সাপ্তাহিকী
Atif Saeed-এর তোলা ছবিটা তো অবিশ্বাস্য বটেই, কিন্তু ছবির পেছনের গল্পটা পড়লে গায়ে সত্যি কাঁটা দেয়।
আমার ঠাকুমার হালিশহরে বাপের বাড়ির অবস্থা ভাল ছিল এবং মুসলমান ওস্তাদের কাছে বিয়ের আগে এগারো মাস গান শিখেছিলেন। তাঁর দরাজ গলায় গিটকিরি সহযোগে কীর্তন ও বাংলা গান শুনেছি। তার মধ্যে দুটি আমার বড়ই প্রিয় ছিল। প্রথমটি ‘চাপ দাড়ি রাখা, চোখে চশমা ঢাকা, ভয়ানক ঢেউ উঠেছে বাংলাতে’। দ্বিতীয়টি ‘যত রকমের ডাল আছে পৃথিবীতে, কড়ায়ের ডালের কাছে সব শালা হারে’। শেষোক্ত গানটি পিলু বারোঁয়ায়।
---কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কুদ্রত্ রঙ্গিবিরঙ্গী
লিংকটা সুগত প্রথম দিয়েছিলেন এই পোস্টের কমেন্টে। সেখানে হয়তো অনেকে মিস করে
গিয়ে থাকতে পারেন তাই সাপ্তাহিকীতে তুলে আনলাম।
গাইয়েবাজিয়েদের মৃত্যুর রকম সম্পর্কিত এই চার্টটা চোখে পড়েছিল যখন তখন কুদ্রত্
রঙ্গিবিরঙ্গী পড়ছিলাম। সেখান থেকে ভারতীয় মার্গসংগীতের সাধকদের (বিশেষত কণ্ঠশিল্পীদের)
মৃত্যুবরণের এই সম্ভাব্য রকমটির কথা জানতে পারি।
বড়ে মহম্মদ খাঁ গোয়ালিয়র ছাড়ার কিছুকাল পূর্বে দরবারে হদ্দু, হস্সু খাঁ দু ভাই গাইছেন মিয়া মহ্লার। তখন নানাপ্রকারের তানের বর্ণনা ছিল ‘নাঙ্গা তলোয়ার’ তান, ‘কড়ক বিজলী’ তান, ‘হাথী চিংঘাড়’ তান ইত্যাদি। হস্সু খাঁ নাকি গাইতে গাইতে এই ভয়ানক ‘হাথী চিংঘাড়’ তান দিলেন যা শুনলে নাকি হাতি পিলখানা থেকে বেরিয়ে আসে। বড়ে মহম্মদ খাঁ পর্যন্ত সে তান শুনে বিস্মিত হয়ে ‘সুভান্ আল্লা, সুভান্ আল্লা’ বলে চিৎকার করে উঠলেন; তারপর আবার শুনতে চাইলেন ওই তান। হস্সু খাঁ পেট থেকে গমক সহকারে সেই ভয়ানক তান নিতে গিয়ে মাঝপথে থেমে গেলেন। মুখ দিয়ে রক্ত উঠে এল। নথ্থন পীর বখ্শ পাশে বসেছিলেন; নিজের শাল দিয়ে নাতির মুখে মুছে দিয়ে বললেন, ‘বেটা মরনা হী হ্যায় তো তান পুরি করকে মরো।’
যদিও ঠাট্টাটা আমার মতো লোকদের নিয়েই করা হয়েছে তবু আমিও না হেসে থাকতে পারলাম
না।
আমি ভাবছিলাম অফিসে এই রকম কিছু করার প্রস্তাব দিলে ডিরেক্টরের মুখটা কেমন
হবে।
মানুষের চরিত্রে অ্যাগ্রেসিভনেসের থেকেও খারাপ যদি কিছু আমার লাগে তবে সেটা প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভনেস।
আমি হলে এই আইস কিউব প্রাণে ধরে ব্যবহার করতে পারতাম না। ফ্রিজারে জমিয়ে রেখে
দিতাম, মাঝে মাঝে খুলে দেখে চক্ষু সার্থক করতাম।
ভিক্টোরিয়ানরা ছবি তোলার সময় হাসতেন না কেন সেটা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু আমি
এই বর্তমান সময়ের এমন অনেককে চিনি যাঁরা ক্যামেরা দেখলেই রামগরুড়ের ছানা হয়ে যান।
এর ওপর দিয়েও যান কেউ কেউ যেমন আমার ইউনিভার্সিটির এক বন্ধু ছিল যে অন প্রিন্সিপল
ভুরু কুঁচকে ছাড়া ছবি তুলত না।
ক্যামেরার সঙ্গে স্মার্টফোন জুড়লে যে চার্টটা হয় সেটা দেখুন।
কতশত এভরিডে রেসিজম যে বয়ে চলি বুকের ভেতর। দেখ না দেখ একটাদুটো করে বেরিয়ে
পড়ে আর শিউরে উঠি।
চৈত্রমাস শেষ হওয়ার আগে চট করে একটা চৈতী শুনে নেওয়া যাক।
চৈত্রমাস শেষ হওয়ার আগে চট করে একটা চৈতী শুনে নেওয়া যাক।
একটা প্রাত্যহিকি হলেও বেশ হতো। সেই যে কলকাতা ক, সকাল ৭ঃ৩০ র খবর শেষ হলেই ৭ঃ৪০ এ প্রাত্যহিকি। কলকাতা থেকে বহু দূরে যেখানে থাকতাম, সেটা মফঃসল বললে সে জায়গা বড় খুশী হতে পারত। কিন্তুক সিটা লয় বঠে। গাঁ-গেরামে রেডিওই ...
ReplyDeleteসাপ্তাহিকি, টিভি, জনি সোকো, স্টার ট্রেক, চিচিং ফাঁক এসব গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি এসে দেখতাম। আমাদের নিজেদের হাওড়ার বাড়িতেও টিভি ছিলোনা।
রেডিও তে প্রাত্যহিকি শুনতাম আর ভাবতাম, কলকাতা শহরে কত কিছু হয়। আমাদের এখানে কিস্যুটি না। শুধু গরম কালে রবীন্দ্র জয়ন্তি, একটা বারোয়ারি দুর্গা পূজো, শীতকালে কল্পতরু মেলা, আর সরস্বতী পূজো। ব্যাস ঢ্যাঁড়া।
দিব্যি ঝাঁকি দর্শন হলো সকাল সকাল। তুখোড়। জোগাড় ও করেন বেশ।
জিতে রহো বাচ্চে।
হাহা, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। কারও সাপ্তাহিকী ভালো লাগলে আমারও খুব ভালো লাগে, সোমনাথ। সাপ্তাহিকী নামটা দেওয়ার সময় আমার দূরদর্শনের সেই অনুষ্ঠানটার কথা মাথায় ছিল। সেই যে কলকাতা দূরদর্শনের সবেধন চৈতালী আর শাশ্বতীদেবী বসে সারা সপ্তাহে কী কী অনুষ্ঠান হবে সেই নিয়ে আলোচনা করতেন। বাড়িশুদ্ধু লোক বসে বসে দেখত আর বলত দুজনের মধ্যে কোনজনকে কার ভালো লাগে। আমি চিরকাল শাশ্বতীর দলে ছিলাম। অবশ্য যদি গুলিয়ে না ফেলি।
Deleteআমি একবার উদয়পুরের মন্দিরে সত্যি সত্যি ঝাঁকিদর্শন করেছিলাম কেষ্টঠাকুরের। সে এক অভিজ্ঞতা।
লিঙ্কগুলো সব এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। যেকটা দেখলাম ভালো লাগলো। আইস কিউব আর হাতে আঁকা লোগোর তো জবাব নেই। প্রসঙ্গত বলে রাখি যে ওই অগ্নিনির্বাপক শব্দের ব্যাপারটা যে ইউনিভার্সিটি তে আবিষ্কার হয়েছে, আমি সেখানেই পোস্ট-ডক করি।
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ, সুগত।
DeleteAmar computer crash kore giyechhilo. Tai goto prai 2-3 shoptaho dhore prai internet bonobashe chhilam. Eibar dhire dhire backlog clear korchhi!!
ReplyDeleteShobdo diye agun nebhano ta besh chomokprodo laaglo. Tobe shobtheke bhalo legechhe oi putul-er link ta. Excellent concept. Shob miliye, khub i shundor hoyechhe ei shaptahiki ta.
iti
Shuteertho
অ্যাঁ! তিন সপ্তাহ! ইন্টারনেটহীন! আপনাকে হিংসে তো করছিই না, সুতীর্থ, উল্টে আপনার সাহস ও সহ্যশক্তিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আশা করি কম্পু চলে যাওয়াতে কাজের ক্ষতি হয়নি। এটা খুব বাজে ব্যাপার।
Deleteসাপ্তাহিকী ভালো লেগেছে জেনে, বরাবরের মতোই, উল্লসিত আমি। পুতুলের লিংকটা আমারও খুব ভালো লেগেছে। রিসাইক্লিং কত রকমের হয়, অ্যাঁ?