Posts

Showing posts from July, 2017

মশাদের বুদ্ধি

মানুষের যেরকম ধাপে ধাপে লাফে লাফে অগ্রগতি হচ্ছে, বাকি পশুপাখিদেরও সেরকম হচ্ছে কি না, না হলে কেন হচ্ছে না, এসব নিয়ে কৌতূহল আমার অনেক দিনের। আপাতদৃষ্টিতে দেখে তো মনে হয় ওঁরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। হ্যাঁ, হয়তো সাইজে আরেকটু বড় ছিলেন, কিংবা গায়ে লোম একটু বেশি ছিল, কিন্তু সে সব গৌণ বদল। আমি সে সব বদলের কথা বলছি না। সে রকম বদল তো আমাদেরও হয়েছে, কাঁধ সোজা হয়েছে, চোয়াল ঢুকে গেছে - আমি বলছি বড় বড় পরিবর্তনের কথা। আমাদের ইতিহাস বইতে যেমন আগুন জ্বালাতে শেখা, চাকা আবিষ্কার, কৃষিকর্ম ইত্যাদি চ্যাপ্টার আছে, বাঘসিংহের বইতেও কি আছে সেরকম? মনে তো হয় না। কেন নেই? নিজেদের বুদ্ধিতে না কুলোক, ওঁদের নাকের ডগায় যখন আমরা আগুন জ্বালাতে শিখলাম, তখন আমাদের টুকে ওঁরা শিখলেন না কেন, এইটা আমার আরও অদ্ভুত, আরও অবিশ্বাস্য লাগে। (এত অবিশ্বাস্য যে মাঝে মাঝে মনে হয়, হয়তো ওঁরা জানেন সবই, আমরা জানতে পারছি না। এখনও তো সব বন কেটে সাফ করতে পারিনি, হয়তো সেই বনের মধ্যে বাঘেদের অফিস আছে, অফিসে ওয়াইফাই, হয়তো আমাদের থেকে বহুগুণ দ্রুততর, বাফারিং বলে কোনও বস্তু নেই, ডাউনলোড হয় চক্ষের নিমেষে। অবশ্য বাঘেদের অগ্রগতি আমাদে...

ম্যাগপাই মার্ডারস

Image
উৎস গুগল ইমেজেস লন্ডনের মাঝারি প্রকাশনা সংস্থা ক্লোভারলিফ পাবলিশিং। সংস্থার কর্ণধার চার্লস ক্লোভার।   সুসান রাইল্যান্ড সংস্থার এডিটর এবং চার্লস ক্লোভারের ডানহাত। ক্লোভারলিফ এবং সুসান রাইল্যান্ডের পোর্টফোলিও-র সবথেকে বড় কুমীরছানা, রহস্যলেখক অ্যাল্যান কনওয়ে। কনওয়ে আগাথা ক্রিস্টি, ডরোথি সেয়ার্স ঘরানার চ্যাম্পিয়ন লেখক এবং কনওয়ের গোয়েন্দা অ্যাটিকাস পিউন্ড, পোয়্যারোর সার্থক উত্তরাধিকারী।   পিউন্ড সিরিজের আটটা উপন্যাস সাফল্যের সব রেকর্ড ভেঙেছে। নবম এবং সিরিজের শেষ উপন্যাস ‘ম্যাগপাই মার্ডারস’-এর পাণ্ডুলিপি এসে পৌঁছেছে ক্লোভারলিফের অফিসে, অফিস থেকে রাইল্যান্ডের হাতে। রাইল্যান্ড পড়তে শুরু করলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরাও।   উনিশশো পঞ্চান্ন। স্যাক্সবি অন অ্যাভন ছোট্ট ঘুমন্ত গ্রামে পরপর দুটো মৃত্যু ঘটে। প্রথম মারা যান মেরি ব্ল্যাকিস্টন নামের একজন গৃহপরিচারিকা। গ্রামের সবথেকে বড়লোক স্যার ম্যাগনাস পাই-এর অট্টালিকা পাই হল, সেই হলের সিঁড়ির নিচে তাঁর দলামোচড়ানো মৃতদেহ আবিষ্কার হয়। বোঝাই যাচ্ছে কী হয়েছে। সিঁড়ির ওপরে রাখা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের এলোমেলো দড়িতে   পা পেঁচিয়ে পতন এবং ...

কী এনেছ?

ইন্টারনেটে ঘুরতে ঘুরতে নানারকম খেলা চোখে পড়ে। চরিত্র বিশ্লেষণ, স্বপ্নবিচার, আপনার পার্টনার আপনাকে ভালোবাসে কি না তার প্রমাণ। বই পড়া সংক্রান্ত খেলাধুলো আমার ফেভারিট। বই পড়া দিয়ে চরিত্র বিচার, চরিত্র দিয়ে বই পড়া বিচার, বইয়ের সঙ্গে লেখক মেলানো, লেখকের সঙ্গে বই ইত্যাদি।   সেদিন এই আর্টিকলটায় পড়লাম এক ভদ্রলোক একখানা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বার করেছেন, যেটাতে কোন লেখক তাঁদের লেখায় কোন শব্দ, শব্দবন্ধ, বাক্য, ক্লিশে সবথেকে বেশি ব্যবহার করেছেন সব বেরিয়ে যাচ্ছে।   কারও কারও সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ কার্যকারণরহিত, যেমন রে ব্র্যাডবেরি = সিনামন ভ্লাদিমির নাবোকোভ = মভ আবার কারও কারও একেবারে দুইয়ে   দুইয়ে চার।   ক্রিস্টি = ইনকোয়েস্ট, অ্যালিবাই   টলকিয়েন = এলভ্‌স, গবলিন, উইজার্ডস   ক্লিশে ব্যবহারে সাধারণত নাক কোঁচকানো হলেও চেনা লেখকরা অনেকেই ক্লিশে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন দেখা গেছে। জেন অস্টেন = উইথ অল মাই হার্ট ড্যান ব্রাউন = ফুল সার্কল রোলিং = ডেড অফ নাইট সলমান রুশদি = দ্য লাস্ট স্ট্র বাংলা লেখকদের নিয়ে এরকম একটা কিছু থাকলে মন্দ হত...

পারকিনসন'স ল

Image
সিরিল নর্থকোট পারকিনসন (১৯০৯-১৯৯৩) উৎস গুগল ইমেজেস ছোটবেলায় শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা মহম্মদ আলির জীবনী পড়া ইস্তক 'পারকিনসন'স' বললেই রিফ্লেক্সে ‘ডিজিজ’ শব্দটা মাথায় আসত, গত দুদিন ধরে অন্য একটা শব্দ মাথায় আসছে।   ল। পারকিনসন’স ল। যদিও যদিও ল’এর অনেক আগে পারকিনসন এসেছেন (ল’ আবিষ্কারের সময়, বা আবিষ্কার জগতের কাছে উন্মোচনের সময় তাঁর বয়স ছিল ছেচল্লিশ) তবু তাঁর থেকে তাঁর ল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ল না থাকলে সিসিল নর্থকোট পারকিনসনের নাম এই এতদিন পরে এত দূরে বসে আমি জানতেই পারতাম না। কাজেই ল-টা আগে বলে নিই।   Work expands so as to fill the time available for its completion. যে রকম শুনতে লাগছে, সে রকম গম্ভীর করে কথাটা পারকিনসন বলেননি। সিরিল নর্থকোট পারকিনসন ছিলেন ব্রিটিশ বুরোক্রেসির ভেতরের লোক। সিস্টেমের অপদার্থতা, ক্রমবর্ধমান আয়তন, গুচ্ছের অকাজের লোককে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো, এ সব সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং গাত্রদাহ আর পাঁচটা বাইরের লোকের থেকে বেশিই ছিল। সেই নিয়েই একখানা বিদ্রূপাত্মক, ননসিরিয়াস লেখা, সিরিয়াস পত্রিকা দ্য ইকনমিস্ট-এ লিখেছিলেন পারকিনসন। ছাপা হয়ে...

সিগারেট, মোবাইল আর বই। তিনটেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

সিগারেট অনেক লোকে অনেক ভাবে ছাড়ে। আমার মতে ছাড়ার বেস্ট উপায় না ধরা, কিন্তু যদি ধরেই ফেলে কেউ তাহলে নেক্সট বেস্ট হচ্ছে কোল্ড টার্কি পদ্ধতি। আমার বাবা ওইভাবেই ছেড়েছিলেন। তবে আরও নানারকম ভাবে ছাড়া যায় শুনেছি, ইলেকট্রিক সিগারেট ফুঁকে, গায়ে নিকোটিন প্যাচ লাগিয়ে। নেহেরু প্লেসের জ্যামে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাঝে মাঝে বাবাজীদের বিজ্ঞাপনের কার্ড উড়ে এসে গায়ে পড়ে, সেখানে দেখেছি বাবাজী অ্যামেরিকায় চাকরি দেওয়ানো, কালো মেয়ের পাত্র জোটানোর সঙ্গে সিগারেটের নেশাও সফলভাবে ছাড়ানোর দাবি করেছেন। ফোন নাম্বারও দেওয়া আছে। সেভাবেও হয়তো ছাড়ে কেউ কেউ। কলেজ ইউনিভার্সিটিতে লোকজনকে আরেকরকম উপায়ে সিগারেট ছাড়তে (বা ছাড়ার চেষ্টা করতে) দেখেছি। সেটা হচ্ছে, নিজের পয়সায় খাওয়া বন্ধ করা। কেউ কিনে দিলে, বা বন্ধুদের থেকে কাউন্টার নিয়ে খাওয়া। আশায় থাকা এরকম ফ্রি রাইড বেশিদিন চালাতে বন্ধুরা অ্যালাউ করবে না, আর তখন এই মারাত্মক নেশার হাত থেকে মুক্তি মিলবে।   মাসতিনেক আগে আমি যখন ফোনে গেম খেলা ছাড়ব ঠিক করলাম, এই পদ্ধতিটাই পছন্দ হল। অর্থাৎ আমি নিজের ফোনে গেম খেলব না, খেলতে হলে শুধু অন্যের ফোনে খেলব। এখন, অন্যের ফোন বলতে তো ব...

বাংলা বই + 'অপার্থিব'

Image
আমার বই পড়া চোট খেয়েছে। সিরিয়াস চোট। খানিকটা আমার দোষে, খানিকটা অফিসের দোষে, খানিকটা লেখার দোষে। লেখা বাড়লে পড়া কমে যায়। লিখছি বলে পড়তে পারছি না, এটা ফাংশানে বেশি গাইছি বলে রেওয়াজ কম হচ্ছে, বা বেশি বেশি খাচ্ছি বলে রাঁধার সময় পাচ্ছি না গোত্রের আয়রনি, কিন্তু এটাই সত্যি।   খানিকটা দোষ বইয়েরও। গত ক’মাসে এমন একটাও বইয়ের দেখা পাইনি যা একেবারে আমাকে কপ করে গিলে ফেলেছে। একেবারে যে পড়িনি তা নয়, দুটো অতি বিখ্যাত/ ক্রিটিক্যালি অ্যাক্লেইমড গোয়েন্দা গল্প পড়েছি, পড়ে মনে হয়েছে, “এই?”,সেই নিয়ে ঘটা করে রিভিউ লিখতে ভালো লাগে না। বই অর্ধেক, দুই তৃতীয়াংশ, তিন চতুর্থাংশ এমনকি নয়ের দশ ভাগ পড়ে ফেলে রাখার প্রবণতা বেড়েছে। অতখানি পড়েছি যখন বাকিটা না পড়ার কোনও কারণ নেই, তবু।   আমার ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে চলা পড়ার গাড়ি একেবারে থেমে না যাওয়ার কৃতিত্ব একমাত্র বাংলা বইয়ের। ক্রমাগত নতুন নতুন বাংলা বই বেরোচ্ছে, কিনছি এবং পড়ছি। সেগুলোর রিভিউ করছি না কেন? তার একটা কারণ ভালো লাগা না লাগা তো বটেই, এ ছাড়া আরও একটা কারণ আছে, যেটা বলার আগে খানিকটা গৌরচন্দ্রিকার প্রয়োজন। একটা অভিযোগ ওড়ে বাজারে যে আজকাল যত ...

নারকান্ডা-সিমলা

Image
সিমলা থেকে টানা ন’ঘণ্টার জার্নি করে রকশম যাব না বলে সারাহান থেমেছিলাম, রকশম থেকে সিমলা টানা ন’ঘণ্টার জার্নি করব না বলে থামব নারকান্ডায়। সিমলা থেকে ঘণ্টা দুয়েকের দূরত্বে চেনা হিলস্টেশন নারকান্ডা। রকশম চিৎকুলের তুলনায় রীতিমত মেট্রোপলিস বলা যেতে পারে। থেমে থেমে চা খেতে খেতে এলেও রাস্তায় কষ্ট হল। অনেকটা নেমে আসায় টেম্পারেচার বেড়ে গেছে, ওই ভর দুপুরে অতক্ষণ টানা গাড়িতে বসে থাকা, বিশ্রী। নারকান্ডায় আমরা এসে পৌঁছলাম সাড়ে তিনটের সময়। ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল। পুরোটাই শারীরিক নয়। ছুটি আর মোটে এক রাত। কাল বাড়ি ফেরা। আমরা উঠেছি হিমাচল সরকারের হোটেল হাটু-তে। অনেক লোক। ঈদের লং উইকএন্ডে সকলেই বেড়াতে বেরিয়েছেন। সত্যি বলছি, ইচ্ছে করছিল শুধু বিছানায় শুয়ে শুয়ে পকোড়া খেতে খেতে টিভি দেখি, ইচ্ছেতে লাগাম পরালাম।   কারণ সময় আর হাতে বেশি নেই। নারকান্ডায় আমাদের হাতে শুধু একটা সন্ধ্যে। কিছুই দেখা হবে না, তবে হাটু হোটেল থেকে হাটু রোড ধরে সাত কিলোমিটার দূরে হাটু পাহাড়ের চুড়োয় হাটু দেবীর মন্দির দেখতে সবাই যায়, আমরাও যাব। পিচরাস্তা ধরে ঘণ্টাদুয়েক চড়লেই শৃঙ্গজয়। আমাদের মতো শখের হাঁটিয়েদের জন্য আদর্শ। যদিও ও...

রকশম-চিৎকুল-কামরু ফোর্ট

Image
রকশম নামটা আগে শুনিনি, সাংলা শুনেছি। আমি শুনেছি মানে সকলেই শুনেছে, সাংলা ভ্যালির ভরকেন্দ্র হচ্ছে সাংলা শহর। কিন্তু সে তো নামেও শহর, কাজেও শহর, সাইজে যা একটু ছোট, সেখানে আমাদের থাকতে ইচ্ছে করল না। খুঁজতে খুঁজতে আমরা পেয়ে গেলাম রকশম-এর নাম। ছবি দেখে, রিভিউ পড়ে পছন্দ হয়ে গেল। সারাহান থেকে ঘণ্টা চারেক সাংলা, সাংলা থেকে ঘণ্টা আধেক দূরে বসপা নদীর তীরে, আপেল বাগানের ভিড়ে, সমুদ্রবক্ষ থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটার উচ্চতায় ছোট্ট গ্রাম রকশম।   যাওয়ার পথে টাপরিতে চা খেলাম আর কারছামে দেখলাম বিখ্যাত কারছাম-ওয়াংটু নামের বারোশো মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।   যাওয়ার রাস্তার বর্ণনা দিতে পারি, কিন্তু তার থেকে ঢের সোজা হবে বোঝানো যদি বলি গোটা রাস্তাটাই যায় কিন্নরের মধ্যে দিয়ে, স্থানীয় লোকেরা যাকে বলে কিনৌর। উত্তরে কিন্নর কৈলাস, দক্ষিণে গাড়োয়াল, আর শতদ্রু, বসপা, স্পিতি উপত্যকা জুড়ে তৈরি এই কিন্নর। বাকি পৃথিবীটা যদি মানুষের হয় তবে কিন্নর দেবতাদের। নদী, পর্বত আর জঙ্গলে ঘেরা কিন্নরে মানুষই বিরল এবং বেমানান।   রকশমের অসুবিধে একটাই। থাকার হোটেল নেই বেশি। আছে শুধু রুপিন রিভার ভিউ ...

দুটো গল্প

Image
ডক্টর হিন্দোলা সেনগুপ্ত, সিনিয়র ফেলো হিসেবে আমাদের অফিসে সম্প্রতি জয়েন করেছেন। মহিলা কারও সঙ্গে কথা বলেন না। হাসেনও না। সেটা অদ্ভুত নয়। প্রথম জয়েন করার পর পর সাধারণত দু’রকমের আচরণ হয় লোকের। এক, বেশি কথা বলে, বেশি হেসে নিজেকে সবার কাছে মাই ডিয়ার করে তুলতে চাওয়া। দুই, কম হেসে, কম কথা বলে গোড়া থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া যে আমি তোমাদের থেকে আলাদা। সেনগুপ্তকে আমরা দ্বিতীয় দলে ফেলেছিলাম। সমস্যা করল কালো চশমাটা। লিফটে, অফিসে, প্যান্ট্রিতে, সর্বত্র একখানা কালো চশমা পরে ঘোরার মানে কী? জয়বাংলা? তাহলে না হাসার কারণ দাঁতে পোকা হওয়াও বিচিত্র নয়। ফাইন্যালি কারণটা জানা গেল। সেই কারণ নিয়ে লেখা আমার গল্প   'চক্ষুদান' ( Kate Mosse -এর Sainte-Thérèse ছোট গল্পের ছায়া অবলম্বনে) ছাপা হয়েছে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এ।   ***** ট্রং, (পুরো নাম ট্রং থ্রি ওয়ান ফোর ওয়ান ফাইভ নাইন টু সিক্স) থাকে একটা ডোমের মধ্যে। শখে নয়, থাকতে হয়। কারণ ডোমের বাইরের পৃথিবীটা আর থাকার মতো নেই। দূষণে, বিষক্রিয়ায় শেষ। মানুষও শেষ। যুদ্ধে, দূষণে। তাদের টিমটিম করা কয়েকজন উত্তরাধিকারী নিজেদের বাঁচিয়ে রেখেছে ডোমের ...