এ মাসের বই/ এপ্রিল ২০১৭/ ২



Fingersmith/Sarah Waters


উৎস গুগল ইমেজেস

ভালো বই খারাপ বইয়ের সঙ্গে রোগা বই মোটা বইয়ের কী কোনও সম্পর্ক আছে? থাকার কোনও কারণ নেই। ভালো রোগা বইয়ের উদাহরণও দেদার আছে, ভালো স্বাস্থ্যকর ভালো বইয়ের নমুনাও ঝুড়ি ঝুড়ি। তবু উপন্যাসের ক্ষেত্রে আমার মতে বইয়ের মোটাত্ব একটা বিশেষ উপযোগিতা সাধন করে। বেশ খেলিয়ে সময়টা, জায়গাটা ধরা যায়। চরিত্রগুলোর ভেতরবাহির যত্ন করে রং বুলিয়ে বুলিয়ে ফুটিয়ে তোলা যায়। সপ্তাহদুয়েক আগে ক্রাফটস মিউজিয়ামের একটা ঘরে ঢুকে দেখেছিলাম চার দেওয়াল জুড়ে মধুবনী ছবি আঁকা। মানুষ, হাতি, পালকি, পালকির ভেতর বউ, গাছ, গাছের পাতা, ফুল, ফুলের ওপর ঝুঁকে পড়া মৌমাছি, গাছের ডালে সবুজ টিয়ার লাল ঠোঁট, সব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মোটা বইয়ে যেরকম স্পষ্ট দেখানোর সুযোগ থাকে। 

ছোট বইয়ে কি সবটা স্পষ্ট দেখানো যায় না? যাবে না কেন। তবে প্রতিভাটা একটু বাড়াবাড়ি রকম বেশি লাগে। 

সারা ওয়াটার্স-এর উপন্যাস ফিংগারস্মিথ আমার এ বছরের পড়া অন্যতম মোটা বই। লেখকের আরেকখানা বই ‘লিটল স্ট্রেঞ্জার’ আমি আগেই পড়েছিলাম, এবং তখনই বুঝেছিলাম যে আবহ তৈরিতে লেখকের জুড়ি নেই। 

ফিংগারস্মিথ হল ভিক্টোরিয়ান আমলের ব্রিটেনের আবহে লেখা একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস। ফিংগারস্মিথকে অনেকেই ভিক্টোরিয়ান ইংরিজি সাহিত্যের (বিশেষ করে চার্লস ডিকেন্সের) প্যাস্টিশ বলেছেন। প্লটের ওঠাপড়া, গল্প বলার ছলে সামাজিক ভালোমন্দ ন্যায়অন্যায়ের ধারাবিবরণী, গরিববড়লোক শহরগ্রাম জেন্টল এবং নন-জেন্টলসমাজের বৈপরীত্যচর্চা, সর্বোপরি অনাথ নিয়ে অবসেশন, সে আমলের উপন্যাসের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ফিংগারস্মিথ-এ আছে। 

আমাদের দুই মুখ্য চরিত্র, সুসান ট্রিন্ডার আর মড লিলিও অনাথ। সুসান বড় হয়েছে লন্ডনের গরিব পাড়ায়, মিস্টার এবং মিসেস সাক্সবির স্নেহময় তত্ত্বাবধানে। মিস্টার সাক্সবির একটা বন্ধকী কারবার আছে, কিন্তু সেটা নামকাওয়াস্তে, ওঁদের আসল ব্যবসা চোরের দালালি। লন্ডনের যত কমবয়সী ছ্যাঁচোড় চোর, গাঁটকাটা পেছনের দরজা দিয়ে সাক্সবিদের ঘরে আসাযাওয়া করে। এর সঙ্গে সঙ্গে মিসেস সাক্সবি আরও একটা সাইড বিজনেস চালান। তাঁর ঘরে সর্বদাই গুচ্ছ ক্রন্দনরত নবজাতকদের দেখতে পাওয়া যায়। তাঁদের নিয়ে তিনি কী করেন সেটা স্পষ্ট করে বইতে বলা ছিল কি না ভুলে গেছি, তবে মহৎ কিছু হওয়া মুশকিল। বাচ্চারা বেশি কান্নাকাটি মিসেস সাক্সবি তাঁদের মুখে দু’ফোঁটা জিন ঢেলে দিয়ে কাজ সারতেন সেটা স্পষ্ট মনে আছে।

আর ঠিক এর উল্টোদিকে রয়েছেন মিস মড লিলি। সুসানের লন্ডনের অভাবী বস্তির বদলে মড থাকে ব্রায়ার নামের একটি নিরিবিলি গ্রামের মস্ত প্রাসাদে, যেখানে তার আগে পিছে খানদশেক চাকরবাকর দৌড়োয়, প্রাসাদের লাইব্রেরিতে বসে মড-এর মামা ক্রিস্টোফার লিলি সারাদিন বইয়ের ক্যাটালগ লেখেন, মড তাঁকে সাহায্য করে। হাতের ছোঁয়া লেগে পাছে দামি বইগুলো নষ্ট হয়ে যায়, সে জন্য মামা মডকে সর্বদা সাদা গ্লাভস পড়ে থাকতে বাধ্য করেন। 

এইবার একটি “ডিভিয়াস প্লট”-এর ফাঁদে পড়ে সুসান আর মড-এর জীবন জড়িয়েমড়িয়ে যায়। প্লট দ্রুতবেগে এগোতে থাকে। সুসান আর মড-এর জীবন উথালপাথাল তো হয়ে যায়ই, পাঠকের মুখের হাঁ-ও ক্রমশ বড় হতে থাকে। 

গোটা বইয়ের তিনটি ভাগ। প্রথম ভাগের গল্প আমাদের বলছে সুসান, দ্বিতীয় ভাগের মড, তৃতীয় ভাগের আবার সুসান। প্রথম ভাগে যেখানে সুসানের লন্ডনবাসের বর্ণনা এবং গোটা ঘটনার সূত্রপাত, সেই ভাগটা আমার স্মরণযোগ্য অতীতে পড়া অন্যতম সেরা গদ্যের নমুনা। পরদিন সকালে সুসানের ব্রায়ার চলে যাওয়ার উদযাপনে লন্ডনের বাড়িতে একটি পার্টির আয়োজন হয়। সে পার্টিতে খাওয়াদাওয়া, মদের ফোয়ারা, প্রতিটি গান, গানের সঙ্গে সঙ্গে নাচের তাল আমি এই গরমের অটোতে নেহরু প্লেসের চাঁদিফাটা গরমে অটোর ভেতর বসে টের পাচ্ছিলাম। সুসানের চলে যাওয়ার আগে মিস্টার সাক্সবি তাঁর স্বাভাবিক গাম্ভীর্য ঝেড়ে ফেলে নাচছেন, কী অসাধারণ চরিত্রচিত্রণ। পার্টি ছুতো করে দূরে চলে এসে একলা ঘরে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে জানালার বাইরে রাতের লন্ডনের দিকে তাকিয়ে সুসান বেশ অনেকদিনের জন্য শেষবারের মতো এ শহরে তার জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো শুষে নিচ্ছে, যেন আমি সুসানের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আমিও দেখছি, জানালার বাইরে ভিক্টোরিয়ান, কদর্য লন্ডন। আনমনে সুসান সদ্য শেখা হাঁটু ভাঙা কার্টসি প্র্যাকটিস করছে, মিস লিলি-র খাস চাকরানি হিসেবে অভিনয়ের জন্য এটা নিখুঁত শেখা জরুরি, ওই একটি মুহূর্তে সুসানের প্রতি আমার মমতা একলাফে আকাশ ছোঁয়। আর আমি মনে মনে সারা ওয়াটারকে ধন্যবাদ দিই, মোটা বই লেখার জন্য। সে বইয়ের মূল চরিত্রকে একা একা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কার্টসি প্র্যাকটিস করার ফুরসত দেওয়ার জন্য। 

দুঃখের বিষয়, এর পর থেকেই মোটা বইয়ের ভালো ব্যাপারগুলো কমতে কমতে দোষগুলো প্রধান হয়ে উঠতে থাকে।  দৃশ্য অনাবশ্যক  লম্বা হয়, কথোপকথন দীর্ঘ এবং অনাবশ্যক এবং নাটকীয় হয়ে পড়ে। গল্পের প্লটের নাটকীয়তার কথা আর না-ই বা বললাম, ইচ্ছে থাকলে পড়ে নেবেন। শেষটায় গল্পের গরু গাছের মগডালে বসে যখন ল্যাজ দোলাচ্ছে, তখন সেই পার্টির রাতের দৃশ্য প্রায় স্বপ্নের মতো ঠেকছে। 

শেষ করার পরমুহূর্তে রাগের চোটে আমি ফিংগারস্মিথকে পাঁচে এক দিয়েছিলাম, এখন একটু দূরে এসে মনে হচ্ছে ওটা দুই বা আড়াই হলেও বেশি হত না।

*****

Homegoing/ Yaa Gyasi

উৎস গুগল ইমেজেস

 “the problem with America wasn’t segregation but the fact that you could not, in fact, segregate. Sonny had been trying to get away from white people for as long as he could remember, but, big as this country was, there was nowhere to go.”

Yaa Gyasi-র হোমগোয়িং, তিনশো পাতার বই হয়েও বলতে হবে মারাত্মক রোগা, যদি মনে রাখি এই তিনশো পাতায় লেখক দুটি মহাদেশে ছড়িয়ে পড়া একটি পরিবারের দুটি শাখার সাতটি প্রজন্মের গল্প এঁটেছেন। 

আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের গোল্ড কোস্ট, এখন যা ঘানা, সেখানে আসান্তে আর ফান্তে, দুই দলের লোক থাকে। এরা এসেছে আকান নামে একই পূর্বপুরুষের থেকে, তাই বোধহয় রেষারেষিটা বেশি। অনেক অনেক বছর আগে Cobbe নামের এক সচ্ছল ফান্তে পুরুষের বাড়িতে বাঁধা চাকরের কাজ করত Maame নামের এক আসান্তে মহিলা। Cobbe-র দ্বারা ধর্ষিত হয়ে Maame, Effia নামের একটি শিশুকন্যার জন্ম দেয়। Cobbe-এর বাড়িতে, ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে পালানোর সময় Maame ফেলে রেখে যায় সদ্যোজাত Effia কে। Cobbe-এর সংসারে অনাদরে বড় হতে থাকে Effia। এদিকে Maame পালিয়ে গিয়ে অন্য এক গ্রামের এক পরাক্রমশালী আসান্তে নেতাকে বিয়ে করে Esi নামের আরেকটি মেয়ের জন্ম দেয়। দুই বোন একে অপরের অজ্ঞাতে বড় হতে থাকে। Effia ভয়ানক সুন্দরী হয়ে ওঠে, আর তাকে পছন্দ করে বিয়ে করে নিয়ে যায় James Collins, দাসব্যবসা দেখাশোনার জন্য ঘানা উপকূলে ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি।  কলিন্স-এর, অফ কোর্স, ইংল্যান্ডে সংসার, বউ বাচ্চা আছে, যেমন সব সাহেবেরই থাকে, কিন্তু তাদের সবারই আবার আফ্রিকায় একজন করে কালো বউও আছে। জেমস কলিনস এফিয়াকে ভালোবাসে, বলে ওর সাদা বউকে ওর মনেই নেই, কিন্তু যেদিন সাদা বউয়ের চিঠি আসে, জেমস এফিয়াকে ছোঁয় না, খাটের দূর প্রান্তে গিয়ে পিঠ ফিরিয়ে শুয়ে থাকে। এমন সময় ফান্তেরা আসান্তেদের গ্রাম আক্রমণ করে, এসিকে বন্দী করে নিয়ে আসে ব্রিটিশদের প্রাসাদোপম বাংলোতে। ঘানার উপকূলে গেলে সে সব বাংলো আজও দেখা যায়, ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সুন্দর করে রংচং করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে তাদের। জেমস কলিন্স-এর মতো লোকজন বন্দীদের কিনে নেবে, তারপর ছেলেমেয়ে বাচ্চা ঝাড়াবাছা করে তাদের রেখে দেবে বাংলোর নিচের গুদামঘরে। এসি জানল না, এই বাড়ির ওপরতলায় তার সহোদর বোন এফিয়া রানীর মতো ঘুরছে, এফিয়া জানল না, এই বাড়ির নিচে ঘুটঘুটে অন্ধকারে, হাঁটু পর্যন্ত জমে ওঠা মলমূত্রবমির মধ্যে বসে আছে তার সহোদর এসি। কখনও কখনও ওপর থেকে সাদা অফিসাররা নেমে আসে, নাকে রুমাল চাপা, চোখে আতংক, একেকজনকে টিপেটুপে দেখে বাইরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, এসি-রও মাঝে মাঝে পালা আসে, ওই কয়েক মুহূর্তে এসির সারা গায়ে সূর্যের আলো লাগে, চোখ খুলে নিজের শরীরের অন্য একটা অবাঞ্ছিত শরীরের পাঁচিল এড়িয়ে এসি আকাশ দেখে নেয়, ওইটুকু স্মৃতি নিয়ে আবার অন্ধকার খোঁয়াড়ে ফিরে যায়। অপেক্ষা করে খোঁয়াড় থেকে মুক্তির সময় আসবে। “ডোর অফ নো রিটার্ন” পেরিয়ে জাহাজে চাপিয়ে ওদের নিয়ে যাওয়া হবে সাদা চামড়ার দেশে। শুরু হবে ক্রীতদাসের জীবন।

হোমগোয়িং-এর গল্প এই এফিয়া আর এসির পরের সাত প্রজন্মের গল্প নিয়ে। প্রতিটি চ্যাপ্টার শুরু হচ্ছে সেই প্রজন্মের বংশধরের নাম দিয়ে। একবার এফিয়ার বংশধর, যারা স্বর্ণ উপকূলের বাংলোয় থেকে ক্রীতদাস ব্যবসা চালালো, আর এসি-র বংশধরের, যাদের ভাগ্য এসি-র সঙ্গে জাহাজে চেপে অ্যামেরিকায় এসে পৌঁছোলো। অনেকে বলেছেন, আমার নিজের পড়েও তাই মনে হয়েছে, এই প্রতিটি চ্যাপ্টার যেহেতু একটি নতুন প্রজন্ম, একটি নতুন সময়ের গল্প বলে, এদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ গল্প হিসেবেও দেখা যায়। সেদিক থেকে Gyasi-র হোমগোয়িং-কে 'অলিভ কিটরিজ' বা 'রিভেঞ্জ'-এর সঙ্গে তুলনা করা যায়। সকলেই যে এই ধাঁচ নির্বাচনের সমর্থন করেছেন তা নয়। অনেকেরই মনে হয়েছে, এই বিরাট পটভূমি ধরার জন্য এইরকম খণ্ড খণ্ড ছবি উপযুক্ত নয়। সব চরিত্র সমান গুরুত্ব পায়নি। তাছাড়া গোটা গল্পটা একটা রুদ্ধশ্বাস দৌড়ের চেহারা পেয়েছে। 

সদ্য ফিংগারস্মিথ শেষ করার জন্যই হতে পারে, আমার সে বিষয়ে কোনও অভিযোগ নেই। আমার বরং যে ব্যাপারটা নিয়ে অভিযোগ আছে, সেটা হচ্ছে এই সাতটি প্রজন্মের জীবৎকালে ঘানা এবং অ্যামেরিক ঘটে চলা কালো মানুষের ইতিহাসের সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসতে গিয়ে হোমগোয়িং একটু ইতিহাস বইয়ের চেহারা পেয়েছে। Gyasi নিজে স্বীকার করেছেন এ সব বিষয়ে তাঁর গবেষণা হয়েছে “wide and shallow”। এই সব ঘটনাগুলো এতই গুরুত্বপূর্ণ, হাজারকয়েক শব্দের পরিচ্ছেদে তাদের ধরতে চাওয়া অপ্রতুল মনে হয়।

গত বছর প্রকাশের মুহূর্ত থেকেই প্রশংসার বন্যায় ভেসেছে হোমগোয়িং। আমি মনে করি, এ প্রশংসা Gyasi-র অর্জিত। এই বিরাট প্রেক্ষাপটকে, মানুষের প্রতি মানুষের নিষ্ঠুরতার অবিশ্বাস্য ক্ষমতাকে দু’মলাটের মধ্যে তুলে ধরার সাহস আর দক্ষতা সকলের থাকে না। জীবনের প্রথম উপন্যাসে তো নয়ই।

হোমগোয়িং Gyasi-র প্রথম উপন্যাস। বই প্রকাশের সময় তাঁর বয়স ছিল ছাব্বিশ। তথ্যটা আগেই জানতাম। বইটা শেষ করার পর জানাটা নতুন করে বুকে ধাক্কা মারল। ছাব্বিশ। জীবনে কিছু কিছু সময় আসে, যত দিন যাচ্ছে তত ঘন ঘন আসছে, যখন নিজেকে সান্ত্বনা দিতে, ভুলিয়ে রাখতে,  “এজ ইজ জাস্ট আ নাম্বার” মাথার ভেতর ক্রমাগত জপ করে চলা ছাড়া উপায় থাকে না। হোমগোয়িং পড়ার পর থেকে আমার সেই সময় চলছে।


Comments

  1. Homegoing e fact fiction percentage kemon? amaro recently patla boi pochhondo, boyosh barchhe to...- Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ফ্যাক্টগুলো তো সব ফ্যাক্টই ব্রততী। সেই ফ্যাক্টগুলোর মধ্যে দিয়ে যাওয়া চরিত্রগুলো কাল্পনিক।

      Delete
  2. bah, sundor laglo. Homegoing ta pore dekhte hocche tahole :)
    recently library te Sarah Waters er kichhu boi dekhte peye ektu nereche dekhlam, arbit khanikta porlam o, serokom tanlo na. apnar review porar pore tahole r odike somoy debona thik korlam :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রে, না না, সারা ওয়াটারস হয়তো ভালো লাগতেও পারে, মহিলা যাকে বলে একটু "লং-উইন্ডেড"। হোমগোয়িং আমার সত্যি ভালো এবং চমকপ্রদ লেগেছে। পড়ে দেখতে পারেন, অরিজিত।

      Delete
  3. Homegoing ta pore dekhte hobe :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. পড়ে দেখতে পারো, চুপকথা, আমার তো খুবই ভালো লেগেছে।

      Delete
  4. Apni age "Little Stranger" er review likhechilen na ? Seta pore ami boita porechilum, tobe amar bhalo lage ni. Bhuter golpe jodi bhoy i na lagbe tahole ar ki holo. Mone hoyechilu 'pretentious'. Otoeb Fingersmith ke o 1/5 i diye din.

    ReplyDelete
    Replies
    1. রিসেন্টলি কিছু বই পড়ার পর "প্রিটেনশাস" শব্দটা আর যারতার ওপর খরচ করতে পারছি না, ঘনাদা। সারা ওয়াটার্স-এর দোষটা আমার মতে প্রিটেনশাস-এর থেকেও মারাত্মক, সেটা হচ্ছে "বোরিং"।

      Delete
  5. হোমগোয়িং ডাউনলোড হইয়া গেসে

    ReplyDelete
  6. Homegoing porlam. Eto bhalo lekha onek din porini. Yaa Gyasi nisondehe nobel prize pawar dabi rakhen. Apnake dhonyobad ei boitar khobor dewar jonyo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওহ, আপনার হোমগোয়িং ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম, ঘনাদা।

      Delete

Post a Comment