শিম টুর, পাহাড়গঞ্জ
লেফট টার্ন ফ্রি নেহি হ্যায়। গভীর খেদের সঙ্গে জানালেন ভাইসাব। ভাইসাব সি আর পার্কের সবগুলো লাইট ভাঙতে ভাঙতে গেছেন, আর সি পি-র সবগুলো লাইটে দাঁড়াতে দাঁড়াতে। ক্ষমতার কাছাকাছি গেলে দুর্দান্ত অটোওয়ালাদেরও সামলে চলতে হয়। সিগন্যাল হল আর আমরাও বাঁয়ে বেঁকে পঞ্চকুইয়া রোডে এসে পড়লাম।
কনট প্লেস আর পঞ্চকুইয়া রোডের মধ্যে তফাৎ মোটে একটা লেফট টার্নের, কিন্তু সন্ধ্যের চেহারায় তফাৎটা সকাল দশটার এসপ্ল্যানেডের সঙ্গে রাত আটটার রিষড়ার বাড়ির সামনের রাস্তার মতো। এই সাদা থামওয়ালা প্রাসাদের গা-ঝলসানো আলো, এই ফ্লাইওভার চেরা অন্ধকার রাস্তা। ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে ওপাশের উঁচু ফ্ল্যাটের জানালায় ম্লান আলো। টিউবলাইট মোছা হয়নি অনেক দিন। আমরা যেমন বিকেলে দাদুর চপ খেতে যাই, এসব বাড়ির লোকেরা তেমনি কনট প্লেসে মর্নিং ওয়াকে যায়। অথচ জানালার সাইজ আর আলোর ভোল্টেজ থেকেই স্পষ্ট এগুলো সরকারি ফ্ল্যাট। কী যে ভালো লাগে আমার এসব জায়গায় সরকারি ফ্ল্যাট দেখতে। সি পি-তে, জোড়বাগে। পয়সার সঙ্গে রিয়েল এস্টেট লোকেশনের সরল সম্পর্কটাকে পেঁচিয়ে দেওয়ার স্পর্ধা যদি কারও থাকে তাহলে সে শুধু সরকারি আবাসনের।
ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে ডানদিক নিয়ে ঢুকে পড়লাম রামদোয়ারা রোডে, আর তক্ষুনি পঞ্চকুইয়া রোডের সঙ্গে তফাৎটা হয়ে গেল তিনখানা বড়বাজারের যোগফল আর আমাদের পাড়ার পুকুরঘাটের।
আমরা যাচ্ছি পাহাড়গঞ্জের কোরিয়ান রেস্টোর্যান্ট শিম টুর-এ। দিল্লিতে যে ক’টা কোরিয়ান খাবারের দোকান আছে তার মধ্যে শিম টুর রেটিং-এর বিচারে রীতিমত ওপর দিকে, দামের বিচারে বেশ তলার দিকে কাজেই আমাদের মতে পারফেক্ট।
জি পি এস না দেখে শিম টুর-এ পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। জি পি এস দেখেও বেশ শক্ত। মেন বাজার রোড থেকে ডানদিকে ঘুরে মুশতাক রাই খান্না মার্গ পর্যন্ত অসুবিধে হবে না। ওপচানো ভ্যাট, দুর্গন্ধ, ভাঙাচোরা রাস্তা, নাম কা ওয়াস্তে আলো। পাহাড়গঞ্জের আর পাঁচটা গলির মতোই। কিন্তু তারপর যে জায়গাটায় গিয়ে ন্যাভিগেশন বলবে, নাউ টেক রাইট, তখন আপনি থমকাতে বাধ্য। ঠিকানা অনুযায়ী এটার নাম টুটি গলি, কিন্তু এ তো গলি নয়, এ তো দুটো ভাঙাচোরা বাড়ির দেওয়ালের মাঝখানের ফাঁকা জায়গা। কোণের পানের দোকান থেকে একজন আপনাদের দিকে নজর রাখবেন। মনে মনে গুনবেন, এক দো তিন চার পাঁচ… দশে পৌঁছনোর অনেক আগেই আপনি এগিয়ে যাবেন তাঁর দিকে আর জানতে চাইবেন, ভাইসাব ইয়ে নভরং হোটেল কেয়া…
শিম টুর এই নভরং হোটেলেরই দোতলায়।
সিধে যাকে রাইট।
টুটি গলিতে পা দিয়ে আপনি বুঝবেন বেসিক্যালি ওটা একটা বাথরুম। চারপাশ থেকে অ্যামোনিয়া এবং আরও যা যা দেহনিঃসৃত অ্যাসিড, ক্ষার, ক্ষারকমিশ্রিত হাওয়া আকাচা মাফলারের মতো আপনার নাকমুখ পেঁচিয়ে ধরবে। দশ পা গিয়ে গলি টুটে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছে, নাকের জ্বলুনি আর সহ্য করা যাচ্ছে না, হাতের জি পি এস দপদপাচ্ছে, ইউ হ্যাভ অ্যারাইভড! কিন্তু কোথায়? কোথায় নভরং? কোথায় শিম টুর?
এমন সময় আরেকজন। আধময়লা শ্যাওলা সবুজ টি শার্ট, টাকমাথা, সামান্য ভুঁড়ি। হাত দুলিয়ে ডানদিকের অন্ধকার থেকে আলোয় বেরিয়ে এলেন। আপনাদের দিকে তাকিয়ে হাসছেন। ফ্রেন্ডলি হাসি দেখে আপনি ভাবছেন এঁকেই পাকড়ানো যাক, নভরং কাঁহা হ্যায়, এমন সময় উনি অবান্তর প্রশ্নের পারম্পর্য ভেঙেচুরে মোদ্দা কথায় গিয়ে পড়বেন।
কোরিয়ান খানা হ্যায়? উধার।
ডানদিকে দু’পা হেঁটে একটা বাড়ির মাথায় লেখা নভরং হোটেল। রিসেপশনের কাউন্টারের ওপর উল্টোনো নীলকমলের ভাঙা চেয়ার বুঝিয়ে দিচ্ছে আপাতত বন্ধ। আর তারই মধ্যে দেওয়ালের গায়ে ভীষণ, ভীষণ আবছা অক্ষরে লেখা শিম টুর। পাশে কয়েকটা সরলরেখার কাটাকুটি আর একটা তীরচিহ্ন। এবার সত্যিকারের সারি সারি বাথরুমের পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়ে একটা সিঁড়ি, সিঁড়ির গায়ে লাল হলুদ নীল সবুজ উজ্জ্বল রঙে আঁকা ঢোলা শার্ট আর সারং পরা হাসিমুখ প্রাচ্য মানুষমানুষী নাচের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। দোতলায় উঠে ডানদিকে এয়ারকন্ডিশনড বসার জায়গা, বাঁদিকে ওপেন রেস্টোর্যান্ট।
এখন দিল্লির সন্ধ্যেবেলায় এসিতে বসার কোনও কারণ নেই। ওপেন রেস্টোর্যান্টে ঢুকে চোখ জুড়িয়ে গেল। পরিষ্কার, আলো ঝলমলে। গাছ, ছবি, বইয়ের আলমারি দিয়ে সুন্দর করে সাজানো। দেওয়ালে হাতে আঁকা ভারতের ম্যাপ। সব রাজ্যের নাম ইংরিজি এবং কোরিয়ানে লেখা।
বিভিন্ন রাজ্যের সীমানার ভেতর উল্লেখযোগ্য জিনিসপত্রর ছবি আঁকা আছে, যেমন ওডিশায় রথ, বিহারে বুদ্ধদেবের মুখ। পশ্চিমবঙ্গে চার্চ আর যিশুখ্রিস্ট দেখে আমার প্রথমেই মাথায় এল ব্যান্ডেল চার্চ। তারপর মনে পড়ল কলকাতাতেও আছে বটে খানকয়েক চার্চ। কলকাতা রিষড়া বাদে আরও অনেক জায়গাতেই নিশ্চয় আছে। কোন চার্চের কথা মনে করে এই ছবিটা আঁকা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে আপনার?
শিম টুর-এর মেনুর বিখ্যাততম আইটেম নিঃসন্দেহে সাম কিয়াপ সল বা কোরিয়ান বার বি কিউ। ব্যাপারটা অত্যন্ত সরল, আগুনে সেঁকা পর্ক, কিন্তু আয়োজন চমৎকার। বাঁ থেকে ডানে যথাক্রমে কাঁচা পর্ক, লেটুস, পিকলড শসা (ওপরের বড় প্লেট), এগরোল, মাঝের চারটে ছোট ছোট খোপে কোরিয়ান লাল সস (এটার নাম পরিবেশক তিনবার বলার পর আর জিজ্ঞাসা করিনি), কাঁচা রসুন, কাঁচা লংকা, আর একরকমের নুনের মিশ্রণ। আর কিমচি। আর স্টিলের চপস্টিক। খুবই ইকো ফ্রেন্ডলি। আর সবার পর এল রান্নার সবথেকে জরুরি উপকরণ। উনুন। উনুনের নিচে একটা ফানেলের মতো করা আছে সেখান থেকে ফ্যাট গড়িয়ে সোজা কাগজের কাপে পড়বে।
রান্নাটা যে টেবিলেই হবে সেটা আমরা জানতাম। এমন কিছু হাতিঘোড়া ব্যাপার নয় হয়তো, কিন্তু আমরা রান্না করার মুডে ছিলাম না। ভদ্রলোক বললেন তিনি সাহায্য করবেন।
প্রথম ব্যাচে প্লেটে একটা একটা করে পর্কের টুকরো পড়ল। আমরা কাঁপা কাঁপা চপস্টিক দিয়ে সেগুলো তুলে লাল সসে চুবিয়ে মুখে পুরলাম। সদ্য পোড়ানো মাংস খেতে খারাপ লাগার কোনও কারণ নেই, লাগলও না। কিন্তু ভদ্রলোক দেখলাম রান্না থামিয়ে দিলেন। হাতের চপস্টিক নামিয়ে রেখে উনুনের আঁচ কমালেন। তারপর একখানা লেটুস হাতে নিয়ে তার ওপর একখানা রান্না হওয়া মাংসের টুকরো, তার ওপর লাল সস, আর তিনখানা রসুন রাখলেন। তারপর গোটা ব্যাপারটা মুড়ে একজনের হাতে তুলে দিলেন।
বললেন, একবার মে খা লিজিয়ে।
আমার সন্দেহ ছিল রসুনটাকে নিয়ে। আমার বাবাকে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কাঁচা রসুন খেতে দেখছি আমি গত তিরিশ বছর ধরে, আমাকেও যে মাঝে মাঝে ওই অত্যাচার সহ্য করতে হয়নি তা নয়। কিন্তু তা বলে তিনচারটে কাঁচা রসুন একসঙ্গে চিবিয়ে খাওয়াটা একটু বাড়াবাড়ি। আমি বাকিটুকু ভদ্রলোকের দেখাদিখি করে রসুন তিনটের জায়গায় একটা নিলাম। তারপর লেটুস পাতার পানে খিলি বানিয়ে মুখে পুরে দিলাম।
অমনি সেঁকা পর্কের তাপ, লেটুসের কচকচে ঠাণ্ডা, কোরিয়ান লাল সসের টক মিষ্টি মদের গন্ধ আর কাঁচালংকা আর রসুনের ঝাঁজ মিলিয়ে মিশিয়ে যে ম্যাজিকটা ওপর ঘটল জিভের ওপর, কোনও পর্কের, সে যত ভালো কোয়ালিটিরই হোক না কেন, সাধ্য ছিল না একা হাতে সেটা করার।
শিম টুর-এ কোরিয়ান বার বি কিউ-র নিয়ম হচ্ছে এটা একবারে দু’প্লেট অর্ডার করতে হয়। স্কেল ইকনমির ব্যাপার থাকে বোধহয়। একবারে শুধু এক প্লেট রান্না করা বোধহয় জ্বালানি ইত্যাদির জন্য অপটিমাম নয়। যাই হোক, তিনজনে মিলে দু’প্লেট মাংস সাবাড় করতে আমাদের কোনও কষ্টই হল না। বরং ঠিক হল সেফটির জন্য আরও কিছু খেয়ে নেওয়া যাক। এখন পেটে জায়গা নেই ঠিকই কিন্তু তা বলে পরেও থাকবে না এমন তো কেউ বলেনি। মাঝরাতে খিদেয় ঘুম ভেঙে গেলে সর্বনাশ।
শিম টুর-এর মেনুতে বাকি মেন ডিশ বেশিরভাগই ভাতের সঙ্গে আসে। আর ভাত খাওয়ার ইচ্ছে আমাদের ছিল না। সুশি নেওয়া যেত। কিন্তু শিম টুর-এর সুশি নিরামিষ। সেটাও ইচ্ছে ছিল না। শেষমেশ আমরা অর্ডার করলাম সিফুড প্যানকেক। প্যানকেক কাটার জন্য এল একটা জাঁদরেল কাঁচি আর ডুবিয়ে খাওয়ার জন্য সয়া সস। আমি লোভে পড়ে বড় একটুকরো নিলাম বটে কিন্তু শুরু করেই বুঝলাম আমার দ্বারা আর হবে না। পেটের ভেতর পর্করা আরাম করে হাত পা ছড়িয়ে বসেছে। আর কাউকে জায়গা দিতে নারাজ। কাজেই স্কুইডগুলো প্যানকেক থেকে তুলে তুলে খেয়ে নিলাম।
তিনজনে খেতে শিম টুর-এ আমাদের খরচ পড়ল এগারোশো পঁচানব্বই। এই দামে এত ভালো এক্সোটিক খাবার দিল্লিতে পাওয়া শক্ত। তাছাড়া এক্সোটিক লোকেশনের দামও তো ধরতে হবে? শিম টুর শুধু খাওয়া নয়, শিম টুর হছে দিল্লির বুকে একখানা ছোটখাটো কোরিয়ান অ্যাডভেঞ্চার। আপনাদের সে অ্যাডভেঞ্চারে রুচি থাকলে যেতে পারেন।
The Shim Tur
*****
Ami kokhono Korean food khaini. B'lore e du ekta jayega ache kintu Pune te neyi. Bbq khawar dhoron ta besh bhalo. Oi dhokar rasta ta e ektu shanghatik mone holo.
ReplyDeleteসাংঘাতিক বলে সাংঘাতিক, শর্মিলা। তবে নাকচোখ বুজে একবার উঠে গেলে খাবারে পুষিয়ে দেবে।
DeletePune te ache sharmila.Aundhe.ami kheyechi,tobe choto.
DeleteAundh-e Korean? Kothai bolun to?
Deleteiti
Suteertho
Tumi dhonno.. mane tomra. ami oi bathroom er gondho peyei about turn kore chole astam.. hoyto onno kothao biriyani khey nitam.. sei jonnoi tomader kopale eto bhalo bhalo khabar experience hoy... uff oi patay mora bbq ta dekhe sotti jive jol ese gelo go... tobe hya.. ami bolechilam ei khabar jayga khojar bapare tomar theke inspired hocchi... kichudin agei salt lake e ek khana boi potro sajano darun cafe ber korechi.. khub bhalo legeche..
ReplyDeleteকেয়া বাত কেয়া বাত, ঊর্মি। কী নাম রে দোকানটার? আমার অবশ্য সল্ট লেকের দিকে যাওয়ার কোনও কারণ নেই, তবু যদি কোনওদিন যাওয়া হয়, তোদের খুঁজে বার করা দোকানে যাব।
Deleteota hocche "Terminal 11". zomato te besh bhalo review.
Deleteআচ্ছা। যদি কোনওদিন সুযোগ পাই যাব।
Deleteআমিও গত প্রায় চল্লিশ বছর থেকে খেয়েই চলেছি, খেয়েই চলেছি... কিন্তু এত সুন্দর লিখতে পারলাম কই!
ReplyDeleteআপনি একটা আলাদা ফুড ব্লগ শুরু করতে পারেন, ওই জিনিসটা পাবলিক খায় বেশি। আজকাল তো দু'পাতা ইংরিজি পড়ে এবং দুবার থাই ফুড খেয়েই লোকে ধরাকে সরা এবং ফুড ব্লগ কে বাঁয়ে হাথ কা খেল ভাবতে শুরু করে। আপনার কথার খেলা ভুজালির চেয়েও তীক্ষ্ণ (একসাথে তিনটে ব্যাঞ্জনবর্ণের যুক্তাক্ষর... অভ্র কিবোর্ডের জন্য আউট অফ সিলেবাস)
আরে দেবাশিস, ফুড ব্লগ খুললে এইরকম বাজে ছবি তুললে হবে না। সাজিয়েগুছিয়ে ন্যাচারাল লাইটে ছবি তুলতে হবে যাতে দেখেই জিভে জল এসে যাবে।
DeleteDelhi ese theke bhalo korean khabar dokan khujchi.tomarlekh pore mone hochee khub siggir jabo..
ReplyDeleteযেতে পার, সুমনা। এর আগে তুমি আমার পরামর্শে কোথায় একটা যেন গিয়ে বিপদে পড়েছিলে, আশা করি এবার তার পুনরাবৃত্তি হবে না। তবে জায়গাটা অদ্ভুত, খেয়াল রেখো।
Deletebipad na..sunday ektu bhir chilo.amader ote problem hoyna.ariker hoy,tai ektu chap.ar amra jokhon 1st phase e south korea te chilam amar husband er university r canteen e ekdin ekta dish chilo sudhu kacha rosun..sei diyei lokjon rice khachee.
Deleteরসুনটা ওঁরা একটু বেশি পছন্দ করেন মনে হচ্ছে।
Deleteপয়সার সঙ্গে রিয়েল এস্টেট লোকেশনের সরল সম্পর্কটাকে পেঁচিয়ে দেওয়ার স্পর্ধা যদি কারও থাকে তাহলে সে শুধু সরকারি আবাসনের।
ReplyDeleteeita pore khb moja pelam... ekdom khati sotti katha.
saltlake e ekta korean joint ache... kintu sekhane giye amra bokar moton fried chicken khetam.. ekhon apsos hochhhe.
আরে আফসোসের কিছু নেই, প্রিয়াঙ্কা, ফ্রায়েড চিকেন তো কমবেশি সব কুইজিনেই আছে, কোরিয়ানরা যেরকম মাংসাশী ওদেরও নির্ঘাত আছে। কাজেই তোমরা কোরিয়ান ফ্রায়েড চিকেন খেয়েছ।
Deleteবেজায় মনমেজাজ খারাপ হয়ে আছে,এই সামনের মাসে একখানা বেড়াতে যাবার প্ল্যান হচ্ছিল, গেল সেটা ভেস্তে। আর তারপরই এসব খাওয়াদাওয়ার ছবি। হাত পা ছড়িয়ে ভ্যাঁঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
ReplyDeleteএ বাবা, বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান ভেস্তে যাওয়ার সত্যি খুব খারাপ ব্যাপার। কোথায় যাওয়া হচ্ছিল?
Deleteঝাড়গ্রাম।
Deleteসে তো খুব ভালো জায়গা শুনেছি। যাই হোক, পরেরবার হবে নিশ্চয়।
Deleteহুঁ,সেই আশাই সম্বল এখন।
Deleteসবই তো ভালো, প্রব্লেম টা হচ্ছে যে ফেরার সময় ভয়ঙ্কর গলি দিয়েই ফিরতে হলো?
ReplyDeleteহ্যাঁ, কাকলি। অন্য গলি দিয়েও হয়তো ফেরা যেত, কিন্তু তারাও কিছু কম ভয়ংকর হত না। তাই আগেরটাই সই।
Deleteগির্জাটা বোধহয় মাদার টেরেসার সৌজন্যে। Buddhist circuit ছাড়া ওই একটি কারণেই কোরীয়রা কলকাতায় আসে।
ReplyDeleteওহ, আচ্ছা।
DeleteApnara Korean Khabar kheyechhen dekhe besh bhalo laglo. Kolkatay mone hoy ekhono Korean khabar paoa jaay na. Japanese paoa jaay Fuji ba The Wall -e. JAdio Fuji-te amra prothom kheyechhilam Delhi te jebar giyechhilam, seisamay ekdin. Boro sundor Delhir Fuji poribesh o khabar.
ReplyDeleteKorean khabar khaoa hoyechhe khod Korea tei. Raka je samayta chhilo, sei samaye koekbar giyechhilam tokhon. Ei dish tao kheyechhi. Tobe poripak kora obosthay, ar Lettuce -er jaay aro onek shakpata chhilo. Ar chhilo nana dhoroner salad, Korean mulor ekta achar, jeta amar bhisan priyo chhilo :)
Korean sushi try korte paren, Kimbap ba Gimbap bole bodhay ora. Bibimbap arekta darun item, rice-shabji based ... gorom pathorer patre serve kora hoy ekta knacha dim saho, gNatlei oi dim mile mishe omelet hoye jaay.
Oder khabar khub balanced ar sahoj pachyo. Khubi bhalolagto amader :)
আমার ভেজিটারিয়ান পড়ে ধারণা হয়েছে কোরিয়ানরা ভয়ানক মাংসাশী। সেটা কি ঠিক,সায়ন?
Deleteকিছুটা ঠিক আবার কিছুটা ভুল ও বটে। গড়পরতা কোরীয়রা যতটা মাংসাশী তার তুলনায় গড়পরতা ইউরোপীয়রা বেশী মাংস খায় - অনেকটাই বেশী। এমনকি ইউরোপীয়দের কাছে কোরীয় খাবার 'vegetarian heavy'. খাবারে প্রচুর শাক সব্জী থাকে। জমিতে না ফলাতে পারলে সমুদ্রের নীচ থেকে তুলে আনে সামুদ্রিক আগাছা (sea weed)।
Deleteতবে কোরিয়া সম্পর্কে এই মিথ চালু হবার কারণ ও রয়েছে। ওখানে শুধু ভেজ ডিশ পাওয়া দুষ্কর। যদি কোথাও বা তা পাওয়াও যায় - তাহলেও তাতে শুধু beef / pork থাকবে না। হাঁস, মোরগ ও ডিম ওখানে নিরামিষ বলে ধরা হয়। বলাই বাহুল্য চিংড়ি / মাছ এবং অন্য জলচরদের জন্য (স্কুইড/অক্টোপাস/শেলফিশ/জেলিফিশ/কাটলফিশ/মঙ্কফিশ/বাবলফিশ/সী-হর্স/সী-কিউকাম্বার এবং আরও অনেক কিছু) একই কথা প্রযোজ্য। ফলে আমরা নিরামিষ বলতে যা বুঝি তা ওখানে পাওয়া বেশ কঠিন। তবে অসম্ভব নয়। একটা অসাধারণ লাইফহ্যাক হতে পারে কোন মনাস্ট্রি তে আশ্রয় নেওয়া।
জাপানে ব্যাপারটি অনেক জটিল সেই তুলনায়। আমার এক সিনিয়র পূর্বাঞ্চলী ব্রাহ্মণ (পাঁড়েজি) জাপানে JSPS হয়ে গিয়েছিলেন। আর ফিরেছিলেন পেটে একগাদা ম্যালিগ্ন্যান্ট আলসার নিয়ে। দু বছর ধরে টানা কেউ যদি দুধ পাউরুটি খায় তিন বেলা - তার যা হয় আর কি।
পরে তিনি মাস চারেক কোরিয়া তে থেকে পরে আম্রিকা চলে যান। কোরীয় ডাক্তার ওনার ওপরে অনেক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন - চা পর্যন্ত চলত না। আর নন-ভেজ খেতে বলেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম - ওনার গিন্নী (মানে পাঁড়ে-পত্নী) ওনার থেকেও বেশী কট্টর। ফলে ওনাকে সেই সময়ে আমার বাসায় এসে (আমার নয় মুরগির) ডিম সেদ্ধ খেয়ে যেতে হত।
http://chartsbin.com/view/12730
এত বিশদে আমার কৌতূহল মেটানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানা হয়ে গেল। থ্যাংক ইউ।
DeleteKhubi sundor uttor peye gegechhen. Amra Templestay korechhilam. Okhane chhara pure veg food bole kichhu paoa jaay na. Atleast deem takhe. Emon ki oi je Kimchi (ajkal Mainland Chainay khabarer age je bnadhakopir salad dey, spicy), tateo thake prawn paste!
Deleteধন্যবাদ, সায়ন।
Deletearebbas. darun toh. akdom onnorokom.
ReplyDeleteতা বলতে পার, কুহেলি।
Delete