সাপ্তাহিকী
We don't see things as they are, we see them as we are.
---anais nin
সেদিনই চাউমিন খেতে খেতে
অর্চিষ্মানের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ক্লাস সিক্সে পিটি ক্লাসে আমাদের ফরওয়ার্ড আর
ব্যাকওয়ার্ড ডিগবাজি খাওয়ানো হত। আমি খালি ফরওয়ার্ড ডিগবাজি খেতে পারতাম, ব্যাকওয়ার্ড
পারতাম না। আর এই মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়তে পড়তে পাসওয়ার্ড বিক্রির ব্যবসা ফেঁদে
বসেছে।
চাঁদিপুরে গিয়ে দারুণ বিরক্ত
হয়েছিলাম মনে আছে। সমুদ্রের দেখা নেই, ভরদুপুরবেলা মরুভূমির মতো বিস্তৃত বালির চরের ওপর দিয়ে হাঁটছি তো হাঁটছিই।
মনে হয়েছিল ধুস, এর থেকে পঞ্চান্নতম বার পুরী গেলে বেটার হত।
এখন দেখছি ওই সমুদ্রর পিছিয়ে যাওয়ার বিরক্তিকর অভ্যেসটাই চাঁদিপুরকে পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ অন্যরকম দশটি সমুদ্রতটের তালিকায় জায়গা করে দিয়েছে।
উইকিপিডিয়া নিয়ে লোকের নানারকম
ছুঁৎমার্গ আছে। কোনও তথ্যের সূত্র হিসেবে উইকিপিডিয়া উল্লেখ করে দেখুন, সবাই ঝাঁপিয়ে
পড়বে। আমার অবশ্য চটজলদি জ্ঞানের জন্য (চটজলদি জ্ঞানের বাইরে অন্য কোনও রকম
জ্ঞানের প্রতি আমার আগ্রহ আছে এমন দাবি আমি করছি না) উইকিপিডিয়া
ভালোই লাগে। তবে আমি উইকিপিডিয়ায় খালি বাপি লাহিড়ীর জীবনী পড়ে বেড়াই, আপনার যদি ভালো ভালো জিনিস জানার ঔৎসুক্য থেকে থাকে তাহলে এই টাম্বলারটি
ফলো করতে পারেন।
একটা সময় ছিল যখন রাত দশটা
বাজলেই আমার মাবাবা আমাকে এসে খবর দিতেন যে এইবার গণ্ডারেরা বেড়াতে বেরোবে। গণ্ডার
সম্পর্কে তখন যে আমার সম্যক ধারণা ছিল তা নয়, তবে ছবিটবি দেখে আমার ধারণা হয়েছিল প্রাণীটি বিপজ্জনক। কাজেই আমি চিন্তিত
হয়ে পড়তাম। কী সাংঘাতিক, কোথায় বেরোবে? সর্বত্রই। এমনকি আমাদের শোবার ঘরের জানালার পেছনে (যে জানালাটার পাশে আমি
শুয়ে আছি) পাঁচিলের ওপারে যে জঙ্গলটা আছে, সেখানেও।
ইনফ্যাক্ট, সেখানেই বেশি করে। সর্বনাশ। এখন বাঁচার উপায় কি?
পত্রপাঠ ঘুমিয়ে পড়া।
তারপর আমি বড় হয়ে গেলাম, গণ্ডাররা
রাইনোসরাস হয়ে গেল। লুপ্তপ্রায়, পোচারদের কাছে অসহায়,
কাজিরাঙ্গা নিবাসী রাইনোসরাস। আমার ঘুমের সময়েরও দফারফা হয়ে গেল।
মুশকিলটা হল যে ঘুম ভাঙার সময়টা একই থেকে গেল, কাজেই পরিণতি
হল চোখ লাল, মাথা ঝিমঝিম, চরম
অনুৎপাদনশীল পরের দিনের সারি। এই পরিস্থিতিতে এরকম একটা সাইট, যারা আপনার ঘুম থেকে ওঠার সময় জেনে ঘুমোতে যাওয়ার সময় স্থির করে দেয় (সে সময়ে
“বস্ বেরোবে” বলে নিজেকে ভয় দেখিয়ে ঘুমোতে পারার কাজটা অবশ্য আপনাকেই করতে হবে)
তবে সেটা সুবিধের হতে পারে।
দুহাজার উনিশ সালে আপনি যদি
অসলো শহরে বসবাস করেন আর যদি আপনার গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি করার শখ থাকে, তাহলে সে শখ আর মিটছে না।
অন্টারিও টাউনে ক্রিসমাস অলরেডি
এসে গেছে। ইভানের জন্য।
Rebecca Green er Bhooter Golpo pore mon khushi hoye gelo. Kintu bhoot ta jodi Grudge ba The Ring er moto beyara bhoot hoy tale ki hobe vabchi.
ReplyDeleteBapi Lahiri'r jeeboni. Hahahahaha. Ami akdin Game of throne er nude scene kora mohila der jeeboni porchilam. Kheye deye kaj na thakle ja hoy.
Oh ar beach er link tao darun interesting. ami konodin chandipur jaini. Prof Shanku'r Rokto Motsyo'r ghotona ta ekhanei hoyechilo na?
Deleteরক্তমৎস্যের ব্যাপারটা বোধহয় গোপালপুরে ঘটেছিল, কুহেলি। রেবেকা গ্রিনের ভূতের গল্প আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে। লিংকগুলো পড়ে ভালোলাগা জানানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Deleteami khub beshi rokomer JOMO ponthi....mane ei boyoshe to r party noy (kono boyosh ei chhilo na jodio), tabe ei weekly social get-together gulor proshonge bollam. tomar gondar- kahini r prothom part ta pore amar meyer khub recent kirti mone porlo.. yellowstone theke phire se bhabe ei jokhon tokhon bison ese porte pare r barir parking lot eo bear ese porata just a matter of time, aj noy kal asbei !!- Bratati.
ReplyDeleteহাহা, শ্রী-র বাইসনকল্পনা শুনে খুব মজা লাগল, ব্রততী। জোমোপন্থায় হাই ফাইভ।
Delete