ল্যাংড়া আম, কেক আর সাপ্তাহিকী
এই সাপ্তাহিকীটা অবান্তরে মুখ দেখানোর কাছাকাছি সময়েই যদি আপনার চোখে পড়ে তাহলে খুব সম্ভবত তখন আমি আর অর্চিষ্মান আমার বাবামার সঙ্গে বসে চা, জ্যাম/মাখনটোস্ট, সসেজ, হাফ ফ্রাই আর হ্যাশ ব্রাউন খাচ্ছি। রিষড়া বাজারে নাকি অভূতপূর্ব ল্যাংড়া আমের ফলন হয়েছে, ভবিষ্যতে আর হয় কি না সন্দেহ। মাবাবার বোঁচকার মধ্যে জোরজার করে তাদের দুয়েকপিস যদি উঠেই পড়ে তাহলে মাবাবা তাদের না বলতে পারবেন না। সে রকম হলে হ্যাশ ব্রাউন আর সসেজের মাঝে কাঁটায় গেঁথে ল্যাংড়া আমও মুখে পোরা হচ্ছে টুকটাক।
আপনি যদি আরেকটু দেরি করে ফেলেন তাহলে ততক্ষণে আমরা রাষ্ট্রপতি ভবন পৌঁছে গেছি। ডানহাতে আধার কার্ড আর বাঁহাতে মোবাইলে আসা “ইয়োর রিকোয়েস্ট ফর আর বি ভিজিট উইথ রেজিস্ট্রেশন নাম্বার অমুক ইজ অ্যাপ্রুভড” নোটিফিকেশন মেলে ধরে লাইন দিয়েছি। ভবন ঘুরে যাওয়া হবে হেইলি রোডে বঙ্গভবনের পাশের অগ্রসেন কি বাউলি দেখতে।
আপনারা যদি তারও পরে সাপ্তাহিকীতে আসেন তাহলে ধরে নিতে পারেন আমরা আছি খান মার্কেটে। এমনিতে তো যা-ই ভালো খাই, ভালো দেখি, মনে হয় বাবামাকে খাওয়াব, বাবামাকে দেখাব। কিন্তু ডিসিশন টাইম ঘনিয়ে এলে বোঝা যায় ব্যাপারটা অত সোজা না। ওঁদের পক্ষে জাপানি সাশিমি যদি টু এক্সোটিক হয়ে যায়, মজনু কা টিলার টিবেটান টিংমো টু গ্রাঞ্জ? ষোলো বছর বয়সে ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ পড়ে মা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিলেন। ইস এত ভালো বই, কিন্তু মা (আমার দিদিমা) বুঝবে না। আমাদেরও হয়েছে সেইরকম দশা। বাবামা যদি জীবনটাকে আরেকটু বেশি বুঝতেন, এই আমাদের মতো, পৃথিবীটার প্রতি আরেকটু এক্সপোজার যদি বাবামার থাকত, যেমন আমাদের আছে, তাহলেই এত মাথা ঘামাতে হত না।
একবার মনে হয়েছিল ধুর এত না ভেবে চাইনিজ দোকানে যাই। কিন্তু চাইনিজ তো ইচ্ছে হলেই বাপি রোল সেন্টার থেকে বাবা প্যাক করিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। অনেক ভেবে আমরা ঠিক করলাম চেনা আর উদ্ভটের স্কেলে পার্সি খাবারটা মাবাবার পক্ষে পারফেক্ট হবে। আমাদের বাড়ির অপেক্ষাকৃত কাছে 'রুস্তম কি ভোনু' ছিল, সেখানের খাবারদাবারও চমৎকার, কিন্তু সোডাবটলওপেনারওয়ালা অনেক বেশি গমগমে।
আপনি যদি আরও দেরি করে সাপ্তাহিকীতে উঁকি মারেন তাহলে কখন আছি কোথায় আছি সে সব নিশ্চিত করে বলা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে কী আর অন্যরকম হবে। হলে নিচের বিষয়গুলোরই বিন্যাসসমাহার।
ইলিশ, আম, বেড়ানো, গল্প, ঘুম, চা, মায়ের হাতে বানানো কেক, জানালার পর্দা খোলা এবং টানা নিয়ে মতবিরোধ (প্রকাশ্য নয়। প্রকাশ্য মতবিরোধ আমাদের সিলেবাসে নেই), চা, বেড়ানো, ঘুম, গল্প, লুচি, সেমাইয়ের পায়েস, হলুদ এবং সাদা আলো নিয়ে মতবিরোধ (অপ্রকাশ্য), গল্প, ঘুম, ঠাকুমাকে ফোন…ইত্যাদি ইত্যাদি।
*****
এবার এ সপ্তাহের ইন্টারনেট।
There is no art without laziness.
-Mladen Stilinović
ইতিহাস
বৈকাল হ্রদের তীরে ব্রোঞ্জ যুগের মানুষের পাঁচহাজার বছর পুরোনো কংকাল। এখনও দুজন দুজনের হাত ছাড়েনি।
বিজ্ঞান
সমকাল
অফিস যাওয়ার পথে আমস্টারডামের লোকেরা কী খেলেন? উঁহু, পোকেমন গো নয়। এ খেলতে যন্ত্র লাগে না।
ছবি
জানি লোকে আমাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলবে কিন্তু সূর্যকে পৃথিবী থেকে দেখতে যত সুন্দর লাগে তত আর কোথাও থেকে লাগে না।
ভিডিও
লিস্ট
আধুনিক যুগের দশটি ভার্চুর কোন কোনটি আপনার আছে?
কুইজ/খেলা
রাজা বললেন, চোখ খুলে প্রথম যে শব্দ দেখবেন সেটাই গায়ে ট্যাটু করে নেবেন। আমি সে রকম কোনও দাবি করছি না কারণ গায়ে H O P E এঁকে ঘুরলে লোকে হিপি বলবে।
জানালার দিকে মুখ ফেরানো লেখার টেবিল বাছামাত্র জানি আমাকে এরা এই দলে ফেলবে। You are part of the Transcendentalist movement along with writers Henry David Thoreau, Ralph Waldo Emerson, Louisa May Alcott, and Walt Whitman. The poetry and philosophy of this 19th-century American movement was concerned with self-reliance, independence from modern technology. One of the transcendentalists' core beliefs was in the inherent goodness of both people and nature, in opposition to ideas of man as inherently sinful, or "fallen," and nature as something to be conquered.
ki moja go tomar... !! khub e bhalo byapar delhi te bose rishrar aam khawa.. :)tao abar baba maa er ana..! amaro koyek bochor age keralay bose uttarparar aam khawar kotha mone pore gelo.. hya ebar lyangra aam khub utheche ar khub mishti o hocche...
ReplyDeleteআমগুলো সত্যি ভীষণ মিষ্টি।
Deletebaba mayer sathe khub moja koro.
ReplyDeleteAmi create dekhlam sobar age.. tobe tattoo korachhi na :P
R ami gothic writer der dole
বা, দুটো উত্তরই তো চমৎকার।
DeleteAmi oo transcendentalist.
ReplyDeleteAmar hungry elo
.er tattoo korano kothin 😉.
হাহা, এদুটোও ভালো উত্তর।
Deleteamar The lost Generaton
ReplyDeletear courage tattoo
ভেরি গুড।
Deleteআমি আরও, আরও দেরি করে ঢোকা লোকেদের দলে, আর তার কারণ একই, পৌলমী আর আমি মা-বাবার আনা কড়াপাক সন্দেশ আর (এখানকার) আম এর সঙ্গে হ্যাশ ব্রাউন আর মেথি খাকরা খেতে ব্যস্ত। আপনাদের সময় খুব ভাল কাটুক। আমরা পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। রেগুলার কমেন্ট করতে না পারলেও পড়ব সবই।
ReplyDeleteকী মজা! কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন নাকি? খুব করে খান আর আনন্দ করুন আপনারাও।
DeleteApatoto ghurtei esechhi, New York City. Er por firey California jawar plan.
Deleteভেরি গুড।
Deleteইসস, বাচ্চাটাকে এত খাটানো??
ReplyDeleteআরে এই বয়সে না খাটিয়ে নিতে পারলে পুরোটাই লস। এর পর তো কথা এ কান দিয়ে ঢুকিয়ে ওই কান দিয়ে বার করবে।
Deleteaj to Mongolbar, rastrapati bhaban to ghora hoye gache chhobi dekhe mone holo. akhon tale tumi kothaye. breakfast r menu te bhoyanok lobh dilam.
ReplyDeletelink gulo bepok.
manusher moreo shanti nei. tule museum chalan kore dicche. dibbi ador makhamakhi hoye shuye chilo dujon. akhon buro haare ki na ki makhabe.
Resilience, Patience ar Confidence bade bakigulo hopefully kom beshi ache.
amio HOPE e dekhechi prothom, but ota amar gaye already aka hoye gache. hippie e botey. :D
I belong in the lost generation of writer.
আরিব্বাস কুহেলি, তোমার ট্যাটু আছে? দারুণ থ্রিলিং ব্যাপার তো। করানোর সময় ব্যথা লেগেছিল?
Deleteapnar blog porle. mon bhalo hoye jaii
ReplyDeleteআপনার কমেন্ট আমার মন ভালো করে দিল। থ্যাংক ইউ।
Delete