এ মাসের বই/ মে ২০১৭



Into the Water/Paula Hawkins



বই ছাপা হয়ে বেরোলো আর আমি লাফিয়ে পড়ে সে বই কিনে পড়ে ফেললাম, এ প্রায় ঘটেই না। পলা হকিন্সের ‘ইনটু দ্য ওয়াটার’-এর ক্ষেত্রে সেটাই ঘটল। পলা হকিন্স হচ্ছেন ‘দ্য গার্ল ইন দ্য ট্রেন’-এর বিখ্যাত লেখক। আমার ‘দ্য গার্ল ইন দ্য ট্রেন’ রীতিমত ভালো লেগেছিল, তাই ইনটু দ্য ওয়াটার পড়ব ঠিকই করে রেখেছিলাম। সিদ্ধান্ত নিতে বেগ পেতে হয়নি।

ইংল্যান্ডের উত্তরে বেকফোর্ড নামের এক ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামে থাকত জুলস এবং নেল নামের দুই বোন, তাদের বাবামায়ের সঙ্গে। সদ্ভাব কখনওই ছিল না, বড় হওয়ার পর দুই বোনের সম্পর্কছেদ হয়। মূলত, ছোটবোন জুলসেরই উদ্যোগে। নেল কেরিয়ারে নাম করে, বেকফোর্ড ছেড়ে বেরিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ায়, এবং কিছুদিন পর নিজের মেয়েকে নিয়ে বেকফোর্ডে ফিরে এসে, পুরোনো বাড়িতে থাকতে শুরু করে।

বেকফোর্ডে ফিরে আসার একটা বিশেষ কারণ নেলের ছিল। বেকফোর্ড-এর একটা কুখ্যাতি ছিল জনমানসে। গ্রামের পাশ দিয়ে বইত এক নদী। একটি বিশেষ বাঁকে, নদী প্রায় সবদিক থেকে অবরুদ্ধ ছিল আর একদিক থেকে উঠে গিয়েছিল খাড়া পাথরের দেওয়াল। সেই নদীর বদ্ধ অংশটুকুকে সবাই জানত ‘ড্রাউনিং পুল” নামে। দেওয়ালের ওপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার আদর্শ সুযোগ। সে সুযোগের সদ্ব্যবহারও হত প্রায়ই। তাছাড়া শত শত বছর আগে, যখন ও তল্লাটে ডাইনিশিকারের ধুম ছিল, তখন কিছু ডাইনিকে এই পুলে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল বলেও বইতে লেখা আছে। 

নেল বেকফোর্ডে ফিরে এসেছিল এই ড্রাউনিং পুল-এর লিজেন্ড নিয়ে কাজ করবে বলে।একদিন সকালে উঠে সবাই দেখল, পুলের জলে নেল-এর নিথর দেহ ভাসছে, কোথাও কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। যদিও ‘এসট্রেঞ্জড’ তবু আর কোনও প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়ের অভাবে পুলিস জুলস-কে খবর দিল নেলের আত্মহত্যার। জুলস এল। নেলের জন্য নয়। নেলের টিনএজার মেয়ে, লেনা-র, প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে, তাছাড়াও নিজের একটা ধন্দও পরিষ্কার করার ছিল । নেলকে জুলস যতটুকু চেনে, তাতে নেলের পক্ষে আত্মহত্যা করা অসম্ভব।

নেলের কাগজপত্র ঘাঁটতে গিয়ে, বেকফোর্ডের ড্রাউনিং পুল নিয়ে নেলের তৈরি করা অসমাপ্ত প্রতিবেদনের পাণ্ডুলিপির ভেতর দেখল জুলস, নেল লিখে গেছে, ওটা ড্রাউনিং পুলটুল কিছু না, ওটা হচ্ছে “a place to get rid of troublesome women,”

পলা হকিন্স-এর এই ব্যাপারটা আমার পছন্দ। ওঁর দুটো বইয়েরই মুল চরিত্র মেয়েরা শুধু নয়, ‘আনলাইকেবল’ মেয়েরা। মোদোমাতাল, যে কাজটা করতে বারণ করা হচ্ছে (নিজের ভালোর জন্যই) সেই কাজটাই ক্রমাগত করে চলা, জেনেবুঝে কুড়ুলে গিয়ে পা দেওয়া, যৌনতাকে নীতিবোধের সিংহাসনে চড়িয়ে ধূপধুনো না দেখানো মেয়েরা। বেসিক্যালি, ছেলে হলে যে চরিত্রগুলোকে আমি বাঁধনছাড়া, বোহেমিয়ান এবং ব্রেভ বলতাম, সেই রকম মেয়েরা।

‘দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন’-এ তিন মহিলার কণ্ঠস্বরে আমরা গোটা গল্পটা শুনেছিলাম। ইনটু দ্য ওয়াটার লেখা হয়েছে নারী পুরুষ মিলিয়ে এগারো জনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে শুনলাম। অনেকেই বলেছেন এগারোটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। পলা হকিন্স নিজে বলেছেন, ইনটু দ্য ওয়াটার-এর সব চরিত্রই গল্পে কোনও না কোনও ভাবে ক্রুশিয়াল, এবং সকলেই ঝুড়ি ঝুড়ি সিক্রেট গালে পুরে বসে আছে। তাদের সেই সব সিক্রেট বার করার জন্য তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দেওয়া দরকার ছিল। ফার্স্ট পার্সনের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির সংকীর্ণ পরিসরে, এমনকি থার্ড পার্সন সর্বজ্ঞ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েও সে সিক্রেট ইন্টারেস্টিং করে আলোয় আনা যেত না। 

এই যুক্তিটা আমার একটু অদ্ভুত লেগেছে। সব গল্পেরই, বিশেষ করে রহস্যরোমাঞ্চ গল্পে একাধিক চরিত্রের একাধিক সিক্রেট থাকে। কিন্তু তা বলে সবাইকে নিজের নিজের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গল্পটা বলতে দেওয়া হয় না। পয়েন্ট অফ ভিউ বারবার বদলালে গল্পের স্রোতে বাধা পড়ে বলেই আমার বিশ্বাস, তাছাড়া প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গির তফাৎ ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। 

ইনটু দ্য ওয়াটার আমার ভালো লেগেছে। দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন-এর সঙ্গে তুলনা অবশ্যম্ভাবী, পলা হকিন্স নিজেও সেটা জানতেন, তাই সে খাঁচা থেকে বেরোনোর চেষ্টা তাঁর ছিল। দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেন অনেক বেশি সাসপেন্সমূলক, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের সঙ্গে তার মিল অনেক বেশি। ইনটু দ্য ওয়াটার-এ রহস্যের পাশাপাশি আরও কয়েকটা বাড়তি স্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পলা। বেকফোর্ডের প্রেক্ষাপটে উইচক্রাফট ইত্যাদির আভাস বুনে একটা গথিক অনুভূতি আনার চেষ্টা করেছেন, এবং পেরেওছেন। সেটা করতে গিয়ে মিস্ট্রির অংশটা একটু ঢিলে হয়ে গেছে। প্রায় মাঝখান থেকেই বোঝা যাচ্ছিল গোলমালটা কোনখানে। তাতেও অসুবিধে হয়নি আমার বিশেষ। আমার যেটা মনে হয়েছে, ইতিহাস এবং বর্তমানের মিশেলটা আরও জম্পেশ হতে পারত। চোদ্দ বছরের লিবি সিটন, ষোলোশো ঊনসত্তর সালে, ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগে, এবং বত্রিশ বছরের এক পুরুষকে ‘ভুলিয়ে’ তার স্ত্রী ও নবজাতকওয়ালা সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য লিবির হাত পা বেঁধে ড্রাউনিং পুল-এ ডুবিয়ে মারা হয়। দেওয়া হয়। নেল আর জুলস আর লেনা আর কেটির গল্প পড়তে পড়তে আমার কেবলই লিবি সিটনের কথা মনে পড়ছিল। মনে হচ্ছিল, এই গল্পটার থেকে ওই গল্পটা হয়তো আরও ভালো হত।


The Landour Cookbook: Over hundred Years of Hillside Cooking/Edited and Introduced by Raskin Bond & Ganesh Saili




উনিশশো কুড়ির দশকে ল্যান্ডোরের কেলগ চার্চের পাদ্রির স্ত্রী মিসেস লুকাস আর উডস্টক স্কুলের প্রিন্সিপ্যালের স্ত্রী মিসেস পার্কারের সঙ্গে মিলে একটি রিডিং ক্লাব খোলেন। উনিশো আঠাশ সালে তৈরি হওয়া ল্যান্ডোরের ঝকঝকে নতুন কমিউনিটি সেন্টারে ক্লাবের সাপ্তাহিক মিটিং বসত। ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য ছিল বই পড়া, আফটার অল, রিডিং ক্লাব যখন। বই পড়ার পাশাপাশি সদস্যরা নিজেদের মধ্যে রেসিপি চালাচালি করতেন। এই সব রেসিপি জমা করে উনিশশো তিরিশ সালে প্রথম ছাপা হয় ল্যান্ডোর কুকবুক। রেসিপির সঙ্গে সঙ্গে ঘরকন্নার আরও দরকারি খুঁটিনাটি টিপস ও টোটকাও ছিল। বই বিক্রি থেকে যে টাকা উঠল, তা রিডিং ক্লাবের উন্নতিকল্পে খরচ হল।

প্রায় সত্তর বছর পর সেই বইয়ের রেসিপি সাজিয়েগুছিয়ে আবার নতুন করে বই বাঁধিয়ে বার করেছেন রোলি বুকস, সম্পাদনার দায়িত্ব পেয়েছেন ল্যান্ডোরের মুখপাত্র রাস্কিন বন্ড এবং গণেশ সাইলি।

এমাসের দুটো বইয়ের মধ্যেই একটা মিল আছে, সেটা হচ্ছে দুটো বইই আমি লাফিয়ে কিনেছি। প্রথমটা কিনেছি নিজে, আর দ্বিতীয়টা, ল্যান্ডোর কুকবুকঃ ওভার হান্ড্রেড ইয়ারস অফ হিলসাইড কুকিং কিনেছি এই অবান্তরের কমেন্ট বিভাগে সাজেশন পেয়ে। আমি আমাজন প্রাইমের তিরিশদিনের ফ্রি ট্রায়ালের তিরিশ দিন এখনও পেরোয়নি, তারই সুবাদে অর্ডার দেওয়ার পরদিনই বই এসে গেল। ঠিক আমার হাতের পাঞ্জার সমান লম্বা আর আটআঙুল পাশাপাশি জড়ো করা আটআঙুল প্রমাণ চওড়া, অতি সুন্দর, হালকা নীল, ঘিয়ে, গোলাপি, বেগুনি ইত্যাদি রঙের মৃদু আঁচে রাঙানো একটি মারাত্মক কিউট বই।

বইয়ের বাইরেটা দেখে মন যত খুশি হল, পাতা উল্টে ঠিক ততটাই দমে গেল। যদিও দমার কোনও কারণ নেই।  বইটি এক্স্যাক্টলি তাই, যা টিনে লেখা আছে। ল্যান্ডোর কুকবুক। অর্থে রেসিপিবুক। গত একশো বছর ধরে ল্যান্ডোর, মুসৌরিসংলগ্ন পাহাড়ের ঘরেঘরে রান্নাহওয়া রেসিপির বই, দ্য ল্যান্ডোর কুকবুক। দুশো ছাপ্পান্ন পাতার দুশো ছত্রিশ পাতা ধরে রেসিপি। বেভারেজ, সুপ, অন্ত্রে ও টিফিন, মিট ফাউল অ্যান্ড ফিশ, ভেজিটেবলস, স্যালাড অ্যান্ড স্যালাড ড্রেসিং থাকলেও সিংহভাগ জুড়ে আছে পুডিংস অ্যান্ড ডেজার্টস, কনফেকশনারি (যার মধ্যে পড়ছে কেকস, আইসিংস, কুকিস, ডোনাটস, পেস্ট্রিস অ্যান্ড পাইস, ক্যান্ডি), ব্রেডস অ্যান্ড রোলস, জ্যামস অ্যান্ড জেলিস, পিকলস অ্যান্ড রেলিশেস। উপসংহারে ঘরোয়া টোটকা (নমুনাঃ টু কিল দ্য মাটন টেস্ট ইন মাটন, অ্যাড টু পীলড অ্যাপলস।) এবং ভিটামিন তালিকা ও তাদের গুণাগুণ তালিকা। 

বাকি কুড়ি পাতার ছ’পাতা প্রকাশকের নামধামবংশপরিচয় ইত্যাদি, এবং চোদ্দ পাতা জুড়ে বইয়ের উপক্রমণিকা। কে লিখেছেন লেখা নেই, তবে ভুল প্রমাণিত হওয়ার খুব একটা ঝুঁকি না নিয়েই আন্দাজ করা যায়। অসামান্য সরস ভাষায় আঞ্চলিক গল্প, ল্যান্ডোর পত্তনের ইতিহাস, রাসকিন বন্ডের ঠাকুমার খাদ্যাখাদ্যসংক্রান্ত প্রবাদপ্রবচনখচিত উপক্রমণিকা। সেখানে স্থানীয় গোয়ালাদের কথা আছে, ল্যান্ডোর পত্তনের ইতিহাস আছে। একটা গল্প বিশেষ করে পছন্দ হয়েছে আমার, সেটা আপনাদের শোনাচ্ছি। 

“Among the many local cooks who worked for the missionaries was Ranjit, an eccentric character who spoke his mind on everything under the sun. At one time he worked for a Bishop of the Hindustani Church, who was given to criticising his guests behind their backs. When the Bishop threw a big dinner party in Landour, Ranjit had made up his mind to quit his job. As the entourage entered the dining room, they found Ranjit comfortably ensconced at the head of the table. 

‘Out! Out!’ yelled the Bishop, pointing to the door. 

‘You out! Out yourself!’ replied Ranjit calm, and proceeded to tell the guests what their genial host actually thought of them!’

গোটা বইটা এরকম গল্প নিয়ে হলেই ভালো হত না? কিন্তু দোষ আমারই, বইয়ের বর্ণনায় কোথাও লেখা ছিল না দ্য ল্যান্ডোর স্টোরিবুকঃ ওভার হান্ড্রেড ইয়ারস অফ হিলসাইড স্টোরিস। অগত্যা আমি রেসিপি পড়তে শুরু করলাম।

রেসিপির বই যে গল্পের মতো পড়া যায় না তা নয়। লীলা মজুমদারের লেখা রান্নার বই আমি শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু বার পঞ্চাশেক পড়েছি। কিন্তু সে প্রথমত, লীলা মজুমদারের লেখা, দ্বিতীয়ত, বাংলা রেসিপির বই। ‘ডাল ফেলা’ আমি কোনওদিন রাঁধি না রাঁধি, ব্যাপারটা সম্পর্কে আমার তবু একটা কৌতূহল আছে। মার্শমেলো পুডিং আ লা স্ট্যানলি-র মার্শমেলো এবং স্ট্যানলি, দুজনের প্রতিই আমি সমান নির্বিকার। এ বইয়ের রেসিপিগুলো একেবারেই রেসিপির ঢঙে লেখা। (সেকেলে ঢঙে। উপকরণ এবং প্রণালী। গ্যাস হাই-তে রাখতে হবে না সিমে, আভেন প্রিহিট করতে হবে না উলের কাঁটা ফুটিয়ে দেখতে হবে, এসব লেখা নেই। এসব রাঁধুনির কমন সেন্সের ওপর ছেড়ে রাখা হয়েছে।) রেসিপির সঙ্গে কোনও গল্প জুড়ে নেই। 

একেবারেই কি নেই? রেসিপির ডানদিকের মাথায় ছোট ছোট অক্ষরে রেসিপির উৎসের নাম লেখা আছে। মিস ড্রামন্ড, ই এল মুডি, এলমা হিল। মিস বার্জেস পাঠিয়েছেন ‘গুড প্লেন কেক’। নাম শুনেই ভরসা হয়। মিস বার্জেসের কেক এবং মিস বার্জেসের প্রতিও। কেন যেন মনে হয় কেকের নামের সঙ্গে মিস বার্জেসের স্বভাবেরও মিল থাকবে। থাকতেই হবে। এলমা হিল, কল্পনায় দেখি, ছিপছিপে চটপটে একজন মানুষ, রেসিপি দিয়েছেন কুইক কেকের। উপকরণের নিচে লেখা, মিক্স অল দ্য ইনগ্রেডিয়েন্টস ইন আ বোল অ্যান্ড বিট ফর থ্রি মিনিটস। বেক ফর থার্টি ফাইভ টু ফর্টি মিনিটস। ব্যস? ব্যস। এলমা হিল কাঁধ ঝাঁকাচ্ছেন। আবার কী? অতৃপ্ত পাঠকরা, ফুড ব্লগ পড়ে পড়ে/দেখে দেখে যাদের অভ্যেস খারাপ হয়ে গেছে তারা বলছে, “আর কিছু টিপস দিন মিস হিল। কেকটা কীভাবে সাজাতে হবে? জানালার কোন ধারে রেখে ছবি তুললে বেটার আসবে? যারা ডায়েটিং করছে অথচ নোলা কমাতে পারছে না, তাদের জন্য এনি সাবস্টিটিউটস? আচ্ছা আপনি যে লিখেছেন বিট ফর থ্রি মিনিটস, এই বিটিং কি ধীরে ধীরে না জোরে জোরে? বিটিং-এর গতির ওপর কি সময়সীমা বাড়বে কমবে? আচ্ছা, ড্রাই ইনগ্রেডিয়েন্টস আর ওয়েট ইনগ্রেডিয়েন্টস আলাদা আলাদা, খেপে খেপে মেশালে কি কেক আরও ভালো হবে? আরও ফ্লাফি? আরও সফট?”

এমিলি হিল মাথা ঝাঁকাচ্ছেন। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁর গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।  অবশেষে তিনি জুড়ে দিচ্ছেন নোটঃ ইফ দ্য ইনগ্রেডিয়েন্টস আর অ্যাডেড সেপারেটলি, দিস কেক উইল ফেল।

এই সব গল্প কল্পনা করে নিলে ল্যান্ডোর কুকবুকের শুরুর চোদ্দ পাতার মতো বাকি দুশো ছত্রিশ পাতাও পড়তে সমান ভালো লাগতে পারে।


Comments

  1. Arre, Landour Cookbook pore amar exactly etai mone holo. Prottekta recipe er songe jeno joriye achhe chhoto chhoto ajana golpo, ekta anyo somoy ar adekha koto manush - tara kirokom chhilo, kemon dekhte, ki korto, kon brishtighera sondhyae rannaghorer alo andharite kather unune ei welsh rarebit banano hoto... ar sobkichhu jure Landour er pahar, church, church theke bheshe asha organ music, reading club, chorai utrai, jongol, brishti.... aro koto kichhu.

    pathok ke upohar deoa 2-3 line er tried and tested chhotto recipe, ar anekta kolpona.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, এভাবে বইটাকে দেখা যেতে পারে।

      Delete
  2. Byas... Paula Hawkins er boita ekhuni porte iche korche ja konobhabei sombhob noy ...tai dukkho pelam bhari...
    cookbook er sathe tomar Emily hill er description otyonto upadeyo laglo....especially that food blog part-recipe fail--- just too good. Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রথম বইটা মন্দ নয়, ব্রততী, ইচ্ছে থাকলে পোড়ো।

      Delete
  3. "চোদ্দ বছরের লিবি সিটন, ষোলোশো ঊনসত্তর সালে, ডাকিনীবিদ্যা চর্চার অভিযোগে, এবং বত্রিশ বছরের এক পুরুষকে ‘ভুলিয়ে’ তার স্ত্রী ও নবজাতকওয়ালা সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য লিবির হাত পা বেঁধে ড্রাউনিং পুল-এ ডুবিয়ে মারা হয়। দেওয়া হয়। "

    বাক্যগঠনটা হালকা এদিক ওদিক হয়ে গেল যে ? তবে বইটার কথা শুনেই পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে|

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অন্বেষা।

      Delete
  4. Paula Hawkins er prothom boitai pora hoyni ekhono. age ota namate hobe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওটা এটার থেকে ভালো, আমার মতে, অরিজিত।

      Delete

Post a Comment