বঙ্গ ভবন
স্টেট ক্যান্টিনে যাওয়ার খাতা যদি আবার খুলতেই হয় তাহলে চেনা স্টেট দিয়ে খোলাই ভালো, ভেবে আমরা রবিবার চলে গেলাম বঙ্গভবন। যদিও আমরা বঙ্গভবনের ক্যান্টিনে খাইনি, খেয়েছি ক্যান্টিনকে দু’ভাগ করে একভাগে বিজলি গ্রিলের যে রেস্টোর্যান্ট খুলেছে সেখানে। কাজেই এটাকে স্টেট ক্যান্টিন তালিকায় ঢোকানো যাবে কি না সে নিয়ে তর্ক চলতে পারে।
এখন দিল্লির আবহাওয়া চমৎকার রকম ভালো যাচ্ছে। ভালো মানে রিষড়ার সঙ্গে তুলনা করলে অবশ্য হবে না, যেখানে ফোন করলে ওপার থেকে ব্যাঙের ডাক শোনা যায়। কিংবা বম্বের সঙ্গে তুলনা করলেও হবে না, যেখানে দুপুরে শ্যাম্পু করলে সন্ধ্যেতেও চুল পুরো শুকোয় না। কিন্তু দিল্লির তুলনা আমি রিষড়া বা বম্বের সঙ্গে করবই বা কেন? যে কোনও তুলনাই, এই সাড়ে পঁয়ত্রিশ বছরে পৌঁছে বুঝতে পারছি, আসলে হওয়া উচিত নিজের সঙ্গে। নিজের গতকালের সঙ্গে। একমাস আগের দিল্লির আবহাওয়া কেমন ছিল? ভয়াবহ। ড্রয়ারের মারি বিস্কুট/ ডাইজেস্টিভ ফুরিয়ে গেলেও, চায়ের সঙ্গে টা না থাকলেও, বেলা চারটেয় অফিস থেকে বেরিয়ে দোকানে যাওয়ার উপায় ছিল না। আমাদের বাড়ির সামনের বুলেভার্ডে সদ্য পুঁতে যাওয়া গাছগুলো ধুলোয় ধূসর হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। আর এখন দিল্লির আবহাওয়া কেমন? সারাদিনই মেঘ মেঘ, মাঝে মাঝে টুপটাপ, এসি বন্ধ করে পাঁচ মিনিট কেন, ঘণ্টাখানেকও বসে থাকা যায়। কাজেই দিল্লির আবহাওয়া এখন চমৎকার।
অটো থেকে বঙ্গভবনের যে দরজাটার সামনে আমরা নামলাম সেখানে 'ভি আই পি এন্ট্রি ওনলি' বা ওই গোছের কিছু একটা লেখাই ছিল। তবু আমরা কেন যে ওদিক দিয়ে ঢুকতে গেলাম কে জানে। সিকিউরিটি ভাইসাব দৌড়ে এলেন। বললেন, “জনাব, ইধার সে নহি, উধার সে যাইয়ে।”
এই রকম ভালো আবহাওয়ায় গাছপালা আকাশবাতাসের থেকেও যে জিনিসটায় তফাৎ সবথেকে বেশি চোখে পড়ে তা হল মানুষের মেজাজ। রাস্তাঘাটে ঝগড়াঝাঁটি কম হয়, হর্ন কম বাজে। আমরা যে ভি আই পি না হওয়া সত্ত্বেও ভি আই পি গেট দিয়ে ঢুকছি, খটখটে রোদে হলে এর প্রতিক্রিয়া অন্যরকম হতে পারত। ভাইসাবের ভুরু তো কুঁচকোতোই, আমাদের হ্যাটহ্যাট করে তাড়িয়ে হয়তো তিনি নিজের মনে বলতেন, “অন্ধা @#৳%”" কিন্তু এখন আকাশে মেঘ, বুলেভার্ডের গাছগুলো আবার লকলকিয়ে উঠেছে, ভাইসাবের খুপরি ঘরের বাতাস সওনা বাথের কথা মনে পড়াচ্ছে না। এখন তিনি দৌড়ে এসে বললেন, “জনাব, ইধার সে নহি, উধার সে যাইয়ে।”
আমরা তাঁকে টাটা করে পাশের গেট দিয়ে ঢুকলাম। ওটাই ঠিক গেট কি না সে নিয়ে একটু দোনোমোনো ছিল, কিন্তু ওখানের দায়িত্বরত ভাইসাব হাত নেড়ে ডাকলেন। বললেন, “আইয়ে আইয়ে, মচ্ছি ভাত খাকে যাইয়ে” তখন আর কোনও সন্দেহই রইল না।
ঢোকারও আগে নাকে এল গন্ধ। পাড়ার বিয়েবাড়ির গন্ধ। ভালো ব্যবস্থাওয়ালা বিয়েবাড়ির কাছাকাছি গেলে, টিউবলাইটের আলো চোখে আসারও আগে, প্যান্ডেলের চুড়ো চোখে পড়বারও আগে, এই গন্ধটা আসে। মাংস, গরম ভাত, বেগুনভাজা মেলানোমেশানো একটা গন্ধ।
ক্যান্টিন ভর্তি ছিল। রেস্টোর্যান্টও মোটামুটি ভর্তি, যে টেবিলগুলো ফাঁকা তাতে 'রিজার্ভড' নোটিস সাঁটা। এক ভদ্রলোক তত্ত্বাবধান করছিলেন, তিনি আমাদের দেখে দয়া করে সে রকম একটা টেবিলের নোটিস সরিয়ে আমাদের বসতে দিলেন। আমরাও পত্রপাঠ অর্ডার দিয়ে দিলাম।
জোম্যাটো এসে যাওয়ার পর থেকে দোকানে গিয়ে মেনু দেখে খাবার বাছাবাছি করার ব্যাপারটা উঠেই গেছে। যে সব জায়গাইয় প্ল্যান করে যাওয়া হয়, সে সব জায়গায় গিয়ে কী খাব সেটাও প্ল্যান করাই থাকে। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় খাওয়ার থেকেও খাওয়ার প্ল্যানিংটা বেশি আনন্দের। বেড়াতে যাওয়া আর বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানিং-এর মতো। শুক্রবার বাড়ি ফিরে শুয়ে শুয়ে বুকের ওপর ল্যাপটপ খুলে রাধাবল্লভী খাব না লুচি, সেইটা ভাবা, সত্যি সত্যি রাধাবল্লভী আর লুচি খাওয়ার মতোই কি তার থেকে একটু বেশিই ভালো। আমরা ঠিক করে এসেছিলাম যে শাক ডাল তরকারির ফেরে পড়ব না। ওসব বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া যায়। আমরা এমন ফেরে পড়তে চাই যেগুলোতে বাড়িতে পড়া যায় না। বা পড়তে গেলে কষ্ট করতে হয়। সেই মতো আমরা খাওয়া শুরু করলাম মশলা কোক আর ফিশ (ভেটকি) ফ্রাই দিয়ে। মেন কোর্সে রাধাবল্লভী + আলুরদম কম্বো, আর লুচি + মাংস + রসগোল্লা কম্বো।
কেমন লাগল বলার আগে দুচারটে কথা বলি। কিছুদিন আগে আমার একজন প্রিয় মানুষ আমাকে একটা কথা বলেছেন যেটা আমাকে ভাবিয়েছে। তিনি বলেছেন আমার ব্লগ পড়ে মনে হয় আমি যেখানে যেখানে খেতে যাই সব জায়গাই আমার দারুণ লাগে। এমন কোনও জায়গায় কি আমরা খাই না যেখানে খারাপ লাগে? আমি বললাম, "লাগে তো।" তিনি বললেন, "তখন কী কর?" আমি বললাম, "চেপে যাই।" (বইয়ের ক্ষেত্রেও একই নীতি আমার। যেগুলোকে ভালো বলা যায় সেগুলোকে ভালো বলি, খারাপ লাগা বইগুলোকে জিহ্বার তল করে রেখে দিই।) তখন তিনি বললেন যে এতে করে আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ জাগতে পারে।
আঁতকে উঠলাম। ঠিক করলাম এবার থেকে হাততালি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যা যা খারাপ লাগবে সেগুলোও বলব। এই পোস্টে বঙ্গভবনের খাবারের দু’চারখানা নিন্দে শুনলে কেউ ভাবতে পারেন যে আমি কাঁকড়ার মতো আচরণ করছি, তাই ভেঙে এত কথা বললাম। বাঙালি দিয়ে শুরু করছি, কিন্তু এর পর থেকে গুজরাটি, মারাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল, ইংরেজ, অ্যামেরিকান কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।
বাঙালি দোকানে খেতে যাওয়ার আকর্ষণ শুধু খাবারের নয়। আরও একটা সুবিধে আছে। দুঃখের বিষয়, সেটা বললে আমি যে কাঁকড়া, তা অপ্রমাণ করার আর কোনও জায়গা থাকবে না। তবু বলছি। যেহেতু ভাষাটা বোঝা যায়, তাই না চাইতেও আড়ি পাতা হয়েই যায়। আর দারুণ দারুণ সব কথোপকথন (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বক্তৃতা) কানে আসে। যেমন অর্চিষ্মানের পেছনে বসা সত্তর দশকের সৌমিত্র মার্কা চশমা আঁটা ভদ্রলোকের কাসুন্দি প্রস্তুত প্রণালী নিয়ে বক্তৃতা। যেমন ইনফরমেটিভ তেমনি এন্টারটেইনিং। (আমি অর্চিষ্মানের সঙ্গে বাজি ধরতে রাজি ছিলাম কাসুন্দি তো দূরের কথা, উনি লাইফে এক পিস বেগুনও ভাজেননি। অর্চিষ্মান রাজি হল না। তখন আমি বললাম আচ্ছা এইটা নিয়ে বাজি ধরা যাক যে যদি উনি আদৌ বেগুন না ভেজে থাকেন তবু বেগুন ভাজা নিয়ে বলতে বললে পাঁচ মিনিট না থেমে বলতে পারবেন। অর্চিষ্মান এতে আমার সঙ্গে সহমত হল কাজেই আর বাজি ধরতে হল না।) একটাই সান্ত্বনা যে আমাদের নিয়েও সবাই কথা বলে। এই সেদিনও তার প্রমাণ পেলাম। কোণের টেবিলের একদলকে কিছুক্ষণ ধরে জরিপ করে অর্চিষ্মানকে তাদের নামে কীসব যেন বলছি, এমন সময় হঠাৎ চোখ পড়ে যাওয়াতে দেখলাম ওই টেবিল থেকেও একজোড়া চোখ আমাকে দেখছে। আমার চোখে চোখ পড়া মাত্র চোখজোড়া সরে গেল, ঘাড়টা ষড়যন্ত্রের ভঙ্গিতে সঙ্গীর দিকে একটু ঝুঁকে পড়ল আর ঠোঁটদুটো নড়তে লাগল। কাঁকড়া কাঁকড়া কাটাকাটি, আমার বিবেক আবার তকতকে।
মাছভাজা এল। তপ্ত। ফ্লেকি। দামের দুঃখ ভুলিয়ে দেওয়া। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সুখের প্রতি আমরা বেশিক্ষণ মনঃসংযোগ করতে পারলাম না। তার কারণ মাছভাজার প্লেটের দক্ষিণ পশ্চিম কোণের সাদা বাটিটার ভেতরের ওই হলুদ রঙের পদার্থটা।
কাসুন্দি আমি অনেক খেয়েছি। নিয়মিত খাই। কাসুন্দি আমার ফেভারিট টাকনা। বিলিতি মেয়ো, কেচাপ, দিশি আচার, চাটনি, আরও যা যা হয়, সবের থেকে আমি কাসুন্দি বেশি পছন্দ করি। হোমমেড বিশুদ্ধ কাসুন্দি খেয়েছি, বোতলে পোরা জোলো কাসুন্দি খেয়েছি, চেনা ব্র্যান্ডের কাসুন্দি খেয়েছি, অচেনা ব্র্যান্ডের কাসুন্দি খেয়েছি। কিন্তু বলতেই হবে, দিল্লির বঙ্গভবনের বিজলি গ্রিলের কাসুন্দির মতো কাসুন্দি আমি কোত্থাও খাইনি। চেহারা দেখে বাকি সব কাসুন্দির মতোই লাগল, তাই আমি দু’চামচ ভরে ভরে কাসুন্দি তুলে থালার পাশে নিলাম। অর্চিষ্মান কাসুন্দির পাশে কেচাপও নিল দেখে মুচকি হাসলাম। এইবার বাগবাজার দেখবে বরিশালের খেল। তারপর মাছভাজার ছোট একটা টুকরো কাঁটায় গেঁথে, সেটাকে এপাশ ওপাশ বেশ করে কাসুন্দিতে চুবিয়ে মুখে পুরলাম। মুখে তোলার পথে টুকরো থেকে এক ফোঁটা কাসুন্দি টুপ করে থালার ওপর পড়ল।
তারপর যেটা হল সেটা বাড়িতে হলে আমি হাতের কাঁটা ছুঁড়ে ফেলে, "মাগো, মেরে ফেলল গো" চিৎকার করতে করতে বাথরুমে গিয়ে কল খুলে তার তলায় মাথা পেতে দিতাম নির্ঘাত, কিন্তু এটা রেস্টোর্যান্ট। আমি আস্তে করে কাঁটাটা নামিয়ে রাখলাম। দু’হাত তুলে মাথা চেপে ধরে চোখ বুজলাম। আগুনের মতো ঝাঁজ আমার জিভ, গলা, ঘাড়, মাথার পেছন বেয়ে ব্রহ্মতালুতে পৌঁছল। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম আমার মাথার ভেতরের নিউরনগুলো ইলেকট্রিক শক খাওয়ার মতো পটপট করে ফুটছে।
অর্চিষ্মান বলল আমার চোখগুলো নাকি কাপালিকের মতো আর নাকখানা নাকি টমেটোর মতো লাল হয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে কেচাপের সঙ্গে মিশিয়ে একটুখানি কাসুন্দি অর্চিষ্মানও মুখে দিয়েছে। ও টেবিলের ওপর থেকে হাত বাড়িয়ে আমার হাতদুটো ধরে বলল, “আর খেয়ো না কুন্তলা, প্লিজ। তোমার কিচ্ছু প্রমাণ করার দরকার নেই।”
এর পরেও অল্প অল্প কাসুন্দি খাইনি যে তা নয়, কিন্তু অল্প মানে অল্পই। আমাদের করা হয়নি, আপনারা যদি কেউ বিজলি গ্রিলে খেতে যান আর মাছভাজা অর্ডার করেন, তাহলে জিজ্ঞাসা করবেন তো ওঁরা কোথা থেকে কাসুন্দি আনান। তারপর আমি আপনার থেকে জেনে নেব।
তারপর প্ল্যান মতো এল রাধাবল্লভী + আলুরদম আর লুচি + মাংস + রসগোল্লা। অত বড় রাধাবল্লভী আমি আগে দেখিনি। অর্ধেক খেতে না খেতেই পেট ভর্তি। সদ্য ভাজা, গরম, নরম। আলুরদম তো খারাপ খেতে হওয়ার কোনও কারণ নেই। হয়ওনি, বরং খুবই ভালো হয়েছিল। লুচিও লুচির মতোই খেতে, এক প্লেটে ছ’পিস। পাঁঠার মাংসও ভালো, তবে এর থেকে নরম করা যেত। আর মাংসে আলু নেই, সেটার জন্য আমি নম্বর কাটলাম।
এক প্লেট লুচি + মাংস + রসগোল্লার কম্বোতে যে একটা রসগোল্লাই আসবে, সেটা আমাদের মাথা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা একটা দই নিলাম। দুটোই হাফ-হাফ করে খাওয়া হল।
রসগোল্লাটা তুলোর মতো নরম, অল্প মিষ্টি। একশোয় একশো। মিষ্টি দইয়ের নম্বর নিয়ে আমার আর অর্চিষ্মানের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে। আমি বলেছি রসরাজের থেকে ভালো (রসরাজ হচ্ছে আমাদের পাড়ার মিষ্টির দোকান, কাজেই আপাতত পৃথিবীর সব বাঙালি মিষ্টির বেঞ্চমার্ক) অর্চিষ্মান বলেছে রসরাজের মতোই।
তারপর মৌরি, চিনি, বিল, কার্ড। তার পর আমাদের নেহরু প্ল্যানেটোরিয়ামে গিয়ে সাড়ে তিনটের শো দেখার প্ল্যান ছিল, কিন্তু অটো ডেকে প্ল্যানেটোরিয়ামে যেতে যেতে, লাইনে দাঁড়াতে দাঁড়াতে, মিহি গলায় “পাপা পাপা, মুন দিখায়েগা কেয়া?” শুনতে শুনতে, কাউন্টারের সামনে পৌঁছতে পৌঁছতে টিকিট ফুরিয়ে গেল। কাজেই সেই গল্পটা আজ বলা যাচ্ছে না, পরে কোনও দিন হবে।
*****
প্ল্যানেটোরিয়াম যাওয়ার পথে অটো থেকে কয়েকটা ফোটো তুলেছিলাম। সেগুলো দেখাই আপনাদের। আমাদের প্রোজেক্টে যাঁরা টাকা ঢালেন (অর্থাৎ ঘুরিয়ে আমাদের মাইনে দেন) তাঁরা এইসব রাস্তাঘাট দেখে হতাশ হয়ে বলেন, “বাট দিস ইজ নট রিয়েল ইন্ডিয়া!” আমরা তখন তাঁদের চাঁদনি চকে পাঠিয়ে দিই। সেখানে ভিড়ের ধাক্কা আর গরুর গুঁতো খেয়ে ভীষণ খুশি হয়ে দেশে ফিরে গিয়ে তাঁরা পরের প্রোজেক্টটা পাস করে দেন।
এই রসরাজ কিধার হ্যায়? প্রত্যেক পাড়ায় একটা রসরাজ থাকে? কালকে রিষড়া গিয়ে মিষ্টি দই আম্মো খেয়েছি, তবে শুনলুম ওটা ফেলা ময়রার।
ReplyDeleteএটা সি আর পার্কের, শাল্মলী। রিষড়া গিয়েছিলেন? দারুণ তো।
Deleteআবার আপনি হলাম কবে থেকে? রিষড়ায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গেলাম,এবং আবার যাবো ঐ মিষ্টির লোভে।
Deleteসরি সরি। ফেলু ময়রার সত্যি জবাব নেই। সব রসরাজের কান কেটে নিতে পারে।
Deleteহাই ফাইভ
DeleteEkdom robibarer khawa dawa ... perfect! Pune te eyi ekta jinish er boddo obhab ... bhalo bangali restaurant. Bijoli grill er fish fry toh famous.
ReplyDeleteফেমাস হওয়ার মতোই, শর্মিলা। আরেকটা জিনিস ওঁরা কলকাতার বিয়েবাড়িতে করেন, গরম সন্দেশ, সেও মচৎকার।
Deletekasundi amar o khub favourite,aam kasundi hole to....jag ge..
ReplyDeleteরসগোল্লাটা তুলোর মতো নরম, অল্প মিষ্টি।
ei to didi,ghoti der fade pore gelen.chaa chaa.
planetarium jabar chobi gulo khub sundor.
prosenjit
থ্যাংক ইউ, প্রসেনজিৎ।
DeleteAchha tomar ei bhalo weather ta Delhi tei simaboddho keno go? Amra toh Gurgaon teh mara porchhi! Chhite phonta brishti hochhe 2-3 din por por! Jamon gorom tamon rod! Boli hochhe ta ki?
ReplyDeleteআরে রুণা, আমি নিশ্চিত গুড়গাঁওতেও যা ওয়েদার, দিল্লিতেও তাই। তবে বাকি সব বিষয়ের মতোই আমি আবহাওয়ার ক্ষেত্রেও আমার প্রত্যাশা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছি কিনা তাই ছিটেফোঁটা ঝরলেই উত্তেজিত হয়ে পড়ি।
DeleteHaha. Chandni Chowk er idea ta bhalo kintu. Amrao amader saheb colleague der hoy Chandni Chowk noy Dilli Haat pathiye diyi. Beshi somoy thakle Delhi-Agra expressway dhore soja Taj Mahal.
ReplyDeleteEkbar biyer season ey ekta haati heledule rasta diye jachchilo, pechhoner sob gaari der jam koriye. Amar ek bondhur sei jam ey fnese apish pouchhote deri holo. Kalapanir opar theke saheb colleague jigesh korlo derir kotha. Amar bondhu gombhir mukhe bollo rastay haati chhilo bole apish ashte deri hoyeche. Tatey sei saheb emon obaak holo, puro call ey ar ekta kothao bolte parlo na. :D
হাহা, হাতির গল্পটা ভালো, বিম্ববতী। আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল আমাদের রাস্তায় সত্যি সত্যি গরু চরে কি না। আমি বললাম, চরে। তারপর সে জিজ্ঞাসা করল যে আমরা সেই সব গরুদের দেখলে ভক্তিভরে নমো করি কি না (মানে ঠিক এই ভাষা ব্যবহার করেনি, কিন্তু মূল ভাবটা এইটাই ছিল।) আমি এখনও শিওর নই ভদ্রলোক সিরিয়াস ছিলেন না আমাকে চাটছিলেন।
Deleteরাষ্ট্রপতি ভবনের ছবিটা একেবারে একশোয় একশো :)
ReplyDeleteএকবার ব্রিটেন থেকে মাসির আনা ইংলিশ মাস্টার্ড খেয়ে আমার অমনি ব্রহ্মতালু অবধি দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল, সত্যি বলছি|
আর বলে কি ? রাষ্ট্রপতি ভবন নট রিয়াল ইন্ডিয়া? মাথা মুড়িয়ে ঘোল ঢেলে দিতে হয় এদের .. আপনারা স্রেফ চাঁদনী চকে পাঠান, আমি হলে অফিস টাইমে বনগা লোকালে ঠুসে দিতাম |
হাহা, অফিসটাইমের বনগাঁ লোকাল হলে এদের রিয়েল ইন্ডিয়া দেখার শখ সত্যি সত্যি মিটবে।
DeleteTomader Rosoraj, amader barite seta Mahaprabhu.
ReplyDeleteAmi ei sedin office theke akta kasundi kine enechi. ami ghoti holeo oi brohmotalu te shock deya type kasundi amar bepok lage, nak fak diye jol goriye porbe, aha ki moja. kintu ato dhoper kasundi je chhipi khule golaye dhele dileo akfota jhaj lagbe na.
last paragraph ta pore khub haslam. amaro kolkatar oi Fort William side ta darun lage. Military der bepar separi alada.
সিরিয়াসলি কুহেলি, বোতলে পোরা কাসুন্দিগুলোর কোনও ঝাঁজই নেই। সেই খেয়ে খেয়ে অভ্যেস খারাপ হয়ে গেছে।
DeleteMisti mukh er sukh je ekta misti die hoina seta oder bojha uchit chilo.
ReplyDeleteBongobhobon er feedback book e manshe alu r byaparta janie rakha dorkar. Manshe alu na dewa bhul e noi, paap.
হাই ফাইভ, হংসরাজ।
Deleteঅন্বেষাদেবীর মত বিলিতি সর্ষেবাটা খেয়ে আমিও "মাগো, মেরে ফেলল গো" ধরনের চেঁচামেচি করেছিলাম।
ReplyDeleteকিন্তু বিজলি গ্রিলে খেলেন আর বিরিয়ানি খেলেন না? চোদ্দ আনাই বৃথা।
দিল্লি হাটের বিজলি গ্রিলের সাথে একটা তুলনাত্মক রিভিউ দিন তো।
তুলনাত্মক রিভিউ হচ্ছে দিল্লি হাটের বিজলি গ্রিলের মতো বঙ্গ ভবনের বিজলি গ্রিলের খাবার টেবিল আধা অন্ধকার নয়, আগের খাইয়েদের স্মৃতিমেদুর উচ্ছিষ্ট টেবিলে পড়ে থাকে না আর পাতের ওপর বিনবিন করে মশা ওড়ে না। ব্যস। বাকি সব এক।
Deletebah bah , khide peye gelo kintu :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, প্রদীপ্ত।
Delete