ল্যান্ডোর ৩/৩
পাহাড়ে গেলে প্রশ্নটা অবধারিত ওঠে। এখানে থেকে যেতে পারবে? এই গুটিকয়েক মানুষ আর অনেক গাছের মধ্যে? ঝিঁঝিঁর ডাক আর প্রজাপতির মধ্যে? আপনি যদি বলেন, থাকা না থাকার ডিসিশন তো ওভাবে নেওয়া যায় না, চাকরি পেতে হবে, তাছাড়া বাড়ির লোক কে কোথায় থাকবে, তারা সঙ্গে থাকতে চাইবে কি না, ছেলেমেয়েদের স্কুল কী হবে, বাবামা কী বলবেন, পাড়াপড়শি কী বলবে, তাহলে উত্তরটা বাস্তবধর্মী এবং বোরিং হবে।
বেড়াতে গিয়ে বোরিং উত্তরের কোনও জায়গা নেই। উত্তর দিতে হবে স্পষ্ট হ্যাঁ কিংবা না-তে।
আমি সবসময় বলি, পারব। চারদিকে ঝিঁঝিঁ ডাকবে, ঝুপঝুপ বৃষ্টি পড়বে যখনতখন, আমি বারান্দায় বসে চা খাব, বরফি দৌড়ে দৌড়ে প্রজাপতি তাড়াবে, না পারার কী আছে? অর্চিষ্মান সবসময় বলে, না বাবা, আমি পারব না। একদিন ভালো লাগবে, দু’দিন ভালো লাগবে, তিনদিনের দিন ঠিক দু’নম্বর মার্কেটের এগরোলের জন্য মন হু হু করবে।
আপনি পারবেন, নিরিবিলি পাহাড়ে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে?
ল্যান্ডোরের লোকেরা শহরের কথা বললে বুঝে নিতে হবে, মুসৌরির কথা হচ্ছে। মুসৌরি থেকে ল্যান্ডোর ওঠা যত কষ্টের, ল্যান্ডোর থেকে মুসৌরি নাম ততই সোজা। নাকবরাবর নেমে যাও। অন্তত মিসেস ভাট্টি তাই বললেন। উডসাইড থেকে নিচে নামার একটা রাস্তা আছে। পথটা সরু আর জঙ্গলে ঢাকা, তাই চোখে পড়েনি বোধহয়। চা, টোস্ট, প্রকাশের জ্যাম, আর মিসেস ভাট্টির আত্মীয়ের বানানো চিজ দিয়ে প্রাতরাশ সেরে আমরা বেরোলাম।
বেশ খানিকটা নেমে এসেছি, এমন সময় ওপরে জঙ্গলে কীরকম সব শব্দ হতে লাগল। খসখস, ফোঁস ফোঁস, সাঁই সাঁই। আমরা ঘাড় ঘুরিয়ে ওপরে তাকালাম। ঘন জঙ্গলের আড়ালে কিছু দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু একটা আলোড়ন বোঝা যাচ্ছে। আলোড়নটা ক্রমে বাড়ছে। খচমচ, ফোঁস ফোঁস এখন রীতিমত জোরে। পাতার ফাঁক দিয়ে দিয়ে কালো রঙের একটা কী যেন দ্রুত সরছে।
তারপর একটা গাছের আড়াল থেকে বস্তুটি দৃশ্যমান হল। কালো মুখের হাঁয়ের ভেতর সাদা দাঁতের সারি, লকলকে লাল রঙের জিভ। বাদামি চোখ বিস্ফারিত। ছুটন্ত চার পা যেন মাটি ছুঁচ্ছে না। আমরা হতবুদ্ধি হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। আশেপাশে কেউ নেই। অনেক নিচে দুটো লোক বসে রাস্তা সারাচ্ছে দেখেছিলাম ওপর থেকে, এখন তাদের সাড়াও পাচ্ছি না। বরফি এত রাগল কেন? মিসেস ভাট্টি ছাতা অফার করেছিলেন, সেটাও তো আমরা আনিনি।
বরফি শেষ মোড়টা ঘুরেছে। চোখ বন্ধ করার মুহূর্তে দেখতে পেলাম বরফি একটা প্রকাণ্ড লাফ দিয়েছে আমার দিকে।
হাতে একটা ভেজা ভেজা কী ঠেকল। বরফির নাক। চোখ খুলে বরফির চোখে চোখ ফেললাম। সেই বিস্ফারিত দৃষ্টি এখন নরম। বরং খানিকটা নালিশপূর্ণ। কেন আমাকে না নিয়ে নামলে? ওকে ওকে, নো প্রবলেম, ভুল যখন করেই ফেলেছ তখন সরি না বললেও চলবে। চল, আমি পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বরফি ল্যাজ নাড়তে নাড়তে সামনে সামনে চলল। ওর বয়স মোটে দুই হলে কী হবে, আমার বয়স যে সাড়ে ছত্রিশ সে খেয়াল আছে, কাজেই দশ পা এগিয়ে এগিয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাটি শুঁকছে। কান খাড়া করে কী সব শুনছে। উডস্টক স্কুলের মোড়ে এসে আমরা বড় রাস্তায় পড়লাম। বরফির কাজ শেষ। বরফি ওখানেই ঘোরাঘুরি করতে লাগল। আমরা হাঁটা শুরু করলাম। । খুব এলিয়ে হেঁটেও পাহাড়, ঘিঞ্জি ল্যান্ডোর বাজার পেরিয়ে মুসৌরি পৌঁছতে মিনিট পঁয়তাল্লিশের বেশি লাগল না।
মূসৌরিতেও আমাদের যথারীতি কিছু করার নেই। এদিকওদিক উদ্দেশ্যহীন ঘোরা। ম্যালরোড ধরে হাঁটাহাঁটি। আজ শনিবার, তাই গতকালের থেকে ভিড়টা বেশি। লাভলির দোকানে অমলেটপ্রার্থীর ভিড় কালকের প্রায় তিনগুণ। হাঁটতে হাঁটতে রোপওয়ের জায়গাটায় পৌঁছোলাম। রোপওয়ে আছে, আমরাও আছি, সময়ও আছে, কাজেই রোপওয়ে চড়া হল। রোপওয়ে যায় ম্যাল রোড থেকে গান হিলের চুড়ো। ম্যাল রোড থেকে চারশো ফুট উঁচুতে এই গান হিল মুসৌরির অন্যতম উঁচু পিক, যেখান থেকে হিমালয় দেখা যায়। প্রাচীনত্বের গৌরব আছে এই রোপওয়ের, কিন্তু যাত্রাপথটি বিশেষ সুন্দর নয়। পুরোটাই শহরের ওপর দিয়ে। কিছু কিছু জায়গায় তো একেবারে ঘাড়ের ওপর দিয়ে। হোটেলের বারান্দায় ঝাঁট পড়ছে সকাল সকাল, রোপওয়ের জানালা দিয়ে স্পষ্ট দেখছি কালো জলের মধ্যে ভাসছে গুটখার প্যাকেট।
গান হিলের ওপরটাও একেবারে হট্টমেলা। বন্দুক ছুঁড়ে বেলুন ফাটানো, ঘোড়ারূপী সিটওয়ালা ঘূর্ণি। দু’পা শান্তিতে হাঁটার উপায় নেই, ইয়ারিং চাহিয়ে? ফোটো চাহিয়ে? অমুক চাহিয়ে? তমুক চাহিয়ে? এক জায়গায় আবার লিখে রেখেছে, ফেসবুক ফোটো পয়েন্ট।
মুসৌরিতে আমাদের একেবারে কোনও কর্মসূচি ছিল না বললে ভুল হবে, একটা কাজ ছিল, সেটা হল খাওয়া। বেশ কয়েকটা দোকান পছন্দ করে রেখেছিলাম, তার মধ্যে লাভলি অমলেট সেন্টার অলরেডি টিক মারা হয়ে গেছে, বাকি লিস্টের প্রথমেই কালসাং।
কালসাং এ তল্লাটের বিখ্যাত দোকান, চেনও বলা যেতে পারে, কারণ দেরাদুনেও আছে কালসাং। রংচঙে দোকান, ম্যাল রোডের একেবারে মোড়ের মাথায়। দোতলায় বসলে ভিউ চমৎকার। শনিবার দুপুরে কালসাং-এ ঠাসাঠাসি ভিড়। একতলায় জায়গা নেই, আমাদের উঠতে হল দোতলায়।
কালসাং-এ বসে থাকতে দিব্যি লাগছিল। শনিবার হাফছুটি হয়েছে, ম্যাল রোড জুড়ে ইউনিফর্ম পরা স্কুলের ছেলেমেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেভেন্টারসের মিল্কশেক খাচ্ছে, কেভেন্টারস থেকে বোধহয় বেলুনও দিচ্ছিল, সবার হাতে কাঠির ডগায় বাঁধা সাদাকালো বেলুন। একদল এসেছে কালসাং-এও। অর্ডার দিয়েছে তিব্বতি রুটি টিংমো। নরম সাদা ময়দার বলে ফুলে ওঠা টায়ারের মতো বেড়। আর সঙ্গে কী একটা তরকারি/মাংস। আর কোল্ড ড্রিংকস।
টিংমো দেখলাম আরও অনেকেই নিয়েছেন। আমাদের দুজনের কারওরই জিনিসটা বিশেষ পছন্দ নয়, তাই আমরা অন্য জিনিস নিলাম।
মাটন মোমো।
আর পালং শাক দিয়ে পদ্মের ডাঁটা ভাজা। মচৎকার খেতে। অবশ্য এত তেলচপচপে করে ভাজলে সবকিছুই ভালো লাগবে বোধহয়। (মুলো ছাড়া।)
কালসাং-এর ভিউর মাঝামাঝির নিচের দিকে একটা বইয়ের স্ট্যান্ড দেখছেন? ওটা হচ্ছে কেম্ব্রিজ বুকস্টোর। এই দোকানেই রাস্কিন বন্ড শনিবার বিকেলে বিকেলে দেখা দেন, যাতে লোকজন ঠাণ্ডা থাকে, তাঁর বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া না করে। এত ছোট দোকানে এত বই চট করে দেখিনি আমি। দুই দেওয়ালে বই, মেঝেতে বই, মাথার ওপর বই। চিলতে দোকানের মাঝবরাবর আরেকটা শেলফ উপচে বই। দু’দিকে যে গলির সৃষ্টি হয়েছে তাতে গড়পড়তা অ্যামেরিকান ঢুকতে পারবে না। বেশিরভাগই দেখলাম, ইয়ং অ্যাডাল্ট। অর্থাৎ স্কুলের পড়ুয়াদের টার্গেট করা। আমরা থাকতে থাকতেই স্কুলের বাচ্চারা এসে বইখাতা পেনসিল কিনল।
দু’নম্বর যে দোকানটায় আমরা খেলাম সেটা হল ক্যাফে বাই দ্য ওয়ে। এদিকেরটা আদালেবুমধু চা। এই চায়ের একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে, কোনও কোনও জায়গায় এতে চা দেয়, আবার কোনও কোনও জায়গায় দেয় না। অর্থাৎ, নামে হানি লেমন জিঞ্জার টি হলেও, আসলে গরম জলে আদালেবুমধু। গোয়াতে এই দ্বিতীয় রকমেরটা খেয়েছিলাম, ল্যান্ডোর বেকহাউসও। ক্যাফে বাই দ্য ওয়ে-তে দেখলাম চা দিয়েছে। অর্চিষ্মান খাচ্ছে গ্রিন অ্যাপেল সোডা।
এই দোকানে আমরা পরদিন সকালেও বাস ধরার আগে (আর অ্যাভোমিন খাওয়ার পরে) পিৎজা দিয়ে ব্রাঞ্চ সারব। এত ভালো পিৎজা আমি কমই খেয়েছি।
গাড়ি ধরে ল্যান্ডোর ফিরতে বিকেল হয়ে গেল। কালই আমাদের ফিরে যাওয়া। ট্রেনের টিকিট নেই। বাসে যেতে হবে মুসৌরি থেকে দেরাদুন, আবার দেরাদুন থেকে দিল্লি। সারাদিন লেগে যাবে। ল্যান্ডোর ছেড়ে যেতে হবে সকাল সকাল। বেড়ানো এখানেই শেষ।
মনখারাপটাকে বাড়তে দিলাম না। সিস্টারস বাজারে নেমে প্রথমেই এক শিশি গুজবেরি জ্যাম, এক শিশি স্ট্রবেরি, এক শিশি পিনাট বাটার কিনলাম। সবগুলো আমরা খাব না। এক শিশি পাবেন বাড়িওয়ালা। আমরা না থাকাকালীন আমাদের গাছে জল দেওয়ার বদান্যতার বিনিময়ে।
তারপর হাঁটতে শুরু করলাম। চারদুকানের উল্টোদিকে। এদিকটায় আসিনি আগে। এখন পিক সিজন। মুসৌরি থিকথিক করছে দেখে এলাম, অথচ এখানে টানা কুড়ি মিনিট হাঁটার পরও একটিও মানুষের দেখা না পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অবশেষে উল্টোদিক থেকে এক মহিলাকে আসতে দেখা গেল। নীল সালওয়ার কামিজ, ঘোমটার মতো করে দেওয়া ওড়না। হাতে একটা বিরাট বস্তা কাপড়ের ব্যাগ। মহিলা ঠিক সুবিধে করতে পারছেন না ব্যাগটা নিয়ে, কারণ ভেতরে ভারি কিছু আছে, এবং বেঢপ কিছু। এদিক ওদিক থেকে ফুলে ফেঁপে রয়েছে। মহিলা ব্যাগ এ হাত ও হাত করছেন। একবার ঝোলাচ্ছেন, একবার বুকে জড়াচ্ছেন। ততক্ষণে দুপক্ষই একে অপরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। মহিলার চোখেমুখে বিরক্তি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আমাদের পেরিয়ে যাওয়ার ঠিক মুখে মহিলা থামলেন। রেলিং-এর ওপর ব্যাগ রেখে বেশ করে হ্যান্ডেলদুটোয় গিঁট বাঁধলেন। তারপর চাগিয়ে একেবারে মাথায়। এক হাত দিয়ে ব্যাগ সামলে ধরে আমাদের ক্রস করে গেলেন মহিলা। দশবারো পা গিয়ে আমি পেছনে তাকিয়ে দেখলাম। ব্যাগ মাথায় সেট করে গেছে। এখন মহিলার দু’হাতই ফ্রি। আমার নিজের কথা মনে পড়ল। দু’নম্বর মার্কেটের সামনে সন্ধ্যেবেলা যখন নামি, এক কাঁধে ব্যাগ, পিঠে ল্যাপটপ। বাজার করার থাকলে তার সঙ্গে আরেকটা ব্যাগ জোড়ে। বাঁধাকপি নয়তো লাউ, গোটা আষ্টেক টমেটো গড়াগড়ি খাচ্ছে তলায়। এক আঁটি পালং শাক। দু’প্যাকেট কাউ মিল্ক। কোনওটার সঙ্গে কোনওটার আকৃতিপ্রকৃতিতে কোনও মিল নেই। কেউ কারও সঙ্গে মিলেমিশে যাচ্ছে না। কাজেই ব্যাগটার আকারের কোনও ছিরিছাঁদ হয়নি। আমি ব্যাগটাকে বুকের কাছে জাপটে ধরে চলেছি। এক, হাতে ঝোলালে বেশি ভারি লাগে, দুই, ভয় লাগে যদি হ্যান্ডেল ছিঁড়ে মাটিতে আলুপটল গড়াগড়ি যায়। অসুবিধেজনক যত না, হিউমিলিয়েটিং তার থেকে বেশি। দামি কুকুরগুলো আবার ঠিক ওই সময় বকলস পরে সান্ধ্যভ্রমণে বেরোয়। যদি এই মহিলার মতো স্মার্ট হতাম, বেশ মাথায় নিয়ে চলা যেত।
দামি কুকুরের কথা ভাবতে ভাবতেই একটা দামি বাড়ি এসে গেল। প্রকাণ্ড বাংলো, গেট, গেটে ট্রেসপাসারস উইল বি প্রসিকিউটেড লিখে রক্ষা হয়নি, আবার একজন সিকিউরিটি গার্ড দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। পরে জগদীশ ভাইসাবের কাছ থেকে কনফার্ম করেছিলাম ওটাই শিল্পপতি সঞ্জয় নারং-এর বাড়ি। এটা নাকি উনি ওঁর জিগরি দোস্ত তেন্ডুলকরের জন্য কিনে রেখেছেন। ঘটনাটা সত্যি হলে তেলা মাথায় তেলের এর থেকে বিকট উদাহরণ আর হয় না। যাই হোক, আমরা সিকিউরিটি ভাইয়ের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে রাস্তাটা পার হয়ে এলাম। ভাইসাব কিছু বললেন না, বলার দরকারও ছিল না, কারণ ততক্ষণে চিৎকার শুরু হয়েছে। চিৎকারের উৎসমুখে ঘাড় উঁচিয়ে দেখি, তিনতলার ছাদ থেকে একটা কুকুর আমাদের উদ্দেশ্য করে তারস্বরে চেঁচাচ্ছে, আর তার পাশে চুপটি করে আমাদের চোখে চোখ ফেলে দাঁড়িয়ে আছেন সেই প্রথমদিনের দেখা সেন্ট বার্নার্ড। টুঁ শব্দটি না করে।
আমরা নিচ থেকে ওপরের পরিস্থিতি আন্দাজ করতে চেষ্টা করলাম। সেন্ট বার্নার্ড বলছেন, এ কী, এ সব গরিবগুর্বো আমার বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটছে কোন সাহসে। ভালো করে পাহারা দিচ্ছিস না নাকি। পাশের কুকুরটা ভয়ে ঘেমে গেছে, না দাদা, আমি ভালো করেই পাহারা দিয়েছিলাম, আপনি চিন্তা করবেন না, আমি এক্ষুনি তাড়িয়ে দিচ্ছি।
পরদিন সকালে জগদীশ ভাইসাব আর বরফি মিলে আমাদের আবার স্কুলের সামনে বড় রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে গেলেন। ওঁর এক বন্ধুর গাড়ি আছে, তিনি আমাদের নিয়ে যাবেন মুসৌরির পিকচার প্যালেস বাসস্ট্যান্ড। যেখান থেকে আমরা দেরাদুনের বাস ধরব। গাড়িতে ওঠার আগে একবার বরফির ভেজা নাকটায় হাত বুলিয়ে আসব ভেবেছিলাম, কিন্তু সে ততক্ষণে মহা উত্তেজিত কে জানে কোন অদৃশ্য চোরের পেছনে দৌড়েছে।
nah ekhane geleo oi barite amar thaka hobe na ..oi barfir jonyoi . mane iye kukurola barite ami e pray ramdeber tandhuri khaoyar motoi - Pradipta
ReplyDeleteল্যান্ডোরে কুকুরছাড়া প্রাইভেট বাড়ি পাওয়া বেশ শক্ত, প্রদীপ্ত। হোটেল আছে কিছু সেখানে চেষ্টা করে দেখতে পার।
DeleteSokal theke unkijhunki dichhi 3rd part er lobhe....as usual khub Bhalo lekha, samne sob chobir moton dekhlam ekkebare :) tabe oteebo lojjar sange swikar korchhi amake oto bhalobasleo ami kukurpremi hote parbo na, almost phobic oi bishoye. green apple soda kemon chilo? Ruskin Bond dorshon er cheshta korechile naki?- Bratati.
ReplyDeleteবন্ডের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করিনি, ব্রততী। কী-ই বা বলতাম। অর্চিষ্মান তো গ্রিন অ্যাপেল সোডা ভালোই বলল। আমি খাইনি, আমার ফুলফলের গন্ধওয়ালা ড্রিংক ভালো লাগে না।
DeleteGoppo shesh?! Dehradun e shomoye katale na? Ekta khub e shundor Shib er mondir ache ... dhalu rasta diye neme, nodir aar pahar er gaa dhore dhore dhore onek niche, nodi ke side e rekhe niche ekta cave er bhetore ... khub bhalo lagto tomar. Ekdom shohor er bhetore. Kempty toh Mussourie theke Dehradun er raastaye e dekhe thakbe, Shahasradhara dekhle asha kori.
ReplyDeleteদেরাদুন বা মুসৌরি কোনওটাতেই সময় কাটাইনি, শর্মিলা। কারণ, এক, আগে দেখা, দুই, তিনদিনের ছুটিতে তিনটে জায়গা দেখতে গেলে অনেক পরিশ্রমী হতে হয়।
DeletePahari kukurera sobosomoy poth dekhiye niye jay. Gushainir Raju's Cottage e jotobar gechhi, oder kono na kono poshyo dayitwosohokare graam obdhi niye gachhe. Boro bhalo hoy ora. :)
ReplyDeleteও, এটা আমার জানা ছিল না, বিম্ববতী। আমি ভেবেছি ওটা বরফি-স্পেশাল।
Deleteখুব ভালো খুব ভালো খুব ভালো। মন ভরে গেল আর বেড়ানো হয়ে গেল। আরো অনেক বেড়াতে যাও আর আরো অনেক লেখো। ম্যাগী কি বাড়ি ফিরে খাওয়া হলো? পাহাড়ের ঠান্ডা সুবুজ গন্ধ আমিও খুব চিনি। বিলম্বিত বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাই। ভীষণ অরিজিনাল প্রেমের গল্প হয়েছে সেদিনের পোস্টটা। এই বিষয়ে অর্চিষ্মানের একটি guest পোস্ট চাই - ওর চোখে তুমি।
ReplyDeleteনতুন চেয়ার টেবিল অত্যন্ত cute হয়েছে। অবান্তরের নতুন জন্মস্থান দেখে খুব ভালো লাগছে। একজন শান্তিবাবু পেলে কি ভালোই না হতো আমার। সব মাপমতো বানিয়ে নেওয়া যেত!
ম্যাগিটা চারদুকানের, অমিতা। শান্তিবাবুরা খুবই জরুরি, আমিও মানি।
Deleteabantor er comment porte eijonnoi bhalo lage.. duto proshno chilo.. kukur chara bari ar Maggi niye.. dutor e uttor peye gechi.. :) khub bhalo .. musoorie ta pochondo holona temon.. kokhono odike gele landour list e thaklo..
ReplyDeleteহ্যাঁ, ল্যান্ডোর ভালো লাগবে মনে হয়, ঊর্মি। এদিকে এলে যাস।
Deletekajer chape pagol pagol dosha. Tar modhyeo tomar lekhata pore ektu mone mone ghure elam. thank you.
ReplyDeleteতোমার কাজের চাপ কমুক এই আশা করি, চুপকথা।
Deletedarun ghurlam, pore thek ekebol ektai kotha bhabchhi katodin berate jaoa hoeni
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা।
Delete