থ্যাংকস টু বুকটিউব
দু’হাজার ষোলোর অর্ধেক শেষ। কী করে আমি জানি না। না জানার কোনও কারণ নেই যদিও। যাওয়ার আগে গত ছ’মাসের প্রতিটি সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টা আমাকে জানান দিয়েই গেছে। আমিই টের পাইনি। মাঝে মাঝে, ক্বচিৎকদাচিৎ পেয়েছি। একেক দিনের শেষে বিছানায় ঢুকে মনে হয়েছে, যাঃ, আজকের দিনটাও মাটি। রবিবারের রাতগুলোতে টের পেয়েছি দু’দিনের ছুটি কীভাবে অপচয় করলাম, কাজ তো হল না, আনন্দটাও কি মনের মতো হল?
কিন্তু ছ’মাস কেটে গেল যেই অমনি আমার টনক নড়ল। ছ’মাসে কত কী করে ফেলে লোকে, পলা হকিন্স ছ’মাসে ‘দ্য গার্ল ইন দ্য ট্রেন’ লিখে ফেলেছিলেন, আর আমি কী করলাম? (এটাও একটা লক্ষ্যণীয় এবং দুঃখের বিষয় যে আমার কাছে সময়ের হিসেব এসে ঠেকেছে শুধু 'আমার কী হল' আর 'কী হল না'-তে। সময়কে অন্য কোনওভাবে মাপার পদ্ধতি নিশ্চয় আছে। থাকতেই হবে। আপনাদের কারও যদি জানা থাকে আমাকে জানাবেন দয়া করে।)
দু’হাজার পনেরোর শেষে অনেকগুলো শপথ নিয়েছিলাম। সময়ের কাজ সময়ে করব, ফাঁকি মারব না ইত্যাদি। সেগুলো নিয়ে সংগত কারণেই আমি কথা বলতে চাই না। যেটা নিয়ে চাই, সেটা ছিল বোনাস রেসলিউশন। দু’হাজার ষোলোতে বেশি বই পড়ব। আপনাদের কাছে শুধু বেশি বই পড়তে চাই বলে ক্ষান্ত দিয়েছিলাম, ক’টা বই পড়তে চাই সেটা নিয়েও মনে মনে একটা আইডিয়া ছিল। মনে হয়েছিল সপ্তাহে একটা করে বই ম্যানেজেবল। আর পুজোর ছুটি গরমের ছুটি ইত্যাদি ধরে ঠিক করেছিলাম দু'হাজার ষোলোতে আমি পঞ্চাশটা বই পড়ব।
ছ’মাস পরে দেখা যাচ্ছে আমি তার মধ্যে একত্রিশটা বই পড়ে ফেলেছি। অর্থাৎ পঞ্চাশ শতাংশ সময়ে আমার লক্ষ্যের বাষট্টি শতাংশ পূরণ হয়েছে। আমার চেনা কেউ কেউ (একজন) সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে লক্ষ্যপূরণের জন্য আমি বেছে বেছে সরু বই পড়েছি, কিন্তু সেরকম কোনও চিটিংবাজি আমি করিনি। যা পড়তে ইচ্ছে করেছে, সরু মোটা গ্রাহ্য না করে পড়েছি।
মোদ্দা কথা সামনের ছ’মাসে খুব অদ্ভুত কিছু না ঘটলে আমার এই রেসলিউশনটা রক্ষা হচ্ছে। শুধু রক্ষাই হচ্ছে না, আমি নিজের প্রতি নিজের প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যাচ্ছি।
এ’রকম মুহূর্ত আমার জীবনে আগে আসেনি। পরেও আসবে কি না জানি না। কাজেই এই মুহূর্তটাকে অন্যান্য মুহূর্তের মতো বেখেয়ালে বইয়ে দেওয়া যাবে না। উদযাপন চাই। এই অসাধ্যসাধন কী করে হল সে নিয়ে চর্চা চাই যাতে ভবিষ্যতে এ সাফল্য রেপ্লিকেট করার একটা সম্ভাবনা অন্তত থেকে যায়। কারা এই অসাধ্যসাধনে আমাকে উদ্বুদ্ধ করলেন, তাঁদের খোঁজ নেওয়া চাই। অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন চাই।
প্রথমেই আসবে বিবেকের নাম। দিনরাত কামড়ালে যা হয়, এঁর বেশিরভাগ কামড়ই এখন নির্বিষ, নির্ধক। কিন্তু বই পড়া নিয়ে ইনি যে কামড়টা দিয়েছেন সেটার দাগ একেবারে কেটে বসেছে। দিনটা আমার এখনও মনে আছে। বসে বসে সিভি আপডেট করছিলাম। ‘আদার ইন্টারেস্টস’-এ গিয়ে থামতে হল। কী আমার ইন্টারেস্ট? ব্লগিং শুনতে সন্দেহজনক। রাইটিং শুনতে হাস্যকর। ভেবেচিন্তে দেখলাম সবথেকে নিরাপদ ইন্টারেস্ট হচ্ছে রিডিং। জনপ্রিয় কিন্তু ভিড়ে মিশে থাকা। লিখে দিলাম। এও জানলাম যে সিভি-তে মিথ্যাচার করলাম আমি। রিডিং আমার ইন্টারেস্ট ছিল একসময়, এখন আর নেই। অতীত ধুয়ে আর কদ্দিন জল খাব ভেবে কষ্ট হয়েছিল।
আমার বই পড়ার শপথ রক্ষায় আমাকে অসম্ভব সাহায্য করেছে কিন্ডল। একটা চকচকে নতুন গ্যাজেটের অ্যাপিল তো আছেই, কিন্তু অনেকগুলো সত্যিকারের সুবিধেও আছে। গত মাসে কিন্ডল হাতে পাওয়ার পর থেকে আমি কাগজের বই প্রায় পড়িইনি। ইন্টারনেট থেকে চুরিচামারি করা পিডিএফও কিন্ডলে খুলে পড়েছি। হাত দিয়ে করাই যায়, কিন্তু পাতা ওলটানোর জন্য একটা স্টাইলাস পেন কিনেছি। সেটা স্ক্রিনের ওপর উঁচিয়ে ধরে সিরিয়াস মুখে আমাকে বই পড়তে দেখলে লোকে হাসে। আমি গা করি না। যে পুজোর যে উপচার।
কিন্তু আমাকে বই পড়তে যে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে সে ওপরের দুটোর একটাও নয়। গত ছ’মাসে আমাকে বই পড়তে সবথেকে বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে ইউটিউব। চমকালেন তো? আমিও চমকেছিলাম। কারণ আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম গত ক’বছরে আমার বইপড়া যদি কেউ একা হাতে চৌপট করে থাকে তবে সে ইউটিউব। তারপর একটা পুরোনো কথা মনে পড়ে গেল।
ইউটিউব হচ্ছে দ্বার। সে দ্বার দিয়ে ভ্রম ঢুকবে না সত্য, তার সম্পূর্ণ দায় দ্বাররক্ষকের। যে রোলে আমি ডাহা ফেল। যখন এই সত্যিটা আমি স্বীকার করলাম তখন পরিস্থিতি বদলে গেল। ইউটিউব পড়া মাটি করেছিল, সেই ইউটিউবই আবার পড়া ধরালো। ঠিক ইউটিউব নয়, বুকটিউব।
উৎস গুগল ইমেজেস
বুকটিউব কাকে বলে আমি সদ্য জেনেছি। আমার চেনা লোকেদের বলতে গিয়ে জেনেছি তাঁরাও এতদিন জানতেন না। আমাদের মতো যদি কোনও অবান্তরের পাঠক থেকে থাকেন তবে তাঁর জন্য বুকটিউব কাকে বলে সেটা আগে বলি। ইউটিউবের কোটি কোটি ভিডিওর মধ্যে বাজার তেজী হচ্ছে সাজগোজ, রান্নাবান্না, খেলা, অপমানসূচক কমেডি, বেড়ালছানার ভিডিওদের। এদের ভিড়ে লুকিয়ে আছে টিমটিমে একটি পাড়া, যেখানে কিছু লোক শুধু বই নিয়ে আলাপআলোচনা করছেন। পছন্দের বইদের মাথায় তুলছেন, অপছন্দের বইদের তুলো ধুনছেন। কেউকেউ পুলিৎজার, বুকার সিজন এলে উত্তেজনায় উদ্বেলিত হচ্ছেন, কেউকেউ তাঁদের ভয়ানক করুণার চোখে দেখে খুঁজে খুঁজে খালি সেই সব বই-ই পড়ছেন যাদের নাম কেউ কখনও শোনেনি। সবল দুর্বল, মাতব্বর, মুখচোরা সবই আছে এ পাড়ায়। ভ্যাম্পায়ার প্রেম, গেম অফ থ্রোনস জাতীয় ফ্যান্টাসির মাতব্বরিই সবথেকে বেশি। সাইফাই-ও তেড়ে পাল্লা দিচ্ছে।
দেখেশুনে প্রথমটা দমেই গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর একে একে আড়ালআবডাল থেকে আমার পছন্দমতো বুকটিউবাররা আত্মপ্রকাশ করতে লাগলেন। তাঁরা কেউ ক্ল্যাসিক পড়েন, কেউ গোয়েন্দা আর ভূতের পোকা, কেউ রাশিয়ান সাহিত্যে এম এ, কেউ জাপানি রূপকথার অনুরাগী। বইপড়ার প্রতি এঁদের নিষ্ঠা, আগ্রহ, উত্তেজনা, ভালোবাসা আমার বইপড়ার রেসলিউশনের পালে নতুন করে হাওয়া দিল।
দেখেশুনে প্রথমটা দমেই গিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর একে একে আড়ালআবডাল থেকে আমার পছন্দমতো বুকটিউবাররা আত্মপ্রকাশ করতে লাগলেন। তাঁরা কেউ ক্ল্যাসিক পড়েন, কেউ গোয়েন্দা আর ভূতের পোকা, কেউ রাশিয়ান সাহিত্যে এম এ, কেউ জাপানি রূপকথার অনুরাগী। বইপড়ার প্রতি এঁদের নিষ্ঠা, আগ্রহ, উত্তেজনা, ভালোবাসা আমার বইপড়ার রেসলিউশনের পালে নতুন করে হাওয়া দিল।
বুকটিউব আরও একটা গুরুতর উপকার করেছে আমার। সিনেমার মতো দৃশ্যবর্ণনা, সংলাপ আর ঘটনার ঘনঘটা যেমন কার্যকরী হতে পারে, তেমনি সংলাপহীন, ঘনঘন পটপরিবর্তনের উত্তেজনাহীন, শুধুমাত্র ভাষাকে ভর করে এগিয়ে যাওয়া লেখাও যে মনকে একইরকম ছুঁতে পারে, ক্রমাগত একই ধরণের লেখা পড়তে পড়তে আমি সেটা ভুলতে বসেছিলাম। বুকটিউব তার বৈচিত্র্য দিয়ে আমাকে সেটা মনে করিয়ে দিয়েছে।
আমি জানি আমার কাছে যা বিচিত্র ঠেকছে বিশ্বসাহিত্যের নিরিখে, প্রিভিলেজের নিরিখে, ভাষার নিরিখে, এমনকি জেন্ডারের নিরিখেও তা মারাত্মক একপেশে এবং সংকীর্ণ। নিচের আমার পছন্দের বুকটিউবারদের তালিকা দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবু আমার ছ’মাস আগের পরিস্থিতির তুলনায় এ একরকমের এগোনো বলেই বিশ্বাস করি আমি।
অনেক বুকটিউবারকেই ফলো করি আমি। নিচে তাঁদের কয়েকজনের চ্যানেল সম্পর্কে দু'কথা রইল। আপনাদের ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন।
*****
অনেক ধরণের বই পড়েন ইনি (লেখেন প্রধানত কবিতা), কিন্তু আমার মতে এঁর স্পেশালাইজেশন রূপকথায়। বা বলা উচিত রূপকথার রিটেলিং-এ। অ্যাঞ্জেলা কার্টারের সত্তর দশকে লেখা পথদেখানো রূপকথা রিটেলিং-এর বই 'দ্য ব্লাডি চেম্বার অ্যান্ড আদার স্টোরিস'-এর খোঁজ ইনিই দিয়েছিলেন। রূপকথার ইতিহাস নিয়ে ‘ফেয়ারি টেলস উইথ জেন’ নামে একটা সিরিজ চলছে এঁর চ্যানেলে। ইচ্ছে হলে দেখতে পারেন। এই রইল তাদের লিংক।
ইতিহাস আর ইংরিজি সাহিত্যের ছাত্রী কেটি-র চারণ ক্ষেত্র হচ্ছে উনিশ শতকের ভিক্টোরিয়ান সাহিত্য। ব্রন্টে বোনের দল, জেন অস্টেন, চার্লস ডিকেন্স। আমি নিজে ও জিনিস খুবই কম পড়েছি, তবু কেটি-র উৎসাহ আমাকেও সংক্রামিত করেছে। চার্লস ডিকেন্স-এর প্রতি কেটি-র উচ্ছ্বাস আর সত্যজিৎ রায়ের লেখার প্রতি আমার অন্ধভক্তির কোথাও না কোথাও মিল তো আছেই।
পছন্দের মিলের থেকে অপছন্দের মিল যে কখনও কখনও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সেটা আবারও প্রমাণ হল। লরেন-এর সঙ্গে বইয়ের পছন্দ আমার প্রায় আইডেন্টিকাল, কিন্তু যেদিন শুনলাম ওঁরও কাজুও ইশিগুরোর বিশ্ববিখ্যাত ‘নেভার লেট মি গো’ খারাপ লেগেছে আমি একেবারে আনন্দে গড়াগড়ি খেতে লাগলাম। আমার ‘ভালো লাগা খারাপ বই’-এর তালিকার প্রায় ওপরদিকেই থাকবে ইশিগুরো-র ‘নেভার লেট মি গো’। লরেন-এর চ্যানেল আমার আগেই ভালো লাগত, এখন রীতিমত আত্মীয়তা বোধ করি। কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সবরকম বই নিয়ে মিলিয়েমিশিয়ে কথা বলেন লরেন।
ক্লিফ সার্জেন্ট আবার অত মেশামিশিতে যান না, তিনি কথা বলেন কেবল কড়া লিটারেরি সাহিত্য নিয়ে। বই পড়ার পাশাপাশি ক্লিফ সিনেমাও বানান, কাজেই তাঁর কিছু কিছু ভিডিওতে নানারকম কারিকুরি থাকে। দানিয়ুবের তীরের ভূতুড়ে উইলো গাছের বনের মধ্যে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা অ্যালগারনন ব্ল্যাকউডের বিখ্যাত গল্প ‘দ্য উইলোজ’, বিংশশতাব্দীর গা ছমছমে গল্পের ধারাকে যে নাকে দড়ি দিয়ে টেনে নিজের পিছু পিছু টেনে নিয়ে গেছে, সেই গল্পের রিভিউ ক্লিফ করেছেন বুদাপেস্ট শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া দানিয়ুবের তীরে বসে। তাছাড়া আমার এই সাড়ে পঁয়ত্রিশ বছরে পড়া টপ টেন বুকস-এর লিস্টের একটা বইয়ের খোঁজও ক্লিফের দেওয়া। সেটার কথা খুব শিগগিরি আপনাদের বলব।
*****
এ ছাড়াও আরও অনেক বুকটিউবার আছেন যাঁদের আমি নিয়মিত চোখে চোখে রাখি। আপনারা যদি তাঁদের পরিচয় জানতে ইচ্ছুক হন তাহলে তাঁদের নিয়ে পরের কোনও পোস্টে আলোচনা করা যেতে পারে। আর আপনারা যদি বুকটিউবের দর্শক হন তাহলে আপনাদের প্রিয় বুকটিউবারদের বিষয়ে আমাকে জানাবেন, প্লিজ।
Khubi bhalo ekta post korechhen Kuntala. :-)
ReplyDeleteBooktube er kotha satyie jantam na. Agroho bere gelo.
ShuntTe hobe Booktube channel gulo. Eta khubi thrilling.
শুনে দেখবেন সায়ন। আমার মনে হয় আপনার ভালো লাগবে।
DeleteArekta site dichhi bookbub.com. Ekhane register kore nijer pochhonder genre janale roj email kore kindle er daily sale er khobor diye. Boigulo free theke max $2.99 moton dam hoy. Explore korte paro. R churi korte chaile PDF keno? mobisism.org e pochhonder boi er .mobi form e pabe. Bookzz.org thekeo churi korte paro. Bangla r jonya amarboi.com
ReplyDeleteবাহ, অনেক কাজের খোঁজ পাওয়া গেল। ধন্যবাদ, চুপকথা।
Deletebah ei byaparta ekebarei jana chilo na - dhanyobad.
ReplyDeleteami goodreads.com use kori through fb, to get feedback on books I am planning to read/have read etc.
গুডরিডস তো খুবই জনপ্রিয় বইপড়ুয়াদের কাছে, কাকলি। ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য কাজের, ঠিকই বলেছ।
DeleteAr thanks to Kuntala ami koto boi er hodish pacchi. :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, শর্মিলা।
DeleteSei top ten er jaiga paoa book review er jonno opekhhai roilam
ReplyDeleteওটা এমাসের বইয়ের রিভিউতে বেরোবে, অদ্বিতীয়া।
Deleteআর কয়েকটা বলবেন প্লিজ ।আর ট্রাভেল বুকটিউব যদি সাজেস্ট করার মতো থাকে ।
ReplyDeleteট্র্যাভেল বুকটিউব সাজেস্ট করার মতো কিছু নেই। দুঃখিত। আর যেগুলোর নাম লেখা আছে সেগুলো দেখতে শুরু করলে সাজেশন হিসেবে ডানদিকে আরও অনেক চ্যানেলের নাম আসবে। সেখান থেকে পছন্দমতো বেছে নিলেই হল।
Deleteআচ্ছা অনেক ধন্যবাদ
ReplyDeleteজোসেফাইন টে এর Daughter of the time এর রিভিউ আপনি লিখেছিলেন মনে হয় ।একটু লিংক টা দেবেন?
ReplyDelete-Saqfa
রিভিউ সম্ভবত লিখিনি, সাকফা, কোনও একটা পোস্টে আমার প্রিয় বই বলে মেনশন করেছিলাম...সে লিংক এখন খোঁজা মহা মুশকিল হবে। যদি পাই নিশ্চয় দেব, এক্ষুনি পাচ্ছি না। ভেরি সরি।
Deleteআচ্ছা ।আমি খুজেছিলাম ।পাইনি ।আপনি সুবিধাত দিন ।
ReplyDeleteসুবিধা মতো ।
ReplyDelete