Shocking and depressing things I learned this week
আমি শকড, আমার বাড়ির লোক শকড, আমার লতাপাতার আত্মীয়রা শকড, আমার অফিসের সহকর্মীরা শকড, আমার উবারপুলের সহযাত্রীরা শকড, আমার ফিডলিতে যে সব ব্লগাররা আছেন, বই থেকে বিউটি থেকে বেকিং থেকে বাড়ি সাজানো, তাঁরাও সকলেই শকড।
আমি যে অ্যামেরিকাটাকে চিনি, সে অ্যামেরিকাটাও অন্য অ্যামেরিকাটাকে দেখে শকড।
অ্যামেরিকা পর্যন্ত যাওয়ার দরকার নেই। আমার দেশের মধ্যেও কোটি কোটি দেশ ঘাপটি মেরে রয়েছে যাদের সম্বন্ধে আমি সম্পূর্ণ অন্ধকারে। মাঝে মাঝে সে সব দেশের সঙ্গে আমার মোলাকাত হয়ে যায় এবং আমি শকড হই। যত দিন যাচ্ছে তত শকের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ছে। আমার সঙ্গে এক ভাষা, এক শহর, এক মফস্বল, এক সরকারি স্কুলিং, বার্ষিক আয়ের এক ব্র্যাকেট, নানাবিধ প্রিভিলেজ ও প্রতিকূলতার স্তর ভাগ করে নেওয়া লোকজন, আমি ধরে নিয়েছিলাম তাঁরা নিশ্চয় আমার মতোই হবেন, আমি শকড এই দেখে যে সেই ধরে নেওয়াটা কী অসাধারণ ছেলেমানুষি হয়েছিল। তাদেরও বেশিরভাগকেই আমি আসলে চিনি না। যে লোকটার কথা শুনে আমার হাত পা পেটের ভেতর সেঁধিয়ে যাচ্ছে, ঘাড়ের রোঁয়া খাড়া হয়ে যাচ্ছে, সেই একই লোকের সেই কথাগুলো শুনেই তাঁদের কারও কারও মনে হচ্ছে যাক, এতদিনে কেউ সত্যি কথা বলার সাহস দেখাল। হয়তো তিনিও আমাকে দেখে আমার মতোই অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন এও তো আমাদের মাটিতেই গজিয়েছে, তাহলে এ এরকম উদ্ভট হল কী করে? গ্লাস সিলিং ভাঙল না বলে হাহুতাশ করছি, কিন্তু এও তো একরকমের কাচের বুদবুদ, যেটা আমি নিজেই নিজের চারপাশে বানিয়ে রেখেছি। আমি শকড যে সেই বুদবুদটার পরিধি আসলে কতখানি সংকীর্ণ। আমি শকড যে আমি কত কম লোককে চিনি, এবং যাদের চিনি তারা সকলেই কী ভয়ংকর রকম আমার মতো।
*****
প্যানিক হয়েছিল। যতটা নিজেদের জন্য তার থেকে বেশি মাবাবার জন্য। আমার বাড়িতে খাবারদাবার আছে, আমার ফোনে পেটিএম আছে, উবার অ্যান্ড ওলামানি আছে, জোম্যাটোয় অনলাইন খাবার অর্ডার দেওয়ার অপশন আছে।
আমার মাবাবার ক্রেডিট কার্ড আছে, কিন্তু তাঁরা যে সব দোকান থেকে মুড়িচিঁড়ে কেনেন সে সব দোকানে সে কার্ড মিনিংলেস। যে সব যানবাহনে তাঁরা চড়েন, রিকশা, অটো এবং ট্রেন, সে সব বাহনে ক্রেডিট কার্ড একটা প্লাস্টিকের কার্ড বই আর কিছু না।
তোমাদের খুব অসুবিধে হচ্ছে, তাই না মা?
এই প্রশ্নটায় অন্তর্নিহিত শঠতা আছে। কারণ মাবাবার অসুবিধে হলেও আমি তার সুরাহা করতে যাব না। তবু জিজ্ঞাসা করি। এই পরিস্থিতিটা অবশ্য ইউনিক, কারণ মাবাবা যে দ-য়ে আমিও সেই দ-য়েই, কিন্তু আমার অন্তত প্লাস্টিক টাকা আছে, সে টাকা ব্যবহারের জায়গা আছে, আমার মাবাবার সেটা নেই।
টাকা ফুরিয়ে গেলে কী করবে? যথেষ্ট চালডাল আছে ঘরে? ওষুধ কিনে রেখেছ?
মা হা হা করে হাসলেন। আমাদের এখানে জন্মকর্ম বাস, আমাদের এখানে অসুবিধে হবে? টাকা ফুরিয়ে গেলে কেষ্টদার ছেলে আমাদের চাল দেবে না? জহর ডিম দেবে না? কল্পতরু ক্যালপল দেবে না?
লোকগুলোর মুখ মনে পড়ল। সম্ভাবনাটা সত্যি কল্পনার অতীত। এঁদের সঙ্গে মা জীবনের ঊনচল্লিশটা বছর, বাবা আরও বেশি, ইনভেস্ট করেছেন। আর এ তো ব্যাংক নয়, মানুষ। সম্পর্ক। এর রিটার্ন নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই।
মা বললেন, অসুবিধে হবে তোদের। কারণ সব জায়গায় কার্ড চলবে না, আর যে সব জায়গায় চলবে তারা তোদের ভালো করে চেনেই না।
বেসিক্যালি আমিই ব্যাকফুটে। আমার বাবামা নন।
ডিপ্রেসিং।
*****
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় মুদির দোকানে চাল কিনতে গিয়েছিলাম। শুধু চালই কারণ তার থেকে বেশি কিছু কেনার ক্যাশ আমার কাছে ছিল না। আমার পাশে একজন দাঁড়িয়ে চারটে বড় বড় প্লাস্টিকের প্যাকেট ভর্তি করে থরে থরে চালডাল দুধদই চিজমাখন ডিমপাউরুটি কিনছিলেন এবং দোকানদারকে উপদেশ দিচ্ছিলেন কেন কার্ডব্যবস্থা চালু করা উচিত।
আর সেই মুহূর্তেই আমার প্রথম ভুলটা হল। আমি একটা কথা বলে ফেললাম।
আমি বলে ফেললাম যে, সিরিয়াসলি। যা অবস্থা।
অথচ বলার কোনও কারণ ছিল না। ইন ফ্যাক্ট, না বলার প্রভূত কারণ ছিল। সে কারণগুলো আমার চোখে পড়ল মুখ থেকে কথাটা বেরিয়ে যাওয়ার পর। যখন আমার সহক্রেতা তীরবেগে আমার দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, কেন? কী অবস্থা?
যখন আমি দেখলাম মানুষটির সর্বাঙ্গ দিয়ে কনফিডেন্স ঠিকরে বেরোচ্ছে। আমি এ চেহারা আগে দেখেছি। অনেক দেখেছি। এঁরা কখনও কোনও বক্তব্য রাখার সময় “আমার মতে” বা “আমার মনে হয়” গোছের অপ্রয়োজনীয় শব্দ জোড়েন না। কারণ এঁরা জানেন যে এঁরা যেটা জানেন সেটাই সর্বৈব সত্য।
আমি অবাক হলাম। একটু খুশিও। যাক, আমার থেকেও কম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের জ্ঞান নিয়ে কেউ চলে ফিরে বেড়ায়। আমি বললাম, কেন, এই যে অবস্থা চলছে? এই যে এটিএম থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে না, এই যে…
তিনি বললেন, হ্যাঁ হ্যাঁ, কিন্তু তাতে তো ভালোই হচ্ছে। আম্বানিদের কালো টাকা সাদা হচ্ছে, শচিন তেন্ডুলকর আর শাহরুখ খানেরা গরিব হয়ে যাচ্ছেন। অবস্থা তো কিছু হয়নি।
আমার বুদ্ধিভ্রংশ হয়েছিল। বললাম, অনেক লোকের তো অসুবিধেও হচ্ছে।
কাদের?
এই ছোটখাট ব্যবসায়ী, যারা আমার আপনার বাড়িতে কাজ করেন…
চোখ কপালে উঠল।
ওরা গরিব কে বলল আপনাকে? আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট এনে দেখিয়ে দেব আমি। আমার আপনার থেকে বড়লোক। শুনুন মশাই, ভারতে এখন এমন গরিব কেউ নেই যে দু’দিন (*তখনও দুদিনের প্রমিসটা লাগু ছিল) ক্যাশ ছাড়া চালাতে পারবে না।
একটু থেমে জুড়লেন, অ্যাট লিস্ট আমি যদি পারি তাহলে সবাই পারবে।
এর আগের কথোপকথনের পুরো দায়টাই আমার, আমি সেটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু এর পরের প্রশ্নটার জন্য আমি নিজেকে দোষী করছি না। কারণ এই প্রশ্নটা আমার ঐচ্ছিক প্রক্রিয়ার অধীন ছিল না, একেবারে বিশুদ্ধ বিমূঢ় বিস্ময় থেকে প্রশ্নটা আমার মুখে এসে গিয়েছিল।
আপনি সত্যি আপনার থেকে গরিব লোক দিল্লিতে দেখেননি?
না। চকচকে চোয়াল নাড়িয়ে তিনি আমাকে জবাব দিলেন। ও রকম দেখতেই গরিব লাগে, আসলে সব টাকার কুমীর। আমি যদি দু’দিন টাকা না তুলে আরামে থাকতে পারি তবে বাকি সবাইও পারবে। আর বাকি সবাই যদি গরিব হয়, দিন এনে দিন খাওয়া পার্টি হয়, তাহলে আমিও দিন আনি দিন খাই।
অবশেষে আমার বোধোদয় হল। আমি “আচ্ছা” বলে অকুস্থল পরিত্যাগ করলাম। বুক ধড়ফড় করছিল। কী কী বলা উচিত ছিল মনের ভেতর ঘাই মারছিল। কিন্তু এও জানতাম আর কিছু বললে এই বুক ধড়ফড়ানিটা দীর্ঘায়িতই হত শুধু। তাছাড়া যোগ্য জবাবের শেষ নেই, যা-ই বলি না কেন, যতই বলি না কেন, বলা হয়ে যাওয়ার পর তার থেকে বেটার কিছু সবসময়েই মাথায় আসবে।
বাড়ি গিয়ে এক শিশি চানাচুর খেয়ে ধড়ফড়ানিটাকে শান্ত করলাম। চানাচুর শেষ করেই অবশ্য আফসোস হল। কারণ আমার ক্যাশ নেই, ঝট করে চানাচুর রিপ্লেনিশ করা যাবে না।
এখন আর বুক ধড়ফড়াচ্ছে না। ঘটনাটার থেকে বেশ কয়েকঘণ্টা দূরে চলে এসেছি বলেই বোধহয়। তাছাড়া শুক্রবার সকালসকাল ব্যাংকে দু’ঘণ্টা লাইন দিয়ে কড়কড়ে বেগুনি দু’হাজারি নোট পেয়ে বুকের ভেতরটা শান্তও হয়েছে। চানাচুরের স্টকও রিফিলড।
তবু এখনও ঘটনাটা উঁকি মারছে মাঝেমাঝে। এবং এখনও আমি স্থির করতে পারছি না ঘটনাটাকে শকিং বলব না ডিপ্রেসিং।
কুন্তলা দি করেছ কি!!!
ReplyDeleteআর যদি করলেই তাহলে লোকটাকে দুটো কথা শুনিয়ে দিলেনা কেন? তিন খানা হেন- তেন পারসেন্টেজ বললেই দেখতে আর তর্ক করতো না।
:( :(
আমি অলমোস্ট নিশ্চিত, প্রিয়াঙ্কা। ও সব বললে আরও ঝগড়া করত, বলত রাখুন আপনার স্ট্যাটিসটিকস। যতসব মিছে কথা। দেশদ্রোহী বলে গাল দিত। বলত আপনাদের জন্যই ইন্ডিয়ার কিছু হচ্ছে না। আপনাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।
Deleteaha fnashi hobey keno? pakistan pathaabey.
Deleteআমাদের এখানে জল কম আসছে, বাড়িওয়ালা বললেন, এও কি মোদী করেছে, বলো? শিওর পাকিস্তান। ওরা সব পারে।
DeleteBojho tahole!!!
Deleteট্রাম্প জেতায় আমি নিজেকেও শক্ড এবং ডিপ্রেস্ড বলে জাহির করতাম, কিন্তু আমার আসে-পাশের লোকজন ফেসবুকে যে পরিমাণ মড়াকান্না জুড়েছে, এবং এমন এমন সব উপমা দিচ্ছে, যে আমি শক সরিয়ে রেখে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এমন কি আর হলো বাবা, একটা ভোটই তো। অবশ্যই প্রকাশ্যে বলছিনা, বাড়িতে পৌলমীকে বলছি। কেউ শুনলে ট্রাম্প-সমর্থক আর অসহিষ্ণু বলে লেবেল করে দেবে, হয়তো নাত্সিও বলে দিতে পারে।
ReplyDeleteআপনার অবস্থার প্রতি সমবেদনা রইল। চানাচুর না কিনতে পারাটা সত্যিই খুব ভয়ের ব্যাপার।
সে তো গোটা জীবনটাই একটা মায়া, সুগত। সেই ভাবে দেখতে পারলে আর কোনও অসুবিধেই থাকে না।
Deleteবুধবার সকালের অনুভূতি টা চিরকাল মনে থাকবে :(
ReplyDeleteঅবিশ্বাস্য একটা ডিপ্রেস্ড বাতাবরণ চারদিকে।
অকুস্থলে থেকে নিশ্চয় আরও শকিং।
DeleteAmi ei kichu lokeder "Aha ki bhalo hochhe" bhab tai sojjho korte parchhi na. Kuntala tumi ekdomei thik. Ami toh 2000/- er note o pai ni ar ekhono obdhi kono ATMeo khola pai ni. Tobe ekta jinis peyechhi, SBI er kormider bhalo byabohar!
ReplyDeleteভালো ব্যবহার অ্যাকনলেজ করাটাও বিশেষ পাওয়া যায় না, রুণা। ভালো লাগল।
Delete2000 takar note ta ki kore bhangalen, mane ki denomination e bhangalen, seta janar icche roilo :D
ReplyDeletekhub bhalo lekha.
অরিজিত, আমাদের মাংসের দোকানে একজন নররূপী নারায়ণ বসেন। এক কেজি মাংস কিনে আমি তাঁকে একটা দুহাজারের নোট আর একটা পঞ্চাশের নোট দিলাম, তিনি আমাকে ষোলটা একশো টাকার নোট ফেরত দিলেন। আমি যদ্দিন সি আর পার্কে থাকব, ওঁর ছাড়া আর কারও দোকান থেকে মাংস কিনব না।
DeleteAha, boro bhalo lok go uni. Ei bajare onek punyo korben :)
ReplyDeleteআমার সামনে অন্তত তিনজনকে ফ্রিতে, মানে পরে টাকা দিলেই হবে এই মর্মে, মাংস দিলেন। এবং সব থেকে বড় কথা, এত ফেভার করছেন বলে যে বাজে পিস চালাচ্ছেন এমন নয়। একেবারে উমদা মাংস দিচ্ছেন।
DeleteI would rate this one as one of your best, Kuntala.
ReplyDeleteধন্যবাদ, অনিরুদ্ধ।
Deleteকল্পতরু
ReplyDeletemedical shop er naam ta bhari sundor...sei khabar dokan er moto..khub sundor naam..
in fact amar barito amay ek e kotha bollo,,,je toder e osubidha hobe..amader kono bepar e na..dur
prosenjit
হ্যাঁ, কল্পতরু নামটা বেশ সুন্দর, প্রসেনজিৎ।
Deletesorry sory KHABAR DOKAN noy...KHABAR GHOR
Deleteহাহা, বুঝতে পেরেছি, প্রসেনজিৎ।
Delete"আমাদের এখানে জন্মকর্ম বাস, আমাদের এখানে অসুবিধে হবে? টাকা ফুরিয়ে গেলে কেষ্টদার ছেলে আমাদের চাল দেবে না? জহর ডিম দেবে না? কল্পতরু ক্যালপল দেবে না?" - এই বোধটাই আমাকে আশ্বস্ত করলো প্রথম থেকে। আমার গ্রামে নামগুলো পাল্টাবে শুধু।
ReplyDeleteআর অন্তত: একজন প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে দিলো "এতদিন তোমরা আমাকে খাইয়েছ, আজ আমি এ টুকু কোরবো না"। সত্যি, সবাই এ ভাবে ভাবলে পৃথিবী অনেক সুন্দর হতো।
সেটাই, কৌশিক।
DeleteComment korte giyeo bhebe pachhi na ki likhbo. Tomaar shonge 100% ek mot. Majhe majhe mone hoy Facebook theke nijeke delete korey ditey parle boro bhaalo hoto. Ontoto kichhu shobjanta loker motamot theke to durey thaktam
ReplyDeleteহাই ফাইভ, অর্পণ।
Deletetomar ei post ta pore amar dhorphoranita onekta komlo, kije mushkile porechhi... kichhu bhaba ba bolar kotha bollei , ashepasher beshirbhag lokjon ...."আপনাদের জন্যই ইন্ডিয়ার কিছু হচ্ছে না। আপনাদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।" eirakomi bojhate chesta korchhe... ekhon 'Abantor' e eshe tomar post pore monta ektu khusi khusi hoe galo..
ReplyDeleteআমি লোকজনের সহনশীলতা দেখে সত্যি অবাক। চারঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বলছে, আর ক'দিন বাদেই সব ঠিক হয়ে যাবে। রেডিওতে ফোন করে খ্যা খ্যা করে হাসছে, আমাদের সব সেভিংস হাজব্যান্ডরা জেনে ফেলল। রেডিওর নারীবিদ্বেষী জকি জোক করছেন, ছেলেদের মেয়েদের থেকে টাকা লুকোনোর বিদ্যে শেখা উচিত। আরও এক রাউন্ড খ্যা খ্যা। আমাদের সুলেখার বর রোজ রাতে সুলেখার পয়সায় মদ খেয়ে এসে সুলেখাকে মারে, সুলেখার সেভিংসের কী হবে ভগবানই জানেন।
Delete"আমি লোকজনের সহনশীলতা দেখে সত্যি অবাক "... eto eto manusher ei montromughdher moton achoron tai amar odbhut lagchhe...
Delete