ছোটবেলার ভুল
শনিবার সকালে উঠে সাঁচীর গেস্টহাউসের ডাইনিং টেবিলে গিয়ে দেখি প্রায় সব টেবিল
ভর্তি আর প্রায় সব টেবিলেই একটি দুটি তিনটি করে ছোট বাচ্চা। কেউ হাসছে, কেউ
কাঁদছে, কেউ চেঁচাচ্ছে, কেউ গোমড়া মুখ করে বসে রয়েছে। কাল রাতেও এই প্রকাণ্ড
আলোআঁধারি ডাইনিং হলটাকে প্রায় সাঁচীস্তুপের মতোই ধ্যানগম্ভীর দেখাচ্ছিল, এখন সকাল
দশটার হাওড়া স্টেশন মনে হচ্ছে। আমরা ভীমবেটকা যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে ঘরে তালা মেরে
বেরিয়েছি। এখন আবার ফিরে গিয়ে রুমসার্ভিস অর্ডার করার মেজাজ নেই। দেখেশুনে একটা
আটটি চেয়ারসংবলিত টেবিলে চারটে খালি চেয়ার চোখে পড়ল, বাকি চারটে চেয়ারে লটবহর সহ
এক দম্পতি বসে আছেন, আর টেবিলের ওপর বসে আছে তাঁদের বছর দুয়েকের সন্তান। চোখ থেকে
ঘুম কাটেনি তখনও। বসে বসে এদিকওদিক দেখছে।
আমরা ওই টেবিলেই গিয়ে বসলাম। আগে আগে বেরোলে দুপুরের রোদ চড়ার আগে গুহা দেখে
ফিরে আসা যাবে। টোস্ট অমলেট অর্ডার করা হল। পাশ থেকে চ্যাঁভ্যাঁ ইত্যাদে
আওয়াজ পেয়ে বুঝতে পারছিলাম যে শিশুটির ঘুম কাটছে। দেখতে না দেখতে তার ঘুম পুরো
ছুটে গেল এবং তার পর সে টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে পড়ে এক হাতে নুন অন্য হাতে মরিচদানি,
দুটো ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে সারা টেবিলে নুনমরিচের বৃষ্টি শুরু করল এবং চিৎকার করে দুর্বোধ্য ভাষায় গান গাইতে গাইতে টেবিলের ওপর বাঁই
বাঁই করে পাক খেতে শুরু করল।
মা প্রাণপণে ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা চালাতে লাগলেন, নুনমরিচদানির রেখে দিলে
নিজের আইফোন তাকে সারাজীবনের মতো তাকে দিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেন। বাবা গম্ভীর
হয়ে পাশে বসে রইলেন, ভাবখানা যেন এ সব ছোটখাটো গোলমালে নাক গলিয়ে তিনি নিজের
বকুনির ধক মাটি করতে চান না। পরিস্থিতি সত্যি হাতের বাইরে গেলে মাঠে নামবেন। সত্যিটা
অবশ্য সকলেই জানে। এই মিসাইল রোখার সাধ্য তাঁর নেই। পরিস্থিতি অলরেডি হাতের বাইরে।
একসময় এই ধরণের দৃশ্য দেখলেই লাফিয়ে পড়ে বাবামা’কে জাজ করে ফেলতাম। যেন সব দোষ
বাবামায়ের শাসনের অভাবের, তাঁদের আদরের প্রাচুর্যের। তাঁরা যদি ঠিক মতো শাসন করতে
জানতেন তাহলেই বাচ্চা বর্ণপরিচয়ের গোপাল হত। নিদেনপক্ষে ছোটবেলায় আমি যেমন সভ্যভব্য
ছিলাম তেমন। এখন আর করি না। বাবামা’দের হাতে যে পুরোটা নেই সেটা এখন বুঝে গেছি। তাঁরা
যত সচেতনই হোন না কেন, বাচ্চা বাঁদরামো করবেই, ক্রুশিয়াল দৃশ্যটিতে সিনেমাহলের
টানটান নিস্তব্ধতা খানখান করে কান্না জুড়বেই। কারও কিছু করার নেই। বাচ্চাদের
স্বভাবই হচ্ছে বড়দের জ্বালাতন করা।
এই সব ভাবছি বসে বসে এমন সময় আমাদের টোস্ট অমলেট এসে গেল আর দুষ্কৃতী
বাচ্চাটির মা-ও ব্যাগ থেকে দুধের বোতল বার করলেন। প্রতিবাদে ডাইনিং হলের ছাদ ফাটার
উপক্রম হল। খেয়ে নাও খেয়ে নাও, না হলে গায়ে জোর হবে কী করে ইত্যাদি ভুজুং দেওয়ার
চেষ্টা করলেন মা, তাতে বিশেষ চিঁড়ে ভিজল না। মায়ের ব্যাকুল দৃষ্টি আমাদের
দিকে ফিরল। তিনি বললেন যে দুধ খেলে সে অচিরেই এত শক্তিশালী হয়ে উঠবে যে
আংকল-আন্টিকেও কুস্তিতে হারিয়ে দিতে তার পাঁচ সেকেন্ডের বেশি লাগবে না। হিন্ট বুঝে
আমরাও সোৎসাহে মাথা নাড়লাম। যেন
অলরেডি হেরে চিৎপাত হয়ে পড়ে আছি।
বিশ্বাস করবেন না, বাচ্চাটি এক চুমুকে পুরো দুধটুকু শেষ করে কটমট চোখে আমাদের দিকে
এমন ভঙ্গিতে তাকাতে লাগল যেন এক্ষুনি পারলে আমাদের ঘাড়ে দু’খানা করে রদ্দা বসায়।
ছোটরা কেউ বাঁদর হয়, কেউ ক্যাবলা হয়, কেউ সেয়ানা হয়, কেউ বদের বাসা হয়, কিন্তু
সকলেই যে বোকার হদ্দ হয় এ’টা আমি আগেও দেখেছি। বড় হয়ে যারা আমার মতো কেরানি হবে
তারা তো হয়ই, যারা কৃতী হবে, নিজের কাজে সেরা হবে, দেশের দশের মুখ উজ্জ্বল করবে তারাও
হয়। কৃতী মানুষদের ছোটবেলার গল্প পড়লেই সে কথা স্পষ্ট হয়ে যায়। ইন ফ্যাক্ট, তাঁদের
জীবনীর মধ্যে শৈশবের বোকামির অংশগুলোই পড়তে আমার সবথেকে ভালো লাগে। সত্যজিৎ রায় যে জীবনে প্রথমবার সজ্ঞানে আইসক্রিম খেতে গিয়ে বলেছিলেন
আইসক্রিমটা গরম করে আনতে সেটা যতবার পড়ি ততবার অত আহ্লাদ হয় কেন কে জানে। হয়তো মনে
মনে কোথাও একটা সান্ত্বনা পাই। আরও একজন দিগ্গজের ছোটবেলার গল্পে পড়েছিলাম তাঁর
স্কুলের কোরাসসংগীতের কথা। ইংরিজি গান না বুঝে গাইতে গিয়ে সে গানের কী দশা হয়েছিল
সেটা যতবার পড়ি আপসে বত্রিশ পাটি বেরিয়ে পড়ে।
কলোকী পুলোকী
সিংগিল মেলালিং মেলালিং মেলালিং।
(দিগগজের নাম আর আসল গানটার সম্ভাব্য শব্দগুলো (যেগুলো দিগ্গজ অনেক ভেবে ভেবে
আন্দাজ করার চেষ্টা করেছিলেন) বলতে পারলে হাততালি।)
মুশকিলটা হচ্ছে ছোটরা নিজেদের বোকামি টের তো পায়ই না, উল্টে নিজেদের ভয়ানক
বিজ্ঞ মনে করে। আমাদের স যেমন। স্কুলের দিদিভাইরা গরমের ছুটি পড়ার আগে হোমটাস্ক
দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছিলেন। তিরিশ দিনে তিরিশটা যোগ, তিরিশটা বিয়োগ, তিরিশটা গুণ,
তিরিশটা ভাগ আর তিরিশ পাতা হাতের লেখা। প্রতিদিন সকালে উঠেই স খাতাপত্র বার করে বসে একটা যোগ একটা
বিয়োগ একটা গুণ একটা ভাগ আর এক পাতা হাতের লেখা লিখে দিনের মনে নষ্টামি করতে
বেরোত। কাকিমাও ঠিক আর পাঁচজন হেলিকপটার পেরেন্টের মতো ছিলেন না, নেহাত বাড়াবাড়ি
না করলে মেয়ের স্বাধীনতাকে সম্মান করতেন। ছুটি প্রায় অর্ধেক ফুরোলে, স সকালের পড়া
সাঙ্গ করে খেলতে বেরোলে কাকিমা একদিন রান্নাঘর থেকে এসে খাতা খুলে দেখতে গেলেন
হোমটাস্কের প্রোগ্রেস কী রকম।
অংক খাতা
দেখে কাকিমা খুশি হলেন কিন্তু হাতের লেখার খাতা খুলে তাঁর চক্ষুস্থির হয়ে গেল। পাতার পর পাতা ভর্তি করে কন্যা লিখে রেখেছে ‘কবিরের গুরু রবীন্দ্রনাথ’। স-য়ের
ডাক পড়ল। কাকিমা বললেন কবিরের নয়, ওটা কবিদের গুরু হবে। স বলল, উঁহু ওটা কবিরেরই
হবে, দিদিভাই বলেছেন। কাকিমা বললেন, দিদিভাই এমন কথা বলতেই পারেন না, উনি কবিদের-ই
বলেছিলেন তুমি শুনতে ভুল করেছ। স বলল আমি ভুল করিনি, দিদিভাই কবিরের-ই বলেছিলেন, আমি
কবিরের-ই লিখব। তুমি কিছু জান না।
মায়েরা যে কিছু জানে না এই ভুলটা ছোটবেলার একটা অত্যন্ত কমন ভুল। দুঃখের বিষয়
ছোটবেলার অন্যান্য ভুলগুলো যত দ্রুত ভেঙে যায় এটা তত দ্রুত ভাঙে না। ভাঙলে অনেক
বিপদ এড়ানো যেত।
তবে অনেক বাবামা কাকিমার মতো ভুল ঠিক করে দেন না। নার্সারি কেজি ওয়ান কেজি
টু-তে আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে সেকশন-টেকশনের বালাই ছিল না। ক্লাস ওয়ানে উঠে তিন
রেলস্টেশন দূরের স্কুলে পড়তে গিয়ে দেখলাম শুধু শ্রেণীই হয় না, শ্রেণীর আবার বিভাগও
থাকে। মা সব বইতে বাঁশপাতার মলাট দিয়ে তার ওপর সাদা কাগজ চৌকো করে কেটে, চৌকোর চার
কোণা কাঁচি দিয়ে গোল করে ছেঁটে তাতে আমার নাম, বিষয়ের নাম, প্রথম শ্রেণী, ক-বিভাগ
লিখে দিলেন। খাতার লেবেলে ক-বিভাগ লেখা থাকলেও মুখে সবাই এ সেকশন বলত। আমি ছাড়া।
আমি বলতাম এ সেকসন। দ্বিতীয় স-এর সঙ্গে প্রথম স-এর সঙ্গে দ্বিতীয় স-এর উচ্চারণের
কোনও তফাৎ রাখতাম না।
প্রতি দিন অফিস থেকে ফিরে বাবা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন আজ আমাদের “সেকসনে” কী কী
ঘটনা ঘটল। শনিবার সকালে করতেন, রবিবার সকালেও করতেন। তারপর সোনামা, তোমাদের সেকসনে এ সপ্তাহে কী কী ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল? আমিও খেলিয়ে বলতাম আজ আমাদের সেকসনে কী হল, ওদের সেকসনে কী হল না।
সেকসনের প্রতি একটা অদ্ভুত, অযৌক্তিক সলিডারিটি সেই প্রথম দিন থেকেই অনুভব
করেছিলাম, যেটা স্কুলজীবনের শেষ পর্যন্ত ছিল। ক্লাস নাইনে উঠে সেকশন চেঞ্জ হওয়াতে মনে
হয়েছিল আমার জীবনটা এখানেই ফুরিয়ে গেল।
অর্চিষ্মানকে জিজ্ঞাসা করলাম ও ছোটবেলায় কী কী শব্দ ভুল
বলত। প্রথমে ও, কই সে রকম তো কিছু
মনে পড়ছে না, সব ঠিকঠাকই বলতাম বোধহয়, বলে আমাকে ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্সে ভোগানোর
চেষ্টা করছিল, আমি চেপে ধরাতে বলল, বেশি নয়, এই হরিণকে হরিং বলতাম, কঠিনকে কঠিং
বলতাম আর ত্রুটি পড়তে গিয়ে মাঝে মাঝে ক্রুটি পড়ে ফেলতাম। শুনে আমার বাবার প্রতি
এতদিনের পোষা রাগ জল হয়ে গেল। আমার সামনে ওই সাইজের কোনও লোক ত্রুটিকে ক্রুটি বা
হরিণকে হরিং বললে আমিও ভুল তো ধরাতামই না, বরং ভুলটা যাতে
দীর্ঘস্থায়ী হয় সে জন্য সক্রিয় চেষ্টা চালাতাম।
আমার মাবাবারও অবশ্য নিজস্ব ছোটবেলার ভুল ছিল। মা ভাবতেন রেডিওর ভেতর একটা
ছেলে আর একটা মেয়ে বসে থাকে তারাই নাটক করে, খবর পড়ে, অনুরোধের আসরের
অনুরোধ আসা চিঠিও তারাই পড়ে আবার অনুরোধের সব গানও তারাই গায়। মাঝে মাঝে অনুষ্ঠান থামিয়ে
গেয়ে নেয় টিনোপল টিনোপল টিনোপল কিংবা সুরভিত অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম বোরোলিন।
ছোটবেলার ভুল যে শুধু হাস্যকরই হতে হবে তার মানে নেই। কিছু কিছু ছোটবেলার ভুল
এমনই যুক্তিপূর্ণ যে সেই ভুলটা আমি ছোটবেলায় করিনি কেন সেই ভেবে আফসোস হয়।
সে রকম একটা ভুলের কথা শুনলাম সেদিন। টিভিতে যে সিটকম হয় তাতে লাফিং ট্র্যাক চলে
শুনেছেন নিশ্চয়। একজন
বললেন ছোটবেলায় তিনি ভাবতেন ওই আওয়াজগুলো আসলে অন্যান্য বাড়িতে বসে যারা
সিটকমটা দেখছে তাদের হাসির সম্মিলিত আওয়াজ। তাই তিনি এই সব সিরিয়াল চললে টিভির খুব
কাছে গিয়ে বসে থাকতেন আর যেই না হাসির শব্দ আসত অমনি মুখটা টিভির সঙ্গে প্রায়
লাগিয়ে দিয়ে খুব জোরে জোরে হাসতেন যাতে অন্যান্য বাড়ির লোকেরাও তাঁর হাসির শব্দ
শুনতে পায়।
ছোট মেয়েদের একটা একচেটিয়া ভুলের জায়গা হচ্ছে পিরিয়ডের অভিজ্ঞতা। এ বিষয়ে আমার
বোকামির কথা আগেও বলেছি অবান্তরে, এই সুযোগে আর একবার বলে নিই। মা যখন সব পরিষ্কার
করে বুঝিয়ে দিলেন তখন আমার কেন যেন কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না যে এই ভয়ানক
ব্যাপারটা পৃথিবীর সব মহিলার সঙ্গে ঘটতে পারে। নিশ্চয় কেউ কেউ পার পেয়ে যায়? আমি
বার বার আমার যত চেনা মহিলা আছে তাঁদের নাম ধরে ধরে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম, আচ্ছা
মা, অমুকেরও এ’রকম হয়? তমুকের? মা আমার গায়ে হাত বুলিয়ে আশ্বাস দিতে লাগলেন
সক্কলের হয়। এই করতে করতে চেনা সব মহিলার নাম যখন ফুরিয়ে গেল তখন আমি হার
মেনে চুপ করে যাব কি না ভাবছি এমন সময় ধাঁ করে একটা নাম আমার মাথায় এসে গেল।
ইন্দিরা গান্ধীরও হত মা?
মায়ের সংযমের কথা ভাবলে আমি এখন মুগ্ধ হই, কিন্তু মুখের একটিও পেশী না নাড়িয়ে
মা বলেছিলেন, হত তো। সেই শুনে আমার সব আতংক, হতাশা, দুঃখ নিমেষে গলে জল হয়ে গেল।
ইন্দিরা গান্ধীর মতো মহামহোপাধ্যায় মহিলারও যখন পিরিয়ড হত তখন আমার পিরিয়ড হওয়াটা নিয়ে
মাথা ঘামানোটা যে ভালো দেখায় না এই সাব্যস্ত করে আমি চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে
জীবনসংগ্রামে নেমে পড়লাম।
আমার চেনা একটি মেয়ে প্রথম পিরিয়ড হওয়ার পর বাথরুম থেকে “আমার ব্লাডক্যান্সার
হয়েছে, আমি মরে যাচ্ছি” বলে হাপুস নয়নে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এসেছিল। তার সেই সময়ের নিদারুণ
আতংকের কথা কল্পনা করেও পরে যতবারই দৃশ্যটা ঘটনাটা মনে পড়েছে অট্টহাস্য পেয়েছে।
মানুষের যৌনজীবন সংক্রান্ত ভুলের দায় অবশ্য ছোটদের নয়। আমরা যে আমলে যে সব
স্কুলে পড়তাম যৌনশিক্ষা দেওয়ার কথা সে সব স্কুলে ভাবা হত না, বাড়ির কথা তো ছেড়েই
দিলাম। বেশির ভাগ বাবামা-ই মনে করতেন ওগুলো শেখানোর কিছু নেই, সময়ে আপসে শিখে
যাবে। আমার বাবামা-ও এই গোত্রেই পড়তেন। ছোটরা অনেকসময় বাবামা-কে মানুষের জন্মরহস্য
জানতে চেয়ে বিব্রত করে শুনেছি। আমার ধারণা ভাইবোন থাকলে তারা হঠাৎ এল কোথা থেকে, গাছ থেকে পড়ল না বাজার থেকে কিনে আনা হল, সে
বিষয়ে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। আমার ভাইবোন ছিল না কাজেই তাদের উৎস সম্পর্কে আমি কখনও কোনও ঔৎসুক্য বোধ করিনি। আমি নিজে কোথা থেকে এলাম, কোথায় যাব এ
প্রশ্নও আমার মাথায় কোনওদিন জাগেনি। সেটা অবশ্য আমার দার্শনিক দৃষ্টির অভাবও হতে পারে।
তবে শিশুরা কোথা থেকে আসে না জানলেও কখন আসে সেটা জানা ছিল আমার। আমার
চারপাশে যাদের বাচ্চা ছিল তাঁদের সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল (ছাপোষা মধ্যবিত্ত
মানসিকতার পাড়ায় থাকতাম বুঝতেই পারছেন) এবং যখনকার কথা বলছি তার বছর দুয়েক আগে ম-পিসির বিয়ে খেতে
গিয়েছিলাম, (সে বিয়ের আর কিছু মনে নেই, খালি মনে আছে কলাপাতার মুড়ে মাছ খেতে
দিয়েছিল। কলাপাতাটা ধুয়েছে কিনা সে চিন্তায় আমার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছিল,
ভাবছিলাম বলব আমার কলাপাতা চাই না, আমাকে আমার থালার ওপরেই এমনি একটা মাছ দাও।
কিন্তু বলিনি। ভয়ানক টেনশন বুকে চেপে সে মাছ শেষ করেছিলাম। সাধে কি মাথার চুলগুলো
পেকেছে?) সেই ম-পিসির সদ্য একখানা ছেলে হয়েছিল।
অর্থাৎ কি না শিশু যদি কার্য
হয় তবে বিয়েটা হচ্ছে তার কারণ।
একদিন বিকেলে ব-দিদির বাড়ি খেলতে গিয়ে দেখলাম বাড়ির লোকে খুব উত্তেজিত, পোষা ছাগলের
চার চারটে ছানা হয়েছে। মা ছাগল চুপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, জেঠি তার গায়ে আদর করে হাত
বুলিয়ে দিচ্ছেন আর কুচকুচে কালো চারটে ছানা ভয়ানক গুঁতোগুঁতি লাগিয়েছে দুধ খাবার জন্য।
সে দৃশ্য দেখে আমি ভয়ানক অবাক হয়ে গিয়ে খেলাটেলা ভুলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “তোমাদের
ছাগলের বিয়ে হল কবে?”
আপনারাও কি ছোটবেলায় আমার মতো ছাগল ছিলেন? নাকি সবাই সব বুঝেটুঝে ঝুনো হয়ে
গিয়েছিলেন? সংসারের সব সারতত্ত্ব আপনার নখের ডগায় ছিল? সে রকম হলে তবে আমাকে বলবেন না
প্লিজ, আমার ভয়ানক হিংসে হবে, কিন্তু যদি না হয়ে থাকে তাহলে আপনার ছোটবেলার ভুল
জানাজানির গল্প আমাকে বলুন, শুনে আমি একটু শান্তি পাই।
পুনশ্চঃ ও হ্যাঁ, হাওড়া স্টেশনে ঢূকে
যাওয়ার পর ট্রেনটা আবার মুখ উল্টোদিকে ঘোরায় কী করে সেটা আমি অনেকদিন ধরে ভেবেছিলাম। আর গোল গোল সয়াবিন যে গাছে
ফলে থাকে সে নিয়ে আমি নিঃসংশয় ছিলাম, কবে পর্যন্ত সেটা বলতেও আমার লজ্জা করছে।
হিন্ট, ততদিনে আমি বাড়ি ছেড়েছি।
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি দিদিমনি। একটু বড় করে লিখবো।
ReplyDeleteছোটোবেলার কিছু ভুল ভেঙ্গেও ভাঙ্গেনা। এই যেমন আমার বাবা পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিমান মানুষ। এই ৭৪ বছর বয়সেও। যে গুলো ভেঙ্গেছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু কিছু উরুশ্চারনের ভুল আছেই, যেমন কচি বয়সের গোগোর। আবার একটু বড় বয়সের প্ল্যান্টিক (পেনাল্টি কিক)। কিন্তু কিছু ঠিক আবার ভূল ও হয়ে গেল। এই যেমন ধরুন, আমি অসামান্য প্রতিভাধর আঁকিয়ে কিম্বা ফুটবল প্লেয়ার, অথবা আমি ভালো কবিতা লিখি। তবে কি জানেন? এই যে ছানাপোনাদের ঠিক ভুল, এগুলোর মধ্যে একটা বড় অংশ কিন্তু ওদের কল্পনা। কাঁচা মন তো, তাই কল্পনাতে জং পড়েনা। আমি কল্পনা করতে গেলেই বজ্জাত মনের ভেতর থেকে হাজার একটা প্রুশ্ন উঠবে। কিন্তু ওদের ওঠেনা। তাই ভুল-ঠিক নেই। বরং ঠিক গুলো, পরে ভুল হয়ে যায়। কি বিশ্রি ব্যাপার। এইবারে একটা সরেস উদাহরন দিই? আমার ক্ষুদেটা ছুটির দিনে বাড়ির সবার কাছে বকুনি খায়। আমাদের দুজনের, বাপ বেটির একটা চিলেকোঠার ঘর আছে। আমরা দুজনে সেখানে ছুটির দুপুরে অনেক কিছু খেলি। কখনো ও টিনটিন আমি হ্যাডক, ও ফেলুদা আমি তোপসে এবং লালমোহন বাবু, ও হোমস হলে আমি ওয়াটসন, ও ছোটা ভিম হলে আমি ছোটা কেষ্ট, ও এরিয়েল হলে আমি সেবাস্টিয়ান, ও শঙ্কু হলে আমি অবিনাশবাবু-প্রহ্লাদ-নকুড়বাবু এমনকি রোবু। এরকমই একদিন, আমি আমাদের দুপুরের খেলার কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। তবে সেটা দেখার আগে ওই অ্যালবামের মুখবন্ধটা আপনাকে পড়াতে চাই।
"She came as a star. A star indeed. She perfectly know how to give a few seconds to us, the press photographers (I was playing as one of them), before she started her performance at the biggest auditorium in India (In this case, at our attic in the top floor of our house, on a Sunday afternoon). The spotlight was focusing her (The only smoked glass window in the small room).
Unless the post modern stage performers with a head mount microphone, our lady preferred a hand held standing device (in this case, my camera tripod), and started her show. She presented a montage of few recent hits. She was melodious, but her presentation was more like a rock star. When asked, she said, this is the launching performance of her new band - "Butterfly". If you check the time-stamps of these photos, you will see all of them were taken within 5 minutes. It was one of the very rare moments, when I had a chance to capture her on my camera."
ছবি গুলো এখানে দেখতে পাবেন -
https://www.flickr.com/photos/somnath212/sets/72157648405792635
পুঃ - আত্মপ্রচারের লোভ খুব কম লোকেই সামলাতে পারে :P
আত্মপ্রচারের ব্যাপারই নেই, সোমনাথ। খুব ভালো লাগল ছবিগুলো দেখে, লেখাটা তো ভালোই। আপনার কন্যার কল্পনাশক্তি ফুলেফলে বর্ধিত হোক এই আশীর্বাদ করি।
Deleteপ্ল্যান্টিক পড়ে খুব হাসছি। কিন্তু আপনি যে কিছু কিছু ঠিক, পরে ভুল হয়ে যাওয়ার কথা বললেন, সেটা নিয়ে ভাবছিও।
Haha ki moja pelam pore.
ReplyDelete1.Ami chotobelay 17 ke saatero boltam
2.Vabtam space theke je earth dekha jai seta to gol ekta jinis kintu lok berobe ba dhukbe kon dik diye. Eta khuub baje :(
3. Tv te chobi na ele boltam jhiljhil korche.
4. Plastic bag ke chikchika boltam.
5. Konokichu r opor diye paa diye chole jawa ke ekhono mariye jawa boli...oneke pariye jawa bole. Janina konta thik somvoboto porerta. :)
আমার ধারণা, রাখী, পাড়িয়ে মাড়িয়ে দুটোই ঠিক। এদেশীরা মাড়িয়ে বলে, ওদেশীরা পাড়িয়ে। তবে আমি ভুল হতে পারি। তোমার ভুল জানার লিস্ট পড়ে খুব মজা পেলাম। থ্যাংক ইউ।
DeleteAami chhotobela'y "Mangsher rosh" r "rosogollar jhol" boltam r Chyawanprash ke"bochonpash".
ReplyDeleteChhotobelay amar kono agroho chilo na bachcha ra kotha theke ase janbar, amar maa bodhoy aage thekei excuse baniye rekehchilo, ami jiggesh na kortei bolechilo hospital theke niye asa hoy. But ami prochur paka chhele meyeder sathe mishe echore paka hoye gechilam, tai period and jonmo rohosyo jene gechilam. In fact, amar somosya hoyechilo j maa ke kibhabe bolbo without giving away j ami jani ki hoyeche!
-Ramyani.
রস আর ঝোলের গোলমালটা খুবই যুক্তিযুক্ত, রম্যাণি। তুমি এত নলেজেবল বাচ্চা ছিলে দেখে দারুণ ইমপ্রেসড হলাম।
DeleteArre, prothom periods howar somoy amio exactly eibhabe proshno korechhilam. Omukero hoy, tosukero hoy jigesh kore kore jaliye merechhilam maa ke, money achhe. Also, amar dharona chhilo (oi vague ad gulo dekhe) je Whisper jatiyo jinish khub bhalo table mochhar kaaj korbe, karon liquid soak kore nay toh. Ogulo je asoley ki kaajey byabohar hoy, dharonai chhilo na. Maa ke onekbaar eta suggest-o korechhilam, money achhe. Maa " kano bapu, table puchhte amader nyakrai bhalo" bole eriye gechhilen.
ReplyDeleteAmi ekadharey paka ebong boka bachcha chhilam. Tai birds and bees somporke somyok kono dharona chhilo na, othocho genetically bachcha ra je baba-ma er dosh/gun/physical appearance pay seta jana chhilo. Tai ekdin maa ke proshno korechhilam je bachcha ra toh maa der pet ey thakey, tahole baba der trait gulo kottheke ashey? Maa gombhir mukhe uttor diyechhilen, "Baba ra baby der jokhon ashirbaad koren, tokhon nijeder traits gulo-o diye dan."
Ki bolbo, ami sompurno bishwas-o kortam kotha ta onekdin dhorey.
হাহাহাহা, কাকিমার যুক্তিটা দুর্দান্ত। উফ, কত রকম প্যাঁচে পড়তে হয় বাবা মা হলে, জাস্ট ভাবো একবার, বিম্ববতী।
DeleteTumi ja ekkhana topic tulechho ki bolbo…ektu boro kore comment korbo :) tomar sathe howrah stn tar jonyo high five..amar ei bhul ta dirghodin chhilo because kolkatay to bochhor e hardly 2-3 bar jetam chhotobelay. Ami Durgapur e to r ei ghotona dekhini..Kakima r moton bhul ta amaro chhilo, ami bhabtam je oi dorja dewa Oscar TV r bhetore lokjon bas kore. Ami Sunday dupure na ghumie dekhar cheshta kortam ora kokhono beroy kina!! R bhul er katha boli, amar boner class e Barnana bole ekti meye chhilo, beshirbhag meye (including amar bon) take Banana bolto; amr ma oke sudhre dile o bolto sister naki Banana I dake, onek boro boyosh porjonto sudhrano jayni!! Tabe amar husband r ami Shree er bhul sudhrai na, mone hoy ekdin to thik kore nebei- tokhon moja ta chole jabe, infact kaku r moton proshroy o dii :) moja upobhog er jonyo..tabe ami chhotobelay puropuri chhagol chhilam, in fact university teo khub kothin adult jokes bujhte partam na..tabe “bokara tinbaar hase” r moton hastam sob kicchute.. ekhon mone porle ki lojja lage... Bratati.
ReplyDeleteতোমাদের বাড়িতেও দরজাওয়ালা অস্কার টিভি! এটার জন্য হায়েস্ট ফাইভ, ব্রততী। বর্ণনা কে ব্যানানা বলাটা কিন্তু চরম। তোমার মেয়ের নামটা খুব সুন্দর রেখেছ।
DeleteEi surutei bacchader byapare jeta likhli , 16 ana sotti.. Santo bhodro baccha dekhle mone hoi eder ma baba sikkha dite pereche ar amra bodh hoi parini. Kintu biswas kor eta karo hate thake na. Bachha der moti goti bojha boro dai. Ar train ulto kore kikore jai ei confusion ta kintu amar o chilo anekdin porjonto.
ReplyDeleteমতিগতি যদি বোঝাই যাবে তা হলে আর বাচ্চা কীসের। তুই ঘাবড়াস না্ ভট্টা, টুকটুককে মনের সুখে দুষ্টুমি করতে দে।
Delete(অজানা) Full of glee, singing merrily, merrily, merrily.
ReplyDeleteঠিক ঠিক।
Deleteআরে, উনি তো কবিরের গুরু রবীন্দ্রনাথ।
ReplyDeleteকলোকী কথাটার মানে ভেবে বার করতে পারেননি, বাকিটা হচ্ছে Full of glee, singing merrily merrily merrily.
শিশুদের জন্ম দিতে গেলে মাতা পিতাকে ঠিক কি ধরণের শারীরিক মেহনত করতে হয়, সেটা প্রথম যেদিন জানতে পারলাম, সেদিন সত্যি হাঁ হয়ে গিয়েছিলাম। আপনার ভাষায়... ফেলুময়রার দশটাকা পিসের রসগোল্লার মত হাঁ।
এছাড়া জুতো কি করে ছোট হয়ে যায়, সেটাও বুঝতাম না। যেদিন মা বললেন যে জুতো ছোট হয় না, আসলে পা বড় হয়, সেদিন মাকে আইনস্টাইন মনে হয়েছিল। মুসুর ডাল ঠিক কখন লাল থেকে হলুদ হয়ে যায়, সেটা নিয়েও বেশ কিউরিওসিটি ছিল।
মুসুরডালের রং বদলানোটা সত্যিই ইনট্রিগিং, দেবাশিস। জন্মরহস্যটা সিরিয়াসলি, জন্মের মতো ভীতি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। উত্তরটা তো ঠিকই হয়েছে, সে আর বলার কিছু নেই।
Deleteকমেন্ট করতে একটু দেরী হয়ে গেল|
ReplyDeleteআমার তখন বছর তিনেক, স্কুল শুরু হয়নি, পাশের বাড়ির লাবুদিদি ফ্রেন্ড-ফিলোসফার-গাইড| তো সেই লাবুদিদিদের বাড়ির পোষা ছাগল গোটু-র মেয়ে হলো| আর তখন থেকে আমি মায়ের কাছে বায়না করা শুরু করি - আমার কবে মেয়ে হবে!! মায়ের মেয়ে আছে, জেঠিমার মেয়ে (স্বয়ং লাবুদিদি) আছে, এমনকি গোটুরও মেয়ে আছে আর আমার বেলায় ফক্কা? মা তো অনেক কষ্টে আমায় বোঝালো যে গোটু আমার থেকে বড় তাই অর মেয়ে হয়েছে আর আমি বড় হলে আমারও মেয়ে হবে| আমিও তাই বুঝে আরো বছর খানেক কাটালাম| তারপর হটাত একদিন দেখি সেই গোটু-র যে মেয়ে, তার নাম লালী, একদিন তারও একটা মেয়ে হলো| এত অভিমান হয়েছিল, মাকে বলেছিলাম আচ্ছা গোটু নাহয় আমার থেকে বড়, লালী তো ছোট, ওর-ও তো মেয়ে হয়ে গেল আমার কি হবে! কান্নাকাটি করেছিলাম কিনা মনে নেই যদিও| তবে বিয়ে আর বাচ্চা-র সম্পর্ক বুঝতে তার পরে আর বেশিদিন লাগেনি| বাবাকে জিজ্ঞেসও করেছিলাম - আচ্ছা সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর পটপট করে বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে কেন বল তো?
এছাড়াও কিছু অদ্ভূত জিনিসপত্র মাথায় আসতো| যেমন আমি ভাবতাম মামার বাড়ি আর মাসির বাড়ির লোকেরা আমাদের সামনে বাংলায় আর আমরা না থাকলে হিন্দিতে কথা বলে|
তোমার গল্পটা দারুণ, অপরাজিতা, কিন্তু তার থেকেও ভালো ছাগমাতাদের নামগুলো। বাই দ্য ওয়ে, গোটু কি গোট থেকে এসেছিল? সেটা হলে চমৎকার ব্যাপার কিন্তু।
Deleteকী সাংঘাতিক! মামামাসিরা হঠাৎ হিন্দিতে কথা বলবেন কেন! এটা সিরিয়াসলি দুশ্চিন্তার ব্যাপার কিন্তু।
darun darun !!! chhotobelai eirakom kato je bhul hote thake ar ki je sob mojar ghatona ... amar chhotobela eto koti koti bachhor age chhilo je ei muhurtye ar kichhui mone aschhe na. ekhon meyer chhotobela amar smriti dakhol kore niechhe bujhte parchhi. :-) ekta ghatona mone achhe je ami "tania" sabdo uchharon korte partam na boltam "Natia", baba , ma onekbar chesta koreo thik korate parenni... pore nijei sudhre niechhilam. ar ma gyan debar agei bondhuder kachh theke periods samporke gyan ahoron kore esechhilam ar moner modhye onek prosno jagate soja ma ke ese jiggasa korechhilam " omuk meyeder samporke ei ei bollo , e ghatona ki sotti? naki amake banie bolechhe" , ma bujhte perechhilen meye adha gyan nie esechhe tai purota khub jatno nie bujhie diechhilen...
ReplyDeleteবাঃ বাঃ, আপনার বেশ কাজের বন্ধুবান্ধব ছিল দেখা যাচ্ছে, ইচ্ছাডানা। আমাদের পাশের পাড়ায় তানিয়া নামের একটা মেয়ে থাকত, আমাদের পাড়ার পার্কে খেলতে আসত বিকেলবেলায়। তার কথা মনে পড়ে গেল আপনার কমেন্ট পড়ে।
DeleteThis comment has been removed by the author.
DeleteHehe, amar arai bocchorer konya tomato ke 'মোতাতো' ar cadbury ke '''বাক্কেরি' bole.
Deletefollow me, full of glee, singing merrily, merrilly, merrily...
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। কলোকী-টা ফলো মি হওয়া খুব স্বাভাবিক। লাইনটা পুরো জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অভীক।
Deleteএইটা আমার খুব প্রিয় বিষয় | পড়ে খুব মজা পেলাম, অবান্তরের পাঠকদের লেখা ভুলগুলোও দুর্দান্ত | আমি ছোটবেলায় অতি উঁচুদরের "বলদ" ছিলাম, এজন্য প্রচুর সহানুভূতি সমবেদনা পেতাম. | অনেক গল্প আছে বোকামোর, তার মধ্যে অন্যতম,
ReplyDelete১) একবার মা-কে ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, " বাঘের ভালো নাম যে ইংরাজিতে tiger , বাঘ জানে ? " ( সম্ভবত আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে বাঘ মাত্রই বাঙালি , এবং নিজের বাংলা নাম "বাঘ" সেটা সে অবশ্যই জানে ) | আচ্ছা, ফিসফিস করার তাত্পর্য কি বল তো ?
২) ক্লাস-এ একবার টিচার-এর প্রশ্ন ছিল , "নিষেধাজ্ঞা জারি "র মানে কি ? আমি খুবই সপ্রতিভভাবে বলেছিলাম " নিষেধ করে ধাক্কা মারা "|
৩) যারা চশমা পড়ে, তারা রাতে চশমা খুলে শুতে গেলে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন কি করে দেখে ? আমার মনে হত স্বপ্নটা ঠিকমত দেখার জন্য চশমাটা পরেই শোয়া উচিত |
৪) জন্মরহস্য নিয়ে অনেক কৌতুহল ছিল, কিন্তু আমি ভুলেও সে সব জানতে চাইতাম না, কিভাবে যেন আশপাশের লোকজনের ধরনধারণ দেখে আমার মনে হয়েছিল, এই রহস্য রহস্য থাকাই মঙ্গল |
এছাড়া আমার মেয়েদের ছোটবেলার এত মজার মজার গল্প আছে (তোমাদের বোধহয় কয়েকটা বলেছি) যে লিখতে গেলে তোমার ব্লগ crash করতে পারে |
ভালো থেকো......... তিলকমামা |
তিলকমামা, আমরা তোমার "নিষেধ করে ধাক্কা" পড়ে খুব হাসছি। উঁচুদরের বলদ আমিও ছিলাম। কাজেই সেই ব্যাপারে তোমার সঙ্গে আমার মিল আছে।
Deleteবাঘটা সামনে ছিল বলে ফিসফিস করেছিলে কি? বলা যায় না্ ওর সম্পর্কে কথা বলছ শুনলে যদি দাঁত খিঁচিয়ে এসে কামড়ে দিত, ভালোই করেছ ফিসফিস করে।
nishedh kore dhakka ! eto sei Bijigisha mane bishesh bhabe jignasa r moto .. hee hee :Papiya
Deletekhub mojar .. commentgulo equaly intersting... ami anek buro boyos porjonto "babar hotel" kothata r mane jantam, taar maa k barite ranna korte hoi na... hotel thekei khabar ase.. r amar didi "ami dur hote tomake dekhechhi, r mukh dhuye chokhe chokh rekhechhi gaito! :Papiya
ReplyDeletep.s er por boroder samne chhotoder befa(N)s kotha niye ekta post likho ...
হাহাহাহা, বাবার হোটেলের এই ব্যাখ্যাটা মচৎকার কিন্তু, পাপিয়া। তোমার কমেন্ট পড়ে, তোমার মায়ের গল্প শুনে আমি অলরেডি তোমার বাড়ির লোকদের গুণগ্রাহী হয়ে পড়েছিলাম, দিদির গানটা শুনে সেটা আরও বাড়ল।
Deletehya, tobe amar Maa er oi central board of film certification er page na dekhle cinema dekhbe na, ei batik ta besh bhoyaboho.. ei niye besh mochotkar ashantio hoyechhe.. karon ta jothariti amra du bon, amader jonyoi naki maa r deri hoye jaai yv r samne aste tai oi page ta miss hoye jai...ei bhul ta maa r chhotobela theke ei buro boyoseo r rectify holo na...
Deleteএত মিষ্টি ভুল রেক্টিফাই হওয়ার দরকার নেই, পাপিয়া।
Deleteআমি জন্ম থেকেই ভোদাই ,(মানে জন্ম থেকে কিনা জানি না তবে জ্ঞান ইস্তক ) . সব বললে মহাভারত। দু একটা নমুনা.. ছোটবেলায় বাবাই অফিস যাওয়ার সময় হাতে টাকা দিয়ে যেত(অবশ্যই সেটা আমার কাছে থাকত না পরবর্তিতে ) , আমি ৫ টাকা বা ১০takar নোট হলে খুশি হতাম না কারণ আমার লাল নোট চাই (মানে ২ takar নোট) . বোঝো!
ReplyDeleteএকবার পরীক্ষা দিয়ে ফিরছি , আমার হাতে খালি পেন্সিল বাক্স আর আমার সাথে যে ছেলেটি আসছিল তার ব্যাগ ব্যাগ এ টিফিন বাক্স , জলের বোতল ইত্যাদি বিবিধ জিনস। এবং আমরা নাকি আমাদের জিনিস বদলাবদলি করে ফিরব বাকি রাস্তা টুকু (গাড়ি দাদা একটু আগে নামিয়ে দিয়েছিল কি কারণে ) , এবং সে বাড়ির কাছাকাছি এসে আমার জিনিস পাশের রাস্তায় ফেলে দেওয়ায় আমিও তেমনটাই করি আর তাতে সে জিভ ভেংচে তার ব্যাগ তুলে নিয়ে ধা। এদিকে পেন্সিল বাক্স এর জিনিস জড়িয়ে একাকার।
এছাড়া প্রতি রোববার কংস কে এত্ত জামাকামর পরে ৯tar মদ্যে সেজে গুজে আসতে হত ভাবলেই কষ্ট পেতাম।
মুলো আর পালং একটাই সবজি বলে দীর্ঘদিন জানতাম, মানে মুলোর শাক টাই হলো পালং!
কী বিচ্ছু ছেলে! এখন রাস্তায় দেখা হলে আমার তরফ থেকেও কান মুলে দিও, প্রদীপ্তা। কংসজনিত এক্সপেকটেশনটা কিন্তু চরম। দু'টাকার নোটের কথা মনে পড়িয়ে দিলে, কতদিন দেখিনি, ইস।
DeletePradipta r post ta pore duto kotha mone porlo, tokhon 2/3 yrs, amar dharona chhilo coin khub daami r note to kagoj! ekbar keu ekjon amak 2 takar note r ar amar kakar chhelek coin diyechhilo, ami kagoj keno nebo bole char tolar janala diye fele diyechhilam! r Mulo k anekdin porjonto jantam fruit. seta class 1 er exam eo sheet kaaler duti fal er nam er talikay dhukiye diyechhilam, barite ese maa k jukti diyechhilam, keno barite je Kashmiri shawl wala asto mulo chibote chobote, tai mulo ekta fruit. :Papiya
Deleteবাবা কী রাগ তোমার, পাপিয়া, একেবারে জানালা দিয়ে বাইরে! কাশ্মীরী শালওয়ালার মুলো চিবোনো ছবিটা কল্পনা করে দারুণ আনন্দ পেলাম।
Deletekhub mojar topic niye likhecho to... ami khub besi kichu bhulbhal proshno ba kajkormo kortam bole sunini... tobe ami maa babar biyer album dekhe bolechilam " maa amar photo nei keno? amake nemontonno koroni?" ... :)
ReplyDeleteবাবামায়েদের নিজেদের বিয়েতে ছেলেমেয়েদের নেমন্তন্ন না করার এই অভদ্রতাটা যে কবে শুধরোবে, ঊর্মি।
Delete1.amar Sharona hoyechhilo angur ke thikthak garam sukiye felte parlei kismis. Class 5 Ba 6 a porte ekbar try korechhilam.. Chatu te legs jachchilo bole abar makhon diye. Ekhono likhte giye mone hochche ETA hoye pare..... Ekhon to microwave hoy...tokhon chhilo na.... Dekhi..ekbar try korbo.... Chhele ta sobe hatchhe... Ei bela sere felte hobe.... 2. Eta thekei arekta golpo mone porlo. College a porar samay ekdin ek adday katha prosonge ek bandhu bar bar bol chhilo - amul for talk. 4 5 bolay jiges korlam hya re..ETA Ki bolchhis. Kichhu ta katha bole bojha gelo se oi Boyes obdhi jantona angur fol tok. Obosyo er aro boro ekta bokamor golpo achhe..... College er babu bochhor por bideshe giye er barite gelam.. Or wife golpo korte korte janalo je tar bor er naki dharona Ami prochondo buddhiman.......obosyo to to fine
ReplyDeleteআপনি খুবই উদ্যমী লোক ছিলেন বোঝা যাচ্ছে, আমি আঙুর পেলেই খেয়ে ফেলতাম, সেটা দিয়ে কিশমিশ বানানোর চেষ্টাও করিনি কখনও।
Deleteআমূল ফল টক-টা কিন্তু মচৎকার ভুল। আর আপনার বুদ্ধির ব্যাপারটা তো আমার ভুল বলে মনে হল না।
Amar banan er bohor dekhe ei sakale amio "mochotkrito". Rater belar microwave er idea diner bela otota practical mone na holeo kal e try korechhi....failed experiment is better than never tried ones. Ektu dome gechhilam.. Kintu ekhon udyomi sobdota dekhe abar mone kor elo..thank you.
Delete"amul for talk" ta bandhuti use korto thik context ei.... Ar byaparta oke bojhate besh chap gechhilo.
Last line ta likhte giye phone tata janalo... Ota chhilo : obosyo etodine amaro buddhi pekechhe... Jokhon Dekhi keu amar somporke bhaloi bhabchhi, ha ha kore suhdre site jaina... Se jotoi bhul hok na keno :)
Uff... Ei mobile er autocorrection er chot a najehal.... Abar eke naki smart bole...
Deleteহাহা, বানান নিয়ে বিব্রত হবেন না, বোঝা যাচ্ছে দোষটা যান্ত্রিক। নিজের ভুল নিজে ধরাতে নেই কক্ষনও। কোথায় যেন পড়েছিলাম যে লোকের মাথায় বেশি বুদ্ধি নেই, আমরা তাদের নিজের সম্পর্কে যা বোঝাতে চাইব তারা তাই বুঝবে। কাজেই আমি যে ভুল সেটা আগ বাড়িয়ে বোঝাতে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।
DeleteHaha..for lekha ar commentgulo onek bar porlam..khub majar..amar chotobelar bhul kichchu mone nei...tobe mone ache bhai TV r Hindi newsreader dekhe bigyer moto mantabya korechilo - ora to hindite bari koreche.. Ar Howrah station e oto train kakhon mochor die pechon fere eta amar kacheo rahashya lagto.. bhabtam gobhir rate sabai jakhon chole jay..kichu lok train ghoray...barsha,sheet sab upekkha kore..keno k Jane!!
ReplyDeleteহঠাৎ হিন্দিতে বাড়ি করবে কেন! হিন্দিতে বাড়ি করা মানেই বা কী! জিজ্ঞাসা করে দেখছি দাঁড়া।
Deleteহাহাহা, তোর এই গভীর রাতে চোরের মতো ট্রেনের মুখ ঘোরানোর কল্পনাটা কিন্তু দারুণ, তিন্নি। দুপুরে কেন নয়, গভীর রাতে কেন, এ নিয়ে বেশ সাইকোলজিক্যাল চর্চা চলতে পারে।
Amar আড়াই bocchorer konya tomato ke 'মোতাতো' ar cadbury ke '''বাক্কেরি' bole. আর কানে কানে কথা মানে কানে কান লাগিয়ে জোরে জোরে কথা.
ReplyDeleteSteam engine jokhon chhilo, tokhon train last station e pouche gele engine detach kore, ekta rotatable line e niye giye ghuriye deoa hoto. Amar Ma jokhon college jeten tokhon canning line e steam engine cholto.
এই কানে কানে কথা বলার ধরণটা আমার দারুণ লেগেছে কিন্তু। চমৎকার মেয়ে আপনার, তীর্থ। ট্রেনের মুখ তার মানে সত্যি সত্যি ঘোরানো হত!
Deleteরায়মশাই তো তাও জানতেন আইসক্রিম ঠাণ্ডা, আমি তো তাও জানতাম না। চিরকাল দেখেছি আইসক্রিম মানে একটা লাঠির ওপর খানিকটা সাদা বা কমলা রঙের জিনিস, যেটা আমায় কক্ষনো খেতে দেওয়া হত না। এবার যদি একটা কায়দা করা কাঁচের ডাঁটিওলা বাটিতে খানিকটা গোলাপি মতন কী জানি একটা কী আমার সামনে রাখা হয়, আর সেটা থেকে আমি দেখি ফিনফিনে ধোঁয়া উঠছে, তখন আমাকে তাড়া দিলে আমি বলব না, যে আগে ঠাণ্ডা হোক, তারপর খাচ্ছি? তাতে সবার অত হাসির কী ছিল আজও জানি না বাবা! ও হ্যাঁ অনেকদিন পর্যন্ত আমি জানতাম ব্যাংক মানে মাটির তলায় একটা মস্ত বড় গর্ত, বাবা দরকার হলে সুড়ঙ্গপথে নেমে গিয়ে সেখান থেকে টাকা 'তুলে' আনেন।
ReplyDeleteহাহা, এটা চমৎকার ভুল। সত্যিই তো গরম জিনিস থেকেই তো ধোঁয়া ওঠে। টাকা তোলার এমন আক্ষরিক অনুবাদ শুনে আমি মুগ্ধ, অদিতি। খুব ভালো লাগল কমেন্ট পড়ে।
Deleteআমি ছোটবেলায় খুব অবাক হতাম এটা ভেবে, যে মোটরসাইকেল এর পিছনে বসলে (Pillion Rider আর কি) এত হাওয়া কোথা থেকে আসে ?
ReplyDeleteসংগত বিস্ময়, অভীক। মোটরসাইকেলের পেছনে বসার হাওয়াটা কিন্তু সত্যি চমৎকার। যারা বসেনি, ঠকেছে।
DeleteKabi Guru Robindranath Thakur;...singing merrily, merrily merrily
ReplyDeleteএকশোয় একশো, রুণা।
Deleteaha..darun darun. er modhye train er ulto mukhe ghorata amaro chilo. sei bhul ta jedin bhanglo khub rag hoyechilo. Ki lethargic train! ektu ghuriyeo nite pare na!
ReplyDeleteami-o chotobelay probol bolod chilam, ebong solojje sweekar korchi je ekhono jarpornai bolod achi.
ekbar chotobelay ki ekta rochona ba kichute "grihito" likhte giye khub bhasha debo bhebe "nigrihito" likhechilam. Teacher jokhon bolechilen ota bhul, ami oboshyoi pochondo sondeher chokhe takiyechilam, karon amar dharona chilo ami parotpokkhe bhul kori na. pore dekhlam sotyi barabari bhasha diye felechi.
barir chhade uthe eka eka nachtam r lafatam. upor diye aeroplane gelei songe songe theme jetam. amar drirho biswas chilo je plane theke sobai jhuke jhuke amar nach dekhche.
ek atmiyo chilen police officer. take emni dekhechi, dibyi legeche. ekdin onar bari gechi baba-ma r sathe. uni tokhon urdi pora. sobe duty theke firechen. sudhu mone ache ami puro bhoye kepechilam khater ek kona-te bose. karur dike takaioni. police uniform dekhe orokom howar ki karon ami jani na (bodhhoy bhetore chor-tor supto ache).
ar jounoshikshar bishoye amar ektu boro hoyeo bishal gyan chilo. onekta tomar moto, biyeta holo predisposing factor. school e sobai khub uttejito alochona korche oi niye. ami gombhirbhabe giye amar theory diyechilam, "sindoor porle body te chemical reaction hoy ar bacha hoye jay".
ar answer ta rabindranath thakur.
-sanchari.
অনবদ্য সব ভুল, সঞ্চারী। খালি ঘরে বসে হাসছি তোমার গৃহীত-নিগৃহীত আর এরোপ্লেন দেখে নাচ থামিয়ে দেওয়া দেখে। পুলিশের উর্দিটা একটা বয়স পর্যন্ত সিরিয়াসলি ভয়ের। আহা, চোর কেন হতে যাবে, নিরীহ ভালোমানুষরা পুলিশকে বেশি ভয় পায়, চোরেরাই বরং পাত্তা দেয় না।
DeleteBolcho? aswosto holam. Chor ache kina jani na, chor-chor bhab sholo ana ache kintu. :-)
Deleteএই চোর ভাব বলায় একটা কথা মনে পড়ে গেল, সঞ্চারী। আমার মধ্যেও আছে এই চোর ভাব, আর আমার মায়ের আক্ষেপ হচ্ছে এটা আমি ওঁর থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। এই রকম ভাবের জন্য অনেক সময়ই অনেক জায়গায় অকারণ হেলাছেদ্দার শিকার হতে হয়, আমিও হই, মা-ও হয়েছেন। আমার ব্যাপারটা অভ্যেস হয়ে গেছে কিন্তু মায়ের, কী আশ্চর্য, এখনও দুঃখ হয়। তখন মা আর এককদম এগিয়ে বলেন যে তিনি তো শুধু চোর নন, চোরের চাকর। চোরকেও লোকে অত তাচ্ছিল্য করে না, যত তাঁকে করে।
Deletehahahaha.. :-D :-D chorer chakor-ta osadharon..
Deletehelaccheddar kotha ar mone koriyo na. ekbar pizza hut na kothay jeno nijer khabar ta niye nijer table e boste jacchi emon somoy ekdol darun jhokmoke ekkere ishmart jama-porihito injiri te oti doksho chele meye ese amake bollo, "excuse me, that's our place. go and sit somewhere else." sei je foska porechilo, samne kichui bolte parini, jabbaba ami jabo keno, e ki tomar babar jayga naki! nijera onyo jaygay giye boso na" ityadi, bari ese tar pore besh koyek mas kolponay oder sathe jhogra kortam.
তুমি এই চোর চোর ব্যাপারটায় আমার কুম্ভমেলায় হারিয়ে যাওয়া বোন মনে হচ্ছে, সঞ্চারী।
Deletehahahaha.. highly.. :-D
Deleteএটা দারুন বিষয়। আমার ছোটবেলায় ভুল জানার থেকেও বেশি সমস্যা যেটা হত সেটা হলো আমি খুব লোকের কথা বিশ্বাস করে নিতাম। সে যত আজগুবি ই হোক না কেন। একটা কথা নিয়ে আজ ও আমায় খ্যাপানো হয়-- একবার খেতে চাইছিলাম না, বেগুন ভাজা র জন্যে বায়না করছিলাম, তো আমার ঠাকুমা বললেন, ওই যে পাঁচিলের ওপর ছোট্ট আমগাছ দেখছ ওটা বড় হবে, ওতে বেগুন ফলবে তবে তো সেই বেগুনের ভাজা খাবে! আমিও এক কোথায় মেনে নিয়ে বেগুন ভাজা ছাড়াই খেয়ে নিলাম! কি বোকা কি বোকা :(
ReplyDeleteএ ছাড়াও ঝুল-ঝাড়া তে ভূত থাকে, পাশের বাড়ির সাদা কালো বেড়াল যেটা রোজ টিনের চালে বসে সূর্যাস্ত দেখে সে আর-জন্মে তপস্বী ছিল (তখন রাজা ভরত এর গপ্প টা শোনা হয়ে গেছে), ইত্যাদি অনেক ধারণা ছিল।
বেগুনভাজার ভুলটা চমৎকার, স্বাগতা। আরও চমৎকার তোমার ঠাকুমার মগজাস্ত্র। খুব ভালো লাগল তোমার ছোটবেলার ভুলের কথা জানতে পেরে।
Deleteঅমলেট ইংরাজি শব্দ আর এর বাংলা হল মামলেট!!
ReplyDeleteহাহা, এটা দারুণ মিষ্টি ভুল, শুভাশিস।
Delete