ডিয়ার পার্ক, হজ খাস
পুঁজিবাদে নিমজ্জিত হয়ে বাস করি, এদিকে পয়সার ওপর অবিশ্বাসের ভাবটাও কাটতে চায় না। অল গুড থিংস আর ফ্রি- র মতো উদ্ভট এবং মিথ্যে কোটেশনের ফাঁদ থেকে বেরোতে পারি না কিছুতেই। মাল্টিপ্লেক্সে যাই, এসি রেস্টোর্যান্টে গাঁকগাঁক করে খাই, ইন্দ্রিয়সুখ হয়, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আবার এ অনুতাপও খোঁচা মারে যে পয়সা দিয়ে না কিনে আর যেন আনন্দ করতেই ভুলে গেছি। অনুতাপটার একটা ছোট অংশ পয়সা খরচ নিয়ে, কিন্তু বেশিরভাগটা আমাদের বিনোদনের রকম নিয়ে। আর আমাদের বিনোদনের রকম তো শেষমেশ আমাদের সম্পর্কেই অনেক কিছু বলে, তাই না?
অথচ দিল্লিতে বিনাপয়সার বিনোদনের অভাব নেই। গুচ্ছ গুচ্ছ প্রদর্শনী, খোলা বাতাসে নাটক থিয়েটার, দূতাবাসে বা ভাষা শেখার স্কুলে বিদেশী সিনেমার স্ক্রিনিং, দেশী সিনেমার ফেস্টিভ্যাল, প্যান্ডেল বেঁধে ধ্রুপদী সংগীতের আসর - সব কিছুই হয় পুরোদমে। কিন্তু সে সব জায়গায় আমরা যাই না। ছবির কিছুই বুঝি না, ছবির প্রদর্শনী কী দেখতে যাব? নাটকগুলো এত রাতে শুরু হয়, বাড়ি ফিরব কী করে? আর ফিরলেও পরদিন অফিস যেতে লেট হয়ে যায় যদি? বছরে একবার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ঢুঁ মারি আর ক্ল্যাসিক্যাল ফাংশানে গিয়ে দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে মাঝপথে উঠে চলে আসি (অর্থাৎ কিনা হাফবার)।
বলেছিলাম, সমস্যাটা বিনোদনের সাপ্লাইয়ের নয়, সমস্যাটা আমাদের ডিম্যান্ডের। বা আরেকটু কড়া করে বললে, আমাদের রুচির।
গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে কি না বলুন? তাই আমি ঠিক করলাম ব্যাপারটার সংশোধনের সময় এসে গেছে। ক’সপ্তাহ আগের এক রবিবার ভোর ভোর উঠে অটো ডেকে আমরা চলে গেলাম হজ খাসের ডিয়ার পার্কে।
বিনাপয়সার বিনোদন খুঁজতে বসে প্রথমেই আমার মনে পড়েছিল দিল্লি শহরের লাখ লাখ সরকারি পার্কের কথা। পার্কে বেড়াতে যাওয়ার সুবিধেটা হচ্ছে গাছপালার কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করা যায়, কিন্তু অসুবিধেও কিছু আছে। প্রথম চিন্তা প্রেম। আমি প্রেমের ঝাণ্ডা-ওড়ানো স্লোগান-দেওয়া সমর্থক কিন্তু প্রত্যেকটা ঝোপের আড়াল থেকে যদি প্রেম উঁকি মারতে থাকে তাহলে অস্বস্তি বোধ না করার মতো স্মার্টও নই। সেই বাবদে বেশ কয়েকটা পার্ক বাদ পড়ে গেল। কটা পার্কের নাম সব লিস্টে আসছিল, সেটা আবার অর্চিষ্মানের অফিস যাওয়ার পথে পড়ে। ওখানে গেলে কেমন হয় জিজ্ঞাসা করাতে অর্চিষ্মান বলল না না ওখানে ভয়ানক প্রেমের প্রতাপ। আমি বললাম, আহা সে তো পার্ক মাত্রেই থাকবে। তখন অর্চিষ্মান খুব গম্ভীর মুখ করে, “তুমি বুঝতে পারছ না, ওখানের প্রেমের টাইপটা একটু ডেয়ারিং” বলে চোখ গোলগোল করে মিনিংফুল নীরবতা অবলম্বন করল, আর আমি ক্ষান্ত দিলাম। তারপর চোখে পড়ল হজ খাসের ডিয়ার পার্কের নাম। বাড়ির কাছে। তাছাড়া পার্কে হরিং আছে যখন ধরে নেওয়া যায় শিশুরাও থাকবে। আর শিশুদের সামনে ডেয়ারিং প্রেম করার সাহস প্রেমিকপ্রেমিকারা দেখাতে পারবেন না। কাজেই ফাইন্যাল।
সকাল সাতটা পনেরো থেকে কুড়ির মধ্যে আমরা পার্কের সামনে অটো থেকে নামলাম আর আমাদের মাথা ঘুরে গেল। স্বাস্থ্যোদ্ধারকারীর দল, হরিণদেখিয়ের দল, ব্যাডমিন্টন খেলুড়ের দল, সেলফি শিকারীর দলে প্রায় মেলা বসে গেছে। হজ খাস ভিলেজের গেটের সামনের ছোট্ট সবজিবাজারের গা ঘেঁষে বসা ঠেলাগাড়ির ওপর গবগব করে চা ফুটছে, তার ধোঁয়ার ওপাশে শুকনো ঝিঙে আর ফ্যাকাশে টমেটো নিয়ে বসা রোগা ভদ্রলোকের মুখের আউটলাইন ক্রমাগত কেঁপে উঠছে, উনুনের সামনে ফুলের মতো ফুটে রয়েছে ধপধপে সাদা ডিমের সারি, প্লাস্টিকের ভেতর থেকে উঁকি মারছে স্থানীয় বেকারির মোটা মোটা ফাঁপা পাউরুটি। এমন কি একখানা আইসক্রিমের গাড়িও গন্ধে গন্ধে হাজির, তার বিক্রিবাটাও হচ্ছে দিব্যি।
আমরা হচ্ছি গিয়ে ভ্রমণপিপাসু, রিয়েল ডিল, আর অন্যরা হচ্ছে গিয়ে কলকলে টুরিস্ট, এরকম অন্যায্য ভাবভঙ্গি আমাদের আছে। আর সেটা আছে বলেই ডিয়ার পার্কের গেটের চেহারা দেখে আমাদের আশাহত হওয়ার খুবই চান্স ছিল, কিন্তু হল না। কারণ ততক্ষণে কানে এসে পৌঁছেছে গগনবিদারী ট্যাঁ ট্যাঁ ট্যাঁ। এ শব্দ আমি চিনি। জে এন ইউ-র জঙ্গলে মাঝরাত্তিরে এ ডাকের কম্পিটিশন হয়। এ ডাকের ডাকিয়ের মুড়োয় ঝুঁটি, ল্যাজে পেখম আর গলায় এমন অদ্ভুত রং যে তাকে ডিফাইন করার জন্য একটা আস্ত শব্দ জুড়তে হয়েছে অভিধানে।
ডাক লক্ষ্য করে জোরে পা চাললাম। ঘটনাস্থলে পৌঁছে চক্ষুস্থির। কম্পিটিশন হচ্ছে বটে, কিন্তু ডাকের নয়, পেখম মেলার। এদিকে একজন ট্যাঁ করে ডেকে নিজের পেখম মেলেছে, তো ওদিক থেকে তার দ্বিগুণ জোরে ট্যাঁ করে উঠে আরও একজোড়া ময়ূর পেখম মেলেছে। তাই দেখে আমাদের কাছাকাছি যে প্রতিযোগী সে মনমরা হয়ে পেখম নামিয়ে নিয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বার করতে গিয়ে ক্যামেরার ফিতে, ব্যাগের ফিতে জড়িয়েমড়িয়ে একাকার। ভাগ্যিস বুদ্ধি করে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ব্যাটারি আর এস ডি কার্ড যথাস্থানে ভরে নিয়ে এসেছিলাম, না হলে আরও সময় নষ্ট হত। অবশেষে যখন ক্যামেরা বেরোল, ততক্ষণে ময়ূর পেখম গোটাতে শুরু করে দিয়েছে।
ছবি তোলা সেরে আবার হাঁটা শুরু করতে যাব দেখি কয়েকজন বেঁটেখাটো মানুষ জালের দেওয়ালের বরফিতে ছোট ছোট আঙুল ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাবামার তাড়ার উত্তরে বলছে, পাঁচ মিনট অওর, মাম্মা, প্লিইইইজ।
কী দেখছে ওরা? পেখম তো নেমে গেছে অনেকক্ষণ। তবু হাঁ করে ময়ূরটার দিকে তাকিয়ে আছে কেন? কিছু ইন্টারেস্টিং ছবি মিস করে যাচ্ছি কি না দেখতে আবার একবার জালের ধারে ফিরে এলাম। বাচ্চাগুলোর দৃষ্টি লক্ষ্য করে ময়ূরটার দিকে তাকালাম। খোলা অবস্থাতে পেখম সুন্দর সকলেই জানে। বন্ধ অবস্থাতেও যে পেখম এত সুন্দর, আবার নতুন করে মনে পড়ল। শুধু পেখমই তো নয়, গলার রংটাও। পিসির একটা ময়ূরকণ্ঠী রঙের শাড়ি ছিল, ডান হাত থেকে বাঁ হাতে নিলে তার রং বদলে যেত। শাড়িতে যে এমন কাণ্ড হবে সেটা মেনে নিতে কোনও অসুবিধে হয়নি। আফটার অল, মেশিনে বানানো। তা বলে জ্যান্ত প্রাণীর গলায় অমন কেরামতি? প্রতিবার দাম্ভিক ঘাড় ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে গলায় নীলের চকচকে শেডের মেলা? শত শত কালো গভীর চোখ আঁকা পেখমটা যেন একটা বিরাট বাহারি ঝালর, দিল্লির ধুলো ঝাঁট দিতে দিতে চলেছে।
ছোটদের তো ক্যামেরা নেই, তাই ওরা এখনও চোখ দিয়ে দেখে। আমরা দেখি গাছের মাথায় পাতার জঙ্গল, ওরা দেখে ফেলে পাতার আড়াল থেকে একটা প্রাইভেসি-প্রিয় ময়ূরের ঝুলন্ত ল্যাজের ডগা। হরিণের শিং দেখে, সদ্য শেখা ওয়ান টু থ্রি-র বিদ্যা প্রয়োগ করে ওরা হরিণের শিং গোনে, জালের ভেতর হাত গলিয়ে মিহি সোনালি লোমে ঢাকা, নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে কাঁপতে থাকা শরীরে হাত বোলানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে। তাদের স্নেহ থেকে আমাদের দিশি কুকুরেরাও বাদ পড়ে না। পড়া উচিতও নয়। পার্কের মালিকানা যদি কারও হাতে থেকে থাকে তবে সে হরিণও নয়, ময়ূরও নয়, সে আমাদের নেড়ি। তার শিং-ও নেই, পেখমও নেই, কিন্তু আত্মবিশ্বাস সব খামতি পূরণ করে দিয়েছে।
ছোটরা নিজেরাও অবশ্য দেখার মতোই জিনিস। এটা আমি তাদের প্রতি কোনওরকম তাচ্ছিল্য বা অনুগ্রাহক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলছি না। কিন্তু যে কোনও পরিস্থিতিতেই যে তারা বড়দের থেকে সপ্রতিভ, বুদ্ধিমান এবং আকর্ষণীয়, সেই সত্যিটা আবারও হৃদয়ঙ্গম করে বলছি। আমরা এবং বাবামায়েরাও যেটা প্রায়ই ভুলে যাই। সে প্রমাণ ডিয়ার পার্কে অহরহ পাচ্ছিলাম। বাবামা ঘর্মাক্ত দেহে ছুটতে বেরিয়েছেন, সঙ্গে তাঁদের পুত্র বা কন্যা। বাড়িতে একা রাখার অসুবিধে বলে ট্যাঁকে করে নিয়ে এসেছেন। ঘুষ হিসেবে গেটের মুখ থেকে কুরকুরে কিনে দেওয়া হয়েছে। তারা সেগুলো বুকে আঁকড়ে ধরে বিরসবদনে বাবামায়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটছে। এমন সময় বাবার মাথায় কী ভূত চাপল, কিংবা ভূত নয়, ছেলেমেয়ের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যেই তিনি প্রস্তাব দিলেন, চলো, রেস করতে হ্যায়। ছেলেমেয়ের মুখে নিমেষে হাসি। কুড়কুড়ের প্যাকেট পতাকার মতো মাথার ওপরে নাড়াতে নাড়াতে তারা ছুট লাগাল, দেখতে দেখতে আড়াই ফুটের পলকা শরীর বাঁক পেরিয়ে অদৃশ্য, এদিকে তাড়া করে দু’পা যেতে না যেতেই বাবামায়ের জিভ বেরিয়ে ভুঁড়ি ছুঁয়ে ফেলার দশা।
আরেকটু দূরে দেখি একটা বুড়ো বটগাছের গা বেয়ে ঝুরি নেমেছে মোটা মোটা, সেই ধরে একজন ছোট দোল খাচ্ছে। হাঁটু ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে এসেছে যাতে গ্রিপ শক্ত থাকে আর অদ্ভুত কায়দায় নিজের ছোট শরীরটাকে ঝাঁকুনি দিয়ে স্থবির ঝুরিতে গতি আনার চেষ্টা করছে। পাশে বাবা দাঁড়িয়ে আছেন, মাথার ওপর তোলা দুই হাতের পাঞ্জা একটা ঝুরি জড়িয়ে আছে। মুখে নার্ভাস হাসি। পাশে দুলন্ত সন্তান চিৎকার করে উৎসাহ দিচ্ছে, দু’পা মাটি থেকে তুলে ফেলার। বাবার মুখের নার্ভাস হাসি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে ইচ্ছে আছে খুবই, কিন্তু ভরসা করতে পারছেন না। ওই প্রাচীন প্রকাণ্ড বট যদি তাঁর মতো নশ্বর মানুষের ভার না বইতে পারে? ভরসাও নেই, মাটিকে লাথি মেরে ওড়ার সাহসও না।
দিল্লিতে ঘুরব অথচ পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়ি চোখে পড়বে না তা কি হয়?
এটা একটা মসজিদ। বোর্ডে নাম সন ইতিহাস লেখা ছিল, এখন মনে পড়ছে না।
হজ খাসের ডিয়ার পার্ক একটা বায়োডাইভার্সিটি পার্কও বটে। গোলাপের বাগান, আরও নানারকম লক্ষ লক্ষ বিরল সুলভ গাছ গুল্ম বৃক্ষের সংগ্রহ আছে এখানে। আমাদের মতো গাছ না চেনা লোকেদের জন্য তাদের গায়ে যত্ন করে হিন্দি, ইংরিজি, ল্যাটিনে নামধাম লেখা। তবে এত এক্সোটিক গাছের মধ্যেও আমার সবথেকে ভালো লাগে বটগাছ। যত বুড়ো তত ভালো। আশেপাশের যত আন্দোলন আর কোলাহল সব নিজের শরীরের গোলকধাঁধার মধ্যে শুষে নেওয়ার অদ্ভুত প্রতিভা থাকে বটের। তার তলায় এসে বসলে মনে হয় একটা শব্দ নিরোধক বুদবুদের মধ্যে ঢুকে পড়লাম যেন।
হাঁটতে হাঁটতে একটা সৎসঙ্গের আসর পেরোতেই চোখের সামনে এই দৃশ্য উন্মোচিত হল।
সব গুড থিংস ফ্রি কি না জানি না, কিন্তু বিস্তর ভেরি গুড থিংসের গায়ে যে এখনও প্রাইস ট্যাগ লাগেনি, হজ খাসের ডিয়ার পার্ক তার প্রমাণ। তাছাড়া পার্কের লোকেশনও দারুণ। পার্ক থেকে বেরিয়ে তিন মিনিট হেঁটে গিয়ে কাঁচালংকা দেওয়া চা খাওয়া যায়। ডিয়ার পার্কে তো আবার যাবই, দিল্লির অন্যান্য সরকারি বাগানগুলোও সময় করে ঘুরে ফেলতে হবে।
Bah, ki sundar !
ReplyDeleteপরেরবার তোদের এখানে নিয়ে যাব, তিন্নি।
DeleteNotun projonmoke dibbi chokhe porechhe. Khub bhalo lekha. Chhobio asamanyo. Sombarer sakaler jhimiye poRa monta bhalo kore dilen ek nimeshe :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, সায়ন।
DeleteLast chhobita satyie durdanto. "Finding Dori" cinematar aage ekta short animation film dekhachhe, seagull der niye. Sekhane ekta chhotto seagull ke nije khaoa sekhachhe taar maa. Samudrer dheu e taar bhoy. Sei niyei golpota. Ei chhobita jeno hubahu ek :)
Deleteআরে ফাইন্ডিং ডোরি দেখে ফেললেন? কেমন লাগল?
Deleteরাকার পুরস্কার পাওয়ার কথা শুনলাম। ওকে আমার তরফ থেকে অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানাবেন।
"Finding Dory" kalkei dekhechhi. Khubi bhalo legechhe.
DeleteIchchhe hole dekhte paren. Amar "Finding Nemo" beshi bhalo legechhilo jadio. Seta marine life prothombar eto detailse animation e dekhe. Ei movie tao khub bhalo. Darun sab sanglap ar animation.
Raka-ke nischayi janabo. Khub ananda pabe apnar shubhechcha peye.
Last chhobi ta best! :)
ReplyDeleteলাস্ট ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের রকমসকম যদি দেখতে, বিম্ববতী। বেচারা বড়দের ভিড়ে গুঁতো খেতে খেতে কোনওমতে জলে নেমে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।
Deleteharin harin...ki bhalo laglo dekhe.. r dukko o holo. age je barite thaktam mane 29 bochore je barite katiyechi tar theke 10 min hete deer park bole ekta jaigay jaoya jeto. seta abar amaar lab e thik ultodike. chotobela mane 4/5 boyos porjontto deer park er nam sarthok kore okhane okhane horin thakto..tader ke gacher pata khaoyano jeto. ekhon kichhu nei bohukal holo..park tao ajotne nosto hoyegeche...
ReplyDeleteহরিণওয়ালা পার্কের পাশে থাকতে তুমি ছোটবেলায়, প্রিয়াঙ্কা? সাংঘাতিক ব্যাপার তো।
Deleteআরে প্রিয়াঙ্কা সল্টলেকের লোক নাকি ? ডিয়ার পার্ক আমাদের বাড়ি থেকেও খুব দূর নয়, সেখানে এক মস্ত শিংওয়ালা ভদ্রলোককে আমি এককালে পাতাটাতা খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলাম ;)
Deleteha .. 1985 june (mane jomno ebong tar ager kichu din oo bote)- 2015 er march porjontoo chilam ,... ekhon r noe .. :( :(
Deleteপেম নিয়ে মাতা ঘামাচ্চেন ক্যানো? আপনারা যাবেন সাড়ে সাতটার সময়, ওই সাতসকালে কে পার্কে যাবে? রাত আড়াইটে অবধি ফোনে প্রেমালাপ করে এত তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙবে?
ReplyDeleteতাই বিন্দাস চলে যান লোদি গার্ডেন, গার্ডেন অফ ফাইভ সেনসেস।
খুবই উপাদেয় বর্ণনা আপনার। এই একটা জায়গায় আমি বহুবার গিয়েছি।
থ্যাংক ইউ, দেবাশিস। লোদি গার্ডেন গেছি। পঞ্চেদ্রিয় গার্ডেনে যাব যাব ভাবি, আপনি সার্টিফিকেট দিলেন যখন চলে যাব।
Delete"অর্চিষ্মান খুব গম্ভীর মুখ করে, “তুমি বুঝতে পারছ না, ওখানের প্রেমের টাইপটা একটু ডেয়ারিং” বলে চোখ গোলগোল করে মিনিংফুল নীরবতা অবলম্বন করল"--- উফফফ !!!
ReplyDeleteআমার সেই যে বন্ধুটি, যার সাধারণ জ্ঞান অসামান্য, সে একবার তার বরের সঙ্গে কলকাতায় কোনো একটি পার্কে গিয়ে কিঞ্চিত 'ডেয়ারিং" হওয়ার সূচনা করতেই গার্ড ছুটে এসেছিল| তার বর 'এ তো আমার বউ' বলার পরে গার্ডের মন্তব্য, 'হ্যা, পাশের বাড়ির বৌদিকে ভাগিয়ে এনে সবাই একথাই বলে' !!!!
তবে পার্কে গিয়ে 'ডেয়ারিং' হওয়ার পিছনে যে নানারকম সামাজিক কারণ আছে সেটা তো অস্বীকার করা যায় না| যে দেশে যে সমাজে এখনো নিজের পছন্দে বিয়ে করার অপরাধে বাপমা ছেলেমেয়েকে খুন করে সে দেশে/সমাজে প্রেমিকপ্রেমিকাকে স্বাভাবিকভাবে ঘনিষ্ঠ হতে দেওয়া হবে না এটা তো জানা কথাই| আর প্রবৃত্তি তার প্রাপ্য চেয়ে নেবেই, সোজাপথে না হলে বাঁকা রাস্তায়, এটাও জানা, অতএব ....
একমত, অন্বেষা।
DeleteEto boro shohorer maajhkhane eto shundor ekta park! Ami chotobelaye onek baar Chandipur (Orissa r ekta beach) e giye Pantho Nivas er gaaye ekta deer park dekhechi. Khub shundor. Biyer pore bor ke dekhabo bole khub excited chilam ... giye dekhi shob Jhnaau gaach kete feleche. Ar deer ba park konotai neyi. Charidik shudhu dhu dhu korche. Khub mon kharap hoyegiyechilo.
ReplyDeleteTomra shotti khub lucky.
দিল্লিতে এরকম শত শত পার্ক আছে, শর্মিলা। শহরটা যেমন খারাপ, তেমন ভালো। চাঁদিপুরের তটে আমিও গেছি কিন্তু ডিয়ার পার্ক দেখেছি কি না মনে পড়ছে না। হয়তো ততদিনে পার্কের সমাধি ঘটেছিল।
Deleteamra hochhi real deal, bakira elebele - hahahaha :)
ReplyDeletedurdanto, bhishon bhabe identify korte parlam.
গুড, কাকলি।
Deleteamar jodio jaal er vetor horin dekha khub ekta pochonder noy.. kintu saat sokale uthe sobujer modhye niswas newa ta khub e bhalo bapar..inspiring.. jai na jai... lekhata pore besh bhalo lege gelo.. ei jaygata chenao lagche.. er ekdike mone hocche safdarjung enclave.. class VIII e gechi last...amar masir bari chilo okhane.. bhuleo gechi onek.. ar jaygata palteo geche.. last photota khuuub sundor...
ReplyDeleteঠিকই চিনেছিস, ঊর্মি।
Deletemayur, horin sob darun... sahorer(seo je se sahor noi) modhyikhane eta baro prapti.
ReplyDelete"দিল্লিতে ঘুরব অথচ পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়ি চোখে পড়বে না তা কি হয়?" - eta darun
best one ta obossoi kochita.. chhobi dekhe mone hochhe douranor chesta korchhe.
ওঁর পক্ষে যত জোরে দৌড়নো সম্ভব আরকি। বড়দের ভিড়ে হাঁসফাঁস হয়ে যাচ্ছিল। দুয়েকবার তো ধাক্কাও খেল। তারপর জলে নেমে শান্তি।
Deleteভারী চমৎকার পার্ক। লাস্ট এর আগের ছবিটা যে কি ভালো লাগলো কি বলবো। লেখা তো ভালো লেগেছেই :) - PB
ReplyDeleteধন্যবাদ, প্রদীপ্ত।
Delete