দৃষ্টিশুদ্ধি
সাড়ে তেত্রিশ বছর বয়স পার
করেও যে এত কিছু দেখা বাকি থেকে যায় কে জানত। রোজই নতুন নতুন কিছু একটা দেখছি। দেখছি আর শিখছি। যেই
না ভাবছি এইবার ব্যাপারটা আগাগোড়া বেশ হাতে এসে গেছে, মানবচরিত্রের গলিঘুঁজির
জলছাপ নিখুঁত তুলে ফেলেছি মাথার ভেতর, অমনি সে ছাপ মাটি করে আরেকটা রাস্তা ফুটে উঠছে।
এই রাস্তা ফুটে ওঠার
ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং। যখন ঢুকেছিলাম তখন ইউনিভার্সিটিতে সবুজ কংক্রিটের
অনুপাত ছিল হিংসে করার মতো। সবুজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আন্দাজ করার জন্য সেফোলজিস্টদের
বোরিং প্যানেল বসানোর দরকার ছিল না। লোকের বাড়িঘরের ফাঁকে ফাঁকে গাছপালা থাকে, গাছপালার
ফাঁকফোকরে বানানো বাড়িঘরদোরে আমরা থাকতাম। খেতাম শুতাম ফাঁকি মারতাম। ওয়ার্ডেন কড়া
ধাতের না হলে হোস্টেলের বারান্দা দিয়ে গাছের ডালপালারা উঁকি মারতে চলে আসত যখনতখন।
জঙ্গলের মধ্যে স্কুলবাড়িগুলো ঘাপটি মেরে থাকত। অভিজ্ঞ চোখ ছাড়া চট করে খুঁজে পাওয়া
সোজা ছিল না। গাছের সমুদ্রের মধ্যে লাইব্রেরির মাথাটা শুধু জেগে থাকত, সেই দেখে
দেখে একটা আন্দাজ করে নিতে হত। তবে অত আন্দাজটান্দাজের খাটুনিতে যেত না কেউই, তার
থেকে অনেক বেশি সোজা ছিল মাটিতে ফুটে ওঠা পথ ধরে হেঁটে চলা। জীবনবিজ্ঞান বইয়ের
রক্তসঞ্চালন সিস্টেমের জটিল ছবির মতো ছড়িয়ে থাকত মেঠো পথগুলো। ক্যাম্পাসের যেখানে
যেখানে যাওয়ার দরকার পড়ত, সর্বত্র। ইন ফ্যাক্ট, কোথায় যাওয়া যাবে আর কোথায় যাওয়া
উচিত হবে না, সেটা বোঝার জন্যও ওই মেঠো রাস্তার নির্দেশিকা ভালো কাজে দিত। যুগ যুগ
ধরে কতশত কলম্বাসের হাওয়াই চটির ঘষায় তৈরি রাস্তা বলে কথা, তার মানচিত্র ছিল
নিখুঁত। প্রতিটি রাস্তাই কোথাও না কোথাও পৌঁছত। আমি আদৌ সেখানে যেতে
চাই কি না সেটার তোয়াক্কা না করেই। গোড়াতে পথ ধরে চলতে চলতে কতবার যে সোশ্যালের
বদলে বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছি তার গুনতি নেই। অবশ্য তাতে অসুবিধে
কিছু হয়নি। আমার আগেও লক্ষ লক্ষ আনকোরা ছেলেমেয়ে এই ভুল করেছে। ভুল শুধরে দিয়েছে দাদাদিদিদের
কেউ, ‘নো প্রবলেম, বস্’ বলে সঙ্গে করে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। বায়োলজিক্যাল
থেকে সোশ্যাল সায়েন্সের দিকে তৈরি হয়েছে আরেকটি পথ। সেই পথ ধরে নাকবরাবর গেলেই
সমস্যার সমাধান।
সমস্যা হল যখন কর্তৃপক্ষ
আবার নতুন করে সে সমস্যার সমাধান করতে বসলেন। সেটা করতে গিয়ে তাঁদেরও অনেক সমস্যার
মুখে পড়তে হয়েছিল নিশ্চয়। কোটি কোটি চিঠি চালাচালি করতে হয়েছিল, হাজারখানেক মিটিং
ডাকতে হয়েছিল, শ’পাঁচেক টেণ্ডার পরীক্ষা করতে হয়েছিল। দুঃখের বিষয় তাতে তাঁদের উৎসাহে
ঘাটতি পড়েনি। একদিন সকালবেলা ইস্কুল যাওয়ার সময় আমরা দেখলাম জঙ্গল জুড়ে মজুর
লেগেছে, কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন কনট্রাকটর। যত্ন করে সবাই মিলে
আমাদের পায়ে চলা পথ বাঁধিয়ে দিচ্ছেন।
বলা হল এ যত না ছাত্রছাত্রীদের
সুবিধের জন্য, তার থেকে বেশি ঘাসেদের মুখ চেয়ে। এই কেমন সুন্দর করে রাস্তা বাঁধিয়ে
দেওয়া হল, এবার সবাই সে বাঁধানো রাস্তা ধরে লাইন করে স্কুলে যাবে আর আসবে। জঙ্গলের
ঘাসেরা যত্রতত্র স্নিকার্স আর হাওয়াই চপ্পল চাপা পড়বে না।
কর্তৃপক্ষেরা তো সকলেই
একসময় ছাত্র ছিলেন, তবু তাঁরা ছাত্রদের মতিগতি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেন না কেন সেইটা
আমার চিরদিন জানতে ইচ্ছে করে। বাঁধানো রাস্তা ধরে চললে তো গন্তব্যে পৌছনোই যায়
কিন্তু এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় পৌঁছতে হলে? চলাটা শুধু যে অনেক বেশি তাড়াতাড়ি
হয় তাই নয়, ইন্টারেস্টিংও হয় অন্তত একশো গুণ। এই সোজা ব্যাপারটা কর্তৃপক্ষ
বোঝেননি, কিন্তু ছাত্র-কলম্বাসের দল বুঝে ফেলল নিমেষেই আর দেখতে না দেখতে
কংক্রিটের রাস্তার ফাঁকে ফাঁকে মেঠো পথের নেটওয়ার্ক তৈরি হল। জালের মতো তারা ছেয়ে
ফেলল ক্যাম্পাস। ঘাসেদের দুর্দশা বাড়ল বই কমল না।
মনুষ্যমনের মানচিত্রের ছাপ
তুলতে বসে আমার হয়েছে সেই দশা। যত ভাবছি এইবার ছবি সম্পূর্ণ হল বোধহয় ততবার নতুন
নতুন রাস্তা গজাচ্ছে এদিক ওদিক। সেই রাস্তা ধরে এগোতে গিয়ে কখনও কানাগলি বেরোচ্ছে,
কখনও বেরিয়ে পড়ছে একটা আস্ত নতুন পাড়া। সে পাড়ায় নতুন নতুন সব পড়শি। নতুন নতুন
দুঃখ, নতুন নতুন হিংসে, নতুন নতুন নিরাপত্তাহীনতা।
তেত্রিশ বছরের পুরোনো চোখের
অসুবিধেটা প্রধানত এখানেই। ভালো কিছু আর নজরে পড়ছে না। দয়ামায়া, শৌর্যবীর্য,
বুদ্ধির ধার, ভালোমানুষি দেখে মুগ্ধ হওয়ার দিন গেছে, অবাক করে দেওয়ার জন্য এখন পড়ে
আছে শুধু হামবড়াই আর অসভ্যতা।
নিজেকে ‘প্লেজেন্ট
সারপ্রাইজ’ যদি দিতেই হয় তবে গতি এখন শুধু খোদাতালার আকাশবাতাস।
দিল্লিতে একটা অদ্ভুত
গ্রীষ্মকাল চলছে এবার। প্রথমত তো সে এলই দেরিতে। লেটমার্ক খেয়েও নির্লজ্জের মতো
হাসতে হাসতে অফিসে ঢুকল। যদিও বা এল, মনখানা ফেলে রেখে এল কোথায় কে জানে। এতদিন
ধরে এ শহরে আছি, এমন অন্যমনস্ক গরম আমি দেখিনি আগে আর কখনও। দুপুরটুকুই শুধু তার
কাজে মন বসে। শুধু তখনই তার পথচলতি লোকের মুখ থেকে ‘ক্ষ্যামা দে’ টেনে বার করার
মুরোদ হয়। সকালবেলা এলোমেলো হাওয়া দেয়, বিকেলবেলা মনের ভুলে রোদের বদলে মেঘে আকাশ ছেয়ে
ফেলে। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে কাদা, তখন আকাশ থেকে গরম বাতাসের হলকার বদলে ঝুপ ঝুপ জল
ঢালে। ঠাণ্ডা জল। সঙ্গে পর্দা ওড়ানো হু হু হাওয়া। তাতেও যদি কারও কুম্ভকর্ণের ঘুম
না ভাঙে, গুড়ুম গুড়ুম বাজ ডাকায় আর বিদ্যুতের টর্চ ফেলে সোজা চোখের ওপর। তখন ঘুম
চোখে উঠে ‘কী হচ্ছে বস্, মে মাসে বৃষ্টি হচ্ছে কেন? যত্তসব’ বলে ফ্যান কমিয়ে
বিছানার চাদরের ভাঁজ খুলে গায়ে ঢাকা দিতে হয়।
সেদিন ঘুম থেকে উঠে জানালার
বাইরে বৃষ্টিধোয়া ভোরটা দেখে এমন ভালো লাগল যে বেরিয়ে পড়লাম। রাস্তায় বেশি লোক
নেই, আমি আর পাশের বাড়ির পাগ। পাগের লজ্জাঘেন্না নেই, সে আমার সামনেই প্রাতঃকৃত্য
সারতে লেগেছে। লজ্জা পেলাম শুধু আমি, আর পাগের দু’পেয়ে সঙ্গী। তাঁর অবশ্য লজ্জা
পাওয়াই উচিত, লোকের বাড়ির গেটের সামনে এই কুকর্মটি সারাকালীন ধরা পড়ে গিয়েও যদি
তিনি লজ্জা না পান, তাহলেই আশ্চর্য।
কিন্তু আমি সতর্ক ছিলাম।
এসব তুচ্ছ ব্যাপারে মাথা গরম হতে দিয়ে অমন সুন্দর ভোরটি মাটি করার কোনও ইচ্ছেই
আমার ছিলাম না। কাজেই পাগকে প্রাইভেসি দিয়ে আমি হাঁটা লাগালাম। বাড়ির সামনের ছোট
রাস্তাটা পার হয়ে এসে বড় রাস্তায় যেই না সবে পা দিয়েছি . . .
. . . আলোয় আমার চোখ ধাঁধিয়ে
গেল।
এত আলো এল কোথা থেকে? এখনও
তো ভালো করে ভোর হয়নি, এখনও তো মেঘে ছেয়ে আছে আকাশ, এখনও তো রাস্তার পাশের
সারিসারি শ্রমিক তাঁবুতে প্রাণের সাড়া জাগেনি, এখনও তো উঁচু উঁচু বাড়ির বন্ধ
জানালার গায়ে গোঁগোঁ আওয়াজ তুলে ওভারটাইম খাটছে ইকোফ্রেন্ডলি এসি-র দল। তবু আমার
চোখে এত আলো ঝলসাচ্ছে কোথা থেকে?
এত কাণ্ড করে, সংসার ফেলে,
এত ডেডলাইন পেরিয়ে, হাজার হাজার মাইল দূরের শহরে হর্স-চেস্টনাট গাছের বেড়া
দেওয়া একটি রাজকীয় রাস্তা দেখে মুগ্ধ হতে গিয়েছিলাম, অথচ আমার গেট থেকে ঠিক পাঁচ পা
দূরের রাস্তার দু’পাশে অমলতাসের বনে ঝেঁপে এসেছে চোখ অন্ধ করা হলুদ ফুলের বান, তার
দিকে তাকিয়ে দেখার আমার ফুরসত হয়নি?
কালো মেঘের গায়ে ফুটে থাকা
সেই অনির্বচনীয় আলোর সামনে দাঁড়িয়ে আমি অনেক অনেক দিন পর সত্যি সত্যি চমকে গেলাম।
ওই অবিশ্বাস্য উজ্জ্বলতা আমাকে বিস্মিত, মুগ্ধ ও রোমাঞ্চিত করল। আলোয় আলো করে দিল
আমার চোখ, আমার দেখা।
Kya baat, kya baat! :)
ReplyDeleteদিল্লিতে বসন্তখানা কেমন এসেছে বল, বিম্ববতী? রাস্তায় চলব কি, ফুলের রং দেখতেই সময় চলে যাচ্ছে।
DeleteKuntala Di, laptop kharap chilo bole onekdin abantor porte parini.. mone hocchilo ekta darun uponyas porte porte majhe class test ese geche.. abar kobe porbo..! ajker lekhata pore darun laglo.. -Urmi. Debiswari 2 yrs junior.. :)
ReplyDeleteযাক, ল্যাপটপ ভালো হয়েছে জেনে ধড়ে প্রাণ এল। মোটে দু'বছরের জুনিয়র? পারমিতা পালিতের ক্লাসমেট? তাহলে নির্ঘাত মনে আছে, মুখটা দেখলেই সব মনে পড়ে যাবে। অবান্তর ভালো লাগে জেনে খুব খুশি হলাম ঊর্মি।
Deleteamar lekhata pore voyanok hingse hochhe didivai. eto hingse je ritimoto chillanorous er moto chechate ichhe korche. may maser gorom e brishti???? ar amra tilottoma i 42 temp e aluvate hoye gelam ritimoto.....nah, e duniyai ar theke lav nei..
ReplyDeleteআরে অর্ণব, এই বড় মুখ করে বৃষ্টির কথা লিখলাম আর এমন রোদ্দুর উঠল যে অফিসের ভেতর থেকে সে রোদের দিকে তাকালেই গায়ের রক্ত ভয়ে জল হয়ে যাচ্ছে। গরমে তোমরা আলুভাতে হচ্ছ আমরা বেংগনভর্তা হব। এটুকুই যা তফাৎ। হিংসের কোনও জায়গাই নেই।
Deleteye, bolchi ki, eta lekhar pore amader ekhaneu brishti...ritimoto veso gelo...
Deleteদেখেছ, তিলোত্তমা কেমন খুশি করে দিল? আশা করি আরও বেশি বেশি বৃষ্টি হোক, গরম কমুক।
Deleteঅসাধারণ। :)
ReplyDeleteদেখা হয় নাই দুই পা ফেলিয়া...
মনে পড়ে গেল। :)
ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের ঘাসের সঙ্গে মনুষ্যমনের ঘাসের অ্যানালগটা জাস্ট ফাটাফাটি।
Ditto.
Deleteঅরিজিত, অভিষেক, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
DeleteDeep
ReplyDeleteসর্বনাশ করেছে।
Deleteপায়ে চলা পথের বর্ণনাটা, আঃ, প্রাণারাম প্রাণারাম।
ReplyDeleteকর্ত্তৃপক্ষের মনস্তত্ত্বের প্রশ্নটার দাম লাখ টাকার থেকেও বেশি। সত্যিই, কেন করে বলতো?
কি ভাল আবহাওয়া রে? দিনে গরম আর রাতে শোবার সময় ঝুপ্ঝুপিয়ে বৃষ্টি, আঃ।
মনুষ্যমনের সঙ্গে পায়ে চলার রাস্তার সামঞ্জস্য খোঁজার চিন্তাটা একেবারে ফাটাফাটি। আর অমলতাসের হলুদ আলো ! মূহুর্তেই ফিরে গেলাম আমাদের ছেলেবেলায়। এজন্যই তোমায় এত ভালবাসি।
ধন্যবাদ ধন্যবাদ, মালবিকা।
Deleteকাল অফিস ডুব মেরেছিলাম, মেয়ের সাথে সময় কাটাব বলে. দুপুরবেলা বলা নেই কওয়া নেই কোথা থেকে কালো মেঘ এসে আকাশ ঘিরে ফেলল কড়কড় ডাকের সঙ্গে. বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা সাথে এলোপাথারি হাওয়া. আমি আর কন্যা দুজনেই বারান্দায় বৃষ্টিতে ভিজব বলে. আর তখনই চোখে পড়ল বাড়ির সামনের কৃষ্ণচুড়া গাছটা লাল টুকটুকে হয়ে আছে. মন ভরে গেল. সাথে সাথে মনে পড়ল এই গাছটা আর এই বিশাল বারান্দাটাই কারন ছিল এই বাড়িটা পছন্দ করার জন্য আর যখন পেলাম তখন আর কদর দিতে পারছি না.
ReplyDeleteতোমার লেখা নিয়ে তো কিছু বলার নেই...দারুন লেখা. তবে তোমার মত আমারও কাল দৃষ্টিশুদ্ধি হল তার জন্য হাইফাইভ.
কী বলছ দেবশ্রী, হঠাৎ ছুটি + মা-মেয়ের সহাবস্থান + বৃষ্টি + কৃষ্ণচূড়া? দৃষ্টি, মন, আত্মা---সবের শুদ্ধি হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার তো। খুব ভালো লাগল। বারান্দা দেখে বাড়ি পছন্দ করেছিলে জেনে আরও খুশি হলাম। কারণ আমিও ওটা দেখে বাড়ি পছন্দ করার পক্ষপাতী। বারান্দা আর বাথরুম।
Deleteআশা করি পরশুর মতো দুপুর তোমার আর তোমার কন্যার জীবনে বারবার আসুক।
Ai jah .. ami o amar ase paser sobai tow etow din Amaltas k radhachura bolei janto ... thanks bhul ta thik kore debar jannyo.
ReplyDeleteKrishnochura, amaltas r jarul .. era achhe bolei na monkharap kora meghla bikel rongin kore debar moto lekha pai apnader kach theke .... Atmodip
আত্মদীপ, রাধাচূড়ার প্রতি কোনওরকম অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করেই বলছি, রাধাচূড়া আর অমলতাসকে গুলিয়ে ফেলা মানে হচ্ছে নূতন আর ক্যাটরিনা কাইফকে গুলিয়ে ফেলা। অমলতাসকে অনেকে বাঁদরলাঠি বলেও ডাকে, দেখবে গাছ থেকে লাঠির মতোই কী সব ঝোলে, তবে আমি কোনও বাঁদরকে সে লাঠি ধরে দোল খেতে দেখিনি।
Deleteজারুল গাছ আমি দেখিনি। শুনেছি সে নাকি খুব সুন্দর? দেখার ইচ্ছে রইল খুব। শ্রীরামপুর গিয়ে কোনও একদিন দেখে আসব সময় করে।
Thik bolechhen tow ... jakey bole ghetey Holud hoye gechhi.
DeleteThik thik, radhachura ar amaltaas tow aladai .. etwo bhul ki kore korlam ..
Boyas hochhey bujhtey parchhi, chokhey bhalo dekhtey parchhi na, ar bhul bhal bokchhi o beshi.
Jakgey, boyas hole ja hoy, manush er gyan debar ichha bere jai ar sei sujog peletar purno sadbyabohar kore.
Tai boli Jarul gaach o nischoi dekhechho, srirampur er urbor o punnyo mati tei je ei gaach ta hoy ta noy.
Krishnochura, radhachurar motoi thok thok, beguni ronger, jakey kina bole Pride of India.
http://en.wikipedia.org/wiki/Lagerstroemia_speciosa
BTW, nutan r katarina r tulonara kintu khasa :)
-- Atmodip
ও, এই গাছটা তো দেখেছি আগে। রংটা কি অপূর্ব না? এটাই জারুল জানতাম না। থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
Deletekhub bhalo laglo tomar lekha... ami to goromkal sojjho kori krishnachura r amaltas r jonno..eto rong r khela onno somoi e paoa jaina.. tobe sudhu amaltas r jaiga ta noi, baki tao or motoi swabhabik sundor hoeche...
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সঙ্গীতা। গরমকালের ফুলের বাহার আমারও বড় ভালো লাগে। এখানে তো রাস্তার মাঝখানে উঁচু কংক্রিটের বিভাজিকার মধ্যেও কী সুন্দর লাল নীল বেগুনি ফুল ছেয়ে গেছে এখন। অটো চড়ে যাই আসি আর তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। মন ভালো হয়ে যায়।
Deletekhub bhalo laglo pore...dupur bela bristi r pore jemon ekta shanto sobuj alo othe..serokom laglo
ReplyDeleteআরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, প্রিয়াঙ্কা।
Deletedarun laglo ...ki bhalo barnana :) - tinni
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, তিন্নি।
DeleteChittoshudhdhi HOYE gelo. Ki valo laglo.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সাহানা। তোর ভালোলাগার কথা জানতে পারলে সবসময়েই ভালো লাগে।
DeleteKi je bhalo laglo lekhata pore... sesher kothakota bhari sundor... :-)
ReplyDeleteসেই সকালটা যে কী সুন্দর ছিল, ইচ্ছাডানা। আপনি আর আপনার ক্যামেরা থাকলে দারুণ সব ছবি তুলতে পারতেন।
Delete