Posts

Showing posts from May, 2014

সাপ্তাহিকী

Image
পূর্ব জার্মানি, ১৯৭৩। আলোকচিত্রীঃ Gordon Gahan Forgive everybody.                                                                                         ---Maya Angelou হেড শটস। আমার এই অ্যাপ-টি বেশ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট লেগেছে। এই ভিডিওটা আপনারা কেউ কেউ দেখেছেন হয়তো। আরেকবার স্লো মোশনে দেখুন। Is gray your neighbor’s favorite color, or is grey your neighbour’s favourite colour? জয় যেখানে অবিসংবাদিত। আমার মোস্ট ডিফিকাল্ট মুভ হচ্ছে শীতের সকালে লেপের ভেতর থেকে বেরোনো। OCD থাকলে দেখবেন না। ছোটদের বোকা বানাতে লোকে কী না বলে? Don’t worry about travelling alone (it’s better). নিজের এম আর আই স্ক্যান তো অনেকেই দেখেছেন। আনারসের এম আর আই স্ক্যান দেখতে হলে ক্লিক করুন। আমার তো একটাও উত্তর ভুল মনে হচ্ছে না। আপনার গোপন...

কুমারডুবির সূর্যাস্ত

ট্রেনটা ভোঁ বাজিয়ে চলে গেল আর দেখলাম একটা খাঁ খাঁ প্ল্যাটফর্মে আমরা তিনজন দাঁড়িয়ে আছি। আমি বাবা আর মা। মাথা নিচু করে দেখলাম প্ল্যাটফর্মের ধুলোর নিচে প্রায় চাপাই পড়ে গেছে গোলাপি রঙের স্ট্র্যাপওয়ালা পুজোয় পাওয়া আমার নতুন জুতো। হঠাৎ বাবা বলে উঠল, ‘ওই তো!’ মুখ তুলে দেখলাম একটা লম্বা লোক হেঁটে আসছে আমাদের দিকে। লোকটা আমাদের দেখে হাসছে। বাবামাও লোকটাকে দেখে হাসছে, মাথার ওপর হাত তুলে টা টা করার ভঙ্গি করছে। এই লোকটার নামই নিশ্চয় মুখার্জিদা। মুখার্জিদা প্রায় বাবার মতোই লম্বা আর রোগা। বাবার মতো কালো ফ্রেমের চশমাও পরেছে। কিন্তু বাবার সঙ্গে আর বেশি মিল নেই। বাবার থেকে বেশি বড় নয়, কিন্তু বুড়োদের মতো ধুতি পাঞ্জাবি পরেছে। আমার বাবাকে আমি কখনও ধুতি পরতে দেখিনি। না না দেখেছি। সেই যখন দাদু মারা গিয়েছিল তখন। তারপর আর কখনও দেখিনি। এই রবিবারের ছুটিটা বাকি রবিবারের ছুটির মতো হবে না গোড়াতেই বুঝেছিলাম। বেড়াতে কেউ কুমারডুবি যায়? যাওয়ার জন্য এত ভালো ভালো জায়গা থাকতে? নিকো পার্কে যদি নাও নিয়ে যায়, জেঠুর বাড়িতে তো যাওয়া যায়? খাটের ওপর বাবু হয়ে বসে স্টিলের প্লেটে করে জেঠির হাতের ধোঁয়া ওঠা ডবল ডিমের ...
Emptied Gestures - Grand Isle from Heather Hansen on Vimeo .

দৃষ্টিশুদ্ধি

সাড়ে তেত্রিশ বছর বয়স পার করেও যে এত কিছু দেখা বাকি থেকে যায় কে জানত। রোজই নতুন নতুন কিছু একটা দেখছি। দেখছি আর শিখছি। যেই না ভাবছি এইবার ব্যাপারটা আগাগোড়া বেশ হাতে এসে গেছে, মানবচরিত্রের গলিঘুঁজির জলছাপ নিখুঁত তুলে ফেলেছি মাথার ভেতর, অমনি সে ছাপ মাটি করে আরেকটা রাস্তা ফুটে উঠছে। এই রাস্তা ফুটে ওঠার ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। যখন ঢুকেছিলাম তখন ইউনিভার্সিটিতে সবুজ কংক্রিটের অনুপাত ছিল হিংসে করার মতো। সবুজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আন্দাজ করার জন্য সেফোলজিস্টদের বোরিং প্যানেল বসানোর দরকার ছিল না। লোকের বাড়িঘরের ফাঁকে ফাঁকে গাছপালা থাকে, গাছপালার ফাঁকফোকরে বানানো বাড়িঘরদোরে আমরা থাকতাম। খেতাম শুতাম ফাঁকি মারতাম। ওয়ার্ডেন কড়া ধাতের না হলে হোস্টেলের বারান্দা দিয়ে গাছের ডালপালারা উঁকি মারতে চলে আসত যখনতখন। জঙ্গলের মধ্যে স্কুলবাড়িগুলো ঘাপটি মেরে থাকত। অভিজ্ঞ চোখ ছাড়া চট করে খুঁজে পাওয়া সোজা ছিল না। গাছের সমুদ্রের মধ্যে লাইব্রেরির মাথাটা শুধু জেগে থাকত, সেই দেখে দেখে একটা আন্দাজ করে নিতে হত। তবে অত আন্দাজটান্দাজের খাটুনিতে যেত না কেউই, তার থেকে অনেক বেশি সোজা ছিল মাটিতে ফুটে ওঠা পথ ধরে হেঁটে চল...

জানাশোনার আগেই

অফিসে বসে কাজের ভান করতে করতে এমন বোর হয়ে গেলাম যে মাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘মা তুমি কখনও বোর হও?’ মা খুব উদাস হয়ে বললেন, ‘কই আর হই। ওই একটা জিনিস আর হওয়া হল না। তোরা কেমন চাইলেই ঝটপট বোর হয়ে যাস, দেখেশুনে আমার এত ইচ্ছে করে হই, কিন্তু কিছুতেই আর হতে পারি না। আসলে আমাদের ছোটবেলায় ‘বোর হওয়া’ ছিল না বলেই বোধহয়। যে নয়ে বোর হয় না, সে কি চাইলেও নব্বইয়ে বোর হতে পারে, তুইই বল?’ বলে মা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চুপ করে রইলেন, আমার খোঁচাখুঁচির উত্তরে আনমনা হুঁহাঁ করে দায় সারতে লাগলেন। বুঝলাম কথোপকথন আর বেশি এগোবে না। ফোন ছেড়ে দিলাম, কিন্তু মায়ের কথাটা মাথায় ঘুরতে লাগল। বোর হওয়া কাকে বলে সেটা না জেনেই খানিকটা বড় হয়ে যেতে পারলে কি বোরডমের হাত থেকে আজীবনের মতো নিস্তার পাওয়া যায়? ইগনোরেন্স কি তবে সত্যি সত্যি ব্লিস? ঠাকুমাকে ফোন করে ‘কেমন আছ কী করছ কী খাচ্ছ’ সারার পর জিজ্ঞাসা করলাম, ‘আচ্ছা ঠাকুমা, তুমি কখনও ডিপ্রেশন ফিল করেছ?’ ‘অ্যাঁ? কী? ডিরেশন?’ ‘আরে ডিপ্রেশন, ডিপ্রেশন, বিষণ্ণতা। যেটা হলে কাজ করতে ইচ্ছে করে না . . .’ ঠাকুমা আঁতকে উঠলেন। ‘কী সাঙ্ঘাতিক! কাজের সঙ্গে ইচ্ছের কী...

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস I'm sick of not having the courage to be an absolute nobody.                ---J. D. Salinger, Franny and Zooey A113. Waste and want. কেউ যদি বেশি খাও খাবার হিসেব নাও। আমার অন্যতম প্রিয় খাবার। বানাতেও যেমন খেতেও তেমন সহজ। এই রেসিপিগুলো দেখে থেকে আমি ভেবে যাচ্ছি আমার হাতের কাছের জিনিসপত্র দিয়ে কী ধরণের টু-ইনগ্রেডিয়েন্ট স্যান্ডউইচ বানানো যেতে পারে। কাসুন্দি + ডিমসেদ্ধ? পেস্তো + শশা? The Reykjavic Confessions. চল্লিশ স্কোয়্যারফিট। রেডিও শুনতে যে এত ভালো লাগে মনেই ছিল না।   এ সপ্তাহের গান।

সময়ের দোষ

গত ক’দিন ধরে ভেবে ভেবে আমি সময় ও কাজের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে একটা সিন্যারিও বিল্ডিং এক্সারসাইজ করেছি। এই দেখুন। সময় কাজ কাজ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা ১. আছে আছে শূন্য ২. আছে নেই নট অ্যাপ্লিকেবল। ৩. নেই আছে সামান্য। যদিও কাজের গুণগত মান নিয়ে কিছু না বলাই ভালো। ৪. নেই নেই নট অ্যাপ্লিকেবল। (ফুটনোটঃ বান্টি বলছে দুই আর চার নম্বর সিন্যারিওটা রিয়্যালিস্টিক নয়। বলছে, এ ধরণের আবোলতাবোল এবং অ্যাকাডেমিক্যালি নন-রিগোরাস কাজকর্মের জন্যই ইকনমিস্টদের নাকি কেউ সিরিয়াসলি নেয় না।) ইকনমিস্টদের নিক আর না নিক, বান্টিকে সিরিয়াসলি নেওয়ার কোনও কারণ নেই কাজেই আমরা আমাদের বক্তব্যে ফিরে আসি। না বোঝার কিছু নেই, তবু ওপরের চার্টটা একবার ছোট করে ব্যাখ্যা করে দিই। অপ্রয়োজনীয় কথা বলব না এমন মুচলেকা যখন লিখে দিইনি তখন আমাকে ঠেকায় কে। দেখতেই পাচ্ছেন, ওপরের চার্টটায় সময় ও কাজের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। আমাদের সম্ভাব্য সিন্যারিওটি হচ্ছে কাজের হওয়া না হওয়া, আর সে সিন্যা...