এ মাসের বই/ মে ২০১৬ (২)
আন্তর্জাতিক বইয়ের বাজারে এখন
পুরস্কারের মরশুম। লেখকদের এই
আনন্দের সময়ে পাঠকদের পক্ষে যা করা সম্ভব তা হচ্ছে তাঁদের এত খাটাখাটনি করে লেখা
বইগুলো পড়া। আমিও তাই করলাম। সব প্রাইজ পাওয়া বইগুলোই পড়তে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু আপাতত দু’খানাই
পড়ে উঠতে পেরেছি।
*****
The Sympathizer/ Viet Thanh Nguye
I am simply able to see any issue from both sides. Sometimes I flatter myself that this is a talent, and although it is admittedly one of a minor nature, it is perhaps also the sole talent I possess. At other times, when I reflect on how I cannot help but observe the world in such a fashion, I wonder if what I have should even be called talent. After all, a talent is something you use, not something that uses you. The talent you cannot not use, the talent that possesses you – that is a hazard, I must confess. But in the month when this confession begins, my way of seeing the world still seemed more of a virtue than a danger, which is how some dangers first appear.
দু’হাজার ষোলোর পুলিৎজারজয়ী বই Viet Thanh Nguye-এর ‘দ্য সিমপ্যাথাইজার’-এর
একেবারে গোড়ার দিক থেকে নেওয়া ওপরের লাইনগুলো। একটা স্বীকারোক্তির অংশ। জেলখানায়
বসে স্বীকারোক্তি লিখছেন আমাদের প্রোট্যাগনিস্ট, “ক্যাপ্টেন”, দ্য সিমপ্যাথাইজার। এই
স্বীকারোক্তিটই পরে ‘দ্য সিমপ্যাথাইজার’ উপন্যাস হয়ে বেরোবে।
সে কী, কোথাকার জেলখানা? ভিয়েতনামের। তাও জঙ্গলের ভেতরের
গুপ্ত গেরিলা জেলখানা। কেনই বা জেলখানা? কারণ প্রোট্যাগনিস্ট ‘দ্য ক্যাপ্টেন’ একজন স্পাই। সর্বনাশ। কাদের স্পাই? ভিয়েতকং-এর। বা
ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট-এর। বা কমিউনিস্টদের। স্পাইগিরিটা কাদের বিরুদ্ধে?
দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকার আর সেই সরকারের পৃষ্ঠপোষক অ্যামেরিকার।
যারা ওই জায়গার ওই সময়ের ইতিহাসে
সড়গড় তাঁদের কাছে হয়তো ওপরের প্রশ্নোত্তর অর্থবহ, কিন্তু আমার মতো পাতিহাঁস যদি কেউ থেকে থাকেন তাহলে তাঁদের জন্য আরেকটু
খোলসা করে বলা দরকার।
অ্যামেরিকা আর ভিয়েতনামের যুদ্ধটা
আসলে উত্তর বনাম দক্ষিণ ভিয়েতনামেরও যুদ্ধ। উত্তর ভিয়েতনামের হয়ে লড়ছিল রাশিয়া, চিন আর অন্যান্য কমিউনিস্ট শক্তি আর
দক্ষিণ ভিয়েতনামের হয়ে লড়ছিল অকমিউনিস্টরা, যাদের
মুরুব্বি ছিল অ্যামেরিকা। উনিশশো তিয়াত্তর সালে খাতায় কলমে ভিয়েতনামের সঙ্গে
অ্যামেরিকার সমস্ত সামরিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়। কিন্তু যুদ্ধটা আসলে শেষ হয় উনিশশো
পঁচাত্তর সালের তিরিশে এপ্রিল, যখন উত্তর ভিয়েতনাম থেকে
পিপলস’ আর্মি অফ ভিয়েতনাম আর ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট ঝাঁক বেঁধে
নেমে এসে দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সাইগন দখল করে।
সিমপ্যাথাইজার/ক্যাপ্টেনের
স্বীকারোক্তি শুরু হচ্ছে এই দখলের ঠিক আগে থেকে। দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতন তখন
নিশ্চিত। দেশের প্রেসিডেন্ট ক’দিন আগে দেশছাড়া হয়েছেন, তাঁর হাতের সুটকেসের ভার
এয়ারপোর্টের কর্মীদের বিস্মিত করেছে। যারা অবাক হয়নি তাদের মধ্যে আমাদের ক্যাপ্টেন
একজন। ভারি তো হবেই, প্রেসিডেন্ট দেশের ব্যাংক খালি করে সোনার বাট সুটকেসে পুরেছেন
যে।
দেশের মাথারা চলে গেছেন। কিন্তু পড়ে
রয়েছে আরও হাজার হাজার ভিয়েতনামিজ। আর কিছু অ্যামেরিকান। তাদের আর কিছু ‘অ্যাট
রিস্ক’ ভিয়েতনামিজদের অ্যামেরিকায় ফিরিয়ে আনার জন্য শুরু হয়েছে অপারশন
‘ফ্রিকোয়েন্ট উইন্ড’। সকলেই সেই লিস্টে নাম ওঠাতে চায়। ‘অ্যাট রিস্ক’ লেবেলের
কেনাবেচায় বাজার সরগরম। কেউ থাকতে চায় না, সবাই পালাতে চায়। কিন্তু কেন চায়?
এতদিনের বিদেশী শাসনের পর নিজের লোকের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়ার এমন মাহেন্দ্রক্ষণে?
কারণ তারা জানে যে শাসকের আসলে দেশীবিদেশী বলে কিছু নেই, শ্বেতাঙ্গ পীতাঙ্গ নেই,
ভাষার বিভেদ নেই, ধর্মের ফারাক নেই, নীতির তফাৎ নেই। সব জাতির, সব ধর্মের, সব
গায়ের রঙের শাসকের আইডিওলজি, প্রোপাগ্যান্ডা, ম্যানিফেস্টোর কি-ওয়ার্ডস এক ও
অভিন্ন। শোষণ আর অত্যাচার। নিজের ঘরের আরামে বসে অচেনা শোষকের হাতে পড়ার থেকে তাই
তারা চেনা শোষকের সঙ্গে সাগর পাড়ি দিতে রাজি। এ আশঙ্কা যে কতখানি সত্যি সেটা
ক্যাপ্টেন নিজেই বুঝেছেন। গল্পের শেষে আবার যখন তিনি দেশে ফিরে গেছেন, তখন দেশের
পরিস্থিতির কথা জানতে চাওয়ায় একজন তাঁকে বলছেন, Before
the communists won, foreigners were victimizing and terrorizing and humiliating
us. Now it’s our own people victimizing and terrorizing and humiliating us. I
suppose that’s improvement.
যাই হোক, আবার গল্পের শুরুতে ফিরে
আসা যাক, যেখানে দলে দলে, কাতারে কাতারে লোক জড়ো হয়েছে হেলিপ্যাডের ধারে,
একটামাত্র থলিতে নিজেদের গোটা অতীতটাকে পুরে নিয়ে। সারাদিন, সারারাত অপেক্ষা করছে,
জল ছাড়া, খাবার ছাড়া, মাথার ওপর ছাউনি ছাড়া। কোথায় তাদের নিয়ে যাওয়া হবে কেউ জানে
না, সেখানে কী অপেক্ষা করে আছে তাদের জন্য কেউ জানে না। বসে বসে তারা কী ভাবছে? তা
কল্পনা করার ক্ষমতা বা সাহস কোনওটাই আমার নেই। তবু Viet
Thanh Nguyen – এর হাতে পড়ে উদ্বাস্তু শব্দটা খানিকটা অবয়ব পায়। বইয়ের
পাতা থেকে একটা প্রকাণ্ড কালো ছায়া ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ায় চোখের সামনে, যার
আড়ালে কী তীব্র যন্ত্রণা, আশা, স্বপ্ন লুকিয়ে
আছে ভাবলেও ঘাড়ের রোম খাড়া হয়ে ওঠে।
সবাই পালাতে চায়, কিন্তু
সবাই পালাতে পারবে না। ওখানে অপেক্ষারত মানুষেরা জানে না, কিন্তু আমরা যারা গল্পটা
পড়েছি তারা জানি, ইভ্যাকুয়েশনের মাঝপথে বোমা এসে পড়বে হেলিপ্যাডের ওপর, শতশত মানুষ
নিমেষে ধোঁয়া হয়ে যাবে। তাদের পরিণতি তবু একরকম। তাদের অকিঞ্চিৎকর জীবনের ওইখানেই
ইতি। কিন্তু যারা মরল না, স্ত্রীর কোলে জাপটে থাকা শিশুসন্তানের পিঠ ফুঁড়ে স্ত্রীর
বুকে গুলি বিঁধে যেতে দেখল, স্ত্রীর বুক থেকে মৃত সন্তানকে টেনে খোলা রানওয়েতে
ফেলে রেখে এসে আধমরা স্ত্রীকে টানতে টানতে চলন্ত হেলিকপ্টারে নিজেকে গুঁজে দিতে
পারল, মানুষের মানটুকু বিদায় দিয়ে রেখে শুধু হুঁশটুকু সম্বল করে যারা ক্যাম্প থেকে
ক্যাম্পে ঘুরে বেড়ালো, আবার শূন্য থেকে শুরু করল কিংবা পারল না, তাদের কী হল? কী
হবে? সারাজীবন রাঁধুনিচাকরপরিবৃত বড়লোকের বউ নিজের রান্নাঘরে ‘অথেনটিক’
খাবারের দোকান খুলবেন, ক্ষমতাচ্যুত জেনারেল অন্ধকার ঘরে একা বসে নেশা করবেন,
রাস্তার আলো পড়ে শার্টে আঁটা সারি সারি মেডেলরা চকচক করবে। যে এদেশে বেশ্যা ছিল সে
ওদেশেও বেশ্যাবৃত্তি করবে। খালি নতুন দেশে্র নতুন ভাষায় তার
দরকষাকষির ক্ষমতা তলানিতে এসে ঠেকবে।
কেমন লাগবে তাদের? আমি জানি না। জানতে চাইও না। ভিয়েতনামের
কথা ছেড়েই দিলাম, এ ঘটনা তো ঘটেছে আমাদের বাড়ির ভেতর। মোটে
একটা প্রজন্ম আগে। ভালো ছাত্র ভালো স্কুল ছেড়ে এসে দিনে চাকরি, রাতে নাইটস্কুল,
সাপের মুখে পড়ে একেবারে নিচে নেমে এসে আবার শিখরের দিকে দৌড় এবং জয়। ফেলে আসা
জমিদারির গল্প শুনে সবাই মুখ টিপে হাসে, সে সব সত্যি বা মিথ্যে গপ্প ফাঁদার দরকার
কী? তার থেকে এই দ্বিতীয় জীবনটার গল্প তো অনেক বেশি সত্যি, অনেক বেশি রোমহর্ষক।
যুদ্ধ, উদ্বাস্তু, আদর্শের টানাপোড়েন, অচেনা
কংক্রিটে শিকড় ছড়ানোর যন্ত্রণাময় প্রক্রিয়া নিয়ে অনবদ্য ভাষায় লেখা এই গভীর এবং
গতিময় উপন্যাসটি পড়তে আমি সবাইকে বলি।
The Vegetarian/Han Kang
পুলিৎজারের পালা শেষ, এবার লাইনে ম্যানবুকার
ইন্টারন্যাশনাল। এ বছরের ম্যানবুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ান
উপন্যাস দ্য ভেজিটেরিয়ান-এর লেখক হ্যান কাং। বইটি
ইংরিজি ভাষায় অনুবাদ করেছেন ডেবোরা স্মিথ।
'দ্য ভেজিটেরিয়ান' হচ্ছে তিনটি
খণ্ডওয়ালা একটি উপন্যাস বা উপন্যাসিকা। প্রথম অংশের নাম 'দ্য ভেজিটেরিয়ান', দ্বিতীয় অংশ 'মংগোলিয়ান মার্ক', তৃতীয় 'ফ্লেমিং ট্রিজ'। তিনটে গল্প আপনি আলাদা আলাদা ভাবে পড়তে পারেন আবার
একসঙ্গেও পারেন। কারণ গল্প তিনটের একটা কমন সুতো আছে। প্রথম গল্পটা যে ভদ্রমহিলাকে নিয়ে,দ্বিতীয় গল্পটা সেই ভদ্রমহিলার
ভগ্নীপতিকে নিয়ে, তিন নম্বর গল্পের
মূল চরিত্র ভদ্রমহিলার বোন। তিনটি গল্পেরই ইনসাইটিং ইভেন্ট, অর্থাৎ যে ঘটনাটা
ঘটল বলে গোটা গল্পটা বলার দরকার হল, ঘটে এক নম্বর গল্প দ্য ভেজিটেরিয়ান-এর শুরুতে।
এক সাধারণ পরিবারের সাধারণ মহিলা হঠাৎ একদিন ঘোষণা করলেন তিনি আর মাংস খাবেন না।
ছোঁবেনও না। অর্থাৎ কি না তাঁর স্বামীরও (নিজে না রাঁধলে) বাড়িতে মাংস খাওয়া বন্ধ।
বাইরে অবশ্য স্বামী নিয়মিত মাংস খান। কিন্তু বাড়িতে যে খেতে পাচ্ছেন না, সে নিয়ে
ক্রমে তাঁর মনে অসন্তোষ জমতে থাকে।
অচিরেই অসন্তোষটা স্বামী থেকে
পরিবারের অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল। স্বামী নিজেই ফোন করে শ্বশুরবাড়িতে (মহিলার বাড়িতে)
খবরটা জানালেন। তারপর যা কাণ্ড ঘটল সে বইটা না পড়লে আপনারা বিশ্বাস করতে পারবেন
না।
আমিও পারছিলাম না। আমার কেবলই মনে
হচ্ছিল যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক মাছমাংস ছোঁবে না বলাতে লোকজন এত রিঅ্যাক্ট করে
নাকি? অবাস্তব। তারপর আমার মাথা খুলল। আমি বুঝলাম অসুবিধেটা মহিলার আমিষ খাওয়া না
খাওয়ার নয়। অসুবিধেটা হচ্ছে স্বামীর অপছন্দ হবে জেনেও মহিলার নিজদায়িত্বে একখানা
সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবং সে সিদ্ধান্তে অটল থাকায়। মহিলার বাড়ির লোক যে অদ্ভুত আচরণটা
করেছে সেটার ইনসাইটিং ইভেন্ট হিসেবে যদি আমিষ না খাওয়ার মতো তুচ্ছ (অবশ্য আমার
কাছে যতটা তুচ্ছ, সাউথ কোরিয়ার মাংসপ্রধান খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে ততটাও তুচ্ছ নয়)
বিষয়টাকে যদি অন্য কোনও গুরুতর বিষয় দিয়ে রিপ্লেস করি (ডিভোর্স চাওয়া, সন্তান না
চাওয়া, লোকের পছন্দের উল্টো স্রোতে গিয়ে নিজের পছন্দমতো পোশাক পরা, বাচ্চা ফেলে
রেখে চাকরি করতে যাওয়া, নিজের জন্য আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মেন্টেন করাঃ যে যার
ইচ্ছেমতো গুরুতর ঘটনা বসিয়ে নিতে পারেন) তাহলেই আচরণগুলো অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হয়ে
ওঠে। অবদমিত যৌনতা, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের (বিশেষ করে মেয়ে সন্তানের) প্রতি বাবামায়ের "তোমার জীবনের ভালোমন্দ স্থির করে দেওয়ার
অধিকার এখনও আমাদের (আর তোমার স্বামীর)” সে সন্তানের বেচালের সব দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে জামাইয়ের কাছে
গলবস্ত্র হয়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি, মায়ের কেঁদে মন গলানোর চেষ্টা, তা
বিফলে গেলে বাবার (যিনি এতক্ষণ সাংসারিক খিটিমিটিতে না ঢোকার সংযম দেখিয়ে হাততালি
কুড়োচ্ছিলেন) থাপ্পড় মেরে গাল ফাটানো শাসন – এগুলো বিশ্বাস করতে কল্পনাশক্তির ওপর
বিশেষ চাপ সৃষ্টি না করলেও চলে।
দ্য ভেজিটারিয়ান খুব নিরীহ বই নয়। পড়তে
পড়তে অস্বস্তি হবে। অন্তত আমার হয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল, বাবা এত অত্যাচার
সহ্য করার দরকার কী, আরেকটু গতে বাঁধা হলেই তো হত। কিন্তু তারপর নিজেই লজ্জা পাচ্ছিলাম।
আর হান ক্যাং-এর প্রতি শ্রদ্ধাটা আরও বেড়ে যাচ্ছিল। কারণ তিনি মহিলার লড়াইটাকে
একটুও জোলো করে দেখাননি কোথাও, মহিলার কোনও সিদ্ধান্তকে জাস্টিফাই করার প্রয়োজন
বোধ করেননি। মানসিক, শারীরিক, সমস্ত আক্রমণের
উত্তরে মহিলা “আমি মাংস খাই না” – এই চারটে শব্দ ছাড়া আর কিছু বলার প্রয়োজন বোধ
করেননি।
ভেজিট্যারিয়ান আমার ভালো লেগেছে। কোনও
কোনও যুক্তি, অ্যাকশন বড় বেশি ধারালো, বড় বেশি অকারণও লেগেছে। কোথাও কোথাও
চরিত্রদের ‘চরিত্রে’র প্রতি জাজমেন্টালও হয়ে পড়ছিলাম। কিন্তু সে আমার মধ্যবিত্ততার
দোষ। হ্যান ক্যাং-এর তাতে কোনও দোষ নেই। তাঁর ভাবনা, ভাষা, চরিত্রচিত্রণ, প্রতিবাদ
- প্রাইজ পাওয়ারই মতো।
তবুও তিনি প্রাইজটা পেতেন না, যদি না
ডেবোরা স্মিথের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হত। ডেবোরা স্মিথ ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ ইংরিজিতে অনুবাদ
করেছেন। ওঁর ক্ষমতা, নিষ্ঠার বিচার করার জন্য একটি তথ্য জানাই যথেষ্ট। ডেবোরা
স্মিথ কোরিয়ান ভাষাটা শিখতে শুরু করেছিলেন মোটে তিন বছর আগে।
The Sympathizer ta kinbo kinbo korchi. War,spies, etc. niye shob golpo amar darun priyo. Herman Wouk er WW er opor boigulo baare baare pori. Bhabchilam eyi weekend a Amish Tripathy r last boi ta kinbo ... ekhon bhabchi etai agey kini.
ReplyDeleteTumi toh Kindle e poro tai na?
আমি খুব সম্প্রতি কিন্ডল ধরেছি, শর্মিলা। পড়তে বেশ ভালোই লাগছে। সব বই অফ কোর্স কিন্ডলে পড়ি না। তবে এই বইটা পড়েছি। তোমার ইচ্ছে হলে বইটা কিনতে পার, ভালো লাগবে মনে হয়।
Deleteহারমান উক আমি পড়িনি। খোঁজে থাকব। থ্যাংক ইউ।
"অসুবিধেটা হচ্ছে স্বামীর অপছন্দ হবে জেনেও মহিলার নিজদায়িত্বে একখানা সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবং সে সিদ্ধান্তে অটল থাকায়। মহিলার বাড়ির লোক যে অদ্ভুত আচরণটা করেছে সেটার ইনসাইটিং ইভেন্ট হিসেবে যদি আমিষ না খাওয়ার মতো তুচ্ছ (অবশ্য আমার কাছে যতটা তুচ্ছ, সাউথ কোরিয়ার মাংসপ্রধান খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে ততটাও তুচ্ছ নয়) বিষয়টাকে যদি অন্য কোনও গুরুতর বিষয় দিয়ে রিপ্লেস করি (ডিভোর্স চাওয়া, সন্তান না চাওয়া, লোকের পছন্দের উল্টো স্রোতে গিয়ে নিজের পছন্দমতো পোশাক পরা, বাচ্চা ফেলে রেখে চাকরি করতে যাওয়া, নিজের জন্য আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মেন্টেন করাঃ যে যার ইচ্ছেমতো গুরুতর ঘটনা বসিয়ে নিতে পারেন) তাহলেই আচরণগুলো অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। অবদমিত যৌনতা, প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের (বিশেষ করে মেয়ে সন্তানের) প্রতি বাবামায়ের "তোমার জীবনের ভালোমন্দ স্থির করে দেওয়ার অধিকার এখনও আমাদের (আর তোমার স্বামীর)” সে সন্তানের বেচালের সব দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে নিয়ে জামাইয়ের কাছে গলবস্ত্র হয়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি, মায়ের কেঁদে মন গলানোর চেষ্টা, তা বিফলে গেলে বাবার (যিনি এতক্ষণ সাংসারিক খিটিমিটিতে না ঢোকার সংযম দেখিয়ে হাততালি কুড়োচ্ছিলেন) থাপ্পড় মেরে গাল ফাটানো শাসন – এগুলো বিশ্বাস করতে কল্পনাশক্তির ওপর বিশেষ চাপ সৃষ্টি না করলেও চলে।" - কি ভয়ংকর, কি ভয়াবহ সত্যি কথা !!!
ReplyDeleteএকমত, অন্বেষা।
DeletePratham boita porar ichche to bereichhilo. Dwitiyota aro barlo. Korean uponyaas er age ekti porechhi. Setio ekti puroskar peyechhilo. Man-Asian. "Please Look After Mom", Kyung-sook Shin er lekha. Raka jakhon Koreate chhilo takhon sandhan peyechhilo ei boitar. Khubi onyorakamer boi... Jadi ichche hoy porte paren.
ReplyDeleteখোঁজে থাকব, সায়ন। থ্যাংক ইউ।
Delete