্গে দেখলাম আমার মাথার ভেতরের আবহাওয়ার মিল আছে। ক্ষণেক্ষণে
রোদ, ক্ষণেক্ষণে বৃষ্টি, ক্ষণেক্ষণে ঝঞ্ঝাবাত। রবিবার দিন সকালে উঠে দেখি চারদিক বিলকুল ফর্সা,
গতকাল রাতের তাণ্ডবের কোনও চিহ্নই নেই। খালি একগাদা ভেজা ডাল, পাতা---বারান্দা আর
দোলনা জুড়ে রাশিকৃত হয়ে পড়ে আছে, এক ভদ্রলোক ঝাঁটা মেরে সেগুলো সরাচ্ছেন। আমরা
দরজা খুলে বেরোতেই তিনি আমাদের হাসিমুখে ‘গুড মর্নিং’ জানালেন। জিজ্ঞাসা করলেন,
‘আপলোগ আজই নিকল রহে হো?’
আমরা দুঃখী মুখে মাথা নাড়লাম। বেড়ানো শেষ। আবার দিল্লি, আবার অফিস, আবার সেই
আটটা ছটা ছোটাছুটি। ভাবতেই কান্না পাচ্ছিল। আবার কবে বাড়ি থেকে বেরোনোর সুযোগ হবে
কে জানে।
বেশিক্ষণ দুঃখ পেয়ে থাকা গেল না অবশ্য, কারণ আজকে হাতে সময় বেশি নেই। দুপুর
বারোটায় চেক আউট করব, আর বাসস্ট্যান্ড থেকে কালকার বাস ছাড়বে দুটো নাগাদ। আরাম করে
তৈরি হয়ে ব্রেকফাস্ট খেতে খেতেই দশটা-সাড়ে দশটা বেজে যাবে নির্ঘাত। যদি কিছু দেখতে
হয়, তার মধ্যেই দেখা সেরে ফেলতে হবে। অগত্যা কিঞ্চিৎ টাইম ম্যানেজমেন্টের প্রয়োজন
আছে।
চা খেতে খেতে ব্রেনস্টর্মিং করে আমরা ঠিক করলাম বারোটার একটু আগেই চেকআউট করে
বেরিয়ে যাব। আমাদের দুটো ব্যাকপ্যাক অফিসঘরের এককোণে রেখে দিতে নিশ্চয়
হোটেল-কর্তৃপক্ষ অরাজি হবেন না। আমরা ঘুরেটুরে, বাজারেই লাঞ্চ করে, হোটেল থেকে
ব্যাগ নিয়ে একেবারে বাসে গিয়ে উঠব।
লাঞ্চ করার জায়গাটার কথা একটু বলি আপনাদের। যাওয়ার আগে যখন তেড়ে রিসার্চ চলছিল, তখন একটা ভিডিওর সন্ধান পেয়েছিলাম। টিভিতে ‘হাইওয়ে অন মাই প্লেট’ বলে একটা নাকি অনুষ্ঠান হয়, তার জকি হচ্ছেন রকি অ্যান্ড ময়ূর নামের এক খাদ্যরসিক জুটি। ভিডিওটা হচ্ছে তাঁদের কসৌলিযাত্রার এপিসোডের। সেখানেই দ্য ডেইলি নিডস্ বলে একটি দোকানের উল্লেখ পেয়েছিলাম। মনে মনে ঠিক করেছিলাম, সময় পেলে যাব।
কসৌলি পৌঁছে দেখলাম সময়ের আমাদের অভাব নেই, আর দ্য ডেইলি নিডস্ পড়বি তো পড়,
বাসস্ট্যান্ড থেকে আমাদের হোটেল যাওয়ার রাস্তাতেই পড়ে। আমরা তাই হোটেলে যাতায়াতের
পথে সর্বদাই দোকানে থেমে টুকটাক স্যান্ডউইচ নয়তো সুপ খেতাম।
দোকানটা এত চকচকে হলে কী হবে, বয়সের গাছপাথর নেই এর। উনিশশো কুড়ি সালে দোকান
প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যিনি, দুহাজার চোদ্দয় কাউন্টারে বসছেন তাঁর প্রপৌত্র।
প্রপৌত্রর পাশেই চেয়ারে পা ঝুলিয়ে বসে আছে তাঁর শিশুপুত্র। মনোযোগ সহকারে বাবার
কাছ থেকে ব্যবসার প্যাঁচঘোঁচ শিখে নিচ্ছে।
রকি-ময়ূর দোকানের হ্যান্ডমেড হ্যামের খুব প্রশংসা করেছিলেন তাই আমরা গিয়েই হ্যাম-স্যান্ডউইচ খুঁজেছিলাম, কিন্তু বিধি বাম। শুনলাম অফসিজনে নাকি হ্যাম বানান না ওঁরা, খেতে হলে আমাদের চিকেন স্যান্ডউইচ খেতে হবে। তাই সই।
ছবিতে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু এত ভালো চিকেন স্যান্ডউইচ আমি সত্যি বলছি
আগে কবে খেয়েছি মনে করতে পারছি না। নরম তুলতুলে বানরুটি, পুরু মাংসের প্যাটি,
টকমিষ্টি স্যালাড আর প্রয়োজনের থেকে অনেক অনেক বেশি ট্যাংগি টোমাটো সস।
স্যান্ডউইচের এদিকে কামড় দিলে ওদিক দিয়ে গড়িয়ে পড়ে কড়ে আঙুলে লেগে যায়। আহ্, কী ভালো, কী ভালো
খেতে। এই দেখুন, এই এক্ষুনি একবাটি কর্নফ্লেক্স খেয়ে উঠেছি, কিন্তু স্যান্ডউইচের
কথা মনে পড়ে আবার হইহই করে খিদে পেয়ে যাচ্ছে।
খাওয়াদাওয়ার কথাই যখন হচ্ছে, তখন কসৌলির আরেকটি বিখ্যাত জিনিসের কথা বলে নেওয়া
যাক। ভুইরা ফ্রুট জ্যাম।
ভুইরা হচ্ছে কসৌলি থেকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম। সেই গ্রামে এক
বিদেশিনী মহিলা এসে স্থানীয় মহিলাদের নিয়ে জ্যাম কোম্পানি খুলেছেন। এ জ্যামের
বিশেষত্ব হচ্ছে, ফ্রুটের জায়গায় সত্যিকারের ফ্রুট ব্যবহার করা হয়েছে। রাজধানী
এক্সপ্রেসের ব্রেকফাস্টের ম্যাংগো জুসের মতো নয়, প্যাকেটের গায়ে লেখাই আছে, ‘মেড
উইথ ম্যাংগো, লাভ অ্যান্ড হ্যাপিনেস’। মুখে দিলেই বুঝবেন লাভ
অ্যান্ড হ্যাপিনেসের ভাগই বেশি, ম্যাংগোই কিঞ্চিৎ কম পড়িয়াছে। এই ভুইরা জ্যামে ওসব
লাভ-টাভ নেই, আছে খাঁটি ফল। চিনি যতটুকু না দিলে নয় ততটুকুই দেওয়া হয়। নকল
প্রিজার্ভেটিভও দেওয়া হয় না। লেবুর রস জাতীয় আসল জিনিস দিয়ে কাজ চালানো হয়। তাতে
অসুবিধে একটাই, বেশিদিন রাখা যায় না। চটপট খেয়ে নিতে হয়।
সেটা আমাদের পক্ষে অসুবিধে হবে না বলেই মনে হয়। ওখানে বসেই আমরা চাখাচাখি শুরু
করে দিয়েছি, দেখতেই পাচ্ছেন। আসল
ফল দিয়ে তৈরি যে সে নিয়ে যাতে কোনও সন্দেহই না থাকে, সে জন্যই বোধহয় জ্যামে ফলের
বিচি মেশানো আছে।
যাই হোক। আমরা তো চেকআউট করে বেরিয়ে এলাম। হোটেলের লোকজন অতীব ভদ্রলোক
বলেইছিলাম, আমরা না বলতেই তাঁরা উপযাচক হয়ে উপদেশ দিলেন, 'বাস ছোড়নে মে তো দের
হ্যায়, আপলোগ ইঁহা ব্যাগ রাখকে ঘুমঘামকে আইয়ে।’
বেরিয়ে পড়া গেল।
আজ আমরা ধরব আপার মল রোড। কসৌলি বাসস্ট্যান্ডটা যদি একটা অক্টোপাস হয়, তবে তার
একটা শুঁড় হচ্ছে আপার মল রোড। আমাদের
হোটেল লোয়ার মল রোডে, অর্থাৎ বাসস্ট্যান্ড থেকে আমাদের হোটেলে পৌঁছতে গেলে বেশ
খানিকটা নামতে হয়, আর একই যুক্তি মেনে আপার মল রোড ধরতে গেলে উঠতে হয়। বেশ খাড়া
পথ। এখন ভাঙা গোড়ালি নিয়ে সে পথের কথা কল্পনা করলেই আমার হৃৎকম্প হচ্ছে, কিন্তু
তখন তো আমার পা সুস্থ ছিল, আমরা টগবগিয়ে উঠে গিয়েছিলাম।
আপার মল রোডটা, দেখে যা বুঝলাম, কসৌলির বড়লোক পাড়া। ওই পথেই যত
মিলিটারিম্যানদের বাড়িঘরদোর, কোয়ার্টারস, হলিডে হোম, দূরদর্শন কেন্দ্র, ওই পথেই
কুলীন কসৌলি ক্লাব। সাদারঙের খেলানো বাড়ির ওপর লালমাটিরঙের ছাদ, কুয়াশার ভেতর দিয়ে অপরূপ
দেখায়। ক্লাবের ঠিক সামনাসামনি, রাস্তার উল্টোদিকেই টেনিসকোর্ট। অফসিজন বলেই হয়তো, লোকজনের দেখা প্রায় নেই। ইতিউতি যে কজন ঘোরাঘুরি করছেন, তারা সবাই স্থানীয়। চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে
কেউ ক্লাবের মেম্বার নন, সকলেই
ভৃত্য। পুরো জায়গাটার গা থেকে একটা
এলিট-এলিট
গন্ধ ছাড়ছে। দেখতেশুনতে যতই ভালো হোক
না কেন, এই
গন্ধটা আমার একটুও ভালো লাগে না, তাই
তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে এগিয়ে গেলাম।
খাড়া পাহাড়, চড়তে
দম বেরিয়ে যাচ্ছে, তাও
থামতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল, আর একদিন পরে তো চাইলেও
এমন রূপসী রাস্তায় পা রাখতে পারব না, মাসমাইনেটা পুরো ধরে দিয়েও
দশমিনিটের জন্য এমন নিস্তব্ধতা বাজার থেকে কিনে আনতে পারব না, যেদিকেই চোখ ফেরাই, কুয়াশার ভেতর ঘুমন্ত পাহাড়দের
দেখতে পাব না। আমরা ঘনঘন ঘড়ির দিকে তাকাতে
লাগলাম আর নিজেরাই নিজেদের বোঝাতে লাগলাম, 'আর একটু যাই? আর একটু? ফেরার সময় তো ঢালু রাস্তা, একবার দৌড়তে শুরু করলে দশ
মিনিটে হুড়মুড়িযে নেমে আসব, দেখবে'খন।'
চললাম, চললাম, চললাম। পথ পাহাড়ের গা বেয়ে উঠল, নামল, বাঁকল। পথের বাঁকে ঘাপটি মেরে বসে
থাকা একদল কুয়াশা এই আমাদের গিলে নিল, তো দু'মিনিট বাদেই উগরে দিয়ে কোথায়
অদৃশ্য হয়ে গেল। শেষটায় পাকাপথ ফুরিয়ে কাঁচা
হয়ে গেল, তবু
আমরা থামলাম না। তীরচিহ্ন দিয়ে দেখি বোর্ডের
গায়ে লেখা আছে, 'গিলবার্র্ট ট্রেল।' ঘড়ি
দেখে বললাম, 'পা চালিযে গেলে, ট্রেলটার
শেষ দেখতে না পারি, শুরুটা
অন্তত দেখতে পারব, কী
বল?'
প্রস্তাব
সর্বসম্মতিক্রমে সভায় পাশ হয়ে গেল, আমরা ট্রেল ধরে ছুটে চললাম। ছুটতে ছুটতে গিলবার্ট সাহেব
কে হতে পারেন সে নিয়ে একটু ব্রেনস্টর্মিংও হল। নিশ্চয় মিলিটারিরই বড়বাবু
গোছের কেউ হবে, না
গো? তোমার কী মত?
অবশ্য বেশি জোরে ছোটা যাচ্ছিল না, কারণ কাল রাতের বৃষ্টিতে
রাস্তা পিছল হয়ে গেছে, তার
ওপর পাতামাতা পড়ে একেবারে বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। আমাদের শহুরে কনভার্স থেকে
থেকে হড়কাতে লাগল। আমরা দুজনেই অবিরাম একে
অপরকে 'সাবধান! সাবধান!' বলতে লাগলাম। ভাবটা যেন, পড়লে অন্য লোকটাই পড়বে, আমার পড়ার কোনও চানসই নেই। তারপর একটা বাঁক ঘুরেই দেখি...দেখা বলাটা ভুল হবে অবশ্য, কারণ কিছুই দেখা যাচ্ছিল
না।
এর পরেও কি পৃথিবী আছে? সভ্যতা
আছে? দিনরাত আছে? দিনরাতের অবসাদ? ছোটছোট দুঃখশোক, নালিশ, ঘ্যানঘ্যানানি? অফিস আছে? পলিটিক্স? নাকি একবার সাহস করে এই
কুয়াশার দেওয়ালে ঝাঁপ দিয়ে পড়তে পারলেই সবকিছুর নাগাল থেকে এক্কেবারে পগারপার? ছুটি, ছুটি, ছুটি?
দুটো পাথরের ওপর একটা পাথর বসিয়ে বেঞ্চি বানানো ছিল, তার ওপর বসলাম দুজনে। ঘড়ি দেখার কথা মনেই ছিল
না। কীসের ঘড়ি, কীসের
সময়, কীসের তাড়া? দুটোর বাসের বদলে তিনটের
বাস ধরলেই বা কার ক্ষতি, কীসের
ক্ষতি? একটাদুটো
পাখির ডাক শোনা যাচ্ছিল মাঝে মাঝে,
আর অনেক দূর থেকে ক্ষীণ হর্নের আওয়াজ। কোন জগতের কে জানে। যে জগতটায় কুয়াশাবৃত হয়ে
আমরা বসে আছি, সে
জগতটার তো নয়।
কুয়াশার মধ্যে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটা আশ্চর্য ব্যাপার টের পেলাম জানেন। সামনে কুয়াশার অলঙ্ঘ্য দেওয়াল
ফুঁড়ে চোখ চলছে না, অথচ
মাথার ভেতরটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। চাওয়াপাওয়া, কাজঅকাজের টানাপোড়েন কোথায়
উধাও, ঘাড়ের
পেছনে টেনশনের জট খুলে যাচ্ছে। কাল কী করেছি ভুলে গেছি, কাল কী করার আছে জানি না। এখন শুধু আমি সত্যি, আর
আমার চারদিকের ঠাণ্ডা, ভেজা
কুয়াশা সত্যি, এই
ভুবনজোড়া নীরবতা সত্যি।
তারপর যে ঘটনাটা ঘটল, তার
জন্য আমি সত্যি তৈরি ছিলাম না। বলা নেই, কওয়া নেই, গলাখাঁকারি নেই, আমার গলা দিয়ে হঠাৎ গান
বেরিয়ে এল। গান! কতদিন আগেই তো সে পাট চুকেছে। অনেক কষ্টে নিজেকে বুঝিয়েছি
গান আমাকে ছেড়ে সত্যিসত্যি চলে গেছে, আর ফিরবে না পায়ে ধরে সাধলেও। শনিরবি সময় করে, অফিস যাওয়ার আগে, অফিস থেকে ফিরে, বাড়ির আনাচেকানাচে তাকে
কত খুঁজেছি, লাঠিসোঁটাতানপুরা
সহযোগে তাকে ধরতে লোক পাঠিয়েছি দিকেদিগন্তরে, সে ধরা দেয়নি। আর এই পৃথিবীর প্রান্তে
বসে সে কিনা বিনা নেমন্তন্নে এসে আমার গলায় জুড়ে বসল? আমিই বরং তাকে আগের মতো
আদর করতে পারলাম না, গলার
পলি সরিয়ে ভালো করে তার বসার জায়গা করে দিতে পারলাম না। তবু যে সে এল, দু'দণ্ড থাকল আমার সঙ্গে, আমাকে আগের মতো জড়ালো তার
সবটুকু দিয়ে, এ আমার
জন্মজন্মান্তরের ভাগ্য।
কসৌলি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। কসৌলি থেকে প্রিজারভেটিভহীন
সুস্বাদু জ্যাম, ক্যামেরাভর্তি
শতশত ছবি আর বুকের ভেতর পৃথিবীতে আমার সবথেকে প্রিয় মানুষের সঙ্গে কাটানো ক'টি দিনের অমূল্য স্মৃতি
বোঝাই করে আমি বাড়ি ফিরেছি। কিন্তু এ সব কিছুই যদি আমি
না পেতাম, শুধু
যদি কুয়াশা আর গান দিয়ে ছাওয়া ওই ক'টা মুহূর্ত দিয়ে কসৌলি আমাকে
ফিরিয়ে দিত, তবু
আমার কসৌলি যাওয়া সার্থক হত। তবু আমি কসৌলিকে ভুলতে পারতাম
না। আজীবন।
(শেষ)
wow! কি দিলে গুরু! তোমার কলমে কসৌলি তো আমাগো শিমলা কে হার মানিয়ে দিল।
ReplyDeleteকেয়াবাৎ ।
মিঠু
আরে খোদ শিমলার লোক যখন হারস্বীকার করছে তখন আর কী চাই। থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ মিঠু। বড় খুশি হলাম।
DeleteBhison bhalo lekha hoyechhey Kuntala. Tomar songey amrao Kasauli poychhey gelam. Ham khete parle na bole dukhho hochhey? Ashole etai off seasoner ekmatro osubhide. Sob jinis paoa jai na. Tobe Bhuira'r jam ekhaneo paoa jai!:-)
ReplyDeleteবাহ, গোটা অবান্তর টিম নিয়ে কসৌলি ঘুরে এলাম বলছ তাহলে রুণা? গুড গুড। লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। আরে আমিও ঠিক এটাই ভাবছিলাম। হ্যাম নেই বলে দুঃখ করছি, সিজনে যখন হ্যাম পাওয়া যাবে তখন এসে হয়তো ভিড়ের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করতে করতে সে হ্যাম ফুরিয়েই যাবে। বলবে 'স্টক শেষ, নেক্সট সিজন আইয়েগা।' তার থেকে এই ভালো হয়েছে।
DeleteUff. Ki sundor likhechho! Shimla, Manali theke rashi rashi Bhuirar jam eney bari bojhai amar. Ki DAROON khete, na? :-)
ReplyDeleteAr tumi jodi pahar + niribili bhalobasho, tahole paa sere gele ei jaygatay jete paro. Janlay boshe boi porbe, nodi theke dhore ana fresh trout khabe, ar tension ke aaste aaste goodbye bolbe! Ami porer mashei jachchi. :-)
http://www.bcmtouring.com/forum/hotels-guest-houses-himachal-pradesh-f49/raju-s-cottage-gushaini-t45146/
p.s. Ki gaan gaile?
রাজুবাবুর বাড়ি দেখে লোভ হচ্ছে। যাব সময় হলে। গান নানারকম আবোলতাবোল গেয়েছিলাম আরকি, কী গেয়েছিলাম মনেও নেই এখন বিম্ববতী।
Deleteঅসাধারণ! :)
ReplyDeleteপর্বগুলো আলাদা আলাদা করে পড়লাম, তারপর গোটাটা একসঙ্গে। মন ভরে গেল। :)
থ্যাঙ্ক ইউ অরিজিত।
Deleteখুব ভালো লেখা...ভালো থেকো...
ReplyDeleteধন্যবাদ দেবশ্রী।
Deleteশেষপাতে একটু সেন্টিমেন্ট দিয়ে দিলেন যে? শেষপাতে তো মিষ্টি খেতে হয়। যেকোনো জায়গায় বেড়াতে যাবার শেষ স্টেপ হল, ফেরার সময় "নেক্সট কোথায় যাবো গো" নিয়ে আলোচনা করা। আপনারা বাসে বসে করেছিলেন?
ReplyDeleteমুক্তেশ্বর। তারপর কচ্ছের রান।
Delete.. je kono paharei, pahar ar megher khela na dekhle amar pahar dekhe mon bhorena... tomar chhobi ar lekha mon bhorie dilo. pherar din "কসৌলি" mon bhorie diechhe bolo ... ar oi jam jogar korte dekhchhi jetei hochhe.. :-)
ReplyDelete"অ্যাডভেঞ্চারাস হয়ে ঘোরাঘুরি " - eta korona ekhon. sabdhane theko k-din. samner beranor galper jonye udgrib hoe roilam.
জ্যামটা সত্যি ভালো খেতে ইচ্ছাডানা। জোগাড় করতে পারলে খেয়ে দেখতে পারেন। আর আমি একেবারেই কাজটাজ শিকেয় তুলে বসে আছি। এই সুযোগে যতখানি আরাম করা যায় আরকি। সামনের বেড়ানোর জন্য আমরাও হাঁ করে আছি। কবে সুযোগ হয় দেখা যাক।
DeleteKhub bhalo beRalaam. Tumi paayer byathaay kashto paachho aar aamra lekha poRe anondo paachhi, taar jonnyo ektu guilty feel korchhi.
ReplyDeleteএ মা, গিল্টির কী আছে অমিতা? আমার তো গল্প না বলতে পারলে পেট ফেটে যাচ্ছিল। ভাগ্যিস আপনারা শুনলেন। একদম গিল্টি হবেন না। বেড়ানোর গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। জায়গাটা সত্যি সুন্দর।
DeleteKasauli dekhar amar khub icche chilo ... tumi sheta puron kore dile. :)
ReplyDeleteEbaar taratari shere otho ar abaar ekta weekend e beriye poro ... eyi kamona korchi.
আরে এবার স্বচক্ষে দেখে নাও শর্মিলা। তোমরাও তো খুব বেড়াতে ভালোবাস, বেড়াও-ও। ব্লগ দেখে বুঝতে পারি।
Deleteআমি সারার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আবার বেড়াতে বেরোনোর জন্যও।
Thik Kuntala ... amra berate bhalobashi. Koto shundor shundor jaayega je ache amader deshe. Opore tomar comment e Rann of Kutch jaar icche ta pore eyi comment ta dicchi ... parle jeyo ... bhari shundor jaayega. Dec/Jan e ekta Rann utsav hoye ... tokhon jeo. Ar parle full moon e jeyo. Ja shundor experience na bole bojhate parbo na.
DeleteUtsav a eyi jonne jete bolchi karon tokhon oi border bole pass/id s banano easy hoye ... orai kore deye.
এ জীবনে ভারতবর্ষ দেখে ওঠার আশায় ছাই দিয়েছি শর্মিলা। তোমরা কচ্ছের রান ঘুরে এসেছ? কী মজা। তোমার টিপসগুলো মনে রেখেদিলাম, তাক বুঝে যাব নিশ্চয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
DeleteEi bhuira jam 7-8 bachhor age ekjon lab mate khaie chhilo. Jam-er honour-e fresh vanilla icecream Ana hoye chhilo! Ar tarpore jake bole pure bliss! Amra cherry kheyechhilam! Anek galpo mone pore gelo!
ReplyDeleteLekha ta chamotkar! Paa khanar jonno get well soon. Ruchira
কী ভালো খেতে না জ্যামটা রুচিরা? আমাদের তো দারুণ লেগেছে। পাঁউরুটি ফুরিয়ে গেছে বাড়িতে, আমরা মারি বিস্কুটে মাখিয়ে খাচ্ছি। একটা খেয়ে থামা যায় না, এত ভালো।
Deleteলেখা ভালো লেগেছে? গুড গুড। শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। থ্যাংক ইউ।
চিকেন স্যান্ডউইচ ta baddo lobhoniyo :) -tinni
ReplyDeleteআরে ছবিতে কিছুই সুবিচার হয়নি। ফাটাফাটি খেতে ছিল।
DeleteShob to bujhlam, kintu gaan ta ki chhilo?
ReplyDeleteনানারকম ছিল সোমনাথ। আমার আবার, 'ছুটলে গান থামায় কে' সিনড্রোম আছে। যা যা মনে আসছিল গেয়ে যাচ্ছিলাম।
Deleteআপনার লেখাকে "ভালো, ভালো" বলতে বলতে বোর হয়ে গেছি। আপনার লেখার বিচার করার যোগ্যতা আমার নেই। শুধু আপনার সৃষ্টিকে আমার প্রিয় আরেক শিল্পীর সৃষ্টির সঙ্গে তুলনা করে বলতে পারি আপনার লেখা পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘায় করুনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান গাওয়ার দৃশ্যটা মনে পড়ে গেল।
ReplyDeleteতবে এলিট-এলিট গন্ধের ব্যাপারে হাই-ফাইভ। ওটা দেখলেই আমি পিছন ফিরে পালাবার পথ খুঁজি।
এলিট গন্ধবিচারে হাই ফাইভ। কী ভালো একটা দৃশ্যের কথা বললেন আপনি সুগত। থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
DeleteAha
ReplyDeleteওহো, টিংকার বেলস। তোমার এমন প্রিসাইজ কমেন্টে মন ভরে গেল (নাকি তুমি আহা-টা করুণাদেবীর গানের উদ্দেশ্যে বলেছিলে?) কনফিউশন, কনফিউশন।
Deleteশেষ কিস্তির শুরুতেই যে চিমনিওয়ালা বাড়িটার ছবি দিয়েছ, ওটা হোটেল গ্র্যান্ড মরিস (সম্ভবত ১৮৬৮ সালে তৈরি)। সাহেবি আমলে কসৌলির একমাত্র স্টার হোটেল, যার বেসমেন্টে কাঠের তৈরি বরফ কল ছিল ব্রিটিশ আর্মির মেজর আর কর্নেল সাহেবদের স্কচের তার বাড়ানোর জন্য। তোমাদের কসৌলি যাওয়ার খবর শুনে ভেবেছিলাম বলব, একবার হোটেলের ভেতরে গিয়ে পুরো কাঠের কাজ করা ইন্টিরিয়র আর পাথর বসানো বারান্দাটা দেখে আসার জন্যে। কিন্তু প্লাস্টার করা পা-এর ছবি দেখে ভেবড়ে গেলাম! :)
ReplyDeleteহ্যাঁ হ্যাঁ, ওটাই হোটেল গ্র্যান্ড মরিস, শীর্ষ। বাসরে আপনার তো দারুণ চোখ। আমরা সামনে দিয়ে যাতায়াত করতে করতে দেখছিলাম, কিন্তু হোটেলটার সারা গায়ে এমন সাহেবিয়ানা মাখানো যে ফস করে ঢুকতে সাহসে কুলোয়নি।
Deleteআরে পা ভেঙেছে পাহাড় থেকে নেমে আসার পর। সমতলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।
adbhut bhalo laglo ei series-ta!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ অর্ক। ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
Deletekhub khub khub bhalo. elite gondho-r ultodike palano niyeo arekbar high five janai.
ReplyDeleteei arektu hati arektu hati beparta amar west sikkim ghurte giye hoyechilo. chorai utrai vangte giye jibh beriye jacche, tao pagol er moto hetei cholechi Kaluk er rasta diye. Jeno hete hetei Hee-Bermiok, Uttarey sob dekhe felbo. ar sotti, pahar bodhoy sob jotil somossar somadhan kore daye. matha akdom clear hoye jaye tokhon. :)
Deleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, কুহেলি। পাহাড়ের জবাব নেই।
Delete